নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।
বেশ কদিন ধরে আমার মনটা অন্যান্য বারের চেয়েও ভয়াবহ রকমের খারাপ ছিল। খারাপ লাগার কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট করে দু একটি কথা বললেও হয়তো সবটা ফুটে উঠবে না। তাই আমি কাউকে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম না। ভেতরে ভেতরে যেন আমি ক্ষয়ে যাচ্ছিলাম। ফুরিয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবার মতো সামনের দিনগুলোতে যেন অপেক্ষা করছিল অনন্ত অন্ধকার। সেটা যে কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণার আবহে আমাকে ক্রমশ অসাড় করে ঠেলে দিচ্ছিল সেটা তুই বুঝতে পারবি না। হয়তো বা সবটুকু তোকে বোঝাতেও পারবো না।
-আচ্ছা না বুঝলে নাই। তার চেয়ে বরং তুই পুরো ঘটনাটা খুলে বল আমাকে।
তুরিনকে কথাগুলো বললেও যেন আমার কথা সে ঠিক বুঝতে পারলো না বা গা করলো না। ভাবছিলাম, সিদ্ধার্থর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই আমার তেমন বনিবনা হচ্ছিলো না। ভেতরে ভেতরে একটি অগ্নিগিরিকে যেন হজম করার প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত ছিলাম দিনরাত। কিন্তু তুরিনের কথা শুনবার আগে তার মুখের দিকে তাকিয়েই হঠাৎ মনে হয়েছিল আসলে আমার তেমন কোনো সমস্যাই নেই। আমি তো দিব্যি হাসতে পারছি। রেস্টুরেন্টে গিয়ে কফিতে চুমুক দিচ্ছি। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বই বা ম্যাগাজিনের পাতায় ইচ্ছে করলেই চোখ বুলাতে পারছি। কিন্তু তুরিনের মুখের দিকে তাকালেই আমার কান্না পাচ্ছিল। তবু জোর করে নিজেকে সামলে নিয়ে বলেছিলাম সব কিছু খুলে বলতে। আসলে আমি চাচ্ছিলাম, তুরিন কিছুটা বলে যেন ভারমুক্ত হতে পারে।
ব্যাগের ভেতর হঠাৎ সেল ফোনটা বেজে উঠলে আমার ভাবনাগুলো কেমন জট পাকিয়ে যেতে থাকে। তুরিনের মুখ থেকে কথাগুলো কী উপায়ে বের করবো সে ভাবনাটা প্রায় গুছিয়ে এনেছিলাম। অথচ ফোনটা বেজে উঠে কেমন তালগোল পাকিয়ে দিয়ে গেল মনে হচ্ছে।
সেলফোনটা বের করতেই দেখা যায় সিদ্ধার্থের নাম্বার। আমার ইচ্ছে করছিলো না এই বদ লোকটার কল রিসিভ করতে বা এ মুহূর্তে কথা বলতে। আবার মন চাইছিল না সে জানুক আমি ফোনের কাছাকাছিই আছি। তাই কেটে দিতেও পারছিলাম না।
আমার সিদ্ধান্তহীনতা তুরিনের দৃষ্টি এড়ায় না হয়তো। সে কেমন বিরক্তি মাখা স্বরে বলে উঠলো, ফোনটা না ধরলে কেটে দিচ্ছিস না কেন?
বললাম, সিদ্ধার্থ ফোন করেছে। আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি না এখন। আবার এও চাচ্ছি না সে জানুক আমি ফোনের কাছাকাছি আছি।
-তাহলে ওঘরে চল। এটা থাকুক এখানে।
তুরিন হঠাৎ বসা থেকে উঠে কেমন কাত হয়ে গিয়ে কোমরের কাছটা খামচে ধরলো। আমি চট করে এগিয়ে গিয়ে তার কাঁধে হাত রাখতেই সে কেমন অপ্রস্তুত হয়ে হাসে। আড় চোখে দেখি ম্যাক্সির নিচে কিছু একটা সামলাতেই সে এভাবে খামচে ধরে রেখেছে। বুঝতে পেরে বললাম, এভাবে মাঝে মাঝে গিঠটু খুলে যায় নাকি ইচ্ছে করেই খুলে রাখিস?
কিছু না বলে সে অবস্থাতেই তুরিন আমার পিঠে হাত রেখে আরেক রুমের দিকে যেতে খানিকটা চাপ দেয়। ঠিক তখনই দুষ্টু বাচ্চাদের চিৎকারের মতোই স্থানকাল বিবেচনা না করে ফোনের রিংটোন সরব হয়ে ওঠে আবার।
অন্যঘরের দিকে আগাতে আগাতে তুরিন হঠাৎ আমার পিঠ খামচে ধরে জামার ওপর দিয়ে। আমি কিছু বুঝে উঠবার আগেই দেখতে পাই কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছে সে। এক হাতে আমার পিঠ আরো খামচে ধরতে গিয়েই হয়তো ছিঁড়ে ফেলে ব্রার হুক। ফলে হঠাৎ ঘুরেই যে এক হাতে বা দু হাতে তাকে ধরে ফেলবো সে সময়টা পাওয়ার আগেই মেঝেতে পড়ে যায়। তবু মাথাটা যাতে দেয়ালের গায়ে ঠুকে না যায় সে বিপদ থেকে রক্ষা করতে তার দু কাঁধ আঁকড়ে ধরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তার পাশে মেঝেতে বসে পড়ি।
কেন এমন হলো তা জিজ্ঞেস করবার আগেই তুরিন আমার গলা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে উঠলো। আমিও তাই তাকে আরো ভালো মতো জড়িয়ে ধরি বুকের সঙ্গে। পিঠে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ভাবছিলাম, কিছু বলার থাকলে এখনই হয়তো বলবে। অথবা কিছুক্ষণ কাঁদতে পারলেও অনেকটা ভাল বোধ করবে। এভাবে কত তুরিন যে, চার দেয়ালের আড়ালে দিনরাত কাঁদছে কতো অজ্ঞাত কারণে তার হিসেব কখনো দেয়াল ফুঁড়ে বাইরে যেতে পারে না। মানুষ কেবল তুরিনদের ঠোঁটে লাগানো লিপস্টিকের গাঢ় প্রলেপটাই দেখে। দেখে না তার আড়ালে ঠোঁট দুটো কতটা ফ্যাকাসে আর বিশুষ্ক হয়ে থাকে দিনরাত।
-আমরা পড়াশুনা করেই কি নিজেদের এত বড় ক্ষতিটা করলাম?
ফোঁপাতে ফোঁপাতে কথা বলে ওঠে তুরিন। যদি মূর্খ থেকে যেতাম তাহলে মান-অপমান বোধ লাজ-লজ্জা কম হতো। পারতাম কুকুরের মতো লাঠির নিচ দিয়ে হলেও খাবারের থালায় মুখ দিতে। তিন বেলা খাবার আর দুটো কাপড়ের জন্য হজম করে নিতাম সব কিছু।
আমার ভেতরে ভেতরে বমির বেগের মতো মোচড়াচ্ছিল জিজ্ঞাসাটা, কী হয়েছে খুলে বলবি? কিন্তু তবু নিজেকে থামিয়ে রাখতে চেষ্টা করছিলাম। হতে পারে আমার জিজ্ঞাসায় সে আবেগটাকে সামলে নিয়ে সচেতন হয়ে উঠবে। তখন হয়তো মনের কপাটে অর্গল তুলে দেবে। শিক্ষা মানুষের ভালর চেয়ে মন্দটাই যেন করে বেশি। অনেক দিক দিয়ে তাকে সংস্কার মুক্ত করতে গিয়ে আরো বেশি জড় আর সংযত করে ফেলে। অনেক কিছুই বুঝে-সুঝে চেপে যেতে উৎসাহিত করে। শেখায় জীবনের জটিলতাকে কীভাবে আড়াল করতে হয় সুকৌশলে।
তুরিনের কথা শুনতে শুনতে আমার কাছে যেন নারী জীবনের আরেকটি অন্ধকার সুড়ঙ্গপথ খুলে যেতে থাকে। মনে পড়ে রোশনারা ফুপুর মেয়ে আলোর কথা। স্বামীর বাড়ি থাকলেও বোনেদের পরামর্শ ছাড়া একদিনও চলতে পারতো না মেয়েটা। আর বোনেদের কথা মতো স্বামীকে টাইট দিতে গিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল। শত চেষ্টা করেও সংসার বাঁচাতে পারে নি। এমন কি শেষ পর্যন্ত মা-মেয়েতে ছেলে পক্ষের সবার হাতে-পায়ে ধরবার মতো হীন কাজেও পিছিয়ে ছিল না। শিক্ষা থাকলে তাদের কিছুটা হলেও হয়তো আত্মসম্মানবোধ থাকতো। আর সেই শিক্ষাটাই আবার তুরিনের মতো কারো কারো জীবনে সমস্যা ডেকে আনছে।
কী অদ্ভুত এই নারী জীবন! ভাবতে গেলে কখনো কখনো আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়। এতটুকু একটি জীবন অথচ হাজারো আপসের ভেতর দিয়ে চলতে হয় একটি মেয়েকে। পান থেকে চুন খসলে তার খেসারতও গুনতে হয় নারীই। মাঝে মাঝে নিজের নানা সংকটের কথা ভাবতে গেলেও আমার মনে হয় যে, মানুষ উভলিঙ্গের হওয়াটাই বরং জরুরি ছিল। নারী-পুরুষের একে অন্যের প্রতি নির্ভরতা আছে বলেই জীবনে এত জটিলতা।
তুরিনের ফোঁপানোর শব্দ কমে আসবার সঙ্গে সঙ্গে তার কথাও কমে আসতে থাকে। আমার মনে হয় কথাগুলো তার আরো আগেই বলা উচিত ছিল। হয়তো আজও বলতো না। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েছিল বেচারি।
বেশ কিছুক্ষণ পর তুরিন কিছুটা ধাতস্থ হলে তাকে তুলে দাঁড় করাই। বলি, ওয়াশ রুমে চল। চোখে মুখে পানির ঝাপটা দে একটু!
কোমরের কাছ থেকে হাত সরিয়ে ফেলেছিল বলে সে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কালো রঙের পেটিকোটটা নেমে এসে তার নগ্ন পা দুটো ঢেকে দেয়। আর তা দেখে সে নিজেই হেসে ওঠে হঠাৎ। কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আগেকার সেই যন্ত্রণার ছাপ ফুটে ওঠে চেহারায়। কোমরের কাছটাতে হাত দিয়ে সে একবার ককিয়ে ওঠে। আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারি না। রুক্ষ কণ্ঠে বলে উঠি, ওখানটায় কী হয়েছে আমাকে বল, নয়তো তোর ম্যাক্সিটা ছিঁড়ে ফেলবো।
বেসিনের কল ছেড়ে দিয়ে চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিতে দিতে সে বলল, কাল সে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিল। দেখ কেমন লাল হয়ে আছে এখনো। বলে, সে বুকের কাছের বোতামগুলো খুলে দেখায়। তারপর আবার বলে, কোমরের কাছটা খাটের কোণায় লেগেছিল। পুরো জায়গাটা ব্যথা হয়ে আছে বলে ফিতেটা বাঁধতে পারছিলাম না।
আমার মাথার ভেতরটাতে যেন হঠাৎ করেই দাবানলের উত্তাপে ফেনা উঠতে আরম্ভ করছিল। বললাম, শুয়োরটার ঘরে এখনো পড়ে আছিস তুই? নিজেই টের পাচ্ছিলাম কণ্ঠস্বরের তীব্রতা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই।
-আহ আস্তে বল! পাশের ফ্লাটে লোকজন আছে।
তুরিন মুখ মুছে নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে আবার বলে, বাবা-মাকে বলেছিলাম।
-কী বললেন তারা?
-মা বলল, এমন যাতে আর না হয়। মানিয়ে চলতে।
তুরিনের কথা শুনে আমার খুবই লজ্জা হচ্ছিল। লজ্জা বোধ করছিলাম কেন আমিও নারী হয়ে জন্ম নিলাম। কেন আরেকজন নারীর পেটেই আমাকে আসতে হলো! আমার ইচ্ছে হয় এমন মেরুদণ্ডহীন মানুষগুলো আছে বলেই আমাদের সমাজটা ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না। নারীরা পারলো না মেয়েমানুষের দুর্নাম ঘুচাতে। তবু আমি তুরিনের মুখ থেকে জবাবটা শুনতে চাই। বলি, তুই কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিস?
-আমার আবার কীসের সিদ্ধান্ত? মা তো বলেই দিয়েছেন আমাকে কী করতে হবে!
বলতে বলতে তার দুচোখে আবার পানি টলমল করতে দেখা যায়।
কথা শুনে আমার এতটাই রাগ হয় যে, আমি সব কিছু ভুলে যাই। এমন একটি মেয়েকে এতকাল আমার প্রাণের বন্ধু বলে বিশ্বাস করে এসেছি, যে কি না এতটা শিক্ষার পরও নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অন্ধ রাগে আমি ভুলে যাই তুরিনের রুমে আছে আমার সেল ফোন আর ব্যাগ। ব্যাগের ভেতরে ক্রেডিট কার্ড, পাসপোর্ট আর টিকেটের কথা।
সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেগে লাফিয়ে নামতে নামতে বিস্মিত সিকিউরিটির বিস্ফারিত দৃষ্টি আর হা করা মুখের সামনে দিয়ে আমি প্রায় ছিটকে বেরিয়ে আসি রাস্তায়।
সন্ধ্যা বেলার ফুটপাত ধরে হাঁটবার সময় বাইরের খোলা হাওয়া আমাকে খানিকটা প্রবোধ দেয় যেন। পাশ কাটিয়ে যাওয়া লোকজনের দৃষ্টিতে হীরকের নৃত্য দেখে অনুভব করতে পারি ঢিলে ব্রার কাপ দুটো প্রায় গলার কাছে উঠে এসেছে। আর তখনই পাশের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কতগুলো ইঁচড়ে পাকা কিশোরের মুকে উলু ধ্বনি শুনে ফিরে তাকাই। তাদের সবার দৃষ্টি লক্ষ্য করে বুঝতে পারি ওড়নাটাও রয়ে গেছে তুরিনের ওখানে। সঙ্গে সঙ্গেই খোলা ফুটপাতের ওপর এক ধরনের অস্বস্তি আমাকে জাপটে ধরে আড়াল প্রত্যাশী করে তোলে
মোটামুটি চওড়া একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে দাঁড়িয়ে পেটের কাছে হাত ঢুকিয়ে গলার কাছে উঠে আসা ব্রা-টাকে টেনে নামাই। তখনই একবার সেটা বের করে বদমাশগুলোর মুখের ওপর ছুঁড়ে মারতে ইচ্ছে হলেও আমি যে দেশে জন্ম নিয়েছি, যে সমাজ আর আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠেছি, সেখানে এমন কিছু করা খুব সহজ ব্যাপার নয় বলেই সেটাকে টেনেটুনে সামলে নেই আবার।
একবার মনে হলো ফিরে গিয়ে তুরিনের ওখান থেকে আমার ব্যাগ আর ওড়নাটা নিয়ে আসি। কিন্তু তখনই আবার জেদ চেপে বসে যে, যেখান থেকে বের হয়ে এসেছি সেখানে আর ফিরে যাবো না। তখনই পা চালাই সামনের দিকে। এভাবে পথ চলায় অভ্যস্ত নই বলে বেশ কিছুটা অস্বস্তি হলেও বোধটাকে আর পাত্তা দিতে ইচ্ছে করে না। সেই সঙ্গে ভুলে যেতে ইচ্ছে হয় আমার যে জেন্ডার সেটাও।
(সমাপ্ত)
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। এইটা অন টেস্ট পোস্ট।
এই কর্মটা তো আগে করা হয় নাই। অবস্থা বুঝার জন্যই পোস্ট দিয়া দিলাম।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনার প্রথম গল্প পড়লাম, পড়ে মুগ্ধ হলাম! চমৎকার লিখেছেন!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ৎঁৎঁৎঁ
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
খেয়া ঘাট বলেছেন: এভাবে কত তুরিন যে, চার দেয়ালের আড়ালে দিনরাত কাঁদছে কতো অজ্ঞাত কারণে তার হিসেব কখনো দেয়াল ফুঁড়ে বাইরে যেতে পারে না। - দারুন একটা কথা বলেছেন।
গল্প ভালো লেগেছে।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়াঘাট।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: এটা অনেক সময়ই হয় । নিজের বিবেক-শিক্ষার উপর নির্ভর না করে মায়ের-বোনের পরামর্শ মত অনেকে সংসার করে । এতে একটা মেয়ে শুধু নিজেই বিপদে পড়েনা, কখনো স্বামিটিকেও ব্যাপক মানসিক যন্ত্রনার মাঝে পড়তে হয় ।
যারা সংসার করবে, যাবতীয় ভাল-মন্দ তাদের উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত । প্রত্যকেরই নিজস্ব শিক্ষা-বিবেক দিয়ে তার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত । চাপিয়ে দেয়ার ফল কখনোই ভাল হয়না ।
ব্যতিক্রমি থিম আর প্লট নিয়ে লেখা গল্পটা ভাল লেগেছে ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: নিজের বিবেক-শিক্ষার উপর নির্ভর না করে মায়ের-বোনের পরামর্শ মত অনেকে সংসার করে । এতে একটা মেয়ে শুধু নিজেই বিপদে পড়েনা, কখনো স্বামিটিকেও ব্যাপক মানসিক যন্ত্রনার মাঝে পড়তে হয় ।
আপনার কথা আংশিক সত্য মামুন। তবে এর ফলে স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্য মা, বাবা, ভাই বোনদেরো আরো অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
মতামত ও পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০২
মাহবুব আলী বলেছেন: আপনার আগের অন্যান্য গল্পের তুলনায় ছায়াম্লান মনে হয়েছে। অনেকদিন লেখা থেকে দূরে থাকলে এমন হতে পারে। আপনি বলেছেন, অন টেস্ট...তাই পরিপূর্ণ আয়োজন হবে শিগগীর, আশা করছি। শুধু এই গল্পটি পড়ার জন্য এলাম। ভালো প্লট...ডমেস্টিক বিষয়। জুলিয়ান সিদ্দিকীর নিজস্ব স্টাইল। সুন্দর কাজ। শুভকামনা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: স্বাগতম ভাইজান।
গল্পটা যে খানিকটা ম্লান তা বুঝতে পেরেছি। তা ছাড়া নয়া এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে তো সন্দেহ থাকেই। আবার এটার পেছনে তেমন সময় দিতে পারি নি। মাথা ব্যথা ইগ্নোর করতে জোর করে লিখেছিলাম।
গল্পটি নিয়ে কোনো নারী পাঠকের মন্তব্য পাওয়া গেলে ভালো হতো যে, পুরুষের চোখে নারীর কাঠামো, অবস্থা, মনস্তত্ব অংকনে কতটা ব্যর্থ আমি, তাহলে কিছুটা বোঝা যেতো।
ভাল থাকুন ভাইজান, নিয়মিত হইতে চেষ্টা কইরেন। বড় জাগায় চলাচলের সুবিধা এই যে, ধাক্কাধাক্কি হয় না।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার স্টাইলে লেখা গল্প, ভাল লাগল।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। ভাল থাকুন।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন: ভালোলাগা দিয়ে গেলাম।
বাইরে যাচ্ছি একটু , এসে পড়ে তারপর মন্তব্য করে যাবো ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিক আছে। আমি অপেক্ষাইতাছি।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
আরজু পনি বলেছেন:
জেন্ডার শব্দটা দেখেই আগ্রহ লাগলো পড়তে ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শিরোনামটার কৃতিত্ব বলা যায়। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
তুরিনের মত মেয়েরা শত কষ্টের পরও মানিয়ে নিয়ে চলেছে প্রতিমুহূর্তে। এমন ঘটনা শুধু আমাদের এই সব সম্ভবের দেশেই দেখা যায়।
পুরুষ লেখকের জন্য নারী কথকের মাধ্যমে গল্প লেখা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। ভাল হয়েছে গল্প।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেকে যেমন মা-বোনের কথায় সমস্যা সৃষ্টি করে অসুখী হয় আবার তুরিনের মতো মেয়েরাও মা-বাবাকে দুঃখ দিতে চায় না বলে নিজের জীবনটাকেই বিষাক্ত করে তোলে।
ধন্যবাদ নাজিম। চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। খুব কাছ থেকে না দেখলে খুব কঠিন একটা ব্যাপার। তবু কিছুটা হলেও মনে হয় পেরেছি।
১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার কাছে পড়তে অনেক ভাল লেগেছে। তরতর করে এগোনো গেছে। বর্ণনায় কোনো মেদ ছিল বলে আমার মনে হয়নি। মানুষের উভলিঙ্গ হওয়ার ধারণাটা আমার মধ্যেও আছে। সেটা অবশ্য অন্য কারণে।
ভাল একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন একটা গল্প পোস্ট করেছি। আপনার গঠনমূলক সমালোচনার প্রত্যাশায় রইলাম। ভাল থাকবেন সব সময়।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। অবশ্যই আপনার গল্পটা দেখবো। ভাল থাকুন।
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: কী অদ্ভুত এই নারী জীবন! ভাবতে গেলে কখনো কখনো আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়। এতটুকু একটি জীবন অথচ হাজারো আপসের ভেতর দিয়ে চলতে হয় একটি মেয়েকে। পান থেকে চুন খসলে তার খেসারতও গুনতে হয় নারীই। মাঝে মাঝে নিজের নানা সংকটের কথা ভাবতে গেলেও আমার মনে হয় যে, মানুষ উভলিঙ্গের হওয়াটাই বরং জরুরি ছিল। নারী-পুরুষের একে অন্যের প্রতি নির্ভরতা আছে বলেই জীবনে এত জটিলতা।
জী অনেক অনেক আপসের মাঝে চলতে চলতে একদিন মানসিক রোগী হয়ে দাঁড়ায় জুলিয়ান সিদ্দীকি।
আর লেখাপড়া করলেই যে আত্মসন্মানবোধের কথা বলেছেন অর্থনৈতিক আর সামাজিক কারনেও সেটার ব্যাবহার করা হয়ে উঠে না। এটা অবশ্য আমার ধারনা যদিনা মেয়েরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে না পারে।
জানি না আমার মন্তব্য আপনার গল্পকে ধরতে পেরেছে কি না কিন্ত আমার জানামতে তুরিনের মত মেয়ে অনেক শিক্ষিত পরিবারেও আছে।
+
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এটাও একটা দিক- অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে শিক্ষাও কাজে আসে না। অনেক পরিবারে মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিলেও সংকট খুব একটা দূর হয় না।
অনেকে তো তিনটি মৌলিক বিষয়ের কারণেই সারাটা জীবন আপস করে চলতে বাধ্য হয়। কখনো বা সন্তান একটি বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
আবার এসে মন্তব্য করবার জন্যে ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: দু’বার পড়লাম। গতকাল পড়েও মন্তব্য দিই নি। ক্লান্ত ছিলাম।
কয়েকটি কথা কানে লেগে থাকবে:
“যদি মূর্খ থেকে যেতাম তাহলে মান-অপমান বোধ লাজ-লজ্জা কম হতো।”
“শিক্ষা মানুষের ভালর চেয়ে মন্দটাই যেন করে বেশি। অনেক দিক দিয়ে তাকে সংস্কার মুক্ত করতে গিয়ে আরো বেশি জড় আর সংযত করে ফেলে। অনেক কিছুই বুঝে-সুঝে চেপে যেতে উৎসাহিত করে। শেখায় জীবনের জটিলতাকে কীভাবে আড়াল করতে হয় সুকৌশলে।”
“এভাবে পথ চলায় অভ্যস্ত নই বলে বেশ কিছুটা অস্বস্তি হলেও বোধটাকে আর পাত্তা দিতে ইচ্ছে করে না। সেই সঙ্গে ভুলে যেতে ইচ্ছে হয় আমার যে জেন্ডার সেটাও।”
ঈশ্বর নারী-পুরুষ সৃষ্টি করেছেন, আর সমাজ সৃষ্টি করেছে বৈষম্য। কেউ কেউ বলেন, ঈশ্বর বৈষম্যেরও সৃষ্টিকর্তা
চরিত্রগুলোর নামকরণেও অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় পেলাম। কিছু জায়গায় মনে হয়েছে, কথাগুলোতে জায়গামতো “উদ্ধৃতি চিহ্ন” দিলে আরও সুবিধা হতো।
সবমিলিয়ে চমৎকার একটি গল্প ‘জেন্ডার’! এবিষয়ে আরও লিখবেন মনে হচ্ছে....
কবি জুলিয়ান ভাইকে অনেক শুভেচ্ছা
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ডাক্তার ভাইজান।
উদ্ধৃতি চিহ্ন ভ্যাজাল করে যখন তা বিজয়ে কনভার্ট করবেন। তাই আগে থেকেই নিতান্ত বাধ্য না হলে এইসব চিহ্ন ব্যবহার করি না।
এ বিষয়ে অর্থাৎ নারীর উপস্থাপনায় আরো লিখবো বলেই এটা দিয়ে সূচনা করলাম।
ভাল থাইকেন সব সময়।
১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
সোমহেপি বলেছেন: গল্পে ভালোলাগা।আচ্ছা গল্পটার বক্তব্যধর্মী কথাগুলো না বলে শুধু চিত্রটাই তুলে ধরলে কেমন হত?
আমি অবশ্য গল্প তেমন বুঝি না।তারপরও বললাম এ কারণে েয লেখার নামটাই 'জেন্ডার' যা বুঝার এখান থেকেই বুঝা যেত।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার কথাটা আমার ভাবনায় বপন করলাম।
এভাবে অবশ্যই লেখা যেতো। তা ছাড়া নিজেও সন্দিহান ছিলাম কিছুটা।
কিন্তু এ লেখাটা বলা যায় নিরীক্ষামূলক এবং উদ্দেশ্যমূলক।
দুর্বল মেরুদণ্ডের বন্ধু আর কাছের মানুষগুলো যেন নিজের অবস্থানটা অনুভব করতে পারেন।
১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: টানা কয়দিন ব্লগে না আসায় অনেক কিছু মিস হয়ে গেলো দেখছি , রাতে সময় নিয়ে পড়বো ! আপাতত বুকমার্কড !
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।
১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প ভালো লাগছে। ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে অন্তর্বাস ছুঁড়ে মারলে সেটা হজম করা কতটা কষ্ট সাধ্য হবে জনগনের জন্য সেটাই ভাবছি। যদিও অন্য দেশে এর ব্যাপক প্রতীকী প্রতিবাদ হয়েছে।
কথক নারী চরিত্রের উপস্থাপন ভালো হয়েছে জুলিয়ান দা।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দেশটা যে বাংলাদেশ। এই দেশে তো স্বাভাবিক কত কিছু নিয়াই মানুষ হইচই করে, আবার উদ্ভট অনেক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুপ থাকে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
এরিস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প ভালো লাগছে। ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে অন্তর্বাস ছুঁড়ে মারলে সেটা হজম করা কতটা কষ্ট সাধ্য হবে জনগনের জন্য সেটাই ভাবছি। যদিও অন্য দেশে এর ব্যাপক প্রতীকী প্রতিবাদ হয়েছে।
কথক নারী চরিত্রের উপস্থাপন ভালো হয়েছে জুলিয়ান দা।
সহমত।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ এরিস।
(আপনার কাছে আর কোনো চিঠি নাই?)
১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে মন খারাপ !
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কিন্তু আপনার মন খারাপের কারণেই আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে। ভাল থাকুন।
১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোটোগল্প তো এটাই- অল্প সময়ে ছোট্ট ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশাল এক অনুভূতির সামনে পাঠককে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। সেই দিক থেকে এই গল্প সঠিক অবস্থানে আছে। গল্পে বর্ণনাটুকু সাবলীল ছিল। পড়তে গিয়ে কোথাও ঠেকে যাইনি।
সবমিলিয়ে এক্সপেরিমেন্ট ভাল লাগল। পরের গল্পের অপেক্ষা করছি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু। আশা করি পরে কোনো এক সময় এমন কোনো গল্পের প্লট পেয়ে যাবো। ততদিন ভাল থাকুন।
১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৯
শ্যামল জাহির বলেছেন: ক্ষমা করবেন! প্লাস; মাইনাস দেয়ার মত সুবিচারক আমি নই।
পাঠক হিসেবে লিখার উদ্দেশ্যটাই মূখ্য মনে হয়েছে আমার কাছে।
এমন পোস্ট অনেকের কাছে দাবী রাখছি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্যামল জহির।
২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার পরীক্ষা মূলক গল্প কিন্তু খারাপ লাগেনি একেবারেই।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।
২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সেই সঙ্গে ভুলে যেতে ইচ্ছে হয় আমার যে জেন্ডার সেটাও। গল্পের সবটুকু এখানেই।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, একটা ছেলে বুকের অর্ধেক খোলা রেখে, আন্ডার ওয়্যারের কিছু অংশ বের করে রেখে হাঁটতে থাকলে মেয়েরা তার দিকে তাকিয়ে শিস কাটে কিনা, কিংবা কোনো অশোভন ইশারায় আড়ালে যেতে ডাকে কিনা - এই দেশে, কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে। শুনেছি, কোন্ দেশে নাকি মেয়েরা ছেলেদেরকে কিডন্যাপ করে ধরে নিয়ে যেয়ে রেইপ করে। সত্য নাকি?
কোনো কোনো দেশে মেয়েরা শুধু ব্রা ও প্যান্টি পরে বিশেষ বিশেষ স্থানে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ায়, যেমন সি-বিচ, সাওনা-বাথ, স্পোর্টস প্লেস, ইত্যাদি। ওটা তাদের জন্য অশালীন পোশাক নয়। ওসব জায়গায় হঠাৎ কারো ব্রা খুলে গেলে, কিংবা কেউ ব্রা খুলে স্তন্য প্রদর্শনে বেপরোয়া হয়ে উঠলে সেটা অশ্লীল ও অসামাজিক দৃশ্য হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের মেয়েরা ব্রা পরে ঘুরে বেড়াবে এটা স্বপ্নাতীত। কোনো মেয়ের বুক থেকে আঁচল সরে গেলে তামাম পুরুষ মুহূর্তে সেদিকে তাকাবে। ওড়নাছাড়া মেয়ের বুক উঁচু দেখলে ছেলেরা সেদিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেই। এমতাবস্থায় কোনো মেয়ের ব্রা-য়ের কাপ যদি গলার কাছে চলে আসে, বা তা যদি দৃশ্যত হয়ে পড়ে, তা শালীনতার মধ্যে থাকে কিনা বিচার্য বিষয়। এখন এ অবস্থাটাকে বজায় রেখে মেয়েটাকে যে সাহসী পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে নিলেন, এটা কি পরবর্তীতে তাদেরকে কেবল ব্রা-ময়ী পদে প্রোমোশনের জন্য? এ ক্ষোভটা কী জন্য, তার নারী হয়ে জন্মাবার জন্য? তাহলে প্রকারান্তরে নারীর অসহায়ত্বকেই মেনে নেয়া বোঝায়।
আপনার বর্ণনা, অলঙ্কার সব সময়ের মতোই প্রাঞ্জল ও স্বকীয়।
গল্পটা মূলত তুরিনকে নিয়ে। কিন্তু এক পর্যায়ে এসে তুরিন কোথায় যেন হারিয়ে গেল, হঠাৎ জেগে উঠলো অন্য মেয়েটা। চরিত্রগুলো বুঝতে বেশ সময় লেগেছে। কথককে আমার আগাগোড়াই মনে হয়েছিল তুরিনের ছেলেবন্ধু। ছেলেবন্ধুর পিঠের ব্রা ছিঁড়ে যাবার সময়টাতেই মনে হয়েছে ইনিও একজন মেয়ে। আর শেষের ব্রা-য়ের কথা তো উপরে বললামই।
জুলিয়ান ভাই, নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অন্যের সাপোর্টের চেয়ে আর যার সায় সবচেয়ে বেশি দরকার সে হলো নিজের মন, গভীর বিবিক্তিতে যে বলে দিবে- হলো, কি হলো না। এবার নিজেই বিবেচনা করুন আপনার টেস্ট কতখানি সফল হয়েছে।
শুভ কামনা জুলিয়ান ভাই।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ওড়নাছাড়া মেয়ের বুক উঁচু দেখলে ছেলেরা সেদিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেই। এমতাবস্থায় কোনো মেয়ের ব্রা-য়ের কাপ যদি গলার কাছে চলে আসে, বা তা যদি দৃশ্যত হয়ে পড়ে, তা শালীনতার মধ্যে থাকে কিনা বিচার্য বিষয়।
-সোনা ভাই, আপনার মন্তব্য থেকে উদ্ধৃতাংশটি ভাবনায় থাকলো আমার। আবার কোনো গল্পে এমন দৃশ্য থাকলে সেটাকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো।
আপনি যে বললেন-
অন্যের সাপোর্টের চেয়ে আর যার সায় সবচেয়ে বেশি দরকার সে হলো নিজের মন, গভীর বিবিক্তিতে যে বলে দিবে- হলো, কি হলো না।
নিজের মন সব সময় সত্যিটা না ও বলতে পারে। অনেক কনফিডেন্ট মানুষও ব্যর্থ হয়। সে ক্ষেত্রে ওভার কনফিডেন্স ভাল কথা নয় বলেই জেনে আসছি। খানিকটা শঙ্কা থাকা ভাল। তা ছাড়া গুণীজন কেউ বলেছেন, সব বুঝে ফেলা ঠিক নয়। তাই আমাতে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়, হয়তো তা আর কখনোই দূর হবে না।
আরেকটা ব্যাপার হলো সমাজে দু শ্রেণীর মানুষ আছে। শালীনতার বিচার তারা দুভাবে করে। একদল মেয়েদের বুকে দৃষ্টি ফেলে আগে, আরেকদল দৃষ্টি ফেলে পরে। সুতরাং ব্যাপারটা ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের কারো কারো জামার গলা দুই কাঁধ অবধি বিস্তৃত এবং খোলা কাঁধে চেপে বসে থাকা অন্তর্বাসের ফিতে দেখেছি অনেকবার। তাও আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে। এ দৃশ্যটাকে আমার চোখে অশ্লীল মনে হয়নি। অশ্লীল মনে হয়নি হরতালের সময় পুলিশের টানাটানিতে জামা ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে কালো ব্রা পরে থাকা নারী পিকেটারের খোলা পিঠ।
একজন স্বতস্ফূর্ত ভাবে ব্রার ফিতে দেখাচ্ছেন অন্যজন পরিস্থিতির শিকার।
আর যে ক্ষোভের কথা বললেন, তা কিন্তু মিথ্যে বলেননি। ক্ষোভের জন্ম কিন্তু অসহায়ত্ব থেকেই।
কথককে ছেলে মনে করবার কারণ হলো, আপনি জানেন গল্পটির লেখক একজন পুরুষ। লেখক মেয়ে হলে ধরে নিতেন কথকও একজন মেয়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ব্লগে লেখা পোস্ট করবার পর প্রতিটি কমেন্টই আমার কাছে মূল্যবান। এবং কমেন্টগুলোই আমাকে অনুপ্রাণিত করে পরের গল্পটির কাঠামো নির্মাণে।
ভালো থাকুন সব সময় আর এভাবেই যেন সঙ্গ পাই।
২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চেতনায় নাড়া দিল । নারীরা সবসময় অসহায় ।
টাচ করল অনেক জুলিয়ান দা ।
কেমন আছেন ?
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ।
ভাল নাই আসলে। দুনিয়ার কুনুখানে শান্তি নাই, শান্তিতে নাই অন্যরাও।
ভালো থাইকেন সব সময়।
২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আমি গল্পটা পড়ে কমেন্ট করেছিলাম, এখন দেখি কমেন্ট পোস্ট হয় নাই
অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। চমৎকার একটা বাস্তব প্রেক্ষাপট যার প্রতিটা অঙ্ক মঞ্চস্থ হয় আমাদের সমাজে। শুধু নিজের জেন্ডারটা ভোলার উপায় নেই।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হেহে নিজের জেন্ডার ভুলে যাওয়া অবশ্যই বিপদের কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কিছু জায়গায় আপনার বর্ণনা দীর্ঘায়িত ছিল। এত দীর্ঘ না হলেও পারত।
নারী চরিত্রের বিকাশে আরো একটু স্পেস দিতে পারতেন, যেটা আপনি কথক হয়ে নিজেই দখল করেছেন।