নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলির বালক

সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।

jotejoy

"বিশ্বাসের তাঁতে আজ আবার বুনতে চাই জীবনের দগ্ধ মুসলিন "

jotejoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ঈশ্বর অনন্তকালের জন্য আপনার

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৯



যে ঈশ্বরের প্রেমময় ও স্নেহময় ক্রোড়ে যাবতীয় জীব, যাহার শান্তিময় ক্রোড়ে আমরা ছিলাম, আছি ও ভবিষ্যতে থাকব, যিনি শত অপরাধেও আমাদিগকে পরিত্যাগ করেন না, যিনি অনন্তকাল যাবতীয় জীবের জীবন রক্ষা করিতেছেন, তিনিই কি আমাদের প্রানের ঈশ্বর?না কি,স্বার্থময় দুদিনের মিথ্যা আমিত্বের পরিজন আপনার? পার্থিব জগৎ ও ঈশ্বর এই দুই-এর মধ্যে যে তোমার আপনার তাহাকে গ্রহন কর,তাহাকেই মনপ্রান দিয়া ভালবাস,তাহার চরনে সর্বস্ব ঢালিয়া দিয়া চিরশান্তি লাভ কর।

আমরা অজ্ঞান-মায়ামোহে অন্ধ; তাই প্রকৃত আপনার জন কে ভুলিয়া দুই দিনের নশ্বর মল-মূএের আধার দেহগুলিকে আপনার ভাবিয়া কাম-কামনায় ডুবিয়া আছি।অজ্ঞানতার ঘোরে অভিমানের প্রতিমূর্তি সাজিয়া আপনি কর্তা সাজিয়া, কত ঢাক ঢোল বাজাইয়া পুরস্কারের আত্নপ্রসাদে ব্রহ্মান্ডকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করিতেছি!আমরা একবারও ভাবিয়া দেখি না, আমার কর্তৃত্ব কতটুকু,অভিমান কিসের!

এই আপনার সহিত কথা বলিতেছি, একটা কথা বলিতে বলিতে হয়ত সব ফুরাইয়া গেল, আর শেষ কথাটা বলা হইল না; এই তো কর্তৃত্ব!এই লইয়াই তো এত অভিমান!!

আমি কর্তা সাজিয়া কর্ম করি, কিন্তু কর্মফলে আমার অধিকার কি? আমি কৃষক, জমি চাষ করিয়া বীজ বপন করিলাম, কিন্তু ফল লাভ কাহার হাতে? অতি বৃষ্টি অনাবৃষ্টি কত ঘটনা ঘটতে পারে? মানুষ যাহার প্রতিকারে সর্ম্পূন অক্ষম।তবে আমাদের কর্তৃত্বটা কি-অভিমানই বা কিসের? তুমি কর্মী কর্মে তোমার অধিকার আছে্, তাই বলিয়া বিশ্ব-বিধাতার আসনে বসিতে যাইও না।এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কাহার ইশারায় চলিতেছে? তোমার না আমার? তুমি আমি কোন্ ক্ষুদ্রানু ক্ষুদ্র কীট-কীটানু? অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের নিকট দাঁড় করাইলে কতটুকু আমিত্ব কতটুকু কর্তৃত্ব কতটুকু অস্তিত্ব বর্তমান থাকবে?

আবার এদিকে যে দেহ লইয়া আমরা সর্বদা এত ব্যস্ত, এত অভিমান, আমার আমার ও আমি আমি বোধ, সেই দেহটাকেও তো এই পৃথিবীতে রাখিয়া যাইতে হইবে।শরীরের কোথাও ফোঁড়া হইলে খানিকটা পুঁজ বাহির হইয়া যায়, সমস্ত দেহটার পরনতি তো তাহাই; কতগুলি পচা দুর্গন্ধময় গলিত ক্লেদ মাএ।নতুবা পোড়াইয়া ফেলিলে একরাশ ছাই।আর বতমানে? অস্পৃশ্য রক্ত ক্লেদ ও মলমূএের ভান্ডার! তাই লইয়া এত কান্ড এত অভিমান! টাকা পয়সা ধন জন সবইতো এখানকার জিনিষ,এখানেই রাখিয়া যাইতে হইবে।তবে আমার বলিতে কি আছে?

তুমি বহু সঞ্চয় কি বাহাদুরিটা করিয়াছিলে? পৃথিবীর বহু স্থানে বহুলোকের নিকট যাহা বিস্তৃত ছিল,তুমি ছলে,বলে,কলা,কৌশলে কতজনকে কত পীড়ন করিয়া কত লোকের বুকে কত দারুন আঘাত করিয়া সেই সব দু’দিনের জন্য স্তুপাকৃতি করিয়াছিলে তা বৈ তো অন্য কিছু নয়! শেষে কি হইল?সবই রহিল, অনন্তকাল এখানকার জিনিষ এখানেই থাকবে।তোমারই মত এসব জিনিষকে কত সহস্র জন আমার করিয়া প্রাণপাত করিয়া গিয়াছে, এই ধন সম্পওি,জায়গা,জমি,সব তেমনই আছে। আজ তোমার,কাল আমার,তারপর দিন রহিমের তারপর করিমের।আসলে প্রকৃত কাহার? যে বাড়ীটাতে বসিয়া তুমি আমার আমার করিতেছ,এইরুপ কতজন আমার আমার করিয়া কর্তা সাজিয়াছিল।এখন তাহারা কোথায়?দু’দিন পরে তুমিই বা কোথায় থাকিবে? তবে কি আমার বলিতে কিছুই নাই?

তবে আর কেন? আপন জনের শরণ নাও।আমরা বৃথা অভিমানে বুক ফুলাইয়া ধরা কে সরা ভাবিয়া নিজে কর্তা সাজিয়া ঈশ্বরকে ভুলিয়া বসিয়া আছি।যিনি বাস্তবিক আমার,যিনি অনন্তকালের আমার-যাহার আমি, যাহার এই জগৎ, সেই জগতের মালিক কে ভুলিয়া পাপ তাপকে বরন করিতেছি।স্বর্গ ফেলিয়া নরকে ডুবিতেছি-সুগন্ধী ফেলিয়া গু মাখিতেছি-অমৃত ফেলিয়া গরল খাইতেছি। বিষ্ঠার কৃমি, বিষ্ঠায় ডুবিয়া মনে করিতেছি বেশ আছি।পৃথক হইলেই মরিয়া যায়, আমাদেরও সেই অবস্থা।





যে ঈশ্বরের প্রেমময় ও স্নেহময় ক্রোড়ে যাবতীয় জীব, যাহার শান্তিময় ক্রোড়ে আমরা ছিলাম, আছি ও ভবিষ্যতে থাকব, যিনি শত অপরাধেও আমাদিগকে পরিত্যাগ করেন না, যিনি অনন্তকাল যাবতীয় জীবের জীবন রক্ষা করিতেছেন, তিনিই কি আমাদের প্রানের ঈশ্বর?না কি,স্বার্থময় দুদিনের মিথ্যা আমিত্বের পরিজন আপনার? পার্থিব জগৎ ও ঈশ্বর এই দুই-এর মধ্যে যে তোমার আপনার তাহাকে গ্রহন কর,তাহাকেই মনপ্রান দিয়া ভালবাস,তাহার চরনে সর্বস্ব ঢালিয়া দিয়া চিরশান্তি লাভ কর।

আমরা অজ্ঞান-মায়ামোহে অন্ধ; তাই প্রকৃত আপনার জন কে ভুলিয়া দুই দিনের নশ্বর মল-মূএের আধার দেহগুলিকে আপনার ভাবিয়া কাম-কামনায় ডুবিয়া আছি।অজ্ঞানতার ঘোরে অভিমানের প্রতিমূর্তি সাজিয়া আপনি কর্তা সাজিয়া, কত ঢাক ঢোল বাজাইয়া পুরস্কারের আত্নপ্রসাদে ব্রহ্মান্ডকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করিতেছি!আমরা একবারও ভাবিয়া দেখি না, আমার কর্তৃত্ব কতটুকু,অভিমান কিসের!

এই আপনার সহিত কথা বলিতেছি, একটা কথা বলিতে বলিতে হয়ত সব ফুরাইয়া গেল, আর শেষ কথাটা বলা হইল না; এই তো কর্তৃত্ব!এই লইয়াই তো এত অভিমান!!

আমি কর্তা সাজিয়া কর্ম করি, কিন্তু কর্মফলে আমার অধিকার কি? আমি কৃষক, জমি চাষ করিয়া বীজ বপন করিলাম, কিন্তু ফল লাভ কাহার হাতে? অতি বৃষ্টি অনাবৃষ্টি কত ঘটনা ঘটতে পারে? মানুষ যাহার প্রতিকারে সর্ম্পূন অক্ষম।তবে আমাদের কর্তৃত্বটা কি-অভিমানই বা কিসের? তুমি কর্মী কর্মে তোমার অধিকার আছে্, তাই বলিয়া বিশ্ব-বিধাতার আসনে বসিতে যাইও না।এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কাহার ইশারায় চলিতেছে? তোমার না আমার? তুমি আমি কোন্ ক্ষুদ্রানু ক্ষুদ্র কীট-কীটানু? অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের নিকট দাঁড় করাইলে কতটুকু আমিত্ব কতটুকু কর্তৃত্ব কতটুকু অস্তিত্ব বর্তমান থাকবে?

আবার এদিকে যে দেহ লইয়া আমরা সর্বদা এত ব্যস্ত, এত অভিমান, আমার আমার ও আমি আমি বোধ, সেই দেহটাকেও তো এই পৃথিবীতে রাখিয়া যাইতে হইবে।শরীরের কোথাও ফোঁড়া হইলে খানিকটা পুঁজ বাহির হইয়া যায়, সমস্ত দেহটার পরনতি তো তাহাই; কতগুলি পচা দুর্গন্ধময় গলিত ক্লেদ মাএ।নতুবা পোড়াইয়া ফেলিলে একরাশ ছাই।আর বতমানে? অস্পৃশ্য রক্ত ক্লেদ ও মলমূএের ভান্ডার! তাই লইয়া এত কান্ড এত অভিমান! টাকা পয়সা ধন জন সবইতো এখানকার জিনিষ,এখানেই রাখিয়া যাইতে হইবে।তবে আমার বলিতে কি আছে?

তুমি বহু সঞ্চয় কি বাহাদুরিটা করিয়াছিলে? পৃথিবীর বহু স্থানে বহুলোকের নিকট যাহা বিস্তৃত ছিল,তুমি ছলে,বলে,কলা,কৌশলে কতজনকে কত পীড়ন করিয়া কত লোকের বুকে কত দারুন আঘাত করিয়া সেই সব দু’দিনের জন্য স্তুপাকৃতি করিয়াছিলে তা বৈ তো অন্য কিছু নয়! শেষে কি হইল?সবই রহিল, অনন্তকাল এখানকার জিনিষ এখানেই থাকবে।তোমারই মত এসব জিনিষকে কত সহস্র জন আমার করিয়া প্রাণপাত করিয়া গিয়াছে, এই ধন সম্পওি,জায়গা,জমি,সব তেমনই আছে। আজ তোমার,কাল আমার,তারপর দিন রহিমের তারপর করিমের।আসলে প্রকৃত কাহার? যে বাড়ীটাতে বসিয়া তুমি আমার আমার করিতেছ,এইরুপ কতজন আমার আমার করিয়া কর্তা সাজিয়াছিল।এখন তাহারা কোথায়?দু’দিন পরে তুমিই বা কোথায় থাকিবে? তবে কি আমার বলিতে কিছুই নাই?

তবে আর কেন? আপন জনের শরণ নাও।আমরা বৃথা অভিমানে বুক ফুলাইয়া ধরা কে সরা ভাবিয়া নিজে কর্তা সাজিয়া ঈশ্বরকে ভুলিয়া বসিয়া আছি।যিনি বাস্তবিক আমার,যিনি অনন্তকালের আমার-যাহার আমি, যাহার এই জগৎ, সেই জগতের মালিক কে ভুলিয়া পাপ তাপকে বরন করিতেছি।স্বর্গ ফেলিয়া নরকে ডুবিতেছি-সুগন্ধী ফেলিয়া গু মাখিতেছি-অমৃত ফেলিয়া গরল খাইতেছি। বিষ্ঠার কৃমি, বিষ্ঠায় ডুবিয়া মনে করিতেছি বেশ আছি।পৃথক হইলেই মরিয়া যায়, আমাদেরও সেই অবস্থা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমরা বার বার ভুলে যাই কে আমরা, কি আমরা আর কেনই বা আমরা !!!

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১২

jotejoy বলেছেন: আমরা বারবার আমাদের মূলকে ভূলে যাই।আমরা ভুলে যাই যে উপরে একজন আছেন।ঈশ্বর, আল্লাহ,ভগবান,গড আমরা তাকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করি।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.