নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি অন্যকিছু হতো.....

১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১২

যদি অন্যকিছু হতো.....

যত যত বিখ্যাত বই পড়েছি সেইসব বইয়ের নাম, প্রধান প্রধান চরিত্রগুলো মনের ভিতর চিরস্থায়ী হয়ে গিয়েছে। বইয়ের নাম, চরিত্রের নাম কতইনা সংগত! প্রায়শই ভাবি যে, 'বনলতা' সেনের কি অন্য কোনো নাম দিতে পারতেন জীবনানন্দ দাশ? যদি মৃণালিনী গুপ্ত, অঞ্জনা মালাকর কিম্বা ইন্দ্রাণী পোদ্দার নাম হত বনলতা সেন-এর পরিবর্তে তাহলে কি ওই কবিতা এতো বিখ্যাত হতো? রবীন্দ্রনাথের সোনারতরী, সঞ্চয়িতা, শেষের কবিতার লাবন্য, সুনীলে বরুণা, মানিকের কুসুম, শীর্ষেন্দুর ললিত, টলস্টয়ের আন্না কারেনিনা, হুমায়ুন আহমেদ এর মিসির আলি, হিমু- ছাড়া অন্য কোনো নাম ভাবা যায়!

একই ভাবে অনেক গানের কলিও তেমন। যেমন, "নদীর নাম সই অঞ্জনা, নাচে তীরে খঞ্জনা...", "তোমার চন্দনা মরে গেছে....", "মনে পড়ে রুবী রায় কবিতায় তোমাকে...," কিম্বা "হ্যালো বেলা বোস..... ",- ইত্যাদি ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে মার্কেজকে উল্লেখ করতেই হবে(আমি মার্কেজের প্রায় দশটি বই পড়েছি)। তাঁর গল্পে নায়ক বা নায়িকার নাম আসে একেবারে প্রথম বাক্যে, না হলে দ্বিতীয়টিতে।

যেমন 'অ্য ভেরি ওল্ডম্যান'... গল্পে প্রথম বাক্যেই দেখা দেয় নায়ক 'পেলায়ো'। 'ক্রনিকল অব অ্য ডেথ ফোরাটোল্ড' শুরুই হয়েছে নায়কের নাম দিয়ে 'নাদার'। 'ডেথ কনস্ট্যান্ট বেয়ন্ড লাভ'-এর নায়ক 'স্যাঞ্চেজ' আসে প্রথম বাক্যে। যেমন 'লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরা'য় দ্বিতীয় বাক্যে মার্কেজ নিয়ে এসেছেন 'ডা. হুভেনাল আরবিনো'কে। 'নিউজ অব অ্য কিডন্যাপিং'-এ প্রথমেই 'মারুজা পাচোঁ' আর 'বিয়াত্রিচ ভিলামিজার' এর নাম রয়েছে। এরকম আরও উদাহরণ দেওয়া যায়। যেমন ‘ওয়ান স্প্রিং আফটারনুন', 'হোয়াইল মারিয়া দে লা লুজ'...’ কিংবা ‘দ্য ফার্স্ট থিং সেনোরা প্রুডেনশিয়া লিনেরো নোটিশড’- ইত্যাদি।

মার্কেজের প্রথম বাক্যটাই অমোঘ। অন্তত তিনি তাই বলেছেন, ‘দ্য ফার্স্ট লাইন অলমোস্ট নকড মি অব দ্য বেড’। কিন্তু কথা শুধু প্রথম লাইন নিয়ে নয়, তারপর শব্দবুনন এত নিখুঁত হয় কী করে একজন লেখকের! হান্ড্রেড ইয়ার্সে ৪৪৮ পৃষ্ঠা কিংবা ক্রনিকলে ৩৪৮ পৃষ্ঠায় একটিও শিথিল বাক্য নেই। যেমন ‘ক্রনিকল-এর কথাই ধরা যাকঃ ‘হ্যাপি ফ্যামিলিজ আর অল অ্যালাইক, এভরি আনহ্যাপি ফ্যামিলি ইজ আনহ্যাপি ইন ইটস ওন ওয়ে’, জাস্টিফাই করতে করতে টলস্টয়কে লিখতে হল ৮৬৪ পৃষ্ঠা।

এতকথা লিখেছি যে কারণে তা হল এই, বাংলাভাষায় ওই একজন লেখককেই দেখতে পাই ‘যাঁর যেকোনো দেড়-দুলাইনের লেখাও আমার কাছে শিক্ষণীয় একটি বাচ্য নির্মাণ। একজন গদ্যলেখক কী করে পারেন তাঁর প্রতিটি বাক্যকেই অভূতপূর্ব ও মৌলিক করে তুলতে। তিনি জীবনানন্দ দাশ!!!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট

১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় চরিত্রের নামের থেকে লেখকের প্রাধান্য এখানে বেশি !!! যেমন মিসির আলীর নাম লেখক হুমায়ুন আহমেদ যদি আক্কেল আলী রাখতেন আমরা আক্কেল আলীতেই খুশি থাকতাম।

এমন অনেক অখ্যাত লেখক আছেন যাদের লেখার চরিত্রের নাম বেশ আকর্ষনীয় কিন্তু লেখক অখ্যাত তাই কে বা মনে রাখে তাদের সৃষ্টি !!!!

১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২০

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: হাজার বছর শুধু খেলা করে অন্ধকারে জোনাকির মতো:
চারিদিকে পিরামিড— কাফনের ঘ্রাণ;
বালির উপরে জ্যোৎস্না— খেজুর-ছায়ারা ইতস্তত
বিচূর্ণ থামের মতো: এশিরিয়— দাঁড়ায়ে রয়েছে মৃত, ম্লান।
শরীরে মমির ঘ্রাণ আমাদের— ঘুচে গেছে জীবনের সব লেনদেন;
‘মনে আছে?’ সুধালো সে— সুধালাম আমি শুধু, ‘বনলতা সেন।’

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২১

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: শোনা গেল লাসকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে— ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’লো তার সাধ

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৩

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন— যেন কোন্ বিকীর্ণ জীবন
অধিকার ক’রে আছে ইহাদের মন;
দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িঙের ঘন শিহরণ
মরণের সাথে লড়িয়াছে;
চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা-একা;
যে-জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের— মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা
এই জেনে।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো লিখেছেন, তবে খুব কঠিন মনে হলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: সবই সময় ও মানসিক অবস্থার প্রতিক্রিয়া।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি এটাও একটা কারন।প্রথম থেকে অন্যটা শুনলে এই প্রশ্ন আসতো না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ''এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দক্ষিনা বাতাসে-
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি,
-কাহারে সে ডাকে!''

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: কী অসাধারণ সুন্দর লেখনী!

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

বংগল কক বলেছেন: /:)

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যে নামে যেটা স্থায়ী হয়েছে অন্য নাম বেনামী ঠেকে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৭

মেহবুবা বলেছেন: নাম নির্বাচনে লেখক কবি কিছুটা বুদ্ধি বিবেচনা খরচ করেন বৈকি !
শেষের কবিতায় লাবণ্য এর নাম ভবতারিণী হলে যে গোল বেঁধে যেত সেটা ধরা যায় ।

জীবনানন্দ দাস কবিতার মত করে অনেক কঠিন কথা, অনেকের কথা সহজেই বলে গেছেন !

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১

কল্পদ্রুম বলেছেন: কিছু কিছু চরিত্রের সাথে নামগুলো এমনভাবে মিশে যায় যে ঐ চরিত্রগুলোর অন্য নাম হলে বেমানান মনে হবে। কোন কোন ফিকশন লেখকরা কেবল একটি নাম দিয়েই পুরো চরিত্রটি ভাবেন। আবার স্টিফেন কিং এর ব্যাপারে শুনেছি, উনি চরিত্রের নাম নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামান না। হুমায়ূন আহমেদকেও মিসির আলী, হিমু বাদে বাকী উপন্যাসগুলোতে চরিত্রের নাম নিয়ে খুব একটা পরিশ্রম করতে দেখা যায় না।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ধারণা, হুমায়ুন আহমেদ তাঁর উপন্যাসের চরিত্র গুলোর নামের ব্যাপারে একটা ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.