নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক গল্প: নেতা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

বিরোধীদলীয় নেত্রীর ডাকা অবরোধের সংবাদে চোখ পড়তেই আকস্মিক খুশিতে পত্রিকাটাকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে রমজান আলি। স্বৈরাচার আর সামরিক জান্তা সরকার বিরোধী আন্দোলনে বাংলার কোরাজন বলে খ্যাত এই নেত্রী তরুণ-যুবা এমন কি বৃদ্ধদের মনেও ভালোবাসার পাকাপোক্ত একটি আসন বাগিয়ে বসতে পেরেছিলেন। আপসহীনতার কারণে রাজনীতিতেও ভালোরকম অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। অথচ সেই খালেদা জিয়া প্রথম যখন রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে হরতাল ডেকেছিলেন, সেদিন যেন মটমট শব্দে বুকের পাঁজর ভাঙতে আরম্ভ করেছিল তার।

এক সময়ের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, সম্মুখ সমরে পায়ে গুলির আঘাত নিয়েও অনড় ছিল। সেই রমজান আলি হরতাল আর অবরোধের সংবাদে খুশি হলেও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে প্রিয় নেত্রীকে সরব হতে দেখে লজ্জা পেয়েছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল তখনই ছুটে গিয়ে বলে, বাংলার কোরাজন, আপসহীন নেত্রী, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আর বাইশ দলীয় ঐক্যজোটের একমাত্র অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ম্যাডাম খালেদা জিয়া এই ভুলটি আপনি করতে যাবেন না। মনে-প্রাণে যে রাজাকার, যার রক্তে বিশ্বাসঘাতকতার বীজ সে কোনোদিন বাংলার ভালো চাইতে পারে না। আপনার আড়ালে থেকে তারা তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করে নেবে। মাঝখান থেকে আপনি কলঙ্কিত হবেন।

কিন্তু রমজান আলি কোথাকার কে, দলের জন্যে কী বা এমন অবদান তার যে, ম্যাডাম তাকে চিনবেন বা তার কথায় গুরুত্ব দেবেন? সে নেতা হলেও চুনোপুঁটি আর নিচু ধরনের নেতা। মানুষ হিসেবে নিকৃষ্ট স্বার্থপর, পরশ্রীকাতর আর লোভী একজন মানুষ। তার মাথা এখন খুবই সক্রিয়। হরতাল আর অবরোধের সময়গুলোই তার পুঁজি বৃদ্ধি হয়। শক্তি সংগঠিত হয় আর নতুন করে জেগে ওঠে দেহমন। সে সময়গুলোতে নিজেকে আবিষ্কার করে পলিত-কেশরাজির একষট্টি বছর বয়সেও দুরন্ত অশ্বের তেজোদৃপ্ত তারুণ্যে। শামিমা বেগমের কাতর অনুনয় আর বারবার ক্ষমা চাওয়াটাকে উপভোগ করে জান্তব উল্লাসে। তারপর বীরদর্পে যখন রেজিয়ার ঘরে ঢুকে যায় তখন শামিমা বেগম কিংবা আত্মীয়-স্বজনের কটূক্তির ভাষাগুলোও যেন নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

মনে মনে উপায় খুঁজছিল রমজান আলি। খুব সহজ আর নিখুঁত কোনো উপায়। আইন-আদালত, থানা-পুলিশ যাতে স্পর্শ করতেও না পারে। রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন ইউনিয়ন নেতার চেয়ে থানা পর্যায়ের নেতার কদর আর জোর বেশি। সে তুলনায় রমজান আলি যে গোছের নেতা, দলের কেন্দ্রীয় সদস্যরা আরো বেশি ক্ষমতা আর শক্তির অধিকারী। সে সব শক্তি আর ক্ষমতার উৎস সময়ে সময়ে পরিবর্তন হলেও শ্রমিক ইউনিয়নে তেমন একটা বদল আসে না। সরকার যে খুশি আসুক, কি নাই থাকুক শ্রমিক নেতা আর শ্রমিক সংগঠনের ক্ষমতা কমে না। রমজান আলি তাই থানা কমিটির সভাপতির চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। শক্তি আর অর্থের দিক দিয়ে সমকক্ষ নয় বলে নিজের বাসটাকে লোকাল সার্ভিস থেকে জেলা ট্রান্সপোর্টে উন্নীত করতে পারছে না। কোনোভাবে কথাটা মুখ থেকে বের করতে পারলেও সভাপতি রেহানুদ্দিন মুখের ওপরই বলতে দ্বিধা করে না, ‘তোমার মুড়িট্টিন ডিস্টিকে চালাইয়া প্যাসেঞ্জার পাইবা না।‘ অপমান আর ক্ষোভ দুটোই থিতিয়ে আসে এক সময়। তাই তার পরিকল্পনারা ভেতরে ভেতরেই গুমরে মরে। আকৃতি পাবার মতো দৃঢ়তা অর্জন করতে পারে না।

অবরোধ হোক হরতাল হোক কোনো অবস্থাতেই বন্ধ থাকে না রেহানুদ্দিনের বাস-ট্রাক বা সিএনজি। স্বপক্ষের লোকজনের চাইতে বিরোধী পক্ষের ক্ষতি বৃদ্ধিতেই তাদের উৎসাহ বেশি। থানা সভাপতি বলে রেহানুদ্দিন যেমন পরিচিত, তেমনই পরিচিত তার যানবাহন আত্মীয়-স্বজন। যে কারণে বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা তারা পেয়েই যায়।

থানা বা জেলা পর্যায়ের নেতা-নেতৃরা তৃণমূল পর্যায়ে তেমন একটা সক্রিয় হতে পারে না। কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে ভালো রকমই তৎপর থাকে রমজান আলি। তবে তা হাঁক-ডাক আর মিছিল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। ডিসট্রিক্ট রোডের দিকে কখনও যেতে হয়নি তাকে। কিন্তু এবার থানা পর্যায়ে রেহানুদ্দিনের বেশি লোকজনের প্রয়োজন হওয়াতে কিছু কম বয়েসি ছেলে-ছোকরাকে নিয়ে তাকে সরব থাকতে হবে সেখানে। এটা একটা বড় সুযোগ বলা যায়। দক্ষতা প্রমাণেরও একটি সুযোগ বলা যায়। তা ছাড়া এ দলটির কেউ রেহানুদ্দিনের কোনো গাড়িই চেনে না।

সদ্য মেতে ওঠা ছেলেদের দায়িত্ব দিয়ে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে রমজান আলি বাড়িতে থেকে গেল। পেট ব্যথার কথা বলে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকল বিছানায়। খানিকটা পরপর চিত্কার করে উঠছিল মেকি কষ্টে। শামিমা বেগম কিছু একটা নিয়ে বেশ ব্যস্ত বোঝা যায়। তার হাঁক-ডাক শোনা যাচ্ছে একটু পরপর। রেজিয়াকে কিছু একটা নির্দেশ দিচ্ছিল। কিন্তু অসুস্থতার ভান করে বিছানায় পড়ে আছে বলে সেদিকে কোনো রকম আগ্রহ দেখাতে পারছিল না সে।

শুয়ে থেকেই হাত ঘড়িতে সময় দেখে কিছুটা চঞ্চল হয়ে ওঠে সে। ঠিক এ সময়টাতেই রেহানুদ্দিনের বাস ডিসট্রিক্ট রোড ধরে টার্মিনালে যায়। তারপর ধোয়া-মোছা ইঞ্জিনের ত্রুটি দেখা ছোটখাটো মেরামত সেরে সন্ধ্যার দিকে যাত্রী-বোঝাই করে ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। সে সময় স্থানীয় অনেকেই গ্রামের সামনে দিয়ে বাস যাবার সুযোগটা গ্রহণ করে।

শামিমা বেগম হঠাৎ অস্থির হয়ে ছুটে এসে বলল, হুনছেন? রাস্তার উপরে গাড়িত আগুন দিছে। আপনে যান না একবার। মাইয়াডা তো এই সময় রেহানুদ্দিনের গাড়ি দিয়া আওনের কথা।

শামিমা বেগমের কথা শুনেই যেন রমজান আলির তলপেটের দিকে কিছু একটা আংটা দিয়ে ধরে। এক হাতে তলপেট চেপে ধরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বসে সে। ভাবে, একাত্তরের যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থায় পেট্রল বোমার ব্যবহার হয়েছিল কিছুদিন। সামান্য গন্ধক আর পেট্রলের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি সামান্য খেলনার মতো জিনিসটার ভয়াবহতা সম্পর্কে ভালো করেই জানা আছে তার। গাড়িটা যদি রেহানুদ্দিনের বাস হয়ে থাকে তাহলে তার উদ্দেশ্য বৃথা হবে না। কিন্তু মেয়েটাই বা কেন আজ আসতে গেল? আর শামিমা বেগমের বয়স হবার সঙ্গে সঙ্গে অনেক জরুরি কথাও চেপে রাখবার বদ অভ্যাসটা বাড়ছে দিন দিন।

বিছানা থেকে নেমে গায়ে ফতুয়া চড়াতে চড়াতে ভেতরকার রাগ চেপে রাখতে পারে না রমজান আলি। এমনেই দেশের অবস্থা, রাস্তা-ঘাটের অবস্থা ভালা না, মাইয়াটারে আইতে কইলা কী বুইঝ্যা? আইজগা দেশে হরতাল আর অবরোধ দুইডাই চলতাছে।

-আমি আগে থাইক্যা জানমু কেমনে কবে হরতাল আর অবরোধ হইব?

বলতে বলতে কণ্ঠস্বর কেঁপে ওঠে শামিমা বেগমের।

-শারমিন আইব এই কথাটাও তো জানাইতে পারতা। কখন কই দিয়া কে কোন গাড়িতে আগুন দিবো কেউ কইতে পারে?

স্ত্রীর সঙ্গে খুব বেশি রাগও দেখাতে পারছিল না রমজান। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে মটর সাইকেল চালু করতে করতে বলে, দরজাডা দিয়া থোও!

মটর সাইকেলে ডিসট্রিক্ট রোডে পৌঁছুবার আগেই দূর থেকে জ্বলন্ত গাড়িটা চোখে পড়ে রমজান আলির। পুরো বাসটাই জ্বলে শেষ হয়ে গেছে। এখন কালচে ধোঁয়া উড়ছে খানিকটা। আশপাশে প্রচুর মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। সতর্ক দৃষ্টিতে দলের ছেলেদের খোঁজে সে। কিন্তু কাউকেই দেখতে পায় না। উপস্থিত লোকজনের মুখে শুনতে পায় যে, বাচ্চা কোলে একটি মেয়ে নামতে পারেনি বাস থেকে। ভেতরেই কয়লা হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই ধ্বক করে ওঠে বুকের ভেতরটা। কপালে চাপড় দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে সে। আমার শারমিন, আমার নানাভাই রে! এইডা কী হইল? হায় হায়!

রমজান আলি তার মটর সাইকেল সহ রাস্তায় পড়ে যায়। তখনই ভিড়ের একটা অংশ ঝুঁকে পড়ে তার দিকে। কেউ বাতাস করে। কেউ বা চোখে মুখে পানির ঝাঁপটা দেয়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে এলে প্রায় মুখের ওপর ঝুঁকে আছে দু বয়সের দুটি উদ্বিগ্ন মুখ।

দুজনকেই বুকের সঙ্গে চেপে ধরে রমজান আলি বলে ওঠে, কেমনে আইলি?

মেয়েটি কিছু বলে উঠবার আগেই শিশুকণ্ঠ সরব হয়ে ওঠে, রিশকায়!

রমজান আলি একবার পোড়া বাসটির দিকে তাকিয়ে ফের চোখ বোঁজে।

((সমাপ্ত))

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমাদের গ্রামে বয়স্ক অন্ধপ্রায় এক প্রাচীন বৃদ্ধা ছিলেন, ইনি ছালা গায়ে রোদে শুয়ে থাকতেন আর কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে শোলোক বলে তার জবাব দিতেন। সেগুলো স্থূলরস থাকলেও, সঠিক ছিল অক্ষরে অক্ষরে। একটি ছিল,

পরের ওলে পাড়া দিলে তুরতুর করে,
নিজের ওলে লাগলে ঠিকই চিক্কুর মারে।

কেন যেন এই কথাটাই মনে পড়ল গল্প পড়ে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পরের ওলে পাড়া দিলে তুরতুর করে,
নিজের ওলে লাগলে ঠিকই চিক্কুর মারে।


:D :D :D


২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:

" বাংলার কোরাজন, আপসহীন নেত্রী, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আর বাইশ দলীয় ঐক্যজোটের একমাত্র অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ম্যাডাম খালেদা জিয়া এই ভুলটি আপনি করতে যাবেন না। মনে-প্রাণে যে রাজাকার, যার রক্তে বিশ্বাসঘাতকতার বীজ সে কোনোদিন বাংলার ভালো চাইতে পারে না। আপনার আড়ালে থেকে তারা তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করে নেবে। মাঝখান থেকে আপনি কলঙ্কিত হবেন। "


-খালেদা জিয়ার 'বীর' ছিল পাকী অফিসার; পাকীদের পরাজয় খালেদা মেনে নিতে পারেনি; তার সেই ব্যথা আজো রয়ে গেছে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন- ...খালেদা জিয়ার 'বীর' ছিল পাকী অফিসার; পাকীদের পরাজয় খালেদা মেনে নিতে পারেনি; তার সেই ব্যথা আজো রয়ে গেছে।

-কিন্তু অনেক বীর মুক্তিযপদ্ধাই আজকাল নাশকতায় জড়িয়ে গেছেন কেবল নিজের স্বার্থেই। যা আমাদের জন্য খানিকটা হলেও লজ্জার। তাদের ভেতর এ ভাবনাটা আসে না যে, এ কুকর্মের সমর্থনের উদ্দেশ্যে তাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল না।

ধন্যবাদ চাঁদগাজী। আমার পোস্টে আপনাকে স্বাগতম।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রমানিক। ভালো থাকেন সব সময়।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :( :( :(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ। মন ভালো করে ফেলেন।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খালেদা জিয়াযে গাঙ্গুয়া খানের সাথে যুদ্ধের সময় রামলীলায় মেতে ছিল এটা তার বর্তমান কর্মকান্ড দেখলেই বোঝা যায়| যাই হোক, আপনার গল্পে ভাল লাগা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল। গল্প ভালো লাগলো জেনে আমারও স্বস্তি।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। শেষটা পজিটিভ রেখেছেন বলে, ভালই লাগল।

অাজকাল সব নেগেটিভ অার নেগেটিভ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।
সত্যিই বলেছেন। চারদিকে এত এত নেতিবাচক সংবাদ আর ঘটনা, ইতিবাচক স্বপ্নে আচ্ছন্ন না হলে হয়তো অসুস্থ হয়ে যেতে হবে।
ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





কোরাজন বানিয়ে কোরামিনটা ভালোই খাইয়েছেন, গল্পকার ভাই B-) ;)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কোরামিন কিনা জানি না। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ফলে ব্যাপারটা তখন বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস তো এক সময় নিজেই সরব হয়ে ওঠে। এমন বিশ্বাস ভাঙার কারণে অনেকেরই রাজনীতি থেকে দূরে যাওয়ার ঘটনা আছে।

কিন্তু রমজান আলিরা ন্বার্থের কাছে নতজানু চিরকাল, তাই আমাদের কোনো উত্তরণ ঘটে না।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩১

আবু শাকিল বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার নতুন লেখা পেলাম।
ভাল লাগল ।

ধন্যবাদ ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল। ভালো থাকবেন সব সময়।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩১

স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: মানুষ কখন বুঝতে পারবে যে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে এরা!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ স্পাইকর‍্যাফ্‌।

ব্যাপারটা যখন কেউ বুঝে ফেলে তখনই সে আম-জনতার সারি থেকে বের হয়ে নেতা হয়ে যায়।

ভালো থাকুন সব সময়। সেই সঙ্গে আপনাকে স্বাগতম জানাই আমার পোস্টে।

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এক সময়ের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, সম্মুখ সমরে পায়ে গুলির আঘাত নিয়েও অনড় ছিল। সেই রমজান আলি হরতাল আর অবরোধের সংবাদে খুশি হলেও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে প্রিয় নেত্রীকে সরব হতে দেখে লজ্জা পেয়েছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল তখনই ছুটে গিয়ে বলে, বাংলার কোরাজন, আপসহীন নেত্রী, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আর বাইশ দলীয় ঐক্যজোটের একমাত্র অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ম্যাডাম খালেদা জিয়া এই ভুলটি আপনি করতে যাবেন না। মনে-প্রাণে যে রাজাকার, যার রক্তে বিশ্বাসঘাতকতার বীজ সে কোনোদিন বাংলার ভালো চাইতে পারে না। আপনার আড়ালে থেকে তারা তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করে নেবে। মাঝখান থেকে আপনি কলঙ্কিত হবেন।

লেখাটি খুবই ভাল । গল্পে ভাললাগা ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। ভালো থাকুন সব সময়।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৬

কাজী রায়হান বলেছেন: অসাধারন । এক মুক্তিযোদ্ধা পিচাশ নেতার গল্প ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী রায়হান। এমন পিশাচ সব দলেই থাকে।

ভালো থাকুন আপনি।

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩০

জাফরুল মবীন বলেছেন: দীর্ঘদিন পর ব্লগে পেয়ে খুব ভাল লাগছে ভাই জুলিয়ান সিদ্দিকী :)

বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে লেখা আপনার সুলিখিত গল্প খুবই ভাল লাগল।

শুভকামনা জানবেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল মবীন।

সময়টা আমার মাথায় বাসা বেঁধে ফেলেছে মনে হয়। যাই লিখি বক্তব্য এ সময়টা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেকদিন পর এলেন!! সব ভালতো??
গল্পের আড়ালে রাজনীতির নোংরামী মোটামুটি।। মনে হচ্ছিলো চেষ্টা করলেই আরেকটু বেশী ফুটিয়ে তুলতে পারতেন।।
রমজান আলি শুধু একজন নয়,আমরা প্রতিটি জনই কি তা না??

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতন হ্যাপী।

ঠিকঠাক আছে সবই।

রমজান আলিদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, সব ক্ষেত্রেই। এমন কি সাহিত্যের ক্ষেত্রটাও আর নিরাপদ নেই।

আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেকদিন পর জুলিয়ান দার লেখা পেলাম।


রমজান আলীরা ব্যক্তি স্বার্থের কাছে পরাজিত। বিবেক বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক।

বিবেক থাকলে কি আর কোনো দল মানুষ ভর্তি কোনো বাসে আগুন দিতে পারে? এই পাপে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলই অভিযুক্ত বলা যায়। কেউ কু-কর্ম করে, কেউ বা নীরবতা পালন করে।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক দর্শন ঠিক রমজান আলীর মতো। আর এই কারণেই দেশ শুদ্ধ মানুষ জ্বল পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও আমাদের বিবেক নড়ে উঠে না। কী চমৎকার আমাদের রাজনৈতিক দর্শন!
রমজান আলী যেন দেশের সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিনিধিত্ব করেছে এই গল্পে।
শারমিন এবং নানা ভাইকে বাঁচিয়ে রেখে রমজান আলীকে যে শিক্ষাটা দেয়া হল, সেটা সে কতটা অনুধাবন করবে জানি না। জানি না পাঠকই বা কতটা শিখে নিলো এই গল্প থেকে। তবুও আশা করবো সবার বিবেকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে উঠবে। দলকে নয়, দেশকে প্রাধান্য দিবে সর্বাগ্রে।
অনেক দিন আবার এলেন স্বমহিমায়। গল্প অনেক ভালো লাগলো জুলিয়ান দা। আরও ভালো লাগবে যদি এই গল্পটা থেকে আমরা শিক্ষাটা লুফে নিতে পারি। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালি।

আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতাটাই এখানে যে, আমরা কোনো কিছু থেকেই শিক্ষা অর্জন করতে পারি না।

আমরা ভারতের দিকে তাকালেই দেখবো যে, বাঙালি তাদের দেশে ঢুকলেই তারা রেরে করে ওঠে যাতে কেউ শিকড় গাঁড়তে না পারে, তার অর্থ আগে তাদের দেশ আর মানুষ, তারপর অন্যদের কথা হলেও হতে পারে।

মমতা দেশের স্বার্থের কথা ভেবেই তিস্তার পানি দিচ্ছে না এবং দেশের কথা ভেবেই ভারত বাটপারি করে হোক আর ভয় দেখিয়ে হোক দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলোতে নিজেদের একচেটিয়া লাভের ব্যাপারগুলো আদায় করে নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এমনটা কখনও ভাবতে শিখবে এমনটা মনে হয় না।

আপনার ভাবনাটাও ভালো। শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্যে।

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: রমজান আলীর কন্যা শারমিন অার নাতনি হয়ত গল্পের অতিরঞ্জিত ভাবার্থে বেঁচে গেছে। কিন্তু বর্তমানে বিএনপি জোটের কিংবা বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ জোটের হরতাল-অবরোধের সময় অনেক সাধারন রমজান আলীরা আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছিল। যা খুবই হৃদয়বিধারক। সেটা বেগম খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা ( যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ) কেন (?) কোনো সুস্থ বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তি সহ্য করতে পারেন না।

আপনার বক্তব্যে থেকে দুই-একটি বিষয় আমার কাছে বোধগম্য নয়,,,,,

১। বর্তমানে যে হরতাল-অবরোধ হচ্ছে সেটা কি যুদ্ধাপরাধে আটক জামায়াত নেতাদের বাচানোর জন্য?????

------দৃষ্টিপাত:

কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে। দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর যাবতজীবন আর আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী মুজাহিদের ফাঁসির রায় বাকী সকল আটক নেতাদের ফাঁসির অাদেশ দিয়েছে আদালত। দুই একজন ছাড়া। গোটা বিশ্ব কিংবা বিশ্ব অবাক করে বিএনপি-জামায়াত জোট কি তাদের নেতাদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক রাজনীতিতে আনতে পারবে???( যদি বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে)।

২। গতবছরের ৫ তারিখের নির্বাচনে যেখানে কিনা মহান নেতা শেখ মুজিবের নিজ হাতে লালিত দল অাওয়ামীলীগ জনমতকে তুড়ি মেরে ১৫৪ টা আসন যৌতুক নিলো। আর বাকীগুলো তো নামকাওয়াস্তে। সেটার জন্য যদি জনআন্দোলন হয় তাহলে আপনি কি শতভাগ সমর্থন দিবেন????

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার কথাও অগ্রাহ্য করার কোনো ব্যাপার নেই। আওয়ামী জোটেও যে রমজান আলিরা নেই বা গল্পে সেই জোটের গূণকীর্তন হয়েছে তাও নয়। গল্পটা একজন স্বার্থ-কানা রমজান আলি আর ভুক্তভোগী মানুষের।
ভুক্তভোগী মানুষ কখনও দলকানা হয় না। তারা বেশিরভাগ সময় ভোটও দেয় না।

এই যে নির্বাচন হয়, কোন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট আট থেকে নয় কোটি ভোট পেয়ে পাশ করেছেন?

মানুষ যখন পাগল হয়ে উঠবে তখন ১৯৯০র মতই ঘটনা ঘটবে।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব জুলিয়ান,
রাজনৈতিক গন্ধ সমৃদ্ধ মানবিক একটি গল্প। সংঘর্ষরত সমকালের নিরেট দৃশ্যকল্প। আপনার বিভূতি সাহা অথবা রমজান আলির জন্য নতুন করে কিছু বলার নাই। ফাঁক-ফোকরে শুধু অনুষঙ্গ খুঁজি প্রাণীর সাথে আমার ...

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।

একই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে দেখলে সেই ঘটনার প্রতি মানুষ উদাসীন হয়ে যায়।

আমাদের সময়টা এখন তেমনই মনে হয়।

ভালো থাকুন সব সময়। আমাদের দুঃসময় কেটে যাক।

১৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৬

পার্থ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাই। রমজান আলীর কপাল তো দেখছি অনেক ভালো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ পার্থ তালুকদার।

রমজান আলিদের কপাল তেমন একটা মন্দ হয় না বাইরে দিয়ে।

ভালো থাকেন সব সময়।

১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ বসন্ত!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির। বসন্তের শুভেচ্ছা আপনাকেও জানাই।

২০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: "পরের ওলে পাড়া দিলে তুরতুর করে,
নিজের ওলে লাগলে ঠিকই চিক্কুর মারে।"

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: :D

২১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বিদগ্ধ বলেছেন: ছাত্ররাজনীতি নিয়ে একটি চমৎকার ছোটগল্প পড়েছিলাম ইত্তেফাকের সাহিত্য পাতায়। তারপর হুমায়ূন আজাদের ‌'রাজনীতিবিদগণ' - ওটা তো মহাকাব্যিক।

কিন্তু সমকালীন রাজনীতি নিয়ে গল্প লেখার বিষয়ে আপনি মনে হয় প্রথম হয়ে গেলেন। তবে আপনার নিকট থেকে আরেকটু গুছানো গল্প আশা করেছিলাম। প্লটবিন্যাসে দুর্বলতা আপনার লেখায় মানায় না। এটা মেনে নিচ্ছি যে, গল্পের বিষয় যত নতুন এবং সাম্প্রতিক, এর বিন্যাসকরণ ততই জটিল। আরও চাই রাজনৈতিক গল্প।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ দগ্ধ। যদি মেনে নেই আপনার কথা, তাহলে আত্মরক্ষার্থে বলতে হয় যে, এটা সমকালীন যন্ত্রণাগুলোর মাঝে খানিকটা ভিন্ন পথে নিষ্কাষিত। এমন আগুন জ্বালানো আর রাজনৈতিক অনাচার স্বার্থবাদীতা নিয়ে একটি প্রবন্ধ ধরেনের লেখা কদিন আগে ফেসবুকে আর প্রিয়.কমে শেয়ার করেছি। কিন্তু সে লেখাটা হয়তো আমার ভাবনাগুলোর পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। যার ফলে অবশিষ্টাংশ গল্পের রূপ ধরে বেরিয়ে এসেছে। এমনই কাছাকাছি আরেকটা টাইপ করছি। তবে এই আগুনের পেছনে কেন জানি আমার কাছে ব্যক্তি স্বার্থটাই জড়িয়ে আছে মনে করি। কেউ তার ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশের বশে এ কাজগুলো করাচ্ছে - সে যে কোনো দলেরই হতে পারে আবার অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও হতে পারে।

আর গল্পের প্লটের ব্যাপারটা যদি স্বীকার না করি বলতে হয় যে, সম্প্রতি যে নাশকতাগুলো হচ্ছে, সেগুলোর পেছনে নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য নেই, দেশে একটি অস্থিরতা আর আতঙ্কের জন্ম দিয়ে ফাঁক তালে কোনো ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার ঘটে যাচ্ছে যাতে আমাদের মনোযোগ দেবার সুযোগ নাই। আর সে কারণেও বলা যায় একটি অনিশ্চয়তার ভেতর খুব শক্ত কোনো ভিত গড়ে তোলা সম্ভব না। সেদিক দিয়ে গল্পটাকে দুর্বল বলতে চাচ্ছি না।

আপনার মতামত ভালো হয়েছে। গল্পটাকে নিয়ে ফের কখনো নাড়াচাড়ার আগ্রহ তৈরি হতে পারে।

ভালো থাকুন আপনি, সেই সঙ্গে আপনাকে স্বাগতমও জানাই আমার ব্লগে।

২২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৬

উপপাদ্য বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।

কিন্তু একজন সমঝদার ব্লগার যেভাবে নোংরা কমেন্টগুলোতে সায় দিয়েছেন তার জন্য খুব খারাপ লাগছে। জুলিয়ান সিদ্দিকির মতো ব্লগার যখন সায় দেন নোংরা মানসিকতার লোকদের কমেন্টে বিশেষ করে খালেদা জিয়ার অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো পাকি সেনাদের সাথে। তখন আপনার এই কদর্য রূপকে ঘৃনা করা ছাড়া উপায় নেই।

জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক জোট হয়েছে। জামায়াত নেতাদের মুক্তির জন্য বেগম জিয়া হরতাল আহ্বান করেছেন এমন উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?

মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট চেতনার একমাত্র দাবীদার শেখ হাসিনার পরিবারে রাজাকারের বংশবিস্তার ও রাজাকারদের মন্ত্রী বানানো নিয়ে কোন বক্তব্য না থাকায় প্রায় "ওয়ান আইড" গল্প হয়ে গেলো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: উপপাদ্য, আপনি পাঠক হিসেবে নিরপেক্ষ থাকেন নাই। ১৬ নাম্বার মন্তব্যটি খেয়াল করেন, ঠিক আপনার মতই স্পর্শকাতর।

জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক জোট হয়েছে। জামায়াত নেতাদের মুক্তির জন্য বেগম জিয়া হরতাল আহ্বান করেছেন এমন উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য আপনি কোথায় পেলেন

-অংশটা আপনি গল্পের কোথায় পেলেন? তা ছাড়া নোংরা কমেন্টে আমার সায় কোথায় পেলেন? সে কথা কিন্তু পরিষ্কার হলো না।

আপনি যদি দলকানা হন তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে আপনার জন্য কষ্টকর হবে। তবু বলি, এখানে রমজান আলিটা একজন সমর্থকের প্রতীক, যে দলকানা না হলেও স্বার্থপর।

২নাম্বার মন্তব্যের জবাবটা আবার দেখুন আশা করি আপনার ভুল ধারণার অবসান ঘটবে।

২৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

উপপাদ্য বলেছেন: ২ নং মন্তব্য ও আপনার উত্তর আপনিই আবারো পড়ুন। পাশাপাশি ৫ নং মন্তব্য ও তার উত্তরটাও পড়ুন।

হরতালের কথা আপনি প্রথম প্যারাতেই লিখেছেন,
".... অথচ সেই খালেদা জিয়া প্রথম যখন রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে হরতাল ডেকেছিলেন, সেদিন যেন মটমট শব্দে বুকের পাঁজর ভাঙতে আরম্ভ করেছিল তার"

অথচ সত্য হলো খালেদা জিয়া কখনোই রাজাকার ও যুদ্ধপরাধীদের সমর্থনে কোন হরতালতো দূরে থাক কোন বক্তব্যই দেন নি।

আমি হয়তো কিছুটা দলকানা, এবং সেটা প্রকাশ্য এবং সেটা ইন্ডিলীগের বিষয়ে পুরাই কানা। এটা আমার বিভিন্ন পোস্টে ইতোমধ্যেই প্রমানিত। তাই বলে সত্য মিথ্যার ফারাক বুঝতে পারবো না এমন ব্লগার আমি নই।

আমি আগেও বলেছি গল্প ভালো হয়েছে, চমৎকার প্লট, মুল বক্তব্য চরম বাস্তব, শব্দের গাঁথুনিও ভালো হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় সত্যকে টুইস্ট করা হয়েছে এবং নিন্দনীয় মন্তব্যকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। যা আপনার মতো সিনিয়র ব্লগারদের কাছে আমরা সাধারন ব্লগাররা আশা করিনা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বুকের পাঁজর ভাঙতেছিল কার? - রমজান আলির।

এখানে লেখক তো রমজান আলী না। তার অনুভূতির দায়ভার কেন লেখকের ওপর আসবে?

সে সময়কার হরতাল-অবরোধে পেছনে সাধারণের ধারণা তেমনটাই ছিল।

তা ছাড়া সামুতেই ছোট্ট একটা ব্লগ আছে জামাতের হরতালকে বিএনপির সমর্থনের সপক্ষে। সংবাদপত্রেও আছে এমন কথা।

View this link

যায় যায় দিনও এমন একটা সংবাদ ছেপেছিল

এবার আশা করি লেখক দায়মুক্ত।

২৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৩

উপপাদ্য বলেছেন: হা হা হা........ জুলিয়ান ভাই.. অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে উত্তর দেয়ার জন্য। অবশেষে দায়মুক্তির পথও বের করে ফেললেন। তবে আমি এসব নিয়ে ভাবছিনা। আমি ভাবছি মানুষ কেমন করে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রানপন চেস্টা করে।

আপনি যে কথা গুলো গল্পচ্ছলে রমজান আলীর মুখ দিয়ে বের করিয়েছেন সেসব কথা গুলো আপনারা, ইন্ডিলীগের দূর্নীতিবাজ গডফাদাররা, শেখ হাসিনা নিজে, ট্রাইবুনালের সাথে জড়িত আওয়ামীরা, ৭১/৭২ টিভি এবং ইদানীং র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবির প্রধানেরাও বলছে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন মিথ্যাকে যতই প্রতিষ্ঠিত করার এই কুচেস্টা থাকনা ক্যানো, দিন শেষে মিথ্যা মিথ্যা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়।

আল কুরআনে আছে " সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যার পতন অবশ্যম্ভাবী "

যায়যায়দিন লিংক ভুয়া, আর ঐ ব্লগারের পোস্ট আরেক ব্লগার প্রশ্ন করেছিলেন বিএনপির সমর্থন নিয়ে কোন নিউজ লিংক দিতে যা তিনি দেন নি। এগুলার উপর রিলাই করলেতো দায় মুক্তি পাবেন না জুলিয়ান ভাই। :P :P

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: লিঙ্ক ভুয়া হইলে কি আমার দ্দোষ? এইবার তাইলে অন্য ব্যবস্থা-

২০১৩-০১-৩০ তারিখে বিডিনিউজ২৪ডটকম এমন একটি সংবাদ ছেপেছে।

একই তারিখে প্রথম আলো এমন একটি সংবাদ ছেপেছে।

২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০০

তুষার কাব্য বলেছেন: বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চমৎকার লেগেছে গল্প জুলিয়ান দা।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য।
ভালো থাকেন সব সময়।

২৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: রাজনৈতিক গল্প ভালো লাগলো জুলিয়ান ভাই। বেশকিছুদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। আশা করি ভালো আছেন।



শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়।
অনেক দিন পর আইলেন ব্লগে?
আমি তো ভালা আছি, আপনে?

২৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৯

এম এম করিম বলেছেন: ভালো লাগলো। বিশেষ করে শেষটায় এসে।

শুভকামনা সতত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ এম এম করিম।
স্বাগতম আমার ব্লগে।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জ্বী ভাইয়া একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি।


আপনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। আমিও ভালো আছি :)

২৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

বিদগ্ধ বলেছেন: রাজনৈতিক বিষয় বা সমসাময়িকতাকে নিয়ে গল্প লেখা কঠিন। কঠিন কাজটি করতে সচেষ্ট হয়েছেন, এজন্য অভিনন্দন!


কিন্তু রমজান আলীরা কি কিছু মনে রাখে? ওরা বেঁচে থাকা পর্যন্ত জনগণকে নাকাল করেই যাবে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

মান্নার অডিও টেপের সংবাদ পান নাই? এরাই হচ্ছে আমাদের জাতির কর্ণধার। কিন্তু আমাদের ঘুম এখনও ভাঙে না।

৩০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

রোদেলা বলেছেন: তীরের তীব্রতা যখন আপন কাউকে ছিঁড়ে ফেলে তখন কি হুঁশ হয় আমাদের।কিজানি আমি বুঝিনা।কবে হুঁশ হবে এইসব নাম কামানো নেতাদের?তাও জানিনা।সমসাময়িক সময়কে অনেক চমৎকার বাঁধলেন আপনি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ রোদেলা।
আমাদের নেতাদের চরিত্রের বদল হয় না কোনোদিন। হয়তো বাকি জীবনে যোগ্য নেতা আমরা আর পাবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.