নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংগ্রামী দেশপ্রেমিক

জুলকার নাইন

আইনজীবী

জুলকার নাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাস নিয়ে কিছু কথা।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

কুষ্টিয়া জেলা , বাংলাদেশের সর্বস্তরে কুষ্টিয়ার সুনাম সবার কাছে সু-পরিচিত।কুষ্টিয়া জেলার নাম কুষ্টিয়া হওয়ার পেছনে রয়েছে নানাবিধ কারণ । তার মধ্যে প্রধান কারণ হিসাবে ধারণা করা হয় অতীতে এখানে এক প্রজাতীর পাট যেটা কুষ্টা নামে সবার কাছে সু পরিচিত সেটি খুব বেশী আবাদ হত । চাষীদের জীবিকার প্রধান হাতিয়ার ছিল কুষ্টা চাষ করা। তারই নাম অনুসারে কুষ্টিয়ার নাম কুষ্টিয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা শুধুমাত্র কুষ্টা চাষকরার জন্য বিখ্যাত নয় বরং কুষ্টিয়া জেলা নানা গুনীজনের জন্য বিখ্যাত হয়েছে লাভ করেছে খ্যাতী , পৌছেদিয়েছে দেশকে বিশ্বের দরবারে । যেমন কাঙ্গাল হরিনাতথ মজুমদার , সৈয়দ রাশিদা রাব্বী , জোবেদা খানম, লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।মীর মোশাররফ হোসেন। ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন, কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল, বিদ্রহী জমিদার প্যারী সুন্দরী, জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহমদ , জ্যোতি প্রকাশ দত্ত ,বিচারপতি স্যার মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায়, জাতীয় বিপ্লবী শ্রমিক নেতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রওশন আলী (কমরেড শেখ রওশন) নামে পরিচিত প্রমূখ গুনীলোকের কৃতকর্মের জন্যই কুষ্টিয়া আজ বিখ্যাত। কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনের কথা সবার কাছে অতী বেশী পরীচিত। তিনি ব্রিটিশবিরোধি জমিদারী প্রথার বিরূদ্ধে লেখনীর মাধ্যমে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ জমীদারী এস্টেট এর বিরূদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন । বিচারপতি স্যার মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় ১৮৭৪ সালে ২৮ শে অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত জগতি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন ।বিচারপতি স্যার মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় কুষ্টিয়ার তৎকালীন অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম হলেও নিজ যোগ্যতায় আইনবিষয়ে প্রথম স্থান দখল করে র্স্বণপদক লাভ করে। ১৯৩৫ সালে ভারত সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে । পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপ্রতির আসন গ্রহন করেন । জ্যোতি প্রকাশ দত্ত ১৯৩৯ সালে ১লা সেপ্টেমবর বরতমান খোকসা থানার আমলাবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন । শৈশবে মুদিখানায় আর খবরের কাগজ বিক্রয় করে দিনাতিপাত করলেও পরবর্তীতে নিজ যোগ্যতায় স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি থেকে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাকোত্তর ডিক্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি থেকেই পিএইচডি ডিক্রি অর্জন করেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে তার অবদান অসামান্য। জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহমদ ১৯৪২ সালের ৮ ই এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার ঝাউদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন , ১৯৭০ সালে সালের দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা কালীন সময়ে তিনি ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন এবং তার প্রস্তাবের ভিত্তিতেই সবুজ জমীনের মধ্যখানে রক্তের লাল বিত্তের চিন্হ সংবলিত জাতীয় পতাকা তৈরি হয় অথ্যাৎ বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার কুষ্টিয়া জেলার জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহমদ। যদিও চিত্রাংকন করেছিলেন তৎকালীন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী শিবনারায়ন দাস। জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহমদ মুক্তিযুদ্ধের সময় সক্রিয় যোদ্ধা হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। জোবেদা খানম ১৯২০ সালে ৫ ই মার্চ কুষ্টিয়া শহরের আজহারবাগে জন্মগ্রহন করেন । তিনি নারী শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত হিসেবে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন ।শহরের মধ্যবিত্ত মানুষের জীবণ কাহিনী তার লেখার মূল উপজিব্য বিষয় ছিল। বিদ্রহী জমিদার প্যারী সুন্দরী ১৮০০ সালে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার মির পুর থানাধীন সদর পুরে জন্ম গ্রহন করেন । তিনি ছিলেন জমিদার রামানন্দ সিংহের কনিষ্ঠ কন্যা । তিনি আজীবন দেশ, দেশের মানুষ ও তাদের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনিই সর্ব প্রথম গ্রামের সাধারণ মানুষের ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অত্যাচারী নীরকরের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন । জমিদারের মেয়ে হওয়ার কারণে তিনি নিজেও একজন জমীদার ছিলেন । তিনিই সাহসীকতার সহীত দৃঢ়কন্ঠে ঘোষনা দিয়েছিলেন যে , যে ব্যক্তি যে কোন কৌশলেই হোক না কেন, আমার নিকট কেনির মাথা এনে দিবে আমি তাহার জন্য আমার এই একহাজার তোরা বাধিয়া রাখিাম। পরবর্তী তে ১৮৬০ সালে যদিও নীল বিদ্রেহ প্রকট আকার ধারণ করে তথাপিও নীল বিরেধি আন্দোলনের সূচনা বিদ্রহী জমিদার প্যারী সুন্দরী মাধ্যমেই হয়। এসকল ইতিহাস আমাদেরজ্ঞানের উৎস হলেও আমরা এসকল মহামূল্যবান ইতিহাসের ইতিহাস হতে বসেছি । দুদিন পর যখন ইতিহাসে আমাদের জিজ্ঞাসা করবে আমাদের থেকে শিক্ষা নাওনি কেন তখন আমাদের কোন জবাব থাকবে না সময় থাকতে আমারদের সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত নয় কি? সর্বপরি গুরু লালন ফকিরের একটি কথা বলে শেষ করব সেটা হল “ সময় গেলে সাধন হবেনা , অসময়ে করলে সাধন সাধন মেলে না” ...........................

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

রাকু হাসান বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম ..ইতিহামধর্মী তথ্যবহুল পোস্ট

২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

জুন বলেছেন: ইতিহাস ভালোবাসি বলে পড়তে চেয়েছি , তবে প্যারা করে না লেখায় ফোন থেকে পড়তে কষ্ট হলো । ভালোলাগলো জেনে এত এত গুনীজন কুষ্টিয়ার মাটিতে জন্মেছিলেন ।
+

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
জানলাম।
কুষ্টিয়া আমি গিয়েছি।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুলকার নাইন বলেছেন: আপনি কষ্টকরে পড়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুলকার নাইন বলেছেন: আপনি কষ্টকরে পড়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.