নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"রোজেলা টি"
"if you are cold, tea will warm you ,
if you are heated, it will cool you,
if you are depressed, it will cheer you
if you are excited, it will calm you"- উইলিয়াম গ্লাডস্টোন।
আয়ুর্বেদ মতে "চা পান করলে শরীরের জড়তা কাটে, সর্দি-কাশি ও জ্বর কমায়, একই সাথে যা বলবর্ধক ও কামোদ্দীপক।"
আবার চিনা ও জাপানিদের বিশ্বাস, চা হল দেবতাদের অমৃত, যা পানে মেলে অমরত্বের আস্বাদ। প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ এই চা পান অনুষ্ঠান সম্বন্ধে তার জাপান যাত্রীতে লিখেছিলেন, "জাপানিদের পক্ষে এটা ধর্মানুষ্ঠানের তুল্য, এ ওদের একটি জাতীয় সাধনা।"
ছোটো খাটো একজন চা -কফি খাদক হিসেবে অদ্যাবধি গোটা দশেক পোস্ট লিখেছি শুধু বিভিন্ন প্রকার চা নিয়েই। আজ লিখবো 'রোজেলা চা' নিয়ে। (ছিন্দ্রান্বেষীদের জন্য বলে রাখি, চা-কফি পান করাকে আমরা চলতি কথায় চা/কফি খাই বলি। যাদের সমস্যা তারা দূরে গিয়ে মরেন)!
অতি সহজলভ্য, অতি সাধারণ একটি গাছ - টক ঢ্যাড়স। শুধু নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে সবজিই না, মহা মূল্যবান ভেষজও বটে। ইংরেজি নাম- Rozelle, Roselle, Red sorrella, বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus sabdariffa Lin. (Malvaceae).
আমরা অনেকেই এই টক ঢ্যাড়স দিয়ে চাটনী, আঁচার বানাই এবং বানিজ্যিক ভাবে সংরক্ষিত জ্যাম জেলি আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যায়। দেশ বিদেশে বিখ্যাত "রোজেলা টি" নামে যে স্বাস্থকর পাণীয় খুবই প্রচলিত রয়েছে তা এই টক ঢ্যাড়সের পাতা-ফুল-ফল থেকেই তৈরী হয়। আদিবাসীরা প্রায় আবশ্যিকভাবে এ গাছের চাষ করেন এবং কচিপাতা থেকে শুরু করে এর ফুল, কচি ফল, বৃতি, বীজ সবই হয় এঁদের আহার্য।আদিবাসী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভাষায় টক ঢ্যাড়সকে ইপলি আরা, জেঙ্গা, কোটলে আরা, লাল কুদরুম, যুগি থেপা ইত্যাদি নামে ডাকে।
নার্সারি থেকে চারা কিনে আমার ছাদ বাগানে কয়েকটি চারা লাগিয়ে ছিলাম। সেই চারাগাছ এখন ফুলে ফলে শোভিত। গাছের মালিক আমি হলেও গাছের ফুল-ফল-পাতা বিল্ডিংয়ের সবার জন্য। সবাই স্বাদ নিচ্ছেন রোজেলা চা'য়ের।
রোজেলা টি তথা টক ঢ্যাঁড়স নিয়ে কিছু লেখার জন্য তথ্য তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পেতে গুগলের সাহায্য নিয়ে এর আয়ুর্বেদ গুনাগুণ সম্পর্কে কিছু ধারণা পেলামঃ-ঔষধি হিসাবেও এটিকে এঁরা নানাভাবে ব্যবহার করেন।
"অনেকের জিভ-মুখের অভ্যন্তর ও দুই ঠোঁটের কোনের ঘায়ে ভোগেন- যা ভিটামিন বি-সিক্স ও ভিটামিন সি'র অভাবে হয়ে থাকে। এই ফলে ভিটামিন বি-সিক্স ও ভিটামিন সি প্রচুর। নিয়ম করে এই ফুল-ফল-পাতার রস পান করলে উপকার পাওয়া যায়।"
"আদিবাসীরা সামান্য নুনসহ এর পাতা (টাটকা অথবা শুকনো) ফোটানো পানি, কোষ্ঠকাঠিন্যে জোলাপের মত ব্যবহার করেন। বীজ সরষের তেলে ফুটিয়ে চর্মরোগে লাগান। সাঁওতাল সম্প্রদায়, হাড়ের ফ্রাকচারে এর পাতা বেটে নিয়মিত প্রলেপ লাগান। মূত্রকৃচ্ছতায় গোলমরিচ সহ পাতার রস খাওয়ানো হয়। বীজচূর্ণ কৃমির উপদ্রবে খাওয়ানো হয়।"
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আমি কিন্তু এই পোস্টের কোথাও বিশ্বাস নির্ভর চায়ের গুণের কথা লিখিনি।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অতি সহজলভ্য, অতি সাধারণ একটি গাছ - টক ঢ্যাড়স।
আমাদের এলাকায় এটাকে বলা হয় "চুকুল"
ছোট বেলায় খেয়েছি
এখন আর দেখা যায় না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও সাভার মানিকগঞ্জ এলাকায় ব্যপক চাষ হয়।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: কীভাবে চা খেলে ঘুম যাবে একটু বলবেন? আমি কড়া করে চা খেয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুমায় যাই, কিন্তু ঘুম কমানো আমার জন্য জরুরি
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: ইশ আপনাকে হিংসা হচ্ছে! আমি একটু খানি ঘুমের জন্য কতো রকম কসরত করি- তবুও ঘুমাতে পারিনা!
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: আমি কিন্তু বিশ্বাস শব্দটি পেয়েছে।চীন এবং জাপানিরা বিশ্বাস করে।সেটা আপনি যেভাবেই ব্যবহার করে থাকেন না কেন।
কারো বিশ্বাস নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নাই।যে কেউ যে কোন কিছু বিশ্বাস করতে পারে।প্রমান ছাড়া অনেকেই অনেক কিছু বিশ্বাস করে।কিন্তু যখনি বলি আপনার কাছে এক লাখ টাকা পাই।তখনি প্রমান চায়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: শেষ লাইনটা শক্তিমানদের বেলায় প্রযোজ্য না। শক্তিমানরা দূর্বলদের কাছে প্রমাণ দেওয়ার ধার ধারেনা।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ব্যবসায়ীক চাহিদা কেমন?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: তেমন একটা নয় মনে হয়।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই চায়ের খবর জানা ছিলো না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি চা নিয়ে একটু আধটু খোঁজ খবর নিতে চেষ্টা করি।
৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: এ চায়ে কি সাধারণ চায়ের মত energy বা গা গরম ভাব আসে?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কাছে বাড়তি কোনো প্রতিক্রিয়া অনুভূত হয়নি।
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: চায়ের ইতিহাস সেই আদি কাল থেকেই ভয়াবহ। অবশ্য সে খরব কয়জন রাখে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার সংগ্রহে অন্তত ৩৪ ব্রান্ডের চা আছে.....
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৭
পুকু বলেছেন: চুকুল।অনেক দিন পর যার দেখা পেলাম।অনেক ছোটোবেলায় মা চাটনি বানাতো।আমাদের আধুনিক জীবনের ভীড়ে গাছটি কোথায় যে হারিয়ে গেল তার আর খোঁজ পাই নি।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যের অধিকারী- আপনি আপনার মায়ের হাতে বানানো চাটনি খেয়েছেন.... আদর স্নেহ ভালোবাসা পেয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: কে কি বিশ্বাস করলো তার উপর চায়ের গুনাগুন নির্ভর করে না।বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এখন চায়ের গুনাগুন জানা যায়।