নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইফুল ইসলাম

বরাবর আমি

সাইফুল ইসলাম

বরাবর আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষত বিক্ষত গণতন্ত্র, মেরুদণ্ডহীন প্রজাতন্ত্র

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে উন্নত হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার মান । দ্রুত পরিবর্তনশীল আধুনিক সভ্যতার এ সময় শুধু এগিয়ে যাবার । পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই । কারণ দ্রুত গতি ও প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের ফলে নিকট অতীত ও অনেক দূর হয়ে যায় । বিজ্ঞান মানুষকে আরামপ্রিয় ও সহজ জীবন দান করেছে । ফলে মানুষ ভোগ করছে আনন্দময় জীবন । সীমাহীন আনন্দ । বিজ্ঞান গুটা পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হলেও পরিবর্তন করতে পারেনি আমাদের মানসিকতা । পাল্টাতে পারেনি মানুষের ভেতর লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে । তাইতো খুন,গুম,ছিনতাই,রাহাজানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত । নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ । দুর্নীতির কালো চাদরে ঢেকে গেছে গুটা দেশ । এতক্ষণে নিশ্চয় চিনে ফেলছেন কোন দেশের কথা বলছি । --------------- হ্যাঁ আপনাদের ধারনাই সঠিক । আমি প্রাণ প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের কথাই বলছি ।



গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ । গণতন্ত্রের মন্ত্র দ্বারা পরিচালিত । অবশ্য আমাদের গণতন্ত্র ডিজিটালের ছোঁয়ায় কিছুটা ক্ষত বিক্ষত হলেও বিশ্ব দরবারে আমরা গণতান্ত্রিক । হয়তো আমাদের মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত নেই । তাতে কি ? মানুষের কথা বলার অধিকার নেই । সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার,সমালোচনা করার দরকারই বা কি ? আইনের শাসনের কথা ভাবছেন ? ভেবে লাভ নেই, এটাই ডিজিটাল গণতন্ত্রের আইন । গণমাধ্যম বন্ধের অভিযোগ, এখানে ডিজিটালের কি আছে ? সেই স্বাধীনতা পরবর্তী বাকশালের সময়েও তো অনেক সত্যবাদী গণমাধ্যম বন্ধ ছিলো । বিরোধীদলকে রাজ পথে নিয়ম তান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে না । বিরোধীদলের শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ কারণ ডিজিটাল গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী সরকারীদল ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হবার কথা । কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের দয়া ও অনুগ্রহের ফলে এখনো তা করা হয়নি । আমাদের জাতির আব্বা বেঁচে থাকলে নিশ্চয় বিরোধীদল নিষিদ্ধ ঘোষণা আসতো ।



বাকশাল আর ডিজিটালের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই । অনেকে আওয়ামীলীগকে দোষারোপ করছেন । আওয়ামীলীগ নাকি তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে ? অভিযোগটি মেনে নিতে পারছিনা বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি । মেনে নিতে পারছিনা এ জন্যে যে আমার চোখে তাদের মৌলিক কোন পরিবর্তন ধরা পড়েনি । সেই স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও ডিজিটাল বাংলার আওয়ামীলীগ ভিন্ন মোড়কে একই পণ্য । গুম,খুন,অপহরণ আগে যেমন ছিল এখনো তেমন আছে । বিরোধী দলহীন গণতন্ত্র আগের মতো এখনো আছে । ধর্মহীন আর ইসলাম বিদ্বেষ বাবার সময় যেমন ছিল মেয়ের সময় তেমন আছে । মানবাধিকার,আইনের শাসন আগে যেমন ছিলোনা এখনও নেই । দিন দুপুরে খুন, নদী নালা খাল বিলে লাশ এখন যেমন দেখছি ৭১পরবর্তি বাংলায় ঠিক তেমনই ছিল । রক্ষীবাহিনীর কাজ কি বিভিন্ন বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না ? তাইলে আদর্শ বিচ্যুত হল কি করে ?



আস্থাহীন প্রতিহিংসার রাজনীতির ফলে জাতি অসভ্যতা ও বর্বরতার কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছে । স্বাধীনতা হুমকির মুখে, বার বার হোঁচট খাচ্ছে । দেশের মূল শক্তি তথা শিক্ষা ব্যবস্থা, অর্থ ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে । ভাঙ্গা মেরুদণ্ড নিয়ে অন্যের উপর ভর করে দাড়িয়ে আছে প্রজাতন্ত্র । পাশাপাশি অপসংস্কৃতির দ্বারা নষ্ট করা হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম । যারা জাতির হাল ধরবে তারা যদি হয় চরিত্রহীন তাইলে এ জাতি থেকে বিশ্ব কি আর আশা করতে পারে ? বিড়ি সিগারেটের নেশার মতো রাজনীতি নেশায় আমরা আসক্ত । না হয় দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর জানার পরও আমরা তাদেরকে সমর্থন দেই । গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হয় আওয়ামীলীগ তার দলীয় আদর্শের মাধ্যমে করেছে । কিন্তু আমরা কি তাঁর প্রতিবাদ করছি । অনেকেই নীরব , আর নীরবতাকে ধরা হয় সম্মতির লক্ষণ । অর্থাৎ আমরা প্রত্যক্ষ ভোট না দিলেও নীরবতার মাধ্যমে সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি । ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন , নীরব থাকবেন না প্রতিবাদ করবেন । আর দেরি নয় এখনই সময় । আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার তাওফিক দান করুণ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.