নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শাড়ী....
শাড়ী নিয়ে আমার কৌতূহলের সীমা নেই। অনেক কবি সাহিত্যিক শাড়ী নিয়ে গান, গল্প কবিতা, সাহিত্য রচনা করেছেন। জীবনানন্দ দাশের 'শাড়ি' গল্প, সমরেশ বসুর "টানা পোড়েন" উপন্যাস আর বাণী বসুর "উত্তরসাধক" উপন্যাসটিও শাড়ি নিয়ে। বিখ্যাত লেখিকা টনি মরিসনের বিখ্যাত বই ‘দ্য ব্লুয়েস্ট আই’র উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য শাড়ী। বছর দুই আগে শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি মেয়েদের চিরাচরিত পোশাক শাড়ী নিয়ে লিখতে গিয়ে সৌন্দর্যের মানদণ্ডের যে বিনির্মাণ করেছেন এবং বর্ণনায় ও অভিব্যক্তিতে নারীর সৌন্দর্যের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন- সেটা নিয়েতো দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল!
রতা কাপুর "শাড়িস: ট্র্যাডিশন অ্যান্ড বিয়ন্ড" নামে প্রায় হাজার পৃষ্ঠার বই লিখে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের লেখিকা হোসনে আরা 'শাড়ী' নামে একটা বই লিখেছেন কয়েক বছর আগে। প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান স্যার তাঁর যায়যায়দিন পত্রিকায় 'শাড়ী' নিয়ে লেখার প্রতিযোগিতা আহবান করেছিলেন -যেখানে যায়যায়দিন পত্রিকার পাঠক লেখক হিসেবে আমিও একটি লেখা লিখে পাঠক এবং সম্পাদক স্যারের খুব প্রসংশা পেয়েছিলাম!
শাড়ী নিয়ে আমার ব্যক্তিগত জীবনে একটা দু;খ, কষ্ট, বেদনা এবং কঠিন একটা জেদ এর ঘটনাও ঘটেছিলো -যা এখানে বলে শাড়ীর কলেবর বৃদ্ধি করতে চাইনা।
জীবনানন্দ দাশের 'শাড়ি' গল্পটার কথা মনে পড়ে।তেমন কিছুই তো নেই গল্পটার মধ্যে তবু কেমন যেন মর্মভেদী। হৃদয় এফোড় ওফোড় করে দেয়। ১৯৩২-এ লেখা গল্পটি মূলত একজন স্বামী ও স্ত্রীর গল্প।
কেমন স্বামী রণজিৎ?
যে কার্যত স্বীকার করে নেয় 'অমানুষ'-এর বংশ তার, 'রাবনের বংশও এমন নচ্ছার ছিল না'। সকাল থেকে 'জীবন যুদ্ধে হারতে বসা' রণজিৎ জরুরি কিছু চিঠি লিখতে বসেছে, যদিও জানে, লিখে কী হবে, প্রতিটি অক্ষর লেখা হবার পরই মৃত্যু এসে যেন তাকে গিলে খাচ্ছে।
আর কেমন স্ত্রী ঊষা?
এই মুহুর্তে তার আব্দার, বাপের বাড়ির ছোটো ছেলেটা পরীক্ষা শেষে মুঙ্গের থেকে এসে ক'দিন ঘুরে যাক। আর এই নিয়েই তাদের মনোমালিন্য, মান-অভিমান ও তর্কবিতর্ক। এবাড়িতে রণজিৎ কাউকে আনতে চায় না কারণ নিজেই সে প্রায় বহিরাগত। এবং টাকা কোথায় যে তারা আলাদা সংসার পাতবে। ঊষা রাগে অপমানে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে- এই নিয়েই গল্পের শুরু।
জীবনানন্দ লিখছেন,'রক্ষা যারা করবে তাদের জাত আলাদা'। তো তাদের এই মলিন দাম্পত্য কলহ থেকে রক্ষাকর্তাটি কে'?
বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড়ের মস্ত গাঁটরি নিয়ে শাড়ি বিক্রি করা যার পেশা সেই বুড়ো কাপড় ফেরিওয়ালা বিরেশ্বরবাবু। 'বউমা কাপড় এনেছি, বউমা, কোথায় গো বউমা!'
বিরেশ্বরবাবুর ডাক যাতে ঊষার কানে পৌঁছায় তার জন্য রণজিৎ ঊষার বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে, 'গাঁটরি খুলবেন, তাতে আবার এত কথা, কচি কলাপাতা রঙের একরকম শাড়ি বেরিয়েছে বাজারে, উঃ কি ফাইন, কল্পনা করতে পারা যায় না যে মানুষ বুনেছে'।
অতঃপর যা হবার তাই হল। ঊষা বাইরে এল এবং শাড়ি নিয়ে বিরেশ্বরবাবুর সঙ্গে সংলাপে মেতে উঠল।মুখে তার বিরক্তি, হতাশা ও নিষ্কিয়তার বিন্দুমাত্র নেই। বাপের বাড়ির সেই ছেলেটির জন্য দুঃখ কখন যেন উবে গেছে। শাড়ির গাঁটরির প্রতি লোলুপতায় ঊষার মন ভরে ছিল। বেনারসী ও মুর্শিদাবাদী সিল্কের দরদামে সে মেতে উঠল।
রণজিতের মধ্যে আমরা যেন জীবনানন্দর কন্ঠস্বর শুনতে পাই। মেয়েদের এই দারুণ স্পৃহা, জীবনের যে কোনও কামনার জিনিসের জন্য, যেমন করে বাঘিনী সন্তানের সঞ্চার গর্ভে গ্রহণ করে। ঊষার হিংস্র লিপ্সার সামনে নিজের ধীরস্থির ঠাণ্ডা কল্পনার জীবনকে অলীক মনে হচ্ছে লেখকের। নিজেকে মানুষ বলেই মনে হচ্ছে না। ঊষা যেমন গভীরভাবে মানুষ।
গল্পটা এখানেই শেষ। প্রশ্ন জাগে, জীবনানন্দ কেন 'কামনার জিনিস' হিসেবে শাড়িকেই বেছে নিলেন।আসলে শাড়ির সঙ্গে মহিলাদের দীর্ঘ সারে চার হাজার বছরের সম্পর্ক। গাঙ্গেয় উপত্যকায় গড়ে ওঠা সভ্যতার সঙ্গে শাড়ির প্রথমদিন থেকেই সম্পর্ক ছিল।মহেঞ্জোদারোর পুরোহিতের তিন পাট্টা পোশাক ইঙ্গিত করে সেই যুগে সুতো কাটা ও বোনার চল ছিল। শাড়ি শব্দটিই তো এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'শাটী' থেকে যার অর্থ টুকরো কাপড়। বৈদিক সাহিত্যে আমরা দুই টুকরোর পরিধান লক্ষ করি। অন্তরীয় ও উত্তরীয়। বৌদ্ধ সাহিত্যে তিন টুকরো কাপড়ের উল্লেখ পাই। সাত্তিক বা শাড়ি, উত্তরিয়া ও স্তনপাট্টা।
রামায়ন ও মহাভারতে বারবার শাড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। মুক্তো খচিত বর্ডারের শাড়িকে বলা হত মিনিচিড়ি শাড়ি। জনক রাজা সীতা সহ দুই মেয়েকে শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। সেলাই বিহীন প্রথম বক্ষবন্ধনী কাঞ্চুকী মহাভারতেই পাওয়া যায়। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ ও শাড়ি কীভাবে তাকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করল সে গল্প তো পরিচিত। মহাভারত ও রামায়নে নারীরা শাড়ি পড়ত গোড়ালি অবধি। মগধ(৬৮৪-৩২০ খ্রি.পূর্ব), মৌর্য(৩২০-১৮৫ খ্রি.পূর্ব) ও কুষাণ(১৩০ খ্রি.পূর্ব -১৮৫ খ্রিস্টাব্দ) যুগে বারবার আমরা শাড়ির উল্লেখ পাই।
গুপ্তযুগে(২৪০-৬০০) অজন্তার ২৮টি গুহার বেশিরভাগ তৈরি হয়েছে। কবি কালিদাসের রচনায় শাড়ি রীতিমতো একটি বিষয়। 'বিক্রমোর্বশীয়ম' নাটকে রাজপুত্র ও রাজকন্যা দুইয়েরই কাপড় পরিধানের উল্লেখ আছে।
তারপর শাড়ি আর ব্যক্তিগত খেয়াল ও মর্জির ওপর নির্ভর রইলো না। 'আইন-ই-আকবর' গ্রন্থে আমরা কারখানার উল্লেখ পাই, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাপড় তাঁতীরা বুনছে। বাংলার জামদানী শাড়ি মুঘল সম্রাটদের বরাবরই আকৃষ্ট করেছে। বাবর, আকবর ও শাহাজাহান কেউ-ই এর ব্যতিক্রম নয়। এই দেশের মসলিন গাড়ী বিশ্ববিখ্যাত সেকথা বলাই বাহুল্য!
টিপু সুলতান এক নতুন ধরনের বুনন প্রচলন করেন।কটন ও সিল্কের জটিল মিশ্রনে তৈরি 'হিম্রু'। তাঁর সময়ে দক্ষিণ উত্তর ও পূর্ব ভারতে অনেক পারদর্শী তাঁতি তৈরি হয়েছিল। কবিরের(জন্ম ১৩৯৮) কথা তো আমরা জানি। এই ভক্ত কবি বেনারসের একজন তাঁতি ছিলেন।তিনি তাঁর দোঁহায় তাঁত বুননের সঙ্গে ঈশ্বর সাধনার তুলনা করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-৪৫) সময় বস্ত্রের অভাব ঘটাতে ভারতীয়রা হ্যাণ্ডলুম শাড়ি ও ধুতির কাছে ফিরে গেল। ১৮৯৬-তে এডগার থার্সটন হ্যাণ্ডলুমের শাড়ির ডিজাইন নকল করে মিলে সস্তার কাপড় উৎপাদন শুরু করেছিলেন। গান্ধীর স্বদেশী আন্দোলনও ভারতীয় মহিলাদের শাড়ির কাছে নিয়ে গেছে। শাড়িকে তারা নিজেদের 'স্থায়ী পরিচয়ের প্রতীক' হিসেবে ভাবতে শুরু করল।
যুগ ও কাল বদলের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ি পরিধানের ধরনও পালটেছ। প্রাচীন যুগে শুধু কোমরবন্ধে শাড়িকে আটকে পরিধান করা হত। তারপর এল নাভি গোপন করবার বিধান। পেটিকোট ও ব্লাউজ তো সাম্প্রতিক কালের ঘটনা। ব্লাউজ ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন ভাবে কীভাবে শাড়ি পরিধান করা যায়,আমাদের আগের যুগের মানুষেরা দেখে থাকবেন। আবার শাড়ি বিবর্তন হয়ে অন্য রূপ নিয়েছে তাও দেখা যায়।
ভালো মন্দ দোষ গুণের বিচার করবার জায়গা এটি নয়। আমি শুধু বলতে চাইছি এই শাড়িরও একটি নিজস্ব যাত্রাপথ আছে। আছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক এক ইতিহাস। আছে শিল্প ও শিল্পীর ইতিহাস। জীবনানন্দর এই 'কামনা' নিয়ে ভালটার বেনইয়ামিনও ভেবেছিলেন। তাঁর প্রবাদপ্রতিম গ্রন্থ 'দ্য আর্কেড প্রজেক্ট' এককথায় মানুষের এই বস্তুকামের পথে যাত্রার ইতিহাস। জীবনানন্দ 'হিংস্র লিপ্সা' শব্দটি খুব ভেবেই লিখেছিলেন। একটা ডিসকোর্স তিনি তৈরি করতে চেয়েছেন।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনারা বাংগালী পরিবার নয়?
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাঙ্গালী, বাংলাদেশী সব। মা শাড়ী পরতেন। শাশুড়ীও শাড়ী পরেন। কিন্তু স্ত্রী ও কন্যারা শাড়ী পরে না। তবে ওরা কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পরে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাংলার শাড়ির ইতিহাসও কম নয়।
আমাদের ব মুসলিন, জামদানী, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল তাঁত, মিরপুর বেনারসী বা কাতান বা মনিপুরী শাড়ি এসব তো পৃথিবী বিখ্যাত।
শাড়ির উপর আমার বিশেষ গবেষনা আছে আর আমি শাড়ি পরতেও দারুন ভালোবাসি।
যদিও ইন্ডিয়ান পাকিস্তানী শাড়িও কম সুন্দর নয় তবুও আমি দেশীয় শাড়ি ছাড়া পরি না।
যতদূর সম্ভব কেউ গিফ্ট না করলে বা খুব কারণ না থাকলে ইন্ডিয়ান শাড়ি পরি না আমি।
আমি বাংলাদেশের নারী
পরি বাংলাদেশের শাড়ি।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: স্যালুট।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেফিক রহমান তো দুষ্ট লোক, উহা আবার স্যার হয়ে গেলো কখন?
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সম্মানীত, শ্রদ্ধেয় কাউকে শ্রদ্ধা করলে নিজের সম্মান বাড়ে বৈ কমেনা।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শাড়ীতে নারীকে অনন্য লাগে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার চোখেও।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনানন্দের শাড়ি গল্পটা আমার পড়া হয়নি। গ্রেট মিসটেক হয়েছে।
ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: শাড়ি গল্পটা সময় করে পড়বেন-খুব ভালো লাগবে।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যুগ ও কাল বদলের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ি পরিধানের ধরনও পালটেছ।
আগামীতে আরো পালটাবে
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: তাইতো হচ্ছে।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সম্মানীত, শ্রদ্ধেয় কাউকে শ্রদ্ধা করলে নিজের সম্মান বাড়ে বৈ কমেনা।
-শেফিক রহমান একজন বাটপার, উহা সন্মানিত কেহ নয়।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি যদি বলি আপনিই বাটপার সেটা কেউ বিশ্বাস করবে?
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শাড়ি আর লম্বা ঘন চুল ছাড়া বাঙালি নারীর কথা চিন্তা করা যায় না।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার জীবনে আমি প্রথম শাড়ি কিনি সুরভির জন্য। এখনও মনে আছে বেলীরোড থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের বিয়ের একমাস পর আমি ৩৬৫ খানা শাড়ি কিনে আমার শশুর বাড়ি পাঠিয়েছিল.....
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ৯৩ সাল হতে যায়যায় দিনের বিশেষ সংখ্যার একটাও বাদ রাখিনি পড়া ছাড়া। মনে আছে শাড়ি নিয়ে বিশেষ সংখ্যার। এই যায়যায় দিন শত শত সৃজনশীল লেখক সৃষ্টি করেছে তার ভিতর আপনিও একজন।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি নিজেকে সৌভাগ্যের অধিকারী মনে করি কারণ, আমি যাযাদি তে লিখতাম।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শাড়ি পরলে মেয়েদের দেখতে বেশী ভালো লাগে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমারও।
১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৪
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: বাহ ! দারুণ লিখেছেন জুল ভার্ন ভাই।
একদা শাড়ী নিয়ে আমিও একটি ব্লগ লিখেছিলাম। ইচ্ছ হলে পড়ে দেখতে পারেন।
view this link
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কেমন আছেন আপনি? আপনাকে ব্লগে দেখে আমাদের সেই হারানো দিনের সামু ব্লগের আমেজ অনুভব করছি। আপনার লেখাটা অবশ্যই পড়বো। এখন মোবাইল থেকে লিখছি তাই সমস্যা হচ্ছে। শুভ কামনা।
১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শাড়ী নিয়ে আমার ব্যক্তিগত জীবনে একটা দু;খ, কষ্ট, বেদনা এবং কঠিন একটা জেদ এর ঘটনাও ঘটেছিলো -যা এখানে বলে শাড়ীর কলেবর বৃদ্ধি করতে চাইনা।
এটুকু জেনে এখন আগ্রহ হচ্ছে, কি সেই ঘটনা ?
এটার ওপর একটা পোষ্ট চাই । জীবন থেকে নেয়া ঘটনা পড়তেই বেশী ভালো লাগে ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে সেই ঘটনাটা আমার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছিল। তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে তাঁর অবিভাবক! আমরা দুজনেই আমাদের অভিপ্রায় পরিবারকে জানালাম। আমি যখন আমার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য ওদের পরিবারকে জানালাম তখন চিরায়ত বাংগালী পরিবারের অবিভাবকদের মতো তারাও বেঁকে বসে এবং বলে "ওর একটা শাড়ি কিনে দেওয়ার ক্ষমতা নাই -বিয়ে করে বৌকে খাওয়াবো কি?" তাই আমি বিয়ে করে আমার শশুর সাহেবকে ৩৬৫ টা শড়ি কিনে পাঠিয়েছিলাম
১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৪
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ কেমন আছেন আপনি? আপনাকে ব্লগে দেখে আমাদের সেই হারানো দিনের সামু ব্লগের আমেজ অনুভব করছি। আপনার লেখাটা অবশ্যই পড়বো। এখন মোবাইল থেকে লিখছি তাই সমস্যা হচ্ছে। শুভ কামনা।[/sbুজজক
জুল ভার্ন ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে মনে রেখেছেন দেখে। আসলে আমি সেই অর্থে কখনো তেমন সিরিয়াস ব্লগার ছিলাম না। তবে আপনাদের মতো বেশ কয়েকজন ব্লগারের ব্লগিং খুব ইনজয় করতাম। বিশেষ করে ব্লগার দাসত্ব ভাই এবং আপনার ব্লগিং খুব ভালো লাগতো হয়তো চিন্তার মিল ছিলো বলেই। সেই আপনাকে এদ্দিন পর পূনঃসক্রিয় হতে দেখে খুব খুশী হলাম। ভালোবাসা এবং শুভ কামনা রইলো।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: তোমাকে আমার খুব মনে আছে ভাইয়া-তোমার কবিতার পাড় ভক্ত ছিলাম আমি।
আমার যেল্কাগুলো পড়ে সামু ব্লগে আমার একদল ভক্ত হয়েছিলো-আমার সেই লেখাগুলো সব(প্রায় ৩০০ পোস্ট) ডিলিট করে দিয়েছি পরিস্থিতিগত কারনে। অনেক ঝড়ঝাপটার পরও বেঁচে আছি। তোমার বৌ বাচ্চাদের জন্য দোয়া রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অথচ আমার পরিবারের কেউ শাড়ী পরে না।