নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অক্পটে

অক্পটে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুয়েট বাকি ছিল ওদের ছোবলে আজ নীল হল বুয়েট!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫


মেধাবীরা ঝরে যায় উইপোকারা থেকে যায়।



বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ নামক খুনিরা। ওনারা সব সময় খুনের লাইসেন্স নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ভাবতেই কেমন পিলাচমকে উঠে এরা খুনি!! এই খুনিদের মাঝে থেকেই আমাদের সোনা মনিরা লেখা পড়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ে!
আমার ভাই, তার ছেলে, ওনার মেয়ে, আদরের খোকা বাবা মার স্বপ্ন। সীমাহীন আকাঙ্খা বুকে ধারণ করে আমাদের সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তার পর সেখানে গিয়ে হায়েনাদের কাছে জিম্মি হয়ে যায়। প্রতিদিন বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটা! আমার সন্তান ভার্সিটিতে গেছে। ও কেমন আছে ভাল আছেত!

আবরারকে হত্যা করেছে বুয়েটের শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এটা প্রমাণিত সত্য। কিন্তু তবুও কেউ কেউ বলছে এটািকি ছাত্রলীগই করেছে নাকি অন্য কেউ তা এখনো স্পষ্ট নয়। এরমানে খুনিদের আড়াল করার পায়তারা শুরু হয়েছে মন থেকে। তাদেরকেই বলছি যারা চিন্তা করছেন। আপনারা চিন্তা করবেন না। এই খুনিরাও পাড় পেয়ে যাবে। বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা এখন জামাই আদরে আছে তাদের বালটিও বাঁকা করতে পারেনি কেউ, পারবেওনা। এমন আরো শত ঘটনার সাক্ষী এই পোড়া বাংলাদেশের কপাল পোড়া জনগণ। আমাদের রাষ্ট্র নষ্ট রাজনীতি ও দূষিত গণতন্ত্রের যন্ত্রণা সইতে জনগণকে বাধ্য করছে। দেশে একটি বোকা জেনারেশন গড়ে তোলার জন্য সুচিন্তিতভাবে মেধাবীদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। দেশে চলছে এখন খুনীদের জয়জয়কার।

ছাত্রলীগের ব্যবসাটা আসলে কী? ছাত্রলীগ আমাদের কি কাজে লাগছে। জাতির কি উপকার করছে এরা? ছাত্রলীগ/দল, যুবলীগ/দল যদি জাতির কোন কাজে না আসে তাহলে এদের লালন পালন করে লাভ কি? এক একজন ছাত্রলীগ যুবলীগ কেউই কোটি টাকার নীচে মালিক নেই সবাই কোটি টাকার উপরে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত মালিক। কি ব্যবসায় করে তারা? এত টাকার মালিক হলেন কি করে? চাকরি বাকরি কিছু করেনা অথচ টাকার উপরে ঘুমায়। এভাবে অসৎ উপায়ে টাকা কামানোর ব্যবস্থা কে করে দিল তাদের? মানুষ মেরে মায়ের বুক খালি করে এরা দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। তাদের কাজই দখল, টেন্ডার বানিজ্য, মানুষ মারা লুট চাদাবাজি করা। এই দেশের প্রশাসন কি কাজে লাগছে। পুলিশ এদের ভয় পায়। এই লীগবাহিনী জাতির উপকার করছে নাকি অপকার করছে একথা বলার মতো একজনও লোক আর বেচেঁ নেই। যারা বেচেঁ আছেন এরা সবাই ভ্যাড়া হয়ে গেছেন। দেশের যত ছাত্রলীগ যুবলীগ আছে হাজার হাজার এসব সন্ত্রাসীকে সরকার পুলিশের পোষাক পড়িয়ে দিয়েছে। ওরা এখন পুলিশ! ভবিষ্যতে এরাই দেশ পরিচালনা করবে। যখন তারা দেশ চালাবে তখন কি তারা সৎ বান্দা হয়ে যাবে? এদের দ্বারা পরিচালিত দেশ কেমন হবে!

আজ যে একজন মেধাবী চলে গেল একজন মায়ের বুক খালি হল। এইসব কাজইত করে বেড়ায় লীগ। এদর নিষিদ্ধ করলে কি সরকার পড়ে যাবে। প্রশাসন ভেঙ্গে যাবে? এদের ভয় পাওয়ার কারণ কি? সরকার এবং প্রশাসন চক্ষুহীন নাকি লজ্জাহীন? নাকি বিবেকহীন? একটা জাতি কিভাবে এমন বিবেক বৈকল্য হল ভাবলে কেমন খারাপ লাগে অস্থির লাগে। সমাজের নিয়ন্ত্রণ এখন সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে সন্ত্রাসী আর রাজনৈতিক গুন্ডাদের হাতে। কোথাওই কিছু ঠিকভাবে চলছেনা।

জবাবহীন অনেক প্রশ্ন করা হলো। আমরা সব জানি। আমরা কিছু জানিনা। আমরা সব দেখি। আমরা কিছু দেখিনা। আমাদের অধিকার কতটুকু আমরা জানিনা। আমি সরকার আমার বোধ এবং লজ্জা নেই। আমি প্রশাসন আমার বোধ এবং লজ্জানেই। আমি ঘুষের উপর বাঁচি, আমি ঘুসের আশায় থাকি। কোথায় কি এলো গেল তাতে আমার কি! আমি তো বেশ আছি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সমাধান কি? সমাধান বলেন - - -

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

অক্পটে বলেছেন: সমাধান হল রাজনীতি থেকে বেশ্যাবৃত্তি বাদ দিতে হবে। ছাত্ররাজনীতি চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। যারা বলেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলে ভবিষ্যত নেতৃত্বে মন্দা দেখা দেবে। আমি বলব এমন যারা ভাবেন তাদের ভেতরই শয়তানিতে ভরা ওরা অসৎ উদ্দ্যেশ্যে ছাত্রদের ব্যবহার করে। যা এখন চলছে এরাই ত ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ! তাহলেই হয়েছে ভবিষ্যত শুধুই অন্ধকার আর বিদিষা!

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি কেনো বন্ধ করা হবে না। তা নিয়ে আস্ত একটি পোষ্ট দিয়েছি তা পড়ে মতামত জানান প্লিজ।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:০৪

সোহানী বলেছেন: জবাবহীন এ প্রশ্নের জবাব আমি আপনি সবাই জানি। কিন্তু কোনদিনই সে জবাব আমাদের বা আমাদের মতো উঁইপোকাদের সাথে যাবে না। আমরা ঘুষ দিয়ে যাবো, মার খেয়ে যাবো আবার তাদেরকেই ক্ষমতায় বসাবো।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

অক্পটে বলেছেন: রাজনীতিবিদদের কাণ্ডজ্ঞানের সমস্যার কারণেই শিক্ষাঙ্গনের এই দুরাবস্থা। ওদের স্বার্থপরতা এমন নির্লজ্জ আকার ধারণ করেছে যে ওরা ছাত্র শিক্ষক কাউকেই ছাড় দেয়নি, সবার গায়েই পঙ্কিলতা মেখে একাকার করে দিয়েছে। তানাহলে আবরার মারা যাওয়ার পর খোদ বুয়েটের উপাচার্য বাবু ঘটনাস্থলে আসতে আসতেই কয়েক ঘণ্টা দেরি করে আসলেন কেন এমন হলো? একমাত্র পঁচে না গেলে এমন হওয়ার কথা নয়। শিক্ষকের নৈতিকতা রাজনীতির কাছে কেমনভাবে ধরা খেয়েছে দেখুন। এই স্খলিত রাজনীতি এবং স্খলিত শিক্ষক দিয়ে আমাদের সন্তানদের জীবন কেমন ভাবে গঠন হবে? খুব কষ্ট হয় ওদের ভবিষ্যত ভাবতে।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আবরার স্মৃতি হয়ে গেছে, একদিন স্মৃতি থেকেও হারিয়ে যাবে !

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

অক্পটে বলেছেন: হ্যা সত্যিই আবরার স্মৃতি হয়ে গেছে।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৪৯

খাইরুজজামান্‌ বলেছেন: বলার ভাষা নাই । মাঝে মাঝে রবী ঠাকুর এর কথা টা মনে পরে "মুর্খদের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয় "

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২

অক্পটে বলেছেন: ভাল লাগল আপনি কিছু লিখেছেন বলে।
আচ্ছা আমাদের এই যে প্রতিদিনের পেরেশানি, এই যে এত অবক্ষয় এর কি কোন প্রতিকার নেই? এই জাতিকে সোজা করার জন্য সর্বপ্রথম কার্যকরী কোন পদক্ষেপটি নেয়া যায় বলে আপনার মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.