নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।
ভেতরে ভেতরে এক ধরনের কষ্টের হিমবাহ গলতে আরম্ভ করলেও তিন্নির মুখটা বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। আজকের মুহূর্তটাও যেন প্রতিদিনকার মতই ছিল স্বাভাবিক। যেমন স্বাভাবিক ছিল স্টেশনের চিরাচরিত জনাকীর্ণ ব্যস্ত প্লাটফরম। সমান্তরাল রেলের দুটো পাত। এমন কি প্রতিদিনকার বুনো গাছগুলোর বিশুষ্ক ঝরা পাতার আড়ালে কোথাও কোথাও কিঞ্চিৎ লাজুক মুখে উঁকি দিয়ে থাকা সাবেকী আমলের স্লিপারগুলোও। কিন্তু সব চেয়ে বড় পরিবর্তনটা সে দেখতে পেয়েছিল নেহালের চোখে-মুখে। যেখানে হতাশা আর বিস্ময় মিলিয়ে অদ্ভুত এক দ্যোতনার সৃষ্টি হয়েছিল। যার আড়ালে তিল তিল করে গড়া কোনো সৌধ বা ইমারতের ভাঙন শুনতে পেলেও অসহায়ের মতো কান পেতে রাখা ছাড়া উপায় ছিল না।
ব্রেক অব স্টাডির কারণে দেরি করে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে ভর্তি হয়েছিল তিন্নি। আর ক্লাসের প্রথম দিনে পরিচিতির পরপরই কেমন যেন ন্যাওটা হয়ে পড়েছিল নেহাল। ক্লাসে লাইব্রেরিতে, কখনো বা ক্যান্টিনে ছায়ার মতো প্রায় আগলে রেখেছে তাকে। কিন্তু তার মনে যে এমন কিছু একটার জন্ম হতে পারে তা কিছুতেই ভাবতে পারছিল না সে। আর সে কারণেই ভেতরে ভেতরে ক্রমাগত গলে গলেও নিঃশেষ হতে পারছিল না হয়তো।
শাটল ট্রেনটা আস্তে ধীরে স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। জানালায় মুখ বের করে তাকিয়ে আছে নেহাল। যদিও তার মুখে স্পষ্ট হাসি দেখতে পাচ্ছিল তিন্নি, কিন্তু খানিকক্ষণ আগের চেহারার সঙ্গে নেহালের এই হাসিমুখের কোনো মিল নেই। কেউ কেউ আছে প্রচণ্ড ঝালে মুখ পুড়ে গেলেও উহ আহ করে না। কিন্তু তার মুখ চোখ সে কথা ঠিকই জানান দিয়ে দেয়। হাসির আড়ালে জীবনের প্রথম হোঁচট খাওয়ার যন্ত্রণাটা প্রাণপণে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে হয়তো। যদিও একবার কথায় কথায় বলেছিল যে, মেয়েদের সঙ্গে সে খুব একটা সহজ হতে পারে না। কেবল মিতু আর সাদিয়ার সঙ্গেই তার এক আধটু আলাপ সালাপ হয় আর তিন্নির কাছে বলা যায় পুরোপুরিই সহজ সে। আচরণে বা কথায় সেই শুরুর দিন থেকেই কোনো রকম জড়তা প্রকাশ পায়নি তার মাঝে।
একজন বিবাহিত নারীকে দেখলেই আজকালকার ছেলেমেয়েরা বুঝে ফেলে। জিজ্ঞেস করে জানতে হয় না তাদের। অথচ সে অনেকবারই সাদিয়া বা মিতুর সঙ্গে কথায় কথায় বলেছে তার সংসারের ছোটখাটো অনেক কথা। এমনকি বড় মেয়ে নিভার ছবি আঁকার দুর্দান্ত হাতের কথা। ছোট ছেলে ঋদ্ধর গেম নিয়ে নানা পাগলামির কথা। সেসবের কিছুই নেহালের কানে পৌঁছে নি এ কথাটাই বা সে কী করে মনে জায়গা দেবে?
ক্লাসে আসবার পথে বা কখনো কখনো শাটল ট্রেনে আসা যাওয়ার পথেও দেখা গেছে সে সাদিয়া অথবা মিতুর সঙ্গে ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করছে। আর তাদের মুখে একবারও কি প্রকাশ পায় নি বা কোনোভাবে কি উঠে আসেনি তার প্রসঙ্গ? মানুষ তো সুযোগ পেলেই পরচর্চায় লিপ্ত হয়। তা ভালো কিংবা মন্দ যে কোনো অর্থেই হোক। অথচ কী এক অজানা কারণে ব্যাপারটা নেহালের কাছেই অজ্ঞাত থেকে গেল? বিভ্রান্তি কি এমন করেই মানুষকে গ্রাস করে ফেলে?
যদিও তার মেয়ে নাইনে পড়ছে তবু নতুন পরিচিত কেউ কেউ বলে উঠেছে, হায় আল্লা, আপনার মেয়ে যে অত বড় বিশ্বাস করতে ইচ্ছেই হচ্ছে না। অবশ্য কারো কারো বিশেষ করে মেয়েদের অমন বাড়িয়ে বলাটা প্রায় স্বভাব বলা যায়। তাই ব্যাপারগুলোকে তেমন একটা পাত্তা দেয় নি এতদিন। সত্যিই যে তাকে ঘিরে এমন একটা রহস্যময় ব্যাপার কাজ করছে টের পেলে আরো আগেই ভেঙে দিতে চেষ্টা করতো।
বয়সে কম বলে তার প্রতি একটা স্নেহসূলভ দৃষ্টি ছিল তার। আর সে কারণেই মাঝে মাঝে ছোটখাটো গিফট কখনো বা একসঙ্গে ক্যান্টিনে খেয়ে বিলটা সে নিজেই দিয়ে দিয়েছে কতবার। হতে পারে এটাকেই তার প্রতি দুর্বলতা ধরে নিয়েছিল নেহাল। আচ্ছা ছেলেটা অমন স্টুপিড কেন?
নিজের ওপরই ভীষণ রাগ হতে থাকে তিন্নির। আরে মনের ভেতর পুষে না রেখে একবার আভাসে ইঙ্গিতে জানালেও তো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যেতো। শুধু শুধু মনের ভেতর অতটা কষ্টের বোঝা নিয়ে যেতে হতো না শেষ দিন। সে তো নিভার বাবা দিদারের কাছে সব কিছু অকপটে বলে ফেলতে পারবে। তা ছাড়া তার মনে কোনো রকম দুর্বলতারও জন্ম হয় নি যে তা ভুলতে কিছুটা হলেও মনের ওপর চাপ পড়বে। অথচ খুবই মামুলী একটা ভুলের বোঝা তাকেই কিনা বয়ে নিয়ে যেতে হবে বাড়ি অবধি। যার খেসারত দিতে হবে নেহাল নামের স্টুপিডটাকে। হতে পারে এ ব্যর্থতা বা কষ্টের কথা চিরকাল তাকেই বইতে হবে মনের ভেতর। অন্যের হাসি ঠাট্টার পাত্র হবার ভয়ে দেখা যাবে কখনো প্রকাশই করতে পারলো না ঘটনাটা।
ক্লাস, নোট, শিক্ষার নানা সরঞ্জাম বা বইপত্র কিছুর প্রয়োজনে যখনই দিদার সঙ্গ দিতে পারেনি তখনই শরণাপন্ন হতে হয়েছে নেহালের। আর নেহালও যেন বলার সঙ্গে সঙ্গেই উড়ে চলে আসতো। এমন ব্যাপারগুলো আগে কখনোই খেয়াল হয় নি তিন্নির। একবার রিকশায় যেতে যেতে খোলা চুলগুলো হাওয়ায় উড়ছিল বলে নেহাল বলেছিল, তোমার চুলগুলো তো দারুণ ঘন। একটু ছুঁয়ে দেখতে দিবা?
আনমনে বা নেহালের কথায় ততটা গুরুত্ব দেবার ছিল না বলেই তরল কণ্ঠে বলে উঠতে পেরেছিল তিন্নি, তোর ইচ্ছে হলে দেখ!
এক গোছা চুল হাতে নিয়ে নেহাল বলে উঠেছিল, প্রতিদিনই কি শ্যাম্পু কর? অমন ঝরঝরে থাকে কীভাবে? তেল না ক্রিম না চুলে জট পাকায় না?
তিন্নির ইচ্ছে হয় নি সে প্রসঙ্গে কথা বলতে। রিকশা ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিল নিউ মার্কেটের দোর গোঁড়ায়। মনে মনে তাড়া ছিল সেদিন, জিনিস-পত্রগুলো কেনা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে চটজলদি তৈরি হতে হবে জুন আপুর মেয়ে মুনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাবার জন্যে।
হঠাৎ একটু দমকা হাওয়া পথ ভুলে যাবার সময় কিছু শুকনো পাতা উড়িয়ে এনে তার পায়ের কাছে রেখে যায়। সে সঙ্গে তখনই তার মুখের হাসিটা বিলীন হয়ে যায় বলে ওড়নার প্রান্তটা উড়ে এসে ঢেকে দেয় তার চোখমুখ। আর তখনই চকিতে তার দৃষ্টি যায় দূরের পাহাড়ি বাঁকে অপস্রিয়মাণ ইউনিভার্সিটির শাটল ট্রেনটার দিকে। যে ট্রেনের জানালার পাশে বসে আছে নেহাল। যে আরো আগেই চলে গেছে দৃষ্টির আড়ালে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রশিদ। গল্পটা একটা ফোটোগ্রাফ অবলম্বনে লেখা। যাতে একটি রেলওয়ে স্টেশনে একাকী একটা মেয়ে বসে আছে।
ভালো থাকবেন সব সময়।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
নেক্সাস বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প পড়লাম জুলিয়ান ভাই
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ নেক্সাস। ভালো থাকুন সব সময়।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: অল্প কথার গল্প ভাল লাগল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। ভালো থাকুন সব সময়।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তিন্নিদের বয়স বাড়ে না কখনো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিক তিন্নিদের বয়স বাড়ে না। কিন্তু এমনটা খুব কমই হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অপর্ণা। ভালো থাকুন সব সময়।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
সোমহেপি বলেছেন: তিন্নিদের জন্য এমন হলে তারা ভালোই ফিল করে ব্যাপারটা ।এখনও ফুরিয়ে যাইনি এমন একটা ভাব তাদেরকে আরো আনন্দ দেয়।
ভাল লাগা
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়বার জন্য ধন্যবাদ সোমহেপি।
এখনও ফুরিয়ে যাইনি এমন একটা ভাব তাদেরকে আরো আনন্দ দেয়।
-কেউ কেউ হয়তো আনন্দ পায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা হয় বিড়ম্বনার।
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
জুন বলেছেন: ছোট একটি গল্পে বেশ বড় একটি অনুভব প্রকাশ পেল ।
ভালোলাগলো কারন জটিল করে তোলেন নি গল্পটি।
+
অটঃ আবার কোন জুন আপুকে পেলেন
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার জানামতে জুন আপু বলতে তো আপনিই আছেন এই জগতে। আরো কোনো জুন আছে নাকি বাংলাদেশে?
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ট্রেনের জানালার পাশে বসে আছে নেহাল। যে আরো আগেই চলে গেছে দৃষ্টির আড়ালে।
পুরো গল্পের থিমই এইখানে নিহিত।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেক সময় একটি সংলাপের ওপরও দাঁড়িয়ে যায় একটি গল্প।
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এক পৃষ্ঠায় এতো কিছু বলা যায়!
মুগ্ধতা জানাচ্ছি
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। ভালো থাকুন।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুভূতির কি সুন্দর প্রকাশ!! চমৎকার একটা গল্প।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কা_ভা। ভালো থাকুন সব সময়।
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ফেসবুকে পড়ে এসেছি, আমি লেখনী পড়ে খুব আরাম পেয়েছি!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ তিন খণ্ড-ত। আপনি পড়তে যাতে কষ্ট না হয় সে চেষ্টাই থাকবে।
ভালো থাকুন সব সময়।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: একটি পৃষ্টায় বন্দী করে নিলেন কিছু অনুভুতি !
খুব চমৎকার !
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। ভালো থাকুন আপনি।
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা চমৎকার লাগলো জুলিয়ান ভাই। মুগ্ধ হলাম।
আমার কিছু প্রশ্ন ছিলঃ
১। নেহালকে স্টুপিড বললো কেন তিন্নি? পাঠক হিসাবে নেহালের চরিত্রে কোনো স্টুপিডিটি দেখি না। তিন্নি তাকে ক্যান্টিনে খাইয়ে নিজে বিল দেয়, যে-কোনো প্রয়োজনে ডাকলেই নেহাল উড়ে আসে তিন্নির কাছে, তিন্নির চুলের গোছা হাতে নিয়ে নাড়া- প্রেমিক হিসাবে নেহালের অধিকারে এসব পড়ে কিন্তু এজন্য তাকে স্টুপুড বললে কষ্ট পাই যে
২। খুবই মামুলী একটা ভুলের বোঝা তাকেই কিনা বয়ে নিয়ে যেতে হবে বাড়ি অবধি। ঘটনা তো দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে- অনেকদিন ধরে। এ লাইনটা পড়ে মনে হয় একদিনের একটা ঘটনা, যা এইমাত্র ঘটে গেলো।
৩। তিন্নি ভাবছে তার মনে কোনো দুর্বলতা জন্মে নি নেহালের প্রতি। কিন্তু গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনে হলো সে গভীর এবং কিছুটা অসম-বয়সী প্রেমে পড়ে অস্থিরতায় ভুগছিল এ জিনিসটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
৪। ‘এক পৃষ্ঠার গল্প’, ‘১০ মিনিটের গল্প’, ‘ছোটো ছোটো গল্প’- ইত্যাকার বিশেষণ যোগে গল্পের শিরোনাম তৈরি করার গল্পকার আপনি নন। ওসব রেখে দিন আমাদের মতো নবিশদের জন্য, যাঁরা কেবল গল্প লিখতে শিখছি, অস্তিত্ব নিয়ে বিষম টানাপড়েনে আছি।
শুভ কামনা জুলিয়ান ভাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সোনাভাই আপনার কমেন্ট পাইলেই বিপদে থাকি।
কিন্তু তার মনে যে এমন কিছু একটার জন্ম হতে পারে তা কিছুতেই ভাবতে পারছিল না সে।
আর-
আরে মনের ভেতর পুষে না রেখে একবার আভাসে ইঙ্গিতে জানালেও তো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যেতো। শুধু শুধু মনের ভেতর অতটা কষ্টের বোঝা নিয়ে যেতে হতো না শেষ দিন।
-অংশে আভাস দেওয়া আছে যে নেহালের ব্যাপারটা এক তরফা যা সে প্রকাশ করে নাই। যে কারণে সে তিন্নির দৃষ্টিতে স্টুপিড। আর আপু জ্ঞানে চুল ধরতে পারে ছোট ভাই।
২
ঘটনা তো দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে- অনেকদিন ধরে। এ লাইনটা পড়ে মনে হয় একদিনের একটা ঘটনা, যা এইমাত্র ঘটে গেলো।
-ঘটনাটা কিন্তু তেমনই। পরীক্ষা দিয়ে শেষ দিন স্টেশনে বসে নেহাল নিজেকে মেলে ধরেছিল যা, পাঠক নয় তিন্নিই শুনেছে।
৩
তিন্নির মনে দুর্বলতা জন্ম হয়নি। ছোটভাই জ্ঞানে যাকে ইচ্ছে মতো খাটিয়েছে বলা যায়। তা দুর্বলতা হয়ে দেখা দিয়েছে হয়তো নেহালের কাছে। নেহাল ট্রেনে উঠে পড়বার পরই তার মনে ব্যাপারগুলো আলোড়িত হচ্ছিল।
৪
‘এক পৃষ্ঠার গল্প’, ‘১০ মিনিটের গল্প’, ‘ছোটো ছোটো গল্প’- ইত্যাকার বিশেষণ যোগে গল্পের শিরোনাম তৈরি করার গল্পকার আপনি নন। ওসব রেখে দিন আমাদের মতো নবিশদের জন্য
-এখানেও আমার আপত্তি আছে। কারণ যে লেখাগুলো একপৃষ্ঠার গল্প বলে চালাই, সেগুলোর সীমা বড়জোর হাজার শব্দের ভেতর। তাই সেগুলোকে আলাদা রাখতেই এ কৌশল।
ভাল থাকুন সব সময় আর আমারে কম কম বিপদে ফেলেন এই কামনাই করি।
১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
সফদার ডাকটার বলেছেন: এক পৃষ্ঠার গল্প ভাল্লাগছে । আমিও লেখছি একটা আধা পৃষ্ঠার..
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সফদার ডাকটার।
সার্ভারের ঝামেলায় কালকে দেখা হয় নাই। ফেবুর লিঙ্ক ধরে আসবার সুযোগ ছিল। আশা করি পড়ে ফেলবো। ভালো থাকুন সব সময়।
১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
বোকামন বলেছেন:
ভালো লিখেছেন ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ বোকামন। ভালো থাকুন সব সময়।
১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী,
বেশ ছিমছাম । নিঃশব্দের ভেতরে ও অনেক শব্দের গন্ধ !
শুভেচ্ছান্তে ।
( পড়তে গিয়ে যে খটকাগুলো লাগছিলো তা ১২ নং মন্তব্যে সো-ধূ-বা-ছাই য়ের চিন্তার সাথে মিলে গেছে । কাকতালীয় ! ! ! )
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
সোনাভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে চেষ্টা করেছি খটকাগুলো মেটাতে।
ভালো থাকুন সব সময়।
১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই, বাস্তবের তিন্নিরা আসলে শুরু থেকেই সব টের পেয়ে যায়, কিন্তু টের পেয়েও না বুঝার ভান ধরে থাকে। কারন চরম সত্য সামনে চলে আসলেইতো এমন বিনি পয়সার অ্যাসিস্ট্যান্ট আর থাকবেনা।আর যেদিন এই চরম সত্য সামনে চলে আসে সেদিন একটি কমন ডায়লগ বেরিয়েআসে, "ছি,আমি তোমাকে অন্যরকম ভেবেছিলাম।আর তুমি কি না আমাকে...."
কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী।
ধন্যবাদ লেখককে ছোট্ট পরিসরে সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।
আরেকটি কথা তিন্নি বলল, "ক্লাসে আসবার পথে বা কখনো কখনো শাটল ট্রেনে আসা যাওয়ার পথেও দেখা গেছে সে সাদিয়া অথবা মিতুর সঙ্গে ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করছে। আর তাদের মুখে একবারও কি প্রকাশ পায় নি বা কোনোভাবে কি উঠে আসেনি তার প্রসঙ্গ? "
তো একইভাবে বলতে চাই তিন্নিও কি বুঝেনি কখনো নেহালের অনুভুতি। এমন কি সাদিয়া অথবা মিতুও! মেয়েরা নাকি সব কিছু বুঝে ফেলে?
এত্ত কথা বলে ফেলার জন্য আন্তরিকভাবে দঃখিত।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বুঝতে পারলে তিন্নি আর নেহালের সংলাপগুলা আরেক রকম হতে পারতো।
পোস্ট পড়বার জন্য ধন্যবাদ। বাস্তবতা আরেক জিনিস। জগতে চালাক আর নির্বোধ মানুষ আছে। এমন কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যা আগেভাগে টের পাওয়া যায় না। এক একজনের দৃষ্টিভঙ্গি এক এক রকম। একই কথার নানা অর্থ হয় নানা জনের কাছে। কাজেই যেহেতু গল্প নানা দৃষ্টিকোন থেকেই বিচার করা যায় অবশ্যই।
আমার পোস্টে আপনাকে প্রথম দেখছি তাই স্বাগতম। ভালো থাকুন সব সময়।
১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার!!!!!! মুগ্ধ করল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি। ভালো থাকুন সব সময়।
১৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: গল্পটা আমি দুবার পড়েছি। কারন সোনাবীজের মতো আমার কিছু প্রশ্ন আসছিলো যা কমেন্টস পড়ে আপাতত আর নাই। তবে তিন নম্বর ফ্যাক্ট টাতে আমি উনার সাথে একমত। আপনে লেখক কিছু প্রকাশ কিছু গোপন করে লেখছেন। আর তাই এই গল্পটা সাধু হইছে। পাঠক তাঁর কল্পনার রঙ মিশালে মিশাক।
শেষটা খুব ভালো লাগছে। এক্ষেত্রে আমি সোনাবীজের তিন নম্বর প্রশ্ন বা মতের সাথে যাব।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বইঞ্জান কেমন আছেন?
আমার কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা নাই ছাত্র কালের। কাজেই বুড়া কালে আইসা অনেক কিছুই শিখতে হইতাছে নতুন কইরা। সেই বয়সটারে বোঝাও বেশ ঝামেলার। যাই হোক তিন নাম্বার ফ্যাক্ট নিয়া আমিও মাথা না ঘামাই। গল্প পইড়া পাঠক আনন্দ পাইলে আমিও খুশি।
ভালো থাকেন সব সময়
১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
কয়েস সামী বলেছেন: ++++
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কয়েস সামী।
২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ভাল লাগল জুলিয়ান দা।
গল্পের শেষে এসে চমৎকার ভাবে ভাবনায় ফেলে দিলেন।
ভাল লাগা জানবেন।
প্রক্সি দিয়ে লগইন করাতে ভাললাগা রেখে যেতে পারলাম না
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: প্রক্সি কেন লাগলো বুঝলাম না। এখন তো তেমন ঝামেলার কথা শোনা যায় না।
তবু গল্প পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। সে সঙ্গে ভালো থাকুন নিরন্তর।
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বেচারা নেহালের জন্য মায়াই লাগছে।
যে কত জটিলতা আমাদের! ছোট ছোট ঘটনা, রিলেশন, স্মৃতি, কত কত মানুষ! ক্ষুদ্র এই জীবন কত কিছুই যে ঘিরে আছে। কত মানুষের ভালবাসা, কত মানুষের চাওয়া পাওয়া, অধিকার, কত কত দুঃখ! কত অভিমান, না পাওয়ার বেদনা, কত হাহাকর, দীর্ঘশ্বাস! হায়রে জীবন!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে কত কিছু জড়িয়ে আছে। আমরাও বেঁচে থাকি এসব যাবতীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।
২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জুলিয়ান ভাই, আমিত জানতাম জুন আপুর একটি ছেলে আছে। এখন দেখি মেয়েও আছে।
ভালই হলো আপনার গল্প পড়ে সত্যটা জানা গেলো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: জুলিয়ান ভাই, আমিত জানতাম জুন আপুর একটি ছেলে আছে। এখন দেখি মেয়েও আছে।
-বলা আছে কোথাও যে, একজন লেখকের অনেক ক্ষমতা। জুন আপু বলেছেন ছেলের কথা। কিন্তু আপুর মুন নামের একটা মেয়ে থাকা খুবই জরুরি।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।
২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২
সুমন কর বলেছেন: খুব সুন্দর একটি ছোট গল্প পড়লাম। ভাল লাগল।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকুন সব সময়।
২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ভাই অনেকদিন ধরে আমার ল্যাপটপে সামু আসছেনা সরাসরি তাই প্রক্সি দিয়ে ঢুকি। এখন সেই সমস্যা চলছে....
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমি আরো অনেক আগে থেকেই এই সমস্যায় আছি। প্রক্সি বুঝিনা। গুগুলে সার্চ দিয়ে সামুকে বের করি। তারপর কোনো একটা পোস্টের ক্যাচে ক্লিক করে টেক্সট ভার্শন ওপেন করি। সেখান থেকে সকল পোস্ট-এ ক্লিক করে আসি প্রথম পেইজে। এবং লগিইন করি।
২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ভাবনাময় গল্প।
শুভেচ্ছা জানবেন গল্পকার।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্যেও।
২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: যে ট্রেনের জানালার পাশে বসে আছে নেহাল। যে আরো আগেই চলে গেছে দৃষ্টির আড়ালে।
খুউব সুন্দর। একগুচ্ছ প্লাস।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট। ভালো থাকুন সব সময়।
২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার... গল্প শেষ... কিন্তু রেশ রয়ে গেছে...
++++++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির। স্বাগতম আপনাকে।
পড়ার শেষে যদি কাহিনী বাঘটনার রেশ পাঠকের মনে থেকে যায়, সেই লেখা কিন্তু উৎকৃষ্ট লেখা।
২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্প ভাল লাগল । এত কিছু বুঝেন ক্যামনে আপনি ?
বয়সের দোষ ?
ভাল থাকুন জুলিয়ান দা । শুভকামনা ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বয়সের দোষ তো অবশ্যই, বয়সের কিছু প্লাসও আছে।
ভালো থাইকেন মাহমুদ।
২৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
অ্যানোনিমাস বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা রইলো!
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সেই সঙ্গে জানাই স্বাগতমও। ভালো থাকুন সব সময়।
৩০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৫
শ্যামল জাহির বলেছেন: ফটোগ্রাফ অবলম্বনে 'নৈঃশব্দ্যের সৌধ' ভাল লাগলো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। কেমন আছেন? আপনার নতুন লেখা নাই কেন?
৩১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার।
সার্থক ছোট গল্প হয়েছে
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম। ভালো থাকেন সব সময়।
৩২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
জুন বলেছেন: @ কান্ডারী অথর্ব, লেখকরা যে অনেক কিছুই করতে পারে তার প্রমান জুলিয়ান সিদ্দিকীর এই গল্প। আমার বিয়ের বয়স না হওয়া ছেলেটিকে কলমের এক খোচায় মেয়ে বানিয়ে দিয়ে তার বিয়েও দিয়ে ফেলেছে
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপু এইটা হইলো লেখকের ক্ষমতা কেমন তা দেখানো।
৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
সায়েম মুন বলেছেন: টুইস্টটা সুন্দর হয়েছে। গল্পে অনেক ভাললাগা!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম মুন। ভালো থাকুন সব সময়।
৩৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
সায়েম মুন বলেছেন: জুন আপুর কমেন্ট পড়ে হাসতেছি। গল্প পড়তে গিয়ে আমারও সেটাই মনে হয়েছিল। জুন আপুর তো ছেলে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন:
৩৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লেখকের ক্ষমতা অসাধারণ সেটি ই প্রমাণ হলো ছেলে কে মেয়ে বানিয়ে ফেলা চারটি খানি ব্যাপার নয়। জুন আপু অবাক হলে কিছুই করার নেই। কারণ তিনিও লেখক।তিনি বুঝেন লেখকের ক্ষমতা কতটুকু।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। আসলে জুন আপু ঝামেলা পছন্দ করেন না। তাই ক্ষমতা ব্যবহার করে কারো বিরাগ ভাজন হতে চান না হয়তো।
৩৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
নেহালের বিষয়টা কেমন যেন একটু গোলমেলে। দুইজনের সাথে তার নিয়মিত কথা হয়। আবার মেয়েদের সাথে সে তেমন ইজি না। সাদিয়া, মিতু, তিন্নি এই তিনজনের সাথে গপ্পো করার পরও সে মেয়েদের সাথে আনইজি এইটা হয় না।
আবার তিন্নি কোন যুগের মেয়ে। আজকাল মেয়েরা চাহনি দেইখ্যা সব বুঝে নেয়। সেইখানে সে নেহালকে বুঝতে পারে না! মিলে নাই...
তবে গল্প ভাল লাগসে জুলিয়ান ভাই।
আমি যতই বলি না কেন সবশেষে এইটা একটা গল্প... তাই যুক্তি আর বাস্তবতা দিয়া বিচার না করলেই মামরা খালাস... আমি জাস্ট একটু পণ্ডিতি করলাম...
৩৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: *মামলা
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: গল্প ভালো লাগলেই হইলো কবি। এত জটিলতা খুঁইজা লাভ নাই। তবে ব্যক্তি জীবনে এমন দেখেছি যে কেউ কেউ আলাপ সীমাবদ্ধ রাখে কোনো একটা বিষয়ে তার বাইরে আর আলাপ গতি পায় না। ছাত্রজীবনে আমার অনেক বন্ধু ছিল, যাদের অনেকেই বন্ধুদের ব্যক্তিগত জীবনের কিছুই জানতো না বা সে প্রসঙ্গ কখনো তাদের আলাপে ঠাঁই পায়নি।
আসল কথা তো ওটাই- গল্প শেষ পর্যন্ত গল্পই।
ভালো থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু কথা অপ্রকাশিত থাকে, ধীরে ধীরে নৈঃশব্দের সৌধ গড়ে তুলে ।
খুব অল্প লেখায় দারুণ একটা গল্প পড়লাম । খুব ভালো লেগেছে ।