নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
গরীবের ঘোড়া রোগ......
ক্যামেরার প্রতি আমার আগ্রহ বা দূর্বলতা সেই ছেলে বেলা থাকে- যা নিয়ে কয়েক বছর আগে ব্লগে লিখছিলাম... গরীব হলেও "শখের তোলা আশি টাকা"- আমি নিজেই সেই প্রবাদের উদাহরণ। জীবনে কতোগুলো ক্যামেরা কিনেছিলাম এবং আত্মীয় স্বজনরা গিফট দিয়েছেন- সে তালিকাও নেহায়েত কম নয়। ক্যামেরা প্রীতি, ফটোগ্রাফীর শখ আমার মধ্যে সংক্রামিত হয়েছিলো আমার দুই চাচাদের মাধ্যমে। বয়স ১২ পেরুনোর আগেই আমি Shaheen, Dayna, Zenith, Xerox Band এর কমদামী ৪ টা ক্যামেরার মালিক হয়েছিলাম। তারপর এক এক করে Yashica, Mamiya, Canon, Sony, Panasonic, Olympus, Minolta, Asahi Pentax K1000 ক্যামেরার মালিক হই। অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে- আমি ফটোগ্রাফীর আগ্রহ হারিয়ে ক্যামেরা সংগ্রহে মনোযোগী হলাম....... সে আর এক ইতিহাস।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে নিতান্তই শখের বশে ফটোগ্রাফির উপর দুটো ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলাম- একটা 'বেগার্টস' এবং অন্যটা 'মোকাম্মেল ফটোগ্রাফী ইনস্টিটিউট' থেকে।
তানভীর মোকাম্মেল একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক।তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
তানভীর মোকাম্মেল ভাই সেন্ট জোসেফ্স স্কুলে আমার অনেক সিনিয়র ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সহ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে মোকাম্মেল গ্রামীণ এলাকার ভূমিহীন কৃষকদের জন্য বামপন্থী সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ছয়টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ১৫ টি প্রামাণ্যচিত্র এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যাদের মধ্যে কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে।
তার নির্মিত চলচ্চিত্রগু হচ্ছে নদীর নাম মধুমতি, চিত্রা নদীর পারে, লালসালু, লালন, রাবেয়া, এবং জীবনঢুলী। তানভীর মোকাম্মেলের উল্লেখযোগ্য প্রামাণ্যচিত্র হলো দ্য গার্মেন্ট গার্ল অব বাংলাদেশ, দ্য আননোওন ব্যার্ড টিয়ারড্রপস অব কর্ণফুলী, রাইডার্স টু সুন্দরবনস, এ টেল অব দ্য যমুনা রিভার, 'দ্য প্রমিসড ল্যান্ড তাজউদ্দীন আহমেদ: অ্যান আনসাং হিরো, দ্য জাপানিজ ওয়াইফ, স্বপ্নভূমি এবং "১৯৭১। ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউশন দ্বারা দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে তার চলচ্চিত্র নদীর নাম মধুমতি এবং চিত্রা নদীর পাড়ে বাংলাদেশের সেরা ১০ চলচ্চিত্রের মধ্যে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
মোকাম্মেল কবিতা, ছোটগল্প এবং চলচ্চিত্র সংস্কৃতি বিষয়ে পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছেন। তানভীর মোকাম্মেলের লেখা বই হচ্ছে এ ব্রিফ হিস্টোরি অব ওয়ার্ল্ড সিনেমা, দ্য আর্ট অব সিনেমা, চার্লি চ্যাপলিন: কনকোয়েস্টস বাই এ ট্র্যাম্প, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, সিসিফাস অ্যান্ড কোয়েস্ট অব ট্রেডিশন ইন নভেল (সাহিত্য সমালোচনা বিষয়ক একটি কাজ), গ্রান্ডভিগ অ্যান্ড ফোক এডুকেশন (বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থার ধারণা বিষয়ক বই), এবং ম্যাক্সিম গোর্কির দ্য লোয়ার ডেফথস নাটকের অনুবাদ। মোকাম্মেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কেন্দ্র নামে একটি চলচ্চিত্র ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তানভীর মোকাম্মেল ভাই বর্তমান প্রজন্মের ফটোগ্রাফার এবং মিডিয়া জগতের সবার পরিচিত হলেও বেগার্টের মনজুর আলম বেগ স্যারের সাথে অনেকেই পরিচিত নন। মনজুর আলম বেগ হলেন বাংলাদেশে আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ, যিনি এম এ বেগ বা বেগ স্যার এবং আলোকচিত্রাচার্য হিসাবেই বেশি পরিচিত। ততকালীন পূর্বপাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফি শিক্ষা কেন্দ্র “বেগ আর্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফী” (১৯৬০) এবং “বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি”-র (১৯৭৬) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আলোকচিত্রাচার্য মনজুর আলম বেগ। জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের জন্য ২০০৭ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। আলোকচিত্রাচার্য মনজুর আলম ১৯৩১ সালে ১ অক্টোবর রাজশাহীর নবাবগঞ্জের শ্যামপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। এবং ২৬ জুলাই ১৯৯৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন। বেগ স্যারের কাছে যখন ফটোগ্রাফী কোর্স করেছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন- "ফটোগ্রাফি হলো গরীবের হাতী পোষা শখ"!
মনজুর আলম ১৯৪৭ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং ১৯৪৯ সালে এইচ.এস.সি. অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন । অতঃপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে আলোকচিত্র বিষয়ে ‘পাকিস্তান এয়ার ফোর্স টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে’ প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এর কিছুকাল পর, ১৯৫৭ সালে করাচীতে ইউনেস্কোর অধীনে মাইক্রোফিল্ম বিষয়ে প্রশিক্ষন লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে, ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত বৃত্তি লাভ করেন এবং তার সাহায্যে তিনি ইংল্যান্ডে “হ্যাটফিল্ড কলেজ অফ টেকনোলজীর ন্যাশনাল রিপোগ্রাফীক সেন্টার ফর ডকুমেন্টেশন”-এ রিপোগ্রাফী বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। একই সালে তিনি লন্ডনের কোডাক ফটোগ্রাফীক স্কুল থেকে রঙ্গিন ফটোগ্রাফী বিষয়ক ট্রেনিং লাভ করেন।
১৯৭৪ সালে তিনি ইংল্যান্ডের “ব্রিটিশ ইন্সটিটিউট অফ ইনকরপোরেটেড ফটোগ্রাফারস” (IIP) থেকে ফটোগ্রাফী বিষয়ক কোর্সে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডের ইন্সটিটিউট অফ রিপোগ্রাফিক টেকনোলজীতে পেশাদারী যোগ্যতা ‘AMIRT’- এর জন্য আবেদনমূলক দরখাস্ত দেন তিনি; কিন্তু মনজুর আলমকে একধাপ উপরের ‘MIRT’ যোগ্যতাটি দেওয়া হয়।
মনজুর আলম বেগ ১৯৪৯- ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ফটোগ্রাফী বিষয়ে পাকিস্তান এয়ারফোর্সে চাকুরিরত ছিলেন; সেখানে তিনি স্থির, মুভী এবং এরিয়াল ফটোগ্রাফী বিষয় নিয়ে এয়ার ফোর্সের করাচি, লাহোর, পেশোয়ার, কোয়েটা ইত্যাদি বিভিন্ন স্টেশনে কাজ করেন। ১৯৫৫-১৯৫৭ সালে বেগ স্যার ঢাকা এবং ময়মনসিংহে ‘ইউনাইটেড স্টেটস ইনফরমেশন সারভিস’ (USIS) অফিসে মোশন পিকচার্স বিভাগে চাকুরি করেন। তিনি ১৯৫৭-১৯৬০ সাল পর্যন্ত করাচিতে CSIR এর অধীনে প্যান্সডকে চাকুরি করেন । কয়েক বছর পর ১৯৬৩ সালে ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরীতে প্যান্সডকের শাখা অফিস খোলা হলে মনজুর আলম সিনিয়ার রিপোগ্রাফিক অফিসার পদে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে এম এ বেগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ ব্যান্সডক থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ছবির Nikon FE ক্যামেরা আমি কিনেছিলাম ১৯৮০ সনে। সেই সময় সেমি প্রফেশনাল ক্যামেরার মধ্যে এই ক্যামেরাটা বেশ বিলাসী এবং উন্নত মানের ছিলো। এই ক্যামেরাটি কিনে মঞ্জুর আলম বেগ স্যারকে দেখাতে নিয়ে যাই। ফটোগ্রাফীর জন্য তিনি এই ক্যামেরার উপযোগীতা সম্পর্কে অনেক পজেটিভ কথা বলেছিলেন। ফিল্ম ক্যামেরায় ছবি তোলায় ক্যামেরা এবং ছবি তোলার জন্য বেসিক কিছু জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। আবার ভালো মানসম্পন্ন সাদাকালো ছবি তোলার জন্য অনেক বেশী টেকনিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হয়। অটো এবং ডিজিটাল ক্যামেরায় রঙিন ছবির জন্য ততটা জ্ঞান দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অপরিহার্য নয়। ১৯৯৮ সনে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার পর ফিল্ম ক্যামেরা শোকেসে স্থান করে নেয়। ক্যামেরাটা এখনো ভালো আছে তবে বক্সটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপরও বক্সের এক পাসে ক্যামেরা সম্পর্কে নিম্নোক্ত ডেসক্রিপশন লেখা উদ্ধার করতে পেরেছিঃ-
Nikon FE is an advanced semi-professional level, interchangeable lens, 35 mm film, single-lens reflex camera. It was manufactured by Nikon in Japan from 1978, and was available new from dealer stock until c..
Flash: ISO standard Hot shoe
Lens mount: Nikon F lens mount
Weight: 590 g (21 oz)
Dimensions: 142 × 57.5 × 89.5 mm
Film advance: manual
Released: 1978
Made in: Japan
আমার শখের ক্যামেরাগুলো উত্তোরাধিকার সূত্রে আমার ছোট ছেলে নিয়েছে। সেও একজন শৌখিন ফটোগ্রাফার....আমার কাছে যা ছিলো যক্ষেরধন, ছোট ছেলের কাছে তার কোনো গুরুত্ব আছে বলে আমার মনে হয়না! কারণ, আমার হাতে কখনো কোনো ক্যামেরা সাধারণ মেন্টেনেন্স এর বাইরে কিছুই করতে হয়নি, সেখানে ছেলের হাতে প্রায় সব ক্যামেরাই নষ্টের চুরান্ত হয়েছে!
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষ চায় সুন্দর বা স্মরণীয় মূহুর্তগুলো যেন কখনো হারিয়ে না যায়। মূলত এ চিন্তা থেকেই আলোকচিত্র বা ফটোগ্রাফি তৈরির চেষ্টা।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার এত ক্যামেরা ছিল না। তবে আব্বা বিদেশ থেকে রিলের ক্যামেরা এনেছিলেন ৮৬ অথবা ৮৭ সালে। তখন কেবল নিজেদের ছবিই তুলতাম আর রিল পাঠিয়ে দিতাম কাতারে।
আমার ক্যামেরার অবস্থাও নাজেহাল অবস্থা । তামীম এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করে। তবে সে আমার চেয়ে ভালো ছবি তুলে মাশাআল্লহ
সুন্দর পোস্ট
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কথায় আছে, একটি ছবি হাজার শব্দের সমান। ছবি অনেক কথা বলে। বর্তমানে আলোকচিত্র ধারণ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। উন্নতমানের ক্যামেরা দিয়ে সহজে অনেক সুন্দর ছবি তোলা যায়। ছবির মানও হয়েছে অনেক উন্নত। এমনকি বর্তমানে এমন অনেক ক্যামেরা আছে যেখানে ছবি তোলার কয়েক সেকেন্ড আগে বা পরে কী ঘটেছিল সেগুলোও পাওয়া যায়।
ক্যামেরা ছাড়াও বর্তমানে স্মার্টফোন ফোনের মাধ্যমেও খুব ভালো ছবি তোলা যায়। যার কারনে প্রফেশনাল ক্যামেরাম্যান ছাড়া ক্যামেরার অপরিহার্য্যতা কমে গিয়েছে!
কয়েকদিন আগে স্বস্ত্রীক ঢাকার বাইরে যাওয়ার সময় ছোট ছেলেকে একটা ক্যামেরা দিতে বলি। কিন্তু একটা ক্যামেরাও রেডি করে দিতে পারলোনা। বলা যায় সব ক্যামেরাই SKD/ CKD করে রেখেছে! একাধিক ক্যামেরার কোনো হদিস নাই- কোনোটা ওর অমুক ফ্রেন্ডের কাছে, কোনোটা ওর তমুক ফ্রেন্ডের কাছে...... শুনে আমার মানসিক অবস্থা এতোটাই বিপর্যস্ত তা প্রকাশ করতে পারবোনা!
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাহ! চমৎকার!!
- আমার ক্যামেরাও অতি করুন অবস্থা হয়, অনাদরে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ক্যামেরার যত্ন নিন, সুস্থ্য রাখুন- যার কারণে আপনি অনেক ছবি ব্লগ পোস্ট দিয়ে ব্লগে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
শুভ কামনা।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে আপনি একজন অভিজ্ঞ মানুষ।
দৈনিক পত্রিকাতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, ফটোগ্রাফিও করেছেন। আসলে একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান হছে এইসব অভিজ্ঞতা গুলো।
মনজুর আলম বেগ সাহেব কে ছাড়া বাংলাদেশের ফটোগ্রাফি ইতিহাস লেখা যাবে না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যারা বিস্তর বিষয়ে কাজ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারা কোনো কাজই ঠিকমত করতে পারেন না; অসফল হয়ে থাকেন। প্রকৃতপক্ষেই এই সত্য আমার জন্য প্রযোজ্য। তবে, কোনো একটি বিশেষ কাজে পারদর্শী না হয়ে বরং প্রয়োজনীয় কমবেশি সকল কাজের বিষয়ে কিছু কিছু করে ধারণা আছে বলে আমার একধরণের আত্মতৃপ্তি আছে।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মনজুর আলম বেগ হলেন বাংলাদেশে আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ।
আপনার পোস্টগুলো ছাড়িনা। প্রতি পোস্টে কিছু না কিছু রেখে যান।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি চেষ্টা করি আমার সীমবদ্ধতার মধ্যেও যতটুকু জানি তা সবার সাথে শেয়ার করতে।
ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
অধীতি বলেছেন: ফটোগ্রাফি নিয়ে শখ আছে। আপনার লেখায় বিখ্যাত একজনকে জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: মনজুর আলম বেগ সম্পর্কে জানা ছিল না। দৃক গ্যালারির শহীদুল আলমও আলোকচিত্র জগতের একজন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব।
তবে আগেকার ক্যমেরাগুলো আর কয়েক বছর পর যাদুঘরে শোভা পাবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম জানবে যে একটা সময় এমন বিশাল কিম্ভুত কিমাকার বস্তু দিয়ে ছবি তোলা হত । আত্র ছবির নেগেটিভ দেখেতো হেসে উঠবে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: ফটোগ্রাফিতে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহীদুল আলম সাহেবের ছাত্র আমার ছোট ছেলে.... সৌখিন ফটোগ্রাফার হিসেবে আমার ছেলে দুইবার পুরস্কার পেয়েছে এবং একটা আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ওর দুটি ছবি প্রদর্শিত হয়ে সমালোচকদের প্রসংশা পেয়েছে।
ফিল্ম ক্যামেরা ইতোমধ্যে গার্বেজে পরিনত হয়েছে।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান আপনার ফটোগ্রাফি প্রেমের কথা আগেও জেনেছি। আপনি যে ছোট থেকেই অত্যন্ত সৌখিন ছিলেন তা সহজেই অনুমেয়।ফটোগ্রাফির একটা কথাই হলো খুঁতখুতানি।কে কত নিখুঁত ভাবে ফটো তুলতে পারে। ছোট বেলায় দুই চাচার মাধ্যমে চারটি ক্যামেরার মালিক হোন তারমধ্যে সম্ভবত একটা নামি জাপানি ক্যামেরা ছিল। ছোট থেকেই এসব চর্চার ফলে আপনার ছবি তোলার হাত চমৎকার।
তানভীর মোকাম্মেল সম্পর্কে ধারণা ছিল না। আমরা নাটক বা মুভি দেখি ঠিকই কিন্তু এসবের পেছনে যারা থাকে তাদের নিয়ে কখনো ভাবিনা।সত্যিই তো এমন গুণী মানুষরা পিছনে থাকেন বলেই আমরা ওনাদের অমল কীর্তিকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একজন গুণী মানুষকে আমাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আজকাল সবার হাতেই ক্যামেরা। যারই একটা মোবাইল আছে, সেই আজকাল ফোটোগ্রাফার হবার সুযোগ পেয়ে যায়। ফোটোগ্রাফি নিয়ে কিছু বেসিক জ্ঞানের এর অভাবে অনেকেই ভাল ছবি তুলতে পারেন না। অথচ সাধারন কিছু নিয়ম মেনে চললে ভাল ছবি তুলতে পারবেন।
সবার আগে আপনার ক্যমেরার সেটিং গুলোর সাথে পরিচিত হয়ে নিন। আপনার ক্যমেরার বিভিন্ন ফাংশন আছে, এগুলোর সাথে যত পরিচিত হবেন, তত বেশি ঝামেলা কম হবে ছবি তোলার সময়। তাই সবকটা ফিচার চেক করে দেখে নিন, দরকারে টেস্টে ফোটো তুলে প্রাকটিস করুন।ভালো ছবি তোলার জন্য আলো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘরে বা ইনডোর ছবি তোলার সময় পর্যাপ্ত লাইট এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরে ছবি তোলার সময় খেয়াল করুন কখন ছবি তুলছেন।
ছবি তোলার সময় কোন অবজেক্ট কোথায় থাকবে এবং আপনার সাবজেক্ট ছবির ফ্রেমের কোথায় থাকবে, এটা নিয়ে কাজ করাই হল কম্পোজিশন। এগুলো নিয়ে কিছু সাধারণ নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে চললে ছবি ভাল আসবে। ছবির সাবজেক্ট (ধরে নেয়া হল সে মানুষ!)এর মাথা বা মুল আকর্ষণ যেন ঠিক মাঝখানে না হয়। এটা ডানে বা বামে যে কোন এক দিকে একটু উপরের দিকে হলে দেখতে ভাল লাগবে। বিশেষ দরকার না হলে উপরে জায়গা ফাকা রাখবেন না। কারও ছবি তোলার সময় কোথা থেকে কতটুকু ফ্রেমের মাঝে রাখবেন, সেটা বিচার করাটা গুরুত্বপুর্ণ। মানুষের ফেসের ছবি তোলার সময় নিচের অংশ যেন কোনভাবেই গলায় গিয়ে না কাটে। এটাতে ছবিটা মাথাকাটা মনে হবে, একটা অস্বস্তিকারক অবস্থার সৃষ্টি হবে। এভাবেই বুক পর্যন্ত নেবার সময় কনুই এর একটু উপর থেকে কাটুন, অথবা একটু নিচ থেকে। ঠিক কনুই থেকে কাটবেন না। কোমড় থেকে কাটবেন না, একটু উপরে বা নিচে থেকে কাটুন, হাটু থেকে কাটবেন না, একটু উপরে বা নিচ থেকে কাটুন। এরকম বিভিন্ন রুলস আছে কম্পোজিশন করার । সময় করে জেনে নিন। ইন্টারনেটে সব পাওয়া যায়।
ছবি তোলার সময় চেষ্টা করুন আই লেভেল বা সাবজেক্ট এর নিজস্ব উচ্চতায় ছবি তুলতে। আপনি উপর থেকে সাবজেক্ট এর ছবি তুললে বা নিচ থেকে তার ছবি তুললে সেগুলো বিশেষ সময় ছাড়া বাকি সময় বাজে দেখাবার চান্স থাকবে।
ছবি তোলার সময় খেয়াল করুন ব্যাকগ্রাউন্ড এর উজ্বলতা যেন অবশ্যই সাবজেক্ট এর চেয়ে কম হয়। নয়ত সাবজেক্ট কালো এবং অস্পষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্যই ছবি স্পষ্ট হতে হবে। ক্যমেরার ফোকাস নিয়ে একটু জেনে নিন। সাবজেক্ট স্পষ্ট না হলে ছবিটাই মাটি।
নিয়মিত ছবি তুলুন। প্রচুর ছবি তুলুন। ডিজিটাল ক্যমেরায় ছবি তুলতে কষ্ট নেই, খরচও নেই। তাই সুযোগ পেলেই ছবি তুলুন। এর ফলে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে, নিজের ভুল থেকে শিখতে পারবেন দ্রুত।
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের বাসায় একটা ভাঙ্গা ক্যামেরা ছিল। আমি সেটাকে টুকরো টুকরো করে দেখেছি এটার ভিতরে কি কি আছে এবং কিভাবে ক্যামেরাটা কাজ করে।
১৯৮২ সালে একটা ইয়াশিকা ক্যামেরা কেনা হয় পরিবারের জন্য। এটার লেন্স অ্যাডজাস্ট করা শিখতে অনেক দিন লেগেছিল আমার।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও ছেলে বেলায় ছোট চাচার একটা দামী ক্যামেরা খুলে নষ্ট করার মাধ্যমে আমার ক্যামেরা অভিযান শুরু করেছিলাম- যা নিয়ে বছর খানেক আগে একটা পোস্টে লিখেছিলাম। আমাদের ছোট ছেলের প্রাথমিক কাজই হলো- কিছু বুঝুক বা না বুঝুক, ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে খুলে ফেলা! এভাবে কতো ক্যামেরা সে নষ্ট করেছে! এখনও এই অভ্যাস বলবত আছে!
একদা অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্যামেরা 'ইয়াসিকা' এমেচার ফটোগ্রাফারদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ক্যামেরা।
১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যারা বিস্তর বিষয়ে কাজ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারা কোনো কাজই ঠিকমত করতে পারেন না; অসফল হয়ে থাকেন। প্রকৃতপক্ষেই এই সত্য আমার জন্য প্রযোজ্য। তবে, কোনো একটি বিশেষ কাজে পারদর্শী না হয়ে বরং প্রয়োজনীয় কমবেশি সকল কাজের বিষয়ে কিছু কিছু করে ধারণা আছে বলে আমার একধরণের আত্মতৃপ্তি আছে।
আপনার এই মন্তব্যটি আমার বেলায়ও সত্যি।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ অন্তত একজনকে আমার আদর্শের পেলাম।
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসলে এক এক জন মানুষের এক এক রকম শখ থাকে। কিন্তু বগ্লে আপনার ছবির পোষ্ট তেমন দেখি নাই।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ব্লগের অন্যসব ফটোগ্রাফারদের মতো বিখ্যাত কেউ নই- তাই সব সময়ই নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করি।
১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমি একজনকে স্যার বলেছিলাম।তিনি বললেন,এই দেশে কোন স্যার নাই,সবাই নামে পরিচিত।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা কাউকে 'স্যার' বলে যেমন সম্মান করতে পারি- সামান্য স্বার্থের কারণে তেমনি স্যারদেরকে পেটাতেও পারি!
১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এখন ছবি তোলা পানিভাত। আগে মানুষের শখ থাকলেও ক্যামরা কিনতে পারতনা অনেকে। সুন্দর পোস্টে +++++
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- এখন ছবি তোলা অত্যন্ত সহজ। এখন যার হাতে একটা সেলফোন আছে- সে-ই একজন ফটোগ্রাফার। তবে
স্টিল ক্যামেরার আভিযাত্য, মর্যাদা এখনও আছে।
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৩
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: যতদূর মনে পড়ে বেগ স্যারের ফটোগ্রাফির একটা বই আমাদের বাসায় ছিল আশির দশকে, আমার মেজো ভাইয়ের তখন ফটোগ্রাফির শখ ছিল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা ফটোগ্রাফীর উপর ওনার চমৎকার একটা বই আছে- যা বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম ফটোগ্রাফির উপর লেখা বই। এ ফোর সাইজের বেশ বড়ো বই, আমার কাছেও আছে তবে নামটা ভুলে গিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬
নীলা(Nila) বলেছেন: ক্যামেরা এবং ফটোগ্রাফিক এর জন্য অনেক সুন্দর মুহূর্ত কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারি।এবং যায়গাটা পরিবর্তন হয়ে গেলেও আগের সুন্দর দেখতে পারি ফটোর মাধ্যমে