নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।
বাসে বাড়ি ফিরছিলাম। মেঘনা টোল প্লাজার সামনে জ্যাম লেগে থাকা একটা নিত্য উৎপাত। কালক্রমে যা হয়তো একদিন পুরোপুরি অভ্যাসে পরিণত হবে। সে কারণে ঢাকায় আসতে হলে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক, জ্যামে বসে থাকতে থাকতে খানিকটা অস্থির হয়ে উঠছিলাম। এমন সময় পাশের আসনের এক ভদ্রলোকের দিকে চোখ পড়লো। খুবই মন দিয়ে কালের কণ্ঠের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পাঠ করছিলেন। কিন্তু এক হাতের কনিষ্ঠা আর অনামিকার ফাঁকে নিতান্তই অবহেলায় ঝুলে আছে শিলালিপি। যে কোনো পত্রিকার সাহিত্য পাতা আমাকে খুবই আকর্ষণ করে। তাতে কোনো ভালো লেখা থাকুক আর না থাকুক। কোনো কিছুর প্রতি আকর্ষণ না থাকলে তার ভালোমন্দ গুণাগুণ নিয়ে ভাববার সুযোগ কোথায়? ভদ্রলোকের অবহেলিত শিলালিপিটি খুব বিনয়ের সাথে চেয়ে নিলাম। অন্তত চোখ বুলালেও জ্যামে বসে থাকবার একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আমার আশপাশে খুব কম মানুষ আছেন যারা পত্রিকার সাহিত্য পাতাটিকে ভালোবাসেন। যাই হোক, দিনটা হলো ১৮ আগস্ট ২০১৭। পত্রিকাটিও এ দিনেরই।
প্রথমেই চোখে পড়ে প্রিয় কবি শামসুর রাহমানের চারু-কলা চিন্তন। পড়ে ফেলি। তার পরপরই পড়ে ফেলি আরেক প্রিয়জন সঙ্গীত শিল্পী খুরশিদ আলম এর সাক্ষাৎকার। তিনি এখনও কোনো পুরষ্কার পাননি বলে বেশ খারাপ লাগছিল। ইমদাদুল হক মিলনের সাম্প্রতিক লেখালেখির কিছু জানি না। দেখলাম পিছন শিরোনামে একটি উপন্যাস এর ধারাবাহিক প্রকাশনার অংশ। ভালোই লাগলো। তরমুজ দফাদারের তামাশা নামে আরো একটি লেখা দেখে আমার পড়তে আগ্রহ হয় না। কিন্তু তাৎক্ষনিক ভাবে আমার সন্দেহ হয় শব্দটা কি তরমুজ না অন্য কিছু? আবার ভালো মতো চোখ বুলাই। না, আমারই চোখের ভুল। লেখাটা তয়মুজ তরফদারের তামাশা। পড়ব না ভেবে পত্রিকার পাতাটি ফিরিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখি সেখানে অন্য লোক বসে আছে। হায়, ভদ্রলোক কি ভুলে গেলেন পত্রিকার কথা? নাকি সাহিত্যের পাতা বলে হেলাফেলায় ছেড়ে গিয়ে বাড়তি বোঝা বইবার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হলেন?
ইতোমধ্যে গাড়ি চলতে আরম্ভ করেছে। আমিও শিলালিপির পাতাটি মুড়ে চোখ বুঁজি। কিন্তু খানিক বাদেই গাড়ি থেমে যায়। জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি ছোটবড় নানা আকৃতির গাড়ির সুদীর্ঘ সারি। কখন যে এ জট ছুটবে! হতাশা থেকে আবার শিলালিপির পাতাটি চোখের সামনে মেলে ধরি। এবার তয়মুজ তরফদারে তামাশা পড়তে আরম্ভ করি। কিন্তু কিছুদূর পড়ার পর বেশ চমকে উঠি যে, এ কেমন ভাষা? আমাদের শব্দের ভাণ্ডার তো খুব ছোটখাটো নয়, তাহলে কেন জোর করে অন্য শব্দ বসাতে হবে? এমন হতো আমাদের নিজস্ব শব্দাবলীর অভাব আছে, তখন না হয় অন্য ভাষার শব্দ ধার করা যায়। কিন্তু হাঁড়িতে খাবার রেখে রেস্টুরেন্ট বা পাশের বাড়ি থেকে খাবার আনানোটা দৃষ্টিকটু নয় কি?
একে তো আমার ল্যাপটপ ছিল না। তার ওপর মনোমতো কোনো লেখা পাই না যাতে লেখকের উদ্দেশ্যে দুটো ভালোমন্দ বলা যায়। ভিন্ন শব্দের ‘উরাধুরা’ ব্যবহারই আমাকে আগ্রহী করে তোলে তয়মুজ তরফদারের প্রতি। এবং গল্পটি পড়তে পড়তে বেশ কিছু শব্দ আরোপিত মনে হয়েছে। শব্দগুলোর প্রয়োগ সঠিক হলেও মনে হয়েছে পাঠকের প্রতি অত্যাচার।
গল্পের শুরুতে তয়মুজ সম্পর্কে লেখক মঈনুস সুলতান বয়ান করেন-
রেক্সিনের আধময়লা ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে তয়মুজ তরফদার ইস্টিশনের দিকে মেলা দিলে তার একান্নবর্তী পরিবারের মানুষজন প্রমাদ গোনে।
এখানে ‘মেলা’ শব্দটি নিয়েই বলা যায় যে, প্রায়োগিক দিক থেকে মেলা শব্দটির অনেকগুলো অর্থ হয়। বিশেষ করে অঞ্চল ভেদে এর অর্থেরও তারতম্য আছে।গল্পের লেখক ‘মেলা’ শব্দটি যাত্রা করা বা কোথাও রওয়ানা করা অর্থে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ‘মেলা করা আর মেলা দেয়া’র মাঝে বিস্তর ফারাক আছে বলেই মনে করি। তিনি তো অনায়াসেই লিখতে পারতেন- ইস্টিশনের দিকে মেলা করে/ ইস্টিশনের দিকে যাত্রা করে/ ইস্টিশনের দিকে হাঁটা ধরে/ ইস্টিশনের দিকে রওয়ানা হয়। তারপরও কেন তিনি ‘মেলা দেয়’ ব্যবহার করেন তা বোধগম্য হয় না। আমার কাছে মনে হয়েছে শব্দটির প্রয়োগ সাবলীল নয়। আরোপিত। যে কারণে সুরটি ঠিকঠাক ফুটে উঠতে পারেনি।
ছোটবেলা কোনো কোনো বাচ্চার মুখে শুনেছি- আঁর দিগ মেলা মারি দে! যা কিছু একটা ছুঁড়ে দেবার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
তা ছাড়া গল্পের আরো একটি জায়গায় ‘মেলা’ শব্দটি প্রয়োগ করেছেন লেখক, যেটির অর্থ অনেক। আঞ্চলিক অর্থে সংখ্যাধিক্য বোঝাতে। যেমন- কোনো কোনো দোকানি হয়তো বলে, তয়মুজ ভাই, মেলা তো কাপড় চোপড় দেখলেন, এবার সরেন, অন্য কোথাও যান।
সংলাপে ব্যবহৃত এ ‘মেলা’র অর্থ খুব সহজেই ধরে ফেলা যায়। কানে বাজে না। যেভাবে কানে বাজে ‘বিরিঙ্গি’ শব্দটি।
চারদিকে আজকাল সহজ-সরল লিখবার জোর আবেদনের ভীরে এবং ফেসবুকের কল্যাণে সহজ বোধ্য আর শিশুবোধ্য শব্দাবলীতে অভ্যস্ত প্রজন্ম এ গল্পের অনেক শব্দের মর্মার্থ উদ্ধারে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে গল্পের ব্যর্থতাকেই বিপুল বিক্রমে তুলে ধরতে চাইবেন।
যেমন- দুপুরের শজনে-ফাটা রোদে হেঁটে এসেছেন বলে তয়মুজ বেহদ ঘামছেন। তিনি ব্যাগটি ঘাসে রেখে, টিউবওয়েলে চাপ দিয়ে ঘাড়-গলায় পানি মাখান। রুমাল দিয়ে মুছে তা ভাঁজ করে গর্দানায় রেখে, কামানো ফ্যাসফ্যাসে দাড়ি চুলকিয়ে- দূরে সিগন্যালের দিকে তাকিয়ে ট্রেন আসার জন্য ইন্তেজারি করেন। গায়ে-গতরে দসাসই পুরুষ তয়মুজ। লেখাপড়া করেছেন ম্যাট্রিক অব্দি। চাইলে তাঁর শক্ত-পোক্ত তনতন্দুরস্তির কারণে আনসারের হাভিলদার হতে পারতেন। এমন কি মাঝেমধ্যে তামাশা-তেলেসমাতিতে লিপ্ত না থাকলে, তয়মুজ হতে পারতেন গেরামের টোকা-ফারগ লিখিয়ে মুহুরি।‘
এখানে ব্যবহৃত বেহদ, গর্দানা, ইন্তেজারি, তনতন্দুরস্তি, টোকা-ফারগ, শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত আছেন এমন কতজন পাঠক পাওয়া যাবে বলা শক্ত। আর পাঠকালে শব্দের অর্থ মনে না পড়ে তাহলে পাঠানন্দ কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হয়। অবশ্য একজন ভালো পাঠকের শব্দার্থ নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। কারণ, বাক্য পরিপূর্ণ হলে তার রসাস্বাদনে পাঠকের মনে কোনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় না। এখানে একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, গল্প লেখার সময় লেখক মঈনুস সুলতান কতটা সচেতন ভাবে শব্দ ব্যবহার করেছেন নাকি লেখা পরবর্তী সময়ে শব্দগুলোর পুণঃপ্রয়োগ ঘটিয়েছেন তিনিই বলতে পারবেন। তবে আমার কাছে চাপিয়ে দেয়া শব্দগুলোর কারণে সাবলীল প্রবাহকে ক্ষুণ্ণ করে গল্প আর পাঠকের ভাবনাকে ক্লিষ্ট করেছে।
আবার যখন পড়ি-
“তারা তিতি-বিরক্ত হয়ে ভুরু কুঁচকে বলে, তয়মুজ আরবার কিংবা কিসিমের তেলেসমাতি শুরু করলো!”
তখন বিভ্রান্ত না হয়ে পারি না। গ্রামের মানুষজন অতটা কঠিন করে কথা বলে নাকি? তার ওপর তারা কী বোঝাতে চাচ্ছেন তা বুঝতে আমার বেজায় কষ্ট হয়। সত্যি কথা বলতে তা আমি বুঝতেই পারি না। হয়তো কেউ কেউ বলবেন, না বোঝার কী আছে? পরিষ্কার বাংলায় তো সব লেখা আছে! আমার মূর্খতা আর অজ্ঞতা প্রকট না হয়ে ওঠে আশংকায় আমার পাঠ বিরতি ঘটে। কিন্তু গল্পের ভাষা আমাকে টানতে থাকে। আরো কী ‘বিরিঙ্গি’ লুকিয়ে আছে গল্পের ভেতর।
বিরতির পর পড়তে আরম্ভ করে আবার হোঁচট খাই। দেখি- “...জিন্নোমোমিনরা যখন মাদ্রাসার জয়েলে ঘোরাফেরা করে।“
আবার “মোল্লাজি তয়মুজের বাড়ির কাছাকাছি এসে পিতলের বাঁধানো কুকড়া লাঠিটি দুপুরের তমতমে আফতাবের দিকে তুলে ধরে।“
এখানে জয়েল, তমতম, আফতাব প্রয়োগের ফলে কি গল্পে গতি এসেছে নাকি পাঠে আরো আনন্দ যুক্ত হয়েছে তা আমার বোধে আসে না। অন্যোন্য পাঠকের কী অবস্থা আমার অজানা বলে, আমি কেবল আমার ভাবনাগুলোই পাঠকের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে বলতে পারি যে, আমার মোটেও ভালো লাগেনি। এভাবে আরোপিত শব্দাবলীতে ভাষার চলমানতা বারবার হোঁচট খেয়ে পড়ে।
লেখক এমন কথা বলতেই পারেন যে, তিনি মূর্খদের জন্যে লেখেন না। তাহলে আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু যদি তার লক্ষ্য হয় সমস্ত পাঠক, তাহলে বলবো খুব কম পাঠকই আছেন, যারা হাতের কাছে অভিধান নিয়ে পড়তে বসেন। বা গল্পের মর্মোদ্ধারে বারবার অভিধান দেখবার মতো ধৈর্য রাখতে পারেন। সৈয়দ হক কে কেউ একজন ইংরেজিতে সাহিত্য রচনা করতে উৎসাহ দিলে তিনি বলেছিলেন, ষোলোকোটি মানুষের কাছে তো এখনো পৌঁছুতে পারিনাই।
তার মানে কী? খুব বেশি হয়তো বুঝিয়ে বলতে হবে না।
“ক্যারম বোর্ডের ঘুটি স্ট্রাইক”, “দোরছে ধুমপান” ব্যাপারগুলো চোখের জন্য অত্যাচার ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। ঠিক ‘বাস্তব’ বা ‘অবাস্তব’ কোনো পর্যায়ে পড়ে না আনসারদের মুখে “হল্ট হুকুমদার” বা আনসাররাই কাউকে “ডাণ্ডাবেড়ি” পরায়। দিল, হামদর্দি, আম-আদমি, প্যাসিঞ্জার্সরা, গল্পের তয়মুজের “জিন্দেগির যাবতীয় গর্দিশের অকুস্থল থেকে দূরে” যেতে যেতে আমার পাঠভাবনা মুখ থুবড়ে পড়ে। মাঝে মাঝে মনে হতে থাকে যে, এক সময় উর্দু হরফে বাংলা লেখানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। আমরা কি এখনো সেই দুর্বিনীত সময়ের কাছাকাছি রয়ে গেছি? আমাদের সম্পাদকরাই বা এসব অনুমোদন করেন কোন উদ্দেশ্যে? নাকি বাংলা ভাষাটাকে উর্দুর মতো আরেকটি জগাখিচুরি মার্কা ভাষায় পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন?
করি।আজকাল কারো কারো লেখায় জোর করে বা অভিধান দেখে উপযুক্ত শব্দ বসানোর মতো উৎপাত বেশ চোখে পড়ে।মাতৃভাষার সঙ্গে ভিন্ন ভাষার মিশ্রণ সমৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু তা যখন দৃষ্টিকটু আর শ্রুতিকটু মনে হয় তাহলে সে দায় লেখকের না হয়ে সম্পাদকের ওপরই বর্তায় বলে মনে করি।
আমার নলেজে আমি যতটা আন্ডারস্টুড করতে অ্যাবল, আমি ঠিক ততটাই সোচ সমঝকে অন্যকে অ্যাডভাইস করতে পারি। লেকিন এটা ভি দেখা জরুরি যে, আমার জবানে তা কতটা ইজি হয়ে নিষ্ক্রান্ত হবে অথবা অন্যের শ্রুতিতে ক্যায়সা হিট করবে।
২০/৮/২০১৭
গৌরীপুর, কুমিল্লা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ঘরে ফিরে আবার পড়েছি। সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় এ পোস্ট লিখেছি।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লাস্ট প্যারায় তো দিয়া দিলেন
'তরমুজ দফাদারের তামাশা' আপনার ভালো না লাগলেও ওটা নিয়া যে তামাশা করলেন, এটা পড়ে খুব মজা পাইলাম। 'বিরিঙ্গি' শব্দটা ভি বুজবার পারি নাইক্ক্যা।
যে শব্দগুলো আপনি আলাদা করলেন, ঐগুলো আমার কাছেও নতুন। তবে প্রথম উদ্ধৃত বাক্যটিতে 'মেলা'র ব্যবহার অঞ্চল ভেদে 'মেলা দেয়া' বা 'মেলা করা' হতে পারে। আমরা বলি, 'কুনসুম মেলা দিবি (কখন মেলা দিবি?)', বা 'মেলা করছস নি?' ঐ কথাটা আমি লিখলেও হয়ত 'মেলা দিল'ই লিখতাম। এটা ছাড়া বাকি সব পয়েন্টের সাথে পুরোপুরি একমত।
অনেক ভালো লাগছে আপনার উপস্থিতি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ।
না যদি বুঝি তাহলে পড়েও তো মজা পাবো না।
যাই হোক সম্পাদক মহোদয়গণ একটু সচেতন হলেই কিন্তু আমাদের ভাষাটাও এভাবে পচতো না।
ভালো থাকুন সব সময়।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে.।.।.।।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: যদি ভুল না করে থাকি, আপনি কিছুকাল ইত্তেফাক-এ সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কাজেই আপনি হেহে বলে পালিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিল্প Business Communication 101-এর মতো কোনো বিষয় নয়; শিল্প মোনালিসার মতো সহজবোধ্য হতে পারে, গুয়েরনিকার মতো জটিল হতে পারে। কাজেই দুর্বোধ্যতার জন্য লেখককে কাঠগড়ায় নেয়া যৌক্তিক নয়। বাকি থাকে শুধু, আপনি যে সন্দেহ প্রকাশ করলেন, লেখক পরে জটিল শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করেছেন কি না। মঈনুস সুলতানের লেখার সঙ্গে সুপরিচিত থাকলে এ সন্দেহ প্রকাশ করতেন না এবং উপলব্ধি করতেন, ভাষা প্রয়োগে তিনি সৈয়দ মুজতবা আলীর মতোই মৌলিক ও শক্তিমান।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: স্রষ্টাকে ভক্তের কাঠগড়াতেই মানায়। যার ভেতরে ভক্তি বা অভক্তি নাই, তার কোনো অভিযোগও নাই।
আর একজন লেখক সব সময় একক, কারো সঙ্গে তাকে তুলনা করা অপমানের শামিল।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেষ প্যারা ভাল হয়নাই ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিনা তর্কে মেনে নিলাম। ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,
তয়মুজ তরফদারের তামাশার শরীরটা হলো সেটাইল ( ষ্টাইল ) । যদি সব বুঝেই ফেললেন তবে লেখক মঈনুস সুলতান এর কারিশমাটা তো আর থাকেনা ! লেখক হো তো এ্যায়সা !
শেষের প্যারাটি জব্বর হয়েছে । ওটাও একটা সেটাইল........................
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
দুর্বোধ্যতা যে একটা শিল্প তা অস্বীকার না করেই বলি, তা যত কম মানুষের কাছে হয় তা হলে মঙ্গল। কিন্তু খিচুড়ি ভাষায় আমার যত আপত্তি।
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কাছে তার লেখাটা ভালোই লাগলো পড়ে। একটু পরিমিতি বোধ থাকলেই সুপাঠ্য হতো। আমি কিন্তুক প্রচ্চুর ইংলিশ শব্দ ইউজ করি!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ হামা।
পরিমিতি বোধ নিয়া বলার হক আমার নাই। তিনি অনেক পুরস্কার পাইছেন। কেবল ইংরেজির ব্যবহার হইলে আমার খারাপ লাগতো না। কোনো কোনো লেখক মাদ্রাসার হুজুরদের মতো বাংলা ভাষাটারে কওমি কইরা ফেলতে চাইতাছেন। এই গল্পটা পড়তে পড়তে (খিচুড়ি ভাষা দেইখ্যা) আমার কাছে মনে হইতেছিল লেখক হয়তো মাদ্রাসার মুদারেস। কিন্তু এস এম মামুন অর রশীদ-এর মন্তব্য পড়ার পর গুগুল কইরা দেখি বিশাল ব্যপার-স্যাপার। বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত।
এখন তো মনে হইতাছে রিভিউ কইরা অপরাধ কইরা ফেললাম হয়তো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ট্রাপিকে পড়লে মানুষের মেজাজ খারাপ থাকে!