নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"...A day which will live in infamy"... জাপানি যুদ্ধবিমানের আক্রমণে পার্ল হারবার বিধ্বস্ত হবার খবর পেয়ে ১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের জয়েন্ট সেশনে বসে বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।
ইতিহাস ঘাঁটলে জনগণের হাতে দেশের প্রশাসনিক ভবনের পতনের নজির ইতিহাসে বহু আছে। বাস্তিল দুর্গ থেকে মস্কোর দুমা। তাতে তাদের মান কমেনি, বরং বেড়েছে। সম্ভবত ক্যাপিটল হিল- মার্কিন কংগ্রেস ভবনই আজ মানব ইতিহাসের একমাত্র রাষ্ট্রভবন হয়ে রইল, যার 'সাময়িক পতন' বা 'অবরোধ' কিছু দুস্কৃতির কাছে!
বেঁচে থাকলে আজ এরিক হবসবম খুবই ফ্যাসাদে পড়তেন। ১৭৮৯ সাল থেকে ১৯৯১ সাল অবধি বিশ্বের ইতিহাসকে তিনি চার ভাগে ভাগ করেছেন, যা রাজনৈতিক ইতিহাসের ছাত্র মাত্রেই অল্পস্বল্প অবগত আছেন। (১) বিপ্লবের যুগ,(২) ধনসম্পদের যুগ, ৩) সাম্রাজ্যের যুগ এবং (৪) এক্সট্রিমের যুগ।" এক্সট্রিমের যুগ" এর বাংলা শব্দ খুঁজে পেলাম না। মার্কিন কংগ্রেস তছনছ করে দেওয়ার ঘটনাটিকে এরিক হবসবম কোন ভাগে ফেলতেন?
বিপ্লব মাত্রেই তার একটা অবধারিত অংশ হল দেশের শাসকের আসনকে টালমাটাল করে দেওয়া। তা সে খ্রিস্টজন্মের ৫৯৭ বছর আগে গ্রিসের একনায়কতন্ত্র ফেলে দিয়ে সোলোনের রিফর্ম হোক বা বাস্তিল দুর্গের পতনের পর হওয়া ফরাসি বিপ্লব। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে আমেরিকার গণতন্ত্রের(?) পীঠস্থান মার্কিন কংগ্রেস ভবন আক্রমণ করা নিঃসন্দেহে একটি 'বৈপ্লবিক ঘটনা!'
কিন্তু এ কেমন বিপ্লব? ফরাসি বিপ্লব, রুশ বিপ্লব, ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লব সবই আসলে কোনও না কোনও সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু এখানে বিপ্লবের মূল কারণই হল ফেক নিউজ, ফেক দাবি। যেখানে জনরোষ দেখাল এমন একদল লোক যাদের এক এবং একমাত্র হাতিয়ার চাপাবাজি এবং এমন চিন্তাভাবনা যা মানবকল্যাণের একশো আশিভাগ উল্টোদিকে।
অবস্থা এমন জায়গায় যায় যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যুইটের নিচে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট বন্ধের নোটিস দেন। হিংসা ছড়ানোর মত অ্যাকাউন্ট লাল রঙে দাগিয়ে দেওয়া হয়। ফেসবুক কতৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য 'ব্লক' করছেন।
তবে এই ঘটনা দেখে বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের লাফালাফি করা উচিত হবে না। মনে রাখতে হবে, ট্রাম্প নির্বাচনে হেরেছেন, এই ঘটনার পরেও সেই ফল পাল্টাবে না। বাংলাদেশ হলে হলে এই ইলেকশন ট্রাম্প নিরংকুশ ভোটে জিততেন। এই ঘটনা মোটামুটি তামাম আমেরিকার বুদ্ধিজীবী মহলকে প্রতিবাদে মুখর করে তুলেছে। বাংলাদেশ হলে ৯৯৯% বুদ্ধিজীবী ট্রাম্পের পরম সুহৃদ হয়ে পাশেই থাকতেন। অন্তত পাঁচটি মার্কিন টিভি চ্যানেল দেখেছি, চরম ট্রাম্প সমর্থক বলে পরিচিত ফক্স নিউজও গলা উঁচিয়ে প্রতিবাদ করেছে। ফক্সের সঞ্চালক মুখ কালো করে বলছেন, "এমন দিন মার্কিন ইতিহাসের কলঙ্ক'- এ আমার নিজের দেখা। বাংলাদেশ হলে টিআরপি চুরি করা চ্যানেলটি এমন করবে- এটা কল্পনাতেও আসা উচিত না। সর্বোপরি বাংলাদেশ হলে এত হল্লাই হত না। মাখনের মতই মোলায়েমভাবে ট্রাম্পের সুহৃদ বাংলাদেশ সংসদ ভবনকেই নতুন করে বানানোর প্ল্যান নিতো এবং সুপ্রিম কোর্টও তাতে সবুজ সংকেত দিয়ে দিতো।
"এজ অফ রেভোলিউশন" বইয়ের একদম শুরুতেই হবসবম সাহেব বলছেন, "কিছু কিছু শব্দ একটা যুগের সঙ্গে সমার্থক হয়ে যায়। বিপ্লবের যুগের সঙ্গেও তেমনই জড়িয়ে আছে কিছু ইংরেজি শব্দ— ইন্ডাস্ট্রি, ফ্যাকটরি, মিডল ক্লাস, সোশ্যালিজম, রেলওয়ে, লিবারাল ইত্যাদি।"
এই যুগের সঙ্গেও তেমনই জড়িয়ে আছে একটাই শব্দ- 'পোস্ট ট্রুথ'। বাংলাদেশে এই পোস্ট ট্রুথের বিরোধিতা করা মানেই চলে আসবে- 'দেশদ্রোহীতা'। ফারাক একটাই- আমেরিকার গণতন্ত্র নিয়ে সর্বস্তরে প্রশ্ন উঠছে এবং এই প্রশ্ন তোলার অধিকারই মার্কিন গণতন্ত্রকে আবার পুরনো গৌরবে ফিরিয়ে আনতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন তুললেই দেশদ্রোহী দাগিয়ে দিয়ে বলবেন, "বাংলাদেশে গণতন্ত্র দরকারের চেয়ে বেশিই হয়ে গেছে!
(অনুরোধ করছি - এই লেখাটাকে কেউ রাজনৈতিক লেখা মনে করবেন না।)
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি যা বলেছেন সেসব আমি বললেই গুম... ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা এক গণ্ডা!
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই অরাজনৈতিক পোস্টে আলোচনায় নামাটা সুখের হবে না আমার মত অনেকের জন্য।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন বাঁচানো ফরজ।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ২০১৭ সালে আমি বলেছিলাম- সামনের দিন গুলোতে ট্রাম্প অনেক ভুল করবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমেরিকানদের উঁচু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিচু করে ফেলবেন।
আমেরিকার বিদঘুটে পররাষ্ট্রনীতি আর উগ্র জাতীয়তাবাদ আমেরিকানদের উন্নতিতে বাধা তৈরি করবে।
ট্রাম্প অনেক হিসাব নিকাশ পাল্টে দেবেন। অনেক মিত্র দেশকে রেডকার্ড দেখাবেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: যতটা খারাপ ভেবেছিলাম তার চাইতেও বেশি খারাপ ট্রাম্প।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এরিক হবসনের ইতিহাসের কালানুক্রমিক বিভাজন পড়ে ভালো লাগলো। তবে পোস্টের পরবর্তী অংশে যদি মোদিজিকে তুলনা করা যেতো তাহলে বলতাম ট্রাম্প যতই উন্নত বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তির অধিকারী বলে দাবি করুন না কেন, গণতান্ত্রিক বিষয়ে উনি মোদিজীর কাছে একেবারেই শিষ্য বা বোকার হদ্দ। "আমি মার্কিন আমরা হনু"- এই অহমিকাই ট্রাম্পকে ডুবিয়েছে।উনি যদি ইগোটাকে সাময়িক সরিয়ে মোদিজির কাছে দীক্ষা নিতেন-কোন যাদু মন্ত্রে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা যায়, তাহলে আজ উনার এই পরিণত হতো না।মোদিজির স্বপ্ন ভারতের প্রতিটি রাজ্যে গেরুয়াকরণ করার ;পাশাপাশি বিশ্ব জয় করারও। তবে এই জয়টা হল, ওনার রেসিপি প্রয়োগ করে বহিঃবিশ্বের একাধিক দেশে ক্ষমতাকে জন্ম-জন্মান্তর ভোগ করা।নেপাল দুষ্টুমি করায় মোদীজি তাকে খাদ্য রসদপত্রের সঙ্গে ওষুধ পত্র পাঠানোও বন্ধ করে যথাযথ শাস্তি দিয়েছেন।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত কোন বুদ্ধিমান দেশের এহেনো মোদীজির রেসিপি অনুসরণ না করা নেহাতই বোকামি। আপনি কি বলেন ভাইজান? হেহেহে.... তাই বলে সহস্রাব্দের বিস্ময় বা যুগাবতার মোদিজিকে নিয়ে হিংসা করবেন না বলে দিলুম।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: বর্তমান দুনিয়ায় ট্রাম্প মোদি এবং আরও দুই একজন মানব জীবনের স্বাভাবিকতা ধ্বংস করে দিয়েছে। আর কিছু বলার নাই।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গতকালে চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচন হয়েছে । দেখেছি কিন্তু জানের ভয়ে কিছু বলবো না
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন:
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: কেমন আছেন ভাইয়া? অনেক দিন আপনার সঙ্গে কথা হয় না। ভালো থাকবেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাইয়া। তোমার ফোন নম্বর হারিয়ে ফেলেছিলাম। সাজির কাছ থেকে আবার সংগ্রহ করেছি..... কাল সকালে ফোন দেবো।
শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫১
সাসুম বলেছেন: আম্রিকার সংসদে আইন প্রণেতা কারা আর আমাদের সংসদে আইন প্রণেতা কারা এটা দেখলেই তো বুঝা যায়।
একটা দেশের সংসদ আর মন্ত্রী সভায় মানুষের কোয়ালিটি দেখলেই বুঝবেন কোন দেশে কি হচ্ছে।
যে দেশের সব চেয়ে বড় চাউল এর গুদাম জাতকারী খাদ্য মন্ত্রী হোন, যে দেশের সব চেয়ে বড় মানব পাচার কারী আর তার বউ টাকার জোরে আইন প্রণেতা হোন, যে দেশে র কী বোর্ড ব্যবসায়ী জোর করে আই সি টি মন্ত্রনালয়ে বসেন, যে দেশের সংসদে খুনী, ডাকাত, চোর আর বাটপারে ভরা, যে দেশের সংসদের অধিকাংশ সদস্যা স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেন নাই, যে দেশের তথ্যমন্ত্রী একটা ঢাহা গোয়েবলসীয় মিথ্যুক, যে দেশের কয় টার্ম আগে ও খুনী রাজাকার রা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেশের সংসদের আর মন্ত্রিত্ব গিড়ি করেছে, যেই দেশের পি এম এর বাসভবন দেশের সব চেয়ে বড় দুর্নীতির ভবন নামে পরিচিত হয়েছিল, যেই দেশের জনপ্রতিনিধিরা জনগন কে মানুষ মনে না করে কুত্তার বাচ্চা মনে করে, যে দেশে হরতালের নামে গোটা জ্যন্ত মানুষ কে কক্টেল আর পেট্রোল বোমায় পুড়ে কয়লা বানায় দেয় রাজনীতিবিদ রা, যে দেশের মানুষ শিক্ষিত হওয়া মানে সার্টিফিকেট কেনা বুঝে, যে দেশের মানুষ বিলিভ করে চাঁদে কোন এক হুজুর গমন করতে পারে, যে দেশের মানুষ এখনো বড় আকারে বিশ্বাস করে ধর্ষনের জন্য মেয়েরাই দায়ী, যে দেশের ছাগল রা এখনো খুনী রেপিস্ট জেনোসাইড কারী দেশের জন্য প্রাণ কান্দে, যে দেশে এখনো ছাগলের দল কে খুনি কে নেতা বানায় , যে দেশের মানুষ কাসেম বিন আবু বককর এর গোলাপ এর সাধ জাগে'কে অমর কাব্যগ্রন্থ আর প্যরাটক্সিকাল মজিদ কে তাদের ধর্মগ্রন্থ ভাবে সেই উগান্ডায় গণতন্ত্র দিয়ে কি করব আমরা?
এম্নেই আছি, ভাল আছি।