![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ক্রিকেট" যদি একটা বইয়ের নাম হয়, তবে সেই বইয়ের সবচেয়ে মনোযোগী পাঠক শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ২৪ বছরের "ক্রিকেটীয় জীবন" এ যিনি একের পর এক অবিস্মরণীয় কীর্তি করে গেছেন। মাঠে নেমে রেকর্ড ভাঙ্গাগড়াই ছিলো তাঁর প্রিয় কাজ। এই ২৪ বছরে কত রেকর্ড, কত ইতিহাস, কত অর্জন যে তিনি তাঁর নামের পাশে যোগ করেছেন, সেগুলো বলে আর কালক্ষেপণ না করাই ভালো।
যারা ক্রিকেটকে ভালোবাসেন, তারা অনেকেই শচীন টেন্ডুলকারের ফ্যান। তাঁর "ক্রিকেটীয় পরিসংখ্যান" হয়তো আমাদের অনেকেরই নখদর্পণে, কিন্তু ব্যক্তি শচীনকে আমরা কতটুকু চিনি? তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কতটুকুই বা ওয়াকিবহাল আমরা? মুখচোরা স্বভাবের এই মানুষটি মিডিয়ায় ক্রিকেটের বাইরে খুব একটা কথাও বলতেন না। সুতরাং, "ব্যক্তি শচীন " সম্পর্কে জানা একরকম দুরূহ ব্যাপারই ছিলো এতদিন। কিন্ত, শচীন রমেশ টেন্ডুলকারই এই দুরূহ ব্যাপারটাকে অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন তাঁর আত্মজীবনী "Playing It My Way" লিখে। ব্যক্তি শচীনকে জানার এক অপূর্ব সুযোগ এই বইটা।
বইটিতে লেখা কিছু ঘটনা এখানে সংক্ষেপে লিখে দিচ্ছি।
শচীন টেন্ডুলকার ছোটবেলায় বেশ ডানপিটে ছিলেন। তাঁর অত্যন্ত প্রিয় একটা কাজ ছিলো, ৪ তলার বারান্দা থেকে পথচারীদের মাথায় পানি ঢেলে দেওয়া, এক রবিবারে, আমগাছ থেকে আম চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছিলেন আমগাছের মালিকের ঘরের উপর, বাইসাইকেল না কিনে দেয়ায় জেঁদ করে ঘরের মধ্যে কাটিয়েছিলেন কয়েকদিন।
যখন কোচ রমাকান্ত আচরেকারের কাছে ক্রিকেট ট্রেনিং নিতেন, তখন প্রতিদিন শচীনকে সন্ধ্যাবেলা বাসে করে বাড়ি ফিরতে হতো। সারাদিন ট্রেনিং করার পর বাসে কোনোরকমে সীট পেলেই ঘুমিয়ে পড়তেন শচীন, সীট না পেলে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সারাদিন ক্রিকেট ট্রেনিং করার ফলে শার্টে ময়লা লেগে থাকতো, তাই বাসে তাঁর পাশে অনেকেই বসতে চাইতোনা। হাতে বিশাল একটা কিটব্যাগ থাকতো, একারনে অনেক সময় বাসের হেল্পার তাঁর কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া চাইতেন এই বলে যে, এই কিটব্যাগ আরেকজনের জায়গা দখল করছে। কিন্তু, শচীনের কাছে একজনের ভাড়াই থাকতো। ফলে, হেল্পারের কটূক্তিও অনেকসময় তাকে শুনতে হয়েছে।
আগেই সব লিখে দিলে আর আকর্ষন থাকবেনা, তাই আর কিছু লিখলাম না
এটুকু শুধু বলছি, তাঁর জীবনের বিভিন্ন স্তরের বৈচিত্র্যময় ঘটনার অসাধারণ বর্ণনা আছে বইটিতে। তাই, বইটা যখন কেউ পড়বেন, তখন বিরক্ত হবেন না এতটুকু গ্যারান্টি দেয়াই যায়।
ইংরেজী ভাষায় বইটি লেখা হলেও, ভাষা বেশ প্রাঞ্জল এবং সাবলীল। সত্যি কথা বলতে, আমি ইংরেজী ভাষায় লেখা বই খুব একটা পড়িনি। প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো বইটা পড়তে সমস্যাই হবে। কিন্তু, সহজ শব্দের ব্যবহার আর প্রাঞ্জল শব্দবিন্যাস থাকার কারনে কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই বইটি পড়তে পেরেছি।
সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে বইটা পড়ার জন্য। অসাধারণ একটা বই "Playing It My way"
শেষ করার আগে বইটা থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দিচ্ছি পাঠকদের জন্যঃ
So here I am, at the end of my final innings, having taken that last walk back to the pavilion, ready to recount as many incidents as I can remember from a career in which I was lucky enough to be able to spend my time playing it my way.
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫
শুভ-অশুভ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, এই সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আমি চেষ্টা করবো, ভবিষ্যতে আরো বই রিভিউ দেয়ার জন্য।
আশা করছি, ভবিষ্যতেও আপনার কাছ থেকে এরকম অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য পাবো।
ভালো থাকবেন।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রিভিউ এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, শুভ-অশুভ। বইটি খুব শীঘ্রই পড়ার ইচ্ছে রাখি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৮
শুভ-অশুভ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
জয় সরকার বলেছেন: গুড জব! কীপিটাপ!
দারুন রিভিউ......বইটা পড়ার অপেক্ষায়!
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
শুভ-অশুভ বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বইয়ের রিভিউটা চমৎকার হয়েছে! অবশ্যই পড়ে ফেলতে হবে।
আপনি খুব ভালো লিখেছেন বলেই এই আগ্রহটা হচ্ছে। অনুরোধ রইল সম্ভব হলে বই নিয়ে রিভিউও আরো দিবেন। এখন মানুষ ফেসবুকের কল্যানে বই পড়া ভুলে যাচ্ছে!!