নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রমন

অতি সাধারন, কিন্তু প্রগতির পক্ষের সামান্য মানুষ!

শ্রমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদে "চুদুর-বুদুর" চলবেঃ বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ সংযোজন!

২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

বাংলাদেশ সংসদের মাননীয় স্পীকার ডক্টর শিরিন শরমিন চৌধুরী যে ভাষাতত্ত্ব-বিদ, আমি কেনো, অনেকেরই তা জানা ছিলনা! জনগন, যাদের বৃহত্তর অংশই দরিদ্র, তাদেরই ট্যাক্স এর টাকা থেকে মিনিটে ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের খিস্তি-খেউড় উত্তর পজিশন-অপজিশন "ভাই-বোন একমন" জাতীয় আপোষ রফায় মাননীয় স্পীকার জানিয়ে দিয়েছেন যে তাদের কারনেই দেশ ব্যাপী বহুল আলোচিত "চুদুর-বুদুর" শব্দটি মোটেই অশ্লীল নয়, তাই এটাকে "এক্সপাঞ্জ" করা হবে না (অবশ্য আমার মতো মূর্খ ও গাড়োলদের মতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কোন বক্তব্যই "এক্সপাঞ্জ" না করে "ইন্ট্যাক্ট" তা জাতীয় আর্কাইভে রাখলে ভবিষ্যতে দেশবাসীর অনেকে টিকেট কেটে ওসব দেখতে ও শুনতে যাবে ও পিপিপি-র মাধ্যমে তা বাজারজাত করলেও প্রচুর আভ্যন্তরীন টাকা রাজস্ব জোগান দেবে!)! ভাগ্যিশ ডক্টর শহীদুল্লাহ সাহেব বা ডক্টর সূনীতিনারায়ন বা ডক্টর হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রমূখ জীবিত নেই, তা হলে তারা আরেকবার করে মারা যেতেন (সম্ভবতঃ)!



এবার আসুন, "চুদুর-বুদুর" শব্দটির "জেনেসিস" নিয়ে সামান্য আলোকপাত করা যাক (আমি ভাষাতত্ত্ববিদ নই, কিন্তু আম-জনতারও কথা বলার অধিকার আছে, যারা ট্যাক্স দেন আমি তাদের একজন!)!



সাধারনভাবে "চদু" শব্দটি দিয়ে এমন একজন ব্যাক্তিকে বোঝানো হয় যে একটি "বিশেষ জৈবিক কার্য" সম্পাদনে পটিয়সী বা তাকে অন্যের দ্বারা সেই "বিশেষ জৈবিক কার্য"টিতে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় রত হতে হয়!



এমত অবস্থাতে "চুদুর-বুদুর" শব্দটির মানে দাঁড়ায় ওই "বিশেষ জৈবিক কার্য"টির নিমিত্তে করনীয় কার্যাবলী! আর অমৃত বাক্য "চুদুর-বুদুর চইলতোনা" বললে তার অর্থ দাঁড়ায় কোন ব্যাক্তি ওই "বিশেষ জৈবিক" কার্যটির নিমিত্তে করনীয় কার্যাবলীতে রত রয়েছে এবং মাননীয় নারী সংসদ সেটি আঁচ করেই তাকে তা করতে হুঁশিয়ারী দিচ্ছেন! এর সাথে আইনের ভাষায় "সারকামোস্ট্যানশিয়াল" এভিডেন্স, যে একই পক্ষ থেকে "চূত-মারানী" ধরনের "উচ্চাঙ্গের" বাক্য ব্যাবহৃত হয়েছে!

তাই "চুদুর-বুদুর" যদি অশ্লীল না হয়, তাহলে যূক্তি অনূযায়ী "চূত-মারানী"ও অশ্লীল নয়! আশা করি সম্মিলিত বোদ্ধা সমাজ এ ব্যাপারে একমত হবেন!



আচ্ছা, আমেরিকা আর পশ্চিমারা তো আমাদের এখন সর্ব বিষয়ে মুরব্বী, তারা যাদের সাপোর্ট দেন তারাই শেষ হাসি হাসে, তারা যাদের প্রশ্রয় দেন না, তারা কাঁদে! এই আমেরিকান আর পশ্চিমা ফিল্ম দেখে আমরা আর্ট বুঝি, আত্মশ্লাঘায় ভূগি! সেখানে প্রায়ই দেখি তারা কথায় কথায় "মাদার-ফাকার" বলে, আমরা তাতে "মাইন্ড" করিনা, ফিল্মটির গূঢ়ার্থ বোঝার কোশেশ করি!



তা হলে এমন টি হলে ক্যামন হয় যে "চূত-মারানী" ও "চুদুর-বুদুর" ইত্যাদি অপরিহার্য শব্দ বাদ দিয়ে এবার থেকে আমরা "মাদার-ফাকার", "ফাক ইউ" বা "শিট" ও "বিচ" বা "সান অফ এ বিচ" ইত্যাদি আমেরিকা আর পশ্চিম শব্দ চালু করি, তাতে আমাদের "নির্বাচিত" সঙ্গসদ সদস্যরাও প্রান খুলে কথা বলতে পারেন, গ্লোবালাইজেশনেও আমাদের বিরাট ভূমিকা থাকে, আবার নিজেদেরও বেশ ট্যাশ আমেরিকান আর পশ্চিমা বলেও আত্মশ্লাঘায় ভূগতে পারি! নিন্দুকেও কিছু বলতে সাতবার ভাববে কারন সেটা তাদের ও ঙ্কাঙ্খিত "মেরিকার" ভাষা ও কালচার!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবেগের চেয়ে জ্ঞান বেশী জরুরী। নয় কি?...

চুদুর বুদুর নিয়ে চুদুরবুদুর না করে- একটু জেনে নিন..

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্মল দাসকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি লিখেছে, রেহানার ফেনী জেলার পাশেই ফেনী নদীর ওপারে ত্রিপুরার সাব্রুম জেলা। দু’পারের ভাষায়ও যথেষ্ট মিল । চুদুরবুদুর শব্দটি সেখানেও চালু।

“শব্দটিকে কিছুতেই অশ্লীল বলা যাবে না। তবে ঠিক, ভদ্রসমাজে তেমন ব্যবহার হয় না। উল্টোপাল্টা কাজ করা, নড়বড়ে থাকা, ইত্যাদি অর্থ ধরে এই শব্দের ব্যবহার।”

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকারও আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘চুদুরবুদুর’ গ্রাম্য শব্দ, অশ্লীল নয়।

এই শব্দের শুলুক সন্ধানে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান থেকেও উদ্ধৃত করেছে আনন্দবাজার।

“ওই অভিধানের প্রধান সম্পাদক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ওই অভিধানে চুদুবুদুর-এর তিনটি অর্থ দেওয়া হয়েছে। এক, বাড়াবাড়ি করা। সিলেট, পাবনা অঞ্চলে এই অর্থে ব্যবহার দেখা যায়। দুই, গড়িমসি। এই অর্থে ব্যবহার বেশি ময়মনসিংহ, ঢাকায়। তা ছাড়া এক ধরনের খেলাও রয়েছে, যার নাম চুদুরবুদুর।”

২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

শ্রমন বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু, ভাই, জাতীয় সংসদে বলা ভাষা কেনো অত ফন্দি-ফিকির করে বুঝতে হবে? কেনো থিসিস মিলিয়ে বুঝবেন জনগন! আপনার তো ভাল জ্ঞান আছে দেখছি, কিন্তু সংসদে এমন সাধারনের কাছে দ্বৈত-অর্থবোধক বলে মনে হয়য় সে ধরনের ভাষার প্রয়োগ কেনো, কেনো সেখানে সাধারন বাংলা ভাষায় কথা বলা হবে না? সিলেটে কিছু এলাকায় চান্দা মাছকে "হোগা" মাছ বলে, সেই টি ই কি "আইকন" হবে, নাকি প্রচলিত ভাষায়ই জনগন বুঝবে তাদের সংসদের বাক্যালাপ? সংসদ তো কোন স্থানীয় "মিট" নয়, তা হলে কেনো তার ভাষা বুঝতে আমাদের ভাষাতত্ত্ববিদ দের শরনাপন্ন বা তাদের উদ্ধৃতি প্রয়োজন হবে? আসলে কি বলা হয়েছে তাকি আপনি জানে না? আমার তো মনে হয় সারা দেশবাশী জানেন। অবশ্য আমি মূখ্যু মানুষ, আমিই কম বুঝি!

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

শ্রমন বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু, আমি ট্যাক্স দিই, ওরা আমার ট্যাক্সের টাকায় সংসদে বসে ফূটানি মারায়! কেনো ওরা দেশের বৃহত্তর জনগনের ভাষায় কথা কইবেন না? আপনি কাদের জন্যে বিদ্রোহী ভাই? "চুদুর-বুদুর" কে হালাল করতে এখন সারা "হিন্দুস্তান", মানে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব-ভারতী আর আনন্দ গ্রুপকে এনে "চুদুর-বুদুরের" পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেওয়াচ্ছেন? আপনি তো তাহলে "পোষা" রে ভাই! আপনি আমার জ্ঞান্যের কথা তুলেছেন! প্রিয় "পোষা ভৃগু" আপনার উল্লেখিত অন্ততঃ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি অধম ভিজিটিং ফেলো! তাই হে ভৃগু বাবাজী, জ্ঞান যে এখন খানিকটে আপনাকে নিতে হচ্ছে!
আমি পূরোন ঢাকার ছেলে, কিছু জায়গা আছে এখানে যেখানে বাপ ছেলেকে বলে থাকে " আবে হালায়, তোর মায়েরে খানা দিবার ক'!" তার মানে বাপ তার ছেলেকে "শালা" বলছে, এটি লব্জ! তাই বলে এই ভাষা কি জাতীয় সংসদে যাবে? শামসূর রাহমান এমনই পূরোনো ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন, তার "এই মাতোয়ালা রাইত" কবিতাটি পড়ে দেখবেনঃ

"এই মাতোয়ালা রাইত
শামসুর রাহমান
.....................
হালায় আজকা নেশা করছি বহুত। রাইতের
লগে দোস্তি আমার পুরানা, কান্দুপট্টির খানকি
মাগীর চক্ষুর কাজলের টান এই মাতোয়ালা
রাইতের তামাম গতরে। পাও দুইটা কেমুন
আলগা আলগা লাগে, গাঢ়া আবরের সুনসান
আন্দরমহলে হাঁটে। মগর জমিনে বান্ধা পাও

আবে, কোন্ মামদির পো সামনে খাড়ায়? যা কিনার,
দেহস না হপায় রাস্তায় আমি নামছি, লৌড় দে;
না অইলে হোগায় লাথ্থি খাবি, চটকানা গালে।
গতরের বিটায় চেরাগ জ্বলতাছে বেশুমার।

আমারে হগলে কয় মইফার পোলা, জুম্মনের
বাপ, হস্না বানুর খসম, কয় সুবরাতি মিস্ত্রি।
বেহায়া গলির চাম্পা চুমাচাট্টি দিয়া কয়, 'তুমি
ব্যাপারী মনের মানু আমার, দিলের হকদার।'

আমার গলায় কার গীত হুনি ঠাণ্ডা আঁসুভরা?
আসলে কেউগা আমি? কোন্হানতে আইছি হালায়
দাগাবাজ দুনিয়ায়? কৈবা যামু আখেরে ওস্তাদ?
চুড়িহাট্টা, চান খাঁর পুল, চকবাজার, আশক
জমাদার লেইন, বংশাল; যেহানেই মকানের
ঠিকানা থাউক, আমি হেই একই মানু, গোলগাল
মাথায় বাবরি; থুতনিতে ফুদ্দি দাড়ি, গালে দাগ,
যেমুন আধলি একখান খুব দূর জামানার।

আমার হাতের তালু জবর বেগানা লাগে আর
আমার কইলজাখান, মনে অয়, আরেক মানুর
গতরের বিতরে ফাল পাড়ে; একটুকু চৈন নাই
মনে, দিল জিঞ্জিরার জংলা, বিরান দালান। জানে
হায়বৎ জহরিলা কেঁকড়ার মতন হাঁটা-ফিরা
করে আর রাইতে এমুনবি অয় নিজেরেও বড়
ডর লাগে, মনে অয় যেমুন আমিবি জমিনের
তলা থন উইঠা আইছি বহুত জমানা বাদ।

এ-কার মৈয়ত যায় আন্ধার রাইতে? কোন ব্যাটা
বিবি-বাচ্চা ফালাইয়া বেহুদা চিত্তর অইয়া আছে
একলা কাঠের খাটে বেফিকির, নোওয়াব যেমুন?
বুঝছোনি হউরের পো, এলা আজরাইল আইলে
আমিবি হান্দামু হ্যাষে আন্ধার কব্বরে। তয় মিয়া
আমার জেবের বিতরের লোটের মতই হাচা মৌত।

এহনবি জিন্দা আছি, এহনবি এই নাকে আহে
গোলাব ফুলের বাস, মাঠার মতন চান্নি দিলে
নিরালা ঝিলিক মারে। খোওয়াবের খুব খোবসুরৎ
মাইয়া, গহীন সমুন্দর, হুন্দর পিনিস আর
আসমানী হুরীর বারাত; খিড়কির রৈদ, ঝুম
কাওয়ালীর তান, পৈখ সুনসান বানায় ইয়াদ।
এহনবি জিন্দা আছি, মৌতের হোগায় লাথথি দিয়া
মৌত তক সহিসালামত জিন্দা থাকবার চাই।

তামাম দালান কোঠা, রাস্তার কিনার, মজিদের
মিনার, কলের মুখ, বেগানা মৈয়ত, ফজরের
পৈখের আওয়াজ, আন্ধা ফকিরের লাঠির জিকির-
হগলই খোওয়াব লাগে আর এই বান্দাবি খোওয়াব!"

আমাদের অন্যতম প্রধান ও প্রমিত কথার কবি কিন্তু তার কোন বক্তব্যে এই ঢাকাইয়া ভাষা বলেন নি, তিনি স্থান কাল পাত্র বুঝতেন, স্থান কাল পাত্র বোঝার মূরোদ এই নারী সংসদের নেই! একই কথা বলার ভঙ্গীমায় ভাল ও হতে পারে, আবার গালিও হতে পারে, আর সাংসদ যে এটিকে গালি হিসেবে দিয়েছেন তাতে তার সহযোগীদেরই সন্দেহ নেই, আপনি "পোষা" ভৃগু হঠাত কেন এর প্রতিবাদী হলেন?

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা শ্রমন ওরফে ভিজিটং ফেলো ওরফে অন্ধ দালাল, তো মাননীয় স্পীকার যখন রুলিং দিলেন আপনি তার বিপক্ষে মনের মাধূরী মিশীয়ে চদু মধুর গল্প লিখ্যা কি বুঝাইতে চাইলেন।?

হ্যা অশ্লীলতার পক্ষে কেউ নই। কিন্তু আপনার প্রিয় নেত্রী যখন চেগলাইয়া চেগলাইয়া কথা বলে-তখন কি আপনার ম্রবনইন্দ্রীয় বন্ধ থাকে। যাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে হাইকোর্ট থেকে রং হেডেড উপাধী দেওয়া হইছিল- তিনি যখন কেবলই কুৎসা আর ব্যক্তিআক্রমনে বিরোধীদের উত্তেজিত করে- তখন আপনার সুশীল বোধ কি ঘুমায়া থাকে না ফেলোশীপের ক্ষতির ভয়ে তখন দিনের বেলা তারা গোনেন!!!!!!

আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি অবশ্যই সভ্য, ভদ্র দল। তবে কেউ আমারে গাইল দিব, বারবার আক্রমনাত্বক কথা কইব- তার উত্তরে একখান আঞ্চলিক শব্দে যাগোর সুশীল চেতনা আতকা খাড়ায় যায়- তারা যে অন্ধ, দালাল তাতে সন্দেহ নাই।

সাহস থাকে বিগত এক বছরের হিসাবেই আসেন। আপনার সরকার, মন্ত্রী সহ সকলের অকথ্য বক্তব্য, জাতিকে অপমানকর, বক্তব্য তালীকা করেন-
আর বিএনপির জবাবেরও তালিকা করেন। চোখ মেলে দেখেন কারা সভ্য আর কারা অসভ্য।

এই সংসদেই কিন্তু পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা নিয়া এরচে হাস্যরস হয়েছিল। তখন তা হাস্যরস! আর এখন - যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা!!! চার বছরের নির্যাতনের জবাব যখন জনগন ব্যালটে দিল...তখন সামান্য আঞ্চলিক শব্দ নিয়া এত বেশী ওভার সেনশেসন দেখানোটা আরোপিত তা সবাই বুঝছে। শুধু অন্ধ আর দালাল শ্রেণী ছাড়া। আর ৪ সতর্ক সংকেতে যে তাদের মাথা আউলা তাও জাতি বেশ বুঝতে পারছে... সো সমস্যা নাইক্যা... ক্যারি অন!!!!


৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শ্রমন বলেছেন: @প্রিয় পোষ্য ভৃগু, জ্ঞানদান করতে এসে পার্টিসান হয়ে গেলেন কেনো?ঞ্জিয়াউর রহমানের দল্টি সেনানিবাসে তৈরী ওপর থেকে চাপান-উতর, কিছু ক্ষমতার হালুয়া রুটি খোরের সমন্বয়, এসব পড়ে তবে বিদ্রোহী হবেন! এতই যদি আওয়ামী বিদ্বেষী, তবে তিনটি উদাহারনই কেনো "হিন্দুস্থান" থেকে দিয়েছিলেন, তার জবাবতো দেন নি? ও মসজিদে উলু ধনি এখনও বাজেনি না, ওটা আপ্নারা বাজাবেন সম্ভবতঃ! এই ব্লগের অ্যাডমিন আপনার এবং আমার উভয়েরই জ্ঞানের পরিধি জানেন, ব্যাক্তিগতভাবে তাদের কাছে জেনে নিতে পারেন আমার সম্পর্কে! আমার আগের পোস্ট সমূহ বি এন পি, জামাত বা আওয়ামী লিগের সবার বিরুদ্ধেই গেছে, যেটাকে আমি প্রতিবাদ যোগ্য মনে করেছি প্রতিবাদ করেছি! আপনি বিদ্রোহী তো ননই, পোষ্য পর্যায়ের ও নন বলে আমার ধারনা! আমি অন্ধ দালাল বলে যদি আপনার ধারনা হয়ে থাকে, তা হলে সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার! আমার মতো মানুষ কে কারো দালাল সাজতে হয়য় না, আল্লাহ পরম করুনাময় দালালত্ব ছাড়াই জীবন ধারনের সেটুকু ক্ষমতা আমাকে দিয়েছেন! সংসদীয় বাক্য নিয়ে কথা হয়েছিল, আপনি দালাল হবার যোগ্যতাও রাখেন না, কারন কোন বড় দল আপনার মতো বেহেড যূক্তিবাদীকে তা রাখার চেস্টা করলে নিজেরাই পস্তাবে বলে তারা বুঝে ফেলবে! কোন প্রসঙ্গে কোন প্রসঙ্গের অবতারনা করছেন? শাক দিয়ে তো মাছ ঢাকা যায় না! আমি সব সংসদ সদস্যেরই "নতুন উদ্ভাবিত" ভাষার সমালোচনা করেছি, মায় সূযোগ পেলে প্রধান মন্ত্রীর অতিকথনেরও! দেখুন তো "বিদ্রোহী", এই লেখাটিকি অন্ধ দালাল লিখতে পারে? এরকম অনেক লেখা আমি লিখেছি, আপনার কয়টা আছে এ ধরনের আপনার মঞ্জিলে মাকসুদ বিএনপির বিরুদ্ধেঃ

"অথঃ পদ্মা সেতূ সমাচার!"
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৪ |


যেটা তোমার লাগবেই ভাবো সেটায় কেন গুঁতোও-
শেষে, জামা কাপড় খুলতে খুলতে নেই যে গায়ে সূতোও!
আবুল কাবুল যায়নি, বহাল তল্লা বাঁশের "সাকো"-
সুরঞ্জিতকে কার সে “কালো বেড়াল” দিয়ে ঢাকো?
সেতূ সচিব হঠাত করেই কেন গেলেন ছুটিতে?
মশিউরের “ইন্টিগ্রিটি” "ছুটি" কাহার রুটিতে?
মালয়েশিয়াই বা কেনো হঠাত ইন্টারেস্ট দেখালো-
চীন বানাবে পদ্মা সেতু এসব কারা রটালো?
এখন তাদের স্ট্যাটাসটা কি? বলবে খুলে সরকার?
ভারত-মার্কিন যৌথ প্রয়াস, কোন কারনে দরকার?
"আমরা গড়ি দেশের সেতু", প্রোপাগান্ডা ছিল কার?
আবুল শুধু আবুল যে নয়, পোক্ত প্রমান হলো আবার!

সবই যদি মিথ্যে হবে, তবে কেন রিফর্ম আবার?
পদ্মা সেতুর ফর্দাফাইয়ে, লাভটা হলো কার বাবার?"

-হু হু বাবা "বিদ্রোহী ভৃগু", কাগুজে বিদ্রোহী হয়ে কি লাভ? পারলে সবার অন্যায়ের বিরুদ্ধেই লিখুন!

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শ্রমন বলেছেন: @ বিদ্রোহী ভৃগু, ও হ্যা, আপনি বলেছিলেন আমি ফেলোশিপের জন্যে দালাল বনেছি! নারে ভাই, আমার ফেলো শিপের ভয় নেই, ফেলোশিপ ওয়ালাদের আমি গত দশ বছরের ওপরে দেশে বিদেশে শিক্ষাদান করে আসছি! নিশ্চয়ই তা হলে আমার পজিশন বুঝতে পারছেন, নাকি তাও খুলে লিখতে হবে?

৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৭

শ্রমন বলেছেন: অন্যদের মন্তব্য আশা করছি, যারা ন্যায়তঃ লিখে থাকেন!

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৩

পথচারি বলেছেন: ভৃ 'গু'র মাথায় কি "কাউডাং" ভর্তি নাকি? সোজাকথা বুঝে না। আরে ব্যাটা ভৃ 'গু', সংসদের চেয়ারে বইসা লুচ্চামি করার অধিকার বাঙ্গালি দেয় নাই তোদের লালবাত্তি এলাকার মক্ষিগুলারে। সংসদ পবিত্র স্থান, দেশের সর্বোচ্চ স্থান, আইন প্রণয়নের জায়গা। এখানে থাকে সারাদেশের মানুষের প্রতিনিধিরা। (কারা কোন ধরণের প্রতিনিধি পাঠায় সেদিকে না গেলাম) এই সংসদে দাঁড়িয়ে অশ্লিল ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করা মানে সংসদকে, দেশকে, দেশের মানুষকে এবং মানুষের অনুভুতিতে আঘাত করা। যত্তসব এইট-পাশ গরুছাগল সংসদে ঢুকে। এর মর্যাদা কি বুঝবে? আর এই শব্দ এক্সপাঞ্জ না করার প্রতিবাদ জানালাম। 'গেট ওয়েল সুন ভৃ 'গু'"।

৯| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩০

ইকবাল পারভেজ বলেছেন: চুদুরবুদুর কোন অশ্লীল শব্দ নয়, বাংলা ভাল কইরা শিখেন, যান|

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

শ্রমন বলেছেন: @ইকবাল পারভেজ, কেনও পাবলিকরে বাংলা ভাল কইরা শিখা তারপর এই নারী সংসদের কথা বুঝতে হবে? কেনো এই সাংসদ দেশের মানুষের বোধগম্য ভাষায় কথা বলবেন না? কেনো আমাদের টাকায় চলা সংসদের কথা বুঝতে হলে বাংলা শিখে বুঝতে হবে?
কল্কে পাবেন না ভাই, খুব তাড়াতাড়ি দিন আসছে, প্যাদানির ঠ্যালায় সহজ ভাষা বের হবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.