নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ট্যাটু প্রথা এবং......
যুগে যুগে, কালে কালে দুনিয়া জুড়ে রাজাদের ‘প্রয়োজন’ হত নতুন নতুন রাণির। কিন্তু এত রাজকুমারী তো আর পাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই, সাম্রাজ্যের পথেঘাটে কোনও সুন্দরীকে পছন্দ হলেই তার স্থান হত রাজার ঘরে(এই কুকর্মের উদাহরণ হতে পারে- মোঘল সম্রাটদের জীবনাচার, হালের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তুর্কি ঐতিহাসিক সিরিয়াল 'সুলতান সুলেমান' সাধারণ ঘরের মেয়ে রাণি হবে, এ তো খুবই আনন্দের বিষয়। কিন্তু আদতে তা হত না বর্তমান বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মায়ানমারের 'চিন প্রদেশ'র আদিবাসীদের মধ্যে। রাণি হওয়ার সাধ তাদের অধরাই থেকে যেত। বিয়ে তো দূরস্থান, রাজার মন ভরে গেলে, রক্ষিতা হিসেবেও স্থান হতো না। এমনকি সমাজও তাদের স্বীকৃতি দিত না।
লম্পট রাজার হাত থেকে ঘরের মেয়েদের বাঁচাতে এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করে এই আদিবাসীরা। যুবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েদের মুখে ট্যাটু করে দেওয়া হত। যাতে তাদের সৌন্দর্য কোনও ভাবেই রাজাকে আকৃষ্ট না করে। নীল, সবুজ বা কালো রঙের লাইন এঁকে বা বুটি দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হত তাদের অবয়ব। গাছের রস, ষাঁড়ের পিত্ত ও অ্যানিমাল ফ্যাট দিয়ে প্রস্তুত করা হত সেই রং। তারপরে গাছের কাঁটা দিয়ে বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে মুখে নকশা এঁকে দেওয়া হত। কষ্টকর এই পদ্ধতির পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে যেত সম্পূর্ণ সুস্থ হতে। পরবর্তীকালে ট্যাটু করার এই প্রথা চিন আদিবাসীদের মধ্যে কেবলমাত্র ‘সংস্কৃতি’র অঙ্গ হিসেবেই রয়ে যায়- এভাবেই চিন প্রদেশ থেকে ট্যাটু প্রথা ফ্যাশন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ আমেরিকা আফ্রিকা সহ গোটা বিশ্বে। তবে ট্যাটুর জন্মস্থান খোদ মায়ানমার সরকার ১৯৬০ সালে ট্যাটু করার এই প্রথাকে আইনত নিষিদ্ধ করে। ফলে বর্তমানে প্রায় অবলুপ্ত হতে চলেছে ঐতিহাসিক এই ট্য্যাডিশন।
কিন্তু শেষ হইয়াও বোধহয় হইলো না শেষ! হলিউড বলিউডের কুসংস্কৃতি এখন আমাদের দেশেও সংক্রমিত হয়েছে ভয়াবহ ভাবে। দেশের নাটক সিনেমা জগতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, বিবাহবিচ্ছেদ কিম্বা বহুবিবাহ কুসংস্কৃতি থেকে রক্ষা করতে সুন্দর মুখোশ্রীর শিল্পীদের মুখে ট্যাটু করে কুৎসিত/বিকৃত করার সময় হয়েছে। নচেৎ আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: এক শ্রেণির মানুষের কাছে ট্যাটু শুধু ফ্যাশনই নয়, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের কাছে বরং নেশাও বটে! উদাহরণঃ নেইমার, মেসি....এরা কিছু দিন পর পর পূর্বের ট্যাটু মুছে ফেলে শরীর জুড়ে নতুন নতুন ট্যাটু করায়। আবার ইউরোপ-স্কান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের পেশাদার বেশ্যাদের প্রিয় ফ্যাশন ট্যাটু!
এতোদিন ফ্লিম মিডিয়ায় যা ওপেন সিক্রেট ছিলো তা এখন একটা ছাত্র সংগঠন এর নেতা নেত্রী কর্মীদের মধ্যেও মহামারী আকারে ছড়িয়েছে, যা গত দুই সপ্তাহের টক অব দ্যা টাউন/মিডিয়া। হ্যা ওই তৃতীয় শ্রেণীর নায়িকার বক্তব্য পড়ে মোটেই অবাক হউনি। কারণ, এটাই ওদের সংস্কৃতি!
এখন আর প্রেম ভালোবাসা বলে কিছু নাই, শারীরিক চাহিদা মতো বীর্যপাত করে দিলেই যা জন্ম নেয় তাই ওদের নারীবাদী স্বাধীনতার ফসল!
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
কামাল৮০ বলেছেন: এখন অস্থায়ী ভাবেও করা যায়।আমাদের দেশে মেথরদের হাতে দেখতাম।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ট্যাটু বাদীরা যত বড়োই সেলিব্রিটি হোক, আসলে ওদের শেকড় সেই মেথর পর্যায়ের।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ট্যাটু প্রথা তো এখন বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে দেখছি । বেঢপ আকৃতির কী সব আঁকে আর তা দেখিয়ে বেড়ায় সবাইকে । নিজেদের তারা হয়তো শিল্পের ক্যানভাস মনে করে । কিন্তু দেখে কেন যেন মনে হয় নিজেকে সে আসলে ছোট করে ফেলছে !!
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৬:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষ কতটা অরুচিকর হলেই শরীরে ট্যাটু এঁকে কদাকার করতে পারে!
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মায়ানমার ের আদিবাসীদের ট্যাটু করার বিষয়টি একদম অভিনব লাগলো। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর অনুষ্ঠিত এক বিশ্ব সেমিনারে আমেরিকা থেকে রেড ইন্ডিয়ান স্কলার এসেছিলেন।উনি ওনাদের আদিম সংস্কৃতি যখন সবে সাদা চামড়ার লোকেরা ওই মহাদেশে আস্তানা গড়তে থাকে তখন নিজেদেরকে স্বতন্ত্র রাখতে উল্কি আঁকার চল রেড ইন্ডিয়ানদের মধ্যে চালু হয় বলে উনি জানিয়েছেন।পরে যেটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যাইহোক ট্যাটু যে আদিবাসীদের সংস্কৃতির অঙ্গ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ট্যাটু বিষয়ে রেড ইন্ডিয়ানদের ইতিহাস সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতাম তবে আমার কাছে 'চিন প্রদেশ' এর আদিবাসীদের ইতিহাসটাই বেশী যুক্তিসংগত মনে হয়েছে। তবে যেটাই সত্য হোক ট্যাটু বা উল্কি প্রথা আদিবাসীদের থেকেই এসেছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। মুখাকৃতি বিকৃত করার রেওয়াজ এখনো বিশ্বব্যাপী ট্রাইবালদের মধ্যে এখনো আছে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: ভয়ঙ্কর জঘন্য একটা কু-শিল্প অপকর্ম!!!
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: নোংরা অরুচিকর এবং বিকৃত মানসিকতার পরিচয় হচ্ছে ট্যাটু।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোস্ট আর পদাতিক ভাইয়ের পোস্ট থেকে ইতিহাস জানলাম। আদতে, ট্যাটু ম্যাটু কোনোদিনই আমার ভালো লাগে নাই। বিশ্রী লাগে। তবে, যার চোখে যা সুন্দর লাগে, এই আর কী ?
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে ইতিহাসের ডালপালা অনেক বেশি বিস্তৃত, তাই ইতিহাসের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। ট্যাটুর ইতিহাস যা ই হোক, আমি মনে করি ট্যাটু সভ্য শিক্ষিত মানুষের জন্য নয়। আদিম যুগে মানুষ যা করতো তাই যদি একবিংশ শতাব্দীতে সভ্য শিক্ষিত দাবীদার মানুষও করে তাহলে সভ্যতা শিক্ষার মূল্য কী!
৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হাওয়া তো এখন অন্য পালে গেলেছে।
নায়িকারা স্বামী ছাড়াই সন্তন জন্ম দিচ্ছে শালীন পদ্ধতীতে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেকটা হালাল সাবান পদ্ধতি
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: ট্যাটু করানো ইতিহাস টা তো বেশ অভিনব ! এটা জানা ছিল না ! ।
আমার ট্যাটুর ব্যাপারটা বেশ চমৎকার লাগে । এই ট্যাটু একবার করিয়েই ফেলেছিলাম তবে শেষ পর্যন্ত আর করাই নি । ভাগ্যিস করাই নি তাহলে বেইজ্জতির এক শেষ হত ।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাগ্যিস ট্যাটু করাওনি,ট্যাটু করা জানলে ব্লক মোবারক করতাম
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক সময় অসহায় মেয়েদেরকে রক্ষার জন্য এই ট্যাটু প্রথার উদ্ভব হলেও এখন এটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। এই কষ্টদায়ক প্রথা কিভাবে যে ফ্যাশন হয় বুঝি না।
অনেক অসামাজিক ব্যাপার এখন সেলিব্রেটিদের বদৌলতে সমাজে সামাজিক বলে লাইসেন্স পাচ্ছে। এগুলি ভালো লক্ষণ না। পেপারে দেখলাম ঢাকার এক বিখ্যাত নায়িকা বলছে যে, মা হওয়ার জন্য আজকাল বাবা জরুরি নয়, অনেক পদ্ধতি রয়েছে। ঠিকঠাক সঙ্গী না পেলে আমিও সিঙ্গেল মাদার হওয়ার কথা ভাববো।
তারমানে একটা সময় আসবে এই দেশে যখন বাপের পরিচয়ের কোন প্রয়োজন পড়বে না। বীর্য যেখান থেকে আর যেভাবেই আসুক না কেন। বাপের পরিচয় জানতে চাওয়ার ধৃষ্টতা কেউ দেখাবে না। আইন করেও বন্ধ করে দেয়া হতে পারে এই সব ব্যাক ডেইটেড জিনিস। হয়তো এটাই নারী স্বাধীনতা। আমি এগুলি ভালো বুঝি না।