![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাইফে আর কিছু হইতে পারি আর না পারি, একবার মটরশুটি চোর হইছিলাম।এই দু:খ কই রাখি,মটরশুটি চোরও কেউ হয়! আম না, কাঠাল না তাই বইলা ছোট্ট একটা মটরশুটি চোর!!! কেউ আমারে কচু গাছে ফাসি দে!! সেই কাহিনীই কইতাছি শোন, শুদ্ধ অশুদ্ধ ভাষার মিশ্রন পাইবি, ক্ষেমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখিস দোস্তরা
ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ি যাওয়া পড়তো খুব কম। তার মধ্যে কোন একবার শীতকালে গেছিলাম বেড়াইতে। গ্রামের পোলাপান দেখি মাঝে মাঝে একত্র হইয়া কি সব শলাপারামর্শ করে, একদিন আমি জিজ্ঞাসা করলে বলে আমরা "অপারেশন ডাব" নিয়া কথা বলতেছি। পরের দিন শুনি অমুকের বাড়ির ডাব কে বা কারা রাতের অন্ধকারে সাবাড় করে দিছে। বলাই বাহুল্য এই দলে আমার চাচাতো,ফুপাতো ভাই,বোনরাও ছিল সক্রিয় সদস্য। এই ভাবে অপারেশন "খেজুরের রস",অপারেশন "মিষ্টি আলু",অপারেশন "কুলবড়ই" ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন অপারেশন নিয়া ইনারা ব্যাপক ব্যাস্ত থাকতো। ধরা পড়তো খুব কম।তো একবার আমি বায়না ধরলাম,তাদের সাথে অপারেশন দেখতে যাব।গ্রুপের সক্রিয় সদস্য কাম মেসেনজার রাশেদ, একদিন খবর আনলো ফরিদ চাচার ক্ষেতের মটরশুটি নাকি খাওনের লায়েক হইছে।দলের মাথারা সরেজমিনে পরিদর্শন কইরা আসার পর সিদ্বান্ত হলো,আজকে বিকালে হবে "অপারেশন মটরশুটি"। আমারে তারা দুধভাত হিসাবে দলে নিলো।আমি অপরাধ বোধের পাশাপাশি উত্তেজনায়ও ফাইট্টা যাইতেছি। আমার টেটনা ফুপাতো ভাইটা, যে কিনা আমারো দুই বছরের ছোট,কয়"বুবু চুরির জিনিস খাইতে যে কি মজা আইজকা বুঝবা"।মনে মনে কই হালায় এখনই পাইক্কা ঝুনা হইয়া গেছসগা! এর মইধ্যে দু:সংবাদ হইলো গ্রুপের ডান হাত সজীবের নাকি পাতলা পায়খানা ছুটছে। সকলেই টেনশিত, সজীবরে ছাড়া কেমনে কি হপে!! যাউকগা সময় মত সজীব আইসা হাজির।কয়,টেনশন লইস না এস এম সির ওরস্যালাইন খায়া আইছি, এক্কেবারে ফাস্টো কেলাস আছি।সন্ধ্যার আগে আগে আমরা যাইয়া পজিশন নিলাম।সবাই মুখের মইধ্যে গেরিলা ইস্টাইলে কালিকুলি মাখলাম,ভাব সাব এমন যেন যুদ্ধে যাইতাছি! মটরশুটির মাচাঙের তলে যাইয়া আমরা সবে মাত্র বইসি আর খোজ পড়ল সজীব কই!! চাইয়া দেখি বেটা ধান ক্ষেতের আইলে বইয়া কি জানি কি করে। পালের গোদা ফয়সাল ভাই জিগাইলো "কি রে সজিববা কিয়ারোছ??কয় "হালা দেখোছ না, হাগি"।ফয়সাল কয়, শালা অপারেশনে আইয়া তোর হাগন ছুটছে,আর টাইম পাস না?ও মাথা দুলায় কয় শালার বেরসিক হাগায় কি আর টাইম বুঝে!! ওগো আলাপেই কিনা কে জানে ফরিদ চাচা টের পাইয়া হা হা কইরা লাঠি উচায় ছুইটা আসলো। সব পরি কি মরি কইরা দে ছুট!! সজীব হাগা ইমকমপ্লিট রাইখাই অর্ধ নগ্ন অবস্হায় এক হাতে প্যান্ট ধইরা ছুটতে লাগলো। যে যেদিকে পারে লুকাইলো।আমি ধান ক্ষেতের কাকতাড়ুয়ার জামার ভিতরে ডুইকা পুরাই লুমান্টিক ইস্টাইলে কাকতাড়ুয়ার কাঠি বডিটারে জড়ায় ধইরা থাকলাম।জামার ফাক দিয়া দেখলাম, ফরিদ চাচা ধান ক্ষেতের আইল ধইরা পুলাপানরে দৌড়ানি দিতাছে আর হঠাৎই সজীবের পাতলা পায়খানায় পা পইড়া মাটিতে ধপ্পাস!!আর চিচিং ফাক কইরা বেচারার লুংগী খানাও ফরাত ফরাত শব্দ কইরা ছিড়া গেলোগা।আমি ভাবলাম ব্যার্থ অপারেশন। কিন্তু না, কাহিনী এইখানে টুইস্ট খাইলো।সিদ্ধান্ত হইলো,সন্ধ্যার পর আবার অপারেশন চালানো হবে! "পরাজয়ে নাহি ডরে বীর"। সজীব মিয়া বিজয়ীর হাসি হাইসা কইলো "আমারে সবাই কদমবুচি কর",ফয়সাল দাত মুখ খিচায় কইলো,ক্যান?হালা তোর লগে কথা কইতে গিয়াইতো পার্টি টের পাইয়া গেলো।সজীব দাত কেলায় কয়, আবে মফিজ ! ফরিদ চাচায় আমার গুয়ে আছাড় খাইয়া পড়ার কারনেইতো তোরা সব বাইচা গেছছ।পিচ্চি টেটনাটা কয় তা এখন কি আমরা তোমার গু রে পূজা দিমু!!! যাউকগা সন্ধ্যার পর একখান সফল অপারেশন হইলো।ফরিদ চাচা কোমরে ব্যথা পাওয়াতে ক্ষেতের দিকে বাড়ির কারো বাড়তি মনোযোগ ছিল না।আমরা আরামসে কাম তামাম কইরা ফালাইলাম।তারপর ধান কাটা খোলা মাঠে বইসা নাড়ার আগুনে পোড়ায় পোড়ায় সেই মটরশুটি খাইলাম।আহ কি স্বাদ তার! যেন অমৃত! চুরির জিনিসের টেষ্টই আলাদ। বড় হবার পর বুঝছি কামডা আসলে ভালো হয় নাই।আল্লাহ মাফ দাও মাবুদ,এই কানে ধরছি!
©somewhere in net ltd.