নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানির শস্য রূপালি ইলিশ........

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮

পানির শস্য রূপালি ইলিশ........

পাবলিক এবার শস্তায় কিনবে ইলিশ আর রাধবে "ইলিশ পাতুরি", সর্ষে ইলিশ, ভাঁপা ইলিশ, স্মোকড্ হিলশা, হিলশা ফ্রাই, ইলিশ বিরিয়ানি বা আরও যা চায় মন। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত - সবার রান্নাঘর ভরে উঠবে ইলিশের সুঘ্রাণে।
২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার পর ৪ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে হাজার হাজার মাছধরা নৌকা ট্রলার নেমেছে ইলিশ শিকারের। লকডাউনে জাহাজ, স্টিমার, লঞ্চ, ট্রলার বন্ধ থাকায় নদীর পানি দূষণের মাত্রা কমেছে। ফলে অন্যান্য মাছের মতো নিরাপদে ইলিশের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে। পাশাপাশি বেড়ে ওঠার সময়ও মিলেছে অনেকটা। এই মরশুমে জাটকা ইলিশ তেমন ধরা হয়নি। তাই মৎস্যবিজ্ঞানীরা আশা করছেন এবার নদীর মোহনা ও সমুদ্র উপকূলভাগ ইলিশের অভয়ারণ্য হয়ে আছে। ইলিশ শিকারের আদর্শ পরিবেশ এ বছর। শত শত টন ইলিশ ধরা পড়বে জেলেদের জালে তেমনই প্রত্যাশা।

সারা পৃথিবীতে প্রাপ্ত মোট ইলিশের ৬৫ ভাগই বাংলাদেশে ধরা হয়। ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে ১৫% ও মায়ানমারে ১০% ধরা পড়ে। বাকি ১০% পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, ওমান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এইসব দেশে পাওয়া যায়। তবে স্বাদ ও গন্ধের বিচারে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ মাছই বিশ্বসেরা। মোটামুটি ৫ প্রজাতির ইলিশ পাওয়া যায় পৃথিবীতে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে যে প্রজাতির ইলিশ পাওয়া যায় তার জীববৈজ্ঞানিক নাম টেনুয়ালোশা ইলিশা (TENUALOSA ILISHA)। এই প্রজাতির ইলিশই সর্বাপেক্ষা সুস্বাদু।

অ্যানাড্রোমাস(ANADROMOUS) প্রজাতির মাছ। অর্থাৎ এরা লবনাক্ত পানির মাছ হলেও ডিম পাড়ে মিঠা পানিতে। ডিম ছাড়বার সময় হলে এরা স্ত্রী - পুরুষ দল বেঁধে সমুদ্রের দু'তিন হাজার কিলোমিটার দূর থেকে নদীর মোহনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ইলিশ দিনে মোটামুটি ৭০ - ৮০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে। আমাদের সৌভাগ্য এই জাতের ইলিশ বঙ্গোপসাগরকে বেছে নেয় ডিম পাড়বার সময়। ডিম ছাড়ার সময় ১০০০-১২০০ কিলোমিটার অব্দি নদীর উজানে চলে যায় মাছেরা। সমুদ্রের প্রবল ঢেউ ও লবনাক্ত পানিতে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরুতে পারেনা। তাই এই নদীগমন। এই আসা ও ডিম পাড়া শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাস থেকে। চলে ডিসেম্বর অব্দি। আর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এই চার মাস ইলিশের বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সময়। একটি স্ত্রী ইলিশ গড়ে ৫ লাখ ডিম পাড়ে। এর ৫ শতাংশ টিকে থাকলেও ২৫ হাজার ইলিশের পোনা জন্মায়।

ভারত ও বাংলাদেশের যে সমস্ত নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে, সেই সব নদীর মোহনায় এসে উজান ধরে এগোয় এই রূপোলি মাছের ঝাঁক। বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, বিষখালি, মধুমতী, কর্ণফুলি, পশ্চিম বংগের গঙ্গা, গোদাবরী, রূপনারায়ণ, খাকদোন ছাড়াও আরও নানান নদী। বাংলাদেশে মৎস্য অধিদপ্তরের বিবিধ পরিকল্পনায় ও বিধিনিষেধের ফলে পদ্মা মেঘনা হয়ে উঠেছে ইলিশের অভয়ারণ্য। পৃথিবীতে এখন বছরে মোটামুটি ৮ লক্ষ টন ইলিশ ধরা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ ২০ হাজার টন ইলিশই বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। ১ লক্ষ ২০ হাজার টন ভারতে (এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষ টন ) ও মায়ানমারে ৮০ হাজার টন। বাকি ৮০ হাজার টন পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে। ইউরোপ, আমেরিকা বা অষ্ট্রেলিয়াতে ইলিশ জাতীয় কিছু মাছ পাওয়া যায় যেগুলোর নাম শ্যাড, সার্ডিন, পিলচার্ড এইসব। তবে এগুলো স্বাদে গন্ধে ইলিশের ধারে কাছে আসতে পারে না।

ইলিশ যতো উজান ধরে এগোতে থাকে ততো তার শরীর থেকে সামুদ্রিক গন্ধ ও নোনা ভাব কমতে থাকে। মিষ্টি জলে শরীরে জমতে থাকে চর্বি। শরীর পুরু হতে শুরু করে, সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে ঔজ্জ্বল্য। উত্তাল সমুদ্রের ইলিশ হয় লম্বা ও সরু। সাথে নুনের ক্ষারে চেহারা থাকে ফ্যাকাশে। খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হয় ইলিশের এই সময়। সমুদ্রে সাধারণত ছোট ছোট জলজ প্রাণী খেয়ে বাঁচে ইলিশ। কিন্তু নদীতে এলে তখন প্ল্যাঙ্কটোন জাতীয় ক্ষুদ্র জলজ উদ্ভিদ খাওয়া শুরু করে ইলিশ। এতেও শারীরবৃত্তীয় একটা পরিবর্তন আসে এই রূপালি শস্যের। এইসব কারণে ইলিশ হয়ে ওঠে স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। ইলিশের শরীরে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ফসফরাস, অ্যামিনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এইসব। এতে হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্কের কোষ ও হাড় সবল হয়। কোলেষ্টরল কমায় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটি কমায় বলেও শোনা যায়।

বাংলাদেশ ইলিশের জি আই অর্থাৎ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন পেয়েছে। বরিশাল, বরগুনা ও চাঁদপুর জেলায় সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্টমানের ইলিশ পাওয়া যায়। চাঁদপুরকে বলা হয় ইলিশের বাড়ি। চাঁদপুর জেলায় পদ্মা যমুনা আর মেঘনা এই তিন নদী একসাথে এসে মিলে তারপর বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। আর বরিশাল ডিভিশনের বরগুনা জেলায় জেলাওয়াড়ী হিসেবে সবচেয়ে বেশী পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ে। সেইজন্য বরগুনাকে বলে ইলিশের জেলা।
সুষ্ঠু নীতি ও পরিকল্পনার অভাবে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ উৎপাদন শোচনীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে পশ্চিম বংগের ইলিশ মাছ প্রিয় বাংগালীদের ইলিশ রসনা তৃপ্তির জন্য চোরাই ইলিশ প্রধান ভরসা। ইলিশ মাছ মোটামুটি এশীয় মহাদেশেরই মাছ। এদের বিচরণ ক্ষেত্র চীন সাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর, পারস্য উপসাগর, বঙ্গোপসাগর ছাড়াও মায়ানমারের ইরাবতী নদী, ইরাক ইরানের টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী, পাকিস্তানের সিন্ধু নদ ও ভারত বাংলাদেশের নানান নদনদী।


এখানে একটি বিষয় খোলসা করে বলা দরকার। ব্যাপারটি নিয়ে একটু ভ্রান্ত ধারণাও আছে অনেকের। ভারত ও বাংলাদেশে বছরে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা হয় তার অর্ধেকেরও বেশী সমুদ্রের উপকুলবর্তী অঞ্চল থেকে ধরা হয়। কিন্তু এটি নিয়ে নাক সিঁটকোনোর কিছু নেই। নদীর মাছ অবশ্যই বেশী স্বাদিষ্ট। তবে সমুদ্র উপকুলবর্তী এই মাছেরও একটি ইতিহাস আছে। ইলিশের মরশুমে সমুদ্রের উপকুল থেকে প্রায় ১৫০ - ২০০ কিলোমিটার গভীর অব্দি ইলিশ মাছ ধরা হয়। এগুলোও যথেষ্ট স্বাদে গন্ধে সমৃদ্ধ। আসলে ইলিশের একটি জীবনচক্র আছে। ইলিশ জন্মায় নদীর মিষ্টি জলে। কিছুকাল পর শারীরবৃত্তীয় কারণেই দল বেঁধে ধীরে ধীরে সমুদ্রে চলে যায়। এটাতে ৩ - ৪ মাস সময় লাগে। এই বিভিন্ন দলের সাথে বড় ইলিশও থাকে। নদী থেকে সাগরে এসে ধাতস্থ হতে এই সব বাচ্চা ইলিশের আরো ২ - ৩ মাস সময় লাগে। এইসব ইলিশের দল তখন উপকুলের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে। এইসব ইলিশের ওজন তখন হয় ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মতো। অবশ্য প্রচুর বড় ইলিশও থাকে এইসমস্ত দলে। এদের গায়ে তখনও নদীর স্বাদ গন্ধ। সমুদ্র থেকে এইসব ইলিশ মাছই ধরা হয়। উপকুলে ২ - ৩ মাস কাটিয়ে এরা ফিরে যায় গভীর সমুদ্রে। খাঁটি সামুদ্রিক ইলিশও অবশ্য কিছু থাকে এরমধ্যে। তারপর আবার সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে ফের পাড়ি দেয় এরা নদীর উদ্দেশ্যে ডিম পাড়বার জন্য। এটাই ইলিশ মাছের জীবনচক্র। ইলিশের গড় আয়ু কমবেশী ৪ বছর।

প্রাচীন সংস্কৃত বা বাংলা সাহিত্যে ইলিশ নিয়ে খুব একটা লেখা নেই। কিছু কিছু জায়গায় শুধু উল্লেখ আছে। এমন কি রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, নজরুল বা জীবনানন্দের রচনাতেও ইলিশ ব্রাত্য। বুদ্ধদেব বসু বা সৈয়দ মুজতবা আলির লেখায় অবশ্য ইলিশের গুনগান আছে প্রচুর। মুজতবা আলি বলেছিলেন ম, 'বেহেশতে ইলিশ পাওয়া যাবে কি না জানিনা...অতএব....... '। এখনকার সাহিত্যে অবশ্য ইলিশের ওপর প্রচুর লেখালেখি আছে। ইলিশের সাথে এখন অর্থনীতিও জড়িত। আশা করা যাচ্ছে গেলো কয়েক মাসের মতো চলতি বছরটা বাঙালির রান্নাঘরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের সুঘ্রাণ পাওয়া যাবে।

(ফেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল গিয়েছিলাম, তখন জেলেদের ইলিশ মাছ ধরার ছবি তুলে ছিলো আমার ছোট ছেলে)

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ইলিশ শিকারিরা হতাশ ইলিশ না পেয়ে । কেন এমন হল জানিনে , লঞ্চের ভাড়া , বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারনে কিনা :-B

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বাজার ইলিশ শুন্য! আমাদের দেশে যখন ইলিশ ধরা বন্ধ তখন প্রতিবেশী দেশের মাছ চোরেরা আমাদের দেশের জলসীমায় ঢুকে দেদারছে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে-তার প্রতিক্রিয়া।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: না ইলিশ নিয়ে ভাল লেখেছেন অনেক কিছু জানাগেলো তবে ২০টাকা দিয়ে ইলিশ কিনেছিলাম কি স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে---

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহা ইলিশ!!
দাদাদের জন্য কম দাএই উপহার যায়, আমার জন্য তেমন কমে না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: এদেশের সবকিছুর উপর দাদাদের পূর্ণ অধিকার থাকলেও এদেশের আমজনতার কিছুই নাই! ব্যবসায়ীদের মতেই- সাড়ে চার হাজার টন ইলিশ রপ্তানীর আড়ালে ২০ হাজার টন ইলিশ পাচার হয়েছে।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তবু কেন যে বাজারে ইলিশ এর এত দাম থাকে !!!!

তাজা ইলিশের ছবি দেখে ভালো লাগলো। সূর্য়ের আলো পেলেই ইলশ মরে যায়।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ইলিশ যা ধরা পরে তার ৯০% চলে যায় ইন্ডিয়ায়। সাড়ে চার হাজার টন ইলিশ রপ্তানীর আড়ালে ২০ হাজার টন ইলিশ পাচার হয়েছে। আমাদের দেশে ইলিশের দাম গড় কেজি ১২ শত টাকা হলে ইন্ডিয়ায় সর্বচ্চ কেজি ৭ শত রুপী।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু ভাই ইলিশের স্বাদ কমে গেছে। সেই আগের স্বাদ নেই।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: মিঠা পানির নাব্যতা এবং মাছের খাদ্যাভ্যাসের জন্য এমনটা হয়েছে।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫১

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: তথ্যনির্ভর সুন্দর লেখনী। প্রবাসে বাসে মাঝেমধ্যে ইলিশের স্বাধ পাই তবে তা চড়ামূল্য। এখানে একটা মাছ আছে নাম "তাকওয়া" যেটাকে দেশীয় নামে "সুরমা মাছ" বলে শুনেছি। স্বাধে অনেকটা ইলিশের মতোই।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সুরমা মাছ আমিও খেয়েছি তবে ইলিশের স্বাদ পাইনি। আমার কাছে স্বাদ কিছুটা মিষ্টি মনে হয়েছে। ইলিশ মাছের সমগোত্রীয় কিছু মাছ পাওয়া যায় যেমন- সার্ডিনা, চন্দনা ইত্যাদি। তবে ওগুলোয় কোনো প্রকাশ ইলিশের স্বাদ নাই।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটা একটা ভালো উদ্যোগ। ইলিশ মাছ বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটা আশীর্বাদ স্বরূপ। অন্য কয়েকটা দেশে ইলিশ কিছু পাওয়া গেলেও এত স্বাদ হয় না। ইলিশ মাছ আমার অনেক প্রিয় ( আমার ধারনা সবারই প্রিয়)।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। আমার অবশ্য ইলিশ মাছের চাইতেও বেশী পছন্দ ইলিশ মাছের ডিম!

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যে কোন কারনেই হোক ইলিশ মাছ আমার খুব প্রিয় না। আমি এক বেলার বেশি ইলিশ দিয়ে খেতে পারি না।আর এতো বেশি কাটা ( প্রায় ১০ হাজার)যা আমার বিরক্ত লাগে।কাটা কম এমন মাছ আমার প্রিয়।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: কাটাওয়ালা মাছ আমারও খেতে ঝামেলা হয়, তবুও ইলিশ মাছ প্রিয় বাংগালী আমি।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @রাজীব নুর, ইলিশ মাছের স্বাদ কবে থেকে কমেছে।আমি প্রায় ৬৫ বছর বছর আগে থেকে শুনে আসছি ইলিশ মাছের স্বাদ আর নাই।আপনি নিশ্চয় ৬৫ বছর আগের কথা বলছেন না।তবে ছিলটা কবে।

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @রাজীব নুর, ইলিশ মাছের স্বাদ কবে থেকে কমেছে।আমি প্রায় ৬৫ বছর বছর আগে থেকে শুনে আসছি ইলিশ মাছের স্বাদ আর নাই।আপনি নিশ্চয় ৬৫ বছর আগের কথা বলছেন না।তবে ছিলটা কবে।

আমি বলেছি, ১৯৯৫ সালের পর থেকে ইলিশের স্বাদ কমতে শুরু করেছে। আব্বা বরিশাল, চাঁদপুর থেকে ২৫/৩০ কেজি ইলিশ আনতো। আত্মীয় স্বজন সবাইকে দিতো।

১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ইলিশের উপর রুরুত্বপুর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ একটি নিবন্ধ ।
ইলিশের জীবন চক্র, এর বংশ বিস্তার এবং
জীবনের বিভিন্ন সময়ে এদের বিচরণ ক্ষেত্র ,
কোন সময়ে কত বয়সে ইলিশের ওজন কেমন
হয় তা জানা গেল । বাংলাদেশে মানুষের পুষ্টি চাহিদা
পুরণের সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিতে এর অবদান
আরো বৃদ্ধি করার জন্য সরকারী বেসরকারী
পর্যায়ে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে
আরো সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ ও অব্যাহত রাখার
জন্য নীতি নির্ধারকদের কাছে এই নিবন্ধটিতে
থাকা তথ্য সমুহ অনেক সহায়তা করবে বলে
মনে করি ।
ইলিশের ছবিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে ,
আপনার গুণধর ছোট ছেলের প্রতিও
রইল একরাশ শুভকামনা ও আদর ।

গুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ডঃ এম এ আলী ভাই।

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ নিয়ে বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছি, ভবিষ্যতে এই নিয়ে বিশদ আকারে লেখার আশায়
আপনার দেয়া কিছু তথ্যও কাজে লাগবে :)

ছবি আর লেখা সবমিলিয়ে চমৎকার!

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.