নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আমরাতো এমনি এমনিই করি......
বাংলাদেশী বাংগালীদের হাজার বছরের লালিত কিছু গৌরবজ্জল ঐতিহ্য আছে-যেমন মুরব্বীজনদের সম্মান করা, অতিথি আপ্যায়ণ, পহেলা বৈশাখ, ণবান্ন উদযাপন, ধর্মীয় উতসব উদযাপন ইত্যাদি।অথচ দিনে দিনে আমরা আমাদের সেই নিজস্বতাকে বিষর্জন দিয়ে পাশ্চাত্যের অনুকরন করছি। কথাগুলো বলার কারন, মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমাদের তারুন্যের রুচীবোধের ডিগবাজী দেখে! বিশয়টা খোলাশা করছিঃ-
গতকাল সকাল নয়টায় ঢাকা-নরসিংদী যেতে শাহাবাগ থেকে মতস ভবন পেরুতে আমার সময় লেগেছিল ৪০ মিনিট, আবার বিকেলে একই পথে বাড়ী ফেরার পথে ঐ যায়গাটুকু পেরুতে সময় লেগেছিল ঘন্টাধিক। কারন, বাসন্তী রঙের শাড়ী,গলায়-মাথায়, হাতে গোঁজা বর্ণীল ফুল আর ফুলের মালায় এবং পাজামা-পাঞ্জাবী পরিধেয় তারুণ্যের বসন্ত উতসবে প্রানোচ্ছল হাটাহাটিতে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাঁধা....। ঢাকা-নরসিংদীর দীর্ঘ পথে আমাদের নিজস্ব উতসব “বসন্ত বরন” উল্লেখযোগ্য ভাবে শুধু উল্লেখিত পথেই দেখেছি।
আজ একই পথে যাচ্ছিলাম নারায়নগঞ্জ......আজ ভিন্ন চিত্র! আজ উদ্বযাপিত হচ্ছে Valentines-day. আজ দেখছি-ভিন্ন আংগীকে তারুণ্যের ভালোবাসার বেহায়া উদ্বযাপন। এই উদ্বযাপন শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক নয়। উভয় শহর এলাকা ছারাও ঢাকা-নারায়নগঞ্জের পুরো পথ জুড়েই হাটাপথে,রিকশা, গনপরিবহন কিম্বা প্রাইভেট যানেও ভালোবাসাবাসীর আদিখ্যেতা! এখন বাড়ী ফিরে দেখি- ধানমন্ডি লেক এলাকা জুড়ে আজ মর্তের অপ্সর অস্পরীরা ভালোবাসার মেলা বসিয়েছে!
মাত্র কদিন আগেই আমরা উদযাপন করতে দেখেছি “31st Night”, গতকাল করেছি “বসন্ত বরন”, আজ করছি-“ Valentines-day”-আবার কিছুদিন পরই উদযাপন করবো পহেলা বৈশাখ......এমনকি বরাবরেরমত April fool নিয়েও আমাদের মাতামাতির কমতি থাকবেনা! আমরা কি মাল্টি কালচার কিম্বা কসমোপলিটান কালচারে আক্রান্ত? নাকি কোনো কিছু নাবুঝেই অন্যরা করছে বলে আমরাও করছি!
প্রসংগত একটা ঘটনা শেয়ার করছি-চায়নার সাথে আমার ব্যাবসায়ীক যোগাযোগ বহু বছর। আমার যোগাযোগের সেই প্রথম দিকে বর্তমান চায়নারমত চীনাদের এতটা জৌলুশ ছিলনা। কিন্তু এখন ওরা “ধনে” বিশ্বের যেকোনো দেশকে টেক্কা দিচ্ছে- যার প্রভাব প্রদর্শনী এখন সর্বত্র! বছর পাঁচেক আগে চীনের বড় দুই সিটি সাংহাই ও নানটং এ দুই চীনা ব্যাবসায়ী বন্ধুর বাড়ীতে আতিথিয়েতা গ্রহন করেছিলাম। তখন ছিল ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ। ওদের বাড়ীতে গিয়ে দেখি বিশাল সাইজেই ডেকোরেটেড ক্রীসমাস ট্রী...সাথে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের ক্রুশবিদ্ধ যীশু খ্রীস্টের প্রতিকৃতিসব বড় দিন উতসবের যাবতীয় আয়োজন.........
আমিতো অবাক! কারন, চীনে তেমন কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার নেই বললেই চলে এবং আমার উভয় ব্যবসায়ী বন্ধু কিম্বা তার স্ত্রী সন্তানও কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। আমি বিশয়টা জানতে চাইলে বন্ধু ও তার বিদুষী স্ত্রীর জবাব(বাংলা তরজমা) -“আমরা যখন ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করছিলাম-তখন ওদেরকে এভাবে করতে দেখেছি-এখন ‘মাঝে মাঝে’ আমরাও এটা করি”!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
রাজীব বলেছেন: "অমুককে দেখেছি তাই মাঝে মাঝে আমরাও এটা করি"
-এতো খাটি বাংগালী স্বভাব দেখছি। তাহলে মনে হচ্ছে আমরাও একদিন চীনের মত উন্নত হতে পারবো!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: তাই যেনো হয়।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কালচারাল অসমোসিস আর কি!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১১
জুল ভার্ন বলেছেন:
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: জানতামনা ফিরে এসেছেন।আমিও অনিয়মিত
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: মাঝে মাঝে এসে দেখে যাই-আমি আছি নাকি নাই
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
আবাব বলেছেন: এটা তৃতীয়বিশ্বের / গরীব লোকের কম অথবা অসম্পূর্ন লেখাপড়ার ফল, সাথে পশ্চিমের আগ্রাসী বিঙ্গাপন।
বৃাজিলের জিকা ভাইরাসের বিরাট এক ভয়ঙ্কর অবস্হা চলছে, কিন্তু কার্নিভালের উৎসবে না গেলে জিবনের আর আছে কি - এই মোটোতে বিশ্বাস করে, গর্ভবতি মহিলারা নাচা - গানায় বেতাল।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন:
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরাতো এমনি এমনিই করি......
দারুন প্রকাশ
আসলে আমাদের সংস্কৃতির জাতীয় রুপরেখা নেই। ধর্ম আর ষংস্কৃতির মাঝে বিস্তর বোধের ব্যবধান। জাতীয়তা, নিজস্বতাকে পৃথক স্বকীয স্বাতন্ত্রে উজ্জল করার নেই উদ্যোগ। ফলে যে কোন উদ্যোগ পেলেই ঝাপিয়ে পড়ছে সবাই। নিজেকে প্রকাশ করার যে মনোজাগকিত স্পৃহা তাই তাড়িত করছে! ছুটে যাচ্ছে এমনি এমনিই
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমরা আসলেই এমনি এমনি করি, আর এই এমনি এমনি করতে করতে নিজ ভুলে গেছি।
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভায়া!
বহুদিন পর আপনাকে লগিন দেখে কিযে ভাল লাগছে!
আপনার নিখোঁজের পর আপনার কোন আপডেট পাইনি্।
থানায় ফোন করেছিলাম। সঠিক তথ্য দিতে পারেনি!
লঞ্চের কেবিন থেকে ব্লগার জুলভার্ন ‘নিখোঁজ’ পোষ্টে ও কেউ কোন আপডেট দেয় নি! আমিও দিতে পারিনি!
প্লিজ জানাবেন কি অবস্থা এখন?
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কেমন আছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২
কল্লোল পথিক বলেছেন: যতার্থই বলেছন।
ধন্যবাদ।