নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বারুই বাড়ির পান বরজে একদিন.....
পান একপ্রকার গুল্মজাতীয় গাছের পাতা। আর্য এবং আরবগণ পানকে তাম্বুল বলতো। নিশ্বাসকে সুরভিত করা এবং ঠোঁট ও জিহবাকে লাল করার জন্য মানুষ পান খায়। অবশ্য পানে কিছুটা মাদকতার আনন্দও বিদ্যমান। প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ পান খায়। কেবল স্বভাব হিসেবেই নয়, বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই পানের ব্যবহার চলে আসছে। অনুষ্ঠানাদিতে পান পরিবেশন দ্বারা প্রস্থানের সময় ইঙ্গিত করা হয়। এক সময় উৎসব, পূজা ও পুণ্যাহে পান ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীন অভিজাত জনগোষ্ঠীর মাঝে পান তৈরি এবং তা সুন্দরভাবে পানদানিতে সাজানো লোকজ শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেত। বাংলাদেশে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের পান খেয়ে থাকে। তন্মধ্যে খিলিপান বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে বিশেষভাবে উল্লেখ্য। হিন্দুদের পূজায়ও পান ব্যবহূত হয়।
পানের বরজঃ
অতীতে বাংলাদেশের সকল অঞ্চলেই পানচাষ করা হতো। তবে পান উৎপাদনের ক্ষেত্রে দিনাজপুর, রংপুর, বরিশাল, বাগের হাট, সিলেট, চট্টগ্রাম ইত্যাদি জেলা ছিল বিখ্যাত। পানচাষের জন্য যেমন বিশেষ ধরনের জমির প্রয়োজন তেমনি প্রচুর যত্নেরও দরকার হয়। পানচাষের জন্য নির্বাচিত জমি সাধারণত একটু উঁচু, মাটির ধরন শক্ত এবং জলাশয় ও পুকুর ইত্যাদির ধারেকাছে হওয়া বাঞ্ছনীয়। পানের বাগানকে বলা হয় বরজ এবং একটি বরজের আয়তন সাধারণত বারো থেকে কুড়ি শতাংশের মধ্যে সীমিত থাকে। পানের বরজ তৈরির জন্য পাশের কোন জমি থেকে মাটি কেটে বরজের স্থানে ফেলে জায়গাটিকে উঁচু করে নিতে হয়। প্রথাগতভাবে বরজে সরিষার খৈল ও গোবরকে সার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে প্রচলিত জৈবসারের সাথে রাসায়নিক সারও ব্যবহূত হচ্ছে। চাষের উপযোগী করে জমিকে তৈরি করার পর মে ও জুন মাসে পানের লতা রোপণ করা হয়। মাঝখানে দুই ফুট দূরত্ব রেখে চারাগুলি সমান্তরাল লাইনে রোপণ করা হয় এবং পরে বাঁশের শলা বা খুঁটি পুঁতে তার সাথে পানের লতাগুলি জড়িয়ে দেওয়া হয়।
পাতার আকার, কোমলতা, ঝাঁজ, সুগন্ধ ইত্যাদির বিচারে বহু ধরনের পান রয়েছে। যেমন- তামবুকা পান যা তামাক ও মসলা বা জর্দা যুক্ত, সুপারি পান, মিষ্টি পান, সাঁচি পান প্রভৃতি। প্রত্যেক জেলার অন্তত এক ধরনের পানের সাথে পানসেবীরা পরিচিত। উনিশ শতকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় কর্পূরের গন্ধবিশিষ্ট 'কাফুরি' নামের একপ্রকার উন্নতমানের পান উৎপাদিত হতো। তখন এই পান কলকাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে রপ্তানি করা হতো। মানের দিক থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎপাদিত সাঁচি পানের কদর আছে। সাঁচি পান পাকিস্তানে রপ্তানি করা হয়। সাধারণত পানের সাথে চুন এবং সুপারি মিলিয়ে খাওয়া হয়। অনেকে পানের সাথে ধনিয়া, এলাচি, দারুচিনি এবং অন্যান্য সুগন্ধি দ্রব্য মেশায়।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভোগ্যপণ্য পানের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর ভিত্তি করে 'বারুই'/'বারই' নামে একটি পেশাজীবী আছে। পান চাষের জন্য যারা বরজ তৈরি করে তারা কালক্রমে বারুই নামে পরিচিত হলেও 'বারুই' একটি বংশ পদবীও বটে। বরজ তৈরি একটি প্রাচীণ পেশা। উপমহাদেশে মুসলমানদের আগমনের পূর্বে সকল বারুই ছিল হিন্দু এবং সমাজে তাদের স্থান শ্রেণিবিন্যাসে বেশ উপরেই ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে অনেক বারুই জমিদারি ও তালুকের মালিক হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে বহু পানের বরজই আসল বারুইরা বিক্রয় করে দেয় এবং এগুলি মুসলমান বিনিয়োগকারীরা কিনে নেয়। বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসী/অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠির মধ্যে খাসিয়ারাই একমাত্র আদিবাসী যাদের প্রধান পেশা পান চাষ। তারা পানচাষ কে পানজুম বলে। এদের উৎপাদিত পান অধিক সুস্বাদু ও ঝাঁঝ হওয়ায় এই পান সমগ্র সিলেট অঞ্চলে এমনকি সিলেটের বাইরেও জনপ্রিয়।
বরজ শব্দটা প্রথম চালু বাংলাদেশের সিলেটে। সাভারের যে এলাকায় এই পানের বরজ দেখেছি- সেই বরজের বংশপরম্পরায় উত্তোরাধিকার সূত্রে বর্তমান মালিক ৫৫ বছর বয়সী যজ্ঞেশ্বর বারুই পরিবার। তবে বরজের শ্রমিক মুসলমান ধর্মাবলম্বী সেলিম মিয়া ১২ বছর যাবত কাজ করছে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই ভোর পাঁচটা নাগাদ উঠেই সেলিম যায় পানের বরজে। পান চাষ খুব ঝক্কি। গাছ বড় আদর চায়- তার "দু'বছরের মেয়ে সানিয়ার মতো। বরজে নীচের মাটি নরম থাকবে, কিন্তু পানি জমলে চলবে না। জলাশয়ের বাতাস চাই, আবার বেশি বাতাস হলে চলবে না- সানিয়ার খাবারের ঝক্কির মতো আর কী!" টাক মাথা, হাসিখুশি সেলিম শীত গ্রীষ্ম সব সময় খালি গা। কারণ, বরজের ভেতর শীতকালে নাতিশীষ্ণ আর গ্রীষ্ম-বর্ষায় গরম।
আয়তক্ষেত্রাকার জমির চারপাশটা ঢাকতে হবে শুকনো নারকেল-সুপারী পাতায়। উপরটাও- অনেকটা আধুনিক গ্রীণ হাউজ। আধা আলো আধা অন্ধকারে পাটকাঠি আর বাঁশের লম্বা চেড়া অংশ চাই পান পাতার অবলম্বনের জন্য। আর চাই ছাদটাকে ধরে রাখার জন্য অসংখ্য তার/গুনা। রোদ এবং গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বরজের চারদিকে ৫/৬ ফুট উঁচু করে বাঁশের শলা ও খুঁটি দিয়ে বেড়া এবং একই সামগ্রী দিয়ে উপরে মাচান তৈরি করা হয়। শুকনা মৌসুমে পান গাছে নিয়মিত পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। পানে এক ধরনের সুগন্ধ থাকায় পানের বরজ ক্ষতিকর প্রাণি বা কীটপতঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত হয় না। চারা রোপণের এক বছর পর পান আহরণের উপযোগী হয় এবং বরজ তৈরির পর কয়েক বছর এমনকি কয়েক যুগ পর্যন্ত তা থেকে উৎপাদন অব্যাহত থাকে।
পাতা বড় হলেই কেটে নিতে হবে। ছিঁড়লে চলবে না। পাতা ছিঁড়লেই দাম যাবে কমে। পান লতায় ১০/১২ টা পাতা রেখে দিতে হয়। একটা মাঝারি সাইজের বরজ করতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ধাক্কা। তবে ভালো তৈরি করলে যুগ যুগ থেকে যায় এক একটা বরজ। মূলত বারুই পদবির লোকেরা বরজ মালিক হলেও শ্রমিকেরা প্রায় সবাই সেলিমের মতো মুসলমান। পানবরজে ঢুকলে পৃথিবীর রং হয়ে ওঠে অন্য রকম। ছায়াময়, মায়াময়। একটা লাইনে ১৮০ টা করে গাছ। লম্বায় আবার ৮০টা। মানে কত গাছ ভাবুন। সামান্য এঁটেল মাটি, পা পিছলে যায়।
খাগান নামের এই গ্রামে হিন্দু-মুসলমান সহাবস্থান অসামান্য। কাঠাল, পেয়ারা, নারকেল-সুপারির সঙ্গে পানের বরজ প্রচুর। সপ্তাহে সেলিম বরজ পরিচর্যা করে তিন দিন। পান তোলে তিন দিন। এখন পানের দাম বেশী। পাঁচ হাজার পানের দাম ২০০০ টাকা। বর্ষাকালে টাইমে সেটা হবে ১৫০০ টাকা। বছরভর ফলন হলেও তিনটে মাস চুটিয়ে হয় পান। আষাঢ়, কার্তিক আর ফাল্গুন। সেরা স্বাদের পান হয় কার্তিক মাসেই। পান তুলে বস্তা ভরে নিয়ে যায়। তার পর অন্য জায়গায় পানিতে ধুয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার কাজ। সপ্তাহে দু'দিন সেলিম পান নিয়ে যায় সাভার হাটে। সেখানে বাঁধা দোকান আছে তাদের।
ভারত, সৌদিআরব, আরব-আমিরাত, ইংল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি সহ এশিয়া-ইউরোপের আরও অনেক দেশে। বিদেশে রপ্তানীযোগ্য পান আনা হয় বাংলাদেশের নাটোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা প্রভৃতি জেলা হতে। তবে ঢাকার অদুরে শ্যামবাজারে প্রচুর পানের আড়ত রয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে ইউরোপে পান পাঠানো শুরু হয়। সৌদি আরবে পান রপ্তানি হয় ১৯৯১ সাল হতে। মূলত উপমহাদেশের লোকজনই বিদেশে বাংলাদেশের পান কিনে খায়। সিলেটি পান খুব জনপ্রিয়। চট্টগ্রামে হয় সাঁচি পান। পানাসক্ত কথাটা মদ্যপায়ীদের সঙ্গে জুড়ল কী করে তা অবশ্য জানি না। জানি না, পানের পিক নামক অসহ্য বস্তুটিতে কবে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে এ দেশে। যত দ্রুত হয়, ভাল!
একদা পানের বরজ থেকে আয় এতই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো যে, বাংলার সুবাদার আজিম-উস-শান পানচাষকে ‘সাউদিয়া খাস’ নামে একচেটিয়া রাজকীয় ব্যবসায় পরিণত করেন। ১৭৬৫ সালে রবার্ট ক্লাইভ দেওয়ানি লাভের পর তিনিও ১৭৬৭ সালে পান চাষকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসায়ে পরিণত করেন। বর্তমানে পানের বিশ্বব্যাপী বাজার রয়েছে। এই বাজার প্রসারে দুটো বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত, দক্ষিণ এশিয়ার পানসেবীদের বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া; দ্বিতীয়ত, পানের ভেষজ গুণাগুণের বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি। বিশ্ববাজারে ভারতের সাথে প্রতিযোগী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বাজারের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র দখল করতে পেরেছে। পানচাষের জমির পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, কারণ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যান্য ফসলের চাষ এখন বেশি লাভজনক হলেও পান চাষী সেলিম- আনোয়ারদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না বলেই ওরা এখন বিকল্প কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছে।
শীতল বাতাস পানবরজের উপর দিয়ে চলে যায়। বরজ আবৃত থাকায় বাতাস সরাসরি পান পাতায় লাগে না। যত্নের দুর্গের বাসিন্দা তারা। ওদিকে সেলিম, আনোয়ারদের হাতে তৈরি পান চলে যায় ঢাকার কাওরান বাজার, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি পাইকারী বাজারে। তার পর হাত বদল হতে হতে, হাত বদল হতে হতে...ধর্মের প্রাচীর ভেঙে সম্প্রীতির প্রাচীর তুলে হাজির হয় হিন্দু-মুসলমান-বৈদ্য-খৃষ্টান সবার ঘরে!
দেশের বনভূমি, গাছপালা উজার হচ্ছে, আর দেশের অজস্র 'পানবরজ' আমাদের বিশুদ্ধ অক্সিজেন দিয়ে পরিবেশ ভালো রাখছে! পানবরজও বেঁচে থাকুক শতায়ু হয়ে।
তথ্যসূত্রঃ পান উইকিপিডিয়া এবং শেষ ছবিটি গুগল।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ইতিপূর্বে বাইর থেকে এবং উঁকিঝুকি দিয়ে পানের বরজ অনেক দেখেছি- কিন্তু এবার কয়েক ঘন্টা ধরে পানের বরজ দেখার সাথে খুঁটিনাটি জেনেছি। য়ার বাকিটা নিয়েছি পান উইকি থেকে।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: পাব খাওয়া ভাল না সিগারেট?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: যে যেটা খায় তার কাছে সেটাই ভালো। তবে পানের সাথে জর্দা তামাক সুপারি ছাড়া অনেক ভেষজ গুণ আছে জানি।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পোস্টে সরাসরি + রইলো।
- পান আর পানের বরজ সম্পর্কে পূর্ণ এটি পোস্ট এটি।
- আমি পরেন বরজ দেখেছি। অদ্ভূত লাগে দেখতে। সরম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পরিবেশ, ভিন্ন একটি জগৎ মনে হয়।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পান, পানের বরজ এবং পানচাষ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানলাম। ধন্যবাদ।
আমাদের গ্রামের বাড়িতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য পানের আবাদ হতো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পান শুপারি হাটবাজারে বিক্রী করে দেয়া হতো। ছোটবেলা থেকে দেখেছি, সারি সারি শুপারিগাছের নীচে পান গাছ লাগানো হতো। বর্ষাকালে পানবাগানে অনেক মশা হতো।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: পানের বরজ ছেলে বেলা থেকে অনেক দেখেছি, কিন্তু এভাবে নিবীর করে আগে দেখা হয়নি। যে বরজের ছবি দিয়েছি- সেই বরজ থেকে কয়েকটা পানের লতা আমি এনে টবে লাগিয়েছি।
আমাদের গ্রামের বাড়িতেও প্রচুর সুপারির ফলন হয়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি- সকল সুপারি বাগানই সাড়িবদ্ধ করে চারা লাগানো হয়। কক্সবাজারে বেশীর ভাগ সুপারি গাছের সাথেই পান গাছ লাগানো হয়। আমি যে বাগানে গিয়েছিলাম- সেবাগানে মশার প্রাদূর্ভাব কম। পান চাষী জানালেন- পানের পাতায় একধরণের গন্ধ বের হয়- যার জন্য মশা সহ অন্যান্য পোকা মাকড় কম। তবে পানের লতার সাথে সবুজ রঙের এক ধরণের নির্বিষ সাপ থাকে, নাম- লাউ লতা সাপ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: পান এমনিতে খাই না, তবে বিয়ের বাড়ির দাওয়াত শেষে মিষ্টি জর্দা দিয়ে পানের স্বাদ অতুলনীয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও বিয়ের বাড়ির দাওয়াত শেষে মিষ্টি জর্দা দিয়ে পান একাধিকবার খেয়েছি।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে যেটা খায় তার কাছে সেটাই ভালো। তবে পানের সাথে জর্দা তামাক সুপারি ছাড়া অনেক ভেষজ গুণ আছে জানি।
পাব খাওয়াও সিগারেটের মতো ক্ষতিকর।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: "ধুমপান মানেই বিষ পান!" তবে পানের জর্দা/তামাক ক্ষতিকর নিঃসন্দেহে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: পানের বরজের ব্যাপার দারুন লাগে । আমি যখন ছোট তখন আমাদের এলাকাতে এই বানের বরজে ভর্তি ছিল । আমাদের বাড়িরের আশে পাশেই কত কিছু বরজ ছিল । ভেতরে ঢুকলে মনে হত যেন অন্য একটা জগতে চলে এসেছি । আলো আধারির খেলা চলতো সেখানে । তবে দিন যত যাচ্ছে পানের বরজের পরিমান কমে আসছে ।
আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন সব পান ব্যবসায়ী । তাদের এখনও বেশ কয়েকটা পানের বরজ রয়েছে ।