নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ছোটোবেলা থেকে ফটিক ভাবতো ইতিহাসে রাজা-রাণীদের নামের পর ১, ২, ৩, ৪ থাকে কেন?
যেমন রাজা জেমস ১, রাজা জেমস ২, বা রাণী প্রথম এলিজাবেথ, দ্বিতীয় এলিজাবেথ বা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত- ইত্যাদি।
ফরাসি বিপ্লবের সময় একটা নাম ফটিকের খুব মনে দাগ কেটেছিলো- ষোড়শ লুই! মানে এর আগে আরও পনেরোজন ছিলো যার নাম ‘লুই’ ছিলো। তখন ফটিক ভাবতো, যদি এতগুলো লুই ইতিমধ্যেই জন্মলাভ করে গিয়ে থাকে, তাহলে লুই- এর বাবা-মা লুই অন্য কোনো নাম রাখছে না কেন? আর এই ষোড়শ লুই- এর ছেলে হলেও আবার তার নাম রাখা হবে সপ্তদশ লুই! এ কেমন সিস্টেম?
ছোটোবেলায় পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিলো- তোমার নাম, তোমার বাবার নাম, আর পিতামহের নাম লেখো। এবার পরীক্ষার টেনশনে ফটিক নিজের নাম আর বাপের নাম ভুলেই গেছিলো, কিন্তু দাদুর নাম তার মনে ছিলো। ধরা যাক দাদুর নাম দোলগোবিন্দ। তো ফটিক বাবার নামের জায়গায় "দোলগোবিন্দ- ২", আর নিজের নামের জায়গায় লিখেছিল "দোলগোবিন্দ- ৩"। এমনকি এই সিস্টেমটা ফটিকের এত ভালো লেগে গেছিলো, যে ফটিক নিজের নাম ব্যবহার করাই ছেড়েই দিয়েছিলো। পরীক্ষায় রেজাল্ট বেরোবার দিন স্যার বললেন- "ফটিক তুই একটা অপদার্থ!"
ফটিক বলল - স্যার, আমি ফটিক না, এখন থেকে আমার নাম "দোলগোবিন্দ- ৩"।
কেউ বাড়িতে ফোন করে হয়তো বললো বাবাকে ডেকে দিতে, ফটিক বলতো- "দোলগোবিন্দ- ২ এখন শৌচাগারে আছে, পরে ফোন করুন।"
ছোটোবেলায় ফটিক এক সমবয়সী মেয়ের সাথে 'ঘর-ঘর, বৌ-বৌ' খেলছিল, তারা বর-বউ হয়েছিলো। ফটিক বললো- "এবার আমাদের ছেলে হবে, আর ওর নাম হবে- দোলগোবিন্দ- ৪ বা দোলগোবিন্দ রিটার্নস"। এটা শুনে ফটিকের সাথে যে মেয়েটি ঘর ঘর খেলছিলো সে বলেছিলো- "এমন ব্যাঙের নাম যদি আমার ছেলের রাখা হয়, আমি খেলবোই না!"- বলে মেয়েটি চলে গিয়েছিলো।
একবার ফটিক স্বপ্ন দেখেছিল যে তার বিয়ে হয়েছে, আর বিয়ের পর তাদের দুটো ছেলে হয়েছে, আর তাদের নাম রেখেছে যথাক্রমে ‘দোলগোবিন্দ- ৪’ আর ‘দোলগোবিন্দ- ৫’। তারপর কোথা থেকে তার একজন অবৈধ স্ত্রী এসে দাবী করছে যে ফটিকের সাথে তার নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে এবং তাদের দুজনের নাকি একটি গোপন সন্তানও আছে, যার কথা ফটিক তার স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে গেছে। এবার ফটিকের অবৈধ স্ত্রী দাবী করছে যে তাদের এই সন্তানকেও এখন স্বীকৃতি দিতে হবে এবং এ যেহেতু ফটিকের সেজ ছেলে তাই এর নাম রাখা হয়েছে "দোলগোবিন্দ ৪.৫(চার দশমিক পাঁচ)"। তারপর এই নাম রাখা নিয়ে ফটিকের সব কটি ছেলের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেছে। ফটিক স্বপ্নের মধ্যেই চেঁচিয়ে উঠে -"উফ দোলগোবিন্দের দল তোমরা একটু শান্ত হও, চুপ করো!’
সেইদিন ফটিকের বাবা গায়ে এক বালতি পানি ঢেলে তার ঘুম ভাঙায়, আর মারতে মারতে বলে যাচ্ছে - বদমাশ ছেলে, ফের যদি কোনোদিন দাদুর নাম ব্যবহার করে মস্করা করেছো, তো তোমার বাপের নাম ভুলিয়ে দেবো। মনে থাকবে?'
ফটিক বললো - হ্যাঁ মনে থাকবে, মিঃ দোলগোবিন্দ-২।
তারপর তার বাবা ওখানেই আরও দু ঘা দিয়ে দেয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফটিক আর কখনো তার পিতামহের নাম ব্যবহার করেনি বরং ফের নিজের নাম ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছিলো।
(বিভিন্ন সময় প্রসংগত বলেছি- আমি গোপাল ভাঁড় সিরিয়ালের ভক্ত.... গোপাল ভাঁড় সিরিজ দেখে এই রম্যরচনা লিখে ফেসবুক ফান গ্রুপে পোষ্ট দিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে... আজ একটা উপলক্ষে সেই পোস্ট ব্লগে শেয়ার করলাম)
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার জানা নাই। তবে সিরিয়াল নাম নিয়ে ভানু বন্দোপধ্যায়ের একটা কৌতূক আছে যার নাম "ভগ্নীপতি"!
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন:
লিখে যান...
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: লিখে যান এর আগে ছাইপাশ শব্দটা যোগ করে দিলে ভালো হতো! (
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: হাস্যরসে ভরা রাসালো গল্প। বাচ্চাদের বেশ ভালো লাগবে এমন গল্প। এমন অনেক দোলগবিন্দদের নিয়ে লিখে যান।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এমন দোলগোবিন্দে স্যোশাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে!
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
গোপাল ভাড়ের বুদ্ধি এখন এসে কাজে লাগতো?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি মজা পেতেই গোপাল ভাঁড় সিরিজটা দেখি- প্রয়োগ করিনা।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- দোলগোবিন্দ নামটা পছন্দ হইছে। আশ্রমে লালু-ভুলুর পরে কেউ আসলে এই নামটা আমি প্রস্তাব করবো।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: লালু-ভুলুর সহযাত্রী হোক দোলগোবিন্দ। শুভ কামনা।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: গতরাতে স্বপ্নে দেখি- আমার কাছে এক ফেরেশতা এসেছেন।
তিনি বললেন, তোমার একটা ইচ্ছা পূরন হবে। তুমি কি চাও?
আমি বললাম, আমি একটা চাবুক চাই। সমাজের দুষ্টদের দমন করবো।
ফেরেশা আমাকে চাবুক আর একটা ঘোড়া দিলেন।
আমি ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসলাম। এহাতে ঘোড়ার লাগাম ধরে রেখেছি, অন্য হাতে চাবুক।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: এগুলোকে স্বপ্নদোষ।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাসির উপকরনের ভয়াবহ অভাবের মাঝে আপনার লেখা পড়ে কিছুটা হলেও হাসাতে পারার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
লিখুন হাত খুলে , আর আমরা হাসতে থাকি প্রাণ খুলে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ভাই।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৩
িসজার বলেছেন: আসলেই বেশ মজার কাহিনি। রম্য রচনা সরস করে তোলার পিছনে একজন লেখকের বেশ সময় ব্যয় করতে হয়। যেটা আপনার এই সিরিজ এ পাচ্ছি!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এগুলোকে স্বপ্নদোষ।
না না। আপনার এমনটা মনে হলো কেন?
স্বপ্নটা মন্দ নয়।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: দেশ বিদেশের অনেক নাস্তিকের সাথেই আমার সম্মানজনক সুসম্পর্ক রয়েছে, একমাত্র বাংলাদেশের তথাকথিত ফ্যাশনাবল নাস্তিকেরা শুধু 'ইসলাম ধর্ম'কেই হেয় করে কথা বলে। যারযার ধর্ম বিশ্বাসকে অশ্রদ্ধা করে বানোয়াট গল্প বলা কতোটা সৌজন্যতা সেটা নিজ বিবেকের কাছে।
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মজা পেলাম। লিখে যান।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হকের ছেলের নাম সম্ভবত এভাবে রাখা হয়েছে...