নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রমন

অতি সাধারন, কিন্তু প্রগতির পক্ষের সামান্য মানুষ!

শ্রমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাম আজমের বিচার ও আমেরিকান রাস্ট্রদূতের বাড়ীতে জামাত ও আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক মিটিং!!

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩



আমি আম জনতা একা কেন? বিএনপিও রাগে গোস্বাঃ গমন করেছে যখন নিশ্চিত হওয়া গেলো যে অতি সম্প্রতি আওয়ামী সরকারের দ্বায়িত্বশীল উপদেস্টা জনাব গওহর রিজভি ও জামায়তে ইসলামীর বর্তমানের সবচাইতে অ্যাক্টিভ, গুরুত্বপূর্ন নেতা ও জামায়তী যূদ্ধপরাধীদের বিচার ট্রাইবুনালের উকিল ব্যারিস্টার আবদূর রাজ্জাক মার্কিন রাস্ট্রদূত মিঃ ড্যান মজিনোর বাড়ীতে খাওয়া দাওয়ার ছলে একটি মিটিং করেছেন!

কি ছিল সেই মিটিংয়ে যখন আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সম্পর্ক একেবারে ভাসূর ভাদ্রবধুর পর্যায়ে চলে গেছে? যেখানে মুখ দেখা দেখি পর্যন্ত নেই সেখানে হঠাৎ করে এই মিটিং কি ভাবে আয়োজিত ও সম্পন্ন হল? কি ধরনের এজেন্ডা থাকলেই একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি "রেজিমেন্টেড" দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাথে এই মূহুর্তে মিটিংয়ে বসা সম্ভব যেখানে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের যূদ্ধপরাধী ট্রাইবুনালে বিচার চলছে, অগনিত জামায়াত ও শিবিরের কর্মী যে কোন কারনেই হোক না কেনো পুলিশের বেধড়ক পিটুনী খাচ্ছে আর জেল-হাজতখানা ভরে আছে তাদের দিয়ে? আর তাও বৈঠকটি মার্কিন রাস্ট্রদূতের বাড়িতে হয়েছে রাস্ট্রদূতের তত্ত্বাবধানে!

গোলাম আজমের সব অপ্রাধ প্রমানিত হবার পর ও নাকি তাকে বয়সের কারনে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় নি! বয়স যে যূদ্ধপরাধী বিচারের ক্ষেত্রে কোন বাধা নয় তা নিম্নের লিংক পড়লে বোঝা যাবেঃ

Why Age Is Not a Factor?

---------------------------------

Even though most of those on both lists are now in their late 80s or 90s, their age is no reason to stop seeking justice, said Zuroff, who is the author of Operation Last Chance: One Man's Quest to Bring Nazi Criminals to Justice. "Don't look at these people and say they look frail and weak. Think of someone who at the height of his powers devoted his energies to murdering men, women, and children."

He added: "The passage of time in no way diminishes the guilt of the killers. Old age should not provide protection. The fact that they have reached an elderly age does not turn them into righteous gentiles."

Holocaust historian and Emory University professor Deborah Lipstadt agrees that there is no time limit. "Just because they did this a long time ago doesn't mean they should be exonerated," said Lipstadt, author of such books as Denying the Holocaust and The Eichmann Trial. "If someone raped children decades ago and we found that person now in his 80s or 90s, you would still say they should be tried. The victims deserve to have the perpetrators brought to justice. And society needs to know that you don't get a free pass."

দয়া করে আরো পড়ুনঃ Click This Link

A Final Effort to Find Nazi War Criminals

news.nationalgeographic.com

The Nazi war criminals still alive today are very old men. But efforts to bring them to justice remain in play.

তাহলে কি যূদ্ধপরাধী গোলাম আজমের (যাকে ট্রাইবুনাল নিজে "নাটের গুরু" বলে অবিহিত করেছে!) বিচারের সাথে মার্কিন রাস্ট্রদূতের বাড়ীর সাম্প্রতিক এই বৈঠকের কোন সম্পর্ক ছিল?

বিষয় ফেসবুকে শেয়ার করা এক টি স্ট্যাটাস জুড়ে দিলামঃ

গোলাম আজমের ৯০ বছরের জেল= ন্যাড়ার তিন মাসের ফাসি!!

--------------------------------

এরেই বলে রাজনীতিতে নীতি বিহীন ফিটিং

আমেরিকান এম্বেসীতে প্রোগ্রাম করে "ইটিং"-

আওয়ামী আর জামাত নেতা করলে সেদিন মিটিং

বিএনপি ব্যাস ভাবলো মনে "ষড়যন্ত্র নিটিং"!

ড্যান মজিনো বগল বাজায়, হল চামচ ফিডিং-

ফাঁসি ছাড়াই গোলাম আজম, রায় হলো যে বিডিং!

ওরে এ যে ক্যাবল শুরু ষড়যন্ত্র সিডিং-

গজারী লাঠির বাড়ির চোটে ঠ্যাং ভাঙ্গা আজ "নিডিং"!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

আম্মানসুরা বলেছেন: এটা যে বিচারের নামে আপস তা তো বুঝাই যাচ্ছে। পরবর্তী তে যে সরকার আসবে সে যেন গু আজম কে মুক্তি দিতে পারে সেই ব্যবস্থা পাকা করা হল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারি বললে আমরা আ. লিগ কে বুঝি, আর এখন বুঝলাম সব রসুনের এক ...............।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৪

শ্রমন বলেছেন: সে সব না হয় হল কিন্তু আমরা যে পাবলিক-আর কতদিন খাবো এদের ফুটবলের কিক? কেনো আমরা পস্তাবো হরতালে গ্যাঞ্জামে? বদলা-বদলি ক্ষ্যামতার খেল, আমরা মরি কোন কামে?

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

আম্মানসুরা বলেছেন: যতদিন আমরা বেহুশ থাকব ততদিন ফুটবলের কিক খেতেই হবে

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এখন তো সকল ধারণাই সত্য হবে। যে কোন অভিযোগে আটকে যাবে সরকার। দু নৌকায় পায় দেবার ফল তারা পেতে শুরু করেছে ইতোমধ্যেই....

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪১

বটের ফল বলেছেন: সবাই এক। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা ক্ষমতাই এদের কাছে সব। এদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে কিছু নেই। এই সবই হচ্ছে গাধার সামনে মুলা ঝুলিয়ে রাখার মত। আর আমরা হচ্ছি সেই সব মহামতি গাধা। আর কতদিন আমরা এইসব ভন্ডদের পা চেটে যাব?? সময় এসেছে এখনই এইসব ভন্ডদের ঝাটাপেটা করে তাড়ানোর। আমরা কেন ভুলে যাই যে - আজ যে সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বলে দাবি করে তারাই একসময় ক্ষমতায় আসার জন্য রাজাকার জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে চেয়েছিল!!!!!!!!!!!!!!!

আর কতদিন আমরা চোখ বুঁজে থাকবো। আসুন সবাইকে একযোগে নির্বাচনে বয়কট করি। এই বার্তা পৌছে দেই যে তাঁদেরকে আমরা আর চাইনা।

না ভোটের কোনো বিকল্প নেই। একমত হলে আওয়াজ দিয়েন।
+++++++++++++++++

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

মেকগাইভার বলেছেন: +++++++++++++++

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৯

শ্রমন বলেছেন: দেখুন এদের কাছে রাস্ট্রিয় ক্ষমতাই সব, কারন তা দিয়ে রাতারাতি কোটি কোটি হারাম টাকা কামানো যায় আর এই মার্কেট ইকোনমীর যূগে টাকা দিয়ে সব কিছুই কেনা যায়! খালেদা জিয়া বা হাসিনা, কেনো তারা বার বার প্রধান মন্ত্রী হবেন বা হতে চান, কেনো ওই কুলাঙ্গার গুলো বার বার মন্ত্রী আর এম পি হয়ে লাল পাসপোর্ট তার যথেচ্ছ ব্যাবহারে সসসাই কোটি পতি বনে যান? আমি বা আপ নি বা আমাদের সন্তানরা তাদের বা তাদের সন্তানদের থেকে কোন ভাবে কম প্রতিভাবান? তা হলে বার বার তারা কেনো শাসন করবে আর আমরা শাসিত হব ? এই বংশানুক্রমিক নেতৃত্বকে টেনে নামাতে হবে, আর সেটাই একমাত্র পথ!

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

শ্রমন বলেছেন: বিশ্বাস করুন, ওরা মানে আওয়ামী লীগ ও বি এন পি এর ভেতর ই দর কসাকসি শুরু করে দিয়েছে পরবর্তী ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে! এর জন্যে কিছু "ইউনিভার্সাল এজেন্ট" আছেন, তারা কেউ ব্যাবসায়ী, কেউ সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তি! কোটি কোটি টকার খেলা আসছে মনোনয়ন বানিজ্যে! এদের রোখার একমাত্র উপায় কি তা আমরা সকলেই জানি! দেশটাকে বাচাতে হলে আর নিজেরা বাচতে হলে হলে আজ সেই বহুল শ্রুত মাইনাস টু নয়, মাইনাস মেনি রাস্তায় হাটতে হবে! নেতার সন্তান অক্সফোর্ডে পড়বে আর আমাদের সন্তান্দের পরীক্ষাও বন্ধ হবে হরতালে আর বোমা বাজির পাতানো খেলায়! নতুন রাজনোইতিক নেতৃত্বকে উঠে আসতেই হবে এবং তা যে কোন মূল্যে! মরছি তো আমরা নিয়মিত, একবারের জন্যে নাহয় স্থির লক্ষ্যে মরি!দেশ বাচাতে মরি! পাতানো খেলা আর কতদিন দেখবেন, এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্পট ফিক্সিং ও শুরু হয়ে গেছে, এখানে তাদের শাস্তি কে দেবে? দন্ড মুন্ডের কর্তা তো তারাই নিজেরা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.