নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলির বালক

সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।

jotejoy

"বিশ্বাসের তাঁতে আজ আবার বুনতে চাই জীবনের দগ্ধ মুসলিন "

jotejoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধকারের মানব মানবীর উপাখ্যান

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫২

আজ আমি আমার জীবনের পাতায় ঘটে যাওয়া একটা কাহিনি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আপনাদের যদি ভাল লাগে তাহলে ভাল। আর যদি কারো খারাপ লাগে তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন।

২০০৯-২০১১ এই সময়টা ছিল আমার জীবনের কালো অধ্যায়। মদ,গাজাঁ,ফেন্সিডিল,ইয়াবা এসব মাদক তখন আমার নিত্যদিনের সঙ্গী।বাজি,জুয়া,রাজনীতি,কোচিং,ব্যাবসা,ঘুরাঘুরি এসব নিয়েই তখন আমার জীবন।আর পড়াশুনা ছিল আমাদের কাছে চতুথ বিষয়।যাই হোক যে মানুষটির উছিলায় আবার সঠিক পথে ফিরতে পেরেছি তার চরনে আমার শতকোটি প্রনাম।

ঘটনাটার শুরু ২০১১ সালের প্রথম দিকে।শীত তখনো পুরাপুরি যায়নি।আমাদের 2nd prof এর রিটেন পরীক্ষা চলছে।আমরাতো ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল ছাএ। তাই রিটেনে পড়াশুনার কোন বালাইই নেই।ব্লুটুথ হেডফোন ই ভরসা।কিন্তু ভাইভা আর প্রাক্টিকেলে পড়েই পাশ করতে হতো। আমাদের তখন রেগুলার আড্ডা ছিল পদ্মার ধার।



মেয়েটার নাম জেরিন।নুসরাত জাহান জেরিন।বয়স প্রায় ২৬-২৭। শরীরের গাথুঁনি একটু শিথিল হলেও ফিগারটা অদ্ভুত। যে ধরনের ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসকে নারীদেহের আদর্শ ধরা হয়, সেই বিচারে জেরিন এখনো পারফেক্ট। প্রতিটি স্পর্শে তার শরীর কবিতার মত গুঞ্জরিত হয়। ।সুঠাম দেহের অধিকারী ফরসা চেহারার লম্বা স্বাস্থ্যবতী যুবতী।সদা হাসি খুশি আর মায়াবী মুখশ্রী তার বয়সটা আরো অনেকটা কমিয়ে দিয়ে এনেছে কামোদ্দীপক ও সৌন্দর্যময় ভাব।চলনে বলনে এখনো কিশোরী কিশোরী ভাব।পদ্মার ধারে রোজ বিকেলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।কখনও কখনও সাথে দু-চার জন তরুন তরুনীকে দেখা যায়।নদীর ধারে অসংখ্য মানুষের ভীড়ে তাকে আলাদা করে চিনেনা সবাই।যেমন আমিও জানিনা তাকে।আর বিনা কারনে সবাইকে জানাশোনার প্রয়োজনও মনে করিনা আমি।আর একারনেই হয়ত এতদিন জানাশোনা হয়নি তার সঙ্গে।

আমার চিন্তা-চেতনা এমন হলেও আমার বন্ধুরা কিন্তু ভিন্ন।তারা খুব খেয়াল করে সুক্ষ দৃষ্টিতে দেখে থাকে এখানে চলাচল করা প্রতিটি মানুষকে।এপথের কে নয়া আর কে পুরান পথিক সবই তাদের জানা।সঙ্গত কারনেই তারা ইতোমধ্যে চিনে ফেলেছে জেরিনকে।অনেকটা জানাশোনা এবং ভাবও হয়ে গেছে তার সাথে।আর তাইতো তাদের দেখা-সাক্ষাতের মূহুরতে মুখে কোন কথা না হলেও অন্তত চোখের ভাষায় কিছু কুশলাদি বিনিময় হয় তাদের মঝে।অথচ একসাথে থেকেও আমি কনা অন্ধকারে রয়ে গেলাম তার ব্যাপারে।আসলে আমি আমার বন্ধু অপুর মত এত অনুসন্ধিৎসু নই বলেই হয়ত আমার দৃষ্টির আড়ালে রয়ে গেছে সে।একদিন সন্ধ্যায় আমি অপু আর খান ভাই গেলাম কাঠাঁলবাড়ীয়া উদ্দেশ্য লাপ্পি(ফেনসিডিল কে আমরা বন্ধুরা বলতাম লাপ্পি) খাওয়া।যাইহোক ৫টা মাল নিয়ে আমরা তিনজন মেরে দিলাম।এরপর চলে গেলাম রাজশাহী কোটের পিছনে লালমুনের দোকানে উদ্দশ্য চা খাওয়া। গোটা রাজশাহীতে লালমুনের ডাইলচা ডাইল খোরদের খুব প্রিয়।এরপর আমার সব সময়ের সঙ্গী বাইক নিয়ে আমরা তিনজন চলে গেলাম university তে।উদ্দেশ্য আবারও পিনিক।গিয়ে বসলাম আমীর আলী হলের ২৩৯ নং রুমে। তবে এবার ডাইল না এবার সেবন করলাম সাইন্স মানে গাঁজা।এর পর সবাই যখন পিনিকে অস্থির বন্ধু আবুজার বলল চল দোস্ত ইবলিশ চত্বরে গিয়া বইসা বাঁশি ফাটাই।যেমন কথা তেমন কাজ আমরা পাঁচ ইবলিশ পদাপন করলাম ইবলিশ চত্বরে। আমদের অদূরে বসা কয়েকজন তরুনীকে লক্ষ্য করে অপু ইশারায় শুধায়-

-দাদা চিনস নাকি ওই বাম পাশের মেয়েটাকে?

-আমার পিনিকে উথাল পাথাল অবস্থা,আমি বললাম মনে পড়ছে না। হবে হয়ত কেউ?

-আজ না আরেকদিন যখন একা থাকবে তখন পরিচয় করিয়ে দেবো তোর সাথে।

সেই থেকে সামনে পড়লে খেয়াল করে দেখতাম চিনতে পারি কিনা মেয়েটিকে।তখনো জানতাম না তার পরিচয়।একটা রহস্য মনের ভিতর গেঁথে দিল অপু,অচেনা-অজানা এক নারীকে ঘিরে।এরি ভিতরে আমাদের 2nd professional exam এর রুটিন দিয়ে দিল।সেই অচেনা-অজানা নারীকে নিয়ে চিন্তা করার আর ফুসরত পেলাম না।পরীক্ষার ২মাস আড্ডাও ঠিকমত হত না। পরীক্ষার ২মাস লাপ্পি আর গাঁজা হোম ডেলিভারী নিতাম।রাজু আমাদের হোষ্টেলে এসে চাহিদা মোতাবেক সব সরবরাহ করত। যাই হোক এভাবেই exam day গুলো পার করছিলাম।ঘটনাটা ঘটল ফরেনসিক মেডিসিন পরীক্ষার আগের দিন।সেদিন দুপুর থেকেই রাজুকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম।কিন্তু বারবার তার ফোন বন্ধ দেখানোয় আমি প্রায় মাস দুয়েক পরে বাইকটা ঝেড়ে মুছে বের করলম। একটানে চলে গেলাম রাজুর ওখানে।রাজুর বাড়ি তালামারা।পাশের দোকানে জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল এখানে আজ পুলিশ রেড দিয়ছে আর রাজুকে চালান করে দিয়েছে।কি আর করা বাইক ঘুরিয়ে নিয়ে লেনিনের গ্যারেজে এসে বসলাম।লেনিনকে একটা বাঁশি রেডী করতে বলে আমি বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিতে থাকি।যেখানেই ফোন দিই সবাই বলে ভাই মালতো নাই।আজ দুদিন হল কোন মাল উঠেনি, বডারে খুব ঝামেলা চলছে, ৩জন মানুষ মারা গেছে। তারপর বংশী ফাটিয়ে আমি ফোন দিলাম কিং ভাইকে।বললাম ভাই কোটের আশপাশে কোথাও মাল নাই।কিং ভাই আমাকে একটা ঠিকিনা দিলেন।তখন অলরেডী সন্ধ্যা হয়ে গেছে।আমি তাড়াহুড়া করে পঞ্চবটীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।তারপর কিং ভায়ের ঠিকানা মত শ্মশনের পাশেই খুজে পেলাম শফির বাড়ী। নক করতেই খুলে দিল শফি নামক মৃতপ্রায় লোকটা।আমি কিং ভায়ের কথা বলতেই আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিল।শফি শিউলী হাঁক দিল। ভিতর থেকে শ্যামলা সুশ্রী এক মহিলা বের হয়ে আসল ।মহিলাটি আমাকে বলল কটা? আমি হাত তুলে দেখাতেই সে তার ব্লাউজের ভেতর হাত পুরে দিল।আমি হা করে চেয়ে চেয়ে খেখলাম শিউলী আপার সই সুঢৌল স্তন।"আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো বুকের গঠন

লুকানো যায়না তবু অনিবার্য যৌবনের ফুলপ্রতীকের মত যেন জেগে থাকে তোমার জঘন"।

এরপর সে তার ব্লাউজের ভিতর থেকে বের করে দিল দুটো ফেন্সি।আমার তখন কোন দিকে খেয়াল নাই।আমি একটা মালের ছিপি কেটে মুখে দিতে যাব,হঠাৎ খেয়াল হল একটি মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি একটু ইতস্তত বোধ করছিলাম।শিউলী আপা বোধহয় আমার অবস্থা বুঝতে পেরেই বললেন,ভাই সমস্যা নাই মাইরা দেন।এরপর যে ঘটনাটা ঘটল আমি এর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। মেয়েটি আমার দিকে আসতেই আমি তাকে চিনতে পারলাম।পদ্মার ধারের সই মেয়েটা।আমি ভেতরে ভেতরে খুব আগ্রহ বোধ করলেও তাকে কিছু বুঝতে দিলাম না।মেয়েটা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,আমি জেরিন।আমিও ভদ্রতা করে তার সাথে হ্যান্ডশেক করে নিজের পরিচয় দিলাম।এরপর আমি শিউলী আপার থেকে আরও দুটো মাল নিয়ে নিলাম।তারপর শফির বাড়ী থেকে বের হয়ে বাইকে চড়ব,এমন সময় মেয়েটি আমাকে পিছন থেকে ডাকল,- excuse me ভাইয়া।

-আমি বললাম বলুন।

-আমাকে একটু লিফট দিতে পারেন।

-Sure Why not?

মেয়েটা আমার পিছনে উঠে বসল।এরপর শুরু হল পথচলা আর কথাবলা।

-আমি নুসরাত জাহান জেরিন ।ম্যানেজমেন্ট,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

-আমি জ্যোতি বাবু।RMC

এরপর আমাদের মাঝে অনেক কথা আদান প্রদান হল। আমি বললাম কোথায় নামবেন।

-ORCHID LADIES HOSTEL

আমি তার হোষ্টেলের সামনে ব্রেক মারলাম আর অনূভব করলাম জেরিনের স্তনের মৃদু ধাক্কা যেন দুটি মিথুনরত কবুতর ।তাকে নামিয়ে দিয়ে আমি বলাম আমার কালকে exam আছে, আপাতত বিদায়। আর শুনুন আমার ফোন নম্বরটা রাখতে পারেন।এরপর আমাদের ফোন নম্বর বিনিময় হল। আমি একটা সিগ্রেট ধরিয়ে জেরিনের থেকে বিদায় নিলাম।

তখনো রহস্য আমার কাছে পুরোপুরি ক্লিয়ার না।হোষ্টেলের দিকে যেতে যেতে মনের ভিতর নানা প্রশ্ন উকিঁ দিচ্ছিল তার সম্পকে।যাই হোক হোষ্টেলে ফিরে ক্যান্টিনে গিয়ে বসলাম।

-শাকিল একটা ছোট কইরা চা দিস।



চলবে......চলবে.....চলবে......।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: হুম জমতাসেত। চলুক

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪

jotejoy বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: দারুন লেখনী। সাথে আছি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চলুক ভাল লাগছে

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।সাথে থাকুন, সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.