![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতরাতে টেলিভিশন খবরে দেখলাম যে বি এন পি (অস্থায়ী) মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে হরতাল দেয়া ছাড়া রাজ নৈতিক দল হিসেবে বি এন পি-র অস্ত্বিত্ব রাখা যাবে না! এই একই কারনে ১/১১-র সময়ে সেনাবাহিনীর হাতে সঙ্গতঃ কারনেই তারেক জিয়া সহ অসংখ্য বি এনপি নেতার বেধড়ক হাড্ডি গুড়ো টাইপ ঠ্যাঙ্গানির পরেও এবারের বগুড়া সফরে ম্যাডাম খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীকে পরিত্রাতা হিসেবে ডাকাডাকির প্রানান্ত করেছেন, পরে অবশ্য বর্ষীয়ান নেতাদের পরামর্শে জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের ডেকে "শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো ধুনফুন" বোঝানোর চেস্টা করেছেন!
আসলে ব্যাপার হচ্ছে এক সময়ের আওয়ামীগ বিরোধী সমস্ত সুবিধাবাদী ও একাত্তরের মূক্তিসংগ্রাম বিরোধী শক্তি এক হয়ে ঢাকা সেনানিবাসে বসে মরহুম জিয়াউর রহমানকে ওস্তাদ মেনে ও স্যার স্যার ডেকে (শাহ আজিজুর রহমান, যদু মিয়া ইত্যাদি) প্রথমে "উলসী-যদুনাথপুর" এর ধান চাষ আর খাল কেটে কুমীর আনার গল্প শুনে ও পরে জিয়ার সহকারী জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশুর সাথে "দিশারী" লঞ্চে ঢাকা-খুলনা-বরিশাল রুটে কয়েকবার চক্কর মেরে "জাগদল" বা জগদ্দল নামে একটি "ককটেল" কিসিমের মাল তৈরী হয়েছিল, প্রয়াতঃ যদু মিয়া আবার আসলি "মালের" ভক্ত ছিলেন বিধায় তিনিও মালের গন্ধে বরমাল্য নিয়ে জিয়ার পেছনে ছুটেছিলেন! মির্জা আহমেদ খবিরের নেতৃত্বে তৈরী হয়েছিল "জাগ ছাত্রদল"! সেবারি অনেক সঙ্খ্যায় "রোহিঙ্গা" শরনার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকেছিল! সাল টি বোধ হয় ১৯৭৮ ছিল!
পবিত্র হজ্বের জাহাজ "হিজবুল বাহার" এ করে সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাছাই করা ছাত্র-ছাত্রীদের সামুদ্রিক প্রমোদ ভ্রমনে রাস্ট্রিয় খরচে সিঙ্গাপুর পাঠিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান (হাবিবুল্লা হাবিব বা হেলেন জরিন খান রা ভাল বলতে পারবেন!)! তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি এনামুল করিম শহীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাজেহালের শোধ তুলেছিলেন! সেইটাই ছাত্র সন্ত্রাসের সিস্টেমিক আসল শুরু, তার আগের গুলো ছিলো বিক্ষিপ্ত!
পরবর্তীতে কাজী জাফর আহমেদের ইউ পি পি, হাজী দানেশের "জাগমুই", রাস্তা ঝাড়ু কম্যুনিস্ট রাতের গলাকাটা পার্টি ও পাক আর্মীকে মুর্গী সাপ্লাই দেয়া আনোয়ার জাহিদের দল আর জামাতী ও সমমনাদের নিয়ে পরবর্তীতে দলটি তৈরী করে দেয় সেনানিবাসের এক শ্রেনীর অফিসার! এই দলটিই বিএনপি যারা এখন কিনা গণতন্ত্রের জনক বলে নিজেদের দাবী করে! তো এরা যে সেনাবাহিনীকে ডাকবে ঘুমের ঘোরেও তাতো নিশ্চিতই, কিন্তু গতবারের প্যাঁদানির কথা মনে পড়ে যাওয়াতেই আবার জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরএর সাংবাদিক সাফাই!
আসল কাহিনী হলো বিএনপির সুবিধাবাদী নেতৃত্বের ভেতর
এখন "রিস্ক" নেয়া কিসিমের মাল আর নেই বা শর্ট পড়ে গেছে, তাইই ঢাকা জেলা হরতাল হয় নি! এমন কি এদের নিজেদের মিটিং মিছিল করবার মতো সাহস ও এরা হারিয়ে ফেলেছে শুধু বগুড়ার মতো নিজেদের কিছু এলাকা ছাড়া! তাই হরতাল দিয়ে জামাতী তান্ডব চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এখন বি এন পি মরিয়া! বি এনপির একদফা আসলে নিজেদের দল বাচানোর প্রকারন্তরে নিজেদের কামানো বিপূল বৈভব বাঁচানোর শেষ চেষ্টা, তাই এখন তারা জামাতের অন্তর্ঘাত মূলক রাস্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপকেও মেনে নিচ্ছে নিজেদের বাঁচিয়ে অবশ্য! জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বোরকা অভিযান, রিজভির অফিস কে বাড়ী বানানোর কৌশল সবই একই সুত্রে গাঁথা! তার ওপর অফিস ঘুঘু বিএনপি নেতারা এখন সবই ভেতরে, খোকা ডায়াবেটিস হাস্পাতালের সাথে ব্যাবস্থা করে রেখেছে, সালাম সহজে আর কিছু করার সাহস পাবে বলে মনে হয় না! শফিউল আলম প্রধানের বিরুদ্ধে "বায়তুল মোকাররমের" জুয়েলারী ডাকাতির মামলা মাথা চাড়া দিলেও আশ্চর্য্য হবার কিছু নেই!
তাই আগামী ৩৬ ঘন্টার হরতাল হবে জামাতের অন্তর্গাত মূলক "ঝটিকা মিছিল" প্রধান হরতাল বলেই সকলে মনে করছেন!
সত্যি, বড়ই দুঃখের কথা, ঢাকাতে একটি কেন্দ্রীয় মিছিল বের করার মতো সাংগঠনিক শক্তিও এখন বিএনপির নেই! কাল বিএনপি কোন কেন্দ্রীয় মিছিল করতে পারবে বলে মনে হয় না, চেস্টা করবে শিবির ষ্টাইলে "ঝটিকা" ধরনের কিছু একটা করে ম্যাডামকে তুস্ট রাখতে ও নিজেদের টিকিয়ে রাখতে!
তাই আগামীকালের হরতালে জনগণ গাড়ী বের করবে না ভাংচুরের ভয়ে, সতর্ক থাকবেন বোমা ও ককটেল আতংকে, দিন শেষে জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যতই স্বতঃস্ফুর্তঃ হরতালের দাবী করুন না, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কখনই চাপের মুখে টিকে থাকতে পারেনি (এক সময় ডাঃ মতিন, সাত্তার সাহেব ইত্যাদি আলাদা আলাদা বিএনপি বানিয়েছিলেন!)!
সঙ্গত কারনেই জনগনের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ বেধড়ক পিটুনী ও গ্রেফতার বাড়িয়ে দেবেই, সেটা বিএনপি নেতাদের সবাইই জানেন! আজ কাল সহ বহু রাত্রি তারা বাড়ী থাকেন না, আজ তাদের বড়নেতার বেশীর ভাগকেই (যারা গ্রেফতার হন নি) গুলশানে কূটনৈতিক পাড়ার আশেপাশে আত্মীয় বা সুহৃদের বাড়ীতে পাওয়া যাবে বলেই অনেকের ধারনা!
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: বুঝাই যাচ্ছে যে আপনি বিশিষ্ট রাজনীতী বিশারদ।দেখি তো কাল কে আপনার কথা কতখানি ঠিক হয়।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
এম আর সুমন বলেছেন: ঠিক আছে, মনে মনে বইলা শান্তি পান। কোনো সমস্যা নাই। আন্দোলন যে কারনে চলছে তা জাতি জানে। তত্বাবধায়ক দিয়া দেন। আর আন্দোলন থাকবে না।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২০
শ্রমন বলেছেন: এটা লিখতে রাজনীতি বিষারদ হতে হয় না! কোন দলের ডাকেই সাধারন মানুষ হরতাল কওরে না, হরতাল করাই ক্ষমতায়যাবার জন্যে বড় দুটি দল, এটা আপনার বাড়িতে যে বাচ্চাটি ফিডার খায়, তাকে জিজ্ঞেস করুন, সেই বলে দেবে?
হ্যা, আগামী কাল মানে আজ যা হতে পারে তার কিছু নমূনা লিখছি, দেখবেন ঘুরে ফিরে এর আশ পাশ দিয়েই যাবে! ঢাকা শহরে মগ বাজার, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, এমন কি কাওরান বাজার (জামাতী সেলিমুদ্দিন ধরা খাবার পর সেখানে গোলমাল কমে গেছে!), ফার্ম গেট ইত্যাদি এলাকাতে সরকারী বাস/গাড়ী ভাংচুর হবে, জামাতীরা ঢাকার মগ বাজার বা বিশেষ করে নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে (খুব কম সম্ভাবনা) অলিতে গলিতে কিছু "ঝটিকা" মিছিল বের করতে চেস্টা করবে, সাথে দু একজন বি এনপি কর্মী থাকলেও থাকতে পারে! ঢাকা শহরে ইদানীং পূরোনো ঢাকাতেও জামাতী ও জামাতী স্টাইলে কক টেল এবং আগুন দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সেটা আর বাড়বে না, ব্যাবসায়ীরা এখানে সজাগ, তারা সারা রাত লাঠি নিয়ে পাহারা দিচ্ছে! মগ বাজার, মালিবাগ ইত্যাদি জায়গায় "কনভেনশনাল" মিছিল ও ভাংচুরের চেস্টাতে পুলিশ প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও পরে গুলি (রাবার বুলেট) করতে পারে, তাতে সব মিলে ২০-২৫ জন সারা ঢাকাতে আহত, উর্ধে ১-২ জনের মৃত্যু, ও ৭০-৮০ জন গ্রেফতার হতে পারে! এই স্টেট্মেন্টের কেবল্মাত্র ৫% এদিক ওদিক হতে পারে যদি "র্যাডিকেল" কিছু না ঘটে যায়! আগুন লাগানো ও ভাংচুর করবে মূলতঃ পেশাদার সন্ত্রাসীরা, পড়েন নি বুঝি খবরের কাগজে, সেদিন পর্যন্ত গাড়ী ভাংচুরে প্রতি গাড়ী ৫ হাজার টাকা ও আগুন লাগাতে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এরা নিয়ে থাকে, এরা কোন রাজনৈতিক দলের লোক নয়, ছিঁচকে সন্ত্রাসী! সারা দেশে ট্রেন লাইন তুলে দেবার চেস্টা হতে পারে, লাইনে ও বগীতে আগুন দেবার চেস্টা হতে পারে উর্ধে ৫-৭ টি জায়গায়, ধংসাত্মক কাজ ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে গুলি চালালে পুলিশের গুলিতে উর্ধে ৫ জন মারা যেতে পারে, এই বার হয়তো চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা নোয়াখালিতে বিশেষ ঘটনা ঘটিয়ে আরো কিছু প্রান হানি, আহত ও সম্পদের ক্ষতি হতে পারে যা টেলিভিশনের ফুটেজে দেখতে পাবেন, দিগন্ত ইসলামী ও এন টিভিতে এসব ভাল কওরে খুটিয়ে খূটিয়ে লিখবে!উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে বৃহত্তর রাজশাহী এলাকাতে আবার পুলিশের ওপর হামলা হতে পারে! তার পর প্যাকেট লাঞ্চ খেয়ে সন্ধ্যায় মির্জা ফকরুল সাহেব কিছু বলতেও পারেন না হলে ২য় দিন বলবেন!
এতক্ষন যা লিখলাম এটা কিন্তু স্বভাবিক গণতান্ত্রিক হরতালের চেহারা না, এটা জামাত -শিবির উদ্ভাবিত আধা তালেবান-আধা মোশ্তাকীয় তরিকার হরতাল যা গত কিছু দিন যাবত বাংলাদেশে রক্ত ঝরাচ্ছে! ত্তত্বাবধায়ক না অন্তুরবর্তীকালীন না দলীয় ভাবে নির্বাচন হবে তাতে দেশের মানুষের তো সুমন সাহেব আপনার মতো আগ্রহ নেই, নিজের বাড়িতে জিজ্ঞেস কওরে দেখুন! মানুষ চায় পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকতে, শান্তিতে কাজ করতে আর দূর্নীতির খোরাক যোগাতে যাতে দ্রব্য মূল্য না বাড়ে সেই অবস্থাতে থাকতে, যে দেশে ৯৫%ভাগের ওপর মানুষ জানে না কোন দলের নিররাবাচনী ইওশ্তেহার কি, যারা গণতন্ত্র বোঝেনা, যে দেশে দলীয় প্রধান বা তাদের ঘনিস্ট আত্মীয়দের কোটি টাকা দিলেই নমিনেশন পেয়ে সাংসদ হওয়া যায় (রেট বাড়তে পারে এখন), যে দেশে পার্টির মধ্যে সামান্যতম কোন গণতান্ত্রিকতার চর্চাও নেই, সে দেশে আমূল রাজ রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীনবা দলীয় সরকার, যার অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন তাতে জনগনের কোন লাভ হবার সূযোগ আছে কি? বাংলাদেশ এর রাজনীতি এখন পোস্ট-মর্ডান যুগে পৌছে গেছে, মন্ত্রীদেরও ক্ষমতা নেই, ক্ষমতা কিচেন ক্যাবিনেটের, তাই ইন্সটিটিউশন ভেঙ্গে পড়েছে, শক্তিশালী হয়ে বসে আছে অন্য কেউ বা মহলসমূহ! যাক আর বক বক করতে ইচ্ছে করছে না, আপ নারা কি সত্যি ই রাজনীতি করেন? বুকে হাত রেখে বলুন তো আপ্নারাও কি এই সিস্টেমে এক মত?
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৫৭
আকাশ চুরি বলেছেন: মাম্মা সেভেন ঢাবি ক্যম্পাসে মার্ডার কোন সরকারের আমলে হয়েছিল? আর মাম্মা হাম্বালীগই কিন্তু বার বার সামরিক শাসনকে স্বাগত জানিয়েছে সেটা ১৯৮১ সালে হোক কিংমা ২০০৭ সালে। হাম্বালীগ নামেই গনতান্ত্রীক
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১০
শ্রমন বলেছেন: চাম্মা, মোনায়েমের আমলে খোকা-পাসপাত্তু যা রেখেগিয়েছিল তার দু একটা শ্যাম্পল সে আমলেই বিস্তর আকাম করেছে, আব্বাজানের কাছে শুনে নেবেন! মনে রাখবেন, ১৯৭২ সালের প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের মুক্তি যদ্ধাদের কাছে, যারা প্রায় সবাই ছাত্র, উর্ধ প্রায় দশ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র ছিল! তার ভেতর সেভেন মার্ডার স্ট্যাটিস্টিক্যালি খুবি সামান্য, বিশেষ কওরে একটি স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর! ওহ্যা, ওই সেভেন মার্ডারের নিতৃত্বে ছিল তখনকার আওয়ামী ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব শফিউল আলম প্রধান, যিনি এখন জাগপার নেতা ও বিএনপির পরম সুঋদ, এবার ধরা কেয়েছেন, মাঝে ডাকাতি কেসেও ধরা পড়েছিলেন! আর হ্যা, শেখ মুজিব সরকার্নিজ পার্টির ব্যানারের হলেও খুনীদের সাথে সাথেই গ্রেফতার করেছিল আর বিচার ও শুরু হয়ে গিয়েছিল, জিয়া এসে তাদের মুক্তি দেন!
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
আকাশ চুরি বলেছেন: কাক্কু ছ্রমন প্রধানের কথা আমি জানি। বটম লাইন হলো অস্ত্রের ঝনঝনানি ঢাবি ক্যাম্পাসে সব সময়ই ছিল। আর তুমার আম্মা খালাদের জিগাইও ৭২ - ৭৫ সালে রাতে কেন বাইর হতে ভয় পেত।
৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২১
শ্রমন বলেছেন: ৭২-৭৫ সালে রাতে কেউ ভয় পায়নি, এখন পায়! আমরা তখনকা্রাজাসদ, বৃহত্তর ছাত্রলীগ করতাম, আপনি আপনার বাক্য বিন্যাসে ধরা পড়ে গেছেন যে আপনি কে! আপনি বটম লাইনের কি বোঝেন? প্রধানের কথা জানেন, আবারো কথা বলছেন, আপনি অসুস্থ বা জামাত-শিবিরের লোক, এমন কি বিএনপি র ও নন!কারন তারা অন্ততঃ আমাদের চেনে, তাই আমাদের সাথে আওয়ামী বলে সম্বোধন কওরে তুমি-তোকারী করে না, আমি তখন নটরডেম কলেজের ছাত্র, আপনার সে ভাগ্য হয়েছে কি?
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
আকাশ চুরি বলেছেন: দেখুন শ্রমন আমি কোথায় পড়েছি আর না পড়েছি সেসব আপনার না জানলেও চলবে। স্বাধীনতার পর আওয়ামিলীগ আর তার অংগসংগঠনের নির্মমতার কথা কি আপনি অস্বিকার করতে চাইছেন? একের পর এক অনেক ইতিহাসে উঠে এসেছে কিভাবে শেখ মুজিবের আস্কারা পেয়ে আওয়ামিলীগের লোকজন দেশে রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল। আপনিও প্রমান করেদিলেন আপনি একজন নব্য মৌলবাদ যার নাম বাকশালি মৌলবাদ। যারা বিরুদ্ধে গেলেই তাকে জামাত ছাগু হিসেবে টয়াগ দেয়। দাদা রাজনিতি আপনি কিভাবে ডেখেছেন জানি না। আমি বাংলাদেশের অজোপাড়া গা থেকে শহরের কেন্দ্র পর্যন্ত দেখেছি। আর জাসদ বাসদের নষ্ট রাজনীতিয় ছায়াতলে থেকে নয়। একজন আউটসাইডার হিসেবে দেখেছি। রাজনীতি নিয়ে বেশী শিক্ষা দিতে আসবেন না।
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২২
শ্রমন বলেছেন: আপনি আউট সাইডার আর আমি সাফারার, পার্থক্য ঠিক এইখানেই! আমরা বাকশালের বিরুদ্ধেই লড়েছি প্রথম, যদিও পরে আমরা বুঝেছি (কারন বয়স তখন কম ছিল) জাসদ বি টিমই ছিল! তুমি বলা টা কি খুব ভব্যতা, আমার আসল পরিচয়ে তো যাই নি, কিন্তু আমি তো শিস্টাচার অন্ততঃ আশা করতে পারি! আমি বাকশালী আপনি তা বললে তারাই গুরুতর দুঃখ পাবে! আর শিক্ষার কথা এসেছে আপনার তুমি তুই সম্বোধন অমিয় বানী পড়ে!জাসদের রাজনীতি সম্পর্কে আপ নি সঠিক বলেছেন, আমি অবশ্যই তা মেনে নেব, কিন্তু আওয়ামী বাকশালীরা যা করেনি তা বললে আমি ও তো প্রতিবাদ করার পধিকার রাখি! আমরা দাদা রাজনীতি করিনি, আমাদের মার্ক্সবাদ পড়তে উতসাহিত করা হতো, কিন্তু খানিকটে পড়ার পর দেখা গেলো দাদারাই কিম্বা বৃহত দাদাই এর সব চাইতে বড় শত্রু! বিপদ হয়েছে কি এম নিতেই আমাকে বিভিন্ন দেশে জ্ঞান দিয়ে বেড়াতে হয়, তাতেই আমি নাজেহাল, আর আপনাকে জ্ঞান দিতে চাইলেই বা আপনি তা নেবেন কেনো, আমারই বা সময় কোথায়!
আসলে ব্লগের পাতায় আমরা কেউ কাউকে জ্ঞান দিই না, রাজনীতি নিয়ে একতরফা লিখলে কেউ তো তাতে দ্বিমত পোষন করতেই পারে, কি পারেনা? শুনুন, আমিও তৃনমূল প্রোডাক্ট, ক্লাস নাইনে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন দিয়ে হাতে খড়ি আমার, যদিও সেই এক ই ব্যাপার, রণদিভে থিসিসের সাথে একমত হতে পারিনি! আমি ইন্সাইডার, যদিও গত ত্রিশ বছর সরাসরি রাজনীতিতে নেই, কারন আমার প্রফেশন তা অ্যালাও করে না! না, আমি আপনাকে কেন ছাগু বল বো? আমার সময়ের কেউ ই কাউকে এসব ববেনা ব্যাতিক্রম কেউ ছাড়া! আপনার সাথে মূল বিষয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই, তবু আরেক টি কথা না লিখে পারছি না, যেটি আগে একবার লিখেছি, সিস্টেমেটিক ভাবে ছাত্রদের চরিত্র নস্ট করেছেন জিয়াউর রহমান সাহেব, আগে ছিল সেটা বিক্ষিপ্ত! হিজবুল বাহারের সেই ছাত্রদের চরিত্র হননের ক্ষত আজ ও আমাদের বহন করে চলতে হচ্ছে! যাই হোক, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন! মতের অমিল থাবে, কিন্তু মনের কেন ভাই?
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: সহমত আপনার বক্তব্যে। লাইক।
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: আন্দাজে কথা না বলে একটু রাস্তায় বের হন প্লিজ।বি এন পি র কোন শক্তি নাই ঠিকি কিন্তু উনারা মালিক সমিতিকে বলে দিছে কোন বাস চলবে না।গুলিস্তানে সব বাস দাড়াইয়া আছে।কোন বাস চলে না।হরতাল এ আর কি চান।আমার দেখা ভয়াভহ হরতালের আজকে একটি।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
রাফা বলেছেন: এভাবে জন্ম পরিচয় দিয়ে দেওয়ার কি দরকার ছিলো ব্রাদার!
এর বাইরে রাজাকার ছানাদের তুঘলকি কান্ড দেখতে পারেন এই হরতালে।হরতাল আর আন্দোলনের মোটিভ কিন্তু এখন একটাই।আগে বি টিম রক্ষা করতে হবে পরে অন্য কিছু।এখন অবশ্য বি টিমই এ-টিমের ভুমিকায়।যদিও শিকার করতে লজ্জা পায় বিএনপির জাতিয়তাবাদীরা।
ধন্যবাদ,শ্রমণ।
১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
শ্রমন বলেছেন: ভাই রাফা, আমি আমার জন্ম পরিচয় দি নি তো, দিয়েছি খানিক টে বিএনপির জন্ম পরিচয়, আজকাল যে সব মিলে মিশে একাকার, গণতন্ত্রের জন্যে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষন বিএনপি নামক দল টির! নতুন জেনারেশন কি সব টুকু জানেন? সে তো বাকি ইতিহাস, জিয়া এরশাদ ইতিহাস লিখিয়েছেন তাদের মতো করে! আর ও অনেক কিছু যে বলবার বাকি বি এন পি সম্পর্কে!
ভাই আতিকুল, আমি কলমজীবি মানুষ, শুধু রাস্তাতেই বেরুই নি, এখন অফিস থেকেই লিখছি, যা দেখছেন তারি নাম নব্য জন-মনে আতংকের স্বরূপ, জনগণ ভয়ে বের হচ্ছেন না, যারা বেরুচ্ছেন তারা নিতান্ত বাধ্য হয়েই! আপনি নিশ্চয়ি জানেন যে ১৯৩০ সালের পর জার্মানীতে নাতসীরা এ ধরনের একটি সর্বগ্রাসী আতংকের সৃস্টি করেছিল, পেত্রোগ্রাদে বলশেভিক রাও! তারা কিন্তু তখন ও সখ্যালঘিস্ট, বিরাট রাশিয়ার সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন "ভিকজেল" তাদের সাথে ছিল না! এ ধরনের আতংক সারা মুক্তিযুদ্ধকালীন ছিল ঢাকাতে, তাই বলে কি তাতে জনসাধারনের রায়ের প্রতিফলন এল? না, এটা আতংক, সাধারন মানুষ কে জিম্মি রাখবার চিরায়ত কৌশল! এতে নৈরাজ্যের সৃস্টি হয় আর তারি সূযোগে মঞ্চে প্রবেশ করানোর দূর্বিনীত চেস্টা চলে অন্য পক্ষ, এক কৃষনপক্ষের! বিএনপি তাই চাইছে! আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক "কালচারঃ" ক্ষমতাদখল কেন্দ্রিক, বড়ফদল দুইটি ি তারি ডেমো দিয়েছে অতীতে! আওয়ামী লীগের বহু সাফল্যের মাঝে কয়েকটি দগ দগে ক্ষত, যা মোছা কারো পক্ষে দুঃসাধ্য! আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দল, দুটোই পরিচালিত হচ্ছে স্বৈরতান্ত্রিক ্পদ্ধতিতে, দোষ শুধু নেত্রীদ্বয়ের নয়, বূজুর্গ চামচারা এর জন্যে দ্বায়ী! তার কারনে টিম ওয়ার্ক আজ পর্যন্ত গড়ে উঠতে পারেনি! আমার মতামতেও অনেক ভুল থাকতে পারে, আমি যা লিখছি সবি কি ঠিক, না, আমিও শিখতে চাই অন্য ঠিক বিশ্লেষন সমূহ!
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
এই আমি সেই আমি বলেছেন: স্বাধীনতার পর পর বিধ্বস্ত দেশ ,ভঙ্গুর অর্থনীতি ,চারিদিকে ধাতব অস্ত্রের হাতছানি , স্বাপ্নিক বিপ্লবীদের গলাকাটার মহোৎসব , আন্তর্জাতিক চক্রান্ত্র , স্বাধীনতা মানে আলাদিনের চেরাগ যে নাকি হুকুম করা মাত্র নিয়ে আসবে শরাবান তহুরা তার স্বপ্নভঙ্গ ,কঠিন বাস্তবতার নিদারুন কশাঘাত । ধুত্তরি ছাই । এসব কিছু ভাল লাগে । ভাত দে হারাম জাদা নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব ।
এমন সময় মর্তধামে আগমন এক অবতারের যার ডান হাতে ঘড়ি , গলায় চেন ধান ক্ষেতের পাশে কোদাল নিয়ে ছবি , কালো গগজ আর সাফারী স্যুটের ফালতু হিরোইজম । যে ভার্সিটিতে জিয়া ঢুকতে পারেনি, করেছে চরম অপমান তাদেরই চরিত্র হনন করেছে হিজবুল বাহারে প্রমোদ ভ্রমণ করে ,দ্বি চক্র যান আর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ।
শ্রমণ সাহেব এই অবতারের প্রোডাক্টদের অনেকেই কথা বলার সময় ভুলে যায় তাদের অবস্থান , অস্তিত্ব আর শিকড় ।
১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
শ্রমন বলেছেন: @"এই আমি সেই আমি" ভাই, এক টু আগে আমি এই ব্লগের যিনি আমার পরম স্নেহের মানুষ এবং সম্ভবতঃ "আল্যায়েন্স চীফ" তাকে বলেছি সামান্য বস্তু নিষ্ঠ তথ্য এই লেখাটাতে আছে, পাঠকদের ও বেশ আগ্রহ দেখছি কারন অনেকে এই যে আপনি লিখেছেন যে চরম সত্যি কথাটি তা জানেন না কারন তারা এই প্রজন্মের এবং তাদের পড়ানো হয়েছে "বায়াসড" ইতিহাস! তাই সিলেকশনে আমার এই পোষ্ট টি দিলে আমার জনপ্রিয়তা নয়, বরং আর ও অনেক পাঠক এসব জানতে পারতো আর আরো বেশী জানার জন্যে তাদের উতসাহ সৃস্টি হত, কিন্তু "সামুর এই সিলেক্টর রা আসলে সম্ভবতঃ অ্যালিয়েন, তাই টাইম ফ্যাক্টর তাদের কাছে কিছু নয়, বয়স্ক মানুষ রাত একটা বিশে পোস্ট টা দিলাম, ওরা সারা রাত নির্বাচিত করেছে মোনাজাত করার পদ্ধতি ও সময়ের জন্যে অনূপোযোগী বিষয় সমূহ, সামুর হাজার পাঠককে কে পড়তে বাধ্য করছে সেই সব! তা দিয়ে কি মনে করা যায়? সামু, তুমি কার? ধন্যবাদ ভাই, সামুতে আর না লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম, আপনাদের কথা মনে থাকবে কৃতজ্ঞ চিত্তে আমার!
১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: লিজেন্ডারি একটি পোস্ট । লেখককে ঝুলায়ে দেয়া হোক ।
লেখক@ নিশ্চিত করেন আপনি চান কি ? >>>আগুন দিয়ে ১০ জন মারা, নাকি পিকেটিংহীন হরতাল ।
হরতালহীন দেশে মিছিলে আক্রমণে মানুষ মরে, হরতালের দিন মানুষ মারার লাইসেন্স দিয়ে রাখা হয় । আমাদের সৌভাগ্য বিএনপি দূর্বল নতুবা বিশ্বজিতের সংখ্যা কোথায় যেত !
১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
শ্রমন বলেছেন: @মাজহারুল হুসাইন ভাই, এমসিকিউ তো আপনি নিজেই দিয়ে দিলেন, ১০ জন মরা না পিকেটার বিহীন হরতাল! সম্ভবতঃ আপনার চয়েসে হিট এন্ড রান, গাড়ি, বাড়ী, ট্রেন ও মানুষ পুড়িয়ে আতংক সৃস্টি করে যখন পিকেটারবিহীন হরতাল হবে তবে আপনার ভাল লাগবে অর্থাৎ এখন যা হচ্ছে? তাই কি? হাতী তো অনেক বড় জন্তু, ভাগ্যিস মানুষ খায় না, কেউটে সাপ ছোট, কিন্তু ছোবলে মানুষ মরে যায়! এসব ভেবে ভেবে দার্শনিক হয়ে চলতে থাকবো ভাই, আর আমাকে ঝোলাতে আপনার দরকার পড়বে না, সময় মতো আল-বিদা বলে নিজেই ঝুলে পড়বো, অপ্রাসঙ্গিক কথায় কি লাভ বলুন?
১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: বিএনপির হিট এন্ড রানে কয়জন মারা পড়ল । খুব তো কাল কেউটে গল্প ঝাড়লেন । আর হাম্বারা কত মেরেছিল ।
জামাতের আগে এই হাম্বারাই পুলিশ মেরে প্যান্ট খুলে নিয়েছিল ।
দুঃখ হল জামাত আর হাম্বা নামক দুই সন্ত্রাসি সংগঠনের মাঝে বিএনপি নামক রাজনৈতিক সংগঠন খুবই বিপদে আছে ।
২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
শ্রমন বলেছেন: যাক মাঝারুল সাহেব, আপনাকে তো পেলাম, আপনার বিএনপি ধুঃখ কমপ্লেক্স একদম ফুরফুরে হয়ে যাবে, এবার "হুকুমতে এলাহী" ওয়ালাদের সাথ দিন, জামাত এক নম্বর (ওদের ডাক কেমন ভাই? হাকলুম, এই খেলুম নাকি পেলুম, বি এনপি কে পেলুম?)! হাম্বা ওয়ালাদের তূলনায় বিএনপি-র জন্ম বেত্তান্ত তো শুনলেন, সেনাবাহিনীতে কত শত ফাঁসির জন্যে বি এনপি দ্বায়ী তাকি কি কখনো শুনেছেন? সেই তথাকথিত "সিপাহী বিদ্রোহ" আর "এয়ায়র ফোর্সের" তথাকথিত সামরিক অভ্যুত্থান সাজিয়ে?
তবু আমি নির্দ্বিধায় ববো জিউয়ার রহমান তা অন্যায় করেন নি হয় তো সামরিক বাহিনীর চেইন অব কম্যান্ড রক্ষা করতে যেটি আসলেই এক টি সেনাবাহিনীর মর্যাল!
হাম্বা ওয়ালারা সে স্কোপ পায়নি, কারন ভারতীয় আর্মী তা করতে দেয়নি, তা আমরা যারা ঢাকায় সেক্টর-২ ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলাম তারা হাড়ে হাড়ে জানি (জি এক হাম্বা মোফাজ্বল হসেন মায়া এই দূর্ধষ শহর ভিত্তিক গেরিলা দলের কমান্ডার ছিলেন! তার, গাজী ভাই (এখন এম পি) ও সর্বোপরি কর্নেল হায়দারের জন্যে রাজাকার পর্যন্ত আমি ও হাম্বারা মারতে পারিনি, কারন নতুন বাংলাদেশ সরকারের হাইকম্যান্ড ও আমাদের হাইকম্যান্ডের কঠোর নির্দেশ ছিল যেন আমরা জেনেভা কনভেনশন অনূসরন করি, প্রতোক গ্রুপকে হাম্বারা তা দিয়েছিল একটি করে (আমি ও যদি হাম্বা হই তাহলে আমিও মারতে পারিনি!)
রক্ষীবাহিনী হাম্বা ছিল না প্রতিটি কর্মী সদস্য মুক্তি যোদ্ধা ছিল, তারা অস্ত্র উদ্ধার না করলে চীনে যেমন বিপ্লবের পর ২১ লক্ষ, রাশিয়াতে ৩০ লক্ষ ও ভিয়েত্নামে ও কাম্পুচিয়ায় প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিল, এদেশেই তার কাছাকাছি মানুষ মারা যেত! সিরাজ সিকদার লুঠ করেছিল প্রায় ১৭ টি বৃহত্তর থানা, রণদিভে থিসিসের ধারায় শ্রেনী শত্রু নিধনে, সেখানে হাম্বারাই বেশী মরেছে! সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর সারা বিশ্বের তূলনায় হাম্বারা বিশেষ কিছু করতে পারেনি!মায়া-মানু-গাজী-উলফাত ইত্যাদি হাম্বার প্রবাদ সম বীরত্বে এই দেশ এসেছে! আমাকে হাম্বা বানিয়ে দিন না, ল্যাঠা চুকে যায়! সাত্তার মারা যাওয়ার পর বিএনপি
নওয়াব ইউসুফ মার্কেটে ঢাকা মহানগর বিএনপির অফিসে বাত্তি দেবার কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি, সিটি কর্পোরেশন পরে এক টি বাল্বের ব্যাবস্থা করেন!
একটি দাওয়াই মিলেছে, হাম্বাদের সাথে লাগতে আপনার বিএনপিকে ভ্যা ভ্যা বলে প্রানকাড়া ডাক ছাড়তে বলুন, কিন্তু এক টু দূরে দূরে, জামাতীদের আবার জবেহ করা নেশা ও পেশা! সতীযি বিএনপি খুব বিপদে আছে, কোন সন্দেহ নেই! রিজভী ছাত্র দলের সভাপতি থাকা কালে যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল কে শিবির রাম ধোলাই দিয়েছিল, রিজভী নিজে তখন বি চোউধুরীর কাছে নালিশ দিতে গিয়েছিলেন, বি চৌধুরী তাকে ব্যাথা নাশিনি সালসা ছাড়া আর বোধ হয় কিছু দিতে পারেন নি ম্যাডামের ঠ্যাঙ্গানির ভয়ে, খোঁজ নিয়ে দেখুন!
যাক ভাই, আমাকে হাম্বা বললেও আমি মাইন্ড খাবোনা (যদিও হাম্বাদের সাথেই আমার বিগত দিনের যত যুদ্ধ!), কিন্তু আপনারা জামাতী হবেন না, কারন জামাত কারো বন্ধু হয়না কখনও!
হাম্বাদের ভেতর খারাপ লোক আছে, সে গুলোকে স্বচ্ছন্দে কোরবানী দিতে পারেন এক শর্তে, আমাকে মাংসের ভাগ দিতে হবে!
২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
শ্রমন বলেছেন: মাজহারুল সাহেব, আপনার নামের বানানভূল হবার জন্যে ক্ষমা প্রার্থী আমি!
২২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আপনি মুক্তিযোদ্ধা জানা ছিল না । আপনাকে সম্মান ।
আর বর্তমানে আপনার আওয়ামীলীগের কান্ডকারখানা সন্ত্রাসীদের মত না । তারপরও আমাদের স্বর্গীয় প্রেসিডেন্ট ২১ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে মুক্ত করে দিয়েছেন । তারা আসলে নিরাপরাধ ছিলেন ।
২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
শ্রমন বলেছেন: @মাজহারুল ভাই, মাল্টিক্লাস রাজনোইতিক পার্টি গুলোতে সূযোগ বুঝে সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ে তাদের নিজেদের স্বার্থে, এতা সব পার্টিতেই বর্তমান! আওয়ামী লিগেও তা আছে, পার্টির উচিত এদের সনাক্তকরন পদ্ধতি বের করে তার বিহীত করা, কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন মহলের স্বার্থের কারনে পার্টি তা পারেনা! বিএনপির শক্তি যথেস্ট আছে, সেই মূল শক্তি জনগণ কে সাথে নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাক, তা সবার কাম্য!
ফাসির আসামী মাপ করার ব্যাপারে আমার বক্তব্য প্রদানের অক্ষমতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থী আপনার কাছে, এটা আমার জানা ছিল না, এই ২১ জন কারা তাও জানিনা! তবে একবার বিএনপি আমলে প্রবাসী এক ফাসির আসামীকে মাপ করা নিয়ে হই চই হয়েছিল, এবার তো সে রকম কিছু হইচই দেখিনি, খবরের কাগজ বেশি না পড়লেও অনলাইন সংবাদ পত্র গুলো তো নিয়মিত পড়ে থাকি! ভাল থাকুন ভাই, আল্লাহ সবার জান্মাল তার হেফাজতে তার ইচ্ছায় রাখুন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৮
ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
এই আন্দলনে বিএনপির তেমন কোন দাবি নাই।
মুল দাবি + হরতাল সুধু জামাতের জন্য করা।
BNP এত বড় দল হয়ে ফালতু জামাতি এজেন্ডার জন্য কাজ করে যাচ্ছে...!!