নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলির বালক

সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।

jotejoy

"বিশ্বাসের তাঁতে আজ আবার বুনতে চাই জীবনের দগ্ধ মুসলিন "

jotejoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংকর সৌন্দর্য (ছবি ব্লগ)

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

পপি বা ওপিযাম পপি থেকে আফিম তৈরী হয় । সব পপি ফুল থেকেই মাদক দ্রব্য তৈরী হয় না, পপি ফুলের আবার অনেক নিরীহ প্রজাতি রয়েছে যা বাগানে শোভা পায়।প্রজাতি ভেদে পপি ফুল সাদা, পিংক, লাল ও পার্পল বঙের হয়। নিরীহ র্দশন এই গাছটি একটি মাদক দ্রব্যরে গাছ।





নিওলিথিক যুগ থেকেই(৯৫০০ বিসি) অপিয়াম খাদ্য,এনেস্থিয়া,সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যাবহার হত। মিশরীয়,গ্রীক,রোমান,পার্সিয়ান-আরবরাও অপিয়ামের বিভিন্ন ব্যাবহার জানত । এক কথায় বলা যায় অপিয়ামের প্রাচীন সভ্যতায় সবচেয়ে প্রচলিত ঔষুধ হিসেবে সুপরিচিত ছিল।



নারকোটিক্স বা মাদকদ্রব্যসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন অহিফেন বা আফিম।আফিমের ইতিহাস অনেক লম্বা। খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৪ বছর আগে নিম্ন মেসোপটেমিয়ায় (বর্তমান ইরাক) আফিম চাষ হতো বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে সুমেরীয় ও আসিরীয়রাও আফিম চাষ করে। আসিরীয়দের কাছ থেকে আফিম আসে ব্যাবিলনীয়দের হাতে এবং তাদের কাছ থেকে আফিমতত্ত্ব গ্রহণ করে মিসরীয়রা। তখন অবশ্য আফিম হেরোইনে রূপান্তর হতো না। যেদিন থেকে আফিম হেরোইনে রূপ নেয়া শুরু করল সেদিন থেকে আফিম বিশ্বে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল। সুমেরীয়রা আফিমকে চিনত ‘আনন্দের গাছ’ (Hul Gil) হিসাবে। সেই আফিম এখন ‘প্রাণনাশক’ বলে পরিচিত।







ব্যথা-নিবারক হিসেবে আফিম ব্যবহারের চিকিৎসাপত্র গ্রিক এবং রোমান চিকিৎসকেরা দিতে শুরু করেন যিশুখ্রিষ্টের জন্মের অনেক আগে থেকে। সপ্তম শতাব্দীতে আরব বণিকেরা ওষুধ হিসেবে আফিম পৌঁছান চীনে এবং ভারতে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে আফিম জাপান পৌঁছে। তখন ব্যথা-নিবারক হিসেবেই আফিম সেবন করা বা খাওয়া হতো। সপ্তদশ শতকে ইউরোপীয় বণিকেরা চীনের লোকদের ধূমপানে আফিমের ব্যবহার শিক্ষা দেন বাণিজ্যিক লাভের উদ্দেশ্যে। এ শিক্ষা চীনাদের মধ্যে দ্রুত ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করায় সমগ্র চীনা জাতি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ার উপক্রম হয়। পরিত্রাণের লক্ষ্যে তৎকালীন চীন সম্রাট ১৭২৯ খ্রিষ্টাব্দে আফিমের ব্যবহার বেআইনি ঘোষণা করে ফরমান জারি করেন। এ ফরমানই মাদকদ্রব্য-সংক্রান্ত প্রথম আইন। কিন্তু বাস্তবে সেই আইন চীনে আফিমের ব্যবহার বন্ধ করতে পারেনি। কালোবাজারে ব্যবসা ঠিকই চলতে থাকে।







পপি একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। পপি উদ্ভিদ ১.২ মিটার লম্বা হয়। এটা ওপিয়াম পপি নামেও পরিচিত। পপি অনেক দেশে প্রচুর পরিমানে চাষ করা হয়। বিশেষ করে ইরান, তুর্কি, হল্যান্ড, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, ইউগোস্লাভিয়া, ভারত, কানাডা, এশিয়ার অনেক দেশ এবং মধ্য ও উত্তর আমেরিকার দেশ সমুহ



সাউথ ইস্ট এশিয়া আফিম সার্ভে ২০১২ শীর্ষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ২৫ ভাগ আফিম মিয়ানমারে উৎপাদিত হয়ে থাকে। আর লাওসে উৎপাদিত হয় এর মাত্র তিন শতাংশ।উল্লেখ্য এই অঞ্চল হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পপি ফূল চাষের অঞ্চল । পপি ফূল চাষ করা এবং মাদকদ্রব্য উত্পাদনের ইতিহাস কয়েকশত বছরের। এক সময় এ অঞ্চলেপ্রত্যেক বছর প্রায়৬৬ হাজার একর জমিতে পপি ফূলের চাষ করা হতো।





বৈজ্ঞানিক নামঃ Papaver somniferum Family: Papaveraceae (poppy family)

প্রধানত ৩ ধরনের আফিম পাওয়া যায়, ১. স্পিন (spin), ২. বারানি (barani) ও ৩. সুর (sur)। প্রথম দুটি নিম্নমানের আফিম। অতিরিক্ত পানির যে আফিম মান হারিয়েছে সেগুলোকে এই নামে শ্রেণীকরণ করা হয়। সুর (অর্থ : লাল) আফিম দুটি রঙে পাওয়া যায়, কালচে লাল ও বাদামি। সুর উচ্চমানসম্পন্ন হওয়ায় আগের দুটির চেয়ে এর দাম দ্বিগুণ। অন্যান্য মানের আফিমের মধ্যে তোর (tor) ও জারও (jar) রয়েছে।





এই সৌন্দর্যের মাঝেই লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর মৃত্যুর হাতছানি। অপিয়াম সরাসরি এই পপি ফলের নির্যাস থেকে বের করা হয়,যা পরে ল্যাবরটরীতে হেরোইনে রুপান্তর করা হয়। এক একর জমির পপি থেকে ৩-৫ কেজি র' অপিয়াম পাওয়া যায়। আর র'অপিয়াম হতে হেরোইন উৎপাদনের অনুপাত ১০:১,অর্থাৎ ১০ কেজি অপিয়াম হতে ১ কেজি হেরোইন পাওয়া যায়।অপিয়াম পপি যার বৈজ্ঞানিক নাম Papaver somniferum ফুল লাল-সাদা এমনকি নীলও হতে পারে। যা থেকে আরও যে সব মাদক পাওয়া যায় সেগুলো হলো- মরফিন,থেবাইন,কডিন,প্যাপাভারিন,নসকাপিন।



পপি গাছের কষ-এ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অ্যালকালয়েড পাওয়া যায়। ফুল ফোটার ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে অপরিনত বীজাধার চিরে তা থেকে এই কষ সংগ্রহ করা হয়।





বছরে একবার ফল উৎপাদন করেই মরে যায় পপি গাছ। সাদা আর হালকা বেগুনি রঙের পপি ফুলে ছাওয়া সুবিস্তৃত খেতের দৃশ্য অসাধারণ। খেতের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের সৃষ্টি করলেও তাতেই মিশে থাকে ভবিষ্যতের মরণ বিষ।



পপি ফল পাকতে শুরু করলে ফুলের পাপড়িগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে গিয়ি খসে পড়ে। ফলের শক্ত খোলস ভেঙে ফেললেই বেরিয়ে আসে অসংখ্য বীজ। সুস্বাধু খাবার তৈরিতে আমরা যে পোস্ত বীজ ব্যবহার করি, এগুলোই আসলে পপি বীজ। আমরা যাকে পোস্ত দানা নামে জানি। অনেক দেশে আবার পোস্ত দানা পিষে ভোজ্য তেল তৈরি করা হয়। এই তেল দিয়ে রান্না খাবার সেরা হিসেবে বিবেচিত।







পপি ফলের খোলের ভেতরের গায়ে এটেঁ থাকা একরকমের আটালো পদার্থই আসলে আফিম। এটাই হিরোইন গোত্রের যাবতীয় মাদকের প্রধান প্রাকৃতিক উৎস।





সবুজাভ বীজাধার চিরে দেয়া হয়। সেই সমস্ত চেরা দিয়ে দুধের মত সাদা কষ বের হয়।



এই কষ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে শুকানো হয়। মর্ফিন, কোডিন, নোসক্যাপিন, প্যাপাভারিন, থিবিন ইত্যাদি অ্যালকালয়েড শুকনো কষ থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আলাদা করা হয়।



ফল যখন পরিপক্ক হয় তখন ব্লেড দিয়ে ফলে গায়ে গভীর করে আচর দেওয়া হয়। ফলে ৫ থেক ছয় ঘন্টা পড় এর ফল থেক কষ বের হয়। এবং চাষীরা তা সংগ্রহ করে এটাই হলো Raw Opium .

এর পর বিভিন্ন রাসয়নিক প্রক্রিয়ায় অন্যান্য ডেরেভেটিভ বানানো হয়।



তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট



মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

ভিটামিন সি বলেছেন: আফিম খাইতে মুঞ্চায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

jotejoy বলেছেন: আফিম খাইতে মুঞ্চায়।দাওয়াত থাকল।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আফিম খাইবাম

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

jotejoy বলেছেন: দাওয়াত থাকল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

jotejoy বলেছেন:

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

সাদা রং- বলেছেন: অনেক সময় সাপেক্ষ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

jotejoy বলেছেন: কোনটা অনেক সময় সাপেক্ষ????

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

রাফীদ চৌধুরী বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। এরকম পোস্টতো সামু তে এখন আর দেখাই যায় না /:) /:)

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

jotejoy বলেছেন: ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ। /:)

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

১০৩০৯০০৩ বলেছেন: পোস্টমৎকার পোস্ট । আনেক দিন পর সামুকে সামু সামু লাগতেছে।

------------------------------------------------------------------

ভিটামিন সি-র "মুঞ্চায়" কথাটা বারবার শুনতে মুঞ্চায়
_____@ ভিটামিন সি

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

jotejoy বলেছেন: ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।"মুঞ্চায়" কথাটা বারবার শুনতে মুঞ্চায়।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

এবিসি১০ বলেছেন: পোস্ত দানা মানে পপি বীজ এটা প্রথম জানলাম। ধন্যবাদ অনেক।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

jotejoy বলেছেন: শুভ কামনা।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: +++++

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

ল্যাটিচুড বলেছেন: রাজনৈতিক কচকচানির ভীড়ে অনেকদিন পর মনে হল সামুর কোন পোষ্ট পড়ছি।

ভালো লাগলো।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

শান্তা273 বলেছেন: দারুন পোস্ট!
++++++

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

রবি কিরণ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।
পোস্তা দানা পপি থেকে তৈরি হয় জানতাম না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চক্ষু বন্ধ কইরা প্লাস :D

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫

jotejoy বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.