নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বৃদ্ধাশ্রম এবং ইচ্ছামৃত্যু...
এই দুটো বিষয়ে আমার গভীর আগ্রহ আছে। যদিও বৃদ্ধাশ্রমের একটা নেগেটিভ ইমেজ আমাদের সমাজে আছে- খারাপ ছেলে, ছেলের বউ কিম্বা মেয়ে- জামাই বুড়ো মানুষটাকে বাড়িতে থাকতে দিল না! নাতি নাতনীগুলো পর্যন্ত বুড়োর একটু দেখাশোনা করতে পারল না! এইরকম প্রি কনসিভড মানসিকতার বাইরে যাঁরা ভাবনা চিন্তা করেন তাঁদের জন্য বলা। বৃদ্ধাশ্রমের কনসেপ্ট খুব খারাপ না। ফুললি ফেসিলেটেটেড।
অবশ্যই বুড়ো হলে ছেলেপুলের সঙ্গে থাকা ভালো। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রম খারাপ কী? সমবয়সী বুড়োবুড়ি মিলে থাকা। নিয়ম কানুন, ডাক্তার বদ্যি, ইবাদত বন্দেগী, বেড়ানো, পড়াশোনা, লেখালেখি সব থাকলো। আবার নিজের মত থাকাও গেলো। বুড়ো বলে কেউ আপনার খুঁত ধরবেনা। আপনি আপনার মতো, সবাই সবার মতো। অবশ্য আশ্রমটা ঠিকঠাক হতে হবে। নিজেরা একটু আনন্দে বাঁচা। আর পরের প্রজন্মকে তাদের মত ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
জানি, বৃদ্ধাশ্রম শুনে অনেকেই আমাকে নিষ্ঠুর ভাবছেন। বৃদ্ধাশ্রম ভালো আশ্রয়, শুনে কেউ কেউ দুঃখ পেলেন। আশংকিত হয়েছেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা নিষ্ঠুরতা নয়। বাস্তব খুব কঠিন। বৃদ্ধাশ্রম মানে বাবা মাকে অবহেলা করা নয়। তাঁদের জন্য সুব্যবস্থা।
সন্তানদের যতই কাজকর্ম, ব্যস্ততা থাকুক- বুড়ো বাপ মা'র সেবা করা যায়.... কিন্তু যাঁরা অপারগ তাঁরা বিকল্প ভাবলে ক্ষতি কী? বিশেষ করে সাহচর্য। এমন অনেক পরিবার দেখি, বৃদ্ধ মানুষটি চলে গেলে বাঁচেন! দায়ে পড়া সেবা গ্রহণের চেয়ে ভদ্রস্থ বৃদ্ধাবাস ভালো। তারপর অল্প জায়গাতে কয়েকজন মিলে ঠাষাঠাষি করে থাকলে অসুবিধে তো হবারই কথা।
টিভি নাটক সিনেমায় দেখি- বাড়িতে বৃদ্ধ দাদা দাদী কিম্বা মা বাবা থাকেন। সন্তানেরা, নাতি নাতনিরা যারযার কাজে বাইরে যাবার আগে 'কিছু লাগবে কি না?' হাসিমুখে খোঁজ নিচ্ছে। বাড়ি ফিরেই জিজ্ঞেস করছে- 'কোনো সমস্যা নেইতো? ওষুধপত্র ঠিকঠাক খেয়েছোতো?'...বাস্তবতা হচ্ছে -এসব নাটক সিনেমার চমক। বাস্তব বিপরীত। সব মানুষেরই বয়স কম হোক বা বেশি হোক, সবার অধিকার আছে নিজের মত বাঁচার। তাই বৃদ্ধাবাস একটি ভালো চয়েস।
আর ইচ্ছামৃত্যু?
স্বেচ্ছামৃত্যুর কথাতে যাঁরা আঁতকে উঠলেন তাঁদের বলি, কুড়ি বছর আপনার প্রিয়জন বিছানায় পড়ে। তিনি স্বেচ্ছা মৃত্যু চাইলে দোষ? বছরের পর বছর কোমায়- তার ভার বৈবে কে? মানুষ যতদিন শারীরিকভাবে সক্ষম, ততদিন সে স্বাবলম্বী। আর অন্যের মুখ চেয়ে বেঁচে থাকা , আজ আর কেউই চান না। তাই স্বেচ্ছা মৃত্যুর মত সুন্দর কিছু নেই।
যদি মনে করি শরীর আর নিচ্ছে না, আর কিছু করার নেই, বিছানায় শুয়ে অন্যের এবং নিজের বিপদ বাড়ানোর চেয়ে ইচ্ছামৃত্যু শ্রেয়। আমার কাছে এটাই ভালো। অনেক বছর বাঁচার পর একটি আরাধ্য মৃত্যু।স্বেচ্ছামৃত্যু। কম্পালশন তো না! যদি ধর্মীয় বিধিনিষেধ না থাকতো তাহলে রোগে শোকে মানুষের মৃত্যু খুব কম হতো।
আমার মতে বৃদ্ধাশ্রম একটি ভালো কনসেপ্ট। সেখানে সম্মানের সাথে, আনন্দের সাথে বাঁচা ভালো। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো থাকতে হোলে সত্যিকার অর্থে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার কোন বিকল্প নাই। তবে এজন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা জরুরি। সহায় সম্পত্তি সবকিছু ছেলে-মেয়েদের দান করে ফ্রী বৃদ্ধনিবাসে থাকতে যাওয়ার চিন্তা করাটা ঠিক না। তবে কোরআন শরীফে বাবা-মা'র প্রতি সন্তানদের কর্তব্যের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। এ ব্যাপারেও তাদেরকে শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন... ‘আর তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। যদি পিতা-মাতার কোনও একজন কিংবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন, তবে তুমি তাদেরকে ‘উফ’ শব্দটি পর্যন্ত বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না বরং তাদের সঙ্গে বিনম্রভাবে সম্মানসূচক কথা বল। আর তাদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা মমতাপূর্ণ আচরণের সঙ্গে তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবনত কর। আর দোয়া কর, হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়ের প্রতি রহমতের বর্ষণ করুন, যেভাবে তারা শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন। (সূরা: বনী ঈসরাইল, আয়াত নং- ২৩-২৪)
Euthanasia বা স্বেচ্ছামৃত্যু প্রথম আইনগত ভাবে স্বীকৃতি পায় নেদারল্যান্ডে। কষ্ট পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকার চেয়ে এই মৃত্যু অনেক ভালো।
(এই লেখা কাউকে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য কিম্বা ইচ্ছামৃত্যুর জন্য কাউকে অনুপ্রানিত করার জন্য নয়, নিতান্তই নিজের ভাবনা শেয়ার করা)
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম তখনই ভালো যখন পরিবার থেকে আপনি বঞ্চিত কিম্বা অবহেলীত মনে করবেন। এমনকি, যদি কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেই হতা তাও যেনো নিজের খোরপোষ নিজেই করতে পারেন- অন্যের করুণা/ গলগ্রহ হয়ে নয়।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫২
কামাল৮০ বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম বিষয়টার সাথে সম্পুর্ণ এক মত।একজন বৃদ্ধিই বোঝে আরেকজন বৃদ্ধের সমবেদনা।এখানে মানুষ ইচ্ছা করেই বৃদ্ধশ্রমে থাকে।
কষ্ট করে বেঁচে থাকার চেয়ে একটা ইনজেকশন দিলেই যদি চির জীবনের জন্য শান্তির ঘুম চলে আসে খারাপ কি।এই আইন পাশ হওয়া দরকার।আমার জীবনের মালিক আমি,সরকার না।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কলকাতার নিউ টাউনে সরকারি উদ্যোগে একটি বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। নাম 'স্নেহদিয়া'। একদম ফাইভ স্টার মানের সুযোগ সুবিধা। সেখানে থাকার জন্য প্রথমে জমা করতে হয় ২৫ লক্ষ রুপী। এর পর প্রতি মাসে দিতে হয় ১৯ হাজার রুপী।এখানে ইচ্ছা করলে কেউ সারাদিন থেকে রাতে বাসায় চলে যেতে পারেন। এখানে সব ধরনের খেলাধূলা ছাড়াও সিনেমা হল থেকে শুরু করে আড্ডা/বিনোদণের জন্য ক্লাব সব ব্যবস্থা আছে।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দুটোই কঠিন বিষয় আসলে ভাবা যায় না
এরকশ ঘটার আগেই মৃত হওয়া অনেক ভাল
কিন্তু সেই মৃত্যু কি সবার জীবনে ঘটে?
ভাল থাকবেন দাদা
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে জীবনের বাস্তবতা আরও কঠিন বলেই মানুষ বৃদ্ধাশ্রমের কথা ভাবে, ইচ্ছামৃত্যুর কথা ভাবে!
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথমতঃ বৃদ্ধদের ব্যাপারে ইসলাম যে গাইড লাইন দিয়ে দিয়েছে সেটা আমার মতে পারফেক্ট। যারা এটা মানতে পারছেন তাদের ব্যাপারে কোনো কথাই নাই। তারা ভাল আছেন সন্দেহ নাই।
আবার পেশাগত কারনে অনেকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে, আবার অনেকে বিষয়টি নিয়ে উদাসীন, বৃদ্ধ মা-বাবাকে অনেকে উটকো ঝামেলা মনে করছেন, তারাও যে দুদিন পরে একই পথের পথের পথিক হবেন একথাটিও অনেকের মনে পরে না। অনেকটা "ঘুটে পুড়ে গোবর হাসে" এরকম। সবাই ভাবে আমি আমার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল থাকার জন্যই সব কিছু করছি। কিন্তু আজ তুমি মা-বাবার খেয়াল রাখতে পারছো না, দুদিন পরে তোমার জন্য হয়তো এর চেয়েও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে তা কি জানো? যাই হোক গৃহে মানবেতর জীবন যাপনের চাইতে বৃদ্ধাশ্রম অবশ্যই ভালো। প্রয়জোনে সেখানে যদি কোনো অসুম্পূর্ণতা থাকে সেগুলোর উন্নয়ন করতে হবে, এবং ভবিষ্যতে আরো অনেক উন্নয়ন হবে তাতেও কোনো সন্দেহ নাই।
আবার যারা মন্দের ভালো হিসেবে বৃদ্ধাশ্রমের সুবিধাটাও আর্থিক কারনে নিতে পারবেন না, আবার উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ সেক্ষেত্রে রোগ ও জরাগ্রস্থ বৃদ্ধরা ইচ্ছামৃত্যু কামনা করাটাও অস্বাভাবিক নয়, তবে ধর্ম ও রাষ্ট্রের আইন এটাকে সাপোর্ট করে না। ভবিষ্যতে কি হবে তা জানা নাই।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমিও একমত। তবে সব কিছুই আমাদের প্রত্যাশা মতো হয় না- এটাই জীবনের গতি!
আমার মনে হচ্ছে- আমাদের জেনারেশন থেকেই এটা শুরু হবে, আমি নিশ্চিত আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছে থাকবো না। ওরাও এটা চাইবে না। তবে কিছু সঞ্চয় থাকলে, এমন বৃদ্ধাশ্রম মন্দ কি!
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম পৃথিবীর সব দেশেই আছে। থাকা উচিৎ।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২১
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: দিনকে দিন যৌথ পরিবারগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধরা এক একজন জ্ঞানের ভান্ডার। একজন বৃদ্ধ মানুষের ৬০ বছরের জীবনটা যেনো একটা বই। বৃদ্ধদের জীবন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা পরিবারের নবীন সদস্যদের পাথেয় হতে পারে। পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বৃদ্ধরা বোঝা নয় বরং সম্পদ। আর তাদের পেছনে খরচ? তারা তাদের সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন তার বিনিময়ে তাদের পেছনে খরচটা কিছুই না।
যে যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে ভালো মানুষ হতে পারলে, তার দায়িত্বে থাকা বৃদ্ধ বাবা/মা/দাদা/দাদী কে কখনো বোঝা মনে হবে না। ফাইভস্টার সুবিধাসম্পন্ন বৃদ্ধাশ্রমে থাকার চাইতে নাতির সাথে দুষ্টমি করার একবেলা অনেক আনন্দের।
নিজে বৃদ্ধ হবার আগে যেটা করা দরকার -
১) নিজের সন্তানকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা
২) সন্তানকে উচ্চশিক্ষত হবার চাইতে ভালো মানুষ হওয়াতে গুরুত্ব দেওয়া
৩) ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া
৪) যৌবনের উপার্জন থেকে নিজের জন্য কিছুটা সঞ্চয় রাখা যেনো বৃদ্ধ হলে পরনির্ভর হতে না হয়।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!!!
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ গুছিয়ে চমৎকার বলেছেন। অর্থকরীর দিকটা পড়তে পড়তে আমিও ভাবছিলাম।
বিশেষ কেউ একজন শুধু করেই যাবে আর আমি আমৃত্যু হাত পা ছড়িয়ে বসে বসে খাব সব সুযোগ সুবিধা নিব। ফ্রিতে চিকিৎসা নিব বিনিময়ে কিছুই করবো না এই ব্যাপারটা মোটেও ঠিক নয়। কিছু টাকা-পয়সা থাকলে বৃদ্ধাশ্রম এর সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো ভাবে থাকা যায়।
একটা হিন্দি ছবি আছে নাম 'গুজারিশ'! যদি না দেখে থাকেন তবে আমার অনুরোধ থাকবে সময় সুযোগ পেলে যদি হিন্দি ছবি দেখার রুচি থাকে তবে দেখে নিবেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ওহ তপন ভাই! গুজারিশ, কী অসাধারণ একটা সিনেমার নাম মনে করিয়ে দিলেন!!
Sanjay Leela Bhansali সাধারণ থেকে সাধারণ দৃশ্য যেন এক জাদুর প্রয়োগে সকলের চোখে পানি এনে দেয়।
আমিও মনে করি, বৃদ্ধাশ্রমে আমাদের সাধ্যমতো কন্টিবিউট করা উচিৎ.....
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ডিলেমা বুঝতে পারলে, ভালো মন্দ যাচাই সহজ হয়।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: উভয়সংকট; এমন অবস্থা যখন দুটি সমান অগ্রহণযোগ্য বা অসুবিধাজনক বিকল্পের একটিকে বেছে নিতে হয়।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: শ্রদ্ধার সাথে আপনার অভিজ্ঞ মতামত আমি কিছুটা অগ্রাহ্য করছি। আপনি নিশ্চয়ই আপনার নাতি-নাতনীদের প্রতি কিছুটা হলেও দুর্বল। এটা গ্রেন্ডফাদার/মাদারদের একটা বৈশিষ্ট্য। আর এটা তখনই মানুষ উপেক্ষা করে, যখন সে নিজ সন্তানকে সামাজিক বন্ধন ও ভালোবাসার প্রকৃত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হন। যার ফলস্বরূপ সে তাদের থেকে তেমন উৎকৃষ্ট আচরণ পায় না, যা সে তখন আশা করে।
বৃদ্ধাদের উচিত কর্মের একটি বিষয় আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বলেছেন, অর্থিক সচ্ছলা ধরে না রাখা। একজন মানুষ তার পুরো জীবন কাটিয়ে দেওয়ার পর, যদি তাকে সন্তান কিংবা রাষ্ট্রের করুনার দিকে চেয়ে থাকতে হয়, তবে তার পুরো জীবনের সাধনাকে সফল সাধনা বলা যায় না। যেকোন কাজে মানুষ নিয়োজিত হয় ফলাফলের দিকে দৃষ্টি রেখে। অথচ জীবনের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সে কীভাবে ফলাফলের চিন্তা ব্যতিরেকে কাটিয়ে দেয় তা অবাক করার মতই।
বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা নিজেরা একান্তে সন্তানের থেকে দূরে থাকা মন্দের কিছু না। যদি সেখানে সন্তানকে নিয়মিত পাশে পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। অন্তত ছুটির দিনগুলোতে যেন নাতীনাতনীদের পাশে পাওয়া যায়। এরকম প্রাপ্তিই একজন বৃদ্ধ বয়সী লোককে মানসিক শান্তির পাশাপাশি আত্মীক দৃঢ়তা দেয় বলেই আমার বিশ্বাস।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার উপলব্ধি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
আপনার আগ্রহ বেশ সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
তবে সব কিছুই নির্ভর করে অনেক "যদি" আর "কিন্তু"র সমীকরণের উপর।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইজান, বিষয়টা অবশ্যই অনেকগুলো "যদি" আর "কিন্তু"র সমীকরণের উপর নির্ভর করে, তবে দুঃখ জনক হলেও এটাই আমাদের বর্তমান সমাজের প্রান্তিক চিত্র।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রমকে আমাদের দেশে যেরকম নেগেটিভ ভাবে দেখানো হয়, উন্নত বিশ্বে সেভাবে দেখানো হয় না। প্রয়োজন , বাস্তবতা যাচাই না করে ছেলে মেয়েদের ভিলেন বানানোই আমাদের সমাজের একমাত্র কাজ । বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে এত নেগেটিভ প্রচারনার কোন মানেই হয় না।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম সময়ের দাবী, এখানে নেগেটিভ কিছু নাই। আর কেউ কখনো অহেতুক ছেলে মেয়েদের নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরে নিজের ব্যার্থতা প্রমাণ করবেন না। যৎসামান্য সেবামূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকায় এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের খুব কাছে থেকে দেখেছি....অনেক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত, অনেক বড়ো সরকারি কর্মকর্তা যাদের সন্তানেরাও উচ্চ শিক্ষিত হয়ে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে প্রবাসী.... দেশ ছেড়ে বৃদ্ধ মা বাবা যাচ্ছেন না....অগত্যা তাদের আশ্রয় আগারগাঁও "প্রবীণ নিবাস" কিম্বা প্রবীণ হিতৈষী ফাউন্ডেশন। ওখানে যারাই আছেন তাঁর বেশীরভাগই সম্ভান্ত্র পরিবারের, কেউ স্বপ্রনোদিত হয়ে, কেউ নিতান্তই নিরুপায় হয়ে.... যদি কখনও সুযোগ হয়, যেয়ে সত্যতা পাবেন।
ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রমের ব্যাপারটার ক্ষেত্রে কেইস টু কেইস সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
আমার ধারণা স্পাউসের দিক থেকে আপত্তি থাকে অনেক সময়। আমাদের দেশে কোন কন্যা/ পুত্র তার নিজের বাবা বা মাকে নিজের সাথে রাখতে অনাগ্রহী হয় মুলত স্পাউসের কারণে, নিজের কারণে না (ব্যতিক্রম আছে কি না আমি জানি না)। আমাদের দেশের মেয়েরা নিজের সামর্থ্য থাকলেও স্বামী এবং সমাজের কথা চিন্তা করে বাবা/ মাকে নিজের সাথে রাখতে আগ্রহী হয় না (এটার ব্যতিক্রম খুব বিরল হলেও উদাহরণ আছে। আমার পাশের বাসায় স্বামী- স্ত্রী দুজনেই চাকরী করে। স্ত্রীর মাও ঐ বাসাতেই থাকে। কিন্তু মা সংসারের খরচের একটা অংশ দেয়। এত দিন ভালোই ছিল। শুনলাম ইদানিং মেয়ের সাথে মায়ের বনছে না। স্বামীর দিক থেকে কোন সমস্যা নাই।)। ছেলেদের ক্ষেত্রে ছেলেরা অনেক সময় স্ত্রীর মতামতকে অগ্রাহ্য করে পিতা/ মাতাকে নিজের সাথে রাখে এবং সংসারে অশান্তি তৈরি হয়। আবার অনেক সময় স্ত্রীর কথা রাখতে গিয়ে পিতা/ মাতাকে সাথে রাখে না।
কেইস ১ঃ স্পাউস চায় না শ্বশুর/ শাশুড়ি তার সাথে থাকুক। পিতা মাতার আর্থিক সামর্থ্য নাই। সেই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল। স্পাউসকে সন্তুষ্ট করবে নাকি পিতা/ মাতাকে। সেই ক্ষেত্রে আলাপ আলোচনা করে বুঝিয়ে শুনিয়ে উভয় পক্ষের জন্য কল্যাণকর একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা খুব কঠিন একটা কাজ।
কেইস ২ঃ স্পাউস চায় না শ্বশুর/ শাশুড়ি তার সাথে থাকুক। কিন্তু পিতা/মাতার আর্থিক সামর্থ্য আছে। সেই ক্ষেত্রে পিতা/ মাতার উচিত হবে সন্তানের সংসারে সমস্যা সৃষ্টি না করে আলাদা থাকা। অথবা সন্তানের যদি সামর্থ্য থাকে তার উচিত হবে পিতা/ মাতার জন্য নিজের বাসার কাছেই পারলে কোন ব্যবস্থা করে দেয়া (কেয়ার টেকার সহ) যেন তারা মাঝে মাঝে আসতে পারে। পারলে নিজেই সেটার খরচ বহন করা যেন পিতা/ মাতা সন্তুষ্ট হন। অথবা বৃদ্ধাশ্রম। এই ক্ষেত্রে পিতা/ মাতাকে সন্তানের পরিস্থিতি বুঝতে হবে।
কেইস ৩ঃ স্পাউসের কোন আপত্তি নাই পিতা/ মাতাকে সাথে রাখার ব্যাপারে। কিন্তু বাবা/ মা অন্তর থেকেই চায় আলাদা থাকতে। এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধাশ্রমই উত্তম সমাধান।
কেইস ৪ঃ স্পাউসের কোন আপত্তি নাই পিতা/ মাতাকে সাথে রাখার ব্যাপারে। পিতা মাতাও চায় সন্তানের সাথে থাকতে। এটাই আদর্শ পরিস্থিতি। পিতা/ মাতা নাতি-পুতি নিয়ে সুখে থাকবে।
কেইস ৫ঃ সন্তান অন্য দেশে বা বহু দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। চাইলেও সে পিতা/ মাতাকে কাছে রাখতে পাড়ছে না। সেই ক্ষেত্রে বৃদ্ধাশ্রম উত্তম হবে। আরও উত্তম হবে যদি সন্তান সেই খরচ দিয়ে দেয়। পিতা মাতার উচিত হবে পরিস্থিতি মাথায় রেখে সন্তানের উপর সন্তুষ্ট থাকা এবং রাগ না করা।
স্ত্রীর প্রাইভেসি নিশ্চিত করা স্বামীর দায়িত্ব। কিন্তু দেখা যায় যে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবা/ মাকে ঘরে রাখলে স্ত্রীর প্রাইভেসি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সেই ক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি না এনে বাবা/ মাকে বুঝিয়ে তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা উচিত। আমাদের দেশে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ, দেবরদের কারণে অনেক সংসারে প্রচণ্ড অশান্তি হয়। পিতা মাতারও ব্যাপারটা সহজভাবে নেয়া উচিত।
বাবা/ মাকেও পরিস্থিতি বুঝতে হবে। আবেগ প্রবণ হয়ে ছেলে/ মেয়ের সাথে থেকে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা ঠিক না। বাবা/ মার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব আছে অবশ্যই। কিন্তু স্ত্রীর কিছু হক আছে। তাই এই দুইটা বিষয় বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের দেশে যৌথ পরিবারে অনেক অশান্তি হয়। কারণ প্রাইভেসি আমরা নিশ্চিত করতে পারি না।
তবে আমার মনে হয় যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে বৃদ্ধাশ্রমে না রেখে বাবা/ মাকে কাছাকাছি (পাশের ফ্লাটে) কোথাও রাখা (কেয়ার টেকার সহ)। বৃদ্ধাশ্রমের পরিবেশ আসলে একটা পরিবারের পরিবেশের মত কখনও হওয়া সম্ভব না। সেটা যত আধুনিক সুবিধা সম্পন্নই হক না কেন। পরিবারের পরিবেশের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। শুধুমাত্র বৃদ্ধাশ্রমে থাকার আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে কিংবা অশান্তি এড়ানোর জন্য বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়া যেতে পারে।
মুসলমান হিসাবে ইচ্ছা মরণকে কখনও সমর্থন করতে পারবো না। শেষ বয়সের কষ্ট সহ্য করতে হবে। নিজের ইচ্ছায় মরে যাওয়া কোন সমাধান না। যদিও আপাত দৃষ্টিতে এটাকে একটা সমাধান মনে করা হয়। পরকালে বিশ্বাস করলে পৃথিবীর এই কষ্ট আমাদের মাথা পেতে নিতে হবে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম প্রসঙ্গে আপনার অবজারভেশনে কোনো প্রকার অতিরঞ্জন নেই, বরং আমাদের সমাজের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
আর হ্যা, ইচ্ছামৃত্যু কেউই চায়না। তবুও কখনো কখনো সেই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়....ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে আলাদা ভাবে একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
আপনার অসাধারণ সুন্দর একটা মন্তব্য আমার লেখাটাকেই ঋদ্ধ করেছে।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান আপনাকে খন্ডন করতে পারছিনা। যেহেতু বাস্তবতাকে যৌক্তিক আলোকে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তবুও বলবো, বৃদ্ধবয়সে নাত নাতনি নিয়ে পুত্র কন্যাদের সঙ্গে বসবাস একজন মানুষের কাছে অনেক বেশি আনন্দের বেশি কাম্যের।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: উপমহাদেশের মানুষের মনমানসিকতা যৌথ পরিবার কেন্দ্রিক হলেও সমাজ বিবর্তন, আর্থিক ও পেশাগত জীবনে সেই প্রথা হারিয়ে গিয়েছে বললে ভুল বলা হবে না। কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা এখনো যৌথ পরিবার কেন্দ্রিক হলেও বাস্তবতা আমাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে....
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৩
কামাল৮০ বলেছেন: যারা মন্তব্য করেছে সবাই ধরে নিচ্ছে সকলের সন্তান আছে।আবার অনেকের সন্তান থেকেও নাই।এটা কেউ ভাবছে না।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে আমাদের সমাজে নেগেটিভ ধারনা পোষণ করা হয়। আমি যখন ডেনমার্কে ছিলাম আমার বাসার পাশে বৃদ্ধাশ্রম ছিল, সেখানে ডাক্তার নার্স, এ্যাম্বুলেন্স সবসময় থাকত, খাবারদাবার থেকে শুরু করে সব ব্যাবস্থা মজুদ থাকত। সেখানে দেখতাম সাধারনত একবারে যারা বৃদ্ধ বয়স ৮০ এর বেশী তাড়াই থাকত, আসলে এই বয়সে বৃদ্ধাশ্রম অনেক উপকারী, একটা বয়সে মানুষ সুস্থ থাকার চেয়ে অসুস্থই থাকে বেশী। যারা বাবামাকে যথেষ্ট সময়, সেবা করে বাসায় রাখতে পারে তারা রাখুক। তবে বৃদ্ধাশ্রম খারাপ না, আমি বাইরে দেখেছি বাবা মারা বয়স হয়ে গেলে নিজের ইচ্ছাতেই বৃদ্ধাশ্রম এ বা আলাদা থাকতে চায়। ছেলে মেয়ে নাতিনাতনীরা দেখতে আসে এবং নিয়ে যায় মাঝে মাঝে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক দুরবস্থার জানিই বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা জন্ম নিয়েছে। আমাদের মনমানসিকতা এভাবেই গড়ে উঠেছে যেনো বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মানেই সন্তানেরা বাবা-মাকে খাওয়ানোর ভাড় বহন করতে না পেরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছে কিম্বা সেখানে থাকতে বাধ্য হয়েছে। আসলে সব ক্ষেত্রেই তেমনটা নয়। অনেকেই স্বেচ্ছায় বৃদ্ধাশ্রমে যেতে যান নানাবিধ কারণে। আপনার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি।
ধন্যবাদ।
১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: ইচ্ছা মৃত্যুর পক্ষে আমাদের দেশে আইন থাকলে ভাল হত । অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকা কিংবা অন্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকার চেয়ে আমার কাছে মৃত্যু সব সময় শ্রেয় !
বৃদ্ধাশ্রমের ব্যাপারে আমাদের দেশে খুবই নেগেটিভ চোখে দেখা হয় । কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন আনা জরুরী !
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক দুরবস্থার জানিই বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা জন্ম নিয়েছে। আমাদের মনমানসিকতা এভাবেই গড়ে উঠেছে যেনো বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মানেই সন্তানেরা বাবা-মাকে খাওয়ানোর ভাড় বহন করতে না পেরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছে কিম্বা সেখানে থাকতে বাধ্য হয়েছে। আসলে সব ক্ষেত্রেই তেমনটা নয়। অনেকেই স্বেচ্ছায় বৃদ্ধাশ্রমে যেতে যান নানাবিধ কারণে।
ধন্যবাদ।
১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম ভালো , ধরে নিলাম টাকার বিনিময়ে সেখানে সব কিছু পাওয়া যাবে কিন্তু পরিবার কি তার চেয়ে বেশি ভালো না ? যে পরিবারটিকে যে পরিবারের মানুষগুলোকে খেয়ে না খেয়ে বড় করলেন , সে সবের প্রতিদান কি শুধুই বৃদ্ধাশ্রমের বিল পরিশোধ করা ?