নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিনে স্বদেশী ভাষা..... "

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

"বিনে স্বদেশীয় ভাষা, পুরে কি আশা?"

মধ্যযুগে এবং পরাধীন ইংরেজ আমলে মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে কবি ও মনীষীগণ লিখিত ভাষ্যে জানিয়েছেন যে, মাতৃভাষা ছাড়া মনে বলা, লেখায় আশা পূর্ণ হয় না। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে নানা ভাষার পরিমণ্ডলে বসবাস করে সত্যটি আবার নতুন করে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। বৈশ্বিক স্তরে বসবাসকারী বাংলাভাষী মানুষের চরম গতিশীল জীবনে হৃৎস্পন্দনের মতো বক্তব্যটি আজকাল প্রতিনিয়ত দোলা দেয়।

আবদুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০) মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য কবি। নোয়াখালী জেলার বাবুপুর (মতান্তরে সন্দ্বীপের সুধারাম) ছিল কবির আবাসভূমি। তাঁর পিতা শাহ্ রাজ্জাক ছিলেন একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। সেই আমলের রীতি অনুযায়ী আবদুল হাকিম আরবি, ফারসি ও সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। হাদিস, আল-কুরআন, ফেকাহ প্রভৃতি শাস্ত্র এবং রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ সম্পর্কেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল। আবদুল হাকিম প্রধানত প্রণয়োপাখ্যানের কবি ছিলেন। এযাবৎ তাঁর পাঁচটি গ্রন্থ পাওয়া গেছে: ইউসুফ-জুলেখা, নূরনামা, দুররে মজলিশ, লালমোতি সয়ফুল্মূল্ক এবং হানিফার লড়াই।

মধ্যযুগের সেই কবি আবদুল হাকিম পণ্ডিত ও বহুভাষাবিদ হয়েও নিজ মাতৃভাষায় লিখে ছিলেনঃ-
"যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী / সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।"

নিধু বাবু, যার পুরো নাম রামনিধি গুপ্ত (১৭৪১-১৮৩৪), বাংলা টপ্পা সঙ্গীতের একজন মহান সংস্কারক। তাঁর পূর্ব পর্যন্ত টপ্পা এক ধরনের অরুচিকর গান হিসেবে বিবেচিত হতো। তাঁর গানের ভক্তরা অধিকাংশই ইংরেজ আমলের কলকাতার বখে-যাওয়া ধনাঢ্য সম্ভ্রান্ত ছিলেন। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি এ সঙ্গীতস্রষ্টার গানগুলি 'নিধুবাবুর টপ্পা' নামে আজও জনপ্রিয়। সঙ্গীতজগতে তিনি 'নিধু গুপ্ত' নামেই পরিচিত। হুগলি জেলার চাপ্তায় তাঁর জন্ম। পিতা হরিনারায়ণ গুপ্ত। নিধু গুপ্ত জনৈক পাদরির নিকট ইংরেজি শিক্ষার সুবাদে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসে চাকরি পান।

সেই রামনিধি গুপ্ত লিখেছিলেন একটি স্মরণীয় কবিতা; নাম ‘স্বদেশীয় ভাষা’। যাতে বলা হয়েছে- "নানান দেশের নানান ভাষা/
বিনে স্বদেশীয় ভাষা, পুরে কি আশা?/
কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর ধারাজল/ বিনে কভু ঘুচে কি তৃষা?"

একমাত্র মাতৃভাষা দ্বারাই সম্ভব মনের ভাব, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, মিনতি বা আবদার নিখুঁতভাবে প্রকাশ করা৷ ভিনদেশি ভাষার সহায়তায় যদিও সম্ভব মনের ভাব বা ইচ্ছার প্রকাশ ঘটানো তবে তা কিছুতেই পরিপূর্ণভাবে মূর্ত হয় না। পরিপূর্ণ ও নিঁখুত প্রকাশশৈলীতে তা উত্তীর্ণ হতে পারে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।
ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে
‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের ‘স্বাভাবিক’ বাংলা ভাষার এখন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত একই রূপ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১০

কনফুসিয়াস বলেছেন: আসুন আমরা আবার একবার বাংলাকে আকড়ে ধরি। বাংলার সাথে অন্য ভাষাকে মিশ্রন না করি। একটু একটু করে চেষ্টা করলে একদিন আমরা পুরোপুরি আয়ত্ব করে ফেলব। নিজ অবস্থান থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিব।

আবেগ-আপ্লুত লেখার জন্য ভালবাসা অবিরাম।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: শুভ কামনা।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিরোনামে একমত ।।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.