নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"সহস্র এক আরব্য রজনী"র 'শেষ রজনী'.... (কঠোরভাবে প্রাপ্তস্কদের জন্য)
(এবার সহস্র এক আরব্য রজনীর 'শেষ রজনী' আমার মতো করে লিখে প্রকাশ করলাম। যদি ব্লগে অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ থাকেন তারা এই লেখা পড়বেন না। যদি ব্লগার বন্ধুদের সমর্থন পাই তাহলে মাঝের পর্ব থেকেও কয়েকটা পর্ব প্রকাশ করতে পারি)
একহাজার একতম কাহিনী শেষ হতে না হতেই শাহানশাহ্ শাহরিয়ার উল্লাসে হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন-
"আলহামদুলিল্লাহ্ বেগম শেহেরজাদ! তোমার প্রাণদণ্ড মওকুব। তোমার বোন দিনরাজাদ, আমার ভাই শাহজামানের বিবি হবে"- বলেই শাহরিয়ার শেহেরজাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন.... তাঁর বেগমের ইচ্ছে অনিচ্ছের ধার তিনি কোনওদিনই ধারেননি। মর্দে মুমিন শাসিত সমাজে কোন মর্দই বা আওরাতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ধার ধারে? আওরতের জায়গা বরাবরই মর্দে মুমিনের নীচে। দ্রুত হাতে বেগমকে বিবসনা করে শাহনশা ঝটিতি উপগত হলেন। চুমু জাতীয় ন্যাকামি তার প্রবল পৌরুষ সইতে পারে না। আর, রমণকালে আওরত যন্ত্রণা না পেলে, ইনসান জমিনে জয়ধ্বজা প্রোথিত করে লাভ কী? সঙ্গম শেষে বেগমের সঙ্গে একটি কথাও না বলে নিদ্রায় ডুবে গেলেন বাদশা। ঘুম নেই অতৃপ্ত শেহেরজাদের চোখে। কিসসার কিম্মতে জিন্দেগী পাওয়ার পর তাঁর মনে হচ্ছে, এ যথেষ্ট নয়। আরও কিছু করার ছিল....
অগুনতি মুর্দা আওরত গোর থেকে উঠে এসে যেন তাঁকে সওয়াল করছে- আমাদের মওতের ইন্তেকাম কে নেবে? আমরা বিচার চাই। আসমানের গায়ে ইদের চাঁদ শায়িত অবস্থাতেই দেখতে পাচ্ছেন দুনিয়ার সেরা কিসসাওয়ালী। হঠাৎ তাঁর মনে হলো, চাঁদের আলোর রঙ তাজা খুনের মতো লাল। বাদশার দিকে একবার তাকালেন তিনি। রাতের পর রাত গল্প বলে গিয়ে ওই মর্দকে তিনি চেনাতে চেয়েছেন, মানুষের সম্পর্কের নানা রঙ; কামের হরেক কিসিমের খুশবু; মহব্বতের রকম-বেরকমের স্বাদ। বারবার করে বলতে চেয়েছেন, জীবন সুন্দর। হিংসা নির্বুদ্ধিতা, কোনও ফল হয়নি। এই মুহূর্তে নিদ্রিত পুরুষটি একটু আগে যখন তাঁকে ধর্ষণ করছিলেন, তখনই শেহেরজাদ বুঝে নিয়েছেন, তাঁর সহস্র এক রাত্রি ব্যাপী প্রয়াস, অরণ্যে রোদনে পরিণত হয়েছে। বর্বর, পেশিশক্তি নির্ভর, রুচিহীন, স্থূল এই পুরুষের কাছে বৈদগ্ধ অর্থহীন। এ কেবল পশুশক্তির ভাষাই বুঝবে। অস্ত্র, অস্ত্র চাই একটা।
জলতরঙ্গের আওয়াজ তুলে কে যেন হেসে উঠল। শেহেরজাদ চমকে তাকালেন। ছাদের কাছে, এক পা ভাঁজ করে শূন্যে ভাসছে এক অপরূপা যুবতী। সম্পূর্ণ নগ্ন। তার উত্তুঙ্গ স্তন, গুরু নিতম্ব, গভীর নাভি আর ক্ষীণ কটি দেখে রীতিমত ঈর্ষা অনুভব করলেন শেহেরজাদ। ঈষৎ তপ্ত কন্ঠে প্রশ্ন করলেন,
- কে তুমি?
- আমি জিনি ফিরদৌসী।
- কী চাই?
- একটা হাতিয়ারের কিসসা বলছি শোনো।
শেহেরজাদ আপত্তি করতে পারলেন না। জাদুভরী কন্ঠে বলে চলল ফিরদৌসীঃ
- সওদাগর আবদুল লতিফের বিবি শাবানার খুবসুরতির কথা তামাম বসরায় মশহুর ছিল। একদিন, জনাব লতিফকে বাগদাদ যেতে হলো। শাবানা ঘরে রইলেন। অনেক দিন থেকেই সুযোগ খুঁজছিল জহরত ব্যাপারী আবু হাসান। শাবানাকে তার চাই..... সমস্ত বাঁদি আর বান্দাকে ঘুষ খাইয়ে রেখেছিল সে। যেদিন আবদুল লতিফ রওয়ানা দিলেন। সেই রাতেই তাঁর বাড়ি হানা দিল সে। শাবানার খাস বাঁদি ফরিদা তাকে সঙ্গে করে পৌঁছে দিল শাবানার ঘরে। সাদা বিছানায় শুয়ে আছেন শাবানা। দরিন্দার মতো তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল আবু হাসান। আর, তাকে চমকে দিয়ে খিল খিল করে হেসে উঠলেন শাবানা। দু’হাতে তার মুখটা ধরে গাঢ় চুমু খেলেন একটা। কৌতুক তরলিত স্বরে বললেন,
- এতো জলদি কি মিঞা সাহেব? সারারাত পড়ে রয়েছে.....
শাবানার ঠোঁট নামল আবু হাসানের বুকে, পেটে, তাঁর হাতের মুঠোয় বন্দী হলো তার দৃঢ় পৌরুষ। আবেশে শরীর এলিয়ে চোখ বুজল আবু হাসান। ঠিক তখনই বালিশের নীচ থেকে কিরিচটা বার করে শাবানা তার গলার এদিক থেকে ওদিক চালিয়ে দিলেন।
আবার হাসল ফিরদৌসী।
-তোমার শরীর একা তোমার এবং তুমি চাইলে সেটাই তোমার অস্ত্র।
বাতাসে মিলিয়ে গেল জিনি। উঠে বসলেন শেহেরজাদ। ঠিক সেই মুহূর্তে চোখ মেললেন শাহরিয়র। তাঁর মুখে ফুটল কামনাবিহ্বল হাসি। আবার.... বেগমের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলেন বাদশা। কিন্তু, এই প্রথম তিনি বাধা পেলেন। দুই উরু কাঁচির মতো কোমরে জড়িয়ে তাঁকে চিৎ করে ফেললেন শাহারাজাদ। এখন তিনি শাহরিয়রের দেহের মধ্যস্থলে উপবিষ্টা।
অগ্নিশর্মা হলেন বাদশা। লা লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ! আওরতের একি গুস্তাখি? কিন্তু, তাঁর বিবির চোখের দিকে চেয়ে দস্তুরমতো ভয় পেয়ে গেলেন শাহরিয়র। শেহেরজাদের চোখ ধ্বক ধ্বক করে জ্বলছে। বাঘিনীর মতো। খসমের ঠোঁটের ওপর ঠোঁট রেখে, মুখের ভেতর জিভ ঢোকালেন বেগম। ঠোঁট থেকে বুকে নেমে এল ঠোঁট, নাভিতে জিভ। হাতের মুঠোয় শাহনশার পৌরুষ ধারণ করে, তাকে শোষণ করলেন বেগম.....
....পরওয়ারদিগার! এসব হচ্ছে কী? এতো ইবলিশের আওরাত- এখনই একে কোতল করা উচিত! তলোয়ারটা হাত বাড়িয়ে নেবেন কিনা ভেবে ওঠার আগেই আশিরনখ কেঁপে উঠলেন বাদশা। অসহ্য সুখে তাঁর চোখ বন্ধ হয়ে গেল। ফুটন্ত শিরাজি সাগরে অবগাহন করছে তাঁরই ক্ষুদ্র প্রতিরূপ। এমন সুখতো তিনি আগে পাননি! তার মানে কি মেয়েদের সম্বন্ধে এ যাবৎকাল যা ভেবে এসেছেন তার বাইরেও নতুন কিছু আছে?
হঠাৎই, শাহরিয়ার খেয়াল করলেন, তিনি আর নড়তে পারছেন না। তাঁর হাত আর পা রেশমি রুমাল দিয়ে খাটের সঙ্গে বাঁধা। শেহেরজাদও তাঁর দেহের ওপর নেই। তিনি সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। দামী মসলিনের পোশাক পরনে। মাথায় তাজ। সবচেয়ে অস্বস্তির কারণ, তাঁর হাতে ধরা নাঙ্গা সামশের আর মুখে লেগে থাকা হাসিটা। তলোয়ারটা শাহরিয়ারের চিবুকে ছুঁইয়ে তিনি বললেন,
- এই হাজার দিনে অবস্থা আর আগের মতো নেই বাদশা সালামত্। দিনারজাদ আর তার আশিক হায়দর মক্তবে মক্তবে গিয়ে জানতে চেয়েছে, এক ব্যাভিচারিণীর অপরাধে এতগুলো মেয়ের প্রাণ নেওয়াটা কোন নীতিশাস্ত্র মতে ঘটেছে? আপনার ভাই-বউ নিজের শরীরের কথা শুনেছিলেন বলে আপনারা প্রতিদিন একটা করে মেয়ে বিয়ে করেছেন, রাতে তাদের শরীর খুঁড়েছেন, পরদিন গর্দান নিয়েছেন। তাদের ভালোবাসেননি, ভালোবাসার সুযোগও দেননি, দেহ মনের সংবাদ নেননি...
হাত পা বাঁধা অবস্থাতেই শ্বাপদের মতো দাঁত খিঁচোলেন শাহরিয়র।
- আরে পিশাচী! মেয়েদের আবার দেহ মন কী রে? পুরুষের চাহিদা মেটাতেই তাদের জন্ম!
- হাসালেন শাহরিয়র!
এই কয়েক মুহূর্ত আগেই, সুরতকালে আমি সক্রিয় হওয়া মাত্র, আপনি অসহায় ভাবে নিজেকে আমার হাতে সঁপে দিয়েছিলেন। চাইলে তখনই কতল্ করতে পারতাম। কিন্তু আমি খুনী নই। আপনার আর শাহজামানের বিচার হবে জনতার আদালতে। হ্যাঁ, শাহজামানও এই মুহূর্তে বন্দী। তাঁকে বন্দী করেছে আপনারই রক্ষীরা। নারীহত্যার ব্যসনে আপনারা রাজ্য শাসনে কিছুমাত্র মন দেননি। ফলে প্রজাপুঞ্জ আপনাদেরকে বাদশা বলে মানতে রাজী নয়। আমীর ওমরারা টাকা ছড়িয়ে কিনে নিয়েছেন সেনাবাহিনী। দু তিন বছর ধরে মাইনে পাইনি তারা। আপনারা ...আপনারা আসলে ভীষণ বোকা। না হলে বুঝতেন নারী পুরুষের সম্মিলিত দেহসুখে রমণ সম্পূর্ণ হয়। নারীরও শরীর আছে। তার খিদে আছে। আর আছে মন। এই হাজার রাত ধরে গল্প বলে গেছি, আর ভেবেছি আপনি বুঝবেন। নতুন নতুন গল্প বুনেছি যাতে আপনার বোধোদয় হয়। কিন্তু, বৃথা চেষ্টা। প্রতিরাতে আপনি আমায় ধর্ষণ করেছেন। নাঃ, প্রাক্তন সম্রাট শাহরিয়র। আপনি সর্বাঙ্গীণ অপদার্থ। আজকের রাতটা বন্দীশালায় থাকুন। কাল বিচার।
হাততালি দিলেন শেহেরজাদ। দু'জন মহাকায় হাবসী রক্ষী এসে দাঁড়ালো। তাদের মাঝখানে মুখ নীচু করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন শাহরিয়র - আরব্যরজনীর বাদশা।
তারপর,
ঘুম ভাঙল শেহেরজাদের। তলপেটে ভীষণ ব্যথা। বুকের ওপর কালসিটে। নৈমিত্তিক ধর্ষণ শেষে খাটের ওপ্রান্তে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন শাহরিয়র। কদাকার মুখটা হাঁ হয়ে আছে। সমস্ত শরীর ভল্লুকের মতো লোমে ঢাকা স্ফীতোদর উঠছে নামছে। কুইচ্চা সাপের মাথার মতো পুরুষাঙ্গ নেতিয়ে পড়ে। কষ্ট করে উঠে বসলেন শেহেরজাদ। চকচকে তলোয়ারটা বাদশার মাথার কাছে। নিতে হবে ওটা। এত কাছে। এত দূরে। শেহেরজাদ হাত বাড়ালেন......
পুনশ্চঃ ২৪ মার্চ ২০২১ সহস্র এক আরব্য রজনী গল্পের পেছনের গল্প নিজের মতো করে লিখেছিলাম....তা নিয়ে একজন বিদগ্ধ ব্লগার প্রচারণা চালিয়ে ছিলেন "জুলভার্ন ব্লগটাকে পর্ণ সাইট বানিয়েছে".....
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: সহস্র এক রজনী বা আলিফ লায়লা বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত এবং পঠিত পাঠক নন্দিত বই। আমি সহস্র এক গল্প থেকে আমি কিছু গল্পের মূল থীম/বক্তব্য ঠিক রেখে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছি। যেখানে মর্দে মুমিন শাসিত নারীদের না বলা অনুভুতিকে প্রধান্য দিয়েছি।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৮
কামাল৮০ বলেছেন: নিরো হবে।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বি বুঝেছি।
এই ধরনের অনিচ্ছাকৃত টাইপো সংশোধনের জন্যই আমি বহু বছর যাবত ব্লগ কতৃপক্ষের কাছে দাবী/আবেদন জানিয়ে আসছি- মন্তব্য এডিট করার অপশনের জন্য। আপসোস, আমাদের এই ছোট্ট আবেদনটুকুও ব্লগ কতৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি @কালপনিক_ভালোবাসা
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: যত সব আরব্যকাাহিনী দেহরাজ্য শাসন ফুটানি
এখন শুনি তার প্রতিধ্বনি----------------
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: গল্প উপন্যাস হলেও মানব জীবনের বাইরে কিছুই নয়।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার কাছে ভালই লাগলো। চলুক আরব্য রজনী।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: লিটন সরকার খারাপ বলেছেন, মাইদুল সরকার ভালো বলেছেন - কোন দিকে যাই!
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৭
বিটপি বলেছেন: অসাধারণ। এই অংশটা আলিফ লায়লা সিরিজে দেখিনি কেন? সিন্দবাদের উদ্ভট গল্প বলতে গিয়ে ভুলেই গেছে যে শাহরিয়ার আর শেহেরজাদের ঘটনা দিয়ে সিরিজ শুরু হয়েছিল।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: আলিফ লায়লা সিরিজে যা প্রচারিত হয়েছিল তা কঠোর সেন্সরশিপ মেনে প্রচার করতে হয়েছে সব শ্রেণীর দর্শকদের উপযোগী করে - বিশেষ ভাবে শিশু কিশোরদের কথা মাথায় রেখে।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় ভুলভার্ন ভাই, ব্লগে মন্তব্য সুবিধা ইচ্ছেকৃতভাবে যুক্ত করা হচ্ছে না। এর কারনটি অন্য সময় ব্যাখ্যা করা হবে।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ওকে ভাইয়া।
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
"সহস্র এক আরব্য রজনী"র 'শেষ রজনী'তে খেল দেখালেন। একটি এতিম গল্পের বইয়ের নতুন সংস্করণ বের করলেন।
প্রসঙ্গক্রমে বলি - আরব্য রজনীর এই কাহিনী কারো একক লেখা নয় । শত শত বছর ধরে এটি বিভিন্ন লেখকের লেখা নিয়ে সংকলিত হয়েছে । পরিবর্তিত আর পরিবর্ধিত হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়ে । নবম শতক থেকে একাদশ শতক ব্যাপী সময় ধরে এর গাঁথুনী থেকে ছাদ পর্য্যন্ত কাঠামো ঢালাই হয়ে গেছে । বাকী সময়ের পথ ধরে এর অঙ্গসজ্জা হয়েছে । অঙ্গসজ্জা চলছে আজ ও । যেমন আপনি্ও শেষ রজনীর অঙ্গসজ্জা করলেন। দেখেশুনে মনে হবে , এই বইটির যেন কোনও বৈধ মা-বাপ নেই । বইখানা যেন এতিম ।
গবেষকরা কাহিনীগুলোর সুনির্দিষ্ট উৎস না পেয়ে “অরফান টেলস” বা “এতিম গল্প” ছাপ মেরে দিয়েছেন এর গায়ে ।
আপনার এমন গল্পটি্ও তাতে নতুন সংযোজন। মারহাবা!
আমরা নিঃশ্চয়ই জানি, প্রানের দায়ে বেচারী শেহেরজাদকে এই মুগ্ধকারক কাহিনী বলে যেতে হয়েছে দিনের পর দিন, এক সহস্র রাত ধরে ? গল্প পছন্দ না হলেই যে ঘাড় থেকে গর্দান আলাদা হয়ে যাবে তার রাজকীয় ইচ্ছেয় ? শেহেরজাদ যে নির্মম আর নিষ্ঠুর একটি শর্তে বন্দিনী ?
কাহিনীর রূপচ্ছটায় আমাদের অনেকেরই মনেই হয়নি যে, পুরো কাহিনীটি একটি অনবদ্য ছাঁচে গড়ে তোলা হয়েছে । আমাদের এও মনে হয়নি যে, রাজা শাহরিয়ার প্রকারন্তরেই এক “সিরিয়াল ধর্ষক” । আমাদের মনেই হয়নি, প্রতিরাতে নতুন নতুন কুমারী সঙ্গলাভের এ এক চাতুর্য্যময় পন্থা । সেখানে গল্পে রাজা শাহরিয়ারকে ধর্ষন এবং খুনের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিলো।
আপনি সেখানে নতুনত্ব এনে সেই ধর্ষকের শাস্তি ধার্য্য করেছেন। বলতে হবেই – চমৎকার!
তবে “পুনশ্চঃ”টা না দিলেই ভালো হতো!
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় ব্জিএস ভাইজান, আপনি ঠিক বলেছেন, সহস্র এক রজনী গল্পের শুরু একজন করলেও শেষ করেছিলেন প্রায় ১৯ জন গল্পকার.... যা আমি প্রথম পর্বে লিখেছিলাম। গত ত্রিশ বছরে আমি বেশ কয়েকবার বইটা পড়েছি। পড়তে পড়তে আমারও মনে হয়েছে গল্পগুলো একটু ভিন্ন আংগিকে উপস্থাপন করতে পারি.... গল্পের মূল থীম ঠিক রেখে... আমিও আমার মতো করেই গল্পের ভিন্নতা দিতে চেষ্টা করে ১২ টা পর্ব লিখেছিলাম। প্রথম পর্ব প্রকাশ কারার পর শ্রেষ্ঠ ব্লগার কর্তৃক অশ্লীলতার অভিযোগ না পেলে সেই পর্বগুলোও প্রকাশ করা হতো....নিজের সৃষ্টি বলে কথা! শেষ পর্যন্ত ভয়ে ভয়ে শেষ পর্বটা প্রকাশ করে আপনার মতো একজন গুণী ব্লগারের প্রশংসা পেয়ে আমার পরিশ্রম সার্থক মনে করছি।
একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, আমার লেখা বেশির ভাগ গুণী ব্লগার বন্ধুরা সুকৌশলে এড়িয়ে যান....আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত, চেনা জানা ব্লগার আমি যাদের লেখায় নিয়মিত মন্তব্য করি তারাও আমাকে এড়িয়ে যান...সেখানে আপনার প্রসংশা আমার জন্য সম্মানের।
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা অবিরাম।
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সম্ভবত সেবা প্রকাশনীর আরব্য রজনী লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছিলাম কিশোর বয়সে।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: সেবা প্রকাশনিরও আরব্য রজনী আছে! আমার পড়া হয়নি। সেই স্কুল জীবনে আমার শুরুটা হয়েছিল আলিফ লায়লা দিয়ে....
৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
বারোটা পর্ব লিখেছেন অথচ প্রকাশ করেন নি। তাজ্জব কি বাৎ!!!!!!!
কোনটা শ্লীল আর কোনটা অশ্লীল সেটা নির্ভর করে যিনি দেখছেন বা পড়ছেন তিনি কতটুকু প্রজ্ঞাবান, কতটুকু বিচার -বিশ্লেষণের ক্ষমতা রাখেন, দৃষ্টিভঙ্গি-মানসিকতা তার কেমন, এসবের উপর ।
মোটা দাগে বলা যায়, গল্পে-সাহিত্যে কাহিনীর প্রয়োজনে যদি সেক্ম সম্পর্কিত বিষয়াদি আনতেই হয় তবে তা যেন "চটি" মার্কা বা "খুল্লাম খুল্লা" না হয়, তাতে যেন মসলিন শাড়ীর আচ্ছাদন থাকে, শৈল্পিক হয়।
তার পরেও মনে রাখতে হবে শৈল্পিক অবয়বে লেখা হলেও নভোকবের " লোলিটা" বইটি কিন্তু অশ্লীলতার অভিযোগে "নিষিদ্ধ" খেতাবটি গায়ে জড়িয়েছিলো।
আপনার লেখাগুলো "খুল্লাম খুল্লা" না হলে প্রকাশ করতে পারেন। কতজনেই তো কতো কথা বলে, তাতে কি!!!! সৃষ্টির স্বাদই যে আলাদা।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, সহস্র এক আরব্য রজনী মূলত রগড় গল্প সমগ্র। এর সাহিত্য মূল্যবান যতটা না তার চেয়ে ঢেড় বেশি গল্প বলার কৌশল যা বাদসা শাহারিয়ারকে যেমন মুগ্ধ করেছিলো তেমনি পাঠকদেরও এক রোমাঞ্চকর মোহাবিষ্ট করে রাখে....এই গল্পের মূল উপজিব্য যৌনতা যা অস্বীকার করলে মিথ্যা বলা হবে। আমি যে ১২ পর্ব লিখেছি তাতে সেই প্রভাব থাকলেও স্থুল উপস্থাপন নেই বলেই আমি মনে করি। মাঝে মধ্যে দুই একটা পর্ব শেয়ার করবো- আপনার মতামত কে শ্রদ্ধা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: key board Problem. I'll comments later Bro
just brilliant!!
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৮
জটিল ভাই বলেছেন:
শুধু কি লিখেই খ্যান্ত হবেন? নাকি টেলিকাস্ট করারও পরিকল্পনা আছে?
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আজ্ঞে, ওসব কি আর আছে মোদের ভাগ্যে!
১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:২৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আলিফ লায়নার কিছু দৃশ্যচিত্র যেনো চোখে ভাসছিলো....
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৪৫
ককচক বলেছেন: তারপর....
হাজার বছর পূর্বের বাদশাদের মনোজগতের অবস্থা হয়তো এমনই ছিলো। তারা নারীদের মানুষ মনে করেনি।
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: পুরুষ শাসিত সংস্কৃতিই এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে যে- ভালোবাসাবাসির কোনো ব্যাপার নাই, নারীর যৌনাঙ্গতে পুরুষের বীর্য স্খলনই সাবাস..... ব্যতিক্রম কদাচিৎ। মূলত এই বিষয়টাই সহস্র এক আরব্য রজনীর শেষ পর্বে তুলে ধরতে চেয়েছি....
১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই বড় বইটা আমার কাছে আছে । বিশাল সাইজের বই । বাতিঘর ঢাকা থেকে কিনেছিলাম । তবে সমস্যা হচ্ছে বইটা এতো বড় যে হাতে নিয়ে পড়তে কষ্ট হয় । মোবাইলে একটা পিডিএফও আছে ! ২১০ পেইজ পর্যন্ত আমার পড়া হয়েছে । ১৮০০ পেইজের বেশি একটা বই ! কবে পড়ে শেষ হবে কে জানে !
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: শুরু যখন করেছো, শেষ অবশ্যই করতে পারবে।
১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ভাষাগত মুনশিয়ানায় আমি বিমোহিত ও বিস্মিত!!
শিক্ষিত মানুষেরা যৌনতাকে কত শৈল্পিকভাবেই না উপভোগ করে। মুর্খ আমজনতারা মোটাদাগে স্থুলভাবে ভোগ করে
আমার প্রথমে মনে হয়নি এটা সরাসরি অনুবাদ নয়- এগল্পের একটা অংশ যে আপনার মস্তিস্কপ্রসূত- সেটা ভাবিনি একবারও।
আমি কোনদিন এইসকল আরব্য সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ অনুভব করিনি- শুধু শুনেছি মাত্র!
চমৎকার লিখেছেন। ১৮ + পোলাপান এখন অনেক বেশী পাকনা- ১৫+ দিলে ক্ষতি নেই
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: একদা ব্লগে খেটেখুটে লেখার পাঠক ছিলেন বেশী। এখন ব্লগেও ফেসবুক পাঠক সংস্কৃতি স্টাব্লিস্ট হতে যাচ্ছে। ব্লগার বন্ধুরাও "ছোট ছোট চটুল লেখা বেশী খায়!
আমি সব ধরনের লেখা যেমন গ্রোগাসে গিলি তেমনি যখন যেভাবে ভালো লাগে সেভাবেই লিখি- কেউ পড়ে মন্তব্য করলে প্রেরণা পাই, না পরলেও আপসোস নাই। নিজের সৃষ্টি যেমনই হোক ব্লগে সংরক্ষিত থাকুক, এটাই শান্তনা।
১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট থেকে বইটা হাতে পেলেও পড়তে মানা হওয়ায় কোনদিন উল্টাপাল্টা দেখার সাহস পাইনি। বারো ক্লাস পাস করার পর চুরি করে বেশ কিছু গল্প পড়ে ভীষণ ভালো লেগে যায়। জানতে পেরে বাড়ির লোক বইটি অন্যজনের কাছে দিয়ে আসে। তারপরে একটা মিথ হিসেবে কাজ করছিল মনের মধ্যে। আজ আপনার শেষ গল্পটি পড়ে সদ্য যৌবনে প্রবেশের সেই দিন যেন ফিরে পেলাম। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে।++
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এই বইটি প্রায় সবার ঘরে ঘরে থাকলেও আপনার মতো আমাদের পরিবারেও বইটি ছোটদের জন্য নিষিদ্ধ ছিলো.... তবে ওই বয়সে নিষিদ্ধ ছিলো বলেই পড়ার কৌতুহল বেশী ছিলো এবং যেকোনো ভাবেই হোক অল্প অল্প পড়ে ছিলাম। মূলত এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে স্বাভাবিক ভাবে পড়েছিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গত কাল সারাদিন ছোট একটি বোটপিকনিকে ছিলাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেলো। শরীর খুব ক্লান্ত, গোসল সেরে ঢুকলাম সামুতে। পুরনো মন্তব্যে প্রতিউত্তর করলাম। ফেসবুকে একটি পোস্ট করালাম, সামুতে এই পোস্টি করলাম, একে একে নতুন পোস্ট গুলি দেখে আপনাটি দিয়ে পড়া শুরু করলাম। সম্ভবতো আধা আধী পড়ে ছিলাম। তারপর ঘুমে চোখ বুজে আসলো। তাই শেষ না করেই চলে গেছি ঘুমতে। আজ এই মাত্র ঘুম উঠে ফ্রেশ হয়ে অনলাইনে ঢুক লাম।
আপনার লেখা যতটুকু পড়েছি তাতে যে সাহিত্যরস ও শব্দের নিখুত প্রয়োগ দেখেছি তাতে আপনাকে ১০০তে ১০০ দিবো। তবে এই নাম্বারিং অবশ্যই প্রাপ্ত মনষ্কদের পক্ষ থেকে। বয়ষ্ক নিষ্পাপ শিশুরা আপনাকে -১০০ দিতে পারে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ঘুমের কথা শুনে অমন ঘুমের জন্য লোভ হচ্ছে, আপনাকে হিংসা হচ্ছে....কারণ, আমি ইনসোমেনিয়াক....আমি কখনও টানা আধাঘন্টা ঘুমাতে পারিনা!
আমার লেখার এমন প্রাণখোলা প্রশংসা পেয়ে নিজের পরিশ্রম সার্থক মনে হয়।
কৃতজ্ঞতা জানাই।
১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উপরের মন্তব্যটি সকাল ১১টায় লিখা।
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৫
কামাল৮০ বলেছেন: এই দুর্মূল্যের বাজারে এমন গল্পই আমাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারে।গল্পের এটাই উপযুক্ত সময়।নিয়ে যেমন বাঁশি বাজাচ্চিল।