নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

"স্মৃতির আয়নায় মহান নেতা জিয়া"


আমার প্রিয় ব্যাক্তিত্ব, আমার আদর্শ-আমার মহানায়ক, স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর সাথে আমার কিছু প্রত্যক্ষ স্মৃতি, কিছু স্মরণীয় মূহুর্ত আছে...... যেমন, আমি যখন ঢাবি'র ছাত্র তখন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সেই বহুল আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন-যা আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়েই জিয়ার অনূসারী হয়েগিয়েছিলাম, বংগ ভবনে কৃতি ছাত্রদের সম্বর্ধনা, হিজবুল বাহার জাহাজে ইন্দোনেশিয়া-সিংগাপুর ভ্রমন...... তাঁর সফর সংগী হয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যাওয়া...... জিয়া সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য সব সময়ই আমার বন্ধুরা আমাকে অনূরোধ করেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য আমার, তাঁকে নিয়ে যখনই কিছু লেখার চেষ্টা করি-আমি বাষ্পরুদ্ধ হয়ে যাই!

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিশেষভাবে মূল্যায়ন করতেন। তার আমলে নিয়মিতভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান অর্জনকারীদের বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ করা হত।পরবর্তীতে সর্বস্তরের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরও সম্বর্ধনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজে উপস্থিত থেকে মেধাবীদেরকে সম্বর্ধনা দিতেন এবং ছাত্রদের মধ্যে দেশপ্রেম বোধকে জাগ্রত করার চেষ্টা করতেন। মেধাবীদের সাথে নিয়ে হিজবুল বাহার নামক জাহাজে করে বারকয়েক সমুদ্রভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেই সমুদ্রভ্রমণে সঙ্গী করা হত দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের, যাদের সংস্পর্শে এসে নবীন মেধাবীরা অনেক কিছু জানতে পারবে। হিজবুল বাহারে তিনি নিজেও নবীন মেধাবীদের সঙ্গ নিজের ভাবনাগুলো শেয়ার করতেন। আমাদের ভাবনাগুলোও গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং অনূধাবন করতেন। আজ আমি আমার মহা নায়কের সাথে হিজবুল বাহার ভ্রমনের স্মৃতিচারণ করবো।

আমাদের প্রিয় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এসএসসি থেকে স্নাকোত্তর পর্যন্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে তিনবার ভ্রমনে গিয়েছিলেন। একবার গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম থেকে সুন্দরবন। দুইবার চট্টগ্রাম-সিংগাপুর-ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় আমারও সেই সফরে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমাদের সাথে তিনি ৫ দিন-রাত এক সঙ্গে থেকে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সম্পদ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন এ সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। হিজবুল বাহারে যাত্রী বহন সংখ্যা ছিল দুই হাজার। এই যাত্রীদের মধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদও ছিলেন।

১৭ জানুয়ারি, ১৯৮১ইং দুপুর ১২ টার সময় হিজবুল বাহার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সুন্দর বনের সঙ্গম স্থলের অদুরে হিরণ পয়েন্ট হয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি সিংগাপুর-ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে।
সন্ধ্যা ৭ টা। জাহাজের ৩য় তলায় সবাই জমায়েত হয়েছেন। সেখানেই রাষ্ট্রপতি জিয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষাৎ দেবেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নিরাপত্তা রক্ষীদের কর্ডন ভেদ করে রাষ্ট্রপতি এগিয়ে আসছেন। সমবেত সবাই দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে সম্ভাষণ জানালেন। তিনি হাতের ইশারায় আমাদের বসতে বললেন। আমরা বসা মাত্রই বিএনপি মহাসচিব ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মাইকটি রাষ্ট্রপতির সামনে এগিয়ে দিলেন। চোখে তাঁর রহস্যঘেড়া বিখ্যাত কালো চশমায় দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের দলটাকে কয়েকমূহুর্ত অবলোকন করে রাষ্ট্রপতি তাঁর স্বভাবসূলভ সৌজন্য প্রকাশ করে বক্তৃতা শুরু করলেন।

ভরাট কন্ঠে বললেন-“শোন ছেলেমেয়েরা, আমি তোমাদের বাংলাদেশের ডাঙা থেকে উত্তাল বে অব বেঙ্গলের মধ্যখানে নিয়ে এসেছি। সমুদ্র হল অন্তহীন পানির বিস্তার ও উদ্দাম বাতাসের লীলাক্ষেত্র। সমুদ্রে এলে মানুষের হৃদয় সমুদ্রেরমত বিশাল, উদার ও উদ্দাম সাহসী হয়ে উঠতে বাধ্য। আমি কি ঠিক বলিনি?”
আমাদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে সরাসরি প্রশ্ন করলেন রাষ্ট্রপতি জিয়া। কেউ কোনো কথা বললো না। ক্ষণকাল বিরতি দিয়ে তিনি নিজেই তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন- “আমি ঠিকই বলেছি। তোমার আমার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সংকীর্ণতা ও কুপমন্ডুকতাকে পরিহার করে সমুদ্রের মত উদার ও ঝড়ো হাওয়ার মতো সাহসী হতে হবে।“

“আমি তোমাদের কাছে এখন যে কথা বলবো তা আমাদের জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক তাগিদ। এই তাগিদকে স্মরণীয় করার জন্য আমি একটা পরিবেশ খুঁজছিলাম। আমরা এখন বঙ্গপসাগরের মাঝে। এই উপসাগরেই রয়েছে দশ কোটি মানুষের উদরপূর্তির প্রয়োজনেরও অতিরিক্ত আহার্য ও মূল ভূমি ভেঙ্গে আসা বিপুল পলিমাটির বিশাল দ্বীপদেশ যা আগামী দু-তিন প্রজন্মান্তরে মধ্যেই ভেসে উঠবে। যা বাংলাদেশের মানচিত্রে নতুন বিন্দু সংযোজনের তাগিদ দেবে। মনে রেখো, আমাদের বর্তমান দারিদ্র, ক্ষুধা ও অসহায়তা আমাদের উদ্যমহীনতারই আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তিমাত্র। এর জন্য অন্যের চেয়ে আমরাই দায়ী বেশী।“

“আমাদের ভিটা ভাঙা পলি যেখানেই জমুক তা তালপট্টি কিংবা নিঝুম দ্বীপ এই মাটি আমাদের। দশ কোটি মানুষ সাহসী হলে আমাদের মাটি ও সমুদ্র-তরঙ্গে কোন ষড়যন্তকারী নিশান উড়িয়ে পাড়ি জমাতে জাহাজ ভাসাবে না।“

“মনে রেখো, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত চলছে। আমরা দশ কোটি মানুষ একতাবদ্ধ নই বলে শত্রুরা, পররাজ্য লোলুপ রাক্ষসেরা আমাদের পর্বপুরুষদের এই স্বাধীন জলাধিকারে আনাগোনা শুরু করেছে। তোমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেমেয়ে, দেশের দরিদ্র পিতামাতার সর্বশেষ আশার প্রদীপ, তোমাদের ওপর ভরসা করে আছে সারাদেশ, সারা জাতি। তোমরাই হলে বাংলাদেশের হাজার বছরের পরাধীনতার কলঙ্ক মোচনকারী প্রত্যাশার আনন্দ-নিঃশ্বাস। ইতিহাসের ধারায় দৃষ্টিপাত করলেও তোমরা জানবে এই সমুদ্র ছিল আমাদের আদিমতম পর্বপুরুষদের নৌশক্তির স্বাধীন বিচরণভূমি। এমন কি বৌদ্ধযুগে পাল রাজাদের অদম্য রণপোতগুলো এই জলাধিকারে কাউকেই অনধিকার প্রবেশ করতে দেননি। এদেশেই জন্ম নিয়েছেন ঈশা খা, তীতুমীর,হাজী শরিয়ত উল্ল্যাদেরমত সাহসী সন্তান। সন্দেহ নেই আমাদের সেসব পর্বপুরুষগণ ছিলেন যথার্থই শৌর্যবীর্যের অধিকারী। তখন আমাদের সেসব পর্বপুরুষ ছিলেন সংখ্যায় নগণ্য। কিন্তু আমরা সারাটা উপমহাদেশ আর আসমুদ্র হিমাচল শাসন করেছি। বলো, করিনি কি?”

রাষ্ট্রপতি তাঁর সামনে উপবিষ্ট শত শত ছাত্রদের মধ্যে হঠাতই আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বললেন-“তুমি দাড়াও......”-আমি ভয়ে থতমত, কিংকর্তব্য বিমূঢ়, পাথরেরমত শক্ত হয়ে গেলাম! কোনোভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে দাড়ালাম।

তিনি আবার বললেন-“কি আমাদের পূর্বপূরুষ কি আসমুদ্র হিমাচল শাসন করেননি?”

আমি মুহুর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে উত্তর দিলাম-“জ্বী স্যার করেছেন”।
আমার উত্তরের সাথে সাথে তিনি অনেকটা হুংকার দিয়ে বললেন-“আলবৎ করেছি।“

......এবার মহান নেতা সমবেতদের উপর এক দৃষ্টিতে কিযেনো দেখলেন......তিনি সমবেত সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন-“তোমাদের মধ্যে কেউ কি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলে?” প্রায় দুই হাজার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে মোট ৬ জন হাত তুললেন-যাদের মধ্যে আমিও একজন। আমাদের সংগী ছাত্রদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র ছিলেন-এনামুল করিম শহীদ,গোলাম হোসেন, মিয়া শহিদ হোসাইন, গোলাম সরওয়ার মিলন,কাজী সিরাজ-এনারা সবাই ছাত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা কর্মী এবং আমার থেকে সবাই অনেক সিনিয়র।
মহানায়ক আমাকে কাছে ডাকলেন এবং সকলের উদ্দেশ্য বললেন-“তোমরা কি জানো হুমায়ুন কবির একজন মেধাবী ছাত্রই নয় একজন কিশোর মুক্তি যোদ্ধাও?”
(মেধাবী ছাত্রদের সম্বর্ধনায় আমিও আমন্ত্রিত হয়ে কয়েকবছর পূর্বে যখন বংগভবনে গিয়েছিলাম সেই সময় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা দেয়া হয়েছিল-সেখানে আমার কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বিশয়টা উল্লেখ করা হয়েছিল। আমি অবাক হলাম-আমারমত একজন সাধারন মানুষের ছোট্ট বায়োডাটাও কত মনোযোগ দিয়ে তিনি পড়েছেন এবং আজও মনে রেখেছেন!)

রাষ্ট্রপতি আমাকে ইংগীত করে উল্লাস প্রকাশ করে হাসলেন। তারপর নরম কন্ঠে জিজ্ঞেশ করলেন- “তুমি কি আমাদের সেই পূর্বপূরুষ বীরদের কারো নাম জানো?”

আমি বললাম- “জানি। রাজা মহীপাল, বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ......”
রাষ্ট্রপতি আমার জবাবে চমৎকৃত হয়ে বললেন, “ইউ আর রাইট মাই সান। তুমি কি ইতিহাসের ছাত্র?”

“নো, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমি পাব্লিক এডমিনেস্ট্রেশনের ছাত্র।“
রাষ্ট্রপতি জিয়া খুশীতে স্বভাব সূলভ দুইহাত উঁচুকরে হাততালি দিলেন। সাথে সাথে পুরো জাহাজ জুড়ে সবাই হাততালি দিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করলেন এবং রাষ্ট্রপতির ইংগীতে আমি বসে পরলাম।

ভাষণ আবার শুরু হলো...... “প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বজাতির মধ্যে মেধারও অভাব নেই। এই ছেলেটির কথাই ধরা যাক না। সে লোক প্রশাসনের ছাত্র কিন্তু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য বিশয়েও সচেতন। এরাই জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে। ‘শোন ছেলেমেয়েরা, আমি তোমাদের সান্নিধ্য পেয়ে খুবই খুশি। ৫ দিন ও ৫ রাত আমরা এই দরিয়ায় নোনা বাতাসে দম ফেলতে এসেছি। এখন এই জাহাজটিই হল বাংলাদেশ। আর আমি হলাম তোমাদের ক্যাপ্টেন।“

“আমি চাই আমাদের দেশের প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটা চাক্ষুস পরিচয় ও বন্ধুত্বের আদান-প্রদান হোক। চেনা-জানা থাকলে পারস্পরিক আত্মীয়তা রচিত হয়। হয় না কি?”
সবাই আমরা এক সাথে জবাব দিলাম-“ইয়েস মিস্টার প্রেসিডেন্ট।“

আমাদের সাথে শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ততকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী এস এ বারী এটি, পরিকল্পনা মন্ত্রী ড, ফসিউদ্দিন মাহতাব, ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম চৌধূরীর নাম মনে আছে। সাংবাদিকদের মধ্যে আখতার উল আলম, আহমেদ হুমায়ুন, শাহাদাত চৌধূরী, হেদায়েত হোসাইন মোর্শেদ এর কথা মনে আছে......শিল্পীদের মধ্যে আপেল মাহমুদ, আঞ্জুমান আরা বেগম, শবনম মুস্তারী অন্যতম। আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখনকার তরুন শিক্ষক ডক্টর খন্দকার মোশারফ হোসেন। তবে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সামনে আমরা, আমাদের সংগী সকলেই ছেলেমানুষ এবং ‘একান্ত বাধ্যগত ছাত্র’- অন্যদিকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের সেই রূপকথার রাজা।

রাষ্ট্রপতি মাইকটা সরিয়ে সামনে উপবিষ্ট বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ তরুণীদের আশা ও রোমাঞ্চে শিহরিত মুখগুলো এক নজর দেখে নিলেন। তিনি স্ট্যান্ড থেকে মাইকের মাউথপিসটা হাতে নিয়ে বললেন- “আমি তোমাদের কাছে আরও একটি গুরুত্বপর্ণ তথ্য ব্যক্ত করতে চাই-মনোযোগ দিয়ে শোনো”-

“আমাদের রয়েছে দুনিয়ার সব থেকে উর্বরা জমি। একটু পরিশ্রমেই ফসলে ঘর ভরে যেতে পারে। কিন্তু অর্থের অভাবে কোনো বৈজ্ঞানিক চাষের উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না। কে আমাদের বিনা স্বার্থে এই উদ্যোগে সহায়তা করবে? কেউ করবে না। অথচ যে সম্পদের বিনিময়ে অর্থের প্রাচুর্য ঘটে তা আমাদের দেশের ভেতরেই জমা আছে। আমরা তা তুলতে পারছিনা।”

“কি সেই সম্পদ যা আমরা তুলতে পারছি না? তোমরা কি জানো সেই লুক্কায়িত সাতরাজার ধন কি? কোথায় সেগুলো আছে? সেই সাতরাজার ধন হল তেল, গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর আরও অনেক কিছু।“
আমাদের সফর সংগী সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী রিটা রহমান (মশিউর রহমান যাদু মিয়ার কন্যা) প্রশ্ন করলো- ‘গ্যাস তো আমরা খানিকটা পেয়েছি। আমাদের কি তেল মানে পেট্রোল ডিজেলও আছে?

“হ্যাঁ। গ্যাস আমরা খানিকটা তুলেছি বটে। তবে এর বিপুল ভান্ডারে এখনও হাত দিইনি। গ্রামে গ্রামে জ্বালানি সরবরাহের জন্য তিতাস, বাখরাবাদের মত অসংখ্য গ্যাস কেন্দ্র দরকার। দরকার দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের গ্যাসের পরের স্তর থেকে তেল নিংড়ে বের করে আনা।“-বেশ দৃঢ়তা ব্যাঞ্জক এক কন্ঠস্বর বেরিয়ে এল রাষ্ট্রপতি জিয়ার আবেগহীন উচ্চারণ ভঙ্গী থেকে।

এবার অন্য একটি মেয়ে উঠে দাঁড়ালো। রাষ্ট্রপতি জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি কিছু বলবে?”
-‘জ্বী স্যার, আমাদের কি তবে জ্বালানী তেলও আছে?’

রাষ্ট্রপতি তাঁর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তাকে হাতের ইঙ্গিতে বসতে বললেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর পাশে সিকিউরিটি অফিসার কর্নেল মাহাফুজের হাতে ধরা একটা ছোট্ট ব্যাগের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। কর্নেল মাহফুজ দ্রুত ব্যাগ খুলে একটা বোতল বের করে তাঁর হাতে দিলেন। রাষ্ট্রপতি বোতলটা হাতে নিয়ে একটা ঝাঁকুনি দিলেন। বোতলে ফেনায়িত হলুদ তরল পদার্থ ঝলকাচ্ছে।

“এই বোতলেই আছে বাংলাদেশের পেটের ভেতরে লুক্কায়িত সাতরাজার ধন, পেট্রোল। বিশুদ্ধ পেট্রোল। যা পুড়িয়ে বিমান, গাড়ি, অসংখ্য ভারী যানবাহন, সমুদ্রে জাহাজ অনায়াসে চলাচল করতে পারবে। শক্তির ধাত্রী এই তেল। আল্লাহ্র সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। তোমরা ভালো করে দেখে রেখো ছেলেমেয়েরা, আমার হাতের মুঠোয় রয়েছে সেই মহার্ঘ নিয়ামত যা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে, মাটির উদরে তোমাদের জন্যে অপেক্ষা করছে। যা ক্রমাগত বাঁধার ফলে আমি শত চেষ্টা সত্ত্বেও তোমাদের ভাগ্য ফেরাতে তুলে আনতে পারছিনা।“

এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে রাষ্ট্রপতি একটু ক্লান্ত কিম্বা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন। তিনি আবেগ বিহ্বলের মত একটু পাশ ফিরে ডাঃ চৌধুরীর দিকে তাকালেন। তারপর মুহর্তের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে শ্রোতাদের স্তব্ধতা উপলব্ধি করে শান্ত কন্ঠে বললেন, “আমার জীবৎকালে সম্ভবপর না হলে তোমরা, আমার ছেলেমেয়েরা, এই তেল তুলবে।“

তাঁর কথায় একটা গভীর স্তব্ধতা নেমে এল। কারো মুখে কোনো কথা নেই। সাহস নেই কোনো সম্পুরক প্রশ্ন উত্থাপনের। স্তব্ধতার মধ্যে জাহাজের গায়ে ক্রমাগত আছড়েপড়া ঢেউয়ের ফোঁপানি শোনা যাচ্ছে.....

কবি আল মাহমুদ-এর নির্দেশে সাংস্কৃতিক দল জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান-“কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট, শিকল পুজার পাষাণবেদী” -দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করল।

ড্রাম তবলা ও অন্যান্য সঙ্গীত যন্ত্রের সম্মিলিত শব্দে জাহাজ তথা আমাদের অনুষ্ঠান কেন্দ্রের গুরুগম্ভীর ভাবটা মুহর্তের মধ্যে অন্তর্হিত হয়ে হঠাৎ উত্তেজনাপর্ণ হয়ে উঠলো। শ্রোতারা হাত তালি দিয়ে শিল্পীদের সাথে গলা মেলাতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রপতি নিজেও হাততালি দিচ্ছেন। এমনকি তাঁর দেহরক্ষী এবং উপস্থিত নাবিকগণও।

আমি রাষ্ট্রপতির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তিনি তালি বাজিয়ে সকলকে উৎসাহ দিচ্ছেন। কয়েকটি গান শুনে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। সেন্ট্রি সচকিত হয়ে তাঁর জন্য পথ তৈরী করলো। আমরা উঠে দাঁড়ালাম। স্বাভাবিক সৌজন্যসহ তিনি তাঁর কেবিনের দিকে হাঁটতে লাগলেন।

১৯ জানুয়ারি সকালে জাহাজের ক্যাপ্টেন রাষ্ট্রপতির সামনে একটি কেক নিয়ে আসেন এবং বলেন ‘স্যার আজ আপনার জন্মদিন। আমরা আপনার জন্মদিন পালন করবো’। তিনি মৌণ সম্মতি দিলেন এবং সকলের অনুরোধে কেক কেটে তাঁর ৪৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করলেন। এটাই তাঁর জীবনে প্রথম এবং শেষ জন্মবার্ষিকী পালন।

১৯৮১ থেকে ২০১৪ ইং দেখতে দেখতে ৩৩টি বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু আজো আমি ভুলতে পারিনি হিজবুল বাহারে রাষ্ট্রপতি জিয়া, আমার মহানায়কের দেয়া সেই আবেগময় বক্তৃতা। হয়ত কোনদিন ভুলতে পারব না।

হুমায়ুন কবির
ফেসবুক/ব্লগ আইডিঃ জুল ভার্ন

(আমার এই লেখার মূল উপজীব্য বিশয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ইতোপূর্বে ২০০১, ২০০৪, ২০০৮ সনে সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক বাংলা, সামহোয়্যারইন ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম। এখানে বক্তব্য কিছুটা সংক্ষিপ্ত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে)

সৌজন্যেঃ কান্ডারি অথর্ব, একজন ঘুণপোকা এবং আরো যাদের অনূরোধে এই পোস্ট দিয়েছি......

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

পংবাড়ী বলেছেন: জাতির স্বাধীনতায় জিয়ার বরাট অবদান।

স্বাধীনতার পর, সোনার বাংলায় লাথি মেরে চুরমার করেছে জিয়া; আপনি উনার সেই খারাপ সময়ের ক্যাডার; ধিক আপনাকে।

২| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

পংবাড়ী বলেছেন: টাইপো -----> বরাট অবদান।
হবে---------> বিরাট অবদান

৩| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

পংবাড়ী বলেছেন: "
১৯৮১ থেকে ২০১৪ ইং দেখতে দেখতে ৩৩টি বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু আজো আমি ভুলতে পারিনি হিজবুল বাহারে রাষ্ট্রপতি জিয়া, আমার মহানায়কের দেয়া সেই আবেগময় বক্তৃতা। হয়ত কোনদিন ভুলতে পারব না।
"


-উনি ইডিয়টদের কিনেছিলেন কুকুরের মত খাবার ছড়ায়ে।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

পংবাড়ী বলেছেন: গত বছরের খালেদা, জামাত-শিবিরের তান্ডবে জাতির ১১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে, ওখানে আপনার ভুমিকা কি? গাজীপুরের কিশোর মনিরকে যারা আগুনে জ্বালায়েছে, ওখানে আপনি ছিলেন?

৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

চন্দন বলেছেন: ব্লগের রাস্তা ভুলেই গেছিলাম, আপনার এইপোস্ট দেখে লগিন করলাম। মডুদের এক চোখানীতির কারনে পুরনো ব্লগাররা কেউ আসে না।

ব্লগে এখন পংবাড়ীর মতো ফালতু ব্লগারদের রাজত্ব।

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চন্দন।
এতদিন পর এসেই মডু বিশয়ে কিছু বলা উচিত হবেনা।

আপনি যাকে "ফালতু ব্লগার" বলেছেন-তার এমন কুতসিত মন্তব্যের উত্তর দেবারমত উতসাহ বা প্রবৃত্তি আমার হয়নি। পরিবার এবং জন্ম থেকেই যাদের moral turpitude আছে-তাদের কাছে সভ্যতা, সোউজন্যবোধ আশা করা উচিত নয়। োদের জন্য করুনা।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়েছে যে, আমরা একজন নেতা হারিয়েছি। আমাদের দেশের জন্য তার আরও কিছু দিন বেঁচে থাকা খুব জরুরী ছিল। তাহলে কিছু বেঈমান হয়ত আজ তাদের মুখগুলো আয়নায় দেখতে পেত।

শহীদ জিয়ার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

আপনাকে ধন্যবাদ সুপ্রিয় জুল ভার্ন খুব সুন্দর এই পোষ্টের জন্য।

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সামুতে এই পোস্ট দেবার উতসাহ দেবার জন্য অনেক বেশী কৃতিত্ব আপনার প্রাপ্য।

শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের “স্পার্টাকাস”! যিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম, মানুষের মুক্তির সংগ্রামের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন-যে পথের শেষ কথা
মানুষের মুক্তি-মানুষের জয়।

সাম্রাজ্যবাদীর নিয়োগদেয়া খুনী গুপ্তচরদের বুলেট জিয়ার প্রান কেড়ে নিয়েছে- তিনি দেখে যেতে পারেননি স্বভূমির মানুষের পূর্ণ সাফল্য। কিন্তু, তাঁর আদর্শের সৈনিকদের ঠিকই দেখিয়ে দিয়ে গেছেন মুক্তির আলপথ! আমরা জিয়ার সৈনিকেরা জিয়া প্রদর্শিত আলপথ ধরে পৌছে যাবো জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দুঃসময়ের কান্ডারী তুমি বাংলার রাখাল রাজা
কাস্তে কোদাল হস্তে তোমার যেমন খুশি সাজা?
জীবন ভরে প্রশিক্ষণ তোমার অস্ত্র হাতে নিয়ে
কোন অবসরে এমন শ্রমিক তুমি কোদাল হাতে দিয়ে।
দাম্ভিকতা তোমাকে মানায় মিস্টার জেনারেল
সেটা ছেড়ে তুমি রাস্তার মানুষ ,কেমনতর খেল।
সাহসী তুমি দেশপ্রেমী তুমি করেছিলে বিদ্রোহ
দরাজ কন্ঠে জানিয়ে দিয়েছো থাকবোনা অধীন কেহ।
আত্নসমর্পন করো নি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওনি দূর দেশে
এসব করা অযাচিতের দল কটক্ষে তোমায় বাক্যবানে ভাসে!!
আমরা যারা আমজনতা মুক্তিযোদ্ধা ভুলি না
আমাদের কাছে তোমরাই রাজা বীর মুক্তিসেনা।
বাকশালীরা বিলুপ হয়েছে গনতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে তোমরই হাত ধরে
তলাবিহীন ঝুড়িতে সোনার স্তূপ ভারা ভারা তোমারই যাদুর করে।
ছেড়া গেঞ্ছি ভাঙা স্যুটকেসে তুমি যে রাজার রাজা
সততার তুমি জ্বলন্ত প্রমান কষ্টি পাথরে যাচা।
হাতে ধরে ধরে বাংলার ঘরে বুঝিয়েছো স্বদেশী জনে
সামনের উঠুন পরে থাকা পালান কেমনে হতে পারে ব্যবহার সব্জি উৎপাদনে
তোমার সময়ে খাল কেটে কেটে করেছো পানির সুস্ঠু ব্যবস্থাপনা
তারই ফলে অভাবী এদেশে হয়েছে উন্নয়ন— জেগেছে সম্ভাবনা।
বাংলামায়েরে কাদিয়ে তুমি শহীদ হয়েছো লাল রক্তে
তোমার মরণে জনতার ঢল আম -জনতা- ভক্তে।
মরে গেছো তুমি তোমার আদর্শ মরে নাই
বাংলা মায়ের কোটি সন্তানে স্মরে তোমাকে তাই।
ক্রান্তিকালে পরেছে এদেশ পুরো জাতি আজি দিশেহারা যেন তাই
সমৃদ্ধ এদেশ হতে হলে জানি তোমারই মত যোগ্য নেতা চাই।

চাইনা সোনার মহর রাশি রাশি ভরি ভরি
তোমার মত যোগ্য নেতা চাই—তাই তোমারে স্মরি।


আমার রাজনৈতিক আদর্শ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে নিয়ে আমার লিখা কবিতা।

সুন্দর পোস্ট । তথ্য বহুল পোস্ট ভাল লেগেছে।দীর্ঘদিন পর আপনার পোস্ট পেয়ে দারুন ভাল লাগছে ।

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন! অপূর্ব সুন্দর!! চিত্রময় কবিতা,সেই সংগে অপূর্ব স্বর্গীয় ভাষা,আছে উদ্বেল আবেগ আর আশ্চর্য্য নিটোলতা। আছে ব্যতিক্রমী স্যুররিয়া লিজমের অভাবনীয় উপস্থিতি!!!

আমার সৌভাগ্য, আপনার এমন সুন্দর একটি কবিতা পড়ার সুযোগ পেয়েছি।

নিরন্তর শুভ কামনা।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

পাগলা ভাই বলেছেন: পংবাড়ী পোন্দের উপর এমন বাড়ি দিমু নিজের ১৪গোস্ঠীর নাম ভুইলা যাবি হারামখোরের বাচ্ছা। X( X((

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অমন মাইগ্যারুদা দ্বিপদীকে যেখানেই বাইরাবেন-সেই অংশটুকুই পবিত্র হবে, কাজেই বাইড়াইয়া অসভ্যদের পবিত্র করার দায়িত্ব নেয়ার দরকার নাই :)

৯| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

অন্তীম বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ, হাম্বলীগের জারজরা ল্যাদানো শুরু কইরা দিছে পোস্ট আসার সাথে সাথেই B-) B-)

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ অন্তীম।

ঘেউ ঘেউ করাইতো সারমেয়দের জন্মগত স্বভাব......

১০| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

এম. হাফিজ উল্লাহ বলেছেন: পংবাড়ী বলেছেন: স্বাধীনতার পর, সোনার বাংলায় লাথি মেরে চুরমার করেছে জিয়া; আপনি উনার সেই খারাপ সময়ের ক্যাডার; ধিক আপনাকে

আমি বলি যে, স্বাধীনতার পর সোনার বাংলায় লাথি মেরে চুরমার করেছে আওয়ামী লীগ; পংবাড়ী হউন আর পোঙ্গাবাড়ী হউন - ধিক আপনাকে।

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।

১১| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রমিত বলেছেন: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুসংবাদ ছিল একটি দুঃস্বপ্ন

--------------------------------------- ড. রমিত আজাদ
Click This Link

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার সুন্দর লেখাটা পড়েছি কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও মন্তব্য করতে পারলামনা।

১২| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বীরউত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান তার মায়ের মত দেশটাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসতেন। তার যুদ্ধে ক্লান্ত - শত বছরের অত্যাচার শোষনে ক্লিষ্ট দেশটার মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতেন। কিন্তু এই তাকেই কেন এভাবে আততায়ীদের হাতে শহীদ হতে হয়েছিল ? তার পেছনের ইন্ধন দাতা কারা ছিল ? যদিও আজো সেই ইতিহাস রহস্যের এক ধুম্র ইন্দ্রজালে ঢাকা পরে রয়েছে কিন্তু কিছু দিক পর্যবেক্ষণ থেকেই রহস্যের ঘন কালো মেঘ কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়ে ধরা দেয় হৃদয়ের এক চাপা আর্তনাদ হয়ে।

জিয়াউর রহমান তার মায়ের মত দেশটার আনাচে কানাচে কিভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিভাবে খবর নিয়েছেন গোয়ালা থেকে কৃষক, তাতি থেকে মুচি, আবাল - বৃদ্ধ - বণিতা সবার তা জানা যায় মার্কাস ফ্রান্ডার কাছ থেকে। মাসের ১৫ দিনই জিয়া ঢাকার বাইরে থাকতেন , খুব ভোরে নাস্তা খেয়ে বের হতেন , সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ফিরে আসতেন। হেলিকপ্টারে করে দেশের আনাচে কানাচে ছুটে যেতেন, কখনো জীপ গাড়ী, কখনো মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন মুক্ত মাতৃভূমির সবুজ জমিনে পরমানন্দে। আর এভাবেই ৭১'র মেজর জিয়া , ৭৬'র জেনারেল জিয়া , ৭৮'র প্রেসিডেন্ট জিয়া কোমর ভাঙা নড়বড়ে মেরুদন্ডের মাতৃভূমিকে সুস্থ সবল করেছেন । ১৯৮১ 'র ৩০ মে এই ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যুতে বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম শবযাত্রা হয়েছিলো। শুধু ঢাকার রাস্তায় ঢল নেমেছিলো ৩০ লাখ মানুষের। আজ আমি আফসোস করি এই বোলে যে আমার বয়স তখন ছিল মাত্র তিন বছর বয়স যখন পৃথিবী কি সেটা বোঝার বয়স হয়নি। কিন্তু আমি বড় হয়ে শুনেছি আমিও নাকি সেদিনের শবযাত্রায় আমার বাবার কোলে অংশগ্রহন করে খুব কেঁদেছিলাম।

জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। একাত্তরের মার্চের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে সবচেয়ে কঠিন সময় যারা পার করেছে, চরম মানসিক বিপর্যয়ে ভুগেছে, যন্ত্রণাকাতর থেকেছে, তারা নিশ্চিতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ইউনিটগুলোর বাঙালি সেনা সদস্যরা, সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকেরা। এ এক দুঃসহ দুঃসময়, এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। তারা প্রত্যক্ষ করছে স্বাধীনতার চেতনায় উত্তাল গোটা দেশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারে ফেটে পড়ছে সব মানুষ। টান টান উত্তেজনা। চরম পরিস্থিতি। শুধু মিছিল আর মিছিল চতুর্দিকে। সরকারের হুকুম কেউ মানছে না। কারফিউ ব্রেক হচ্ছে অহরহ যত্রতত্র। সেনাছাউনির পাঞ্জাব ইউনিটগুলো এরই মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপরে। বাঙালি সেনা অফিসারেরা, আন্ডার কমান্ড বাঙালি সৈনিকেরা কী করবে? কী করবে পঁয়ষট্টির পাক-ভারত যুদ্ধের অসীম সাহসিকতার খ্যাতিসমৃদ্ধ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি ইউনিটগুলো, যারা বেশ কয়েকটা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করছিল? তারা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে তাদের ভাইয়ের মৃত্যু, মায়ের অপমান, বোনের অসম্মান—শুধু নিশ্চুপ হয়ে হাত-পা গুটিয়ে থাকবে? যখন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে তাদের প্রিয় মাতৃভূমির রাজপথ আর প্রান্তর? অত্যন্ত কড়া নজরদারি তাদের ওপরে। ভীষণ ঝুঁকিতে তাদের সবার জীবন। তাদের মানসিক প্রতিক্রিয়া আঁচ করে তাদের নিরস্ত্র করার জন্য ছাউনির পাঞ্জাব ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তা এক্ষুনি, এ মুহূর্তে। কঠিন সিদ্ধান্ত, জীবনমরণের সিদ্ধান্ত। হয় বীরের মতো যুদ্ধ, না হয় কাপুরুষের মতো সারেন্ডার। চট্টগ্রাম সেনা ছাউনির ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর জিয়া যুদ্ধই বেছে নিলেন। গোটা ইউনিটকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কালুরঘাটের বেতার স্টেশন থেকে স্বাধীনতার ডাক দিলেন। ইথারে ভেসে এল, আমি মেজর জিয়া বলছি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। মার খাওয়া মানুষ, বিভ্রান্ত জনতা, দিশাহারা জাতি সংবিত্ ফিরে পেল। তারা উত্তর আকাশের ধ্রুবতারাকে ঠিক চিনে নিল। তারা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির আওয়াজ শুনল-যুদ্ধের আওয়াজ। শুনল রণডঙ্কা, রণ দামামা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো গোটা জাতি অস্ত্রধারী বাহিনী, ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-পেশাজীবী মানুষ, পুরুষ-নারী, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা অস্ত্রহাতে যুদ্ধে নেমে পড়ল।

এর পরের ইতিহাস রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের কঠিন ইতিহাস। শত সহস্র গেরিলা অভিযান, রেইড, এ্যাম্বুশ শত্রুঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ, সম্মুখযুদ্ধ, এটাক, কাউন্টার এটাক, ইস্পাত কঠিন মনোবল আর মৃত্যুপণ লড়াইয়ের ইতিহাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্তের আখরে লেখা এক অনবদ্য গৌরবগাথা এক বীর জাতির বীরত্ব কাহিনী। জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জনের এক অমর আখ্যান। এ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ব্রাকেটবন্দি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে, ব্রাকেট বন্দি করেছে মাও সেতুং পরিচালিত গণচীনের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হো চি মিনের কঠিন ভিয়েতনাম যুদ্ধের সঙ্গে। আমার গর্ব, আমার জাতীয় সেনাবাহিনীর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগৃহে। এর উত্থান ও বিকাশ মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে। এ সেনাবাহিনীই গোটা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। ফোর্স সংগঠিত করেছে। অস্ত্র সংগ্রহ করেছে, রসদ সম্ভার জুগিয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেছে। শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। দেশকে স্বাধীন করেছে। মেজর জিয়া ও তার পরিচালিত জেড ফোর্স গোটা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাসের এক বড় অধ্যায়। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে সেনাবাহিনী পুনর্গঠনের প্রাক্কালে আমরা জিয়াকে অবমূল্যায়িত হতে দেখেছি। তদানীন্তন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার জানি না কোন রহস্যজনক কারণে তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে ত্রুটি করে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনেক সঙ্কট। ঘটনার ক্রমবিবর্তনে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি জাতির অনেক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তায় সংঘটিত পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতার বিপ্লব। আর এ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারই উত্তাল তরঙ্গে এক মহাশূন্যতায় জেনারেল জিয়া উঠে আসেন রাষ্ট্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের পাদ-প্রদীপে।

সৈনিক জিয়া মহান। রাষ্ট্রনায়ক জিয়া মহত্তর। তিনি গণতন্ত্রের প্রাণ-পুরুষ। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। তার ছিল সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি। তিনি ছিলেন এক ভিশনারি, এক স্বপ্নদ্রষ্টা। কবি কাজী নজরুল ইসলামকে তিনি জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন। নজরুলও সৈনিক ছিলেন। নজরুল লিখেছেন, চির উন্নত মম শির, শির নেহারি আমারি, নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রির। জিয়া বিশ্বাস করতেন, জাতীয় কবির এ মহান অভিব্যক্তি বাঙালি জাতির সব মানুষের জন্য, গোটা বাংলাদেশের জন্য। নিজের দুই শক্ত পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্ব সভায় হিমালয়ের উচ্চতায় দৃশ্যমান থাকবে বাংলাদেশের শির। জিয়া জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির উপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব, সেই মুক্তিযুদ্ধের ব্রাকেটবন্দি দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র, গণচীন আর ভিয়েতনামের মতো।

জিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতার সময়কাল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত—মাত্র পাঁচ বছর বা তার একটু বেশি। এ স্বল্প সময়ে তিনি যুগান্তকারী সব কাজ করে গেছেন। তার সঙ্গে আমি ভারতবর্ষের ইতিহাসের সেই পাঠান সম্রাট শের শাহের অনেক মিল খুঁজে পাই। শের শাহের শাসনকাল ছিল এমনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। কিন্তু জনকল্যাণে সাধারণ মানুষের মঙ্গলে তার কীর্তিগুলো ছিল অভিনব। ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী প্রভাবের, যা আজও তার দূরদর্শিতার স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। জিয়া জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে একটা বড় রকমের ঝাঁকুনি দিয়ে গেছেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, কৃষি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও নারী-শিশু সবকিছুতেই একটা বিপ্লব ঘটিয়ে গেছেন। গোটা জাতিকে তিনি একাত্তরের মতো একতাবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। একটি দৃঢ় জাতীয় সংহতি সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। পরিচয় সংকটে আক্রান্ত হীনম্মন্যতায় ভোগা জাতি। তাকে তার সত্যিকারের পরিচয় তার আপন স্বাধীন স্বকীয়তার পরিচয় তিনি দিতে পেরেছিলেন। আর সে পরিচিতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংমিশ্রণে হাজার বছরের যে রসায়ন তারই আবিষ্কার তিনি ঘটিয়েছিলেন। নাম দিয়েছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদের ওপরই প্রতিষ্ঠিত তার মন, মনন ও চেতনা—তার রাজনৈতিক দর্শন। তাই তার প্রিয় গান যা তিনি আপন মনে গুণ গুণ করে গাইতেন তা হলোঃ জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ।

জিয়ার এক বড় অবদান আমার কাছে মনে হয়েছে তার রচিত স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি। নতজানু নয়, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বকে চিত্কার করে বলা আমি যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। শৃঙ্খল ভেঙেছি। আমি এক স্বাধীন জাতি। জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তার দূরদৃষ্টি, তার বৈপ্লবিক চেতনা, বিশ্বাস ও স্বাধীনচেতা দৃঢ় চরিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মহান গণচীনসহ অনেক বড় বড় দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করে। সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে জেনারেল জিয়া গণচীন সফর করেন। আমি তখন পিকিংয়ে মাত্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক এটাশে হিসেবে যোগদান করেছি। জেনারেল জিয়াকে চীনা সরকার, চীনা জনগণ অভূতপূর্ব সংবর্ধনা দেয়। বিপুলভাবে সম্মানিত করে। তিনি যখন যেখানে গেছেন, সীমাহীন মানুষের ভিড়। রাস্তার দুই ধারে ফুল হাতে কিশোর কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা মংচিয়ালা মংচিয়ালা (বাংলাদেশ বাংলাদেশ) বলে চিত্কার করছে আর হাত নাড়ছে। সে এক গর্বভরা বিচিত্র অনুভূতি আমার। মাও সেতুংয়ের তিরোধানের পর তখন চীনের নেতৃত্বে প্রিমিয়ার হুয়া কুয়া ফেং। আমার সুযোগ হয়েছিল শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত থাকার। আমি প্রিমিয়ার হুয়া কুয়া ফেংকে উচ্ছ্বসিতভাবে জেনারেল জিয়ার প্রশংসা করতে শুনেছি। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের পূর্ণ সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস তিনি ব্যক্ত করেন। আমার মনে পড়ে, একটি হৃদয়গ্রাহী সফল সফর শেষে পিকিং পুরনো বিমানবন্দরে (নতুন বিমানবন্দর তখনও নির্মিত হয়নি) বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্র্যাফটে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি যখন আরোহণ করতে যাচ্ছেন আমি তাঁকে একটি চৌকস স্যালুট করি। তিনি হাত বাড়ালেন হ্যান্ডশেকের জন্য। আমার হাতে শক্ত করে চাপ দিলেন। পিকিং বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির সেই করমর্দনের স্পর্শ আমি আজও অনুভব করি। তিনি আমাকে বলছিলেন— Mahbub, I am leaving, you will be here. China is our friend. It is a great country. Work hard, develop the relations. Promote the friendship. Do remember this is the country to which we look forward. This is the country in which we fully trust. কে জানত জেনারেল জিয়ার সঙ্গে সেই হবে আমার শেষ সাক্ষাত্। তার বিদায়বেলার কথাগুলো এখনও আমি শুনতে পাই। আমার কানে অনুরণিত হয়।

তখনও আমি পিকিংয়ে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে’র প্রদোষে আমার বাসার টেলিফোনটি অনবরত বেজে চলেছে। এত ভোরে কখনও কেউ কল দেয় না। বুকটা ধড়াস করে উঠল। ঢাকা থেকে হবে হয়তো কোনো দুঃসংবাদ। রিসিভার তুলতেই চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফরেন লিয়াজোঁ অফিসার কর্নেল সু চুইন ফিংয়ের গলা। আপনি কি জানেন, আপনাদের রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে আজ গভীর রাতে চট্টগ্রামে হত্যা করা হয়েছে? কারা করেছে? কেন করেছে? তিনি আমাদের একজন খাঁটি বন্ধু ছিলেন। আমি স্তম্ভিত। আমি বাকরুদ্ধ। আমি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট। কর্নেল সু ওদিক থেকে বলে চলেছেন, ব্রিগেডিয়ার আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? ব্রিগেডিয়ার, আপনি কি আমাকে শুনছেন? আমি নিশ্চুপ। আমি হতবাক। আমি নিথর।

জিয়া মৃত্যুঞ্জয়ী, জিয়া অমর। জিয়া অক্ষয়। জিয়া বাংলার আকাশে জ্বল জ্বল করা চির ভাস্বর এক নক্ষত্র।

(সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে)

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন সুন্দর লেখা! জিয়াকে নিয়ে এমন লেখা এই প্রজন্মের বন্ধুদের কাছে পৌঁছাতে হবে-তবেই জিয়ার আদর্শ ও তাঁর প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

নহে মিথ্যা বলেছেন: অসাধারন বক্তব্য... শরীর জুড়ে শিহরণ হয়ে গেল... ধন্যবাদ... :)

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: একজন রাষ্ট্রপতি এমন করে ভেবেছেন, পড়ে খুব ভালো লেগেছে। খুব ভালো উদ্দোগ ছিল। গুনিদের কদর করতে হবে, তাহলেই আমরে এগুবো।

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

ওয়্যারউলফ বলেছেন: জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হলে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঘোষনা তাহলে কি ছিল । তা ছাড়া জিয়ার মত একজন মেজরকে তখন কেই বা চিনতো।জিয়াউর রহমান ছিল একজন পাঠক। সে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র "পাঠ" করেছিল।
এক "হিজবুল বহর" ভ্রমনে এমন গদগদ। জিয়ার আরও কিছু অবদানের কথা জানার আশায় রইলাম।

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: তাহলে ৭ মার্চইতো আমাদের স্বাধীনতা দিবস হতে পারতো...

পঠন, পাঠন, কথন, বলনের ব্যাবধান না বোঝারমত অযোগ্য আমি নই।

আমি অতি সাধারন একজন মানুষ তাই আমার অর্জনও অতি সামান্য-যেখেত্রে বেশী বেশী অর্জন নাই-তাইতো অল্পতে গদগদ হই :)

তা ওয়্যারুউলফ ভাইজান, মনে হচ্ছে আপনার অর্জন ইতিহাস ছাড়িয়ে গেছে-এবার একটু আপনার অর্জন নিয়ে ঘোতঘোত করুন-আমরা কৃতার্থ হই :)

১৬| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

াহো বলেছেন:
বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল




=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

===================================

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রতিষ্ঠিত সত্য জানার জন্য, বোঝার জন্য এম্বেডেড সাংবাদিক কিম্বা পেইড বুদ্ধিজিবীর রচিত দিস্তা দিস্তা ফরমায়েসী ইতিহাস/ডকুমেন্টস দেখাবেন কিম্বা দেখবেন আপনারা যারা মুক্তি যুদ্ধ দেখেননি.........

ধন্যবাদ।

১৭| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

াহো বলেছেন: ডকুমেন্টস
Click this link for online archive of নিউ ইয়র্ক টাইমস



নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of নিউ ইয়র্ক টাইমস


LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 1971
Click This Link

১৮| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
াহো একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম, :P :P :P ওর কথায় পাত্তা দিয়ে লাভ নাই। সব জায়গায় একই মন্তব্য করে।
এত্তো সুন্দর একটা পোস্ট দেখে তাদের চান্দি গরম হয়ে গেছে।



জিয়া আমাদের মননে, জিয়া আমাদের বিশ্বাস। আমরা সব সময়ই চাই জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হতে, তার আদর্শে দেশ সাজাতে। যা সবার জন্য নিয়ে আসবে সুন্দর আগামী।


লেখাটা ব্লগে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।


বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

শহীদ জিয়া জিন্দাবাদ

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: জিয়া আমাদের মননে, জিয়া আমাদের বিশ্বাস। আমরা সব সময়ই চাই জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হতে, তার আদর্শে দেশ সাজাতে। যা সবার জন্য নিয়ে আসবে সুন্দর আগামী।


বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

শহীদ জিয়া জিন্দাবাদ

১৯| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: হাম্বালীগের আব্বা নাতি পুতি সহ সব গুলা হারামখোর চোর একসাথে হলেও জিয়াউর রহমানের একটা পশমের যোগ্যতাও হবে না।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে সারা বাংলাদেশের মানূষ কেদেছিল। তাঁর জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। সেই দিনের কথা যখন টেলিভিশনে দেখাচ্ছিল তখন আমার বাসার সবাইকে এতো বছর পরেও হতাশায় ভেংগে পরতে দেখি।

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: লা জওয়াব :)

২০| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৪

ওয়্যারউলফ বলেছেন: জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন সামরিক উর্দি পরে এবং একটি গনতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে। সাংবিধানিক বা অন্য কোন আইনগত অধিকার ছিল না যার ক্ষমতাবলে জিয়াউর রহমান দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারে। জিয়াউর রহমান এদেশের প্রথম অবৈধ প্রেসিডেন্ট। জিয়াউর রহমানের অনুসারিরা এরশাদকে স্বৈরাচারি বলে গালি দেয় অথচ জিয়া এরশাদ একই কায়দায় ক্ষমতায় এসে এরশাদ স্বৈরাচার জিয়া আমের আচার।নিজের ইচ্ছামত রাজনৈতিক দল সমর্থন করার অধিকার সবার আছে কিন্তু নির্জলা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে একটি মিথ্যাকে গোয়েবলসীয় কায়দায় সত্যে পরিনত করার অপচেষ্টা লজ্জাস্কর।
যেখানে জিয়া স্বয়ং এ বিষয়ে কখনও কিছু বলেননি এমনকি তার জীবীত অবস্থায় তার মোসাহেবরা কখনও কিছু বলেনি তারাই তার মৃত্যুর পর তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে ব্যস্ত অবশ্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ কি বি এন পির পুঁজি বলতে তো ঐটুকুই "স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রের পাঠক" ।

২১| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৫

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: আপনি অনেক সৌভাগ্যবান,একজন মাহান দেশপ্রেমিক নেতার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন।

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: জিয়াউর রহমান এর সাথে ওই অর্থে আমার কোনো স্মৃতি নেই। তবে আমার বাবাকে দেখতাম জিয়াউর রহমান এর ভক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান এর তত্কালীন জনসমাবেশে নাকি তিনি সবসময় যেতেন। সে অর্থে আমি জিয়াউর রহমান কে অনেক সন্মান করতাম। .এখনও করি সত্যি বললে। ওনার কি নেগেটিভ জিনিস আছে বা ছিল আমার জানা নাই। তবে আমার দৃষ্টিতে স্বাধীনতা পরবর্তী শাসক দের মধ্যে দেশ নায়ক হিসাবে সবচেয়ে উপরে মনে হয়েছে। এমনি তে বড় পলিটিশিয়ান আমার দৃষ্টিতে মাওলানা ভাসানী , শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দি। আপনার লিখাটি ভালো লেগেছে। তবে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি এবং এখনকার রাজনীতিক দের পছন্দ করিনা তাদের অবিবেচনা প্রসূত কাজের জন্য।
আপনি ভালো থাকবেন।অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা।

২৩| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পোস্টে + দিলাম ।

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: জিয়া র তুলনা শুধু ই জিয়াই । কারন এখন ও তার মত কেউ হতে পারেনি , হয়তো আর হবেওনা । তিনি ক্ষণজন্মা কিন্তু হিরার চেয়েও মূল্যবান বা অমূল্য সম্পদ আর আমাদের স্বনির্ভর বাংলাদেশের রুপকার । তার সান্নিধ্য যারা পেয়েছে তারা সৌভাগ্যবান ,সেই অনুপাতে আপনিও অনেক সৌভাগ্যবান জুল ভারন ।

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের “স্পার্টাকাস”! যিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম, মানুষের মুক্তির সংগ্রামের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন-যে পথের শেষ কথা
মানুষের মুক্তি-মানুষের জয়। সাম্রাজ্যবাদীর নিয়োগদেয়া খুনী গুপ্তচরদের বুলেট জিয়ার প্রান কেড়ে নিয়েছে- তিনি দেখে যেতে পারেননি স্বভূমির মানুষের পূর্ণ সাফল্য। কিন্তু, তাঁর আদর্শের সৈনিকদের ঠিকই দেখিয়ে দিয়ে গেছেন মুক্তির আলপথ! আমরা জিয়ার সৈনিকেরা জিয়া প্রদর্শিত আলপথ ধরে পৌছে যাবো জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে।

২৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: জিয়াউর রহমানের অবদান কখনো খাটো করে দেখা যাবে না মনে হয়।

বিশেষ করে উনার সমুদ্র ভ্রমনের আইডিয়া আর এত ট্যালেন্টেড ছাত্রদের মাঝে বলা কথা গুলো আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেলো।



০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা বাংলাদেশীরা ধনে মানে জ্ঞানে মোটেই গরীব নই-এই কথাটা জিয়াউর রহমানই আমাদেরমত সাধারন মানুষের চেতনায়, মন ও মনণে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ধন্যবাদ।

২৬| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: শুধু মাত্র মেজর জিয়ার শাসন আর অসাধারন পারসোনালিটির কারনে পোস্টে প্লাস দিলাম।

আমি কিছুটা আওয়ামী ঘরনার হলেও।

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: যাক অবশেষে আস্বস্থ হলাম যে আওয়ামী ঘাড়ানার সব মানুষই বিবেক বর্জিত নয়। তবে আপনার এই সত্য স্বীকারের খেশারত দিতে হবে আপনার দলীয় সামু ব্লগের অসভ্য ক্যাডারদের কাছে।

আমিও সব সময় সকল সত্যকে মেনে নিতে পছন্দ করি। সকল গুনী জ্ঞানীদের সম্মান করতে পেরে নিজেকে একটু হলেও স্বচ্ছ ভাবতে পারি।



শুভ কামনা।

২৭| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সোনা দানা মনি মানিক্যের খনি যাই থাকুক না কেন উর্বর ফসলী ভুমির চাইতে মূল্যবান কোনকিছুই না। বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চি সেই মহামুল্যবান জমিতে ভরপুর। এত দামী ভুখন্ড আর কোথাও নেই যেখানে ৫৫ হাজার বর্গমাইল জায়গাতে ১৮ কোটি মানুষকে প্রতিদিন দুবেলা খাওয়াতে পারবে, রাতে ঘুমানোর ঠাই দিতে পারবে।


০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

াহো বলেছেন:
বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে
----Time Magazine USA--Feb. 10, 1975


Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely. Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.
Click This Link

২৯| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

ব্লাক উড বলেছেন: আপনার এই পোস্ট নিয়ে ফেস বুকে একটা কাউন্টার পোস্ট দেখে ৩ মাস পর সামুতে এলাম।

আপনার স্মৃতি চারন মন ছুঁইয়ে গেল।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

৩০| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আমার প্রিয় নেতা ৩জন।
১। শেখ মুজিবুর রহমান।
২। জিয়াউর রহমান।
৩। ফজলুল হক।

আমি তিনজনকেই সন্মান করি।

মুজিব, জিয়া দুই জনই বাংলাদেশকে ভালবাসতেন। বাংলার মানুষকে ভালবাসতেন। কাউকেই আলাদা করা যাবেনা।

স্বাধীন বাংলাদেশে দু'জনের অবদানই অনস্বীকার্য।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত পোষণ করেই বলছি-বংগবন্ধুর প্রতি প্রতিটি বাংলাদেশীর অকুন্ঠ সম্মান জানানো একান্ত কর্তব্য বলেই আমি মনে করি এবং ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই ব্লগ ছাড়াও আমার বিভিন্ন লেখায় বংগবন্ধুকে সম্মান জানাতে দ্বিধা করিনি। বংগবন্ধু একবার ওনার বাড়ীতে(৩২ নম্বর ধানমন্ডি) আমাদে ৬৪ জন কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন......ব্যাক্তিগত ভাবে ধানমন্ডিতে কাছাকাছি বাসকরার সুবাদে ঐ বাড়ীতে আমাদের অবাধ যাতায়ত ছিল......বংগবন্ধু ও বাংলাদেশকে কোনোদিন আলাদা করে ভাবতেই পারিনি। কিন্তু শেখ হাসিনা ও তার অসভ্য স্যাঙ্গাতরা "জনগনের বংগবন্ধু"কে-শুধু মাত্র আওয়ালীগের বংগবন্ধু করে ফেলেছেন। শুধু মাত্র বংগবন্ধুকে একক সম্মানীয় করতে দেশের অন্যসব সম্মানীয় ব্যাক্তিত্বদের শুধু অপমানই করেননি-দেশের শ্রেষ্ঠ মুক্তুযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে 'রাজাকার' আখ্যায়ীত করেছে-তারই পালটা আক্রমন হিসেবেই আজ বংগবন্ধুকেও অসম্মান করার সকল দায় বর্তমান আওয়ামী নেতা কর্মীদের।

একটা কথা মনে রাখতে হবে-আমি আপনাকে অসম্মান করে নিজে সম্মান প্রত্যাশা করতে পারিনা......

সেই দিন আর নাই-যেখানে আমি কাউকে অপমান করবো-আর অন্যরা আমাকে সম্মান করবে......কাউকে আমি একটা চড় দেবো আর চড় খেয়ে কেউ মুখ বুঝে সহ্য করবে। বরং এখন দিন বদলে গেছে-একটা চড় দিলে দশটা লাত্থী দিয়ে সেই শালার কোমড় ভেংগে ভেংগে দেবো-তাতে প্রতিকপক্ষ যত বড় কুতুবই হোন!

ধন্যবাদ।

৩১| ০১ লা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: আংকেল, সামুতে কেউ আমাকে কোথায় তুলে নি, কোথাও নামায় নি। কেউ এখানে আমার ক্যাডার না। আমিও কাউকে ক্যাডার বা নেতা মানি না। যা বলি, নিজের বিবেক আর আবেগের সংমিশ্রনে বলি।

আমার সামুতে কাউকে কিছু করার ক্ষমতা নাই। কোন ব্লগ ক্যাডার বা ট্যাগ বাজের ও আমার কিছু করার ক্ষমতা নাই।

আমি খুবই ছোট মানুষ। তবে, কাউকে জবাবদিহি করতে মোটেও বাধ্য নই। কেউ করাতেও পারবে না। আই ডোন্ট কেয়ার।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন মানষিকতাকে আমি সম্মান জানাই। আমাদের সকলের মধ্যেই এমন আত্মপ্রত্যয়, এমন মানষিক দৃঢ়তা গেড়ে উঠুক।

শুভ কামনা।

৩২| ০১ লা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

টেকনিসিয়ান বলেছেন: পোস্টে +
প্রায় দু'বছর পর ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো।

মৃত্যুপূরী থেকে ফিরেঃ-১১ অ্যাবোটাবাদ....... এ সিরিজটি কি আবার লিখবেন বা লিখতে যাচ্ছেন ? বাকী টুকু পড়তে না পেরে মন উসখুস করছে আমার মতো হাজারো পাঠকদের। প্লিজ লিখতে থাকুন....

ভালো থাকবেন।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কথা এখনো মনে রেখেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞ।

"মৃত্যুপূরী থেকে ফিরে"- সিরিজের শেষ দুই পর্ব একই সময় লিখেছিলাম এবং ড্রাফট করা আছে তবে তা প্রকাশ করবো কিনা এখনো সিদ্ধান্ত নেই নি।

ধন্যবাদ।

৩৩| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৫

যুবায়ের বলেছেন: ৮০ তে আমার জন্ম তাই বাবার মুখে শুনেই জিয়ার প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছে।
বাবা বলেছেন ১৯৭৭ এ জিয়াউর রহমান হাজীদের হজ্জযাত্রা নর্িবগ্ন করতে হিজবুল বাহার নামে জাহাজ চালু করেন। সেই জাহাজে আমার বাবাও হজ্জ করেছিলেন। জিয়ার কথা অনেক শুনতাম বাবার মুখে। এভাবে শুনতে শুনতেই জিয়ার প্রতি ভালোবাসা তৈরী হয়েছে।

আর হ্যা জিয়াকে নিয়ে আমিও একটি লেখা লিখেছি সময় পেলে ঢু মেরে আসতে পারেন।

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার পোস্ট আমি পড়বো।

৩৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১২

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ওয়্যারউলফ @ পংবাড়ী

এই দুইটা বর্তমানের হাম্বাদের নিক নাকি ? অনেক দিন সামুতে আসি না তাই হাম্বা নিক গুলারে চিনতে পারতেছি না ।


একজন মহান নেতার প্রসংসায় শরীরে ঘাম ঝরে যায় ? তাইলে নিজেই ভেবে দেখুন শহীদ জিয়া কি জিনিস ছিলেন ।

হ্যা জুলভার্ন ভাইকে আপ্নি ধীক জানাতেই পারেন , কারন আপ্নি এখন স্বাধীন , আপ্নি এখন বাংলায় কথা বলতে পারেন লিখতে পারেন , আর সেটা সম্ভব হয়েছিলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যেটা জুলভার্ন ভাই কিশোর বয়সেই ছিলেন ।
বেইমানি তো আমাদের রক্তে মিশে আছে তাই না ? সেটার প্রমান দিতে দুই একটা কমেন্ট তো দিতেই হবে আপ্নাদের !!!
মনে রাখবেন আজ নড়ম সোফায় বসে যাকে ধীক জানাচ্ছেন সেই ব্যাক্তিটির জন্যই আজ নড়ম সোফায় বসতে পারছেন !

@
ওয়্যারউলফ বলেছেন: জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন সামরিক উর্দি পরে এবং একটি গনতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে।

জানি না আপ্নার বয়স কতো !
এখন পর্জন্ত কোন হার্ডকোর আওয়ামিলিগারকেও বলতে শুনি নাই সেটা একটি গনতান্ত্রিক সরকার ছিলো ! =p~

বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন মেরুদন্ডহীন সরকার আর ছিলো না ,

ইট্স এ সিম্পল থিংক জিয়া একজন আর্মি অফিসার ছিলেন কিছু যোগ্যতা তার মধ্যে অবশ্যই ছিলো , এখন আবার বলিয়েন না যে সে আর্মি অফিসার হইছে জোর কইরা ! মানে আর্মির পোস্ট দখর করছে =p~

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার বিশ্লেষণ।

৩৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৮

ফিরেদেখা বলেছেন: কি বলবো! আপনার এই স্মৃতি চারনেই প্রমানীত হয়-জিয়ার বক্তব্য বাংলাদেশের উন্নয়নের ম্যাগকার্টা।

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: আগস্ট,২০১২ এর পর মে,২০১৪ অনেক লম্বা সময় ভাইয়া। এখনকার ব্লগারেরা হয়ত ভাবছে এ জুল ভার্ন আবার কোন ব্লগার? অথচ একসময় সামুতে ঢুকতাম আপনার পোস্টের জন্য, লগ ইন করতাম আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে।

পংবাড়ির কমেন্ট গুলো ডিলিট না করে ভাল করেছেন। উনাদের রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া দরকার আছে।

ফেসবুকে আগেই পড়েছিলাম। পোস্টের কন্টেন্ট নিয়ে কিছু বলব না। আপনার প্রতি এক অদৃশ্য ইর্ষা মাখানো শ্রদ্ধার অনুভূতি হচ্ছে।

যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। আল্লাহপাক আপনাকে সব বিপদ থেকে হেফাযত করুন।

২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ঐ সব পোংটাদের মন্তব্য ডিলিট করতেও অরুচী হয়।


শুভ কামনা।

৩৭| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওএমজি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


এই পোষ্ট আমার চোখে পড়ল এত দেরিতে!!!

নিজেকেই নিজে নিন্দা করতে ইচ্ছে হচ্ছে!!! আরও আগে কেন ঢু মারলাম না!!!

প্রতিটা লাইনে লাইনে শীহরণ খেলে যাচ্ছিল.... কি অসম্ভব দেশপ্রেম আর প্রাণ প্রাচুর্যের ইতিহাসের অংশ আপনি।

আজ আরেকবার স্যালুট আপনাকে।

প্রিয়তে রাখলাম। নিজে সমৃদ্ধ হতে।

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও খুব বেশী অনিয়মিত বলেই আপনার মন্তব্যের জবাব যাথা সময়ে দিতে পারিনি।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা।

৩৮| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৭

রেজওয়ান26 বলেছেন: অনেক মন্তব্য দেখলাম ।

আমার মনে হয় শহীদ জিয়ার জন্ম বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যময় ।

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন-তা আমি বুঝিনি। আপনি নিজে বুঝেছেনতো?

ধন্যবাদ।

৩৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

মুহিব বলেছেন: যে কয়জন প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশে তাদের সময়কাল আর জনপ্রিয়তা চিন্তা করলেই বুঝা যায় জিয়া কি ছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষনা কোনটা তা না বুঝার কিছু নাই। অযথা বিতর্ক আনার দরকার কি? জিয়ার কাজ জিয়া করেছেন। অবশ্যই তিনি ভুলের উর্ধে নন। তার কাজ ভাল লেগেছিল বলেই এত অল্প সময়ে দেশে তার এত অনুসারী।

৪০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি ইতিহাসের একটি অসামান্য দলিল! শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে নতুন অনেক কিছু জানলাম।

আশা করি ভাল আছেন।

৪১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৯

রাজীব বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন:
বিশেষ করে উনার সমুদ্র ভ্রমনের আইডিয়া আর এত ট্যালেন্টেড ছাত্রদের মাঝে বলা কথা গুলো আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেলো।


মেধাবীদের একসাথে করা, সবার মধ্যে যোগাযোগ করানো। সরকার ও মেধাবীদের মাঝে দুরত্ব কমানো এগুলো খুব ভালো আইডিয়া ছিল।

আমরা এতোকিছু নকল করতে পারি এটি নকল করি না কেন? এমন কি বিএনপি পরে ২ বার ক্ষমতায় এসেও এগুলো করেনি।

আপনি না লিখলে এসব আমরা কখনো হয়ত জানতাম না।

৪২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন: প্রতিটা লাইনে লাইনে শীহরণ খেলে যাচ্ছিল.... কি অসম্ভব দেশপ্রেম আর প্রাণ প্রাচুর্যের ইতিহাসের অংশ আপনি।

৪৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুঝলাম, মিলিটারী শাসনের প্রবক্তা! জে: পারভেজ মোশারফ মৃত্যুদন্ড পেয়েছে, ইয়াহিয়া ৩০ লাখ বাংগালী খুন করেছে, জে: ৩০০ মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁষী দিয়েছে, বারমার জেনারেলরা ১৩ রোহিংগাকে বাংলাদেশে পাঠায়েছে। বুঝলাম, মিলিটারী শাসনের প্রবক্তা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.