নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ আর মডারেটর, কে কার অলংকার

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

রাসেল ( ........)

অনেক অনেক চেষ্টা হয়েছে ব্লগানোর বাংলা করা নিয়ে, আমার এখন ব্লগের নতুন বাংলা করতে ইচ্ছা করলো তাই দিলাম এর নাম নেটনামচা- আর এই ধারাবাহিক নেটনামচা ধরে রাখা হবে নেটনামায়- সত্য বড় কঠিন, সত্য বড় কঠোর,সত্য শক্তসমর্থ সত্যের হোগামারা খাইলে যাদের মাথা আউলাইয়া যায় তাগোর জন্য বলি আমি মিথ্যার হোগা মারি, মিথ্যা কইয়া হোগা মারা পছন্দ করি না। সুজন সামলে নায়ে উঠো, মাঝবদীতে পড়লে আমার দায় নেই। এটা বড়দের জন্য পদ্য পদ্য খেলার একটা পাতা, যারা সস্তা অশ্লিলতা খুজছেন চলে যান নীলক্ষেতের চিপায়, তেমন সস্তা আদিরস আমি করি না। কিন্তু মাঝে মাঝে কবিতার খাতিরে যৌনবিষয়ক আলাপন চলে আসতে পারে, পরিশেষে ধন্যবাদ মুখফোড় সুমন চৌধুরি কে। আমরা অনেক পদ্য করবো ছাতিম গাছের তলে, আমরা নিত্য শংকর খাবো ব্যোম ভোলানাথ বলে।

রাসেল ( ........) › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেশার গল্প

১৮ ই মে, ২০০৬ রাত ২:০০

নতুন এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই আমার বিকেল তখন কাটে একাডেমি স্কুলের মাঠে, চুটিয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলছি, বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্ধুরা আসে, খেলতে যেতে হবে, মাঝে মাঝে সম্ভব হয় না, যখন সম্ভব হয় তখন সবার অনুরোধই রাখার চেষ্টা করি, অবশেষে একদিন দিনাজপুরে কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলবো না, অবসর নিয়ে নিলাম, ঘটনা হলো আড্ডা দিয়ে ফিরেছি রাত 12টা, এমন সময় অন্য মহল্লার এক মাস্তান এসে দরজায় টোকা দিলো, সাথে মৃদু হুমকি, আমার দলের হয়ে খেলবা না তো খেলবা অন্য দলের হয়ে খেললে খবর আছে,

পরদিন সকাল 7টায় ঘুম ভাঙলো আবার কে যেনো ডাকে, বিরক্ত হয়ে বাইরে গেলাম, বিপক্ষ দলের মাস্তান অধিনায়ক এসে হাজির।

আমার দলে হয়ে খেলবা, অন্য দলের হয়ে খেললে খবর আছে,

আমি নির্বিবাদি মানুষ, কারো সাতে পাঁচে নাই, খেলার আনন্দে খেলি, আমাকে নিয়ে এমন হানাহানি অবস্থা আমার পছন্দ হওয়ার কথা না, কোনো মতে নাস্তা গিলে বন্ধু মহলে ঘোষনা দিলাম কোনো টুর্নামেন্টে আমি নাই, আমাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করবা মামারা ঝামেলা হইতাছে।

কিন্তু কনকের অনুরোধ রাখতেই হইলো, ওকে কথা দিছিলাম ওর দলের হয়ে সব খেলা খেলবো, সুতরাং আমার পরবর্তি সবগুলো টুর্নামেন্ট খেলা হইছে তার দলের হয়ে, মানুষের নেশা চাপে, এক জন ছিলো রুস্তম ভাই, সিনেমাহলের টিকেট চেকার হয়তো, তার নেশা ছিলো টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ান ট্রফি সংগ্রহ করার। তার একটাই কথা

মামারা যত টাকা লাগে বলবা, আমার শুধু চ্যাম্পিয়ানশিপ চাই, তার বাঁধা খেলোয়ার ছিলো কিছু, আমাকেও খেলতে হয়েছে, গর্ব করলেই গর্ব করা যায়, আমি বোধ হয় একটা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হতে পারি নাই, বাকি সবগুলাতেই আমরা চ্যাম্পিয়ান ছিলাম, রুস্তম ভাইয়ের বিপক্ষে হয়ে গেলো কনক, এর পর রুস্তম ভাইয়ের বাঁধা খেলোয়ারেরা অনেকেই কনকের হয়ে খেলতো, এবং এসব খেলার শেষে পারিশ্রমিক ছিলো ফেন্সিডিল উইথ ফিলিংস, ডাইলের পয়সা চা সিগারেট খরচ সব কনকের , তোমরা খেলবা খেলা শেষ কইরা ডাইল খায়া ফিলিংস নিবা তারপর বাসায় যাইবা গিয়া- তোদের ঘুম পেয়েছে বাড়ী যা, শিলাজিতের এই গান তখন আমাদের ভিতরে হিট গান।

পরবর্তিতে আমি ঢাকায় চলে আসায় তেমন করে টুর্নামেন্ট খেলতে হয় নি, তবে মাঝে মাঝে চ্যারিটি ম্যাচ খেলেছি বন্ধুদের সাথে, এক বার বড় ভাইদের সাথে বাজি ধরে টানা 3 খেলায় জিতেছিলাম, সেই টাকায় দুপুরে তৃপ্তির ভোজন সেরে আমরা যখন ডিরছি, এক বড় ভাই আড়ালে ডেকে ডাইলের পয়সা নিয়ে গেলো। মজার দিন ছিলো সব, আমরা সবাই সন্ধ্যা হলেই যেতাম কাঞ্চন ব্রিজ কিংবা চাউলিয়া পট্টি, কিংবা পুলহাট, তার পর নেশাকাতর সন্ধ্যা, রাতে 12টায় ফিরে ঘুম, মাঝে মাঝে পুর্নিমা রাতে হুলুস্থুল নেশা করে হেড়ে গলায় গান গাইতে গাইতে ফেরা, টহল পুলিশের কাছে জবাবদিহি করা, সদ্য জাগা চরে যতটা বড় করে প্রেমিকার নাম লেখা যায় লিখে রেখে আসা, মনোহর দিন।

আড্ডার ঠেকে ঠেকে খরব আসতো, আমাকে খুজছে লোকজন, গুলশানের সামনের চায়ের দোকান, ইনস্টিটিউটের সামনে করিমের দোকান, লিলিমোড়, হয়ে নিউ হোটেলে বসে শেষ হতো আড্ডা, বা উলটো পথে, নিউ হোটেল, লিলিমোড়, করিমের চায়ের দোকান, গুলশানের সামনে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধাঁচের মানুষ, নিউ হোটেলের আড্ডাটা ছিলো একটু ভাবের, ওখানের চা স্পিশাল চা, দিানজপুরের সব খানেই তখন 1টাকা কাপ চা, শুধু স্পিশাল চা 2 টাকা, আমরা দিনাজপুরের আদি বাসিন্দা, আর আদি বাসিন্দা হওয়ার একটা সুবিধা হলো পারিবারিক ভাবে সবার সাথে পরিচয় থাকা, তাই হোটেলের মালিক আমার বংশতালিকা জানে, মনে আছে কোনো এক দিন এক হোটেলে ঢুকে বোতল খুললাম, এক চুমুক দিবো এমন সময় হোটেলের বেয়ারা ডাকলো, রাসেল এই খানে কি কর, বাইরে যাও।

আমাকে ছোট থেকে বড় হতে দেখেছে, কিংবা আমার চেহারায় যেই সর্বকালিন বিপন্নতার ছবি আঁকা তার সুবাদেই হয়তো সকলেই আমাকে তুই করে বলে ফেলতে পারে, আমি তাকে দেখা মাত্রই বোতল অন্যের জিম্মায় দিয়ে ভদ্্র ছেলের মতো চুপচাপ টেবিলে গিয়ে বসলাম, পরদিন সকালে সেই বেয়ারা ডাকলো আবার,

বললো, রাসেল তুমি বড় হয়েছো তোমাকে বলা ঠিক না, কিন্তু তোমার পরিবারকে আমি চিনি, এই সব ছেলের সাথে মিশা তোমার ঠিক হচ্ছে না, যদি এর পর তোমাকে দেখি তাহলে তোমার বাসায় খবর দিবো...... আমার কখনই তেমন স্বাধীনতা ছিলো না, যথেচ্ছা জীবন কাটিয়েছি, নেশা করেছি, মাঝ রাতে রাস্তায় উলটে পড়ে গায়ের-পায়ের নুন ছাল উঠিয়েছি, এবং এসব খবরই কিভাবে কিভাবে লোক মারফত বাসায় পৌছে যেতো।



অতএব গোয়েন্দার চোখের নীচেই বসবাস আমার, যখন মোড়ের আড্ডায় সিগারেট জ্বালাচ্ছি তখনও সে খবর পৌছে যাচ্ছে বাসায়, কেউ কিছু বলে নি কখনও, বাসা থেকে একবারই মাত্র অভিযোগ করেছিলো, এক রাতে ভরপুর টাল হয়ে ঘরে ফিরে উলটে পড়লাম খাবার টেবিলে, এর পর সারা রাত উথালপাথাল বমি, মাঝ রাতে বালটি টেনে ঘরদোর পরিস্কার, এবং ভোর বেলা যথা রীতি হ্যাং ওভারের বিশ্রি তেতো স্বাদ নিয়ে সকাল। নাস্তার টেবিলে বাবার সাথে বসা।

সামান্য সংলাপ। কালকে রাতে কি খেয়েছিলে? উত্তর দিলাম, সত্যবাদী যুধিষ্ঠির,

কারন কি? বললাম পরীক্ষা শেষ কিছুই করার নাই, একটু জীবন পান করতেছি,

প্রজ্ঞাপন জারি হলো, সিগারেট খাওয়া যাবে কিন্তু মাথা টাল করা নেশা বাদ দিতে হবে, কারন তার একটু পরেই বড় মামা হাজির হয়েছে, বাবা আমার স্যান্ডেল পড়ে চলে আসছিস তুই,

তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এবং অদ্যাবধি আর নেশা করা হলো না আমার,

একটা গল্প বলি, নেশার গল্প, আমার স্কুল জীবনের বন্ধু, সম্ভবত 4র্থ শ্রেনীতে ভর্তি হলো, শান্তনু নাম, ভালো নাম তানভীর, লিলি মোড়ে থাকে, এক সাথে স্কুল বদল, পরবর্তিতে একই কলেজে , এবং তখন থেকেই ওদের বাসায় যাই, ওর মা আমাকে নিজের ছেলের মতোই পছন্দ করতো, শান্তনু বোধ হয় এস এস সি দেওয়ার পর পর প্রেমে ধরা খেলো, রাম ধরা হয়তো, কল্লোল, সেও এক মেয়েকে পছন্দ করতো, একই সময়ে সেও ধরা খেলো, এবং মিথুন, সবাই প্রেমে ধরা খেলো একই বয়েসে, কল্লোল ভালো ছবি আঁকে, এখনও আঁকে , সে সময় বাংলাদেশে ব্যান্ডক্রেজ চলছে, মিথুন, কল্লোল, রূপম এবং আরও কয়েক জন একটা ব্যান্ড তৈরি করে ফেললো, এবং প্রেমের কষ্ট ভুলে থাকার জন্য নেশা, গাঁজা, ডাইল, ট্যাবলেট, হ্যান ত্যান চলতোই, যাই হোক শান্তনু বিভিন্ন ছুতায় বাসা থেকে টাকা নেয়, নেশার খরচ জোগায়, শান্তনুর মা ধারনায় করে না তার ছেলে মিথ্যা বলতে পারে, আমিও কখনই তেমন করে ঝামেলায় যেতে চাই নি, এক দিন রাতে, আমার জন্ম দিনে তাকে আসতে বললাম, সে আসলো বিকালে, কিছুক্ষণ বসে চলে গেলো পরে আসবে বলে, এবং ফিরলো যখন তখন রাত 12টা, বাইরে কাল বৈশাখী শুরু হয়েছে,আমাকে এসে অনুরোধ করলো ওর বাসায় পৌছে দেওয়ার জন্য, যাই হোক ওর মাকে বললাম আমার সাথে ছিলো, একটু দেরি হয়েছে, কয়েক দিন পরে ওর ছোটো বোনের এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যাথ্যা। ঈদের পর দিন, আমি গিয়ে এই ঝামেলা দেখে কোনো কথা না বাড়িয়ে সোজা হাসপাতাল নিয়ে গেলাম, শান্তনুর পাত্তা নাই, হাসপাতালে সীট নেই,বেশ কিছুক্ষন লৌড়ালৌড়ি করে অবশেষে একটা সীট ম্যানেজ হলো, ওখানে ওর মাকে রেখে আমি শান্তনুকে খুঁজতে বের হলাম, এবং যথারীতি নেশার আখড়ায় পেলাম তাকে, নিয়ে আসলাম সাথে করে, বিশদ ঘটনা বললাম, বললাম ওর দায়িত্ব আজকে এখানে থাকা এবং যা যা করা লাগবে তা করা, ও বাসার একমাত্র ছেলে এবং ওর বাবা যেহেতু ঢাকায় সুতরাং তার কর্তব্য হলো এই সময়টাতে এখানে ঝামেলা সামলানো।

শান্তনু সুন্দর চেহারা তার, আরও সুন্দর হাসি দিয়ে ভাব দেখালো সে বুঝেছে সব কিছু, এর পর বললো, দেখ দোস্তো তুই তো জানিষ নেশা করে আমার রক্ত বিষ হয়ে গেছে, যদি রক্ত লাগে তুই দিস, বললাম দিবো সমস্যা নাই, এর পর বললো, দোস্ত ফিলিংসটা হয় নাই ঠিক মতো একটু চা সিগারেট খাওয়া, এবং এর কিছু ক্ষন পর আমাকে রেখে বান্দা কিছু ক্ষণের জন্য উধাও, আমি 11টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে বাসায় গেলাম, বাসায় গিয়ে বললাম হয়তো রাতে বাইরে থাকতে হবে, ফিরবো না, বলে হাসপাতাল, সেখানে সব কিছু ঠিক করে, রাত 3টায় অন্য এক বন্ধু বাসায় গিয়ে ঘুম।

এর মধ্যে মা এসে বললো একদিন কি রে ঘড়িটা পাই না কেনো? কোথায় রাখছিস ঘড়ি, আমি বললাম তুমি রাখছো, আমাকে বলো কেনো, আিগ কি ভাবে জানবো, এবং পরে দেখলাম আমার ঘড়ি এবং প্রিয় কয়েকটা ক্যাসেট উধাও, বুঝলাম শান্তনুর কাজ, কিন্তু ওকে কিছুবলো এমন রূচি হলো না।

পরবর্তি ঘটনা মজার, শান্তনু হিরোইন নেওয়া শুরু করলো, আমার এক বন্ধু গিয়ে ওর মা কে বললো খালাম্মা একটু ছেলেটাকে দেখে রাখবেন, ওর মা সেই বন্ধুকে পারলে ঝাড়ু হাতে তাড়া করে, নষ্ট ছেলে শান্তনুর নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়, আমাকে বলছিলো এই কথা আমি উলটা ওরে ঝাড়ি দিলাম, ওরে কোন পাগলে পোন্দাইছে যে ও শান্তনুর মায়ের কাছে গেছে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে, ওর মায়ের কাছে শান্তনু পূত পবিত্র দেবদুত।

পরবর্তিতে এক দিন দুপুরে খাওয়ার সময় আমাকে বললো রাসেল তুমি ডাইল খাও, আমি বললাম হ্যা খাই তো, একটু পরে নিবো তরকারির সাথে ডাইল নেই না আমি।

বললো না এই ডাইল সেই ডাইল না নেশা। কিছুক্ষন চুপ ছিলাম বললাম মাঝে মাঝে খাই।

শান্তনু খায়?

আমি কুটনৈতিক উত্তর দিলাম,, আপনার ছেলেকে প্রশ্ন করেন, আমি সত্যি বলে বন্ধুর বিরাগ ভাজন হই কেনো, আপনার চেলে যা বলবে তাই সত্য, ওর সত্য বলার সাহস থাকলে ও আপনাকে বলবে। এবং নেশাখোড় অপবাদ নিয়ে ফিরে আসলাম, এবং সাথে চোর অপবাদ কারন, শান্তনু আমার ঘড়ি বন্ধক রেখে নেশা করেছিলো এবং ওর ঘড়িটা ছিলো আমার কাছে, ও ঘড়ি ফেরত চাইছিলো, আমিও আমার ঘড়ি চেয়েছিলাম, সেই দিন ওর বাসায় ওর ঘড়ি ফেরত দিয়ে আসলাম, মানুষের বিশ্বাস বড় অদ্ভুত।



পরবর্তিতে বিভিন্ন ঘটনায় আমাদের দুরবর্তি বন্ধুদের কারো সাথেও ওর যোগাযোগ ছিলো না, সবার কাছেই োর অনেক দেনা ছিলো, অভিজ্ঞ বন্ধুর উক্তি, হোগার কাপড় বেচে নেশা করলে বুঝবি তুই সত্যি সত্যি নেশাখোর হইছস, আমি যখন টাকা থাকে খাই, কিন্তু শান্তনু র মতো হোগার কাপড় বেইচা নেশা করি না। মহান উক্তি শুনে সবাই ছেড়ে গেলেও শান্তনুর মায়ের বিশ্বাস ছেড়ে যায় নি, আমি আর যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাই নি, হয়তো ভালোই আছে, হয়তো নেশা করে মরে গেছে, কার কি আসে যায় , আমার বিন্দু মাত্র কষ্ট হবে না, আসলে ক্ষমা মহৎ গুন হলেও আমি কাউকেই ক্ষমা করতে পারি না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: ছি ছি তুমি গাঁজা খাও! আব্বুর কাছে বলে দেবো....

২| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: হা হা হা হা হা
পিট্টি দিবে এমন কইরা কইতে হয় না।

৩| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: শান্তনুরে একটা মাইর দেই চল...

৪| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আমাগো পাড়ার সার্কেলের এক চোদনা সবাইর বাসায় গিয়া কইয়া দিছে যে আমরা নেশা করি, ও ছাড়ছে- আমাগোরে যেন বাপ-মা চিকিৎসা করায়। তারা দুইজনেই শুইনাই পারলে ফিট। তবে বিশ্বাস করেনি। আমারে জিগাইছে- কথা সত্য? আমি কই না। ও আমাগোরে পচাইতে চায়। সেই চোদনা এখন বাচ্চার বাপ হইছে, নিজেরডি খাইয়া শশুড়ের জমি বেচে। আমরা দুইজনরে হারাইছি (ওভারডোজ একজন, একজন কিলড)। বাকি হার্ডকোর নেশারুরা সবাই সুস্থ্য। যথাক্রমে 7,5,5 ও 4 বছর। সর্বশেষ জন আমি।

৫| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: বেশ মজার কাহিনী। তবে দু:খ হলো শেষ পর্যন্ত শান্তনুর সাথে আপনার যোগাযোগ নেই।
আমি ও আপনার মতো বেশ কিছু বন্ধুর পাল্লায় পড়েছিলাম। আমার রুমে রোজ মিনিমান 6 প্যাকেট সিগারেট পড়তো। 2 প্যাকেট বাংলা ফাইভ, 2 প্যাকেট বেনসন, 2 প্যাকেট গোলডলিফ। সেখানে আমি কোন সিগারেটই খেতাম না। রোজ 10/12 বোতল ডাইল। আর মদের নেশা মাঝে মাঝে। এক বন্ধু পরে হেরোইনে আসক্ত হলো। ঐ শালা ছিল একটা মহা তেদড়- হসপিটালে ভর্তি করলে 2/3 মাসে ঠিক, কিন্তু ফিরে এসেই আবার শুরু। শেষ পর্যন্ত ওর মা ওকে সৌদি পাঠালেন। শালার এমন এক অভ্যাস ছিল, যে কারোর কাছে টাকা চাইতো এবং সবাই দিয়ে ও দিতো।
তবে ধীরে ধীরে সব বন্ধুগুলো ভালো হয়ে গেছে। আমাকে ও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। মাসে শালাদের 12/13 হাজার টাকা ধার দিতে হতো। সবাই ছিল বড়লোক। টাকা সময়মতো ফেরত দিয়ে দিতো। ওদের ফ্যামিলিতে আমার ছিল অবাদ যাতায়াত, তাই সবাই ভয় পেত, যদি বলে দেই।
তবে ডাইলের নেশাটা জোস।

৬| ১৮ ই মে, ২০০৬ বিকাল ৩:০৫

হযবরল বলেছেন: ডাল কাহিনী । আইজকা ডাইল খাইলাম বেশী কইরা টমেটো দিয়া ।

৭| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: ডাইলের নেশা খুবই খারাপ । কাশির ওষুধ খাইয়া ফিলিংস করার কি আছে ? এইটা অবশ্য ডাইলখোর বুঝবে না ।বিচি আরও খারাপ ।আর পাতা তো সরাসরি কিলিং-ড্রাগস । ফিলিংস আসলে একটা জিনিসেই স্মুথ । ছেড়ে দেওয়াও অতি সহজ । দামও কম , মানে ভারতবর্ষে আর কি । আমার নেশাখোর বন্ধুদের মধ্যে যারা এডিক্ট হয়ে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ফিরে এসেছে..আর কয়েকজনের আর উপায় নেই... at the point of no return

৮| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: হ ঠিক কইছো মিয়া, এলোপ্যাথি খারাপ জিনিষ, টিকটিকির ল্যাজ, জামবাক, পেইন কিলার কতসব নেশার উপকরন, মানুষ বড় আজিব জাত।

৯| ২৪ শে মে, ২০০৬ রাত ৮:০৫

শমিত বলেছেন: হুম্ ! বোঝলাম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.