নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ আর মানসাঙ্কের গল্প

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৮







মনিকাদি আমার চেয়ে বছর তিনেকের বড় ছিলেন বলে তাকে তুই বা তুমি করে বলার অধিকার পাইনি। প্রতিদিন দুপুরের খাওয়ার আগে তাদের দোতলা কাঠের বাড়িটির পেছন দিককার লিচু বাগানে আমাদের একটি প্রিয় খেলা ছিল- গাছের উঁচু ডালে মোটা দড়ি বেঁধে তাতে কাঠের পিড়ি দিয়ে দোলনা বানিয়ে দোল খাওয়া। খেলাটা মজার হলেও দড়ি বাঁধা বা পেছন দিক থেকে মনিকাদির পিঠে আলতো করে ঠেলে দিতে হতো আমাকেই। দোলনাটা বেশিরভাগ তার দখলে থাকতো বলে বা এইসব দড়ি বাঁধা, গাছে চড়া আর চরম বিরক্তি নিয়ে তাকে দোলানো আমার জন্য তেমন একটা পছন্দনীয় বা আনন্দদায়ক না হলেও জ্বর মুখে বিস্বাদ ওষুধ গিলবার মতই নীরবে অনেক কিছুই মেনে নিতাম। যেমন, হালকা-পলকা আর দুর্বল দেহের আমাকে কেউ তাদের সঙ্গে খেলতে ডাকতো না বলে নির্বান্ধব দিনগুলোকেই মেনে নিয়েছিলাম। আর এভাবেই আমার দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল ঝড়ের তীব্রতায়।



মনিকাদির সঙ্গে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়ে গেলে তা নিয়ে কিছুদিন বেশ কষ্টে কাটাতে হতো আমাকে। মনে হতো এত বড় একটি গ্রাম, যেখানে আমি ছাড়া যেন কেউ আর নেই। দূর থেকে আমাকে দেখলে মুখ ফিরিয়ে নিতেন তিনি। কিন্তু বেশিদিন পারতেন না চুপ থাকতে। কোনো কোনো বার আমাকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে বুকের ওপর চেপে বসতেন। গলা টিপে ধরে বলতেন, কথা বলিস না কেন?



বলতাম, তুই তো বলিস না।



-আমি তোর বড়, কেন আগে কথা বলব?



বিপরীত প্রক্রিয়ায় ফের ঝগড়া দিয়ে আমাদের মাঝে ভাব হয়ে যেতো। কিন্তু দিনে দিনে যে মনিকাদি বড় হয়ে যাচ্ছেন, আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন সেটা বুঝতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। এর পেছনে তাদের সংস্কার বা তার ঠাকুরদার কোনো প্রভাব থাকতে পারে বলেই আমার মনে হচ্ছিল। একটি ঘটনার ভেতর দিয়ে ব্যাপারটি আমার চোখে ধরা পড়েছিল খুব মোটা দাগে।





সেবার তাদের পুকুরটার সব পানি সেঁচে তুলে ফেলার পর আমরা কাদা পানিতে নেমে বিপুলাকার ভারি বোঝার মতো পা দুটো টেনে টেনে কাদার ভেতর দুহাত ডুবিয়ে দিয়ে মাছ ধরতে চেষ্টা করছিলাম। মনিকাদি এক একটি মাছ ধরেন আর খুশিতে চিৎকার করে ওঠেন। সে তুলনায় আমি কিছুই পাচ্ছিলাম না। মাছ খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ কাদার ভেতর দু’হাত ডুবিয়ে একটি শোল বা বড় আকৃতির টাকি মাছ চেপে ধরে মনে হচ্ছিল একা একা মাছটাকে তুলতে পারবো না। তাই মনিকাদিকে ডেকে বলেছিলাম, মনি, তুইও এসে ধর! বড় মাছ পেয়েছি!



সে সময় মনিকাদির ঠাকুরদা পুকুর পাড়ে বসে বসে কিছু একটা করছিলেন হয়তো। আমার চিৎকার শুনে মনিকাদিকে উদ্দেশ্য করে বলে তিনি উঠেছিলেন, মনি, মুসলমানের বাচ্চাটা তোকে তুই করে বলছে আর হা করে তা শুনছিস?



-ওর মুখ আমি বন্ধ করবো কী দিয়ে?



বুড়োটা হঠাৎ বলে উঠল, আরে, দুটো থাপ্পড় কষিয়ে দে, নয়তো মুখে কাদা গুঁজে দে!



মনিকাদি আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে মনে মনে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলাম। সত্যি সত্যিই যদি আমাকে থাপ্পড় মারে বা মুখে কাদা গুঁজে দেয়? আমি তো শক্তিতে তার সঙ্গে পেরে উঠবো না। কিন্তু মনিকাদি এসে কাদার ভেতর আমার হাত দুটো চেপে ধরলো। মাছটা ছুটে যায় ভেবে বলে উঠেছিলাম, হাত কেন ধরেছিস? মাছটা ধর!



মনিকাদি হঠাৎ আমার দুহাত ছেড়ে দিয়ে কাদার ভেতর থেকে হাত উঠিয়ে বলেছিল, ঠাকুরদার কথা শুনতে পাসনি?



-শঙ্কর যখন তুই করে বলে, তখন তো তোর ঠাকুরদা অমন চেঁচায় না!



হাত-পা আর শরীর ছাড়াও মুখ আর মাথায় সমানে কাদা লেগে তাকে দেখতে এমন লাগছিল যে, আমার হাসি চেপে রাখা বেশ কঠিন হচ্ছিল। মনে মনে ভাবছিলাম, তোকে পেত্নীর মতো লাগছে কথাটা বলব। কিন্তু আমি কিছু বলে ওঠার আগেই সে তার মুখটাকে কেমন বাঁকিয়ে চুরিয়ে বলে উঠেছিল, শঙ্কর তো আমাদের জাতের। হিন্দু। জাতে সমান হলে বলা যায়। তুই তো মুসলমান। ছোট জাত।





দিনে দিনে আমি অনুভব করতে পারি যে, হিন্দু আর মুসলমান আসলে দুটো ভিন্ন প্রজাতি। একের সঙ্গে অন্যের কোনো মিল নেই। গাছের ডাল-পাতার অংশটিই যেন একটি পরিপূর্ণ গাছের প্রতিভূ। তা ছাড়া সেদিন থেকেই জাতের বড়ত্ব বা ছোটত্বের একটি বিশ্রী পোকা আমার ভাবনায় দিনরাত পিলপিল করে ঘুরে বেড়াতে আরম্ভ করেছিল। সেই বিশ্রী পোকাটার যন্ত্রণায় অস্থির হয়েই হয়তো আবিষ্কার করে ফেললাম যে, হিন্দুদের রান্নাঘরে মুসলমান ঢুকতে পারবে না। হিন্দুরা যে পাত্রে পানি পান করবে তা মুসলমানরা ব্যবহার করতে পারবে না। যে ক’টা হিন্দু পরিবার সম্পর্কে আমি জানি তাদের প্রত্যেকের ঘরেই দুটো করে হুঁকো আছে। পানি ভর্তি দামি হুঁকোটা হিন্দু আর পানি ছাড়া সস্তার হুঁকোটা মুসলমান।



যদিও মনিকাদির ঠাকুরদার সঙ্গে আমার দাদুও প্রায় বিকেলে তাস খেলতে বসতেন সেখানেও হিন্দু মুসলমান ব্যাপারটা প্রধান ছিল। আমার দাদু মারা গেলে ঠাকুরদা দু’গাল ভাসিয়ে কাঁদলেও বন্ধুর কবরের আশপাশে আসতে পারেননি। এ ব্যাপারগুলো এতটাই অশোভন ছিল যে, মনিকাদির সঙ্গে মনের দিক থেকে আমার দূরত্ব দিনদিন বেড়েই যাচ্ছিল। আমার ইচ্ছে হতো না যে, আমি তাদের বাড়ির আশপাশে কোথাও গিয়ে খেলা করি। কিন্তু তিনি প্রায়ই আমাকে জোর করে হাত ধরে টানতে টানতে নয়তো বোঝার মতো তুলে কাঁধে উঠিয়ে নিয়ে যেতেন। আমি গোঁ ধরতাম গাছে উঠবো না। দড়ি বাঁধতে পারবো না। তখনই হাতের দড়িটা দিয়ে তিনি আমাকে পুরো পেঁচিয়ে পিঁপড়ার বাসার কাছে নিয়ে গিয়ে বলতেন, তাহলে পিঁপড়ার কামড় খেতে চাস?



উপায়ন্তর না পেয়ে আমাকে তার কথাগুলো মেনে নিতেই হতো। আদর্শ লিপি, ধারাপাত আর সবুজসাথী শেষ করে বছর বছর আমি যেভাবে উপরের ক্লাসে উঠে যাচ্ছিলাম, মনিকাদিও আমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিন ক্লাস উপরে থাকতেন সব সময়। কোনো কোনোদিন অবাক হয়ে দেখতাম আমার ক্লাসের যে পড়াগুলো পারছি না মনিকাদি পটপট করে সেগুলো বলে দিচ্ছেন। বলতাম, অত পড়া তোর মনে থাকে কী করে?



তিনি বলতেন, মুসলমানরা গাইয়ের দুধ বিক্রি করে দেয়। আমরা হিন্দুরা দুধ বিক্রি না করে নিজেরাই খাই!



এমন কথা শুনে মনে মনে খুব ছোট হয়ে যেতাম। বাবা প্রতিদিন সকালের দিকে হাটে দুধ নিয়ে যেতেন বিক্রি করতে। কিন্তু আমার যে দুধ খেতে ভালো লাগতো না সে কথাও মনিকাদিকে বলতে পারতাম না।



যখন খুব জোর হাওয়া বইতো, মনিকাদি বুক থেকে কাপড়ের আঁচল ফেলে দিয়ে সেটির এক প্রান্ত আমাকে ধরতে বলতেন। তারপর বাতাসের দিকে মুখ করে সে আঁচল পালের মত করে উঁচিয়ে ধরতাম দুজনে মিলে। তখনও দেখেছি তার বুক আমার বুকের মতই সমান। কিন্তু পরিবর্তনটা হঠাৎ করেই যেন আমার চোখে লাগতে আরম্ভ করছিল। কিন্তু আরো বেশি অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম তিনি কেমন যেন হয়ে যাচ্ছেন দিনদিন। তার দুরন্তপনাও বেশ কমে আসছিল। যখন তখন আমার সঙ্গে ছুটাছুটি করা, গাছে চড়া বা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো ব্যাপারগুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমাকে কাঁধে তুলে নিতেও আগের মতো তেমন জোর করেন না। তার বদলে জড়সড় হয়ে আমার সঙ্গে খানিকটা দূরত্বও বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকতেন। ভাবতাম, এটাও বুঝি হিন্দুদের কোনো একটি নিজস্ব ব্যাপার।





মনিকাদির কী সমস্যা হয়েছে বা তার ঠাকুরদা নতুন কিছু বলেছেন কিনা বেশ কিছু দিন তার দেখা না পেয়ে তা জানার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে আগের দিনগুলোর মতো দেখা হয় না। তেমন একটি পরিস্থিতিতেই একদিন শুনতে পাই মনিকাদির বিয়ের কথাবার্তা চলছে কোনো এক উকিলের সঙ্গে। উকিলও তেমন নাম করা। জজ কোর্টে যার বিপক্ষে কেস জেতার মতো তেমন কোনো উকিল নাকি নেই। বিয়ের কথা শুনে আমি ছুটে যাই। কিন্তু মনিকাদির ঘরে ঢুকতে পারি না। তার বড় পিসি আমাকে ঠেলে বের করে দিয়েছিলেন। মন খারাপ করে ফিরে আসতে গেলে পেছন থেকে তার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই, টুনু শুনে যা!



পেছন ফিরে দেখি, জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে তিনি আমাকে যেতে বলছেন।



আবার কে কী বলে বসে, সেই আশঙ্কার খড়ম পায়ে এগিয়ে তার জানালার সামনে যেতেই আমার মনে হলো মনিকাদির হাত-মুখ তো আগে এতটা হলুদ ছিল না! বলেছিলাম, তুই কি হলুদ মেখেছিস?



সেই সঙ্গে মনে পড়ছিল, কালামের বোন আম্বিয়ার বিয়ের একদিন আগেও হলুদ হলুদ হাত-পা আর মুখ দেখেছি। পেট আর পিঠের যে খোলা অংশ দেখা যাচ্ছিল সে জায়গাগুলোও হলুদ মনে হচ্ছিল।



আমার কথা শুনে মনিকাদির মুখটা কেমন খুশি হয়ে উঠেছিল। হাসিতে সারা মুখ উজ্জ্বল করে বলে উঠেছিলেন, শুনিসনি? সাতদিন পর আমার বিয়ে। রেলগাড়িতে চড়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যাবো। তুই আমাকে দেখতে যাবি কিন্তু!



-রেল গাড়ি কেমন আমি জানিই না! চড়ার কথা তো আরো পরের ব্যাপার!



-মনিকাদি মুখ লাল করে বলেছিলেন, উকিল বাবুকে বলব তোকেও যেন সঙ্গে নেয়।



-আচ্ছা, বিয়ে তো বড়দের হয়। তুইও কি বড় হয়ে গেলি?



আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে হঠাৎ ফিক করে হেসে উঠে বলেছিলেন তিনি, তুইও তো বড় হয়ে যাচ্ছিস। নাকের নিচে কেমন গোঁফের ছায়া ফুটে উঠছে। কদিন পর কাকা-জ্যাঠাদের মতো তুইও নাপিতের দোকানে গিয়ে লাইন দিয়ে বসে থাকবি!



আমার আর কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, মনিকাদির বিয়েটা কোনো ভাবে যদি বন্ধ করা যেতো, তাহলে তাই করে ফেলতাম।



সাতদিন পেরিয়ে যায় টের পাই না। টের পাই না উকিল বাবু এসেছিলেন কিনা। শুনতে পাই লগ্ন ভেঙে যাওয়াতে মনিকাদির বিয়ে হবে না। আমার ভাবনায় আসে না লগ্নের সঙ্গে বিয়ের কী এমন সম্পর্ক? যারা এসব নিয়ম-কানুন বানিয়েছিল তাদের একবার দেখতে খুব ইচ্ছে হয়।



বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে মনিকাদি বাইরে তেমন একটা বের হতেন না। আমার দিকেও আর ফিরে তাকাতেন না। কিন্তু ছোট চাচার সঙ্গে কিছু একটা বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাকে কথা বলতে দেখতাম। মাঝে মাঝে মায়ের দু একটা কথায় মনে হতো তিনি মনিকাদি আর ছোট চাচার ব্যাপারটা পছন্দ করছেন না।





দেখতে দেখতে আরেকটি শীত এসে চলেও যায়। গাছেরা তাদের পুরোনো পাতা ফেলে দিয়ে নতুন পাতা গায়ে চড়ালে এক সময় গ্রামের চৈত্র-সংক্রান্তি মেলার ঘ্রাণ পেতে আরম্ভ করি। কিন্তু তারও কিছুদিন পর একদিন হঠাৎ স্কুলে যাবার পথে দূর থেকে দেখতে পাই অদ্ভুত পোশাক পরা কিছু লোক স্কুলের আশপাশে হাঁটাহাঁটি করছে। যাদের অনেকের মাথায় আধখানা তরমুজের খোসার মতো টুপি লাগানো। হাতে কালো মতো আরো অদ্ভুত কিছু একটা। যেটার মাথায় ছুরির মতোই দেখতে চকচকে আরেকটি ফলা সূর্যের আলোতে ঝিকিয়ে উঠছে বার বার।



কদিন পর রাতের বেলা অকস্মাৎ দেখতে পাই মনিকাদির বাড়ির দিকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সেই সঙ্গে আরো অনেক মানুষের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ আমাদের দিকেই ধেয়ে আসছে শুনতে পাচ্ছিলাম। আগুন এতটাই উপরে উঠেছিল যে সে আলোতে দেখতে পেয়েছিলাম গ্রামের একমাত্র কাঠের দোতলা বাড়িটি পুড়ে যাচ্ছে। একবার মনে হয়েছিল যে, সেই আগুনের আলোতেই কিনা আমাদের ঘরের বেড়ায় আমার নিজের ছায়া নড়াচড়া করছে।



অবাক হয়ে আগুনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ভাবছিলাম, মনিকাদির কিছু হয়নি তো? তার ঠাকুরদা? বেশ কিছুদিন ধরে বুড়ো তেমন হাঁটা-চলা করতে পারছিলেন না। পেছন দিক থেকে হঠাৎ করেই কেউ যেন আমার বাহু ধরে টেনে প্রায় ছেঁচড়ে আরো অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল আমাকে। আমি চিৎকার করতে যাবো তখনই ছোট চাচার কণ্ঠ শুনতে পাই, একদম চুপ! সামনের দিকে দৌড়ুতে থাক। কারো দিকে ফিরে তাকাবি না।



দৌড়ুতে দৌড়ুতে টের পাই কিছুক্ষণ আগেকার চিৎকার করতে করতে আসা দলটির সঙ্গে সঙ্গে আমিও ছুটছি। অন্ধকারে পায়ে বাধা পেয়ে পড়ে গিয়ে কেউ কেঁদে উঠছে। বাঁশের কঞ্চি বা বেড়ার সঙ্গে লেগে ফড়ফড় শব্দে কাপড় ছিঁড়ছে। সম্মিলিত পায়ের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে কারো উহ-আহ শব্দ ভেসে আসে অন্ধকার থেকে। পুরো রাত এক নাগাড়ে দৌড়ে আর দ্রুত হেঁটে আমরা কোথায় পৌঁছেছিলাম জানি না। ভোরের আলো ফুটতেই ছোট চাচার পাশে মনিকাদিকেও দেখতে পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাবা মা, বড় চাচাকেও দেখতে পাবো। কিন্তু ও দুজন ছাড়া আর কাউকে আমি চিনতে পারি না।





একটি অচেনা বাড়িতে আমাদের রেখে ছোট চাচা কোথায় যেন চলে গেলেন। কিন্তু কোথায় গেলেন আমাদের একা ফেলে? এ কথা মনিকাদির কাছে জানতে চাইলে তিনি চাপা কণ্ঠে বলে উঠেছিলেন, চুপ চুপ! ভুলেও এ কথা আর জানতে চাইবি না!



আমি আর কোনো প্রশ্ন করিনি। এমনকি বাবা মা বড় চাচার কথাও জানতে চাইনি কখনো।



কোনো কোনো সন্ধ্যায় ছোট চাচাকে এক আধ বার দেখতে পেলেই বুঝে নিতাম মনিকাদিকেও রাতভর দেখা যাবে না। যে কারণে আমার কোনো কোনো রাতে আমার খাওয়া হতো না। হয়তো তারা দুজনেও খেতেন না। মাঝে মধ্যে আধো ঘুমে কি আধো জাগরণে তাদের কথাবার্তা শুনতে পেতাম। অন্ধকারে দুটো মানুষের নড়াচড়ার বিচিত্র শব্দ শুনতে পেতাম। কখনো বা ভোরের আলো আঁধারিতে খোলা দরজার কাছাকাছি দেখতে পেতাম তারা পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে স্থির দাঁড়িয়ে আছে।



যে সন্ধ্যায় ছোট চাচাকে দেখতে পেতাম তার পরদিন মনিকাদিকে দেখতাম সেই আগেকার মতো দুরন্তপনা আর চঞ্চলতায় আচ্ছন্ন। তারপর তিনি সে বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে গেলে মূলত আমি একা হয়ে পড়তাম। নিঃসঙ্গতা কাটাতে গ্রামের এদিক ওদিক আর ঝোপ-ঝাড়ে ঘুরে বেড়াতাম। সে গ্রামটিতে যতদিন ছিলাম কারো সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়নি। শুনতে পেতাম দূর থেকে কেউ কেউ বলছে, ছেলেটির মাথার ছিট খারাপ।



আমি হাসতে অথবা কাঁদতেও ভুলে গিয়েছিলাম যেন। বাবা-মাকে কতদিন দেখি না। তাদের ব্যাপারে মনিকাদিও কিছু জানেন বলে মনে হয় না। আমরা কবে আমাদের বাড়ি ফিরে যাবো? বাবা-মা কি আসবে না? কিন্তু এ কথার জবাব না দিয়ে মনিকাদি বলতেন, যা তো সামনে থেকে!





গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর সময় বড়দের আলাপ থেকে জানতে পাই দেশের অবস্থা ভালো না। পাকিরা মানুষ মেরে, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে দেশটাকে ছারখার করে দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। কোনো কোনো জায়গায় পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।



গ্রামের পরিস্থিতিও দিন দিন কেমন যেন হয়ে উঠতে লাগলো। কারি আমিরুদ্দিন রোস্তম মেম্বারকে পাকি দালাল বলে গাল দেওয়াতে সেই কথা নিয়ে বাদানুবাদ করে গ্রামের মানুষ দুটো দলে ভাগ হয়ে গেল। কেউ কেউ বলল, পাকিরা এ গ্রামে এলে ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। সামনে যাকে পাবে তাকেই গুলি করে মারবে। কেউ বা বলছিল, মুক্তি বাহিনীর লোকদের কানে এ খবরটা আগেই চলে গেছে।



সে গ্রামে কতদিন ছিলাম বলতে পারি না। একমাস, দু মাস বা তারও বেশি হয়তো। একদিন মাঝ রাতে মনিকাদি আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে বললেন, চল, এক্ষুনি বের হতে হবে।



ঘুম ঘুম চোখে কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও চোখ কচলে উঠে পড়ে আমি বলি, কী হয়েছে? আমার ঘুম ভাঙালি কেন?



-এক্ষুনি আমাদের এ গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।



-না গেলে কী হবে?



-আমাদের মেরে ফেলবে! রোস্তমের লোকেরা তোর কাকাবাবুর কথা জেনে গেছে।



মনে হচ্ছিল মনিকাদি কাঁদছেন। আমার ভীষণ ইচ্ছে করছিল, তার চোখে হাত দিয়ে দেখি। পানিগুলো মুছিয়ে দেই। কিন্তু তিনি কী মনে করেন তাই আর আগ বাড়িয়ে কিছু করতে সাহস পাই না। আর কোনো কথা না বলে আমরা যতটা নিঃশব্দে পারা যায় ঘর থেকে বেরিয়ে গ্রামের অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় নেমে পড়ি। কিন্তু কোথায় বা কোনদিকে যাবো সে কথা আমার জানা ছিল না। কিন্তু উদ্দেশ্য জানা থাকলে চলতে সুবিধা হয়। বলি, কোথায় যাচ্ছি আমরা?



যেভাবে পারিস এ গ্রাম থেকে আগে বের হতে হবে।



তাহলে চলো, খালটা আগে পেরিয়ে যাই।





গ্রামের পথ-ঘাট আমার সবই চেনা। তবু মনে হলো খাল পেরিয়ে ওপাড় চলে গেলেই বিস্তীর্ণ এলাকা। জমির পর জমি। তারও অনেক পর আরেকটি গ্রাম। আমরা মোটামুটি নিরাপদ। আমি তাই খালের দিকে হেঁটে চলি। মনিকাদির একটি হাত মুঠো করে আমি এগিয়ে চলি। তিনি আসতে থাকেন আমার পেছন পেছন।



খালে পানির গভীরতা কতটুকু তা আমাদের জানা নেই। তবু সাবধানে আমরা পানিতে নামি। পানির পরিমাণ বেশি ছিল না। হাঁটু ছাড়িয়ে উরু অবধি কাপড় তুলে এগোচ্ছিলেন মনিকাদি। কিন্তু হঠাৎ করেই কেমন করে হয়তো বা পা পিছলে নয়তো গর্তে পড়ে তিনি পড়ে গিয়ে পানিতে ভিজে গেলেন পুরোপুরি। খাল পেরিয়ে শুকনো জমিতে উঠে পড়লে মনিকাদি বললেন, কত্তো বাতাস বইছে রে। ঠাণ্ডায় আমার হাত-পা জমে যাবে মনে হচ্ছে।



বললাম, জোরে জোরে হাঁটলে ঠাণ্ডা কম লাগবে!



কিন্তু ভেজা কাপড়ে পা জড়িয়ে যাচ্ছিল বলে তিনি বারবার পেছনে পড়ে যাচ্ছিলেন। হোঁচটও খেয়েছেন কয়েকবার। পেছন থেকে বললেন, টুনু দাঁড়া তো! কোথাও কি আড়াল পাওয়া যাবে না?



চারদিকে কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার। তবু কেমন করে যেন বোঝা যাচ্ছিল গ্রাম এখান থেকে আরো অনেক দূরে। কেমন কালচে আর ঘন থকথকে অন্ধকার সেদিকে। বলি, খুব কাছাকাছি আড়াল পাওয়া যাবে না।



তাহলে কাপড়টা নিংড়ে নেই। বলে, তিনি আঁচল খুলে আমার হাতে দিয়ে বললেন, ধর। তারপর তিনি ঘুরে ঘুরে কাপড়টার পুরোটাই আমার হাতে দিয়ে বললেন, শক্ত করে ধরিস।



কাপড়ের প্রান্ত ধরে আমি কেমন বিমূঢ়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকি মনিকাদির সামনে। অন্ধকারে দেখা যায় না, কথাটা যে বলেছে, বুঝতে হবে তার চোখ থেকেও নেই। দৃষ্টি শক্তি থেকেও সে যার পর নাই অন্ধ। মনিকাদি কাপড়ের অপর প্রান্ত ধরে মোচড় দিয়ে দিয়ে সেটাকে প্যাঁচাতে লাগলেন। আরো খানিকটা প্যাঁচ খেলে কাপড়ের গা থেকে পানি ঝরে পড়ার শব্দ শুনতে পাই। পতিত পানির ধারাকে কেমন চকচকে দেখায় অন্ধকারের ভেতর।



তিনি আবার বললেন, শক্ত করে ধরিস!



তখনই বুঝতে পারি উলটো দিকে আমার দু হাত মুচড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গেছে। বললাম, আমি আর ধরে রাখতে পারছি না।



কেমন পুরুষ তুই, যার গায়ে মেয়েদের চেয়েও শক্তি কম?



তারপর কাপড়টা টেনে নিয়ে বুকের ওপর আড়াআড়ি রেখে পুনরায় শরীরে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে পরতে লাগলেন। অন্ধকার বলেই হয়তো আমার দৃষ্টির অপার মুগ্ধতা তাকে বিব্রত করে না। কিংবা এমনও হতে পারে আমার দৃষ্টির তীব্রতা তাকে কোনোভাবেই স্পর্শ করছিল না।



মনিকাদির কাপড় পরা সম্পন্ন হয় কি হয় না, খুব কাছাকাছি কোথাও কিছু শেয়াল অকস্মাৎ হুয়া হুয়া করে ডেকে উঠলে নিদারুণ ভয়ে হয়তো মাগো! বলে ছুটে এসে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি। যে গতিতে তিনি আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাকে শক্ত হাতে আগলে রাখার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী আমি ছিলাম না। ফলে আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারলেও চিত হয়ে পড়ে যাই মাটিতে।



মনিকাদির গরম নিঃশ্বাস আমার মুখের ওপর টের পাচ্ছিলাম। কেমন ফিস ফিস স্বরে বললেন, ব্যথা পেয়েছিস?



আমি কিছু বলে উঠার আগেই আরো বেশ কয়েকটি কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মনিকাদি আঁতকে উঠে আরো নিরাপদ জায়গার খোঁজে হয়তো আমার কাঁধ আর গলার মাঝে মুখটা গুঁজে দিলেন। আমার কাঁধে তার ঠোঁটের উষ্ণতা আর নিঃশ্বাসের উত্তাপ, বুকের উপর তার দেহের ভার, সব মিলিয়ে কেমন যেন একটি অদ্ভুত অনুভূতি আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলছিল। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। মৃদু স্বরে জানতে চাই, তোমার কি জ্বর এলো?



-বেশ শীত শীত করছে। আমাকে আরো জোরে চেপে ধর!



আমি তাকে আরো জোরে চেপে ধরি ঠিকই। কিন্তু আমার পুরো শরীর কেমন একটা অস্বস্তি বোধের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়।





দুর্ভাগ্য হোক আর সৌভাগ্যই হোক তারা কখনো বলে কয়ে আসে না। এমনকি তারা আসার সময় পরিবেশ বা পরিস্থিতির কোনটাই বিবেচনা করে না। তারা আসে অকস্মাৎ দুর্নিবার গতিতে। ভালো অথবা মন্দ যে কোনো একটি ছাপ রেখে যায়। বাকি জীবন সেই ছাপের কোনো একটির বোঝা বা অলঙ্কার বয়ে বেড়ায় মানুষ।



বিভ্রান্ত নিজকে যখন মনিকাদির উন্মুক্ত বুকের ওপর আবিষ্কার করি তখন আমার মনে হচ্ছিল তিনি না ছিলেন ছোট চাচার বা যেমন করে হতে পারেননি উকিল বাবুর কেউ। আসলে তিনি আমারই ছিলেন। মনে মনে কামনা করছিলাম বাকি জীবন আমারই যেন থেকে যান তিনি। একান্ত নিজস্ব হয়ে। তাই আমার যাবতীয় আন্তরিকতা কণ্ঠে ঢেলে দিয়ে বলি, দিদি, চলো গ্রামে ফিরে যাই। তুমি আমি বাকিটা জীবন একসাথেই থাকি, আগে যেমন ছিলাম।



যেন হাজার বছরের ঘুম থেকে জেগে উঠে, ক্লান্তির যোজন যোজন দূরত্বের পথ মাড়িয়ে আমাকে আরো নিবিড় আলিঙ্গনে বেঁধে তিনি বললেন, সেখানে তো আমার কিছু নেই। যেখানে আমার লগ্ন হারিয়েছি সেখানে ফিরে যাওয়ার পথ নেই। তোর ছোট কাকাও আর ফিরে আসবে না। তুই কি বাকি জীবন আমাকে মন্দভাগ্যের কাছ থেকে আড়াল করে রাখতে পারবি না?



-বেশ পারবো! তুমি আমাদের বাড়ি থাকবে। মা, বাবা, বড় চাচা তোমাকে অনেক আদর করবে! চল, আমরা সেখানেই ফিরে যাই। যুদ্ধ তো সারা জীবন থাকবে না।



-যা হারিয়েছি তা ফিরে না পেলেও তোকে আর হারাতে চাই না। গ্রামে ফিরে গেলে আমাকে ওরা তোর সঙ্গে থাকতে দেবে না। তোর ছোট কাকা আমার মাঝে রেখে গেছে তার নিজের অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্বের নিরাপত্তা কে দেবে আমাকে? তুই কি একা পারবি পুরো একটি গ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাকে রক্ষা করতে?



-খুব পারবো!



-না। পারবি না। স্বাধীনতাকে অর্জন করে নিতে হয়। আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে নতুন কোনো ভূমিতে আবাস গড়তে হবে। আমরা আরো দূরে কোথাও চলে যাবো। যেখানে আমাদের প্রতিদিনকার দেখা হায়েনা আর শেয়াল-শকুনগুলো থাকবে না। আমাদের নিবিড় সময়গুলোকে কেউ কাঁটা দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবে না।



১০

রাতে রাতে আমরা পথ চলি। দিনের বেলা কোনো গৃহস্থের দাওয়ায় আশ্রয় নেই বিপন্ন মানুষ হয়ে। এভাবেই আমরা এক ঊষালগ্নে একটি গ্রামে আশ্রয় পাই। যেখানে যুদ্ধের কোনো চিহ্ন ছিল না। সেখানকার মানুষ যুদ্ধের কথা জানতো না হয়তো। প্রতিদিনকার মতোই স্বাভাবিক এক সকাল বিরাজিত। ক্ষেতের কাজে ব্যস্ত লোকজন কেউ কেউ ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে দেখতে পেয়ে বলে উঠেছিল, পচা নাকি রে? কত কাল পর ফিরে এলি!



সে কথা শুনে আরেকজন বলে উঠল, আট বছর তো হবেই! সঙ্গে কি তোর বউ?



আমার নিজ থেকে কিছু বলতে হয় না। সব কিছু যেন আগে থেকেই সাজানো ছিল আমাদের অপেক্ষায়। কিন্তু মনে কখনো কখনো হালকা একটি দুর্ভাবনার মেঘ উড়ে আসে- সত্যিকারের পচা যদি ফিরে আসে? কিন্তু এও ভাবি, পাঁচ বছর বয়সের কোনো নিখোঁজ বালকের স্মৃতি কি আট বছর পর ততটা উজ্জ্বল থাকে? নাকি তা সম্ভব? কাজেই এক সময় আমি নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই পিতৃ-মাতৃহীন পচার পরিচয়ের আড়ালে। পচার পিতামহ হাতাব আলি আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে ঘুরে জমিগুলো চিনিয়ে দেন। আমি ধীরে ধীরে পুরোদস্তুর গৃহস্থ হয়ে যাই।



আমার কখনোই মনে হয় না যে, বৃদ্ধ হাতাব আলি আমার কেউ নন। আমি বা আমরা এ গ্রামের কেউ নই। মনিকাদি সকাল থেকে রাত অবধি বিপুল শ্রমে আগলে রাখেন সংসারটি। চাষ-বাসের সময়গুলো আমি পার করে দেই বিভিন্ন জমিতে। এভাবেই একটি নতুন লগ্নে মনিকাদি বেঁচে ওঠেন আরেকজন পচার স্ত্রী হয়ে। তার গর্ভজাত ছেলে সূর্য ছোট চাচার সন্তান হলেও বড় হতে থাকে পচার পুত্র পরিচয়ে। সে সময়গুলোতে হাতাব আলি তাকে চোখের আড়াল করতে চান নি। যদিও এতকাল কেউ কোনো প্রশ্ন বানে বিদ্ধ করেনি আমাদের, তবু আমার মনে আজকাল প্রায়ই একটি জিজ্ঞাসার উদয় হয় যে, পিতার বয়স যখন চুয়ান্ন, পুত্রের বয়স তখন একচল্লিশ। সেই মানসাঙ্কের ফলাফল কী হবে?



(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: টিউটর জেনারেশন নিশ্চয়ই মানসাংক জানে না; জানলে ভালোই হতো, গল্পের আনন্দের সাথে মানসাংকটা উপরি পাওনা হতো; গল্পটা যতবার পড়ি প্রতিবারেই নতুন মনে হয়!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: জানে হয়তো। এই বছর সাত আট আগেও প্রাইমারিতে মানসাংক ছিল দেখেছি।

এটা আমার প্রিয় গল্পগুলোর একটি। আপনার কারণেই সামুতে আবার পোস্ট দেওয়া হলো, যা আরো আগে উচিত ছিল।

ধন্যবাদ আপনাকে পাঠক ১৯৭১।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১০

শাপলা নেফারতিথী বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ..
অনেক ভালো লাগলো.

দুর্ভাগ্য হোক আর সৌভাগ্যই হোক তারা কখনো বলে কয়ে আসে না। এমনকি তারা আসার সময় পরিবেশ
বা পরিস্থিতির কোনটাই বিবেচনা করে না। তারা আসে অকস্মাৎ দুর্নিবার গতিতে। ভালো অথবা মন্দ
যে কোনো একটি ছাপ রেখে যায়। বাকি জীবন সেই ছাপের কোনো একটির বোঝা বা অলঙ্কার বয়ে বেড়ায় মানুষ|

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সেই সঙ্গে জানাই স্বাগতমও।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সাহিত্য নাকি সময়কে ধরে রাখে । আপনার গল্পে সত্তরের গোড়ার দিকের বাঙালী সমাজ নিখুঁত ভাবে তুলে এনেছেন । সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারটা ততদিনে বুড়োদের কথার মশকরা আর টিপ্পনীতে এসে ঠেকেছিল । মানবিকতা আর মানুষে মানুষে ভালোবাসার ব্যাপারটা বেশ স্পষ্ট হচ্ছিলো, বিশেষত গ্রামে । আর দুই সম্প্রদায়ের এই মিলন স্বাধীকার আন্দোলনের দাবীটাকে জোড়দার করছিল । ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের প্রয়োজনটা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে, বাঙালী বুঝে গিয়েছে তারা যত না হিন্দু বা মুসলমান, তার চেয়ে তারা বেশি বাঙালী । আর এর অমোঘ পরিণতি ছিল মুক্তিযুদ্ধ ।

পাকি হানাদারেরা তাই হিন্দু সম্প্রদায়কে শেষ করে দিয়ে বাঙালীর স্বাধীকারকে রুখতে চেয়েছিল । আমি সব সময়ই বলি, সাম্প্রদায়িকতা আমাদের সমাজে আরোপিত । হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালী সাম্প্রদায়িক হয়নি । কিন্তু ব্রিটিশ এবং পাকিরা তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য আমাদের সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বিরিক্ষের বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে যায় । আজও স্বাধীনতা বিরোধীরা এই বিষের আগুনেই পুড়াতে চাইছে আমার দেশ আমার সমাজ ।

গল্প রেখে প্রসঙ্গান্তরে চলে গিয়েছিলাম । সত্যি দারুণ একটা চিত্র এঁকেছেন সেই সময়ের । তাই আমার কাছে লেখাটা শুধু গল্প নয়, আমাদের সমাজের এক দারুণ ইতিহাস । গল্পের ডিটেইলিং নিয়ে কি বলব, গ্রামের এত সরল সহজ শান্ত জীবনের চিত্র আঁকা আপনাকে দিয়েই সম্ভব ।

ভালোলাগা +++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সাম্প্রদায়ীকতার বীজ সংরক্ষণে সচেষ্ট সম্প্রদায়গুলোর পাণ্ডারা। এতে করে তাদের খাওয়া-পরার ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়। আপনি যেভাবেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখেন না কেন, সাম্প্রদায়ীক হানাহানিতে লাভবান হচ্ছে তৃতীয় একটি পক্ষ। সংবাদগুলো ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন এসব হানাহানিতে লিপ্ত কারা আর উস্কানিগুলোও কারা দিচ্ছে?

যাই হোক গল্প প্রসঙ্গে এ কথা আসবেই। সাম্প্রদায়ীকতার ব্যাপারটা গল্পে প্রকাশ্যভাবে বা অতটা জোরালো ভাবে না থাকলেও আড়ালে আছেই। আর ইতিহাস তো এ গল্পের ভিত্তিই।

সুন্দর আর বিস্তারিত আলোচনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে অনেক শুভ কামনা আপনার জন্যে।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১

সুরঞ্জনা বলেছেন: চমৎকার জুলিদা!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ বুজি। কেমন আছেন?

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫১

ইখতামিন বলেছেন:
অনেক বড় গল্প। ধ্যৈর্য হয়নি পুরোটা পড়ার। পরে আবার পড়তে হবে। যতোটুকু পড়েছি ভালো লেগেছে। এমন গল্পের পোস্ট আরও
প্রিয়তে।

মানসাংক আমার পছন্দ :)

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মানসাংক তো দূরের কথা, পেছনে যে অংক কথাটা আছে ওইটাই ছিল আমার যম। কোনোদিন কপালে পাশ জুটেনাইক্যা। :D

আপনার ধৈর্য হয় নাই, দোষ আমার, গল্পটা আপনারে ধইরা রাখতে পারে নাই। ভালো থাকেন সব সময়।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রলো আপনার জন্য

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার জন্যও শুভ কামনা অফুরান।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

মশিকুর বলেছেন:
গভীরতার বিচারে এরকম লেখা ব্লগে কমই :( যেন পুরোটা সময় গল্পে লেগেছিলাম। চরিত্রগুলোর নিখুঁত চিত্রায়ন। এরকম লেখা পড়া ভাগ্যের ব্যাপার।

ভালো থাকুন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আসলে সব সময় লেখক নিজেই কাহিনী আর চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন না। সেটাই মনে হয় মূল সমস্যা। তবে আমারই কোনো কোনো গল্প লেখার সময়টাতে মিশে যেতে পেরেছিলাম গল্পের স্থান-কাল-পাত্রের সঙ্গে। এক ধরনের আচ্ছন্নতা পেয়ে বসতো। এ গল্পের সব কিছুই যেন মনে হয়েছিল আমার চেনা জানা। বিশেষ করে আমার স্মৃতিতে ১৯৭১এ দেখা নানা ঘটনার রেশ বেশ সহায়তা করেছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মশিকুর। ভালো থাকুন আপনিও।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৪

সোজা কথা বলেছেন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিটা খুব ভালো লাগল।আর গল্পে অনেক অনেক ভালো লাগা।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সোজা কথা। সম্প্রীতিটা সব যুগেই ছিল এবং আছেও। কিন্তু কিছু নোংরা মানসিকতার মানুষের কারণে ব্যাপারটা বজায় রাখা দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

ভালো থাকুন সব সময়।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৮

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: মনে হয় লেখাটা আগেও পড়েছি । কি যে ভালো লেখা !!!!!!!!!!!!!! মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে গেলাম ! +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ তিতির। অন্য ব্লগে আগে ছিল। কিন্তু পাঠক ১৯৭১ এর কারণে এখানে পোস্ট করিনাই মনে পড়লো। ভালো থাকুন সব সময়।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১২

অন্তরন্তর বলেছেন:

লগ ইন ছাড়া গল্পটি পড়েছি। স্তব্দ হয়ে ছিলাম
কিছুক্ষণ। মুগ্ধতার রেশ অনেক অনেক পরে
কাটল। এমন লিখাতে কমেন্ট না করলে অন্যায়
হবে বলে আমার কাছে মনে হল।
শুভ কামনা।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্তরন্তর। শুভ কামনা আপনার জন্যেও থাকলো আমার পক্ষ থেকে।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমদিকে অতটা মনোযোগী হতে না পারলেও যতই এগিয়েছি ততই
ডুবে গেছি লিখায় ।

সময়ের একটা ছাপ রেখে দিলেন জুলিয়ানদা । এটাই সবচেয়ে বড়
পাওয়া । অনেক ভাল লাগল ।
এই ভাললাগাটা নিয়েই ঘুমাতে গেলাম ।
ভাল থাকুন জুলিয়ান দা । শুভকামনা রইল ।




১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ। সময়কে ধরে রাখতে পারলেই সেই গল্প কালোত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই না?
ভালো থাকুন নিরন্তর।

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুবই ভালো লাগলো।
ভালো লাগা, মন্দলাগা টুকুই কেবল জানাতে পারি।
এর বাইরে সাধ্যি নাই, তাই মন্তব্যে এক ঘেয়েমি খোজা যাবে না :)

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়। ভালো থাকেন সব সময়।

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ভাল লেগেছে। মানুষে মানুষে সম্পর্ক হয়। ভালবাসার কোন সীমা নেইআপনার গল্পে ভালবাসার জয় হয়েছে। ধর্মের বয়সের সীমা ভালবাসা জয় করেছে। মানুষের গল্প হতে পেরছে এটি ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। মানুষ মানুষের সম্পর্কে স্বার্থ না থাকলে তা নিঃসন্দেহে একটি উত্তম সম্পর্ক।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: কাল রাতে ব্লগে আসার সাথে সাথেই পড়েছি । কিছু বলিনি ছাপ রেখে গেলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্ত অনেকক্ষণ চুপ হয়েছিলাম। এত বাস্তব এত সুন্দর করে সেই একাত্তরের দিনগুলোর কয়েকজনকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তুই কি বাকি জীবন আমাকে মন্দভাগ্যের কাছ থেকে আড়াল করে রাখতে পারবি না? মনিকাদি র আর্তনাদ মন ছুঁয়ে গেল। অংক কি আর সব কিছুতে খাটে? তাহলে আবেগ বা ভালোবাসা জগতে থাকতো কি ? সব কিছুতেই (মানসাংক বল্বোনা কারণ অনেকে হয়তো জিজ্ঞেস করবে আপনাকে জিনিসটা কি ! )ক্যাল্কুলেটার নিয়ে বসা ?
ইতিহাস উঠিয়ে আনলেন ছোট্ট পরিসরে জুলিয়ান সিদ্দিকী অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
+

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অংক কি আর সব কিছুতে খাটে? তাহলে আবেগ বা ভালোবাসা জগতে থাকতো কি ?

-আপু এখানেই কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয়। অংক যার জীবনে না খাটে আমি মনে করি তারা প্রকৃতির বিশেষ যত্নে বড় হয়েছে বা জীবনটা পার করতে পেরেছে, কিন্তু আমি ক্যালকুলেটরের বাইরে বের হতে পারি নাই। ১৭টা বছর আবেগ বলেন আর ভালোবাসা বলেন তা অর্জনে, নিয়মিত মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে আমাকে। আসলে নিঃস্বার্থ বলে যদি কিছু থাকে তাহলে আমার পাওয়া হয়ে ওঠেনি, টুনু কিংবা পচা অথবা মনিকাদি যতটা পেয়েছে। কারো কারো হাতে ক্যালকুলেটর সত্যিই থাকে।

যাই হোক আপু আপনি পড়েছেন, ভালো লেগেছে এটাই বড় কথা। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

সকাল রয় বলেছেন:
সাম্প্রদায়িকতা !

পড়লাম। মাথায় গল্পটা ঢুকে গেছে। যেন আমি নিজেই চলেছি গল্পের মাঝে।

ধন্যবাদ
এমন গল্প উপহার দেবার জন্য

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল। ভালো থাকুন সব সময়।

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপনার এই গল্পটিকে ঠিক কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো তা নিয়ে অনেকক্ষন ভাবলাম , পড়লামও তিন তিনবার !
কিন্তু ক্যাটাগরি খুঁজে পাই নি ।

আপনার লেখা উপরের গল্পটি ঠিক যেন একাত্তরেরই পুনঃছবি । এক দিকে যেমন রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার উগ্র প্রভাব , অন্যদিকে রয়েছে অসম প্রেমের মানসাঙ্ক ।

সত্যি অনবদ্য লেখনী আপনার ! গল্প পড়ে মনে হলো এটা অন্য কারো জীবন থেকে আরোপিত নয় , এটা যেন লেখকেরই একান্ত জীবন কাহিনী ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কল্পনা হলেও তার সঙ্গে মিশে যেতে পারলে তাতেও বাস্তবতার আবহ ফুটে ওঠে। অবশ্য এমন ঘটনা কম বেশি ঘটে থাকবে সন্দেহ নাই। যুদ্ধ মানুষের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও তাকে নানা রকম সংস্কার থেকে মুক্তিও দিয়ে যায়।

গল্প পড়ে মনে হলো এটা অন্য কারো জীবন থেকে আরোপিত নয় , এটা যেন লেখকেরই একান্ত জীবন কাহিনী ।

-অবশ্যই কারো না কারো জীবনের গল্প। আরোপিত হয়তো নয়। ভালো থাকুন সব সময়। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

সুমন কর বলেছেন: খুব ভাল লাগল। পাঠে মুগ্ধ!! মনে হল একটা উপন্যাসই পড়ে ফেললাম। আর কাহিনী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এক কথায় অসাধারণ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকুন সব সময়।

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: :D

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯

এহসান সাবির বলেছেন: পড়তে পড়তে গল্পের ভিতর হারিয়ে গেছিলাম।
অনবদ্য লেখা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির। কেমন আছেন?

২১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১

ইখতামিন বলেছেন:
পেছনের অংকে পাশ না করলেও জীবনের অংকে বোধ হয় সফল আপনি।

দুঃখিত জুলিয়ান ভাই।
আজকেই পুরোটা পড়বো।
আবার মন্তব্য করবো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পেছনের অংকে পাশ না করলেও জীবনের অংকে বোধ হয় সফল আপনি।

জীবনের অংকেও ফেল্টুস! নতুন কইরা ধারাপাত দিয়া শুরু করতে হবে। ১৭টা বছর ঘূণপোকা হজম করে ফেলছে।

২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সময় ধরতে চাওয়ার চেষ্টা, টপিক এবং অনুভূতি - সব মিলিয়ে বেশ একটি লেখা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক খান। তা চেষ্টাটা ছিল বড় রকমেরই। কতটুকুই আর পারলাম। ভালো থাকুন সব সময়।

২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অসাধারণ , খুব ভালো লাগলো জুলিয়ান ভাই

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সিফাত। ভালো থাকুন আপনি।

২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আগেও এই গল্পটা পড়েছি কয়েকবার, পোস্ট দেবার পরেও কয়েকবার পড়লাম। আপনার লেখাগুলোর মাঝে আমার কয়েকটা প্রিয় গল্প আছে, এটি তার মাঝে অন্যতম।

কেন এই গল্পটা ভালো লাগে তার বিস্তারিত লিখতে ইচ্ছে করছে না। সাম্প্রদায়িকতা ছাড়াও মনিকাদির প্রতি কথকের এক সুপ্ত ভালোবাসাটাও মুগ্ধ করার মতো।

প্রিয়তে নিলাম ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কেন এই গল্পটা ভালো লাগে তার বিস্তারিত লিখতে ইচ্ছে করছে না।

-ধন্যবাদ অপর্ণা। কিন্তু কৌতূহল আমার থেকেই গেল, কেন হয়ে।

২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১

ইখতামিন বলেছেন: আমি বলবো না- গল্পটি দারুণ হয়েছে। অথবা খুব ভালো লেগেছে।
আপনি আমাকে বলেছিলেন- আপনার ধৈর্য হয় নাই, দোষ আমার, গল্পটা আপনারে ধইরা রাখতে পারে নাই। ভালো থাকেন সব সময়।

কথাটা হৃদয়ে বড়ো আঘাত করেছিলো। দিনের পর দিন অনেক গল্পের পোস্ট পড়ার চাইতে এই রকম একটা পোস্ট পড়তে পারাও ঢের ভালো লাগে।

যতোই লাইন বা প্যারা পার করেছি ততোই মনের মাঝে গল্পটার ব্যাপারে একটা একটা করে মন্তব্য জমা পড়েছে। মাঝে মাঝে লেখকের আদর দিয়ে রচিত বাক্যগুলো আমায় বারবার পড়তে বাধ্য করেছে। কখনও কিঞ্চিৎ বিরহে চোখের কোণ খানিক ভিজে উঠেছে। কখনও সামনের ঘটনা জানার জন্য ছুটতে হয়েছে মনিকাদি ও টুনার পিছু।

কিন্তু গল্পের শেষটা আমাকে এক ধরনের তৃপ্তি ও স্বস্তি এনে দিয়েছে। তাই চুয়ান্ন আর একচল্লিশের অংকটা অনেক সহজই মনে হচ্ছে।

আপনিও ভালো থাকুন সব সময়। শুভ রাত্রি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শেষপর্যন্ত পড়তে পারলেন বলে ধন্যবাদ। আর ভালো লাগার ব্যাপারটা নিয়ে বলেছেন বলেই বুঝতে পারছি গল্পটা মোটেও মন্দ লাগে নি আপনার কাছে।

ধন্যবাদ আবারও। শুভকামনা নিরন্তর।

২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২০

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া। আপনি কেমন আছেন?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমাকে তো ভালো থাকতেই হবে, এ ছাড়া বিকল্প নেই। : D

২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: সত্যি বলতে কি আগে গল্পটি মন দিয়ে পড়েনি। শুধু চোখ বুলিয়েই ++++++++++++ দিয়েছিলাম।
এখন গল্পটি পড়ে আপনার পায়ের ধুলো নিতে ইচ্ছে করছে।
আপনার সাথে যদি কোনোদিন আমার দেখা হয়, তবে আপনাকে আমার লিখা একটি গল্প দিবো। গল্পটি পড়ার জন্য না।
কোনো সময় আপনার চায়ের পেয়ালা থেকে যদি চা চলকে পড়ে যায়, তবে সেই চা টুকু আমার লিখা গল্পটি দিয়ে মুছে দিবেন। ধন্য হবো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

-এমন কথা শুনলে ভয় হয়। পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়।
দেখা তো হবেই কোনোদিন। তখন আগেই আপনার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দিবো যাতে আপনি আশপাশে ভিড়তে না পারেন। =p~

ভালো থাকুন আর লিখতে থাকুন।

২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার সব লেখাই আমাকে ভাল লাগে।
চমৎকার লেখাটি। সুন্দর হয়েছে।




ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী। আমার পোস্টে আপনাকে স্বাগতম।

২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

শায়মা বলেছেন: অনেক সুন্দর ভাইয়া।:(

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক সুন্দর কইলেন কিন্তু ব্যাজার মুখে। আপনাকে ধন্যবাদ শায়মা। ভালো থাকুন সব সময়।

৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আগেই পড়েছি। তবে অনেকদিন আগে। তাই আবার পড়লাম। এই লেখাটা একাধারে আলাদা, সাবলীল, আকর্ষণীয় , মানসম্মত। খুব টাচি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভাইজানের গল্প পইড়া বইঞ্জানে এমন কথা বললে লোকজন স্বজনপ্রীতি ভাবতে পারে। :P

ভালো থাইকেন সব সময়।

৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

ঘুম হ্যাপি বলেছেন: চমৎকার, লেখাটি সুন্দর হয়েছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টে স্বাগতম।

৩২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: এবার অনেকেই গল্পটা পড়ার সুযোগ পেয়েছে, ভালো হলো!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিক। ভালো থাকুন সব সময়।

৩৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা কি স্বচ্ছন্দে, নিষ্পাপ আবেগে বলে গেলেন! ওই সময়টার সম্পূর্ণ অনুভব লেখার মাঝে পাচ্ছিলাম। ডুবে যাচ্ছিলাম। এরকম গল্প বলার ক্ষমতা সবার থাকে না।

শুভেচ্ছা রইল জুলিয়ান।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর। অনেকদিন পর। ভালো থাকুন সব সময়।

৩৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৭

মুনেম আহমেদ বলেছেন: ব্লগের এত সস্তা পোষ্টের মাঝে আপনার অসাধারন গভীরতাসম্পন্ন লেখাটায় যেন হারিয়ে গেলাম। পড়তে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। প্রিয়তে

ভাল লেগেছে "ছাই এর নেই আগুনের ভয়" কথাটিও।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মুনেম আহমেদ। আমার পোস্টে স্বাগতম আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

৩৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

বাবুল হোসেইন বলেছেন: পনার গল্প নিয়ে কিছু বলতে চাই না, নিজেরে নস্যি মনে হয়। কিন্তু আমি ভাবছি সাব্জেক্টের ব্যাপারটা নিয়া। আমি বেশ কিছুদিন আগে একটা গল্প লিখেছি প্রণতি দি আর আমার ছোটবেলার কাহিনী এবং সেখানে ও ছোটকাকুকে উপস্থাপন করা হয়েছে আপনার ঢঙেই, যদিও আমার গল্পটা ছিলো একটা কিশোরীর মানসিকভাবে ম্যাচিউরড হয়ে উঠার গল্প।

লেখকদের বোধোদয় কি একি রকম করে ঘটে দাদা, আমি অবশ্য লেখক হতে পারিনি এখনো। কিন্তু ভাবনায়, চিন্তায় একজন লেখক কে ধারণ করার ক্ষমতা রাখি হয়তো।

আমি এর আগেও খেয়াল করেছি কিছু ব্যাপারে অসাধারণ মিলে যায় একজনের সাথে আরেকজনের। কেনী জানি এটা হয়তো লেখকদের একটা আলাদা ইন্দ্রিয়ানুভূতির ফল। আমি কিন্তু বড় বলে আমার গল্পটা এখনো টাইপই করি নি, তাছাড়া আপনার গল্পের ফিনিশিং টা আপনার হলেও, মূল গল্পটা আমারটার সাথে অনেকাংশেই একি। কারণ, হিন্দুদের নিপীড়ণ, ওদের সামাজিক কুসংস্কার, পুরুষ শাসিত হিন্দু সমাজ, আর নারীর সবকিছুকে অবদমিত করা হিন্দু সমাজ, এগুলোই আমার কাছে আসল মনে হয়েছে। যে ধর্মের কোন সার নেই তাকে লালন করার মানে কি, লগ্নভ্রষ্ঠা হলেই জাত চলে যায়, এ কেমন রীতিনীতি।

লেখকের পাল্লায় পড়ে বকবকানি করতে ইচ্ছে করতেছে নাকি কে জানে?
থাউক্কা আজকের মতন।
বাল্লাগছে অনেক, দাদা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: লেখকের পাল্লায় পড়ে বকবক করলেও মনে করি তাতে আনন্দের ঘাটতি হবে না।

ধর্মীয় ব্যাপার-স্যাপারই এমন, পান থেকে চুন খসবার জো নেই। ধর্মীয় গুরুরা যাহা বলে গেছেন তাহাই অকাট্য। ধর্মের অনুসারী হলে তার বিধি-বিধানও মানতে হবে পুংখানুপুংখ ভাবেই, তাহলেই না ধার্মিক!

লেকহদের ভাবনা তো প্রায় সময়ই কাছাকাছি বা প্রায় একই ধরনের হয়। প্রকাশ ভেদেই কেবল ভিন্নতা পায়। একটা প্রবাদের মতো কথা আছে না যে, মহান লোকেদের ভাবনা-চিন্তা একই রকম। লেখক-কবিদের ভিন্ন ভাবনা কেন হবে ভাইডি?

আপনার গল্পটা পোস্ট করে দিয়েন, কারণ আপনার আমার লেখা তো হুবহু এক না। আর দেশ-কাল-পাত্র-সমাজ যেহেতু একই গল্পে খানিকটা মিল থাকা বিচিত্র কিছু না।

আপনার ভাবনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আর আপনার গল্পটিও পড়তে আগ্রহ বোধ করছি।

৩৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি অসাধারন একটা লেখা! কি দারুনই না লিখেছেন জুলিয়ান দা! খুব খুব ভালো লেগেছে আমার। অনেকদিন পর একটা গল্প পড়ে সত্যি অনেক আনন্দ হলো। আমি যখন খুব ছোট, তখন আমাদের বাসায় ছাদে একটা রুম ছিল। সেখানে আমি সারাদিন কাটাতাম। সেখানে ছিল নানা পদের বই। আধোঅন্ধকার রুমে আমি শুয়ে শুয়ে বড় বড় লেখকদের অনেক বই পড়ে ফেলেছিলাম, যা আমার বয়সের তুলনায় অনেক ভারীই ছিল। তখন বইগুলো পড়ে যে অনুভুতি পেতাম, আপনার গল্পটা পড়েও আমার অনেকদিন পর সেই অনুভুতিটুকুই আবার জাগ্রত হয়েছে।

গল্পের প্রতিটি দৃশ্যই ছিল আমার কাছে উত্তেজনাকর! প্রতি পদে পদে হ্যাঁ যেন কিছু একটা হতে চলেছে! এখনই গল্পের ক্লাইমেক্স চলে আসবে, এটাই গল্পের টার্নিং পয়েট হবে!! দারুন! প্লাস রইল। এবং প্রিয়তে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কা_ভা। ছোটবেলা লুকিয়ে চুরিয়ে পড়াটাই মনে হয় আসল পড়া। তার অনেক কিছু মগজে গেথে যায়। আমি তাই কোন বই কারা পড়বে তা নিয়ে মাথা ঘামাই না বা নিষেধাজ্ঞাও জারি করি না।
গল্পটা লিখবার সময়ও আমার টানটান উত্তেজনা ছিল, আমি মিশে গিয়েছিলাম গল্পের সঙ্গে। মনে হচ্ছিল টুনুটা আসলে আমিই।

ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা জানাই।

৩৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ জুস দেশিয় গল্প
ভাললাগা +

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। উত্তর দিতে খুব দেরি হয়ে গেল।

৩৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কিছুই বলার নাই! এত চমৎকার গল্পটা কেন আগে পড়িনি সে কারনে আফসোস হচ্ছে! এত গতিশীল, এত বাঁক এই গল্পে! আমি সত্যি বাক হারা হয়ে গেছি! এক মুহূর্তের জন্যেও মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি এই লেখাটা থেকে। তবে একেবারে শেষে এসে পচা হয়ে যাওয়াটা কেমন যেন লাগল! একটু বেশিই কাকতালিয়।

যাই হোক, ব্লগের অন্যতম সেরা গল্পটা পড়ে ফেললাম মনে হচ্ছে। আপনাকে গুরু মানছি, গুরু।

আপনার এই লেখাটা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে কারন আমার শৈশব, কৈশরও এমনি কিছু মনিকাদি, সাহা, দেবপ্রদের নিয়ে কেটেছে। সে কারনে একেবারে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করলাম প্রতিটা বাক্য!

হ্যাটস অফ, বস, হ্যাটস অফ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত।
পচার ব্যাপারটা অনেকভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় হয়তো, এমন ধরনের গল্প তো আমরা দেখি, বাস্তবেও এমন ব্যাপার অবশ্য খুব বেশি ঘটে না। আমার গল্প নিয়ে আমার বইঞ্জানের অভিযোগ লেখায় খুব বেশি বাস্তবতা ফুটে ওঠে। পচার ব্যাপারটা পাঠকের মনে জানান দেবে যে, এ গল্প আপাত নিরেট বাস্তবতাকে ধারন করলেও এটি সত্যিই একটি গল্প।

আপনার জন্যে অপার শুভ কামনা থাকলো।

৩৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্বকীয়তায় আপনি ভাস্বর। গল্পটি পড়ার সময় মুহূর্তের জন্য ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে নি- মনে হলো একটা অত্যাদ্ভুত সিনেমা দেখছি- একের পর এক ঘটনাগুলো চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে।


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমার জীবনে এক সুগভীর প্রভাব বিস্তার করে আছেন। এটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা সেরা গল্প পড়ছি (আপনি মাইন্ড করলে সেটা আমার জন্য খুব কষ্টের হবে)।

এক পঁচার স্থলে অন্য পঁচার (টুনু) আগমন নাটকীয় লেগেছে (জীবনে তো নাটক থাকতেই পারে, বা জীবনটাই তো নাটক)।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় জুলিয়ান ভাই।

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হুম, জীবনটাই নাটক। মাঝে মধ্যে নাট্যকারের বদল ঘটে। আপনার জন্যও শুভ কামনা।

৪০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

একলা ফড়িং বলেছেন: গল্প পড়তে পড়তে সেই সময়টায় চলে গিয়েছিলাম যেন! আর একটা গানের লাইন খুব কানে বাজছিল 'তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম...।'

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিক কথা। এ গানটার কথাও চলে আসে। কেমন একটা অস্পষ্ট মিল আছে যেন কোথাও। কিন্তু মল্লিকাদিকে নিয়ে লেখা গানটা মনে হয় অনেক পরের কোনো এক সময়ের। সেই সময় এ গান শুনলে হয়তো এখানেও আসতে পারতো।

ভালো থাকুন সব সময়।

৪১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিলম্বিত শুভেচ্ছা আপনাকেও। এ দিনটাতে গ্রামের বাড়ি ছিলাম।

৪২| ১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জুলিয়ান দা

মিস করছি
মিস করছি
মিস করছি ।।

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মিসাইয়েন্না। একটা বড়সড় আছাড় হজম করতাছি। একটু দেরি হইলেও সরব হবু আবার। ভালো থাইকেন।

৪৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

পংবাড়ী বলেছেন: এ গল্পটা যতবার পড়ি, ততবারই নতুন মনে হয়!

১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ পংবাড়ী। আপনাকে স্বাগতম আমার পাতায়।

৪৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আসলেই বার বার পড়ার মতন গল্প ৷ মনে থাকবে অনেক অনেক দিন ৷ জীবনের মানসাঙ্ক মিলে না প্রায়ই ৷

ধন্যবাদ আপনাকে ৷ ভাল থাকুন ৷

১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আলজাহাঙ্গীর। স্বাগতম জানাই আপনাকেও। ভালো থাকুন সব সময়।

৪৫| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

পংবাড়ী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের শেষগুলোতে পংবাড়ী ( ত্রিপুরায়) ছিল 'জেড-ফোর্সর' হেড কোয়ার্টার। সেটি ছিল একটি পরিত্যক্ত স্হানীয় উপজাতিদের বাড়ী; সেটার সন্মানে এই নিক।

১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আর আমাকে ধিক্কার এত কম জানি বলে!

৪৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকে আবার পড়লা।

পাঠক১৯৭১, পংবাড়ী, এগুলো আমার নিক ছিলো, সেগুলো ব্যান হয়ে গেছে। গত আড়াই বছর এই নিকে আছি।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.