নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কার’ আন্দোলন প্রসঙ্গে দুটি কথা

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯


কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পত্র-পত্রিকা, ব্লগ আর ফেসবুকে নানামুখি কথাবার্তা জেনে আসছি। কিন্তু কোনটা যে সঠিক আর কোনটা যে ভুল তা নিয়ে ক্রমেই সন্দিহান হয়ে উঠছি। আমি বলি, কোটা সংস্কারের নাম তো কোটা বাতিল নয়। যেখানে ১০% তা হয়তো বাড়ানো কমানো যেতে পারে বা ৬%কে আরো বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। সংস্কার বলতে তো এমনটাই হয় নাকি?

সংস্কার আর বাতিল যে এক কথা নয় তা বুঝতে হয়তো সবাইকে এম-এ পাশ পণ্ডিত হতে হবে না। তারপরও এ আন্দোলনকে দমানোর ক্ষেত্রে সরকার এবং তাদের পেটোয়া বাহিনী কেন অতটা উঠে পড়ে লেগেছে তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে কিছুতেই আসে না।

আন্দোলনকারীদের ঢালাওভাবে রাজাকার সম্বোধনটার পেছনেও কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। কী অপরাধ তাদের? কোটা সংস্কার করতে বলছে তারা, এই তো? কিন্তু কেন সংস্কারের কথা আসছে সরকার মন দিয়ে সেটা শুনতে পারতেন। তারপরও যখন সংসদে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা প্রথা তুলে দিতে বলেছিলেন সেটা নিয়েও কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি এ নিয়ে আলাপের জন্য বা সরকারী পদক্ষেপের একটি হালকা সম্ভাবনা দেখা গেলেও তা যে কোন বছর চূড়ান্ত হবে সেটা নিয়েই সংশয় দেখা যাচ্ছে। যাই হোক, বড়দের ভাবনা জটিল বলেই সেদিকে আমি যাবো না।

কেন সরকারী পেটোয়া বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে অমানবিক অত্যাচার করে যাচ্ছে বা পুলিশ কেন সেসব দেখেও দেখছে না বা ছাত্রলীগের কী অধিকার আছে হাতুড়ি দিয়ে আন্দোলনকারীদের পা ভেঙে দেবার মতো নির্মমতার? আপাতত এ ক’টি জিজ্ঞাসাই।

আরও খানিকটা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে কাদের এত গাত্রদাহ? আমার পূর্বপুরুষ জমিদার ছিলেন, তাই বলে কি আমার জমিদারীও এখন বলবত থাকবে? আর তা বলবত থাকতে হলে তো আমাকেও সে পর্যায়ের থাকতে হবে নাকি? কোটা সংস্কার আন্দোলনকে যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলন বলতে চাচ্ছেন, তাতে তাদের কী এমন স্বার্থ লুকিয়ে আছে যা আমরা কেউ জানি না? এখনও অনেক মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালান। কোনো এক মুক্তিযোদ্ধা মুচির কাজ করেন। কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করেও জীবন নির্বাহ করেন। তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কারা লাভের গুড় ঘরে তুললেন? এমন তো না যে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধা ৬% কোটার সুবিধা পেয়ে গেছেন? তাহলে কেন এ আন্দোলনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা-বিরোধী আন্দোলন বলে নস্যাৎ করতে চাচ্ছেন? তারা কারা, যারা কোটা প্রথার অন্যান্য দিকগুলোর দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না?

যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলন বলে প্রচার চালাচ্ছেন, তারা কি জানেন না আমাদের দেশে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে_ যারা সরকারী সব চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় সুবিধাগুলো চেটে-পুটে ভোগ করে চলেছে? আমি তো মনে করি কোটা বিরোধী আন্দোলনে ভয় পাচ্ছে সেই সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, যারা ‘৭১এ ছিল রাজাকার। মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় মিছিলে অস্ত্র হাতে শরীক হয়ে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম তুলে ফেলেছে। ঠিক এমনই একটা দৃশ্যে কোনো একটি বাংলা সিনেমায় প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদী অভিনয় করেছিলেন।

এমন কি একাত্তরে যাদের যুদ্ধের বয়স ছিল না, তেমন মানুষও মুক্তিযোদ্ধা সনদ কিনে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিচ্ছে। আমার ধারণা তেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের সন্তানদেরই গাত্রদাহের কারণ এই কোটা সংস্কার আন্দোলন। এ নিয়ে পাঠক আমার সঙ্গে একমত হবেন কিনা আমার জানা নেই। তবে এ আন্দোলনে সবারই শরীক হওয়া জরুরি। কারণ ‘সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ বয়স-সীমা ৩৫বছর’ প্রজ্ঞাপনটি অনেক আগেই বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিশ্চয় ৬০/৬৫বৎসর বয়সে সরকারী চাকরীর আশায় আবেদন করবেন না?

একটি কথা আরও শক্ত করে বলতে চাই যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে এবং আরও বেগবান করতে সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি। এ আন্দোলনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলন বলে যারা প্রচার চালাচ্ছেন, তারা যেন এর সপক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।

স্বাধীনতা পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারও এনএসএফ কে দিয়ে ছাত্র আন্দোলন থামানোর অপচেষ্টা করেছিল বহুবার। তেমনই ছাত্রলীগের ভূমিকাও তাদের মতোই মনে হচ্ছে। কাজেই এ আন্দোলনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলন বলে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিতে এ আন্দোলনকে সমাজের সর্বস্তরে সহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

আমি চাই কেবল প্রতিবন্ধী কোটা রেখে বাকি সব কোটা তুলে দেওয়া হোক। এমন কি মুক্তিযোদ্ধা কোটাও।

এই মুক্তিযোদ্ধা কোটার ফলে বেশিরভাগ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের বংশধর সরকারী সব সুবিধা পাচ্ছে। যারা এসব সুবিধার যোগ্য ছিল না মোটেও। যে সুবিধা পেয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পশ্চাদ্দেশে লাথি মারতেও তাদের লজ্জা করে না। আর অন্য দিকে নিদারুণভাবে অবহেলিত হচ্ছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদের কাঙাল ছিলেন না। সুতরাং কোটা-সংস্কার আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে যা যা করতে হয় তাই করুন। এগিয়ে আসুন সরকারী দেশপ্রেমিক আর মুক্তিযোদ্ধা পক্ষের সৎ মানুষেরা।

এই ‘সরকারী চাকরি ক্ষেত্রে কোটা-সংস্কার আন্দোলন’কে ছড়িয়ে দিন সারাদেশে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোটা নিয়ে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী একটা কমিটি করেছিলেন, উহারা সেটার কতটুকু করেছে, সেটা নিয়ে কোন আলোচনা কোথায়ও দেখলাম না।

ছাত্রলীগ নিশ্চয় শেখ হাসিনার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে; তিনি এদের বিলুপ্ত করে দিলে, সমস্যা অনেক কমে যেতো।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী।

কোনো সরকারই নিজ-দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নাই। এই সরকার পারবেন কিনা তেমঅন আশাও দেখি না।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শতভাগ সহমত

স্বার্থবাদীরাই নানা মিথ্যা আর আরোপিত সব কথার কচকচানিতে বিরোধীতায় লিপ্ত!
এবং এতটাই আগ্রাসী- ছাত্রলীগে প্রকাশ অত্যাচার জুলুম নির্যাতনেও তাদের বিবেক জাগে না!
প্রচলিত আইন এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি হাতুড়ি মারা ছাত্রলীগের প্রতিরোধে দেশের আপামর জনতা যদি হাতুড়ি হাতেই জেগে ওঠৈ- দেশটার কি হবে?

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।

প্রচলিত আইন এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি হাতুড়ি মারা ছাত্রলীগের প্রতিরোধে দেশের আপামর জনতা যদি হাতুড়ি হাতেই জেগে ওঠৈ- দেশটার কি হবে?

দেশের কী আর হবে? দেশ কি আর দেশ আছে?

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


কোটা পদ্ধতির ইতিহাস অনেক পূরনো। ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি চালু হয়। যা পরবর্তী সময় অনেক পরিবর্তন ও সংস্কার হয়েছে। মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, উপজাতি (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী), শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং নারীদের ক্ষমতায়নের কথা চিন্তা করে কোটা প্রথার যাত্রা শুরু হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৫৮ ধরনের কোটা প্রথা প্রচলিত রয়েছে।

সংবিধানের ১৯(১) ধারায় উল্লেখ আছে, "রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে"। কোটা পদ্ধতি সংবিধানের এ ধারার সাথে সাংঘর্ষিক হলেও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থেকেই এটা করা হয়। সাধারন মানুষেরও তাতে সমর্থন আছে। তবে কোটা পদ্ধতিটি অবশ্যই যৌক্তিক হওয়া বাঞ্চনীয়। অতি কোটার কুঠারাঘাতে সরকার ও প্রশাসন যাতে মেধাহীন হয়ে না পড়ে সে বিষয়েও সরব দৃষ্টি রাখা জরুরী।

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটা সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%, জেলা কোটা১০%, নারী কোটা ১০%, উপজাতি কোটা ৫% এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১%। সাধারন শিক্ষার্থীদের জন্য বাকী ৪৪%।

হিসাব করে দেখা গেছে দেশের প্রায় ৩% মানুষ এসব কোটা প্রথার সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী। বাকী ৯৭% মানুষ কোটা প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নারী কোটা, জেলা কোটা, উপজাতি কোটা এবং প্রতিবন্ধী কোটা নিয়ে তেমন আপত্তি না থাকলেও মূলত ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই যত আপত্তি। সমাজের কোন বিশেষ অংশকে সুবিধা দিতে গিয়ে বৃহত্তর অংশকে বঞ্চিত করা কোন অবস্থাতে কাম্য নয়।

৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কী যুক্তিসঙ্গত?

এ প্রশ্নের সমাধানের আগে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া জরুরী।

(১) বাংলাদেশে কী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংরক্ষিত আছে?
(২) তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কী কোন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে?
(৩) সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সবাই কী কোটা প্রথার সুবিধা পাচ্ছে?
(৪) বাংলাদেশে কত পার্সেন্ট মানুষ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য?

একাত্তরে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা না হওয়ায় গত দুই দশকে হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হয়েছে। রাজনৈতিক যোগসাজশে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ইউনিটগুলোর দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির ফলে এমনটি হয়েছে বলে বিজ্ঞজনের মত। বিষয়টিতে সরকার টিকমত গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশ এখন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধায় সয়লাভ। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই কারসাজিতে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশে যদি একজনও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা থাকে তাহলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তা অমর্যাদাকর ও অপমানের।

কিছুদিন আগে পত্রিকার একটি সংবাদ দেখে আৎকে উঠলাম। বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে ফেরিওয়ালা! স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নয়, বাস্তবে। তিনি নাকি গ্রামে গ্রামে, হাটে বাজারে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংবাদটি কতটুকু সত্য জানি না। যদি সত্য হয় তাহলে পুরো জাতি উনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

তিনি কী কোন কোটার মধ্যে পড়েন না?

১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।

চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।

২০১১ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্যদের জন্য বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করে। যা ৩২তম বিসিএস নামে পরিচিত। ২০১৪ সালে সরকার দেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান ও সুবিধা দেন এটা আমরাও চাই। তাদের ছেলেমেয়েদর জন্য কোটা চাই? তাও মেনে নিলাম।

ছুটির দিনের শুভেচ্ছা.......
জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে ফেরিওয়ালা! স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নয়, বাস্তবে। তিনি নাকি গ্রামে গ্রামে, হাটে বাজারে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংবাদটি কতটুকু সত্য জানি না। যদি সত্য হয় তাহলে পুরো জাতি উনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী।
আপনার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য ভালো লাগলো।

বীর শ্রেষ্ঠ সন্তান শধু নয়, আরো শত শত এমন সংবাদ পড়েছি। মাননীয় সরকার সবই জানেন, তারপরও তিনি তেমন কোন পদক্ষেপ নেন নাই। মাঝখান দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ল।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

রসায়ন বলেছেন: ভালো পোস্ট । তবে কোটাধারীরা যুক্তি মানতে নারাজ ।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ রসায়ন।
যুক্তি মানা তো দূরের কথা, এ আন্দোলনকে জামাত-শিবিরের আন্দোলন বা তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা বলে প্রচার চালাতেও দ্বিধা করছে না সরকার। এ আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।

বলা যায় না এ পোস্টের কারণে হয়তো অদূরভবিষ্যতে আমিও রাজাকার বলে চিহ্নিত হবো অথবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কলম পেষণকারী হিসেবে।

ভালো থাকুন সব সময়।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যা চাইবে তাই হবে এই দেশে।
এর পর যে পাকনামি করবে তাকে হাতিড়ি টিটমেন্ট দেওয়া হবে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।

সব সরকারই এমন, নিজের ইচ্ছাটাই চাপিয়ে দেয় তার জনগণের ওপর। এই সরকারও ব্যতিক্রম নন। তবে বঙ্গবন্ধু চোরের খনির সন্ধান জানলেও কোনো প্রতিকার করেন নাই। আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানও তাঁর হাতুড়ী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেন নাই।

ভালো থাকুন সব সময়।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

শিখণ্ডী বলেছেন: আমার মতে কোটা থাকা উচিত নিম্ন স্তরে। যাঁরা দেশ চালাবে সেখানে কোনও ছাড় চাইনা--ওঁরা হবেন সেরা।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শিখণ্ডী।
সরকার যাদের সেরা মনে করেন তাদের বেশির ভাগই চোর। কিন্তু সরকার জেনেও চোরদের জন্য কোনো শাস্তির ব্যবস্থা করেন না- চেয়ার বদল করেন শুধু। কাজেই আমাদের তেমন একটা উন্নতির আশা নেই। সব ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা অদক্ষ লোকদেরকেই উৎসাহিত করবে।

ভালো ত্রহাকুন সব সময়।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৩

নিশি মানব বলেছেন: ছাত্রদল খালেদা জিয়া ও বিএনপির বারটা বাজায়ে ছাড়ছে। এখন আসছে ছাত্রলীগ। এদেরকে বারটা বাজাইতে দেন। এমনিতেই দেশের বারটা বাজায়ে ছাড়ছে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ নিশি মানব।

দেশের ১২টা না ১৪টা বেজে গেছে এরই মধ্যে। সরকারী আমলা আর ছাত্রলীগ সব খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে।

ভালো থাকুন সব সময়।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩০

ইফতি সৌরভ বলেছেন: আমি কিছু বলতে চাই |-) কিন্তু এ মুর্হূতে 'কমিটি' কাজ করছে এবং মাত্র ৯০ দিন অতিরিক্ত সময় পেয়েছে। এখন কিছু বললে তা যদি আবার আইনের বিরূদ্ধে হয়, তাই চুপ থেকে ভরসা রাখলাম '০' তে!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতি সৌরভ।
আশায় থাকি। সেটাই ভালো।

ততদিন ভালো থাকুন।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হলো ভূঞা মুক্তিযুদ্ধা সারিটফিকেট ধারী। আর যারা এ অযৌক্তিক আইন করেছে তারাও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে করেছে।দেশের প্রকৃত মেধাবীদের বঞ্চিত করে দেশটাকে পঙ্গু করার জন্য ।যৌক্তিক আন্দোলন করার অধিকারও এদেশের মানুষের নেই। যে দেশ দিল্লীর লাড্ডু খেয়ে চলে তার সার্বভৌমত্ব কতটুকু ??

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

এ কথা বললে হয়তো আপনাকেও রাজাকার হতে হবে।
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা।

অবশ্য বঙ্গবন্ধু থাকলে কী ভাবতেন তিনিই জানেন।

ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.