নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজ্ঞতা গোপন করবার মতো বিষয় নয়

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৮

আমরা বাংলা ব্লগকে লেখালেখির জন্যে একটি মুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে পেলেও এর সঠিক সুযোগটি হয়তো কাজে লাগাতে পারছি না। তা পারছি না আমাদের অনেকের ভুলের জন্যে সে সঙ্গে ততটা গুরুত্ব না দেবার কারণেও হয়তো খুব একটা সহায়ক হিসেবে পাচ্ছি না।



আমি যখন ক্লাস টু-এর ছাত্র, তখন দ্বিতীয় শব্দটিকে উচ্চারণ করতাম দৃতীয়/ দ্রিতীয়। ক্লাসের ইংরেজি শিক্ষক কাসু আপা (পরে জেনেছিলাম কাজী সুরাইয়া।) হঠাৎ একদিন ধরে বসলেন। বললেন, কী বললে আবার বল। কোন শ্রেণীতে পড়?



মনের সুখে আবার বলেছিলাম, দ্রিতীয়/দৃতীয় শ্রেণীতে।

-এটা হবে দ্বিতীয়। বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার গাত্রে আপার হাতের বেত সপাং সপাং নৃত্য আরম্ভ করেছিল। আর আমার নৃত্য যে কোন পর্যায়ের ছিল তা আর না বলি। :((



যাই হোক পিটুনি খেয়ে আবার বানানটা দেখেছিলাম। আসলেও তাতে র-ফলার কোনো বালাই নেই। /:)



আরেকটি বানান হচ্ছে জনৈক।



অনেককেই দেখেছি বলেন বা লেখেন জৈনিক। ফলে শব্দ ব্যবহারের অসারতা যেমন বাড়ে নিজের অজ্ঞতাও প্রকাশ হয়ে পড়ে বিপুল বাদ্য সহকারে।



ব্লগে এবং পত্রিকায়ও দেখি কেউ কেউ যেন বোঝাতে লেখেন যেনো। কেন লিখতে লেখেন কেনো। যা একেবারেই অনুচিত। কারণ একটি ব্যাপার মনে রাখা উচিত যে, কোনো কোনো শব্দের উচ্চারণ ভেদে অর্থ বিপর্যয় ঘটতে পারে। যেমন, যেন শব্দটিকে যদি যেনো লেখা হয়, তাহলে তার উচ্চারণে শুনতে পাবো জেনো (জানিও), কেনো উচ্চারণ করলে বুঝবো যে, ক্রয় কর (কথ্য এবং লেখ্য রূপেও)। ফলে শ্রোতা বিভ্রান্ত হতে পারেন।



তা ছাড়া ব্লগের কোনো কোনো পোস্টে বানান সংক্রান্ত দুর্বলতার প্রতি ইঙ্গিত করলে বা ভুল ধরিয়ে দিলে কেউ কেউ লজ্জা বোধ করেন। কেউ কেউ রেগে যান। যার অর্থ নিজের অজ্ঞতাকে তিনি ঢেকে রাখতে চান। ভুল যে হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ভুল হতেই পারে। আমার এই পণ্ডিতি পোস্টে যে ভুল থাকবে না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। /:)



টাইপের কারণে, সাময়িক অসাবধানতার কারণেও তা হতে পারে। কাজেই তা স্বীকার করে নেওয়াটা ভাল মনে করি। অজ্ঞতা গোপন করবার ব্যাপার নয়। অজ্ঞতার প্রকাশ মানেই শিক্ষা বা জানার প্রথম ধাপে উন্নীত হওয়া। আর অজ্ঞতা প্রকাশ করলে তা দূর করতে কেউ না কেউ আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেনই। কাজেই অজ্ঞতা প্রকাশটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলে ফলাফল মন্দ হবে না তা জোর দিয়ে বলতে পারি।



আবার অনেকেই বলেন (নানা পোস্টের কমেন্টে দেখি) বানান সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়লে গুগুল চাচার শরণাপন্ন হন। যা একেবারেই অনুচিত। কারণ অনলাইনে যারা লেখালেখি করেন, তাদের মাঝে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী আছেন, তেমনই আছেন বিদ্যার জাহাজ গোত্রের লেখক। একটা বানান লিখতে যিনি দশটা কী-বোর্ড ভাঙেন। সুতরাং একই বানানের দুটো তিনটি রূপ দেখে বিভ্রান্ত হবেন তা নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে অনলাইন ডিকশনারির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। ভুল বানান দিয়ে সার্চ দিলে অভিধান তা দেখাবে না। ফলে হাতের কাছে রাখা অভিধান বা বানান অভিধানটি দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে। এতে আর কিছু না হোক বানানের দৈন্য কেটে যাবে খুব দ্রুত।



আরেকটি ব্যাপার দেখেছি বাংলা ভাষার ইজারাদার বা রক্ষাকর্তা বাংলা একাডেমি সাহেব নিজেই নিজের অদক্ষতা গোপন করতে পারেন না। যেমন, অনেক বানানের বিকল্প রূপ রেখেছেন তিনি, যা বিভ্রান্তিমূলক। আমরা অনেকেই লিখছি-

তৈরী/তৈরি

নীচ/নিচ

গাভী/গাভি

মুরগী/মুরগি

ঠান্ডা/ঠাণ্ডা

গন্ডার/গণ্ডার



এমন ক্ষেত্রে যে কোনো একটি রূপ প্রমিত হিসেবে নির্দিষ্ট করা উচিত বলে মনে করি। ফলে বাংলাদেশের লেখালেখির সব মাধ্যমে একটি বানান পরিদৃষ্ট হবে। একটি শিশু সে বানান রূপেই অভ্যস্ত হয়ে বড় হতে থাকবে। একটি অভিধানই বংশপরম্পরায় যতদিন টিকে থাকবে ব্যবহৃত হবে। বানান ভুলের সম্ভাবনাও কমে যাবে। আমি বলবো যে, বাংলা একাডেমির উচিত হবে যে, অভিধানের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের বিকল্প বানান পরিহার করা। এতে করে বানানের একাধিক রূপ ব্যবহার বন্ধ হয়ে প্রমিত রূপটিই প্রাধান্য পাবে।



আমার নিজের আরেকটি অজ্ঞতার প্রকাশ দিয়ে এ লেখাটি শেষ করবো। যখন আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, মনের সুখে ঘরে, পাঠাগারে ব্যাপক পড়াশুনা করছি নিত্য-নতুন বিষয়ে, সে সময়ের ঘটনা।



আমার এক ভাই ভূগোলে মাস্টার্স করা। শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। তার সঙ্গে কথা বলবার সময় তিনি আমার একটি শব্দের উচ্চারণের দিকে আকৃষ্ট হয়ে বললেন, নি দিয়া কী কইলি? নির্দিষ্ট না নিবিষ্ট আবার ক!

আমি নিঃসংকোচে বললাম, ওহ, অইডা নিদ্রিষ্ট (নিদৃষ্ট)!

ভাই হেসে উঠে বললেন, দেইখ্যা পড়স নাকি হাফিজি? বানানডা তো এমন না।



-হ। এমনই তো। নয়ে রসয়িকার নি, দয়ে রেফ রসয়িকার, মদ্দিনাশ-শয়ে ট-,সংযুক্ত। :)



-তাইলে কী অইলো, নিরদদিষ্ট না নিদরিষ্ট?



আমার সচেতনতা ফিরে এসেছিল। তবে বিন্দুমাত্র লজ্জা পাই নি বা সংকোচ বোধ করি নি সেদিন। অজ্ঞতা আড়ালের চেষ্টা না করে সেদিন বলেছিলাম ভাইকে যে, পনের বছর ধরে শব্দটির ভুল উচ্চারণ করে আসছি, কারো কাছে ধরা পড়ল না কেমন কথা! (আপচুচ! :P)



এরপর আমি নিজেও সতর্ক আর অন্যের উচ্চারণের দিকেও মনোযোগী।

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বানানে আমি সবসময় কাঁচা, কেউ ধরিয়ে দিলে খুশি হই! এক সময় তো বানান ভুলের কারণে পোস্টই দিতাম না !

আপনার পোস্ট ভালা লাগছে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। আমি নিজেই বানানের ব্যাপারে ডরাই! :)

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট । ভালো লাগলো।
বানান ঠিকঠাক লিখলাম তো??
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস। ঈদমোবারক।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঈদ মোবারক।

ধন্যবাদ। বানান নিয়া ডরে ডরে থাকা ভালু।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩০

পাকাচুল বলেছেন: এমন পোস্ট আরো আশা করছি।

ভালো থাকবেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ পাকাচুল। আশা করি অন্যান্যদের কাছ থেকে এমন বিষয়ে আরো ভালো পোস্ট আসবে।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ব্লগে বানানের ব্যাপারে কেউ সিরিয়াস না, অতএব বইলা লাভ হবে বইলা মনে হয় না

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার কথাও ফেলনা না। কিন্তু সচেতন তো করতে হবে। এ ব্যাপারে আগাইয়া আসতে হবে নিজের উদ্যোগেই। নিজের সুবিধার্থেই।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৩

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভালো পোষ্ট। +++++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মেংগো পিপোল।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সময় উপোযোগী পোষ্ট ! ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বেশীরভাগ সময় আমার এন্ড্রয়েড মোবাইলে লিখে থাকি , যেটাতে দু তিনটা অক্ষর লিখলেই অটো কিছু সাজেশন দিয়ে দেয় ! তখন সত্যি কনফিউসড হতে হয় ! চন্দ্রবিন্দু ছাড়াও আসে , আবার চন্দ্রবিন্দু সহ আসে , ই -কার দিয়ে ও থাকে , আবার ঈ কার দিয়েও থাকে কোনটা সঠিক ! মোবাইলে লিখার একমাত্র কারন হলো যখন লিখতে ইচ্ছে করে তখনই লিখে ফেলি ! পরে পিসিতে কনভার্ট করে যেগুলো চোখে পড়ে কিংবা আমি জানি নিশ্চিতভাবে সেগুলো ঠিক করি ! মাঝে মাঝেই ি আর ী নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় ! এক্কেবারে সিরিয়াস টাইপের টাইপো তো থাকেই ! তাই আমার পাঠকের কাছে কিছু প্রত্যাশা থাকে ! পোষ্ট রেডি করে এই ধরণের কিছু কারনে যখন আমি কনফিউসড তাই লাষ্ট পোষ্ট টা অপর্ণা আপুকে দিয়ে বানান ভুল ধরিয়ে নিয়েছিলাম ! কিন্তু বেখেয়ালে আমি আমার নিজের রাফ ফাইল টাই পোষ্ট করে দিয়েছিলাম !

বাংলা ব্লগে শুদ্ধ বানান টার ব্যাপার টা অনেক জরুরী ! আমি নিজেই অবাক হয়েছি যখন বিষণ্নতা'র সঠিক বানান লিখে সার্চ দিয়েছি , এই ব্লগের অনেক গুলো লিঙ্ক চলে আসলো যেখানে আমার মত ভুল করে বিষন্নতা লিখা ! কেউ সে সব পোষ্টে বলেন নি , আপনার মত করে ! তাহলে হয়তো ভুল টা সমৃদ্ধ হতোনা !
ঠিক ই বলেছেন লিখার সময় অভিধান আশেপাশে রাখতে হবে ! আর টুকটাক ভুল হলে আপনার মত পাঠক রা আছে কি করতে ! সত্যি কথা আমার পোষ্টে আপনার মত পাঠক ই প্রত্যাশা করি ! পোষ্ট দেয়ার পর ই মনে হয় কই জানি বানান ভুল আছে ! অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানবেন জুলিয়ান দা !

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।

বড় দোষটা হচ্ছে বাংলা একাডেমির। কিছুদিন পর পর তারা আকার হ্রস-ইকার পালটিয়ে তাদের দায় সারেন। আবার প্যাঁচ লাগানোর জন্যে রাখেন কিছু বিকল্প বানান।

হ্যাঁ হাতের কাছে অভিধান রাখার বিকল্প নাই।

অভ্রর অটোসাজেশন উইন্ডো অফ করে দেন। অভ্রও খুব একটা ভরসাযোগ্য না। সেও কানা শ্রেণীর। অনেক বানান দেখে কিছু বলে না।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪০

সিলেটি জামান বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। চলতে থাক :) :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সিলেটি জামান। ভাল থাকুন।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোষ্ট। যেমন, বাংলা ব্লগে লেখালেখি করলেও ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিজেও বানানের ব্যাপারে সচেতন না। আর একটু বিভ্রান্তিমূলক বানানের আসল বানান কোনটা সেটা বলতে গেলে জানিই না। তবুও চেষ্টা করি সঠিক বানানে লিখতে কিন্তু একটা বিষয়ের উপর বিভ্রান্তি আমার যাচ্ছেই না। যেমন, খাব নাকি খাবো, চলব নাকি চলবো। এই ধরনের কিছু শব্দ আছে যার শেষে ওকার ব্যবহার করি। এটা কতটুকু ঠিক নাকি এর কোন ব্যকরণগত ব্যাপার আছে।


শুভ কামনা জুলিয়ান ভাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কুনোব্যাঙ। এ প্রসঙ্গে আমাদের সোনাবীজ... ভাইয়ের দুটো দারুণ পোস্ট আছে। সেগুলো অনেকের চোখেই হয়তো পড়ে নাই।


এখানে দেখুন পাবেন অনেক সমাধান।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:


মোবাইলে আছি তাই আপাতত একখানা প্লাস মাইরা গেলাম। আমাব আসিব ফিরে …

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকুন।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: @কুনোব্যাঙ


২.০৯ ও

বাংলা অ-কারের উচ্চারণ বহুক্ষেত্রে ও-কার হয়। এই উচ্চারণকে লিখিত রূপ দেওয়ার জন্য ক্রিয়াপদের বেশ কয়েকটি রূপের এবং কিছু বিশেষণ ও অব্যয় পদের শেষে, কখনো আদিতে অনেকে যথেচ্ছভাবে ও-কার ব্যবহার করছেন। যেমন : ছিলো, করলো, বলতো, কোরছ, হোলে, যেনো, কেনো (কীজন্য), ইত্যাদি ও-কারযুক্ত বানান লেখা হচ্ছে। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া অনুরূপ ও-কার ব্যবহার করা হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে এমন অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়াপদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব ঘটতে পারে। যেমন : ধরো, চড়ো, বলো, বোলো, জেনো, কেনো (ক্রয় করো), করানো, খাওয়ানো, শেখানো, করাতো, মতো, ভালো, আলো, কালো, হলো।


কৃতজ্ঞতা:

বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় একটা পোষ্ট। আপনাকে ধন্যবাদ। এই বিষয়ে একটা পোষ্টে দেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমার নিজেরই ব্যকরণের ব্যাপারে ভাসা ভাসা জ্ঞান দেখে আর সাহস করি নাই।

পোষ্টটা শেয়ার করছি। আশা করি অনেকেই কাজে লাগবে।

৪র্থ প্লাস রইল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কা_ভা।

আগেও এর চেয়ে ভাল পোস্ট (বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম) ছিল। কিন্তু অনেকের কাছেই হয়তো প্রয়োজনীয় মনে হয় নি। তাই চেষ্টা করেছি সেই পোস্টটি সবার দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে। আমার মতে পোস্টটি সচেতন সবার প্রিয় তালিকায় থাকা উচিত।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: পঞ্চম প্লাস +++++
এবং প্রিয়তে
সত্যিই অজ্ঞতা গোপনের কোন বিষয় না,যত জানবো তত শিখবো
অনেক ধন্যবাদ জানবেন পোষ্টের জন্যে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ @আমিই মিসিরআলি

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২১

একজন আরমান বলেছেন:

সুন্দর পোস্ট।

বাংলা ভাষার ইজারাদার বা রক্ষাকর্তা বাংলা একাডেমি সাহেব নিজেই নিজের অদক্ষতা গোপন করতে পারেন না।

সহমত।

ছোটবেলা যেসব বানান দেখেছি ী কার দিয়ে লিখতে এখন সেগুলো ি কার দিয়ে লিখতে দেখে মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন আরমান। বাংলা একাডেমি আজতক একটা ভাল আর নিখুঁত অভিধানই বানাতে পারল না।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১১

আরজু পনি বলেছেন:

আমি বানানের ব্যাপারে আন্তরিক থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু তারপরও আমার "ড়" আর "ণ" প্রীতি আছে ।

বিশেষ করে "ণ" প্রীতিটা অনেকই বেশি। বানান ভুল হয়ে যায়....একবার একটা সিরিয়াস পোস্টের শিরোনামের একটা শব্দে "ন" এর স্থলে "ণ" দিয়ে ফেলেছিলাম আমার ওটাই দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
এক শুভাকাঙ্খী তখনই ফেসবুকে নক করলে বললো ওটা "ন" হবে। আর সাথে রেফারেন্সও দিয়ে দিল।

আমার এখনকার একটা সাময়িকপোস্টেও এই সমস্যা হচ্ছে। ওই পোস্টটা প্রমোশনাল পোস্ট হ্ওয়ার কারণেই ড্রাফটে চলে যাবে, কিন্তু বানানটা আমার নিশ্চিত হওয়া দরকার।

ভুল জানায় আবদ্ধ থাকতে চাই না।
আপনার বানান নিয়ে পোস্টটা দেখেই লগইন হলাম।
ব্লগে এই সুবিধা...অনেক কিছুই ব্যাখ্যা সহ জানা যায়।

অনেক কৃতজ্ঞতা রইল এমন দারুণ একটা পোস্টে।।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ @আরজুপনি।

আমি আপনার নিক দেখে পড়তাম আরজু পানি। এখন দেখি পানি নয়, পনি। :P

অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:

আপনাকে অনুসরণে নিয়ে রাখলাম যেনো পরের পোস্টগুলো মিস না হয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

এমনটা মনে হয় ঠিক হয় নি।

এমন সিরিয়াস পোস্ট বছরে এক আধবার দেই বিপদে পড়ে।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫৫

স্বপ্ন বাংলা বলেছেন: সেইরকম পোষ্ট, আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আগে বেশ ভালই পারতাম, কিন্তু গত কয়েক বছর বাংলা লেখা বা পড়ার মধ্যে তেমন একটা নেই বলে সব এলোমেলো হয়ে যায়। আমি নিজেও গুগুল মামার সাহায্য নেই। এখন থেকে আর নেবনা । এতটুকু লিখতে কয়টা বানান ভূল করলাম তাও সন্দেহ লাগে । পোষ্টে ++++++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। বানান অভিধান বা এমনি একটি অভিধান রাখা উচিত। যেহেতু ব্লগের লেখালেখিও দুর্বল লেখালেখি নয়।

হুম, আপনি ভূল লিখেছেন। (১টা ভুল।)

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

আমি রেদওয়ান বলেছেন: দশম প্লাস

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: প্লাসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ইংরেজী বানানের ক্ষেত্রে আমাদের খুব সতর্কতা দেখা যায়, অথচ বাংলার ক্ষেত্রে কত অবহেলা, কত যে ভুল বানান লিখে চলেছি প্রতিনিয়ত, আল্লাহ্‌-ই জানে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অথচ আমরা বাংলাতেই লিখি। বাংলাতেই আছে বিকল্প বানান। অন্য ভাষায় বিকল্প বানানের ব্যবহার আছে কি না আমি জানি না।

অবশ্য বাংলা ব্লগেই ভুল বানানের প্রয়োগ বেশি দেখা যায়।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।


১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুব দারুণ একটি বিষয়ের অবতাড়ণা করেছেন। শুদ্ধতা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ সেটা শব্দিক ই হোক আর চারিত্রিক ।দুটোই কিন্তু ধরা পরে পাঠকের চোখে প্রিয়জনদের কাছে কিংবা হৃদয়ের আয়নায়। ভালো পোস্টে +

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

আল ইফরান বলেছেন: শব্দের বানান শুদ্ধ না হলে পড়তেও বিরক্ত লাগে, তবে অনেকেই সেটা বুঝতে চায় না। /:)
তবে টাইপিং মিসটেক বা এমনিতেও একটা লেখার মধ্যে হয়তো কয়েকটা অশুদ্ধ বানান থাকতে পারে, যা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যায়।
তবে অজ্ঞতাটাকে স্বীকার করে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। :-B
পোস্টের সাথে একমত। :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শব্দের বানান শুদ্ধ না হলে পড়তেও বিরক্ত লাগে, তবে অনেকেই সেটা বুঝতে চায় না



ঠিক বলেছেন @আল ইফরান। অনেক লেখা দেখি শুরুর দিকে মারাত্মক ভুল। সে লখা পড়ি না। পড়লেও খুব একটা মন্তব্য করা হয় না।

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

নীল সুমন বলেছেন: লিখে ডাক্তার বলে 'দাক্তার', অনেক ডাক্তারকে ও বলতে শুনেছি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ছোটবেলা বাবার মুখেও শুনেছি "দাক্তার" শব্দটা। সেটা স্বাধীনতার পরপরই বলা যায়। সে সময় উর্দুর প্রভাব থেকে গিয়েছিল অনেকখানি। কিন্তু এখন তো উর্দুর বালাই নেই। তবে আরবরা কেউ কেউ বলে "দোক্তোর" , কেউ বা বলে "দোক্তুরা"।

ধন্যবাদ নীল সুমন।

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

এরিস বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোষ্ট। যেমন, বাংলা ব্লগে লেখালেখি করলেও ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিজেও বানানের ব্যাপারে সচেতন না। আর একটু বিভ্রান্তিমূলক বানানের আসল বানান কোনটা সেটা বলতে গেলে জানিই না। তবুও চেষ্টা করি সঠিক বানানে লিখতে কিন্তু একটা বিষয়ের উপর বিভ্রান্তি আমার যাচ্ছেই না। যেমন, খাব নাকি খাবো, চলব নাকি চলবো। এই ধরনের কিছু শব্দ আছে যার শেষে ওকার ব্যবহার করি। এটা কতটুকু ঠিক নাকি এর কোন ব্যকরণগত ব্যাপার আছে।
একই প্রশ্ন আমারও।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে বর্তমানে ভাষার চলিত বিকৃত রূপ। কিছু পোস্টে দেখতে পাই, খাইতেছি, উপ্রে, বইয়া রইছি, উইঠা ইত্যাদি নানা শব্দ। কিছুটা শুদ্ধ কিছুটা বিকৃত ভাষার এই রূপটি ফান পোস্টে মন্তব্যের জন্যে কিছুটা সহনশীল হলেও মূল পোস্টের ক্ষেত্রে অবশ্য বর্জনীয় বলে আমি মনে করি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল বলেছেন এরিস।
তবে, উপ্রে বইয়া রইছি, চইল্যা আইছি, এগুলো চালু ভাষারই একটি রূপ। তাই বলে ভুল বা বিকৃত হতে যাবে কেন? এই চলিত রূপটি আমরা ব্যবহার করছি তা কিন্তু কোলকাতার কোনো কোনো এলাকার আঞ্চলিক ভাষা। আপনি যশোর এলাকাতেও এর কিছু আঞ্চলিক প্রয়োগ দেখবেন। আমাদের গুণীজন এ ভাষাটিকে প্রমিত হিসেবে গ্রহণ করেছেন বলেই আমরা আজ তা লেখ্য ভাষা হিসেবে ব্যবহার করছি। তাঁরা যদি বরিশাল বা রংপুর নয়তো সিলেটের আঞ্চলিক ভাষাকে প্রমিত রূপে গ্রহণ করতেন তাহলে সেটিই আমাদের বইয়ের ভাষা হয়ে উঠতো।

ছাত্রাবস্থায় একটা সময় খুব জোর দিয়েই বলতে পারতাম- আমি যে (আঞ্চলিক বা মিশ্র) ভাষায় কথা বলি, সে ভাষায় কেন গল্প-কবিতা-উপন্যাস লিখতে পারবো না। শিক্ষকরা তেমন একটা আপত্তি জানান নি। তবে গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, সর্বজন গ্রাহ্য হলে তো সমস্যা হবার কথা নয়।

প্রসঙ্গত বলতে পারি ব্রাত্য রাইসু বা তার সম মনা কেউ কেউ সেই ভাষায় লেখেন বা বলেন যা প্রমিত নয়। তবু তা কারো কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলে মনে করি। তাই বলে তা ভুল তা বলা যাবে না। সুতরাং আপনি কোন ভাষায় চর্চা করবেন তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে।

ভাল থাকুন আর বাংলা শব্দের নির্ভুল প্রয়োগের পক্ষে নিজের চাওয়াকে উচ্চকণ্ঠে প্রকাশ করুন।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের বানান সংক্রান্ত আপচুচ দূর হউক। আমরা শিখতে চেষ্টা করি, চর্চা করি, মনে রাখতে এবং সেটা প্রয়োগ করতেও চেষ্টা করি -- এটা কথায় না হইয়া কাজে প্রকাশ হইলে ভালো হয় বেশি। যদিও আমার নিজের ভুলের শেষ নাই , তবুও চেষ্টা করি শুদ্ধটা অন্যকে জানাতে।

ভালো থাকেন জুলিয়ান দা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: যদিও আমার নিজের ভুলের শেষ নাই , তবুও চেষ্টা করি শুদ্ধটা অন্যকে জানাতে।


অন্যের ভুল শোধরাতে আপনার আন্তরিকতা আর চেষ্টা বজায় থাকুক। কেউ না কেউ অবশ্যই আপনার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাবেন।

সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ অপর্ণা আপু।

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয়ের অবতারণা করেছেন, যেটি ব্যক্তিগতভাবে তো অবশ্যই, আমার কর্মক্ষেত্রেও প্রায় একটা বিপ্লবের মতো ঘটিয়ে দিয়েছি। বানান ভুল আমার কাছে খুব বিরক্তিকর। একসময় যে-কোনো ব্লগে এটা নিয়ে আমি লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতাম এবং সঠিক বানানটা বলে দিতাম। তবে ব্লগারগণ এটিকে সব সময়ই স্বাগত জানিয়েছেন।

আমি কবি সাযযাদ কাদিরের কাছ থেকে একটা শিক্ষা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, ‘সব সময় হাতের কাছে যে বইটি রাখবেন তা হচ্ছে ‘বাংলা একাডেমী বানান অভিধান’।’ অফিশিয়ালি আমাদেরকে প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসরণ করার কথা। বাংলাদেশে আমার দেখা মতে প্রথম আলো এবং যায় যায় দিন এই প্রমিত রীতির সঠিক প্রয়োগ করে থাকে।

যখন শিখছি, তখন জগাখিঁচুড়ি ধরনের নিয়ম অনুসরণ না করে বাংলাদেশের প্রমিত রীতিই ব্যবহার করা উচিত। তবে যাঁরা গবেষক, এই প্রমিত রীতিকে চ্যালেঞ্জ করার যোগ্যতা রাখেন, তাঁরা নিজস্ব রীতি তৈরি করতে পারেন, যেটি হতে পারে তাঁদের নিজস্ব স্টাইল। এই নিজস্ব স্টাইলটা আবার নিজের খেয়ালখুশি মতো যাচ্ছেতাই নয়, তা হতে হবে ব্যাকরণসিদ্ধ, যার পক্ষে সুনির্দিষ্ট ইতিহাস রয়েছে।

তবে বিকল্প বানানের ব্যাপারে আমার একটা ধারনা জন্মেছে। বানানরীতি প্রমিত করার পূর্ব পর্যন্ত যে বানানগুলো শুদ্ধ ছিল, সেই বানানটি ওভাবেই রেখে দিয়ে বানান সহজ করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ-ই-কারের স্থলে হ্রস্ব-ই-কারও গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে। নাড়ী, গাড়ী, বাড়ী, ইত্যাদি বানানগুলোই আগে শুদ্ধ ছিল। হঠাৎ সবগুলো দীর্ঘ-ই-কার বাতিল করা হলে ই-ঈ-কার সংক্রান্ত বানানে ভুলের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত নাড়ি/নাড়ী, গাড়ি/গাড়ী এভাবে রেখে দেয়া হয়েছে। বর্তমান প্রমিতরীতির সবগুলো নিয়মে পর্ষদের সব সদস্যের সম্মতি নেই। আগামী কয়েক বছর পর হয়তো এ নিয়মগুলো আরেকবার রিভিউ করা হবে, সে সময়ে বিকল্প বানানের অনেকগুলো একক বানানে চলে আসবে বলে আমার ধারনা।

এই পোস্টের কল্যাণে বাংলা বানানের প্রমিত রূপটা পাঠক একবার দেখে নিতে পারেন। বানানের জন্য আমি ‘বাংলা একাডেমী প্রমিত বানান-অভিধান’ বইটা পারি তো টয়লেটে যাওয়ার সময়ও নিয়ে যাই ;) কিন্তু এবার বাড়িতে আসার সময় বইটি সাথে আনা হয় নি :( অভিধান হিসাবে ‘বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’, ভারতীয় সাংসদ, আরও হাতের কাছে যখন যা পাই, বিশেষ করে কনফ্লিক্ট ক্লিয়ার করার জন্য, ব্যবহার করে থাকি।

আপনার পোস্টের সাথে একমত হয়ে বলছি- বানানের ব্যাপারে আমাদের সত্যিই আরো সচেতন হতে হবে।

শুভেচ্ছা সুন্দর পোস্টের জন্য।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বানানের ব্যাপারে আসলে আপস চলে না। এমন কি বানান ভুলের মাত্রা খুব বেশি হলে চুপ থাকাও সম্ভব হয় না। আমাদের সবার ঘরেই অভিধান আছে মনে করি। কিন্তু তা খুলে দেখতে কষ্ট পান। আমার এক বন্ধু বানানের সমস্যায় পড়লে আমাকে জিজ্ঞেস করেন। অথচ তার ঘরে বাংলা একাডেমির অভিধান আছে নিজেই বলেছিলেন। বড় কথা হচ্ছে অভিধান দেখার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে বড়দের। তা দেখে ছোটোরাও আগ্রহী হবে।

বানান সহজ করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ-ই-কারের স্থলে হ্রস্ব-ই-কারও গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে।

তবে কোনো ব্যক্তি নিজের ইচ্ছাও চাপিয়ে দিতেন অন্যের ওপর।

ছাত্র থাকা কালে একবার পল্টনে দৈনিক জনতা অফিসে নিজের একটি কবিতা নিয়ে গেলাম সম্পাদক ও কবি সানাউল্লাহ নূরীর কাছে। তিনি বললেন - ভেবো না, ছাপা হয়ে যাবে। তবে কোনো দীর্ঘ-ইকার ব্যবহার করবে না, হ্রস-ইকার দিয়ে লিখবে।

এর পর আর যাওয়া হয় নি সেখানে।

যাই হোক আমাদের প্রমিত ভাষা যতটা নিখুঁত হয় ততোটাই মঙ্গল।

ভাল থাকবেন প্রিয় কবি। সঙ্গে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।


২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



দারুন একটা বিষয়ের পোষ্ট। আমরা এমন একটা ভাষায় কথা বলি যার একটা গৌরবময় ইতিহাস আছে। আর সেই জন্য এই ভাষা যথাযথ ও শুদ্ধভাবে প্রয়োগ করাটাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পরে। সবাইকে সব কিছু জানতে হবে তা কখনই ঠিক না তাই অন্য কেউ তা শুদ্ধ করে দিলে নিজের অজ্ঞতা মেনে নিলে ক্ষতি কিছু নেই।

বাঙলা বানানের ক্ষেত্রে নীচে দেয়া লিঙ্কগুলো বেশ উপকারী।

Click This Link
http://www.bangladict.org/b2etextversion.php
http://www.ovidhan.org/
http://www.ebangladictionary.com/
Click This Link
http://bn.glosbe.com/bn/en

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সবাই সব কিছু জানেও না। আর যে ভান করে সব জানে, সে আসলে প্রতারক ছাড়া কিছু নয়। কোনো কিছু ভাসাভাসা বা আংশিক জানাটাকে জানার পর্যায়ে ফেলা যায় না।

আপনার লিঙ্কগুলোর জন্যে স্পেশাল থ্যাঙ্কস!

ভাল থাকুন সব সময়।

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে সঠিক বানান ও উচ্চারণের প্রয়োজন বোধ তীব্র হল। এখন থেকে সঠিক হবার চেষ্টা করব।
পোস্টে প্লাস।







(বানানগুলো ঠিক আছে তো?)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ইচ্ছে করলে ভুল প্রয়োগ দেখানো যায়। তবে ভুল ধরছি না। কেবল সমস্যাটা কেমন হতে পারে তা দেখাচ্ছি। যেমন-

বোধ তীব্র হল।

"আমি হল বলরাম স্কন্ধে!"

কার লেখা, কোথায় আছে মনে করতে পারেন?
কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিদ্রোহী কবিতায় পাবেন। বলরামের কাঁধে যে "হল" তা হচ্ছে লাঙল।

সে ক্ষেত্রে কোনো শব্দ কনফিউজিং হলে ও-কার ব্যবহার করতে হবে। আপনার ব্র্যাকেটের কথাগুলো পড়ে ব্যাপারটা দেখানোর ইচ্ছেটাও তীব্র হলো।


সঙ্গে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সব সময়।

এই যে আমি ভাল লিখলাম তা কিন্তু ভালো লেখা উচিত। ভাল শব্দটার আরেক অর্থ কপাল (ভাগ্য) বা ললাট। :P


২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সচেতনতামূলক দারন একটি পোস্ট!!

++++++++

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ইরফান আহমেদ বর্ষণ। ভাল থাকুন সব সময়।

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা জুলিয়ান ভাই।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই। ভাল থাকুন সব সময়।

২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি আপনাকে জোরালোভাবে সমর্থন করি।

অজ্ঞতা গোপন করা বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নয় । বছর খানেক আগে লেখা আমার কোন পোস্টে ঢুকলে আমি অবাক হয়ে যাই- এত বানান ভুল! এই যে আমার লেখা বানান ভুল আমিই ধরতে পারছি- ব্লগে লেখালেখি করে এটাই আমার উন্নতি । আর এর জন্য প্রিয় ব্লগারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমার বানান ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য ।

সুন্দর আলোচনার সূত্রপাত করেছেন, আলোচনা গতি পাক ।


ঈদ মোবারক!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্যে ধন্যবাদ মামুন। আপনার জন্যেও রইলো আগাম ঈদের শুভেচ্ছা।

৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অনেক সুন্দর সাইনবোর্ডে দেখলাম ‘নিজেস্ব সম্পত্তি’।
পাসপোর্ট অফিসের জায়গায় গায় ধুমপান একেবারেই নিষেধ করে রেখেছে। ইংরেজির কথা আর নাই বা বললাম!

এবিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্য আলাদা একটি পোস্ট দিয়েছিলাম আলো ব্লগে। সারভার ক্রাশের ফলে সেটি আর সেখানে নেই এখন । আমি নিজেও ভুল করি, কিন্তু নিজেকে ক্ষমা করি না, সবার সামনেই তা প্রকাশ করে দিই।

আপনার দৃতীয় বলার কারণ কি তৃতীয় বলার ফলে হয়েছে? কবি মানুষ তো, ছন্দ-জ্ঞানটি বেশ আগে থেকেই রপ্ত করেছিলেন মনে হচ্ছে :P

শুভেচ্ছা জানবেন, জনাব! :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার দৃতীয় বলার কারণ কি তৃতীয় বলার ফলে হয়েছে?

-ডাক্তার, অনেকটা সে রকমই বলা যায়। দুটোর চেহারায় বেশ মিল আছে। :P

৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

বোকামন বলেছেন:
অজ্ঞতা গোপন করবার মতো বিষয় নয়
-সহমত

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

চাকমা বলেছেন: বাংলা পেপার পড়লে, অনেক বানান সম্পকে জানা যায়।বাংলা লেখাও কিন্তূ সহজ নয়। আমার এই লেখাতেও বানান ভূল আছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হুম, তা ঠিক। তবে খুব কম মানুষই আছেন যারা মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা পড়েন।

(আপনার মন্তব্যে ভুল আছে তিনটা :P )

৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

বানান নিয়ে ছাত্র জীবনে তেমন একটা মুশকিলে পড়িনাই। এখন লেখালেখি শুরু করে বানান বিভীষিকা কি জিনিস হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি!

আর কিছুদিন আগে বানান বিষয়টা নিয়ে ভাবতামও না, অপর্ণাদি বানান নিয়ে পেইন দেয় দেইখ্যা একটা অভিধান কিনে হাতের কাছে রেখেছি, তারপরেও অনেক বানান ভুল হচ্ছে! :(

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অপর্ণা বানান নিয়ে পেইন দেন বলে তাকে সাধুবাদ জানাই। যে কারণে আপনার আগ্রহ তৈরি হয়েছে অভিধানের প্রতি। এই সুফলটার পুরোপুরি ভোগ করবে আপনার পরের প্রজন্ম।

ভাল থাকুন আর বাংলা চর্চা চালিয়ে যান পুরোদমে।

৩৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১০

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: অজ্ঞতা গোপন করে অজ্ঞ লোকেই ---- আমি :!> :| আমার বাংলা বানানের অবস্থা ভয়াবহ B:-) বাংলা ব্লগে ঘুরাঘুরি করি কিছুটা নির্লজ্জের মতই । তারপর দেখা যায় কাজের গ্যাপে এক ঘেয়েমি কাটাতে ফোন দিয়ে মন্তব্য দিলে বানানের যে হাল হয় , কখন না আবার রম্য লেখকদের গল্পের অংশ হয়ে যাই সেই ভয়ে থাকি :( । তবে বাংলা উচ্চারণের অবস্থা ভালো :) না মানে আমার কথা না যাদের সাথে কথা হয় শুনে তারাই বলে 8-| :#>

একটা ঘটনা শেয়ার করি , আমি তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ,আমাদের স্কুলে নতুন এক ইংরেজি র টিচার আসেন তার প্রথম ক্লাস । তিনি এসে বেস কিছুক্ষণ নিজের পরিচিতি দিলেন (ইনিয়ে বিনিয়ে ইংরেজী বাংলা মিশিয়ে নিজেকে অনেক মেধাবী বলে প্রমান করিলেন ) ১ম পর্ব শেষে ছাত্রী দের কে যার যার নাম , রোল , বাইবুন কয়টা , বাবা কি করেন ., কোন এলাকায় থাকে এগুলো বলতে বললেন । একে একে সবাই বলে চলেছে কিন্তু আর বাইবুন নিয়ে কিছু বলি না । বরং কারো কাছে ডিকশনারে আছে কিনা তা খোজার চেষ্টা তে ব্যস্ত ছিলাম সবাই । একজন করে বলে যাচ্ছে স্যার বলেন এনি বাইবুন? -- উত্তর এদিক
অদিক তাকিয়ে বসে যাওয়া । এক পর্যায়ে এসে উনি বেস রেগে গিয়ে বলেন হাউ ফানি! !! এভরি অয়ান আর এলন! ! নো সিসটার ব্রাদার !!!
এবার একলাফে উঠে বলে দেইস্যার আমাদের কারো বাইবুন নাই তবে সবার ভাই বোন আছে . আমরা দুই বোন ,ভাই নেই :-) :-* =p~ আমাদের ক্লাস তিনতলা তে হচ্ছিল কিন্তু হাসির শব্দ নিচে প্রিন্সিপল ম্যাডাম এর রুমথেকে শোনা গিয়েছিল । স্যার এর এক্সপ্রেশন এর কথা না বলি :-B :P

কিন্তু এখন ত দেখি কে কত সুন্দর করে ভুল উচ্চারণ করতে পারে সেই চেষ্টা চলে ।!!! শব্দের মাঝে "হ" এর আবির্ভাব বাক্যের শেষে মোটর বাইকের ব্রেক নেওয়ার মত ধাক্কা শব্দ! !!! "য়্য" এই জিনিস টাঅ অতিরিক্ত কানে আসে /:) :-<

ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

লিংক গুলোর জন্য ধন্যবাদ আমিনুর ভাই. প্রতদিনি অন্তত ৫/১০ মিনিট অই খানে পাঠ নিতে হবে @ আমিনুর রহমান :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকেই উচ্চারণ ভুল করে আরো পণ্ডিত হয়েও, সেটা তাদের পরিবেশের কারণে হয়। উপরের ক্লাসে আমি অনেক প্যাদানি খেয়েছি কথ্য ভাষার জন্যে। আমার উচ্চারণ নাকি ক্যাল্কেশিয়ান। :P আপচুচ!

ভালো থাকুন সব সময়।

৩৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: আমার মত মানুষ এই পোস্টে কাঁথা কম্বল নিয়ে শুয়ে থাকা উচিৎ।
সাধারণ ভাব প্রকাশে আমি এসব নিয়ে আমার এত অজানা ও অবহেলা করি যা অত্যান্ত লজ্জাকর।

আমাদের কলেজের বাংলা শিক্ষক এই জন্য দায়ী।তিনি নিজেও ভুল উচ্চারণ করতেন,যদি বলতে যাই স্যার এটাকি এটা হবে?তিনি চোখ বড় করে বলতেন কথাটা বুঝেছিস কিনা আগে সেটা বল :(

উনাকে অনেকবার বলার পরও উনি "ন্যুনতম" কে সব সময় "নুন্যতম"ই বলেন।আমার ভাগিনা এখন সেই কলেজেই পড়ে, তাকে জিজ্ঞাসা করি নুন্যতম স্যার কি এখনও নুন্যতমর মধ্যেই আছেন, ভাগিনার জবাব এ্যনশাল্লাহ তিনি এখনও সেভাবেই আছেন। :)

খুব ভালো একটা লেখা,জানার আছে অনেক কিছু,

ধন্যবাদ আপনাকে

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সাধারণ ভাব প্রকাশে আমি এসব নিয়ে আমার এত অজানা ও অবহেলা করি

-অবহেলা করেও বাঁচতে পারবেন না, আপনার লেখায় অন্যেরা যখন ভুল চিহ্নিত করতে আরম্ভ করবেন, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আপনি এসব নিয়ে সংকোচ বোধ না করলেই হলো।

৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪০

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সত্যি ই চমৎকার পোস্ট !

বানান ভুল হয় আমার । পরিমাণে বেশী । ( পরিমান নাকি পরিমাণ )
লিখে দ্বিতীয়বার চেক করি না , মাঝে মাঝে না জেনে ।

পোষ্টে প্লাস

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। ণ-ত্ব বিধান জানতে হবে তাহলে ঠিক হয়ে যাবে ন আর ণ-এর সমস্যা।

ভাল থাকবেন।

৩৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট এবং অবশ্যই সময়োচিত।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ @অলওয়েজ ড্রিম।

৩৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৩

তিক্তভাষী বলেছেন: বুঝেছি, 'বানাম বুল' করা যাবে না। B-)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বানাম বুল তো করা যাবেই না, বানানের দিক দিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ সঙ্গে থাকার জন্যে।

৩৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্ট আগে প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

বানান নিয়ে বহু সমস্যা হয়, তবে আমার ধারণা সবাই সবার ভুল ধরিয়ে দিতে থাকলে এই সমস্যা কমে যাবে।

আমাদের প্রাচীন বাংলা সারের কথা মনে পড়ে গেল, যিনি লাইনের পর লাইন কলম ঠেকিয়ে খাতা দেখতেন, এবং যেখানে বানান ভুল হত সেখানেই খটাস করে লাল দাগ দিয়ে দিতেন। খাতা দেবার সময় হুংকার, 'ওই বজ্জাত! ইডা কি মুমূর্ষু বানান হইচে? মদ্যের দুরঘুকার দিব কেডা?' এবং তারপর পিঠের ওপরে সশব্দে মুষ্টিপতন।

অজ্ঞতা দূর হোক আমাদের সবার।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সবাই সবার ভুল ধরিয়ে দিতে থাকলে এই সমস্যা কমে যাবে।


-এটা একটা ভাল দিক। আপনার মতামতকে অবশ্যই সমর্থন করবো। তবে এ জন্যে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে নিতে হবে আমাদের। পারস্পরিক হৃদ্যতা আর মিথস্ক্রিয়ার দিকেও খানিকটা আগ্রহী হতে হবে।

৪০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সায়েদা সোহেলীর রম্য রচনা পড়ে হাসতে হাসতে খিদে লেগে গেলো ;) ;) তাই সেহরি খেয়ে কমেন্ট করতে বসলাম ;) ;)

একজন করে বলে যাচ্ছে স্যার বলেন এনি বাইবুন? -- উত্তর এদিক ওদিক তাকিয়ে বসে যাওয়া। এক পর্যায়ে এসে উনি বেশ রেগে গিয়ে বলেন, হাউ ফানি!!! এভরি অয়ান আর এলন!! নো সিসটার ব্রাদার!!!

ম্যাডামের উচ্চারণই না শুধু, সেন্স অব গ্রামারও খুব ইউনিক ;) ;)

৪১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ঈদ মোবারক !

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিলম্বিত ঈদ মোবারক ভাইডি। ভাল থাকুন সবাইরে নিয়া।

৪২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

জুন বলেছেন: আমার অবস্থা আরো গুরুতর। নিজের গন্ডা গন্ডা বানান ভুল হয় তা চোখে পড়েনা, কিন্ত অন্যেরগুলো একে বারে ড্যাব ড্যাব করে চোখের সামনে ভাসতে থাকে :(
+

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এইটাও একটা ভাল দিক জুন। আপনি অন্যের ভুলটা বলবেন, অন্য কেউ বলবে আপনারটা।

৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

সকাল রয় বলেছেন:
কবি দা সবচে বড় কথা হচ্ছে
আমরা বাঙালীরা যেমন আলসে তেমন বানান ভুলের অধিকারী।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.