নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” – অন্নদামঙ্গল কাব্যে কবি ভারতচন্দ্র রায়ের বিখ্যাত পঙক্তি, যা সকল মা বাবার প্রত্যাশা।
এখন প্রশ্ন কিভাবে আমার সন্তান দুধে, ভাতে থাকবে? দুধ ভাত খাওয়ার জন্য কয়েক বস্তা চাল আর গরু কিনে দিলেই কি হবে! চেতনাহীন ভাবনা হয়তো তাই বলে। সন্তানকে ভালোবাসা বলতে তার ইচ্ছে বা চাহিদা পূরণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি অনেকে। তাই আমাদের সন্তানদের শৈশবের চকোলেটের চাহিদা যৌবনে বাইকে সওয়ার হয় . . . চেতনাশূন্য ভাবী প্রজন্ম দুরন্ত গতিতে অন্ধকারের দিকে ছুটে যায়। প্রতিযোগিতার পৃথিবীতে সাধ আর সাধ্যের ফাঁকটা একদিন হতাশায় ভরে যায় একই গতিতে। আর সেই হতাশার নামই বর্তমান প্রজন্ম!
আমার স্বপ্ন তা কেবল আমারই। তাই নিজের স্বপ্নকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও আমার।
আপনার সন্তান একটি বীজ, একটি চারাগাছ কিম্বা একতাল কাদামাটি। তার ভেতরে হয়তো লুকিয়ে আছে কোন আইনস্টাইন, হেলেন কেলার, ডঃ ইউনুস, মার্টিন লুথার কিং কিংবা একজন চে ! আসলে কোন শিশু জন্ম নেয়া মানেই একটা সম্ভাবনা, একটা স্বপ্ন। জন্ম নেওয়া সেই সম্ভাবনা, সেই স্বপ্নকে সফল করতে পারে মাত্র তিনজন মানুষ। মা, বাবা এবং শিক্ষক। চেতনাশূন্য আজকের এই দুনিয়ায় মা, বাবা, শিক্ষক এই শব্দগুলো তার প্রকৃত অর্থ হারিয়েছে। তাই জন্মদাত্রী যথার্থ ‘মা’ হতে পারছে না, অভিভাবক ‘বাবা’ হতে পারছে না, শিক্ষাদানকারী ‘শিক্ষক’ হতে পারছে না। তাই অন্তঃসার শূন্য স্বপ্ন, সম্ভাবনা জৈবিক নিয়মে বেড়ে উঠছে শুধু শরীরে।
শিক্ষকদের কাছে এখন সত্যিকারের শিক্ষা গ্রহণ প্রায় অসম্ভব। কারণ, এখন শিক্ষকতা পেশায় প্রথম, দ্বিতীয় স্তরের মেধাবীরা আসেই না, তৃতীয় স্তরের মেধাবীরাও ঠেকায় পরে আসে। যাদের কাছে শিক্ষকতা ব্রত নয়, কলকারখানায় চাকরির মতো একটা পেশা মাত্র। শুধুমাত্র পেটের টানে শিক্ষকতার চাকরি।
অসুস্থ শরীর সুস্থ করতে চিকিৎসক যেমন ছুরিকাঁচির সাহায্য নেয়, ট্র্যাকের বাইরে গাড়ি চলে গেলে জোরে টেনে আনতে হয় বা ধাক্কা দিয়ে হয়। বিপথগামী সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। বুঝিয়ে বা মুখের কথায় না হলে শাসন করতে হবে। সন্তানকে শাসন করা মানে তার অমঙ্গল কামনা করা নয়। ঘুড়িকে সাবলীল ভাবে উড়তে দিলেও সুতোটা টেনে রাখতেই হয়, তার ভেসে চলে যাওয়া আটকাতে। মাঝে মাঝে হ্যাঁচকা টানেই তার সীমার বাইরে উড়ে চলা ঠিক রাখতে হয়।
"লাগেজ য়্যাট ইওর ওউন রিস্ক" (মাল মিজ দায়িত্বে রাখুন)- কথাটা ট্রেনে, বাসে অর্থাৎ পাব্লিক পরিবহনে লেখা থাকে।
আপনার সন্তান -আপনার সম্পদ, আপনার মাল। তাই আপনার ‘মাল’ নিজ দায়িত্বে রাখুন। আপনার সন্তানের মঙ্গলে অন্যের দায় নেই। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় সন্তানের ‘কেরিয়ার’ হয় হোক, মানুষ করুন নিজের হাতে। চারাগাছের মত রক্ষা করতে তার চারপাশে শৃঙ্খলার বেড়া দিন। আপনাকেই করতে হবে, কারণ স্বপ্নটা যে একান্তই আপনার।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজ নিজ সন্তানকে মানুষ করা কোনো সময়ের সীমানায় নির্ধারিত নয়। এটা একটা চলমান প্রকৃয়া।
সন্তান তার বৃদ্ধ মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে কার, বাবা মা তাদের সন্তানকে শারিরীক ভাবে বড়ো করেছে কিন্তু মানুষ করতে পারে।
ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে, ভাতে...... "
রায়গুনাকর ভারত চন্দ্র রায়ের বিখ্যাত কাব্য অন্নদামঙ্গল -
এ প্রধান চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী এই কথা বলেছিল ছদ্মবেশী দেবী অন্নপূর্ণা কে।
কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর মধ্যযুগের সর্বশেষ কবি।
বাঙালির চেতনায় চিরায়ত কাল থেকেই সন্তানের কল্যাণ কামনার বার্তা স্পষ্ট।
বাংলার মায়েরা সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ সত্ত্বা। বাড়িতে, পথে,
স্কুলে, পেশায়, সঙ্কটে ও সমস্যায় সন্তানের বিপদ দেখলে সবচেয়ে আগে এ
গিয়ে যিনি, তিনি আর কেউ নন, মা জননী।
বাংলার মায়েদের তুলনা করা হয় ছায়াদায়িনী মহাবৃক্ষের সাথে।
পাখির নিরাপদ ডানায় অসহায় শাবককে আগলে রাখার প্রতীক হলেন মা।
মা বাংলার শিশু-কিশোরদের প্রথম শিক্ষক, পথ-নির্দেশক,
জীবনের নির্মাতা ও নিরাপত্তার সংরক্ষক।
মধ্যযুগের অমর কবি ভারতচন্দ্র নেই। কিন্তু বাংলার মাতৃ সমাজ তো রয়েছেন।
তাদেরকে সন্তানের জন্য মঙ্গলধ্বনি উচ্চারণ করতেই হবে; সন্তানের কল্যাণধ্বনি
জাগিয়ে রাখতেই হবে শত বিরূপতা ও বিপদের মধ্যেও। সকল সঙ্কট থেকে
সন্তানদের বাঁচিয়ে রেখে বলতেই হবে:"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে, ভাতে...... "
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি পড়েছি।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯
হাবিব বলেছেন: সন্তান ভালো হলে জাতি ভালো হবে...... তাইতো কবি বলেছেন, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লিখেছেন। পড়ে মজা পাইলাম। শুভেচ্ছা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে লেখাটা যত না মজার তার থেকে বেশী উপলব্ধির।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
নুরহোসেন নুর বলেছেন: আমরা নিজেরাই অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করছি,
শিক্ষক থেকে শুরু করে কুলি দিনমজুর সবাই।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কতটা সভ্য বা অসভ্য হবে সেটার জন্যই বোধহয় শক্তিধর রাস্ট্রগুলো পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রাখছে!!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বলল, একটা শিশু পৃথিবীতে আনার আগে বাবা মায়ের অনেক চিন্তা ভাবনা করেই আনা উচিত।
আবেগে একটা শিশুর জন্ম দেওয়া ঠিক হবে এই সমাজে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে শিক্ষিত মানুষ এতই কম যার জন্য চিন্তা ভাবনা করে সন্তান নেওয়ার মানুষ যথেষ্ট কম। তবে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে সম্ভব।
ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
সাইন বোর্ড বলেছেন: খুব সচেতন ভাবনা, পড়ে ভাল লাগল ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
সাইফ নাদির বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার উপলব্ধি খুব ভালো লাগলো....
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনাকেই করতে হবে, কারণ স্বপ্নটা যে একান্তই আপনার।
.......................................................................................
কথাটা অনেক স্বার্থপরের মত শোনায়, কিন্ত আমাদের দেশের
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আপাতত সঠিক মনে হবে সবার নিকট ।
তবে তা কতদিন , একসময় সে, বাস্তব কার্যক্রমে নামতে হবে,
তখন কি চারিদিকের আবহাওয়া উপযুক্ত ধারন করার জন্য ???
.......................................................................................
এই দুধে ভাতের সন্তান বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে , কেন ???