নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একজন মাহবুব আলম এবং ........
মাহবুব আলম ভারতীয় বিহার রাজ্যের বিধান সভার চার বারের নির্বাচিত বিধায়ক। ওনার দলের নাম CPI(ML)
বিহার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নেটিজনদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সিপিআইএমএল-এর বিধায়ক মেহবুব আলম৷বিহারে এবার সবথেকে বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি৷ কাটিহারের বলরামপুর কেন্দ্র থেকে ৫৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছেন মাহবুব আলম৷এই নিয়ে টানা চার বার জিতলেন তিনি৷
৪৪ বছর বয়সী এই পোড় খাওয়া বিধায়কের বাড়ি বিহারের বলরামপুরের শিবাপুর গ্রামে। আলমের বাড়ি যেতে হলে পাকা রাস্তা পেরিয়ে মাটির রাস্তার পথ ধরতে হবে। এই গ্রামেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা আলমের। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও তাঁর ৪ এবং ৯ বছরের দুটি সন্তানও রয়েছেন। চাষাবাদ করেই সংসার চালান তিনি। এমনকি এমএলএ হয়েও সন্তানদের বেসরকারি নয়, সরকারী স্কুলেই পড়ান। চার-চারবারের বিধায়ক হয়েও জমিজমা সম্পত্তি, গাড়ি তো দূরে থাক, নিজেদের ভালো থাকার জন্য একটা টিন শেড বাড়িও পর্যন্ত গড়েননি। পলেস্তারা বিহীন নড়বড়ে ইটের দেওয়াল আর দরমার বেড়ার দেওয়াল কাঁচা বাড়ি থেকেই ভোটে লড়ে আসছেন তিনি। এই কারণে এখন গোটা দেশের মানুষের কাছে আলোচনার মূল বিষয় মেহবুব আলম।
যার বাড়িই নেই তখন গাড়িও যে নেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কোথাও যেতে হলে পায়ে হেঁটে অথবা বাস, ট্রেন, অটোতেই যান মেহবুব আলম৷ বিহার বিধানসভায় এবার যে বিধায়করা নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশই কোটিপতি। তার মধ্যে মাহবুব আলম সত্যিই ব্যতিক্রম৷
নির্বাচনী হলফনামায় মাহবুব আলম তাঁর সম্পত্তির খতিয়ানে জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০,০০০ টাকা রয়েছে। যার মধ্যে ২৫০০০ টাকা দিয়েছে দল থেকে নির্বাচনী খরচ বাবদ। এছাড়া তাঁর বাড়ি এবং চাষের জমি ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৯ লক্ষ টাকা। তাঁর কোনও গাড়ি নাই। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ গ্রাজুয়েট।
এই বিধায়ক এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "আমি খুবই সাধারণভাবে জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। আমার নির্বাচনী এলাকায় এমন লোকজন আছেন যাদের দুবেলা পেট ভরে খাবার খাওয়ায় কঠিন। সেখানে আমার বিধায়ক হিসেবে বিলাসী জীবন কাটানোর সুযোগ নাই।"
সংবাদ সূত্র এবং ছবিঃ দৈনিক আজকাল, কোলকাতা।
(যদিও ঘটনাটা দুই বছর আগে প্রকাশিত তবুও লেখাটা সংক্ষিপ্ত(এডিট) করে শেয়ার করলাম একজন মাহবুব আলমের সাথে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়)
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কাছে জানতে চান কেন- আমি কি ঐ এলাকার কেউ? আমি লেখাটা শেয়ার করেছি সুত্র সহ।
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- দুই একজন ব্যাতিক্রম সময় যায়গাতেই থাকে। তবে তাঁরা কোনঠাসা হয়ে থাকেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্ঞানী লোকের কথা কম, গুণী লোকের কদর কম।
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এখনো দুনিয়াতে এরকম কিছু সাদা মনের মানুষ আছে যারা সকল প্রকার লোভ-লালসার উর্ধে থেকে মানবতার জয়গান গায়।
আর তাইতো এখনো পৃথিবী এত সুন্দর ও শত দুঃখ কষ্টের মাঝেও বেঁচে থাকা আনন্দময়।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আবার ঠিক বিপরীত কিছু মানুষও আছে- যাদের নাম নিলেও বিপদ!
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১১
কামাল৮০ বলেছেন: পুকু,মাহবুব আলম সিপিএম এর নেতা না।৩৪ বছর তো দুরের কথা ৩৪ দিন তার দল ক্ষমতায় যায় নাই।খবর নিলে জানা যাবে তার দলের ইতিহাসে সেই একমাত্র বিধায়ক হয়েছে।সে হলো চারু মজুমদারের সিপিএম (এম এল) মার্ক্সবাদী লেলিনবাদী।একটু জেনে কথা বলবেন।না যানলে সেই বিষয়ে কথা বলা দরকার নাই।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
পুকু বলেছেন: চারবার মানে বিশবছরের নিজ এলাকার কাজের খতিয়ান জানতে চাই।পাতি সেন্টিমেন্টে কাজ চলে না বাবু !পার্টি এদের সামনে রেখে ভোট সংগ্রহ করে।ক্ষমতা থাকে ইয়েচুরি আর কারাতদের হাতে।আমরা ৩৪ বছর সিপিএম এর রাজত্ব দেখেছি।শীর্ষ নেতা সব ভন্ড।