নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
অ্যাগনোডিস প্রাচীণ গ্রীসে প্রথম মহিলা ডাক্তার....
প্রাচীন গ্রীসে, মহিলাদের চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন নিষিদ্ধ ছিল। ৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব সালে অ্যাগনোডিস নামের এক নারী তার চুল কেটে পুরুষ বেশধারণ করে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন।
চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন শেষ করে গ্রীসে ফিরে আসেন। একদিন এথেন্সের রাস্তায় হাঁটার সময় তিনি প্রসবকালীন একজন মহিলার কান্না শুনতে পান। মহিলাটি তখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অ্যাগনোডিস সন্তান সম্ভবা নারীকে সাহায্য করতে চাইলে সন্তান সম্ভবা নারী অ্যাগনোডিসকে তার শরীর স্পর্শ করতে দিতে চাননি। কারণ মহিলা ভেবেছিলেন যে অ্যাগনোডিস একজন পুরুষ। যদিও অ্যাগনোডিস নিজেকে একজন নারী চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিলেও সন্তান সম্ভবা নারী তাকে বিশ্বাস করেননি।
অ্যাগনোডিস নিরুপায় হয়ে সর্বসমক্ষের আড়ালে তার জামাকাপড় খুলে মহিলাকে দেখান- তিনি একজন নারী। তারপর ওই মহিলার সন্তান প্রসব করে অ্যাগনোডিস নিজেকে প্রমাণ করলেন তিনি দক্ষ চিকিৎসক।
এই ঘটনা মহিলাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমস্ত অসুস্থ মহিলারা অ্যাগনোডিসের কাছে চিকিৎসা নিতে শুরু করে। ঈর্ষান্বিত, পুরুষ ডাক্তাররা অ্যাগনোডিস এর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন। অ্যাগনোডিস আদালতে স্বীকার করেন- তিনি একজন নারী চিকিৎসক। নারী হয়ে চিকিৎসা বিদ্যা অর্জন করে চিকিৎসক হওয়ার অভিযোগে আদালত অ্যাগনোডিসকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
অ্যাগনোডিসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিরুদ্ধে গ্রীসের সমস্ত মহিলারা বিদ্রোহ ঘোষনা করলেন, বিশেষ করে সেই বিচারকদের স্ত্রীরা যারা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন তারাই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে নারীরা বলেছিলেন যে, যদি অ্যাগনোডিসকে হত্যা করা হয় তবে তারা অগ্নিতে আত্মাহুতি দিয়ে অ্যাগনোডিস এর সাথে সহমরণে যাবেন। বিচারগন তাদের স্ত্রী এবং অন্যান্য মহিলাদের চাপ সহ্য করতে অপারগ হয়ে অ্যাগনোডিসের সাজা তুলে নেন এবং মহিলাদেরও চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে শর্ত দেওয়া হয়- নারী চিকিৎসকরা শুধুমাত্র নারীদের চিকিৎসা সেবা দান করবে।
এভাবে প্রাচীণ গ্রীসে অ্যাগনোডিসের নাম প্রথম মহিলা ডাক্তার এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে ইতিহাসে স্থান লাভ করে।
ছবি #AGNODICE উইকিপিডিয়া।
Courtesy: Dr. R.K Mahapatro, Senior Pediatrician, East Coast Railways, India. ভাষান্তর আমার।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: চিকিৎসকদের লিংগভেদ বিবেচনার চাইতে চিকিৎসক হিসেবেই মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ। যেহেতু এখন পুরুষ চিকিৎসকদের মতো নারী চিকিৎসকদেরও পদচারণা মুখরিত, তাই রোগীদের সেবা গ্রহণের চয়েসকে গুরুত্ব দিতেই হবে। নারী চিকিৎসকদের শুরু হয়েছিল অনেক সভ্যতার পীঠস্থান গ্রীসে। কিন্তু ইউরোপের মতো না হলেও আমাদের বাংগালী নারীরাও চিকিৎসক হিসেবে ভালোই অগ্রসর হয়েছিলেন শতবর্ষ আগে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন,
দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, প্রকান্তরে ডাক্তার কাদম্বরী। স্কুল শিক্ষক ব্রজকিশোর বসুর মেয়ে কাদম্বিনীর জন্ম ১৮ জুলাই ১৮৬১ তে বিহারের ভাগলপুরে হলেও তাদের মূল বাড়ি ছিল বাংলাদেশের বরিশালের চাঁদসিতে।
ডাক্তার জোহরা বেগম কাজী প্রথম বাঙালি মুসলিম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন। জন্ম: ১৫ অক্টোবর ১৯১২ - মৃত্যু: ৭ নভেম্বর ২০০৭।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
নীলসাধু বলেছেন: তার নাম আমিও শুনলাম। জানলাম।
থ্যাঙ্কিউ ভাই।
আমিতো মহিলা ডাক্তারের কাছে গেলে আলাদা করে ভরসা পাই। মনে হয় তারা আরো যত্ন নিয়ে দেখবেন। আমরা মায়ের কাছে, বোন খালা সবার কাছে এই যত্ন পেয়ে এভাবেই অভ্যস্ত হয়েছি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যাক্তিগত ভাবে আমিও মহিলা চিকিৎসকদের উপর বেশী আস্থাশীল। বিদেশে এবং দেশে আমার ক্যান্সার চিকিৎসক দুজনেই সম্মানিত নারী চিকিৎসক।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আগে জুগের বিচার ব্যবস্থায় বেশ কিছু ন্যক্কারজনক উদাহরণ রয়েছে। শেষ পর্যন্তযে এটি তেমন উদাহরণ হয়নি। এই প্রথম জানলাম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন:
আপনি বলেছেন - "আগে জুগের বিচার ব্যবস্থায় বেশ কিছু ন্যক্কারজনক উদাহরণ রয়েছে। শেষ পর্যন্তযে এটি তেমন উদাহরণ হয়নি।"
আপনি কি রকম প্রত্যাশা করতেন?
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ানুষের আজকের এই অবস্থানে আস্তে কত কি করতে হয়েছে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: সভ্যতার ক্রমবিকাশ এভাবেই হয়ে আসছে....
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সম্ভবতো আমি আমার মন্তব্যটি পরিষ্কার করে বুঝাতে পারি নাই।
সেই যুগে জর্দানো ব্রুনো, নিকোলাস কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও গ্যালিলেইদের যেই ধরনের ন্যক্কারজনক উদাহরণ বিচারের সম্মুখীন হয়ে সাজা পেতে হয়েছে, তেমনটা সাজা পাওয়ার হাত থেকে অ্যাগনোডিস রেহায় পেয়েছেন।
এটাই তো সকলের প্রত্যাশা হওয়ার কথা!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যাঁ প্রথম মন্তব্য অস্পষ্ট ছিলো, এবার ক্লিয়ার।
ধন্যবাদ।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানলাম এই তথ্য। উনি যুগ যুগান্তর শ্রদ্ধেয় থাকবেন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যদি ইনি গ্রীসের না হয়ে আরবের হতেন তো এই ব্লগের মহান ব্লগার জাঁহাপনা তাকে ডাক্তার বলে মেনে নিতেন না । ইতিহাসবিদরা মেনে নিলেও না ।
আ্যাগনোডাইস ( যদিও আসলে ওনার নাম আইগোনোডিক ) তাঁর কাজের স্বীকৃতি পেলেও হাইপোশিয়া পায়নি উল্টো তাকে চামড়া ছাড়িয়ে আগুনে পুড়ে মারা হয় !! আসলে হাইপোশিয়ার পেছনে আর কেউ সমর্থক ছিল না । নারীকে তখন কেউ গণ্যই করত না । ইবনে রুশদ প্লেটোর রিপাবলিক নিয়ে যে ডিসক্লোস লিখেছেন তাতে বলেছেন যে , আমরা নারীদের কোন কাজের জন্য বড় করে তুলছি না বলেই নারী কোন কাজের হচ্ছে না । নারী যে মানুষ এটা তখন যেমন অবহেলিত ছিল তেমনি তখন একটা ভয় ছিল নারী এতসব দিকে এগিয়ে গেলে তার যে কমনীয় দিক ( নারী হিসেবে ) তা কী থাকবে ??
মানুষ কী সুন্দরের চর্চা করলে আর অসুন্দর হতে পারে ??
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: হাইপেশিয়া খ্রিস্টধর্মের অসারতাগুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। তার মতামত ছিল ধর্ম হতে হবে যুক্তিনির্ভর। তিনি চিন্তার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন এবং প্রত্যেককে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার জন্য উৎসাহ দিতেন- এটাই ছিলো তাঁর অপরাধ। অন্যদিকে ইবনে রুশদ কুরআনকে সত্য গ্রন্থ হিসেবে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন যে কুরআনের অনেক কিছুই গভীর অর্থবহ, যা বুঝতে হলে দর্শনের প্রয়োজন। তবে ক্রমশ বাড়তে থাকা উদারবাদী দর্শন বিরোধী আন্দোলনের মুখে তাকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে নির্বাসনের পূর্বেই রুশদ তার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ‘ডিসিসিভ ট্রিটিজ’ রচনা করে ফেলেছিলেন।
আপনি প্রশ্ন করেছেন- "মানুষ কী সুন্দরের চর্চা করলে আর অসুন্দর হতে পারে?"
আমি বলবো, সুন্দর নিয়ে চর্চা করা মানুষের ধর্ম। মানুষ সুন্দরকে পূজা করে কথাটা সত্য। তবে এরও আগে মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে শক্তিকে। শক্তি এবং সুন্দর এই দুটোকেই মানুষ পূজা করে। কারণ এর মধ্যে জীবনের সত্য ও বাস্তবতার আনন্দকে অনুভূতিময় করে তোলা যায়।
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভালো বলেছেন অগ্রজ । মানুষ শক্তির চর্চা ও শক্তির কাছে নিজেকে সঁপে দেয় । হ্যাঁ এর পেছনেও জীবনের আনন্দময় দিককে লালিত করার বাসনা থাকে । কিন্তু মানুষ যখন সুন্দরের চাইতে শক্তিকে বেশি প্রাধান্য দেয় তখন কী সে নিজেকে সুন্দর থেকে দূরে সরিয়ে নেয় না ?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে সুন্দরের অনেক রকম ফের আছে ভাইয়া। কেউ সুন্দরকে প্রধান্য দেয়, কেউ সৌন্দর্যকে প্রধান্য দেয়। কেউ সৃজনশীলতার সুন্দর খুঁজে পায়, কেউ বিকৃত অনাচারের সুখ পায়। আমার কাছে সুন্দরের চাইতেও স্বস্তি আনন্দের।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডাক্তারি পেশাটার একটা সুবিধা হল ডাক্তার প্রয়োজনে একটা মানুষকে নগ্ন হওয়ার আদেশ দিতে পারে। জামাকাপড় খুলতে রোগী বাধ্য। লজ্জা শরমের বালাই নাই। আর যদি হয় রোগী নারী ডাক্তার পুরুষ কিংবা রোগী পুরুষ ডাক্তার নারী তাহলে তো আরও বিব্রতকর অবস্থা।
একজন পুরুষ স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরিচয় হয়েছিল। উনি কাজের প্রয়োজনে মফস্বলে থাকেন। ওনাকে জিজ্ঞাস করলাম আপনি পুরুষ হয়ে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ হলেন কেন। উত্তরে উনি বললেন যে মফস্বলে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের ঘাটতি আছে। ফলে প্রচুর বাচ্চা প্রসবের রোগী ওনার কাছে আসে। ডাক্তারির ছাত্র থাকা অবস্থায় ওনার একজন শিক্ষক তাকে স্ত্রী রোগের উপর পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন আয় রোজগারের দিক বিবেচনা করে। তবে ডাক্তারি পেশায় ছেলে মেয়ে বলে কিছু নেই অবশ্য। ডাক্তারের কাছে রোগী ছেলে বা মেয়ে এটা কোন ব্যাপার না।
অনেক অনেক আগে এক প্রবাসী ডাক্তারের লেখা পড়েছিলাম, উনি বলেছিলেন যে ইরান বা আরবের অনেক মেয়ে পুরুষ ডাক্তারের কাছে আসে তাদের জামাকাপড় খুলে গোপন অঙ্গ দেখানোর জন্য। এটা তাদের কাছে একটা মজার মত। আরব দেশের পুরুষরা স্ত্রীর চাহিদার ব্যাপারে হয়তো কিছুটা উদাসীন। একারণেই হয়ত এই কাজ ওখানকার অনেক মেয়ে করে থাকতো।