![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অনেক চেষ্টা হয়েছে ব্লগানোর বাংলা করা নিয়ে, আমার এখন ব্লগের নতুন বাংলা করতে ইচ্ছা করলো তাই দিলাম এর নাম নেটনামচা- আর এই ধারাবাহিক নেটনামচা ধরে রাখা হবে নেটনামায়- সত্য বড় কঠিন, সত্য বড় কঠোর,সত্য শক্তসমর্থ সত্যের হোগামারা খাইলে যাদের মাথা আউলাইয়া যায় তাগোর জন্য বলি আমি মিথ্যার হোগা মারি, মিথ্যা কইয়া হোগা মারা পছন্দ করি না। সুজন সামলে নায়ে উঠো, মাঝবদীতে পড়লে আমার দায় নেই। এটা বড়দের জন্য পদ্য পদ্য খেলার একটা পাতা, যারা সস্তা অশ্লিলতা খুজছেন চলে যান নীলক্ষেতের চিপায়, তেমন সস্তা আদিরস আমি করি না। কিন্তু মাঝে মাঝে কবিতার খাতিরে যৌনবিষয়ক আলাপন চলে আসতে পারে, পরিশেষে ধন্যবাদ মুখফোড় সুমন চৌধুরি কে। আমরা অনেক পদ্য করবো ছাতিম গাছের তলে, আমরা নিত্য শংকর খাবো ব্যোম ভোলানাথ বলে।
বিষয়টা একেবারে সাধারন- দৃষ্টিভঙ্গি জনিত-
সবার নিজস্ব একটা ধারনা আছে-
নারী স্বাধীনতার সাথে জড়িত শব্দগুলোর পরিচয় জানার নিমিত্তে এই লেখা।
নারী স্বাধীনতা কে কেউ কেউ অবাধ যৌনতা শুরুর প্রথম ধাপ ভাবছে কেউ কেউ এটাকে সমাজের আধুনিক হয়ে উঠার পূর্ব লক্ষণ বলে ভাবছেন-
ে
ই আলোচনা অনেক দিকে নিয়ে যাওয়া যায়-
নারী স্বাধীনতা বিষয়ক ভাবনা এবং নারী স্বাধীনতার ভবিষ্যত প্রভাব কি হতে পারে এই নিয়ে বিভিন্ন অনুমান রাখলেই আলোচনাটা ভালো হবে-
ধর্মে নারীর স্বাধীনতা কি এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন করছি না-
একোবরে সাধারন ভাবে ভেবে যার যার অংশগ্রহনের ইচ্ছা তারা এখানে মন্তব্য রাখতে পারেন-
নারী স্বাধীনতাকে আপনারা কি হিসাবে দেখেন এবং এর ভবিষ্যত কি হবে বলে আপনার ধারনা?
২| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
হযবরল বলেছেন: অবাধ যৌনতা আসলে কি?
৩| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: নারীদেরকে আমাদের সমাজে দ্্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ ধরা হয় এখনও। বলা হয়ে থাকে নারীর চেয়ে পুরুষের শক্তি, সাহস, মেধা কাজ করার ক্ষমতা বেশী। পুরুষ যা পারবে নারীরা তা পারবে না।
আমার মতে পুরুষ যা পারবে তার মধ্যে নারীরা যা পারবে না তা হচ্ছে কোন নারীকে ইমপ্রেগনেন্ট করতে পারবে না। আর নারীরা যা পারবে তার মধ্যে যা পুরুষরা পারবে না তা হচ্ছে , সন্তান ধারণ করতে বা বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাতে। এ বিষয়গুলো বায়োলজিকাল।
এছাড়া যেকোন কাজের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের একই শক্তি। সামাজিক বিশ্বাস নারীকে দ্্বিতীয় সারির করে রেখেছে। নারীকে স্বাধীনতা দেয়ার পুরুষ কে? নারী জন্মগতভাবেই সমশক্তির অধিকারী।
যা দরকার তা হচ্ছে পুরুষের পিতৃতান্ত্রিক মনোভবের পরিবর্তণ। নারী স্বাধীনতা বলতে যারা অবাধ যৌণতার প্রথম ধাপ বোঝে তারা আসলে নারীদেরকে অসম্মান করছে।
৪| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: এই বিষয়টা ঠিক কোন অর্থে ব্যাবহৃত হয় আমি জানি না, তবে নারী স্বাধীনতা বিষয়টাকে হেয় করতে আমি এই শবডের ব্যাবহার দেখেছি, নারীস্বাধীনতা মানে নারীর অবাধ বাইরে থাকার স্বাধীনতা,
যত রাত ইচ্ছা বাইরে থাকার স্বাধীনতা, যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাওয়ার স্বাধীনতা। এর সাথে অর্থনৈতিক মুক্তি, োার্থ্যাৎ কাউকে টোয়াককা না করেই জীবন যাপন করার স্বাধীনতা- এই একটা জায়গায় এসে বিষয়টা এমন দাড়ায় যে পুরুষ যেহেতু বাইরে গিয়ে নিজেদের যৌনতার চর্চা করছেই- এর সাথে যদি নারীরা ঘরের বাইরে থাকে বেশী তাহলে
হয় নারীরা পুরুষের মতো বহুগামী হয়ে যাবে
অথবা পুরুষ মুক্ত নারীকে ভোগ করবে- এটাই অবাধ যৌনতার সূত্র- আমার ধারনা - কেউ পরিস্কার করে আমাকে বলে নি কখনও আসলে এই সম্পর্কটা ঠিক কোন খানে?
৫| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
হযবরল বলেছেন: অবাধ যৌনতা মানে যেখানে ইচ্ছা যখন ইচ্ছা ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ানো। পুরুষ এই দোষে দুষ্ট হলে বলা হয়, বহুগামী। একটি বিশেষণ প্রয়োগ করেই খালাস। কিন্তু নারী এধরনের করলে প্রশ্নটা চলে আসে যৌনতার অপব্যবহারের। বহুগামী নারী কিন্তু বলা হয় না? এইখানে কি শব্দ প্রয়োগের চাতুরি আছে মনে হয় না ।
৬| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: উঁহু নারিরা ভুগামি হয় না। নারীদের বহুগামিতার একটাই বিশেষ্য আছে
হয় তুমি সতী নয় তুমি নটি- কদার্থে বেশ্যা- যৌনতার ব্যাবহার মানে যৌনতার স্বাধীনতা। নারী স্বাধীনতার সাথে নারীর যৌনতার স্বাধীনতাও জড়িত, জড়িত যৌন সঙ্গি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও। এটা স্বাধীনতার ধাপ- বাছাই করার ক্ষমতা থাকা।
৭| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: কিছুটা সেরকমই পুরুষের চিন্তাভাবনা। ভয়। আসলে যৌণতা যে নারীর কাছে পুরুষের মত আগ্রাসী নয়, এটা কুপমুন্ডুক পুরুষ বুঝতে চায় না। আর এসব যৌণতা বা এর চর্চা জীবনের এত আয়োজনের অত্যন্ত ক্ষুদ্রতম একটা বিষয় - যা জীবনবোধ গড়ে তুলতে প্রধান ভূমিকা রাখে না যা অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলো রাখে।
৮| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: পাশ্চাত্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ফেমিনিস্ট আন্দোলন যখন শুরু হল, তখন নারী স্বাধীনতা বলতেই কম পোশাক (পুরুষের চাইতেও কম পোশাক) পড়া, সিগারেট খাওয়া এই টাইপের ডেয়ারীং কাজগুলো বুঝানো হত। ওখান থেকেই এই ধারণাটা এসে থাকবে হয়তো।
৯| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: কিন্তু নারী স্বাধীনতা বিষয়টা কে কিভাবে দেখো?
১০| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: আমি বুঝি আমার ওয়াইফ যদিকাজ করতে চায় - তবে আমি কিভাবে দেখি! আর আমার বাবা কিভাবে দেখে। দুজনের দৃষ্টিভংগি দু'ধরণের। আমাদের বয়জেষ্ঠ্যদের একটা ধারণা আছে যে বাইরে কাজ করতে যাওয়া স্বাধীনতা - আর তার অর্থ এ এখন তোমাকে মানগণ্য কম করবে।
আমি কিন্তু নিতান্তই দুঃখিত - তার জন্য কারণ সারাটি দিন সে একা বাসায় থাকে। কি দুর্বিসহ সময় কাঁটে আমি বুঝতে পারি। যতদিন না তার একটা চাকুরী হচ্ছে - আমার মাথায় একটা চিন্তা থাকবেই। গতকাল সে আমাকে বলছে একদিন এসে দেখবে আমি ফ্যানের সাথে ঝুলছি - একটা চিরকুটে লেখা - বৈচিত্রের সন্ধানে। আমি স্রেফ মনে করি এটা তার অধিকার - সে কাজ করবে - নিজের সময়টা নিজের মত করে ব্যয় করবে।
১১| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: প্রথমে মানুষ। তারপরে নারী পুরুষ। পুরুষের স্বাধীনতা যা থাকবে নারীরও তাই থাকবে। এমনটাই সুস্থ সমাজে কাম্য।
এবার যৌন স্বাধীনতার ব্যাপারটা আসি। নিজেকে প্রশ্ন করে জানার চেষ্টা করি প্রশ্নটার উত্তর।
ধরুন আমি বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রীর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে -সে পড়াশুনা করবে, নাকি চাকুরী করবে, নাকি ঘরে থাকবে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। হ্যা আমরা দু'জনে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, যেহেতু ইমপ্যাক্ট দুজনকে নিয়ে তৈরী এ সংসারেই পড়বে।
কিন্তু সেই স্ত্রীর স্বাধীনতা মানে যদি বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে কোন সহকমর্ীর বা পাশের বাসার পুরুষ বন্ধুর সয্যাসঙ্গী হওয়ার মতো বিষয়ে গড়ায় সেটাকে তো ভাই স্বাধীনতার বরখেলাপই বলবো।
সেই তথাকথিত অবাধ যৌনাচারের মাধ্যমে সে আমার এবং তার মধ্যে যে বিশ্বাসের অসীম স্বাধীনতাটি ছিলো তা কাচের দেওয়ালের মতো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিলো। এটাকে স্বাধীনতা বলতে আমার দ্্বিধা আছে।
afterall are we all only flesh and bones?
যৌনতা দিয়ে তাই স্বাধীনতা ডিফাইন করার মানে কি?
১২| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: নারী স্বাধীনতার সাথে অবাধ যৌনতা কেন আসবে বুঝি না। পুরুষেরও অবাধ যৌনতার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ না (আইডিয়ালি), তাহলে নারীর কেন থাকবে? আর নারীর অবাধ যৌনতার পথ বন্ধ করতে সমাজ এত চোটপাট করে, পুরুষেরটা কেন করবে না?
নারী স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি নারীকে 'স্পেইস' দেয়া, যেটা সমাজ দিচ্ছে না, একজন 'মানুষ' হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ করে দেয়া। সমাজে নারীও যে 'প্রয়োজনীয়' সেটা স্বীকার করে নেয়া।
১৩| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: কৌশিকদা,
এই প্রবনতাটা আমার ভয়ংকর মনে হয়, এই যে নারীর সময় আসলে 'কাজ করা তার অধিকার'। আসলে, সমাজের অর্ধেকই যে নারী, আর নারীকে ঘরে বেঁধে রাখলে যে সমাজের ক্ষতি হবে, 'আওয়ার সোসাইটি রিয়েলি ইজ মিসিং আউট অন সামথিং!'... এই জিনিসটা মানুষ কেন যে বুঝতে চায় না! এটা নারীকে স্বাধীনতা দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ।
১৪| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: কোন সমাজেই এটা গ্রহণযোগ্য নয় যে মিউচুয়াল এগ্রিমেন্টের পরে ছেলে বা মেয়ে অন্য কারো সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করলে অন্যজন জিনিসটাকে এক্সেপ্ট করবে। একমাত্র বিকৃত রুচীর চর্চা ছাড়া এটা এখনও সকল সমাজেই ঘৃনিত। অবাধ যৌনাচার সেজন্যই একধরণের বিকৃতি।
এর সোসাইটাল ইমপ্যাক্ট তো আরো জঘন্য। সামাজিক কাঠামোও এমন ধারাকে গ্রহণ উপযোগী নয়। আর কোনকালে হবেও না।
১৫| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: আমার শেষ লাইনটা পড়ে আমিই হেসে ফেললাম: 'নারীকে স্বাধীনতা দেয়ার' বললাম... আমাদের স্বাধীনতা দিবে পুরুষরা! হাহ!
১৬| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: আসলে স্বাধীনতার সিমানা কোথায়?
১৭| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: ঠিক বলেছেন আবার ঠিক বলেননি। আমি কিন্তু সমঅধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এবং আমি পুরুষ। তবে সব পুরুষ চাইবে না পুরুষতন্ত্রঅবসানের রিক্স নিতে চাইবে না।
১৮| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: স্বাধীনতার সংজ্ঞাই এখনও নির্ণয় হইলো না-
সাদিকের মতে মানুষের অধিকার লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিষ্ঠা হওয়াটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। নারী স্বাধীনতা শব্দটার মধ্যেই এই উত্তরটা লুকানো যে এখনও নারীকে পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে স্ব ীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।
১৯| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: রাসেল মিয়া হক কথা কইছেন।
২০| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
হযবরল বলেছেন: যাইগা ঘুমাই সকাল হইল। সুরুয উঠলে ঘুমাইতে লজ্জা লাগবে ।
২১| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: নারী স্বাধীনতাকে যারা অবাধ যৌনতা ভাবছেন তাদের আসলে পরিস্থিতি সম্পর্কে কোন ধারনা নেই । জার্মানীতে রাত বারোটার পর টিভিতে এডালট প্রগ্রাম শুরু হয় । মজার বিষয় হলো যে প্রগ্রামগুলো কিন্তু পুরুষদের মনোরনজনের জন্য । মহিলারা এখানে শুধুই পুরুষদের ভোগের সামগ্রী উলেটাটা নয় । আমার অবাক লাগে পশিচমের স্বাধীন নারীরা এর কোন প্রতিবাদ করেনা । এর থেকে আমাদের তসলিমা নাসরীন পুরুষ ডমিন্যানসকে বীরত্বের সাথে ট্যকল করেছেন ।
নারী স্বাধীনতার ব্যপারটি আরও ব্যপক । শুধু যৌনতা দিয়ে একে কলুষিত করার চেষ্টা পুরুষের ডমিন্যান্ট দৃষ্টিভঙির একটি উদাহরন ।
২২| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: মুদ্রার অপর পিঠ দেখানোর জন্য শুকরিয়া রেজওয়ান ভাই।
২৩| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: নারী স্বাধীনতার সাথে অবাধ যৌনতার কোনো সম্পর্ক নাই এইটা একটু ভাবলেই বোঝা যায়, কিন্তু নারী স্বাধীনতা বিষয়টা নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, মানসিক স্বাধীনতা এবং চেতনায় নারীর পূর্নাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠার ধারনাগুলো মিলেই সম্পূর্ন হবে।
ভোগের সামগ্রি হিসেবে দেখাটা যেখানে সত্য সেখানে নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা কোথায়। মানুষ মানুষের সাথে শ্রদ্ধা সহকারে ভাব বিনিময় করে, কিন্তু ভোগ শব্দটার মধ্যে কোনো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নেই।
২৪| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
মদন বলেছেন: আসলে নারী স্বাধিনতা কি?
নারীদের যা ইচ্ছে তাই করা?
পুরুষেরা যা করে তাই করা?
যা ইচ্ছা তাই করা স্বাধিনতা হতে পারেনা। বরং একটি নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে থেকে স্বাধিনতা ভোগ করা। যেমন একটি স্বাধিন দেশের লোক তার সীমারেখায় চলাফেরা করে।
আর পুরুষরা যা করে তা যদি নারীরা করতে চায় তাহলে তাদের পুরুষ হতে হবে। কেই যদি তার মায়ের দুদু খেতে চায় তাহলে তাকে নাবালক শিশু হতে হবে। কেউ যদি দাদুভাই হতে চায় তাহলে তাকে সেই পর্যায়ে যেতে হবে।
নারী এবং পুরুষ প্রত্যেকেরই একটি সীমারেখা আছে যা অতিক্রম করলে কারো জণ্যেই মঙ্গল হতে পারেনা। পুরুষের স্বাধিনতা মানে আরেক মেয়ের সঙ্গে ফস্টিনস্টি করা নয়। আর নারীর স্বাধিনতা মানেও স্বল্পবসনা হয়ে রাস্তায় বের হওয়া বা অফিস কলিগের বিছানায় যাওয়া নয়। স্ত্রী কাজ না করে সারাদিন বাসায় থাকবে এমন কথা নয় বরং প্রয়োজনে উভয়েই কাজ করবে।
একজন নারী ও একজন পুরুষ শারিরীক ও মানসিকভাবে কখনই একই সমান নয়। তাদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আমার কথা নয় ্ এটা মেডিকেল সায়েন্সএর কথা।
আসলে নারী স্বাধিনতা বলতে কে কি বোঝে তা আমার কাছে বিষয়টা স্বচ্ছ না। তবে আমি মার্কেটিং এর লোক হিসেবে যতটুকু জেনেছি তার সামান্য কিছু এখানে তুলে ধরছি।
পন্য বিক্রির খাতিরে তিলকে তাল করা খুবই স্বাভাবিক জিনিস। ইথিকাল জিনিস শিখানো হয় বইতে লেখা আছে তাই। বাস্তবতা অণ্যরকম।
একজন নারী তার শিা, ব্যবহার, মেধা সবকিছুর উর্দ্ধে রয়েছে তার গায়ের রং। রং ফর্সা তো সে সবজায়গাতে ফিট। এমনটাই দেখানো হয় ফেয়ার এন্ড লাভলীতে।
পরপর দুই/তিনবার ভারতে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হবার কারন ইন্ডিয়াতে বহুজাতিক কোম্পানির পন্যের প্রসার।
বিভিন্ন ডে (মা দিবস, বাবা দিবস, ভালবাসা দিবস) প্রভৃতি আমদানী করা হয়েছে মুলত ব্যবসায়ীক দৃষ্টিকোন থেকে। হলমার্ক, অর্চিজ সহ বিভিন্ন গিফটবিক্রেতাদের উর্বর মস্তকের ফসল। সামনে আরো দিবস আসবে।
নারী স্বাধিনতা কে দিবে? যদি হয় পুরুষ। তাহলে পুরুষের সুবিধা অনুযায়ী দিবে। আর যদি নারী নিজেই তার স্বাধিনতা দিতে চায় তাহলে তা অর্জন করে নিতে হবে। কেউ কারো স্বাধিনা র্যাপিংপেপারে মুড়িয়ে উপহার দেয়না। এটা অর্জনের ব্যপার।
নারী স্বাধিনতা মুলত পুজিবাদীসমাজের এমন একটি মুলা যা নারীদের সামনে ঝুলানো আছে। স্বাধিনতার নামে তাদের ঘর থেকে বের করে এনে দশজনের খোরাকে পরিনত করছে। বিজ্ঞাপনে তাদের ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে পারছে। একটি গাড়ীর মডেলেও অর্ধনগ্ন নারীর প্রয়োজনীয়তা কোথায় তা কি ঐ নারী জানে?
পরিশেষে নারীদেরই ঠিক করতে হবে স্বাধিনতা বলতে তারা কি বুঝে বা কি করতে চায়। আর যাই বুঝুক স্বাধিনতা মানে যদি হয় পুরুষের থেকে আদায় করা তাহলে পুজিবাদীরা তাদের পন্য ছাড়া আর কিছুই করবে না। আর যদি পারে নিজেরাই তাদের স্বাধিনতা আদায় করে নিক। এটাই হবে সবচেয়ে ভাল।
কিন্তু..
সবার আগে জানা প্রয়োজন নারী স্বাধিনতা বলতে আসলে কি বুঝায়???
২৫| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: এইটা জানার জন্যই এত আয়োজন- কিন্তু দেখা যাচ্ছে নারী স্বাধীনতা নিয়ে পুরুষদেরই বেশী আগ্রহ, এইখানের নারী ব্লগারেরা কেউ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাইলো না। তারা স্বাধীনতা বলতে ঠিক কি বুঝে এইটাই তো বোঝা দরকার তাদেরও।
২৬| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
মদন বলেছেন: আমিও নারীরা যে স্বাধিনতা চায় তা শুনিনি।
ভাইরে, এইটা ব্যবসায়িক দৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই নয়। নারীদের পন্য করলে বা পন্যের সাপোর্টে ব্যবহার করলে কাটতি বাড়ে।
২৭| ১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ১১:০৬
অতিথি বলেছেন: নারীরাও মানুষের স্ব ীকৃতি চায়, ভোগ্যপন্য, কিংবা পুরুষাধীন না থেকে অন্য সবার মতো মানুষ হিসেবে স্ব ীকৃতি চাওয়াটা দোষের কিছু না।
২৮| ১৭ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১২:০৬
অতিথি বলেছেন: এইটা আমারও কথা। ওয়াজেও দেখি ইসলামে নারীর অধিকার কত্ত কত্ত ওইটা নিয়ে পুরুষরা গলা ফাটায় ফেলে। ব্যপারটা আইরনিক্যাল।
নারী স্বাধীনতার আন্দোলন পাশ্চাত্যে শুরু হয়েছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন সামাজিক পরিস্থিতিতে পুরুষদের অভাব মেটাতে নারীকে অনেক পুরুষালী কাজ করতে হয়েছে। তখন থেকেই নারী অধিকার পাওয়া মানে পুরুষের 'মত' হওয়া বুঝানো হত। আবার পুরুষের সংখ্যা মারাত্মক কমে যাওয়ায় পুরুষ সংগী মেলাতে এমন ভাবে নারীকে নিজেকে উপস্থাপন করেছে যার ফলাফল স্বরূপ নারী উৎকট ভাবে ভোগপণ্য হয়ে গেছে। 'সম অধিকার' বাক্যাংশটা অনেক শুনি, কিন্তু আসলে নারীপুরুষের ক্ষেত্রে বাক্যাংশটার উপযোগিতা কম। মানুষ হিসেবে 'মর্যাদা' সমান, হ্যা, এইটুকু বুঝতে হবে। সুশিক্ষার মাধ্যমে হতে পারে অমনটা।
রাসেল, আপনার ব্লগ দেখে ব্লগের অন্য নারীরা আসছে না
সত্য কথা বলিলাম।
২৯| ১৭ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১২:০৬
অতিথি বলেছেন: আমি নারিবিদ্্বেষী এমন অপবাদ কেউ আমাকে দেয় নাই। যাই হোক আমার নিজেরও ধারনা ছিলো খুব বেশি মানুষ আসবে না, কিন্তু নারী স্বাধীনতা নিয়ে গোলমালের সময় অনেকেই বক্তব্য রেখেছিলো, তাদের মন্তব্য আশা করছিলাম।
৩০| ১৭ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১২:০৬
অতিথি বলেছেন: আপনি নারী বিদ্্বেষী না, কিন্তু বেশির ভাগেরই হজম ক্ষমতা আমার মতই দুর্বল। সরষের ঝাঁঝ আর পঁচা আদার ঝাঁঝের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, দু'টোতেই চোখে জল আসে!
৩১| ১৭ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১২:০৬
অতিথি বলেছেন: আসলে পুরুষ হিসাবে পুরষীয় ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে নারীদের প্রকৃত স্বাধীনতার কথা বলা খুব সহজ নয়। আবার দীর্ঘদিন পুরষাধীন থাকার পর এবং পুরুষ কর্তৃক প্রনীত ধ্যান ধারনা Exercise করার কারনে অধিকাংশ নারীরাও নিজেদের স্বাধীনতার সরূপ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়। তাই আমার মনে হয় Biological পার্থক্যের কথা মনে রেখে সচেতন, শিক্ষিত আর মুক্তবুদ্ধির নারীরাই তাদের প্রকৃত স্বাধীনতার যুগ উপযোগী ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
৩২| ১৭ ই জুন, ২০০৬ দুপুর ১:০৬
:) বলেছেন: রাসেলের প্রশ্ন ছিলো "নারী স্বাধীনতাকে আপনি কী হিসাবে দেখেন এবং এর ভবিষ্যত কী?"
আমার মতামত: 'স্বাধীনতা' যৌনঅংগের সাথে সম্পর্ক র্হীন একটা বিষয় হওয়াই যুক্তিযুক্ত। লিংগীয় বৈষম্য (সঠিক বানান টাইপ করতে পারছিনা) দূর হবে ধীর গতিতে। আমি আশাবাদী। প্রতিপক্ষ সবসময়ই থাকে। এখন যেমন আছে পূঁজিবাদের প্রভাব / অভ্যস্ত পূরুষতান্ত্রিকতা /মৌলবাদী রক্ষনশীলতা।
৩৩| ১৭ ই জুন, ২০০৬ রাত ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: নারী স্বাধীনতা কে অবাধ যৌণতার সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। এরও আগে নারী পুরুষের অসমতার বিষয়টিকে নিবিড় ও সূভাবে বিশ্লেষণ করা আবশ্যক। 1ম ধারার নারীবাদীরা যেমন মেরী ওলেস্টান ক্রাফ্ট , জন স্টুয়ার্ট মিল এরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নারীর সম অধিকারের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তারা আইনগতভাবে নারীর অধিকার স্বীকৃতিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু এই উদারনৈতিকতাবাদীদের যে সমালোচনা পরবর্তী কালের নারীবাদীদের করেন তা হল আইনগত স্বীকৃতি, ভোটের অধিকার বা সমান মজুরি পিতৃতন্ত্রের অনেক বিষয়কে আড়াল করে রাখে। যেমন পিতৃতন্ত্রের চর্চার মধ্য দিয়ে নারী আদতে তার অধিকার কতটা পায়। পিতৃতন্ত্র কেবলমাত্র আইন বা অধিকারের মধ্য দিয়ে খারিজ হয়ে যায়না। তখন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে তা হল নারীর কি একজন পুরুষ হয়ে ওঠার ল্যই নারীবাদীরা আকাঙ্খিত? যেমন পুরুষের মত করে সিগারেট খাওয়া, অবাধ যৌণাচারের সুযোগ পাওয়া ইত্যাদি? অনেক নারীবাদী বিশেষত 60 ও 70 এর দশকে এসে মনে করতে শুরু করেন যে পুরুষের সাথে যৌণ সম্পর্কিত হওয়ার মাধ্যমেও নারীরা অধস্তন হচ্ছে। মিশেল ব্যারেট ও জুলিয়েট মিশেল দাবী করেন যে নারীর পুরুষের সাথে নয় নারীর সাথেই সমর্্পকিত হতে হবে। এর একটি চমৎকার উদাহরণ হল দ্যা আওয়ার্স এ মেরীলি স্ট্রিপের চরিত্র। কিন্তু এরপর কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদীরা ধারার প্রশ্ন তোলেন যে নারীবাদ কি কেবলই কি শ্বেতাঙ্গ নারীদের অধিকারের কথা বলবে? তারা দেখান যে একটি পশ্চিমা সমাজে বা এর বাইরে পূঁজিবাদ কিভাবে বর্ণবাদী পুঁিজবাদে রূপান্তরিত হয়েছে এবং যে অংশটিকে লোকেট করতে র্যাডিক্যাল নারীবাদীরা ব্যার্থ হয়েছেন।
সমঅধিকার, স্বাধীনতা এবং নারীবাদ সেভাবে অনেক বেশি বিস্তৃত বিষয়। পশ্চিম নারী অধিকার অধিকতর সংরণ করে তা আবশ্যক নয়। আবার কনটেঙ্ট ও চর্চার বিষয়ও এেেত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সাধারণ প্রগতিশীল ধারায় হিজাব একদিকে যেমন ধর্মীয় মৌলবাদের পরিচায়ক তেমনি আত্মপরিচয় প্রকাশেরও একটি মাধ্যম হতে পারে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে সমঅধিকারের প্রশ্নে নারীর অবস্থান চর্চাগত েেত্র কিভাবে ক্রিয়াশীল।
৩৪| ১৭ ই জুন, ২০০৬ রাত ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: রাসেল একটি বাক্যে আপনার বিষয়টি এভাবে বলা যায়,
তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ, ভক্তি দেবো কেনো তোমার পায়... এ বাক্যটি যেমন নারী স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনই প্রযোজ্য যে সব তথাকথিত মহামানব পাপের ভয় দেখিয়ে একজন আল্ললাহর জন্ম দিয়েছেন মানে ধর্ম এনেছেন তাদের ক্ষেত্রেও... দু'টোই সমান, যতোদিন পৃথিবীতে ধর্ম থাকবে ততোদিন নারীর স্বাধীনতা পদে পদে খর্ব হতে থাকবে.....আসলে পুরুষ নয়, নারীর প্রধান শত্রু ধর্ম, কারণ এই একটি মাত্র অস্ত্র দিয়েই পারে পুরুষ নারীকে শেকলে বেঁধে রাখতে, কি উন্নত কি অনুন্নত, প্রতিটি দেশেই নারীকে এই শেকলে বেঁধে রাখা হয়। আমি তাই নিজেকে যেমন বলি, তেমনই আর সব নারীকেও বলি, ওহে নারী তোর পায়ের শিকল আগে বিকল কর, তারপর রাস্তায় নেমে পড়, গন্তব্য জানার দরকার নেই, এই গন্তব্য না জানাটাই স্বাধীনতা....এক্ষেত্রে আমার জরায়ু, আমার শরীর, আমার সত্ত্বা, আমি যাকে ইচ্ছে তাকে দেবো, যাকে ভালোবাসি তাকে দেবো, সে যদি ভালোবাসার লাল পিঁপড়ে হয়ে কাটে তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেনে হাঁটবো নতুন পথে, নতুন বাসভূমের সন্ধানে.,......মানুষ হিসেবে স্বাধীনতা বলতে এটাই বুঝি, এতে নারী পুরুষ ভেদাভেদ নেই, তাই আপনার প্রশ্নটা বা বিষয়টা একটু বিস্তারিত করে লিখলে ভালো হয়, মানে শুধুই নারী নয়, মানুষের স্বাধীনতা, এই মানুষ এক টুকরো বাড়তি মাংসপিণ্ডওয়ালা হোক কিংবা সেটা ছাড়াই হোক, শুধুই মানুষ বলে কথা।
৩৫| ১৮ ই জুন, ২০০৬ রাত ২:০৬
অতিথি বলেছেন: স্বাধীনতার কোন অন্ত নেই। স্বাধীনতা অসীম। তা ততনই অসীম থাকবে যতন একাকী একটি মানুষ। এটা থিয়োরীতে সম্ভব, বাস্তবে নয়। তারপরও এর অধিকার প্রতিটি মানুষের।
এই অধিকারে রাশ টানতে হয় তখনই, যখন মানুষ একা থাকেনা। তখন কথার স্বাধীনতা, চলার স্বাধীনতা, যৌণ স্বাধীনতা এমনি আরো অনেক স্বাধীনতায় রাশ টানতে হয়। সে রাশ আপনি আপনিই এসে যায়, জোর করে টানতে হয়না। তার একটাই শর্ত, তা হচ্ছে ভালোবাসা। তা মানুষে বন্ধুত্বের ভালোবাসা হতে পারে, বাবা মার প্রতি ভালবাসা হতে পারে, হতে পারে পুরুষ নারীর ভালোবাসা। পুরুষ নারীর ভালোবাসায় যদি সততা থাকে, আত্মার ভেতর থেকে তৈরী হয়, সেখানে অন্য পুরুষ বা নারীর সাথে সেরকম সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই আসবে না। পুরুষ বা নারীর অবাধ যৌনতার প্রশ্নও সেখানে আসে না।
আইন প্রনয়ণ করে, স্বাধীনতার সংজ্ঞা টেনে যে সমাধান আনা হয়, তাতে বিশাল ফাঁক থেকে যায়। আমরা বেশীরভাগ মানুষ এই ফাক থেকে সৃষ্ট ফাকিবাজীতেই আমাদের জীবন চালিয়ে যাচ্ছি। চালিয়ে নাহয় যাচ্ছি, কিন্তু নজরটা উচুতে হলে দোষ কোথায় ?
৩৬| ১৮ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
অতিথি বলেছেন: 'নারী স্বাধীনতা' আবার কি?? ফ্যাদরা পঁ্যাচাল যত!! পারেন তো নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের স্বাধীনতার কথা বলেন!
৩৭| ১৯ শে জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
অতিথি বলেছেন: স্বাধীনতা যে কি এইটার সংজ্ঞা মানুষ কোনদিন পাইবো না! কারণ সমাজ ভেদে স্বাধীনতার রূপও পালটায়! আমাগো শহরে এক বাদির উপর দিয়া আরেক বাড়িতে যাওনটা অনধিকার হস্তক্ষেপ হইবো কিন্তু গ্রামে অনেক ক্ষেত্রে ঐটাই স্বাভাবিক! যাউগ্গা, কিন্তু একটা মন্তব্য আমার কাছে সিগনিফিকেন্ট লাগছে! মহুয়ামঞ্জুরী কইছেন ধর্ম নাকি নারীর প্রধান শত্রু! নারীর প্রধান শত্রু ধমর্, কিন্তু ক্যান? আমি তার কথা বুঝি নাই! ধর্ম কি পুরুষের উপর ভর করছে জ্বীনের মতো? যেই কারনে তারা ঐটারে ব্যবহার করে নারীরে অধীন রাখতে? ভাইরে ইসলাম ধর্মের যেই উদাহরণ দিছেন সেইটা থেইকা স্পষ্টতঃই বুঝন যায় ইসলাম একটা পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম কারণ আরবের সমাজ ঐ টাইমে পুরুষ তান্ত্রিক ছিলো। পুরুষ তার টিকা থাকা বিশ্বাস গুলি নিয়া একটা ধর্মের রূপরেখা তো বানাইছেই। যেই কারণে একারন একটা পুরুষরে উদ্দেশ্য কইরা লিখিত গ্রন্থ! কিন্তু পুরুষতার নিজের প্রয়োজনেই, পুরনুৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রধান নারীরে ঘরে রাখার জন্য ধর্মরে একটা হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।ধর্ম পুরুষেরই সৃষ্ট!
বহুত কইলাম! আমার মনে হয় নারীর স্বাধীনতা মানে পুরুষ নারীর সৌন্দর্যের ,তার দায়িত্ব কর্তব্যের ,তার আব্রুর, তার সম্পর্কের কন্ডিশন ঠিক কইরা দিবো না এমন একটা পরিবেশ। নারী যদি মনে করে
যে সে বহুগামী হইবো আমি একজন পুরুষ হিসাবে তারে না করার কে!? অবাধ যৌনতার সাথে একটা ধারণা চইলাই আসে, যে যৌনতা সীমাবদ্ধ! এইটা কিরম আমি দেখতে পাইতাছি না! পুরুষের ক্ষেত্রে দাসী সম্ভোগের বিধান দেয়া আছে, কিন্তু নারীর তো নাই! পুরুষের বহুগামিতা অনুমোদিত কিন্তু নারীর লেইগা ভিন্ন রীতি!দেখি অন্যরা কি কন! শুনি পুরুষের আত্মম্ভরীতা
৩৮| ১৯ শে জুন, ২০০৬ সকাল ১০:০৬
মদন বলেছেন: এরা কেউ বুঝতে চায়না নারী আর পুরুষতো এক নয় কাজেই নারী আর পুরুষের একই আইন কিভাবে হয়?
৩৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:২২
অতিথি বলেছেন: সবার আলোচনায় তো মনে হয় যে যৌনতা বিষয়টি নারী স্বাধীনতার প্রশ্নে একেবারে গুরুত্বহীন হয়ে গেল। আসলে তাই কি? যৌনতা নারীর অধস্তনতার একটি তাৎপর্যপূর্ন প্রতীক।ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব ও তার স্বার্থে একপরিবার প্রথা-যেখান থেকেই শুরু হয়েছিল ইতিহাসে নারীর পরাজয়ের প্রথম ধাপ। বিষয়টির সবচেয়ে বড় প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছে নারী--পুরুষ যৌন সম্পর্কের ধরণ।
যৌন স্বেচ্ছাচারিতা ধারণা বলে একটা জিনিস হাজির করা হচ্ছে। আসলে কি এরকম কিছু আছে? এক হাজার উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করা যাবে যে মানুষ একগামী নয়। তলে তলে আমরা সবাই তা জানি কিন্তু মানিনা।
যেহেতু আমাদের সমাজের নারীরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন নয় সে কারনে একপরিবার প্রথার আপাতত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নাহলে আমাদের বাবারা কবেই ত্যাগ করতেন মায়েদের।
মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে মুক্ত হয় কখনো, অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে;
একপরিবার প্রথা ও একপুরুষ-এক নারীর যৌন সম্পর্কের ধারণাও ভেঙ্গে পড়বে। ইতিবাচক অর্থেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০০৬ সকাল ৯:০৬
হযবরল বলেছেন: আমি বলি প্রথমে নারী কে, একজন মানুষের হিসেবে দেখা আসল দরকার , এর পর আসে নারীর প্রশ্ন।