নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প- মনের মানুষ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫০


(ছবি- গুগুল মিয়া)
এবার কার্তিক মাসের সকালগুলো বেশ বিরক্তিকর আর সেই সঙ্গে আনন্দের বলেও মনে হচ্ছিল সবুরের কাছে। যেদিন তার মায়ের মুখে শুনতে পেয়েছিল কথাটা, সেদিন থেকেই কেমন যেন একটি বাড়তি আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল রহিমাকে নিয়ে। যদিও তার মনের ভেতর একটি ভাবনা আছে যে, তার ভাবী স্ত্রী দেখতে কেমন হবে। নিজে নিজেই নানা পছন্দ আর গুণের সমৃদ্ধি ঘটিয়ে এঁকে নিয়েছে একটি ছবি। তার মনের দেয়ালে বাঁধানো ছবিটির সঙ্গে কারো মিল হয়ে গেলেই সে বিয়েতে মত দেবে তার আগে নয়। কিন্তু রহিমাকে বাড়ির বাইরে খুব একটা দেখা যেতো না। অল্প বয়সে বিধবা হয়ে ফিরে আসবার পর থেকেই গ্রামের লোকজনের মুখে ধ্বনিত হওয়া নানা অলক্ষুণে বাক্যাবলীতে যার পর নাই আহত হয়ে জড়িয়ে পড়তো নানা রকম বিতর্কে। তারপর আস্তে আস্তে কেমন যেন গুটিয়ে গেল মেয়েটা। বিতর্ক এড়িয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে দিনদিন ঘরকুনো হয়ে উঠেছিল যেন। বাইরে দু-চার ছ দিনের মাথায়ও একবার দেখা যেতো না তাকে। তারপর একসময় আর দেখাই যায় না। নিজে ব্যস্ত থাকে বলে, তার ওপর রহিমার ভাই শফিউদ্দিনকে মোটেও পছন্দ করে না বলে, সে বাড়ির ত্রই-সীমানায় যেতেও তার ইচ্ছে করতো না। কিন্তু মনের ভেতর কেমন একটা অদৃশ্য টানও অনুভব করছিল রহিমার প্রতি।
সকালের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা জাতের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে হামলে পড়ে ধান ক্ষেতে। ধানগুলো সব পুরোপুরি না পাকলেও এরই মাঝে সোনালী হয়ে উঠেছে মাঠের অনেকটাই। কুয়াশা ভেজা ক্ষেতের আলপথ ধরে হেঁটে আসতে আসতে দুটো পায়ের গোড়ালি অবধি ভিজে যায় সবুরের। এ সময় বেশ খানিকটা শীত শীত বোধ হয় বলে, পরনের লুঙ্গীটার গিঁঠ খুলে গায়ে জড়িয়ে রাখে। সে সময় হালকা পাতলা বাতাসে লুঙ্গীর নিচের অংশ দোল খাওয়ার ফাঁকে খানিকটা শীতল বাতাস দেহের নিম্নাংশে হালকা সুড়সুড়ির মতো ঠাণ্ডা পরশ দিয়ে যায়।
পুরো মাঠ জুড়েই নানা জাতের ধান অনুসন্ধানী পাখির ওড়াউড়ি চোখে পড়ে। ঘুঘু, কবুতর, চড়ুই, বাবুই আর টিয়া। এমন কি দাঁড়কাক, পাতিকাকও আছে কোনো ক্ষেতের আশপাশে বা কাকতাড়ুয়ার গায়ে, মাথায়। হঠাৎ এক ঝাঁক টিয়া টিটি শব্দে উড়ে এলে ক্ষেতে নামবার আগেই হাতের দীর্ঘ লাঠিটা উঁচিয়ে ছুটে যায় সবুর। ক্ষেতের ওপর আড়াআড়ি আর লম্বালম্বি টানানো সরু দড়িতে ঝাঁকি দিয়ে ঝোলানো টিনের ঘণ্টা ঘটর ঘটর শব্দে বাজাতে আরম্ভ করলে উড়ন্ত টিয়ার ঝাঁক দিক বদলায়। মাঝের কয়েকটা ক্ষেত ছাড়িয়ে অপেক্ষাকৃত কম অরক্ষিত ক্ষেতে নেমে পড়ে পুরোটা দল। আস্তে ধীরে আরো পাহারাদার এসে জমতে থাকবে সূর্যের আলো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে। সেই সঙ্গে পাখিদের উৎপাতও বাড়বে পাল্লা দিয়ে। ছড়া বা থোড় এলে ধানগাছগুলো অন্তঃসত্ত্বা নারীর মতো দুর্বল হয়ে পড়ে যেন। বাড়তি ভার সামলাতে না পেরে একটু জোর হাওয়া বয়ে গেলে বা ধানের ছড়ার ওপর চড়ুই বা বাবুই পাখির চেয়ে কিঞ্চিৎ বড় আকৃতির পাখি বসলেও শুয়ে পড়ে। সেই ধানগাছের উত্থান ঘটে না আর। তার ওপর পাখিরা এসে হামলে পড়ে খুঁটে খুঁটে ধান খেতে আরম্ভ করে। কোনো কোনো পাখি, বিশেষ করে টিয়া, কবুতর আর ঘুঘুর পেটে আস্ত একটি ছড়াই এঁটে যায়।
এই একটিমাত্র ক্ষেতের ফসল ভালো হয় বলে তার ওপর এ জমির ফসল দিয়েই তাদের বছরের ভাতের জোগান হয়ে যায় বলে তার বাবা রহম আলি এখানেই শ্রম দিতে বলে বেশি। বাড়ির লাগোয়া সাতান্ন শতাংশের জমিটাতে ধইঞ্চা ছাড়া তেমন কোনো ফসল ভালো হয় না বলে গফুর মৃধা অনেকদিন ধরেই বলছে তার কাছে বেচে দিতে। কিন্তু রহম আলি গফুর মৃধার কথায় তেমন একটা গা করে না তা বুঝতে পারে সবুর।
পাশের শফিউদ্দিনের ক্ষেতে এক ঝাঁক জালালি কবুতর উড়ে এসে বসে। কম করে হলেও পঞ্চাশ থেকে ষাটটি হবে। এলাকায় কারো জালালি কবুতর নেই। তা ছাড়া জালালি কবুতর কেউ পোষে বলেও শোনা যায় না। অথচ ধান পাকার সময় হলে কোথা থেকে ওরা উড়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অনুমান করে বলাও শক্ত। বছর কয়েক আগে তার বাবা মারা যাওয়াতে দু ভাই বোন সম্পদের মালিক হয়ে গেছে অল্প বয়সেই। সম্প্রতি তার বোন রহিমা বিধবা হয়ে ফিরে এসেছে। শোনা যায় স্বামীর কোনো ভাই বোন না থাকাতে শরীকরা যাতে পুরোটা সম্পদ হাতিয়ে নিতে পারে সে উদ্দেশ্যেই নানা রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছে তাকে।
কবুতরগুলো খুব দ্রুত খুঁটে খুঁটে ধান খাচ্ছিল দেখে ভাল লাগছিল না সবুরের। একবার বর্ষার দিনে জমির আইল কেটে পানি ছাড়া নিয়ে বেশ ঝগড়া হয়ে গিয়েছিল দুজনের মাঝে। সে সময় তাকে শুয়োরের বাচ্চা বলে গাল দিয়েছিল বলে কথাবার্তা বন্ধ করে দিয়েছে সে। আর সে সূত্র ধরেই রহিমার সঙ্গে সহজ হতে পারেনি কখনো। শফিউদ্দিনের ক্ষেতের সব ধান পাখিদের পেটে চলে গেলে সবুরের খুশি হবার কথা থাকলেও সে খুশি হতে পারে না। অন্যের ক্ষতি দেখবার মতো নিচু মানসিকতার পরিচয় দিতে পারে না বলেই হয়তো হাতের দীর্ঘ লাঠিটা বাগিয়ে ধরে হুসহাস শব্দে তাড়িয়ে দেয় কবুতরের ঝাঁক। বাতাসে বিচিত্র ধরনের পতপত শব্দে তারা উড়ে যেতে থাকে দূরে কোথাও।
ঠিক তখনই পেছন থেকে কুয়াশা স্নিগ্ধ নারী কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, তুই না দেখলে তো সব ধান কইতরের পেটেই যাইত!
সবুর ঘাড় ঘুরিয়ে একবার দেখে রহিমাকে। মাথায় ঘোমটা টানা, পুরো দেহে শাড়ি জড়ানো। কেমন মুরুব্বী মুরুব্বী ভাব ফুটে উঠেছে। কাছাকাছি হতেই রিনিঝিনি বেজে উঠে রহিমা বলল, আইতে দিরং অইয়া গেল! শফি বাজারে গেছে সুতলির লাইগা। বলতে বলতে সে হাতের কালো রঙের ছোট আকৃতির ফোনটা দু আঙুলের ডগায় ধরে ঘুরাতে থাকে।
গ্রামের অনেকের হাতেই আজকাল ফোন দেখা যায়। নানা রঙের, নানা আকৃতির। কিন্তু সবুরের কেন যেন মোটেও আগ্রহ বা কৌতূহল হয় না যন্ত্রটির প্রতি। এমন কি প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করে না কখনো।
অল্প কিছুক্ষণের ভেতরই রহিমার হাতের ফোন বেজে ওঠে কয়েকবার। ফোনটা কানে লাগিয়ে নিচু স্বরে কথা বলে সে। কার সঙ্গে তার কী কথা হয় কিছুই বুঝতে পারে না সবুর। ক্ষেতের ওপর একঝাঁক চড়ুই ওড়াউড়ি করতে থাকলে দড়ি টানাটানি করে টিনের ঘণ্টা বাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সবুর। এরই মাঝে শফিউদ্দিনের ক্ষেতটা চারপাশে একবার ঘুরে এসে পাশে দাঁড়িয়ে রহিমা বলল, তুই কতক্ষণে আইলি?
রহিমার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না তার। তবু সংক্ষেপে জানায়, সুরুজ উডনের সময়।
-এত বিয়ান বিয়ান পইখ-পাখরা আইয়ে?
-আইয়ে না আবার!
বলে, সে ফিরে তাকায় রহিমার দিকে। আগের চেয়ে তাকে দেখতে ভালোই লাগছে অনেকটা। বিয়ের সময় তার শরীর ছিল ছিপছিপে হালকা-পাতলা। কিন্তু এখন বেশ খানিকটা ভার-ভারতি। আগের মতো বুকের দিকটাও প্রায় সমান নয়। তা ছাড়া তার বুকের স্ফীতিই যেন সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে অনেকটা।
এমন সময় আরো একঝাঁক টিয়া টিটি করে এসে নেমে পড়েছে তাদের ক্ষেতে। নিচু স্বরে নিজেদের মধ্যে দুর্বোধ্য ভাষায় কথা বলতে বলতে দ্রুত ধান খুঁটে খেতে থাকে। আর তা দেখেই হয়তো রহিমা হাতের লাঠিটা উঁচিয়ে ধরে ছুটে যায় নিজেদের ক্ষেতের দিকে। সে সময় বিপরীত দিকের বাতাসের ছোঁয়ায় তার ঘোমটা লুটিয়ে পড়ে পিঠের ওপর। ঢিলে হয়ে খুলে যায় চুলের বাঁধন। বুকের স্ফীতি কাঁপে ছলাত ছলাত।
সবুরের চোখে লোভ না মুগ্ধতা তা নিয়ে হয়তো সে নিজেই মাথা ঘামায় না। ছুটন্ত নারী দেহের নানা প্রান্তে বিচিত্র কম্পন তাকে যেন রুদ্ধ বাক করে দেয়। ওদিকে রহিমার তাড়া খাওয়া টিয়ার ঝাঁক উড়ে আসে তার নিজের ক্ষেতে সেদিকে চোখ পড়ে না তার।
নিজের ক্ষেতের আপদ দূর করে ঘাড় ফেরায় রহিমা। হয়তো সবুরের অস্বাভাবিক দৃষ্টি তার চোখে পড়ে। আর তাই হয়তো আঁচল টেনেটুনে শরীর ঢেকে বলে, তর ক্ষেতের টিয়া দেখ!
প্রকৃতিস্থ হয়ে হাতের লাঠি নাচিয়ে দড়ি ধরে টানাটানি করে সবুর। টিয়ার ঝাঁক উড়ে অন্য কোথাও গিয়ে বসে।
অবস্থা দেখে রহিমা মুখে হাত চাপা দিয়ে হাসে। কিন্তু সে হাসির কারণ অনুধাবন করতে না পেরে সবুর বলে, হাসনের মতন কী করলাম?
-তর চোখ দুইডা কেমন ব্যাডা ব্যাডা লাগতাছিল!
বলে, ফের ফিক ফিক করে হাসে রহিমা। তারপরই হঠাৎ খানিকটা গম্ভীর হয়ে বলে, বিয়া করবি কবে?
বিয়ের কথা শুনে অস্বস্তি বোধ করলেও রহিমার কথায় কী বলবে বুঝে উঠতে পারে না সবুর। এমন কি এ প্রসঙ্গে কিছু জিজ্ঞেস করতেও ইচ্ছে হয় না তার। কিছুক্ষণ আগে দৃশ্যমান রহিমার ছুটন্ত দেহের ছলকানি যেন তখনও মোহগ্রস্ত করে রেখেছে তাকে।
সবুরের নীরবতা নিয়ে মাথা ঘামায় না রহিমা। বলে, শফিউদ্দিনরে বিয়া করামু। মাইয়া দেখতাছি। তুই কইলে তর লাইগাও দেখমু।
হঠাৎ সবুরের কী হয়, মুখ ফসকে বলে ফেলে, দেখতে হইবো না। মনে মনে ঠিক কইরা রাখছি।
রহিমার আগ্রহ বেড়ে যায় যেন। দু পা সামনে এগিয়ে এসে বলে, কারে? কার মাইয়া? দেখতে কেরুম?
-দেখতে তর মতন।
কিন্তু তার মতো দেখতে এমন মেয়েটা কে? মনে মনে অনুসন্ধান করলেও সে ধরতে পারে না। অন্তত তাদের সিদ্ধেশ্বরীতে এমন কোনো মেয়ে নেই এমনটা ভেবেচিন্তে সে নিশ্চিত হয়েই বলে, কোন গ্যারাম?
-তর জামাইর দ্যাশে।
-কথা অইছে?
-হ।
-তর লাইগা রাজি অইব? কী নাম?
রহিমাকে জবাবটা না দিতেই হয়তো সে ক্ষেতের দড়ি ধরে কিছুক্ষণ টানাটানি করে। পাহারা দিতে অন্যান্য ক্ষেতের লোকজনের এগিয়ে আসা দেখতে দেখতে বলে, আইচ্ছা, মাইয়ার বয়েস যদি আমার থাইক্যা দুই এক বছর বেশি অয়, বিয়া দিবো তো?
-বয়সে কী আইবো যাইবো? কত বেডি নিজের থাইক্যা কম বয়সের পোলাগো কাছে বিয়া বয় না!
-তাও মিছা না। রজব আলির মাইয়া তসলিমা নিজের পোলার বয়সের এক ব্যাডার কথা কইছে বইলা হুনছি।
-বিয়ার বয়স কিছু না। ব্যাডাগো ক্ষ্যামতাডাই আসল।
বলেই, কেমন করে হেসে ওঠে রহিমা। তার হাসির মাঝে খানিকটা লজ্জাও মিশে আছে বলে মনে হয় সবুরের। তবে কথাটা বেশ পছন্দ হয় তার। ক্ষ্যামতা। পুরুষের ক্ষ্যমতা হইল আসল। এ সামান্য কথা কটির মাঝেই যেন লুকিয়ে আছে একজন পুরুষের যাবতীয়।
এমনিতে রহিমা মানুষ হিসেবে মন্দ নয়। কপাল দোষে অল্প বয়সে বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে এসেছে। তবে, তার মায়ের খুব পছন্দ রহিমাকে। সেদিন কোনো এক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তার মা বলে উঠেছিল, শফির বইন রহিমা মাইয়াডাও খারাপ না। সংসারী। মাইয়া রাজি অইলে তরে বিয়া করাইতাম।
তখন ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পারেনি সবুর। মাকে সরাসরি মানা করে দিলেও এখন বেশ বুঝতে পারছে যে, মনেমনে ঠিক করে রাখা মেয়েটি হুবহু রহিমার মতো। কিছুক্ষণ আগে ঘোমটা সরে গিয়ে মাথার চুলগুলো যখন পিঠের ওপর ছড়িয়ে পড়েছিল, তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, তার মনের মানুষটি আসলে রহিমাই। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যে, কখন আর কবেই বা তার মনের ভেতর ঠাঁই করে নিয়েছিল মেয়েটা, সে দিনক্ষণের হদিস তার জানা নেই।
(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার একটি গল্প পড়ে ঘুমুতে গেলাম। লিখকের জন্য শুভ কামনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন।
ঘুম যেন ভালো হয়, সেই শুভকামনা রইলো।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রকৃতির সন্তানদের মাঝে স্বাভাবিক টান, স্বাভাবিক মায়া, বিশাল আকর্ষণ; ভালো লেগেছে লিখার ধরণ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদ্গাজী।
প্রকৃতির কাছেই মূলত মানুষের মুক্তির অপার সম্ভাবনা নিহিত। সেখানে মানুষ তার আত্মাকে আবিষ্কার করতে পারে। মেকি কিছু তাকে বিভ্রান্ত করতে পারে না।
ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। সুন্দর গল্প। ভাল লাগল।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: গল্প বেশ ভাল। তবে সঠিক জায়গাতে শেষ হয়নি বলে মনে হচ্ছে।
সমাপ্তিটা নিয়ে আরেকটু ভাবতে পারেন,
শুভকামনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তবে সঠিক জায়গাতে শেষ হয়নি বলে মনে হচ্ছে।সমাপ্তিটা নিয়ে আরেকটু ভাবতে পারেন

-মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। তবে আপনার প্রস্তাবটা নিয়ে ভাভার অবকাশ যদিও আছে, তবু আমি বলবো এমন জায়গায় সমাপ্তিটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক আছে। আপনার পাঠে হয়তো খানিকটা তাড়াহুড়ো ছিল।

ভালো থাকুন সব সময়।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গ্রামবাংলার চিরাচরিত রূপই গল্পের মাঝে পেলাম।।
শুভেচ্ছা রইলো।।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।

ভালো থাকুন সব সময়।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ একটি গল্প। ভালোলাগা রইলো।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী।
ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

রানা আমান বলেছেন: ভাল লাগল।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ রানা আমান।
ভালো থাকুন সব সময়।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

ফাহমিদা বারী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় লেখক, আমার মন্তব্য আপনার পছন্দ না হলে আমার কিছু করার নেই। আমি আমার বক্তব্য জানিয়েছি মাত্র। সমালোচনা লেখকের লেখাকে সমৃদ্ধ করে, অহেতুক প্রশংসা দিয়ে ভাসিয়ে দিলে লেখক দিনশেষে লাভবান হয় না।
আমি প্রকৃত অর্থেই যা মনে করেছি তাই বলেছি। আপনি ব্যাখ্যা করতে বললে নিশ্চয়ই করবো। :)
পাঠকের ভাবনাকে ছোট করে দেখার কিন্তু সুযোগ নেই! ভাল থাকবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার মন্তব্য আপনার পছন্দ না হলে আমার কিছু করার নেই।

আমি কিন্তু একবারও বলিনি যে, আপনার মন্তব্য আমার অপছন্দ। এমন কি এটাও বলিনি আপনার মতামত মেনে নিয়েছি। আবার আপনার ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েছি বলেই প্রতিউত্তর করেছি। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই ব্লগে লিখে আরাম পাই। তাই আমি অন্তত ব্যাখ্যা চেয়ে আপনাকে অপমান করার অধিকার রাখি না। পাঠক তার মতামত জানাবেন বলেই একজন লেখক তার লেখা পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন। ্নইলে তার লেখার পাঠক কেবল তিনি নিজেই হতে হবে।
আশা করি আপনার অভিযোগ থেকে আমি এখন মুক্ত।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: গল্পের প্লট পরিক্রমাও একটা গল্প বৈকি! আপনি হয়ত আপনার মতো করেই ভেবেছেন, তবে আমি শুধুমাত্র আমার ভাবনার কথা বলেছি। সেটা আপনি শুনে দেখতে পারেন। না মানলে ক্ষতি অথবা লাভ কিছুই নেই
সবুরের রহিমার প্রতি গোপন অনুরাগটি বিভিন্ন আচরণ, ছোট ছোট ঘটনা দিয়ে আপনি বুঝিয়েছেন। সেটা ভালো লেগেছে। তবে সে যে রহিমাকে পছন্দ করে সেটা খোলাখুলি বলে দেওয়াটা সঠিক মনে হয়নি। বরং ব্যাপারটা এমন হতে পারতো, 'রহিমা সবুরের কেমন মেয়ে পছন্দ সেটা নিয়ে কথা বলছে, আর সবুর দেখছে বাতাসের হাওয়ায় খুলে যাওয়া রহিমার একরাশ চু্ল, আলগোছে এলিয়ে পড়া খোপার বাঁধন, অথবা কোনো বিশেষ ভঙ্গিমা কিংবা বাঁক,এসব তাকে হয়ত তাড়া করে ফিরেছে কিন্তু সে এসবের মাঝে অন্য কিছুর অস্তিত্ত বুঝতে পারেনি।
গল্পের শেষ এমন হলে ভালো হতো বলে মনে করি, সবুর আর রহিমা দুজন দুজনের পথে রওয়ানা দেয়। যেতে যেতে হঠাৎ সবুরের মনে হয়, সে মনে মনে যাকে সে আর অন্য কেউ নয়, সে.। সবুর পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে রহিমা ক্ষেতের আল ধরে হেঁটে চলেছে অলস পায়ে। সবুর নিজের অজান্তেই সেই পথে পা বাড়ায়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: লেখক তার নিজের মতো করে ভাববেন এবং পাঠক তার নিজের মতো। পাঠকের চাহিদা যদি লেখক পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলেন, তাহলে পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ হলেও হয়তো তৃপ্তিটা থাকে না। পাঠকের ভাবনার অবকাশ সেখানে থাকে না।
গল্পে সবুরের পছন্দটা খোলাখুলি প্রকাশ করা হয়েছে পাঠকের কাছে, রহিমার কাছে নয়। পাঠক তো জানবেই, তা স্পষ্ট করে বা অস্পষ্ট করে বললেও। পাঠকের জন্যেই তো গল্পটা বলা হচ্ছিল। একজন লেখক কেমন করে গল্পটা শেষ করবেন সেটা তার মতিগতি কখনো বা লেখার গতির ওপরও নির্ভর করে। পাঠক যদি জেনে গেলেন যে গল্পের সমাপ্তিটা এমন হতে যাচ্ছে, তাহলে সে গল্পের প্রতি পাঠকের আগ্রহ থাকার কথা নয়। যেহেতু সমাপ্তিটা আপনার মনোমতো হয়নি সে কারণেই কিন্তু এ প্রসঙ্গের সূত্রপাত।

গল্পের শেষ এমন হলে ভালো হতো বলে মনে করি, সবুর আর রহিমা দুজন দুজনের পথে রওয়ানা দেয়। যেতে যেতে হঠাৎ সবুরের মনে হয়, সে মনে মনে যাকে সে আর অন্য কেউ নয়, সে.। সবুর পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে রহিমা ক্ষেতের আল ধরে হেঁটে চলেছে অলস পায়ে। সবুর নিজের অজান্তেই সেই পথে পা বাড়ায়।
-আর এভাবে গল্পের সমাপ্তি হলে হয়তো পাঠকের তৃপ্তি হতো। কিন্তু লেখকের তৃপ্তি আসতো না। গল্পটা নিয়ে তার মনে একটা খুঁতখুঁতে ভাব থেকেই যেতো। একজন লেখক হয়তো তৃপ্ত হন, কিন্তু একজন পাঠক তৃপ্ত হন না বলেই তার পাঠের আগ্রহ বজায় থাকে। তা ছাড়া এভাবে আমার অন্য গল্পের সমাপ্তি আছে। তাই এটার সমাপ্তি এমন হলে গতানুগতিকতাকেই অনুসরণ করা হয়ে গেল।
শেষ লেখাটা আগের মতো হবে না- তার চেয়েও ভিন্নতর কিছু হবে। এমন একটা প্রত্যাশা সব লেখকেরই থাকে বলে আমার বিশ্বাস।

ভালো থাকুন, আর ভালো ভালো বিতর্কে নিজের ভাবনাকে শাণিত করতে থাকুন -এই শুভ কামনা।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মনে মনে আপনার গল্প পড়তে মন চাইছিল। অনেকদিন হল আপ্নে গল্প দেন না । আপনার গল্প পড়তে পছন্দ করি । পছন্দ করার
অন্যতম কারণ হচ্ছে গল্পে ধীরে সুস্থে আগানোর ব্যাপারটা। ভাল লাগে। অনেকের লেখায় এটা মিস করি।
গল্প ভাল লেগেছে। উপরের কথাগুলোও পড়লাম। একেক জন একেরকম ভাবে বলে লেখা নানারকম হয়। লেখককে তার নিজের লেখাটাই লেখা উচিত। শুভেচ্ছা ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়ার জন্য একবার ধন্যবাদ আর আমার গল্প পড়তে মন চাইলো বলে আবার ধন্যবাদ।
ভালো থাকেন আর আমার গল্প পড়েন। :D

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

সুমন কর বলেছেন: গল্প আর বর্ণনা ভালো লাগল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।
ভালো লাগলে ভালো বলেন আর খারাপ লাগলে খারাপ।
এই ব্যাপারটা আমার পছন্দ।

ভালো থাকেন সব সময়- এই কামনা।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভালো লেগেছে মনের মানুষ পেয়ে যাওয়াতে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌসা রুহী।

ভালো থাকুন সব সময়।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,



বিস্তৃত এক প্রেক্ষাপটে গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ ফুঁটিয়ে তুলেছেন মাঠ-ফসল- ধানখেকো পাখি- কাক তাড়ুয়াদের কথা বলে ।
সবুরের মনের ভেতর কবে যে ঠাঁই করে নিয়েছিল মেয়েটা, সে দিনক্ষণের হদিস সবুরের জানা নেই , গল্পের শেষে এমন দৃশ্যপটে এই সুরটাই বাজিয়ে গেলেন -
বাড়ীর পাশে আরশীনগর
হেথা এক পড়শী বসত করে
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে ........।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আহমেদ জী এস

ব্যাপারগুলো এমনই হয় আর এ কারণেই আমরা ভুল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পাতি।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন বাস্তবিক জীবনমূখি গল্প অনেক ভাললাগে।

মাটির সোদা গন্ধ মাখা লেখনি পড়ে মনে হয় যেন খোলা মাঠে মাটির বুক বুক রেখে শুয়ে আছি :)

+++

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মাহবুব আলী বলেছেন: একটু ডেসক্রিপটিভ। তবে লেখকের নিজস্ব শৈলী তো থাকবেই। সাধারণ বিষয় অসাধারণ হয়েছে। ভালো লাগল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। অনেকদিন পর দেখা পেলাম।
লেখকের নিজস্ব শৈলীর কথা কেউ ভাবতে চাই না। নিজের পছন্দ মতো লেখা লেখককে দিয়ে লেখাতে চাই। :P

ভালো থাকুন সব সময়। ব্লগে আরেকটু ঘনঘন আসেন।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩২

মাহবুব আলী বলেছেন: আসার চেষ্টা করব।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.