|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
গগণ হরকরার গল্প.... 
 
এক কবিয়াল বাউলের গল্প।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি ১৮৪৫-১৮৫০ এর মধ্যে শিলাইদহের কাছাকাছি আড়া পাড়া গ্রামে জন্ম হয় এই প্রতিভার। তার দেহতত্বের গানে লালনের প্রভাব উপলব্ধি করা যায়। তাঁর সময়কাল রবীন্দ্র এবং লালন সমসাময়িক এবং তথাকথিত না হলেও তিনি লালন সাইজীর অনুগামী  ছিলেন বলাই বাহুল্য। তাঁর নাম গগন চন্দ্র দাস, সাধারণ এক কৃষক পরিবারের ছেলে।যার নেহাতই ভালো লাগাছিলো লোকগান বা আঞ্চলিক মাটির গানের প্রতি! পেশায় তিনি পিওন অর্থাৎ চিঠি বিলির কাজ করতেন তাই গগন চন্দ্র দাস হয়ে উঠলেন গগন হরকরা। ডাক হরকরা থেকেই এই হরকরা শব্দটি গগনের নামের শেষে জুড়ে গেলো।
রবি ঠাকুর তার পৈত্রিক জমিদারি দেখাশোনা করতে  শিলাইদহে বহুদিন ছিলেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই তিনি গগন হরকরার গান শুনেছেন। তাঁর গগনের গান খুব পছন্দেরও ছিলো।
রবীন্দ্রনাথের লোকসঙ্গীত প্রীতি আমাদের সকলের জানা। কারণ তা না হলে তিনি তার গানে বিভিন্ন পাশ্চাত্য লোকগানের সুর ব্যবহার করতেন না। গগন হরকরার দুটি গানের সুরের সরাসরি প্রভাব রবি ঠাকুরের দুটি গানে প্রত্যক্ষ ভাবেই বিদ্যমান।
"ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে"  এবং "আমি  কোথায় পাবো তারে" গগন হরকরার এই দুটি  গান-এর সুর  থেকে অনুপ্রাণিত(নকল বলা সমুচিত হবেনা)রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন "যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক" এবং "আমার সোনার  বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি"।
বিংশ শতকের গোড়ার দিকে কুষ্টিয়ায় মৃত্যু হয় গগণ হরকরার।
হঠাৎ করে গগণ হরকরার বিষয় অবতারণা কেন করেছি আশা করি সচেতন পাবলিককে সেটা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার দরকার নাই।
 ১৫ টি
    	১৫ টি    	 +৩/-০
    	+৩/-০২|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  দুপুর ১২:২২
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  দুপুর ১২:২২
শায়মা বলেছেন: গগণ হরকরার নাম শুনলেই আমার মনে পড়ে সেই গানটা রানার ছুটেছে রানার। 
রবিঠাকুরের প্রিয় মানুষ ছিলো এই গগণ হরকরা।
মনে হয় অনেক ভালো মানুষও ছিলেন।
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:২৮
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: রবি বাবুর প্রিয় মানুষ ছিলেন বলেইতো গগণ হরকরার সুর টুকলিফাই করেছিলেন 
৩|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  দুপুর ১২:৩৯
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  দুপুর ১২:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাষ্ট্রীয়ভাবে গগন হরকরাকে জাতীয় সঙ্গীতের মুল সুরকার হিসাবে উল্লেখ করা উচিত। আর গানের কথার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বলা উচিত। গগন হরকরার নাম বাংলাদেশের খুব কম মানুষই জানে।
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:২৯
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: তেমনটা হলেতো একজন গুণী মানুষের কাজের স্বীকৃতি মিলতো।
৪|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  বিকাল ৪:৫৪
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  বিকাল ৪:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লাগল ইতিহাসটুকু জেনে
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:২৯
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:৪২
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:৪২
জগতারন বলেছেন: 
পূর্ব বাংলার মুসলমানদের পশ্চিম বাংলার হিন্দুরা বলতো "বাঙ্গাল" অর্থাৎ
মূর্খতারূপ ও অশিক্ষিত। অর্থাৎ এ অঞ্চলের মুসলমানরা অর্থনৈতিকভাবে নিষ্পেষিত।
অথচ তাদের উন্নয়নমুখি উদ্যোগ রূপে ১৯০০ সালের প্রথম দিকে যখন এ, কে ফজলুল হক
দেশ ভাগের উদ্যোগী হলেন তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাধা দিলেন এবং 
গগন হরকরা'র গানের সুর নকল করে  
"আমার সোনার বাংলা 
আমি তোমায় ভালোবাসি"
গান রচনা করলেন আর সেই গানই এখন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত (!) 
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৩০
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: পনার বক্তব্যের সাথে একমত।
৬|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  রাত ১০:০৭
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  রাত ১০:০৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @জগতারন,আপনার ব্যাখ্যা মানতে পারলাম না।বাঙ্গাল এলাকার মুলমানদেরই সুধু বাঙ্গাল বলতো একথা ঠিক না।হিন্দু মুসলমান সবাইকেই বাঙ্গাল বলতো।এখনো কলকাতায় এপারের যে সকল হিন্দুরা আছে,তাদের কে স্থানিয়রা বাঙ্গালই বলে।বাঙ্গালরা ওদের বলে ঘটি।প্রাচীন কাল থেকে দক্ষিন পশ্চিম এলাকাটা বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল।অধিবাসীদের বলা হতো বাঙ্গাল।
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৩২
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার জানা ও দেখামতে 'বাংগাল' তাচ্ছিল্য করে বলা হয়। অন্যদিকে 'ঘটি' বলা হয় ওদের মীন-মাইণ্ডের জন্য।
৭|  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  রাত ১২:২৯
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  রাত ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: গগণ হরকরাকে নিয়ে আমি আমার ''বিকল্পহীন রবীন্দ্রনাথ'' বইতে বিস্তারিত লিখেছি।
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৩৪
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: বইটা 'উপহার' পেলে পড়তাম(তবে শর্ত থাকবে 'জোড়জবরদস্তি উপহার' লিখে অটোগ্রাফ দিতে হবে 
৮|  ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১  রাত ১২:২০
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১  রাত ১২:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার বক্তব্য ছিল সুধু মুসলমানদের বলতো না ,হিন্দু মুসলমান সবাইকেই বলতো। তাচ্ছিল্য করেই বলুক আর প্রসংশা করেই বলুক ।
  ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১১:০৩
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৫২
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১  সকাল ১০:৫২
উদারত১২৪ বলেছেন: হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর লাশ চুরি করতে এসে যেভাবে ধরা পড়লো ইহুদিরা । এরপর যা হলো দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=N8GyO0pYTT8