নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কি হবে জিডিপি দিয়ে যদি আপনার পকেটে টাকা ন থাকে.......
যিনি ভালো আছেন, তিনি দেখছেন যে দেশ খুব ভালো চলছে।
যিনি ভালো নেই, রোল মডেলে তার পেট ভরে না।
জিডিপি বাড়ছে, সরকারের ভাষ্য মতে বাড়ছে মাথাপিছু আয়।
"আফগানিস্তান- শ্রীলংকা-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি", "আমরা মালেশিয়া- সিংগাপুর-কানাডা হয়ে যাচ্ছি"- এই আনন্দে আমরা আটখানা!
অর্থশাস্ত্র পড়ার কারণে জিডিপি বিষয়টা আমি কিছুটা বুঝি।
যদি বড় একটি সেতু, তিনটা সেনানিবাস, কয়েকটা মেডিকেল কলেজ বানানো হয়, তাহলে জিডিপি বাড়ে। কিন্তু তাতে মানুষের হাতে টাকা আসে না। অনেকেই স্যোসাল মিডিয়ায় ট্রল করে লেখেন, এত টাকা মাথাপিছু আয়! কই, আমার হাতে তা নেই কেন! জিডিপি বিষয়টা না বোঝার কারণে এমনটা ভাবে মানুষ। আর মাথাপিছু আয়ের ব্যাপারটা তো পুরোপুরি শুভংকরের ফাঁকি। আপনার আয় ১০০ কোটি টাকা, আমার আয় এক হাজার টাকা। দুজনের আয় যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করলেই তা হয়ে যাবে মাথাপিছু আয়। সে ক্ষেত্রে ভিখারিও কোটিপতি।
পিকে হালদার, মাননীয় এমপি পাপলু, শুধাংশু শেখর ভদ্র, এস কে সুর, ওসি প্রদীপ কুমার, শাহেদ, সাবরিনা, এহতেশাম বাবর, এনু-রুপম, সম্রাট, পাপিয়াদের হাজার-হাজার কোটি টাকা হাতানোর রেসে জিডিপির হারের মিল খুঁজলেই বা কী? এই লীলাভূমে কিছু ভাগ্যবান মানুষের জীবন এমনই উচ্ছল-মত্ত প্রবাহে ধাবমান। তাদের ধন-জন-মান, সুখ- সম্ভোগ-আস্ফালন কেবল বাড়ে। বাড়তেই থাকে। এর বিপরীতে অকথ্য কষ্টে থাকা বেশুমার মানুষকে মিলিয়ে বা তুলনা করে জিডিপির হিসাব মেলে না।
চুরি, লুটপাট, হরিলুট যতই হোক- কৃষক, গার্মেন্ট শ্রমিক আর বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করবেই। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পথে নিজের কর্মসংস্থান করবে। করছেও। পথটি বৈধ-অবৈধ যেটাই হোক। মুটে, মজুর, চায়ের দোকানি, সাইকেল-রিকশা-হোন্ডা-গাড়ির মেকানিক, রিকশাওয়ালা, সেলস-কর্মীদের অলস বলার সুযোগ নেই। তাদের কল্যাণে জিডিপি বাড়বেই, তা সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের আয়-উৎপাদন কমলেও। দারিদ্র বাড়লেও। ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকলেও।
মাথাপিছু জিডিপি দিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বা ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করা হলে একজন কোটিপতি ভোক্তা, বিনিয়োগকারীর কারণে সাধারণ মানুষ সহজেই হিসেবের বাইরে চলে যান। অর্থাৎ, এই গড়ের তুলনা দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কিংবা বিনিয়োগের ক্ষমতার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না কোনোভাবেই। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিকেই উন্নয়ন মনে করা হতো। উন্নয়নের এই ধারণা সত্তরের দশকেই বাতিল করেছেন অর্থনীতিবিদরা। কারণ, প্রবৃদ্ধি যত বাড়ে, আয়বৈষম্য বাড়ে তার চেয়ে বেশি। জিডিপি প্রবৃদ্ধির নিয়ে বিতর্ক যাই থাক, সাধারণ মানুষের কাছে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নির্ণায়ক হলো তাদের দৈনন্দিনের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য।
(কিছু তথ্য উপাত্য পত্রিকা পড়ে জানা)
১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: রাস্ট্র/সরকার সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ভিত্তিক পোস্ট করাও যেমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি মন্তব্য প্রতি মন্তব্য করাও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ! গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক যেভাবে বিএনপি মহা সচিবকে হুমকী দিয়েছেন- সেভাবে কোনো সন্ত্রাসীও হুমকী দেয়না!
২| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি জানি সারা মাস চলতে আমার প্রায় সারা মাসই হাতটানের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ধার-দেনা বেড়ে যাচ্ছে প্রতি মাসেই।
আমার মাথাপিছু আয় দিয়ে সংসার চলবে না, পকেট ফাঁকা।
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই আমজনতার জীবনে কঠিন বাস্তবতা।
৩| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪২
নতুন বলেছেন: আমাদের উচিত GNH হিসাব করা।
আমাদের দেশে কিছু মানুষ দূনিতি করে অনেক টাকা কামিয়েছে এটা দ্রুব সত্য। তাদের সবাই রাজনিতিক ক্ষমতার কাছের এবং সরকারী আমলা।
কিন্তু সাধারন মানুষ কি এতোই কস্টে আছে? সপিং মলে কিন্তু পন্য বিক্রি কম নেই। কোথাও ক্রেতার অভাবে দোকান বন্ধ হয়ে দেখছেন কি?
আমেরিকাতেও রাস্তায় মানুষ ঘুমায় কিন্তু সাধারন মানুষের জীবন যাপন ততটা কস্টকর না যে মাস চলতেই কস্ট হয়। যারা কাজ করে খায় তাদের খারাপ থাকার কথা না।
আমাদের দেশে অনেক পন্যের দাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশের থেকে বেশি যদিও সব কিছু এখানে আমদানী করা। কিন্তু সপিং মলে দোকান কিন্তু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না।
দেশের দূনিতি কমাতে পারলে দ্রব্য মুল্য কমে আসবে জনগনও সস্তিতে থাকবে।
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: দুর্ণীতি কমার কোনো লক্ষণ নাই বরং জিডিপির সাথে পাল্লা দিয়ে দুর্ণীতি দুঃসাশন বাড়ছে।
৪| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
বিটপি বলেছেন: জিডিপি বাড়ছে বলেই সব জিনিস হাতের নাগালে পাচ্ছেন। দাম বেশি, কিন্তু পাওয়া তো যাচ্ছে! কেমন হত যদি লাখ লাখ টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরতেন, কিন্তু খাওয়ার জন্য কন হোটেল না পাওয়া গেলে?
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: লাখ লাখ টাকা শুধু দেশের বিশেষ একটা শ্রেনীর হাতেই আছে। তারাই সব কিনে খায়, আর আমজনতার জীবন চলে "দিন আনতে পান্তা ফুড়ায়" অবস্থায়।
৫| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এখনো তিন বেলা খেতে পড়েনা অনেক মানুষ। আহা ! উন্নয়ন!
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: তিন বেলা অনেক দূর, পেট পুরে একবেলা খেতে পেলে আমজনতা স্বস্তি পেতো।
৬| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
খাঁজা বাবা বলেছেন: ধরেন আপনি একটি পুকুর কাটলেন তাতে ১০ টাকা খরচ হল। তো এতে জিডিপি বাড়বে। এবং এই দশ টাকা কিন্তু সার্কুলেট হবে মানুষের হাতে। শ্রমিক টাকা পাবে তা দিয়ে সে তার খরচ মেটাবে। অর্থনীতি গতি পাবে যা অর্থনীতির জন্য ভাল। তারপর যদি পুকুরে মাছ চাষ করেন তাহলে তা আরো ভাই, অর্থনীতিতে নতুন সম্পদ যোগ হল।
এবার ধরেন, সরকার একটি পুকুর কাটবে। পুকুর কাটতে সরকারী বরাদ্দ ১০০ টাকা। কন্ট্রাক্টর ১০ টাকা পুকুর কাটতে খরচ করল।
আপনার জিডিপি ১০০ টাকা বাড়বে। অর্থনীতিতে কিন্তু ১০ টাকা যোগ হবে। ৯০ টাকা কালো টাকা হিসেবে মার্কেটের বাইরে চলে যাবে। যা জিডিপি বাড়ালেও অর্থনীতির কোন উপকার করবে না।
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ৯০ টাকা কালো টাকা হিসেবে মার্কেটের বাইরে চলে যাবে। যা জিডিপি বাড়ালেও অর্থনীতির কোন উপকার করবে না। -এটার সারমর্ম।
৭| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
সাজিদ! বলেছেন: আমাদের নতুন নতুন টাকা পয়সা হয়েছে, মন ভালো করার জন্য আমাদের নিজেদের একটু বাড়িয়ে বলতেও আপত্তি নেই। ইউরোপ আমেরিকায় মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু তাদের জন্য সোয়েটার জিন্স তৈরী করে সেই টাকা দিয়ে আমরা মনের আনন্দে বাজার করছি ( পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী তাই বললেন )। সারা দুনিয়া আমাদের পদ্মাসেতু দেখে অবাক, এমন সেতু কি কেউ বানিয়েছে আগে মেট্রোরেল হচ্ছে, পাতাল রেল হবে, অন্য কোন দেশে হচ্ছে কি ? ( মিশ্র আওয়ামী জাতীয়তাবোধে আক্রান্ত এবং নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশী মিডিয়া ও এদেশের মানুষ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের সমসাময়িক উন্নতিতে চোখ বন্ধ রেখে একমাত্র উন্নয়ন বাংলাদেশেই হচ্ছে বলেই ধরে নিচ্ছে। বিষয়টা এমন যে, মানুষের হাতে টাকা থাকুক বা নাই থাকুক, তারা উন্নয়ন হচ্ছে শুনে শুনে তা মুখস্ত করে চোখ বন্ধ করে বসে আছে।
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ এমনি এমনিইতো "আমরা রোল মডেল" বলে চীতকার করছিনা!
৮| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কি হবে জিডিপি দিয়ে? জিডিপি খায় না মাথায় দেয়?
এসব কথা বাজারে খুব চলছে। মুলত আজাইড়া পাবলিক আধা শিক্ষিত যাদের কাজ কর্ম নাই বাপের হোটেলে খায় এরাই এগুলো বলে।
জিডিপি মানে কি? জিডিপি অর্থ গ্রোস ডমেষ্টিক প্রডাক্ট।
মানে দেসজ উৎপাদন। অর্থাৎ দেশে যা যা উৎপাদন ও সেবা দানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন হলেই সেটি একটি প্রডাক্ট বা পন্য। তথা জিডিপি।
বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদন (জিডিপি) সরকার করে না। অন্যান্ন দেশের মত শিল্পপতিরা প্রধান জিডিপি বাড়াচ্ছে না, বেশী বাড়াচ্ছে দরিদ্র কৃষক, ডিম দুধ জেলে মাছের ফার্ম মুর্গির ফার্ম টুরিষ্ট সার্ভিস হোটেল মোটেল যানবাহন সার্ভিস রেষ্টুরেন্ট হকার ইত্যাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এন্টারপেনররা। দেশে চাকুরি তেমন নেই তাই পেটের দায়ে নিরুপায় লোকজন কিছু একটা করছে, এখন একটু
উৎপাদন বেশী হচ্ছে যেহেতু মহিলারাও উদ্যক্তা হচ্ছে। নতুন নতুন সার্ভিসের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আর দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌছে গেছে, গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। তাই উৎপাদন ও সার্ভিস দিন দিন বাড়ছে, তথা বার্ষিক জিডিপিতে যোগ হচ্ছে।
পেটের দায়ে নিরুপায় কিছু লোকজন উৎপাদন করছে, আর আপনি বলছেন কি হবে জিডিপি দিয়ে?
এতে আপনার পিত্তি জ্বলে কোন কারনে?
১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: এত্তক্ষণ পিত্তি জ্বলে নি, আপনার স্থুল মস্তিস্কের গু উদগিরণ আর মাস্তানী মন্তব্য দেখে পিত্তি জ্বলছে।
৯| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজের বোধকে না জাগিয়ে অন্যের নির্বোধ দাসত্ব করা মানুষগুলো আসলে বর্জ্যমানুষ। সমাজে ক্রমশ বর্জ্যমানুষের সংখ্যাধিক্য ঘটছে। বিশেষত ক্ষমতার রাজনৈতিক নেতৃত্বে।
১০| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
জ্যাকেল বলেছেন: ভাইসাহেব, জিডিপি নিয়ে একটি ভাল লিখা দেন। লোকেরা জানুক।
আমার জানামতে কেহ যদি অসুস্থ হন হাসপাতালে টাকা ব্যয় করেন তাহলেও জিডিপি বাড়ে। এই যে ট্রান্সজেকশন নির্ভর নাম্বার, এখানে শুভংকরের ফাঁকি আছে। এই নাম্বার মোটেও অর্থনীতির সঠিক চিত্র তুলে ধরে না। এটা সবার জানা উচিত।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, সত্য এবং বাস্তবতা খুবই নির্মম। এসব লিখলেই ব্লগে কাল বৈশাখীর ঝড় বইবে। এক শিয়াল হুয়াক্কা বলে ডাক দিলেই গর্ত থেকে সব শিয়াল বের হয়ে হুয়াহুয়া ডেকে কান ঝালাপাল করে দিবে।
১১| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আসলে এগুলা নিয়ে অনেক বাতচিত করার ইচ্ছে থাকলেও ব্লগে উপায় নাই। গতকাল ভুয়া মফিজ একটা পোষ্ট দিছিল।নির্দিষ্ট কিছু ব্লগারের পোষ্টে লম্বা লম্বা মন্তব্যকারী গরু ছাগল এসে এর আগে আমার লেখা পোষ্ট নিয়ে খোচা দিল।কোন নতুন ব্লগার বা অপরিচিত ব্লগার ভালো পোষ্ট লিখলেও এগুলো মন্তব্য করেনা। যেই না কোন দলবল ভারী নিক/ নারী নিক পোষ্টান অথবা কোন পোষ্ট আলোচনার মাধ্যমে আলোচিত ব্লগে স্থান পায় ঠিক তক্ষুনি নিজের মুই একটা কিছুত্ব জাহির করার জন্য চলে আসে।
হাসান কালবৈশাখীর পোষ্টেও একই অবস্থা। এক গাধা এসে আমাকে মন্তব্য মেনশান করছে এই ব্লগে শুধু ২ জন ব্লগার বা লেখক আছে। বাকি ৩ লাখ এমনিই দুধভাত। আমি লজ্জায় আর হাসান কালবৈশাখীর পোষ্টে যাইনি।
ভাল সুন্দর লেখা যথারীতি। আরো পোষ্ট চাই এরকম।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: সামু ব্লগের শুরু থেকেই সিন্ডিকেটের নোংরামীর জন্য কতো ভাল ভাল লেখক ব্লগার হারিয়ে গিয়েছে! আপনি যতই ভালো লেখেন কেউ পড়বেনা, কিন্তু সিন্ডিকেটের মোসাহেবী করুন -দেখবেন আপনার পোস্টের রিচ বেড়ে গিয়েছে।
১২| ১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবি শুভংকরের ফাঁকি!!!
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, যে উন্নয়নে মুষ্টিমেয় মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে, আর বেশিরভাগ মানুষ নিঃস্ব-রিক্ত হয়, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায়, সেটা কিসের উন্নয়ন? প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে — জিডিপি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটছে কি না? সবাই শিক্ষা-চিকিৎসা পাচ্ছে কি না? পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কি না? বেকারত্ব কমছে কি না? জীবনের নিরাপত্তা আছে কি না? সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ ও বিনোদনের সুযোগ মানুষ পাচ্ছে কি না?
১৩| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: জিডিপি, উন্নয়ন নিয়ে অসার গাল্গল্প, মিথ্যাচারের সীমানা আমাদের দেশের সীমা যাওয়ার দরকার নাই। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি চরম দুর্নীতিপরায়ন ও দরিদ্র রাস্ট্র হিসেবে পরিচিত। এটা জানার জন্য বিদেশেও যাওয়ার দরকার নাই। বাংলাদেশি পাস্পোর্ট নিয়ে বিদেশি ভিসা অফিসে দাড়ালেই টের পাওয়া যায় যে কি চোখে তারা দেখে এই দেশকে।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রক্রিয়াও বিতর্কিত। অর্থনৈতিক লেনদেন বাড়লে জিডিপি বাড়ে। ঋণের টাকায় যে বিশাল বিশাল প্রজেক্ট হচ্ছে, এতে জিডিপি বাড়ছে। বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে। এর ফলেও জিডিপি বাড়বে। এক রাস্তা দশবার কাটাকাটি করলেও জিডিপি বাড়ে। ফ্লাইওভার হলে, পাহাড়-বন কেটে হাউজিং করা হলে জিডিপি বাড়বে, দেশে চোরাই অর্থনীতি-মাদকব্যবসা বাড়লেও জিডিপি বাড়বে। বিনা বেতনে শিক্ষা কর্মসূচি চালু করলে জিডিপি বাড়বে না, কিন্তু শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হলে জিডিপি বাড়বে। সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিলে জিডিপি বাড়বে না, কিন্তু প্রচুর বেসরকারি ক্লিনিক হলে, সেখানে মানুষের গলা কাটা হলে জিডিপি বাড়তে থাকবে।
১৪| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কারো না কারো পকেটেতো
আছে আমি তাতেই খুশি!
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাদের মতো লোকেরা অবশ্যই খুশী থাকবেন-এটাই স্বাভাবিক।
১৫| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রূঢ় বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। গালগপ্প করে জিডিপি বাড়লেও প্রায় সব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পেট ভুখা থাকে, যদিও পরিসংখ্যান অন্য কথা বলে। হতাশ হলাম কমেন্ট দাতাদের মধ্যে কেউ বা পোষ্টের নির্যাস না বুঝে অহেতুক গালমন্দ করাতে। ছয় নম্বর কমেন্টদাতা খাজাবাবার কমেন্টটি ভালো লেগেছে।।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই গত ১০ বছরের আওয়ামী রাজত্বে একটা বিষয়ে উন্নতিতে বিশ্বের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে যে বিরাট সাফল্য কিংবা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মত ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড সম্ভবত দুনিয়ার আর কোন দেশ করতে পারেনি!
১৬| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫৭
গরল বলেছেন: ছোট বেলায় আমাদের বাসায় কোন রঙ্গীন টিভি ছিল না, সোফা ছিল না, খাটে কোন ম্যাট্রেস ছিল না, ফ্রীজ, ওয়াশিং ম্যাশিন, এসি ছিল না। ফ্রীজ না থাকাতে ফ্রীজে আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংস, কেক, পুডিং কিছু থাকত না। বাসায় রুম ছিল দুইটা ও অর্ধেক, কোন লিভিং রুম না থাকাতে কোন কার্পেট, কফি টেবিল, কর্ণার টেবিল ছিল না, ফুলের গাছ শো পিস ছিল না, মাছের অ্যাকুরিয়াম ছিল না। কারো হাতে ফোন তো দুরের কথা ঘড়িও ছিল না, শুধু বাবার হাতে একটা ঘড়ি ছিল। বাইরে পরার বড় জোড় দুই সেট জামা কাপড় থাকতো। ঝুতা ছিল এক জোড়া মাত্র। বাড়তি কোন টেবিল চেয়ার, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট চোখেই দেখতাম না। পারফিউম, দামি ওয়ালেট, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ট্রিমার, ইলেক্ট্রিক রেজার, হেয়ার ড্রায়ার, হেডফোন, ওয়াইফাই এগুলোর বালাই ছিল না। বেড়ানো বলতে ছিল শুধু নানা বাড়ি বা দাদা বাড়ি। বাইরে ঘুরা আর খাওয়া হয়ত বছরে একদিন হত। খেলনা বলতে সবাই চাঁদা দিয়ে হয়ত একটা ফুটবল বা ক্রিকেট ব্যাট বল কিনতাম। আরও কত জিনিষ যে আমরা এখন করি আর ব্যাবহার করি তার কোন ইয়াত্তা নাই। তাহলে আমাদের জিডিপি কোথায় যায় একটু হিসেব করেন। এখনতো কথায় কথায় ডাক্তার, ওষুধ আরে টেষ্টের পেছনেই যায় গড়ে বছরে লাখ টাকা। অথচ আমার মনে নেই আমার বাবা কোনদিন আমাদের ডাক্তারে কাছে নিয়েছে কিনা। বাড়ি, ফ্লাট, জমি বা গাড়ি তো ছিল কল্পনার বাইরে। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় সবই ছিল সরকারি, প্রাইভেট স্কুল বা কলেজে পড়ার কথা কেউ খনও চিন্তা করত না। মধ্যবিত্তদের মধ্যেই এই পরিবর্তন।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: দেশের রেডিও-টেলিভিশন-পত্রিকায়, আকাশে-বাতাসে এখন একটাই খবর — উন্নয়ন। আর বেশি দিন নেই, দেশটা সুইজারল্যান্ড হলো বলে! মহাসড়কে শোভা পাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড! দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) বাড়ছে হু হু করে, মাথাপিছু আয় বাড়ছে, দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠানোর ঘোষণা আসছে। বিশাল নির্মাণ প্রকল্প, ঝা চকচকে অট্টালিকা, ফ্লাইওভার, চারলেন-আটলেনের সড়ক, মেট্রোরেল, বিমানবন্দর, গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, ইপিজেড হচ্ছে একের পর এক। অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ — সবাই জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সার্টিফিকেট বিলাচ্ছে দাতা সংস্থাগুলো। কিন্তু উন্নয়নের এই ঢক্কানিনাদ-উল্লাস তারপরও চাপা দিয়ে রাখতে পারছে না দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অসহায় আর্তনাদ, দারিদ্র্য ও শোষণের দগদগে ঘা-কে।
উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাওয়া বাংলাদেশে কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না, এশিয়ার সবচেয়ে কম মজুরিতে বেশি ঝুঁকিতে কাজ করেন গামেন্টস খাতের শ্রমিকেরা। বেকারত্ব থেকে বাঁচতে তরুণ-যুবকরা ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ছুটছে প্রবাসে। সেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে গিয়ে ১৩ বছরে লাশ হয়ে ফিরেছেন ৩৩ হাজার শ্রমিক। সরকারিভাবে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তিপ্রতি ব্যয় বেড়েছে ২০৫ টাকার মতো। এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় চিকিৎসায় ব্যক্তির পকেট থেকে ব্যয় এদেশে সবচেয়ে বেশি।
যে উন্নয়নে মুষ্টিমেয় মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে, আর বেশিরভাগ মানুষ নিঃস্ব-রিক্ত হয়, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায়, সেটা কিসের উন্নয়ন? প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে — জিডিপি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটছে কি না? সবাই শিক্ষা-চিকিৎসা পাচ্ছে কি না? পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কি না? বেকারত্ব কমছে কি না? জীবনের নিরাপত্তা আছে কি না? সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ ও বিনোদনের সুযোগ মানুষ পাচ্ছে কি না?
পরিশেষে আপনার মন্তব্য থেকে কিছু অংশ কোট কোঁরে আপনাকে ব্যক্তিগত একটা প্রশ্ন করতে চাই। তাহলো- যখন আপদের বাসায় কোন রঙ্গীন টিভি ছিল না, সোফা ছিল না, খাটে কোন ম্যাট্রেস ছিল না, ফ্রীজ, ওয়াশিং ম্যাশিন, এসি ছিল না। ফ্রীজ না থাকাতে ফ্রীজে আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংস, কেক, পুডিং কিছু থাকত না। বাসায় রুম ছিল দুইটা ও অর্ধেক, কোন লিভিং রুম না থাকাতে কোন কার্পেট, কফি টেবিল, কর্ণার টেবিল ছিল না, ফুলের গাছ শো পিস ছিল না, মাছের অ্যাকুরিয়াম ছিল না। কারো হাতে ফোন তো দুরের কথা ঘড়িও ছিল না, শুধু বাবার হাতে একটা ঘড়ি ছিল। বাইরে পরার বড় জোড় দুই সেট জামা কাপড় থাকতো। ঝুতা ছিল এক জোড়া মাত্র। বাড়তি কোন টেবিল চেয়ার, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট চোখেই দেখতাম না। পারফিউম, দামি ওয়ালেট, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ট্রিমার, ইলেক্ট্রিক রেজার, হেয়ার ড্রায়ার, হেডফোন, ওয়াইফাই এগুলোর বালাই ছিল না। তখন কার সময়ের চাইতে বর্তমানে আকাশছোঁয়া জিডিপি-তে আপনার পরিবার সামগ্রীক ভাবে ভালো আছে না কি যখন এই সব জিডিপি'র প্রচারণা ছিলনা তখন আপনার পরিবার ভাল অবস্থানে ছিলো?
১৭| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনার সাথে একমত।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।
১৮| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গরল ভাই এর মন্তব্যে +। আপনার পোস্টেও।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৯| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জিডিপি যে একেবারে পজিটিভ কিছুই প্রকাশ করে না তা কিন্তু বলতে পারবেন না। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি কিন্তু জিডিপি প্রকাশ করে এবং সে হিসেবেই মূল্যায়ন করে আমাদের। সরকারের জিডিপি হিসেবে গরমিল আছে এটা সঠিক।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।
২০| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৬
শার্দূল ২২ বলেছেন: হাহাহাহ জুল ভার্ন ভাই একজন সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আপনার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , আপনার সাথে এই পোষ্ট শিরোনাম বিষয় বস্তু কোনোটাই যায়নি।
আমাদের দেশের কিছু টিভি সাংবাদিক হেটে হেটে ভিক্ষুকের ভাঙা প্লেটের নিচ দিয়ে ক্যামেরা ধরে আসমান দেখায়। আম্রিকায় ও ভিক্ষুক আছে, আমি যদি এখন ডি এসলার নিয়ে আম্রিকা পথে ঘাটে নেমে এমন ক্যাম্রা ধরি তো এই দেশকেও সোমালিয়া মত বিশ্বের দরবারে হাটু ভাঙা দ বানিয়ে ফেলতে পারবো। তাদের জন্য কি এই এম্রিকার জিডিপি দায়ি? ঐ ব্যাক্তি দায়ি। জীবনের যেখানে একটা একটা নারি বাড়ি সামলাতে নাভিশ্বাস সেখানে কেন গাভীর দুধ খেয়ে মানুষ উঠে পরে লাগে ৫টা গার্ল ফ্রেন্ড আর সরিয়তের ৪ বউ বাড়ি বানাতে? তার দায় কি জিডিপি বেচারার?
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: দ্বিমত অবশ্যই থাকবে এবং আপনার মতো পারস্পরিক শ্রদ্ধা সম্মান নিয়ে দ্বিমতকে স্বমত মানতে দ্বিধা নাই।
শুভ কামনা।
২১| ১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গোয়েবলস এর কথা শুনরে আমারো পিত্তি জ্বলে যায়।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: কুল ব্রাদার, কুল। অপেক্ষা করেন, দেখবেন শুধু আমরাই না- গোটা বিশ্ব কি ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট।
২২| ১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সংসার আর চলে না। সকলি অসার মনে হচ্ছে। উন্নয়নের গল্প শুনে ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগেই দেখি বিভিষিকা, যখন পাওনাদার বলে ভাই পাওনা টাকাটা কবে দিবেন? কারণ তার পাওনা টাকা ঠিক কবে দেব সেটা ঠিক আমিও বলতে পারছি না। মাসের আয়ে মাস চলছেই না, দেনা তাই বেড়েই চলছে। ওয়ারিশি সম্পত্তি কমছেই। এটা শেষ হলে তারপর কি হবে? ভাবতেই চোখে অন্ধকার দেখি।
১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার এই আর্তনাদ দেশের ৮০ ভাগ মানুষের। শাসক শ্রেনী এবং তাদের সহযোগীরা ছাড়া কেউ ভালো নাই।
২৩| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৮
গরল বলেছেন: আপনার এত বড় উত্তর দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, আপনি যা বলেছেন সবই যুক্তিসঙ্গত। তারপরেও বলব অবস্থা এখন আগের থেকে কিছুটা ভাল। আপনার কি মনে নেই যে এরশাদের সময় প্রতি বছর বন্যার সময় সরকার বিদেশের কাছে হাত পাতত রিলিফের জন্য এবং দেশের উল্লেখযোগ্য মানুষ শুধু মাত্র রিলিফের খাবার খেয়েই বেচে থাকত কয়েক মাস। দেশের জনসংখ্যা কি হারে বেড়েছে কিন্তু খাদ্যের যোগানও বহুগুন বেড়েছে। আমার দেখা ভাষাণটেক বস্তি, বিএনপি বস্তির মত বড় বড় বস্তিগুলো এখন নাই, তারা এখন কোথায় তাহলে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেক বেড়েছে এটা অস্বিকার করার উপায় নাই। তবে যেটা হয়েছে আমাদের, মানে মধ্যবিত্তদের চাহিদা বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। কেন বলছি এখন ভালো আছি সেটা আমি একটা পোষ্ট আকারে লিখেছিলাম। সময় হলে পড়ে দেখবেন।
সমাজ বিপ্লবের প্ররম্ভিক ধাপে প্রবেশ করেও বাংলাদেশ হটাৎ করে থমকে দাড়িয়েছে না আবার পিছিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে- সেটা প্রাইভেট সেক্টরের এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান। রাস্ট্রের/পাব্লিক সেক্টরে এমন একটা সেক্টর দেখাতে পারবেন না- যেখানে জনগনের টাকার শ্রাদ্ধ করে লোকসান গুনছেনা। উদাহরণঃ- জুটমিল, সুগার মিল, পেপার মিল, ওয়াসা, ডেসা-ডেসকো, পিডিবি, আইডব্লুটিএ, বিআরটিসি, রেলওয়ে, বিমান ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: জি ডি পি শব্দের অপব্যাবহার কার্যত পিছিয়ে থাকা সরকারগুলোকে একধরনের যাদুর কাঠি হাতে তুলে দিয়েছে । যখন তখন জি ডি পি নিয়ে সরকার ঝাপিয়ে পড়ে বিরোধীদের উপর শায়েস্তা করতে । এর অবসান হওয়া দরকার ।