![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ি করতে, ফুটপাতে দোকান দিতে, রাস্তাঘাট তৈরী করতে এমন কি রাস্তার পাশে বসা মুচির কাছ থেকেও আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের চাঁদা নেয়ার কথা শুনেছি। তাছাড়া কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ভর্তি বা ফরম পূরনে ছাত্রলীগ কর্তৃক চাঁদাবাজির ঘটনা দেখেছি বা শুনেছি। তবে এবার একেবারে ভিন্নধর্মী একটি সংবাদের মুখোমুখি হলাম। তা হলো লাশ দাফন করতেও আওয়ামী লীগ নেতার অনুমতি প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ নেতার অনুমতি ছাড়া লাশ দাফন করা যাবে না।
নাটোরের নলডাঙ্গায় দুই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির পূর্ব অনুমতি না নেয়ায় কবর খোঁড়াসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও দাফন করতে দেয়া হয় নি।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন এলাকায় গেলে এলাকাবাসী জানায়, বাঁশিলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মরহুম সুলতান মন্ডলের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বুধবার বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। তার সন্তানদের কাছে আগে থেকে করা ওসিয়ত মতো তার লাশ নিজ গ্রাম বাঁশিলা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তার স্বামীর পাশে দাফন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
তার মৃত্যুর পর সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় গোরস্থানের সভাপতি মোঃ আজিজ খাঁ ও সহ-সভাপতি জয়নাল খাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে রেজুলেশন মোতাবেক পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ শ’ টাকার জায়গায় এক হাজার টাকা গোরস্থান তহবিলে জমা দিয়ে অনুমতি নেয়া হয়। পরে কেন্দ্রীয় গোরস্থানের কমিটির সদস্য হাসান ও ইসমাইল গোরস্থানে গিয়ে কবরের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়ে আসে। পরিবারের পক্ষ থেকে কবর খোঁড়া হয়। লাশ কবরে নামানোর জন্য রাতে জেনারেটরের ব্যবস্থা করে পরিবারের সদস্যরা।
পরে তার লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় ফৌজদার পাড়া মোড়ে যেতেই মাধনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহের উদ্দিন সকলকে থামিয়ে দেয় এবং জানান, তাদেরকে আগে থেকে না জানানোর কারণে লাশ কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করতে দেয়া হবে না। মরহুমের পরিবার ও এলাকাবাসীর অনেক অনুনয় বিনয় দেখানোর পরও অনুমতি না পাওয়ায় নতুন করে বাঁশিলার বিল জোয়ানিয়া গ্রামে কবর তৈরি করে বৃদ্ধা আঞ্জুমান আরার লাশ দাফন করা হয়।
আঞ্জুমান আরার ছেলে রেজাউল করিম বলেছেন, আমি এবং আমার ভাইয়েরা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহের উদ্দিনসহ বাধাদানকারীদের হাতে পর্যন্ত ধরেছি, তবুও তাদের মন গলেনি। তারা আমাদের মায়ের লাশ বহনের খাটিয়ায় ধাক্কা মেরে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। পরে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠলে আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাদের সাথে কথা বলতে এলেও আমরা কথা বলিনি। আমরাও আওয়ামী লীগ করি, সেটা সদরের এমপিসহ সকলেই জানেন। তারপরও আমাদের মায়ের লাশ দাফন নিয়ে এমন আচরণ বড়ই বেদনার।
দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। দিন দিন দেশে বসবাসের স্থান হিসেবে ঢাকার মতো সারা দেশে বাস করা কঠিন হয়ে পরেছে। দেশে শুধু আওয়ামী লীগ নেতারা বসবাস করবে। সাধারণ মানুষ বসবাস করতে পারবে না। যারা বসবাস করতে চায় তারা প্রাচীন কালের জমিদারদের প্রজাদের মতো বসবাস করবে না হয় তাদের রোষানলে পরে সর্বস্ব হারাবে।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৭
কানিজ রিনা বলেছেন: দুঃখজনক
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৭
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: NOTHING LIKE ANYTHING
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সত্যিই নাকি!
সমাজ অনেক পাল্টে গেছে
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: অনুমতি নিয়াই দাফন করতে হবে..... নয়তো পাকিস্তান গিয়া মরেন
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
আদর্শ সৈনিক বলেছেন: হাম্বা লিগের বাংলাদেশে থাকেন, জানেন না এখন ওরাই দেশের মালিক? বেচে আছেন এটাই বিশাল, কবরের জায়গা পাওয়া বহু দূর কি বাত।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশকে পেছনে নিয়ে গেছে এরা, পুরোপুরি জমিদারী আমল।
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ব্লগ এলাকা তো কবরের মতই মৃত!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জ্বলন্ত আলো বলেছেন: সামনে বাড়ার অনুমতি নেই গাজী সাহেব। তাই আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুমতি নিয়ে দাফন দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আরে মিয়া লাশ দাফনের আগে কার নামে দুরুদ পড়ছে ভাল করে জিগান। দাফনে সমস্যা না দুরুদে সমস্যা আছিল!