নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রমন

অতি সাধারন, কিন্তু প্রগতির পক্ষের সামান্য মানুষ!

শ্রমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জবরদস্তির কামুক বীর্য ধুয়ে ফেলে রুখে দাঁড়াও নারী! তুমি সূচিশুদ্ধ ধর্ষক পুরুষের চাইতেও!

০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯



জবরদস্তির কামুক বীর্য ধুয়ে ফেলে রুখে দাঁড়াও নারী! তুমি সূচিশুদ্ধ ধর্ষক পুরুষের চাইতেও!



ধর্ষন নিয়ে যত নারীর সম্ভাব্য যত মর্মান্তিক বেদনা, আক্ষেপ, স্টিগমা, সামাজিক দূর্নাম, ক্রোধ, লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা বোধ ইত্যাদি সবই কিন্তু পুরুষের কন্ঠে বা পুরুষ প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত মগজ ধোলাই নারীদের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশিত হয়ে আসছে আজ পর্যন্ত! কিন্তু এ ব্যাপারে নারীদের স্বাধীন ধারনা কি তা কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিস্ফুট নয় তেমন ভাবে!হায় হায় গেল গেল- ভাবটি এ ব্যাপারে পুরুষের মজ্জাগত!



মার্কেট ইকোনমীর বিকিকিনিতে মানুষও যখন আজ পন্যের পর্যায়ে উপনীত, সেখানে ধর্ষন শব্দটি প্রায় প্রতিটি পুরুষের ভেতর ধর্ষকামী স্বত্তাকে প্রবল ভাবে “চোরা” যৌন তৃপ্তির বিলাস দিয়ে যায়, তাই তো মিডিয়া সেই সব খবর এত খায়, কাটতি বাড়ে সংবাদ পত্রের! সাথে সাথে বেশীরভাগ পুরুষ ই কল্পনা করে সেই তথাকথিত ধর্ষিত নারীদেহটি, তার নগ্নতার অবয়ব এবং মাংসল সুখ প্রাপ্তির সম্ভাবনা! এটাই সেই গণ-মনস্তত্ত্ব যা সব ধরনের ধর্ষনের পেছনের চালিকা শক্তি! যতদিন শুধুমাত্র পুরুষ শাসিত সমাজ থাকবে ততদিন এই কর্মটির বিনাশ তো হবেই না, বরং এর নানা ধরনের “চিত্তাকর্ষক” ব্যাতিক্রম ধর্মী কর্মকান্ড বা “ভেরিয়েশন” পয়দা হতেই থাকবে পুরুষের জন্যে!



অনাদি অনন্তকাল থেকে নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে, পুরুষ ধর্ষন করছে! আবার পুরুষ শাষিত সমাজ তা নিয়ে হই চই বাধাচ্ছে যে ধর্ষন মহা অন্যায়, একে রুখতেই হবে!কিন্তু এত কিছু করেও ধর্ষন ঠেকানো যাচ্ছে না! হয়তোবা যাবেও না!

আচ্ছা ধর্ষনকারী পুরুষের জাত যায় না কেন? তারা পতিত হয় না কেন? তাদের কেউ কি গেল গেল বলে সহানুভুতি দেখায়?

না দেখায় না আর তার কারন হলো যূগাযূগ থেকে গণ-মনস্তত্ত্বে এটাই স্বীকৃত যে পুরুষরা ধর্ষন করতে পারে,তারপর লিঙ্গ ধুয়ে ফেললেই তারা সুচিশুদ্ধ হয়ে যায়!



কিন্তু মেয়েরা তা পারেনা কেন? আমার প্রশ্নের সমাধান সেখানেই বর্তমান বলে আমি মনে করি! হাজার বছর ধরে দৈহিক ভাবে “ওভার-পাওয়ার্ড” করে মেয়েদের পুরুষ শাসিত সমাজ শিখিয়েছে যে তোমরা যেহেতু ধর্ষনের বীর্য দৈহিক গড়নের ফলে অনিচ্ছাতেও গ্রহন করতে বাধ্য হও তাই তোমাদের কুল মান সব গেলো!



কিন্তু আসলে ধর্ষন একটা তৃতীয় স্বত্ত্বা, সেটি পুরুষ কখনও স্বীকার করেনি! পুরুষের ভেতর থেকে সংস্কার আর দৈহিক শক্তির ঘাড়ে চেপে সেটি হঠাৎই হাজির হয়, আর কুকর্মটির পরে আবার পুরুষের ভেতরই তার ঘাপটি মেরে থাকার স্থানে আশ্রয় গ্রহন করে!



এর সমাধান চাইলে প্রায় অলৌকিক কিছু কাজ করতে হবে, তাতেই ধর্ষনের মতো মানুষের কূ-প্রবৃত্তি চিরদিনের জন্যে একদিন বিদায় নেবে, কিন্তু তার জন্যে প্রয়োজন মানব সভ্যতার এক বিরাট ও আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া!



আর তা হলো নারীদেরও বলে দিতে হবে প্রবল দৈহিক বা মানসিক শক্তির কাছে যদি পরাভূত হয়ে যদি বীর্য গ্রহনে বাধ্য হও,পুরুষের মতোই তুমি তা ধুয়ে ফেল, আর তার পর নিজেকে সূচিশুদ্ধ ভাবতে অভ্যস্ত হতে শেখ! ধর্ষনের বদলে প্রয়োজনে পালটা ধর্ষন কর, ইচ্ছে হলে তোমার তৃপ্তিও নাও, তারপর পুরুষের মতোই ছুড়ে ফেলে দাও পুরুষ বর্জ্যকে!



আঘাতের বদলে আঘাত কর! মানুষের আদালতে বিচার হোক কে কাকে আঘাত করলো তার,আঘাতের, ধর্ষনের মামলা নারী তুমি প্রত্যাহার করে নাও, পুরুষ শাসিত বিচারালয়ের সাজানো আইনে ধর্ষনের বিচার চেয়ে ধর্ষকামী পুরুষ প্রবৃত্তিকে আর বাড়তি যৌন তৃপ্তি পেতে দিওনা!



নারী তুমি মনে রেখ, পুরুষের মতো তূমিও অনাহুত কামুক বীর্য ধুয়ে ফেলে স্বচ্ছন্দে সূচিশুদ্ধ হতে পার! বিচার চাও শুধু অত্যাচারের, দৈহিক নিপীড়নের! আর তা বর্তমান পৃথিবীতে দুর্লভ নয়!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১১

মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: পোষ্ট টি বেশী নেগেটিভ তাই পোষ্টে সহমত নই। ধর্ষনের মত কাজ এমনি এমনি হয় না ,দুজনের ই ইন্ধন থাকে।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

তাসজিদ বলেছেন: মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: পোষ্ট টি বেশী নেগেটিভ তাই পোষ্টে সহমত নই। ধর্ষনের মত কাজ এমনি এমনি হয় না ,দুজনের ই ইন্ধন থাকে।

মি, সমপ্লেমান, তাহলে আর অভিধানে রেপ বলে কোন কথা থাকতো না।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

শ্রমন বলেছেন: @মি.সিম্পলম্যান, পুরুষের চিরায়ত পেশী শক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সুবিধাবাদী সামাজিক সংস্কারই নারীকে ধর্ষন করে, সেটার রিভার্স করতে চাইলে জাতকের কাহিনী শোনালে তো হবেনা, দরকার মানসিকতার আমুল পরিবর্তন! এই আদিপাপ কোন আইন কওরে বন্ধ করা যাবে না, ধর্ষন শব্দটি পুরুষ আবিস্কৃত। ঘটে গেলে সেটা দূর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার বলে সামাজিক ভাবে গন্য করা হোক! ক্ষত থাকুক আঘাতের, বিচার হোক তার, কিন্তু সামাজিক ভাবে "অটোমোজাইড" সেই অত্যাচারিত কোন ভাবেই পতিত না হয়য়, যেন গনমাতের মাল হাত বদল না হয় বার বার! শান্তির ললিত বানী শুনিয়ে, হিতোপোদেশ দিয়ে বা বিচার দিয়ে মানব সভ্যতা এটাকে ঠেকাতে পারেনি, তাই দরকার "ধর্ষনের" নতুন সামাজিক ও নৈতিক পারসেপশন, এটা যে সাপের কামড় বা বাঘের আঁচড় ধরনের দূর্ঘটনা! বাতাস আর পানি যেমন নারীর অঙ্গ প্রতঙ্গ স্পর্শ করলেও তার ভেতর যৌনতা থাকে না, তথাকথিত "ধর্ষনে" কোন যৌনতা নেই বোধটি যেন আমরা মনে রাখি!কারন একতরফা কর্মকান্ড যৌনতার শর্ত পুরন করে না যা "ধর্ষনে" ঘটে! তাই পুরুষের মতো নারীও যদি ধুয়ে ফেলে দেয় শারিরীক ও মানসিক "কালিমা", তা হলে সমাজ থেকে "ধর্ষন" নামের কূ-কর্মটির গায়েব হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না! সেটা চিত্রিত হবে দূর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার হিসেবে! কিন্তু সভ্যতার ইতিহাসে নারীকে এই প্রথমবার দৈহিক কারনে রুখে দাড়াতেই হবে, এ রুখে দাঁড়ানো অনিবার্য!

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

শ্রমন বলেছেন: মি.সিম্পলম্যান, দু জনের ইনহন আছে বা নারী অলক্ষে হাতছানি দেয় এসবই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আবিস্কার! নারী আর পুরুষ কে নারী পুরুষ হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখার চেস্টা করুন!যদি দুই পক্ষের (যদিও দুই পক্ষ বলে এখানে কিছুই নেই, আছে ব্রিচ অফ কমিট্মেন্ট!) ইন্ধন থাকে তা হলে সেটা "ধর্ষন" হয় না!

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

শ্রমন বলেছেন: @তাসজিদ, নারীদের যৌনতা নিয়ে পুরুষের আগ্রহের সীমা নেই, কিন্তু নারীদের ও মানুষ হিসেবে কি চাওয়া কখনও বিচার করে দেখেনি পুরুষতান্রিক সমাজ! স্বকপোলকল্পিত নানা তত্ত্ব অবিরাম নারীদের ব্যাপারে আবিস্কারে রত আমরা পুরুষেরা, চারপাশ দেখলেই তা বোঝা যাবে আর এই কান্ড চলছে পৌরানিক যুগ থেকে, লংকা জয় হল, কিন্তু সীতাকে অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়েছিল, লেখন কিন্তু পুরুষ আর্য্য কবি বাল্মিকি!

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

নতুন বলেছেন: মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: পোষ্ট টি বেশী নেগেটিভ তাই পোষ্টে সহমত নই। ধর্ষনের মত কাজ এমনি এমনি হয় না ,দুজনের ই ইন্ধন থাকে

অবাক হইলাম কমেন্টে :| :|

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

কাজী ভাইয়া বলেছেন: @শ্রমন। আপনি নারী না পুরুষ ? পুরুষ হোলে বলুন - আপনি ছাড়া বাকি পুরুষদের উপোর পোস্টটি ।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

শ্রমন বলেছেন: @কাজী ভাইয়া, আমি পুরুষ আর পোস্টটি সকল মানুষের প্রতি!

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

শ্রমন বলেছেন: @কাজী ভাইয়া, আমি পুরুষ আর পোস্টটি সকল মানুষের প্রতি!

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

রাজীব বলেছেন: সমর্থন জানালাম
অনেক বেশী নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে এটি নিয়ে আলোচনা দরকার।
সমস্যা হলো পুরুষশাসিত সমাজ এবং যেসব নারী বাদীরা নিজেদেরকে নারী নেত্রি বলেন তারাও মানসিক ভাবে পুরুষ শাসিত ও পুরুষ শাসনে অভ্যাস্ত।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

শ্রমন বলেছেন: @রাজীব, আমি পুরোপুরি একমত আপনার সাথে, যূগে যূগে পুরুষ শাসিত সমাজ সেই নারী নেতৃত্বকেই স্পন্সর কেরেছে যারা তাদের অনূমোদিত ও প্রনীত কর্মকান্ড চালিয়েছে ও তাদের দুস্কর্মে সহায়তা ও সমর্থন দিয়েছে, যারা বিরোধিতা করেছে, সেই সব নারী কখনও নেতৃত্বে আসতে পারেনি, তাদের নানা ভাবে নাজেহাল করে "ওই মেয়েটা খারাপ ও নস্ট" ঘোষনা করেছে এই সমাজ! এটাই সেই ণঃমনস্ততত্ব যা পুরুষ শাসিত ইম্পোজড করে ট্রাডিশনাল বিলিফের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে! দেখুন বিজ্ঞাপনে নারীর কি আকছার আর অপব্যাবহার, কিন্তু তার পেছনে কারা কাজ করছে? বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতের আয়োজক কারা, কই বিশ্ব-সুন্দর পুরুষ প্রতিযোগীতা তো হয়য় না কখনও কেন? কর্পোরেট কালচার আর মার্কেট ইকোনমী ও কিন্তু পুরুষের স্বার্থ রক্ষা করে করা হয়েছে যেখানে নারী এসেছে পন্য হিসেবে, যৌনতার প্রতিভূ হিসেবে! নারী কে সত্যিকার অর্থে এক হতে দেয়াই হয় নি আজ পর্যন্ত স্বাধীন ভাবে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে! কেনো কেউ ভাবলো না যে তথাকথিত ধর্ষনের পর সংশ্লিস্ট অঙ্গ ধুয়ে পুরুষ ফের নিজের বাড়ী যেয়ে গুড বয় হতে পার লে নারীও তা কেন পারবে না? নারী যেদিন থেকে তা পারবে, তার পরদিন থেকে ধর্ষন শব্দটি অভিধান থেকে উঠে যাবে! আপনি লিখেছেন যে "সমস্যা হলো পুরুষশাসিত সমাজ এবং যেসব নারী বাদীরা নিজেদেরকে নারী নেত্রি বলেন তারাও মানসিক ভাবে পুরুষ শাসিত ও পুরুষ শাসনে অভ্যাস্ত" তার কারন কি জানেন? নারীকে হাজার বছর ধরে পুরুষ বনসাই" মানবে পরিনত করেছে ্তাদের বাহুবল ও অন্যান্য ফন্দি ফিকিরে! দেখুন এই পোস্টটি উল্লেখ যোগ্য বিষয় নিয়ে ব্যাতিক্রম ধর্মী বক্তব্য উপস্থাপিত করলেও এটাকে নির্বাচিত পোস্টে নেয়া হয়নি! সেখানে দেখুন কি বিষয় নিয়ে কোন মানের লেখা ছাপা হচ্ছে! অথচ নিজেকে প্রগতিশীল মনে করেন এমন একজন নারী এই ব্লগের প্রধান ও সার্বিক অধিকারি!

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১১

রাজীব বলেছেন: সমস্যা হলো একজন নারী নিজেই নিজেকে মানুষ মনে করে না, মনে করে মেয়ে মানুষ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.