![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম নিবন্ধন হেল্পলাইন একটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন ওয়েবসাইট। এটা কোন সরকারী সংস্থা না। যেকোন প্রকার সাহায্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জন্ম নিবন্ধন বানানোর নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন বানানোর আগে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে যে, জন্ম নিবন্ধন কি? এবং জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে।
জন্ম নিবন্ধন কি?
জন্ম নিবন্ধন হলো কোন ব্যক্তির জন্ম সনদ প্রদান করা। এই সনদ দেশের সকল নাগরিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই সনদে ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান এবং পিতা-মাতার নাম উল্লেখ থাকে।
জন্ম নিবন্ধন দেশের সরকার বা সরকারী সংস্থা দ্বারা প্রদান করা হয়। এই সনদ ব্যক্তির বিভিন্ন সরকারী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়। আরোও বিস্তারিত জানতে সরকারি ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে ?
১। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয় বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচি প্রদত্ত হতে। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যক্তির জন্ম সম্পর্কিত সকল প্রকার তথ্য নিশ্চিত করে যা কোন কর্মসূচি বা নিয়োগের সময় কাজে লাগে।
২। সরকারি কর্মকাণ্ডে ব্যক্তি সরকারি কর্মকাণ্ড করতে চাইলে তাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে। এছাড়াও পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
৩। স্বাক্ষরের জন্য কোন ব্যক্তির স্বাক্ষর প্রদত্ত হতে চাইলে স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে যা সনদ প্রদানের সময় প্রয়োজন হতে পারে।
৪। ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু।
৫। নিজস্ব ব্যাংক হিসাব খোলা।
৬। জমি রেজিষ্ট্রেশন।
৭। ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি।
৮। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
৯। ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি।
১০। বিবাহ রেজিষ্টার।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক প্রকার কাজে আপনার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
দেখুনঃ- কিভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন।
জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কি কি সমস্যার সমুখীন হতে হয়।
বয়স প্রমাণের জন্য
অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে শিশুরা নানা ধরনের কিশোর অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। এক্ষেত্রে বিচার শুরু করার আগে বা শাস্তি প্রদানের আগে তার বয়স প্রমাণের প্রয়োজন হয়। এজন্য জন্ম সনদ মূল ভূমিকা পালন করে।
স্কুলে ভর্তি করার ক্ষেত্রে।
বর্তমানে স্কুলগুলোতে ভর্তির সময় বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম সনদ চাওয়া হয়। অনেক সময় জন্ম সনদ না থাকার কারণে মেধা থাকা সত্ত্বেও ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না।
জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি।
জন্ম সনদ না থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যায় না। ফলে ভোটাধিকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন নাগরিক সুজোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
পাসপোর্ট তৈরি।
পড়াশোনা, জীবিকা, ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যেতে প্রয়োজন হয় পাসপোর্টের। পাসপোর্টের আবেদন ফরমের সাথে জন্ম সনদ অথবা জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়। জন্ম সনদ না থাকলে জতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা যায় না, সুতরাং পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করা যায় না।
সরকারী চাকরি বা স্বায়ত্তশাসিত চাকরি।
সরকারী চাকরি বা স্বায়ত্তশাসিত চাকরির ক্ষেত্রেও বর্তমানে জন্ম সনদ প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে জন্ম সনদ না থাকলে মেধা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি হাতছাড়া হয়ে যায়
বিয়ে রেজিষ্টার করার ক্ষেত্রে।
বিয়ের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিয়ের সময় বয়স প্রমাণের জন্য এটি ভূমিকা পালন করে। তাই এটি ব্যতীত বিয়ের মতো সামাজিক কাজেও বাধা আসে
জমি-জমা ক্রয় বা বিক্রয় করার ক্ষেত্রে।
সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পর রেজিষ্ট্রেশনের সময় জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়। এই সনদ না থাকলে এক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
আরো পড়ুনঃ- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট কিভাবে নিবেন।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে।
জন্ম নিবন্ধন করতে সর্বপ্রথম যেটা লাগবে সেটা হলো আবেদন ফর্মটি ভালো ভাবো পূরন করে। তার সাথে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস লাগবে।
শিশুর জন্ম নিবন্ধন বানানোর নিয়ম
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।
শিশুর পিতা-মাতার জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি)।
হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি অথবা ইউ.পি ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি।
আবেদনকারীর (শিশুর) ১ পাসপোর্ট সাইজ কপি ছবি।
বয়স ৫ বছরের বেশি হলে জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে?
উপযুক্ত চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র, অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, অর্থাৎ পি.এস.সি/জে.এস.সি/এস.এস.সি অনুরূপ পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি অথবা ইউ.পি ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি
পিতা-মাতার জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি)।
আবেদনকারীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
জন্ম তথ্য প্রদানকারী কারা?
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম অনুযায়ী শিশুর পিতা বা মাতা বা অভিভাবক শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সচিব।
গ্রাম পুলিশ।
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কাউন্সিলর।
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার কল্যাণকর্মী।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেক্টরে নিয়োজিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) মাঠকর্মী।
কোনো সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা মাতৃসদন বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে উহার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার অথবা ডাক্তার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।
নিবন্ধক কর্তৃক নিয়োজিত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী।
জেলখানায় জন্মের ক্ষেত্রে জেল সুপার বা জেলার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
পরিত্যক্ত শিশুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
কোন জায়গা থেকে জন্ম নিবন্ধন তৈরী করবেন?
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তির জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমানে বসবাস করছেন এমন যেকোনো স্থানের নিবন্ধকের কাছে জন্ম নিবন্ধন করানো যাবে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য যারা নিবন্ধক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য।
পৌরসভার মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।
দেখুনঃ- কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন করবেন।
জন্ম নিবন্ধন বানাতে কত টাকা লাগে?
শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। শিশু জন্মের ২ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন না করালে বাবা-মায়ের জন্য জরিমানা আছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনরকম ফি ছাড়া জন্ম নিবন্ধন করার সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় বাড়ানো হয়েছিল ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে দেশের অধিকাংশ শিশু জন্ম নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। জুনের পর জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকার একটি ফি ধার্য করেছে। জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্তৃক নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধন ফি এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
০-৪৫ দিন শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার জন্য কোন প্রকার ফি লাগে না।
৪৫-৫ বছর পর্যন্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে ২৫ টাকা ফি দিতে হয়।
৫ বছরের উপরে কারো জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ৫০ টাকা ফি লাগে।
এগুলো একটাও স্থায়ী ফি নয়। এটা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারন করা ফি
আমাদের ওয়েবসাইটে যান> জন্ম নিবন্ধন হেল্পলাইন
©somewhere in net ltd.