নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাইয়ের নেই আগুনের ভয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী

জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা সিনামা আর একটু রূপা গাংগুলী

২২ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩

চলচ্চিত্র- পুনশ্চ।
পরিচালক- সৌভিক মিত্র।

(মোবাইল ফোনে ছবি আপ করতার্লাম্না।)

'পুনশ্চ' সিনামাটা দেখলাম। অসাধারণ বলার আগে আরও কয়েকবার দেখতে হবে। বুড়া নায়ক নায়িকা। ভাবতেছিলাম জুয়ান কালের দাঁতের ধার নিয়া কামড়া কামড়ি। কিন্তু না। শুরুতে রূপা গাঙ্গুলিরে দেইখ্যা বেশ ধাক্কা খাইসি। নারী হবি তো এমন নির্মেদ নিষ্কাম সুরতের হ। তাইলে আর তরে দেইখ্যা কু বাসনা মনে জাগবে না। কী দারুণ সৌন্দর্য!

পাঠক, আমারে দোষ দিয়েন না কইলাম। পুরুষ হইয়া জন্ম নিসি, নারী দেইখ্যা উঁ উঁ হবে না, তা অস্বীকার করলে আমার অপৌরুষকে স্বীকার কইরা নেওয়া হয়। অবশ্য অনেক কাল অগে আমার এক স্ত্রী (সাবেক) আমার পৌরুষের খতনা করাইয়া ফেলছিল প্রায়। খালি মুখ ফুইট্যা বলতে হয়তো পারে নাই- ব্যাটায় খোঁজা। অবশ্য ঘরের কথা পরে বেশি না জানাই আমার জন্য নিরাপদ। তো যেইটা বলছিলাম, নারী দেইখ্যা উঁ উঁ করা আসল পুরুষের স্বভাব। তেতুল হুজুর অবশ্য বাছ-বিচার না কইরাই নারীদের গুলাইয়া খাইয়া ফেলছেন এবং অনুসারীদেরও গিলাইতেসেন। আমার আবার এদিক দিয়া টনটনানির ক্ষেত্রে বাছ-বিচার আছে। খুব বেশি নারী আমারে মুগ্ধ করতে পারে নাই। (শুধু নারী না, আরো বেশি কিছু অর্থে। বেশি আরো কী কী জিগাইলে উত্তর দিতে পারবো না। তাই এই প্রসংগে কিছু জিগাইয়েন না কেউ।)
আমি মুগ্ধ রূপা গাংগুলীতে। 'পদ্মানদীর মাঝি'তে তারে মোটেও ভালো লাগে নাই। যদিও তখন যৌবনে ছবিটা দেখসি। ইট্টু সুড়সুড়িও আছিল। কিন্তু আমি তো আমিই। নিরস মানুষ। রূপাতে অনেক খাদ দেখতে পাইয়া সেইটা সেখানেই ফালাইয়া আসছি। কিন্তু এই রূপাটা মন হইসে নিখাদ। আর সৌমিত্র-রূপা জুটি মনে হইসে পারফেক্ট।

পুনশ্চ সিনামার শুরুটা ভালো লাগসে। যেমন পথের পাঁচালী সিনামাটার শুরু। দুইটার মাঝে কেমন একটা মিল খুইজা পাইতেসিলাম। সেইটা পাঠক নাও বুঝতে পারেন। আমিই বলি, তা হইল একটা স্নিগ্ধ আবহ। ইংরাজি হইলে শব্দটা চমত্কার হইত মনে হয়। কিন্তু আপচুচ, সেই শব্দটা আমার জানার বাইরে।

কাহিনী তেমন আহামরি না। কিন্তু অভিনয় বুঝলে সিনামাটা দারুণ! অন্তত আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যদ্দুর কুলাইতে পারসি আর কি! বন্ধু যে কী আর সম্পর্কটা যে কী রাম সেইটা সবে বুঝে না। যারা ধান্দাবাজ তারা তো আলাদা। তারা বুঝাবুঝিতে নাই। কাজেই তারা বাদ। যারা বোঝে আর যারা বুঝতে চেষ্টা করে। অন্তত বন্ধুত্বের মর্যাদা পুরা দিতে না পারলেও সম্মানটা রাখতে চেষ্টা করে, তারা সেই সুবাসটা টের পাবে।

আজ আর কিছু বলি না। ফোন গুতাইয়া লিখতে বড্ড বিরক্ত লাগে। তবে শেষ কথা এই যে, অনেক বছর পর আরেকটা সিনামা দেখলাম, যেইটা কয়েকবার দেখার মতন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে দেখলাম। সিনেমা প্রায় দেখা হয় না; ভালো কিছু দেখেছেন বলছেন, নিশ্চয়ই ভালোই হবে!

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার ভাল্লাগাটা কোনোভাবেই লুকাইতে পারি না। তাই শেয়ার করা। ইউটিউবে আছে। ইচ্ছা করলেই দেখতে পারবেন।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: মুভি রিভিউ দিলে দয়া করে সাথে মুভির লিংক দিয়ে দিবেন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দেওয়া উচিত ছিল হয়তো। কিন্তু কপি রাইটের কথা ভেবে তার ওপর সামুর দুর্দিন দেখে লিংক দেইনাই।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

নিমো বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: মুভি রিভিউ দিলে দয়া করে সাথে মুভির লিংক দিয়ে দিবেন

view this link

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনি লিংক দিয়ে ভালো কর্সেন।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিটা দেহার আগ্রহ জাগলো না। অন্য ধান্দায় বিজি আচি। আপনে আছেন কেমুন?

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তা জানি। এইসব আপনার কাছে পানসা ল্গগবে। ট্যুরে বিজি আছেন এখনও? অভাবে আছি আর ভালাও আছি। তয় দীর্ঘকাল আগে যেই বৃত্তান্ত জানতে চাইছিলেন, সেইসব ভাবনায় কুরকুর কর্তাছে। লংশট না ক্লোজশট-এ লিখবু সেইটা ঠিক হয় নাই। তবে হবে। জানতে পারবেন।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি লিংক দিয়ে ভালো কর্সেন।
ধন্যবাদ। এটায় কপিরাইটের কোন সমস্যা হবে না। কারণ জি ফাইভের সাথে রবি ও এয়ারটেল চুক্তি করেছে। এছাড়াও ব্রডব্যান্ডে ভিপিএন ছাড়া (বাংলাদেশের আইপি) দেখা যাবে। বিনা পয়সায়ই দেখা যাবে মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য অ্যাড দেখতে হবে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

শায়মা বলেছেন: হঠাৎই পুনশ্চ দেখেছিলাম।

অতি দুঃখের মধ্যেও হাসি পেয়েছিলো যখন লেখক এত কিছু প্লান প্রোগ্রাম করেও নিরপরাধ থেকেও নায়িকার বাড়ি এসে মারা গেলেন। এই দুঃখে হাসি পাবার কারণ বেচারা নায়িকা! বা অতি দুখে মানুষ যেমন পাথর হয় তেমনি আমাকে পাহাড়ে ধাক্কা খাওয়ানো! মনে হচ্ছিলো আমি ঐ নায়িকার জায়গায় আছি! অতি শোকে পাথর না হয়ে বোকার মত হাসা ছাড়া আর উপায় নেই।


আর সবচেয়ে সুন্দর আর কষ্টটাটাই বুঝি আছে সিনেমার শেষে!

আমাদের সকল সাধারন ভাবনা চিন্তা ধ্যান ধারনা বদলে দিয়ে সবচেয়ে কষ্ট পাবার মানুষটিরই সত্য উপলদ্ধ করবার ব্যাপারটা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হুম, বেশ ভালো বলেছেন। শোকে পাথর। কিংকর্তব্যবিমু। নায়িকাকে কাঁদতে দেখা যায়নাই। অথবা লেখকের স্ত্রী এসে তেমন জটিল কোনো জিজ্ঞাসায় নায়িকাকে বিব্রত করেন নাই। নোংরা কোনো ইংগিত করেন নাই। তেমনটা করলেই তাকে স্বাভাবিক নারী বা স্ত্রী বলে মনে করতে পারতাম হয়তো

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.