![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু সংখ্যক "নারী"কে সংসদ সদস্যের পরিচয়ে আমাদের সাধারন দেশবাশীর কস্টার্জিত আয়ের থেকে নেয়া ট্যাক্সের টাকায় বিলাস-বৈভব পূর্ন জীবন যাপন করতে ময়দানে ছেড়ে দেয় বড় রাজনৈতিক দল গুলো! এরা হচ্ছেন সিট সংখ্যা অনূযায়ী বরাদ্দ পাওয়া সংরক্ষিত নারী সিটের নারীরা যাদের অধিকাংশই নিম্নস্তরের মানসিকতা সম্পন্ন ছিটেল বা বাতিক গ্রস্থ নারী বলে অনেকের ধারনা যা এরা তাদের বিভিন্ন কাজে প্রমান করে যাচ্ছেন! এরা সাধারনতঃ কোন নেতার স্ত্রী, শ্যালিকা, প্রাক্তন বা বর্তমান বিশেষ খাতিরের মানুষ হয়ে থাকেন! ব্যাতিক্রম যে নেই, তা নয়, তবে আমি বেশীরভাগের কথাই বলছি! বিলাস বহুল জীবন যাপনের সাথে সাথে এরা লাল-পাসপোর্টের বদৌলতে নানা দেশ পরিভ্রমন করে বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজের তেরটা বাজান! আবার বিদেশে বিভিন্ন সরকারী আমন্ত্রনে এরা হন ডেলিগেশন মেম্বার!
জাতীয় সংসদে এরা না আসলে কারা কারা অসন্তস্ট হয় তা আমি জানিনা, কিন্তু এদের মুখের খিস্তি-খেউড়ের ভাষায় যে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম দ্রুত "বিশেষ" শিক্ষা লাভ করে চলেছে, সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে!
আমার আত্মীয়ের ভেতর একটি ডেপো টাইপের শিশু আছে, যে ইদানিং খবরের কাগজ পড়তে শিখেছে (তাই বলে এমন নয় যে প্রচলিত সভ্য-ভব্যতার বাইরে!)! তার অভিভাবকদের একজন বেশ অসুস্থ, আত্মীয় হিসেবে আমি গিয়েছিলাম সেই অসুস্থ মানুষটির একটু খোঁজ খবর করতে!
আমাকে দেখেই এই মহী-রাবন শিশুটি বলে উঠলো, "হ্যালো, চুত-মারানি! হাউ আর ইয়ু"!
আমি লা-জবাব, তারপর কিসের শিশু অধিকার, দিলাম কসে এক থাপ্পড়! "তুমি বেশী চুদুর-বুদুর করছো" এই মূল আপ্তবাক্যটি মূল ভাষ্য হিসেবে নিয়ে আরও নানা অভিযোগের সাথে শিশুটি কাঁদতে লাগলো, কারন সে মার খেয়ে অভ্যস্ত নয় কস্মিন কালেও, এখন তো আবার শিশু অধিকারের যূগ, সব "রাইট বেজড অ্যাপ্রোচ"!
কয়েকদিন আগে পেশাগত কারনে বিদেশে গিয়েছিলাম, দেশে ফিরে বাড়ী আসার এক ঘন্টার মধ্যেই আমি এই আত্মীয় বাড়ীতে এসেছিলাম!
ইত্যোবসরে শিশুটির একজন অভিভাবক এসে তাকে পর্যাপ্ত বকুনী দিয়ে বাড়ীর ভেতরে পাঠিয়ে দিলেন, আর আমাকে বললেন ভাই, সংসদের ওই নারী (আমি শোভনীয় ভাষা
ব্যাবহার করছি, তিনি তাকে বিশেষ এক টি স্থানের বাসিন্দা বলে বর্ননা করছিলেন!) এসব বলেছেন আর খবরের কাগজে তাই নিয়ে রগ রগে লেখালেখি চলছে! বাচ্চাটি আমাদের কাছে গত দুদিনে কয়েকবার ওই কালান্তক "চূত-মারানী" শব্দটির অর্থ জানতে চেয়েছে, কিন্তু আমরা কেউই তাকে এই অর্থটি বলতে পারিনি! আর তার ফলেই এই বিভ্রাট!
আমার তখনই মনে হলো বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছি বাচ্চাটাকে চড় মেরে! মনে পড়ে গেল অন্নদাশংকরের লেখা ও সলিল চৌধুরীর সুরে গাওয়া অন্তরা চৌধুরীর সেই বিখ্যাত গানটিঃ "তেলের শিশি ভাংগলো বলে শিশুর ওপর রাগ কর, তোমরা যে সব ধেঁড়ে খোকা বাংলা ভেঙ্গে ভাগ করো-তার বেলা?"
নিজেকে প্রশ্ন করলাম, রক্তাক্ত মুক্তিযূদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা প্রাপ্তির চল্লিশ বছরের মাথায় আমরা পূরো জাতটাই কি আজ "চূত-মারানি" হয়ে গেলাম?
এর জন্যে কারা দ্বায়ী আর এর সমাধানই বা কি?
২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
শ্রমন বলেছেন: @ধূসর সপ্ন, ভাই, যাক্কাস তো লিখলাম, কিন্তু এই "গাতক"দের থামাবে কে? কার্যবিবরনী থেকে তো স্পীকার "এক্সপাঞ্জ" করছেন, কিন্তু শিশুমনের থেকে এই সব "দূর্লভ অমৃতবানী" কে এবং কি ভাবে এক্সপাঞ্জ" করবে? এখন মান্যবর বিচারপতিরা দেশের এই ভাষা ও মানুষের সংস্কৃতির বিকট ক্ষতির জন্যে কি সূয়োম্যাটো করতে পারেন না?
২| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
সরদার হারুন বলেছেন: মাছের মাথা আগে পচে পরে পচে দেহ।দেশের মাথা পচে গেলে আগে পচে সংসদ ।আমার মনে হয়
এখন সমাজও পচতে শুরু করবে ।
যে সব মহিলা বা পুরুষ সংসদে দাড়িয়ে অশ্ললিল বাক্য বলে স্পীকার তাদের বেড় করে দিতি পারবেন
এরূপ একটি আইন পাশ করা উচিৎ।
৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
সরদার হারুন বলেছেন: মাছের মাথা আগে পচে পরে পচে দেহ।দেশের মাথা পচে গেলে আগে পচে সংসদ ।আমার মনে হয়
এখন সমাজও পচতে শুরু করবে ।
যে সব মহিলা বা পুরুষ সংসদে দাড়িয়ে অশ্ললিল বাক্য বলে স্পীকার তাদের বেড় করে দিতি পারবেন
এরূপ একটি আইন পাশ করা উচিৎ।
২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
শ্রমন বলেছেন: @সরদার হারুন ভাই, আইন যারা করবেন তাদেরই তো এই দশা, চট কল থেকে বস্তা বের হয়, একই পাট দিয়ে কার্পেত মিল থেকে বের হয় কার্পেট! এই সংসদটি কোন জাতীয় ফ্যাক্টরী, তা কি বোঝা যায়?
৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
যোগী বলেছেন:
ঐ মহিলা হয়তো নিজের জন্য ঐ শব্দটা শুনতে খুব পছন্দ করেন, বাট, স্যরি আমি একজন নারীকে সেই শব্দটা শুনাতে পারবনা।
২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
শ্রমন বলেছেন: যোগী ভাই, ঐ সবা বলতে হলে আপনার নিক পালটিয়ে "ভোগী" হতে হবে মনে হয়য়!
৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২২
এস বাসার বলেছেন: সংসদের রক্ষীতাদের এর চেয়ে ভালো কোন বিশেষনে ...... না, ুতমারানিই ভালো।
২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
শ্রমন বলেছেন: ছেলেবেলায় বাসে লেখা দেখতাম, ব্যাবহারে বংশের পরিচয়! প্রবাদ আছে যে গোপাল ভাঁড় কে একটি লোকের আসল জাত বের করতে রাজা নির্দেশ দিয়েছিলেন কারন সে সব ভাষাতেই কথা বলতো, গোপাল লোক্টিকে হঠাত কসে একটা চড় মারতেই সে যে ভাষায় কথা বলে ঊঠলো, তাতেই প্রমান হয়ে গেল সে কোন জাতের বা ভাষার লোক!
৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৫
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আগের দিনে আমাদের দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে নাকি কে কোন বংশের লোক টা দেখে তারপর সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ দেয়া হত। আমার মনে হয়, আবার ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সেই দিকটা আবার দেখার সময় এসে গেছে। পরিবার আর বংশ পরিচয় বা ব্যাকগ্রাউন্ড না দেখা উচিত না।
৭| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
সরদার হারুন বলেছেন: এখন বংশ পরিচয় বা শিক্ষাগত যৌগ্যতার দরকার নেই । তা না হলে বেরিস্টারও সেভেন পাশের ডান্ডার নিচে বাস করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
ধূসর সপ্ন বলেছেন:
মাইরি বস, যাক্কাস লিখেছেন ! আমরা সবাই ''চূত-মারনিই'' হয়ে যাইতেছি !!