নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন....
‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝিনা’ - সবাই জানি কিন্তু মানি কয়জন! আমরা প্রত্যেকেই জ্ঞানপাপী। আর এই পাপের কারণেই আমরা এতকিছু জেনেও ভুগছি। পারস্পরিক সম্পর্কগুলোরও যথার্থ মূল্যায়নও হয় দূরে বা চোখের আড়াল গেলে। আর এই চোখের আড়াল যদি হয় চিরতরে, তখন কেঁদে আকুল হই। নিজের কৃতকর্মের অনুশোচনায় পুড়ি বাকি জীবন। এও এক প্রকারের শাস্তি। আসলে সহজলভ্য প্রাপ্তি ক্রমাগত পেয়ে একটা সময় ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ হয়ে দাঁড়ায়।
রবি ঠাকুর বলেছেন ‘মনের দিক থেকে আমরা এক একটি দ্বীপের মতো’! জীবন সমুদ্রের নানান ঢেউয়ের ঝাপটা সইতে থাকা এই এক একটি দ্বীপ আসলে বড়ই একা।
মানুষ সর্বদা কল্পনা প্রবণ। কল্পনা করুন - আপনার আপনজনের কোন বিষয় যখন আপনার কাছে একঘেয়ে কিংবা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, প্রতি নিয়ত মানষিক বিবাদে আপনার মনে যখন তার স্থান ক্রমেই দূরে হয়ে যাচ্ছে, আপনি কিছুতেই আর তাকে সহ্য করতে পারছেন না এমন অবস্থায় কল্পনা করুনঃ-
মানুষটি আর পৃথিবীতে নেই। বাস্তব পৃথিবীতে নিজের একাকী অবস্থাটা অনুভব করুন। আপনার অনুভবে ধরা পড়বে চারপাশের মানুষের ভিড়ে, সবকিছু থেকেও আপনি কতটা অসহায়। সেই প্রিয়জনের মুখটা যখন আপনি আর দেখতে পারছেন না, তাকে হারাবার অনুভূতিটা আপনাকে ভীষণ ভাবে নাড়িয়ে দেবে। কল্পনাতেও আপনি অনুভব করতে পারবেন যে তাকে আপনি কতটা মিস করছেন। সেই একাকীত্বের অনুভূতি আপনাকে আবারো শত অভিযোগের মাঝেও তাকে নতুন করে ভালবাসতে উদ্বুদ্ধ করবে। তার মন্দ দিকগুলোর সাথে তখন আর আপনার আপস করতে অসুবিধে হবেনা। এভাবেই সম্পর্কগুলো মেনে, মানিয়ে সুদীর্ঘ পথ চলতে পারে। আখেরে এটা অনুভব করতে পারবেন যে, মন থেকে সত্যিকারের আপনার ভালো চাইবার মতো আপনার প্রিয়জন ছাড়া সত্যিই এ পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আছে বা হয়তো কেউই নেই। সত্যিকারের ভালবাসতে পারে কয়জন বা সেই ভালোবাসা পায় কয়জন! তাই প্রিয়জন সত্যিই প্রয়োজন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: পরীক্ষার খাতায় অনেকবার লিখেছি ভাবসম্প্রসারণ
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝিনা..
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে আমি বুড়ো বয়সে পরিক্ষা দিচ্ছিনা প্রবাদটার বাস্তব প্রতিফলন তুলে ধরছি।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ আজও ওস্তাদ লোক। কেয়ামত পর্যন্ত উনি ওস্তাদই থাকবেন।
সত্যিকার ভালোবাসা আছে। এটা প্রেমিক প্রেমিকাদের ভালোবাসা নয়।
সন্তানের প্রতি বাবা মার ভালোবাসাটা সত্যিকারের ভালোবাসা। এর বাইরে সব ভালোবাসা মিথ্যা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
তবে আজকাল অনেক সন্তানেরা মনে করে, বাবা মা সন্তানদের জন্য যা কিছু করে সেটা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু সন্তানেরও বাবা মায়ের জন্য কর্তব্য আছে সেটা ভুলে যায় বলে কত বৃদ্ধ মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে কাটাতে হয়!
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লেগেছে ভাইজান আপনার বিশ্লেষণ। অপ্রিয় হলেও সত্য যে দাঁত থাকতে আমরা দাঁতের মর্যাদা বুঝিনা।
কবিগুরুর বিশেষ কথাটি উদ্ধৃত করায় সমৃদ্ধ হলাম। ওনার কথায়,'জীবন সমুদ্রের নানান ঢেউয়ের ঝাপটা সইতে থাকা এই এক একটি দ্বীপ আসলে বড়ই একা।' উল্লেখ্য কবিগুরুর এই উপলব্ধির সার্থক পরিপূর্ণতাই বোধহয় প্রাণাধিক পুত্র সৌমিন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর ওনার,'আজ জোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে...' গানটি রচনার মধ্যে দিয়ে।
পোস্টে সহমত পোষণ করে বলি, আমরা আমাদের পারিপাশ্বিকতা সম্পর্কে আরও একটু শ্রদ্ধাশীল হয়ে পরিবেশকে উপভোগ্য করে তুলতে সচেষ্ট হই।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ কী সুন্দর করে বলেছেন!
আসলে আপনারা যারা(আপ, রাজীব নুর সহ অন্যরা) প্রকৃতই সাহিত্য সেবী(আমার মতো শখের লেখক নন) তাঁরা যেকোনো কিছু এতো সুন্দর অল্প কথায় বিস্তারিত তুলে ধরেন সেটা শুধু আপনাদের প্রচুর পড়া এবং লেখার যোগ্যই নয় অবশ্যই ঐশ্বরিক দাণ।
ধন্যবাদ।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২
নুরহোসেন নুর বলেছেন: ছাই ঘষে ঘষে দাঁতেকে রোগা বানিয়ে আমরা ডাক্তারের কাছে দৌড়াই!
অসহ্য ব্যথা আর মোটা অংকের টাকা খুইয়ে ভাবি আগে কেন ছাইয়ের বদলে পেষ্ট ব্যবহার করলাম না!!
চমৎকার লিখেছেন, ভাল লাগলো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: কী সুন্দর করে বলেছেন!!!
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: বিপদে প্রিয়জন ছাড়া আর যে কেউ থাকে না এ সত্য তো অনেক মুল্যের বিনিময়ে অর্জন করা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সেই অভিজ্ঞতা তুমি আমি এবং আমরা কতিপয় অনেক মূল্য দিয়ে শিখেছি....
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০২
জগতারন বলেছেন:
মূল্যবান কথা ও উপলব্ধি জনাব জুল ভার্ন।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝিনা..... এই সুন্দর বাক্যটি ব্যাখ্যা দিয়া ও
কবি গুরুর বানী দিয়া আরও একবার আমাদের স্মরন করাইয়া দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় তাদের আমার কাছে নিয়ে আসবেন। তাদের আমি জুতা দিয়ে পিটাবো।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: ওদের জুতাপেটা করলে জুতারও অপমান হবে।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার অল্প কথার বিশ্লেষণগুলো মুগ্ধ করে!
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো