নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর বর্তমান চিত্র......
আমাদের এক সহপাঠী বন্ধু অসুস্থ্য হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতে ভর্তি। বন্ধু রোগীকে দেখতে আমরা চার বন্ধু গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তিনি হাসপাতালের ভি আই পি কেবিনে চিকিতসা নিচ্ছেন- ভি আই পি কেবিনের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থাকালে শতশত সাধারণ রোগী এবং তাদের সাথে থাকা আত্মীয় স্বজনরা বারান্দায় কতোটা মানবেতর অবস্থায় আছে- যা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না! হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আমরা শহীদ মিনার চত্তরে যাই......
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি"-অবিস্মরণীয় এই গান গাইতে গাইতে একুশের ভোরে নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরিতে অংশ নেয়নি এমন বাঙ্গালি খুঁজে পাওয়া ভার। একুশে ভোরের এই অনুভূতিটাই ভিন্ন। একাধারে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার সীমাহীন গর্ব, অন্যদিকে ভাই হারানোর গভীর বেদনা। বাঙ্গালী মনের এই অনুভূতি আর ভাষা আন্দোলন তাৎপর্যকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনার। প্রতি ফেব্রুয়ারিতে মানুষের ঢল নামে এখানে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় গোটা চত্বর কিন্তু সারাবছর কেমন থাকে এই মিনার?
শহীদ মিনারের বর্তমান অবস্থা নিজের চোখে দেখার পরও বিশ্বাস হতে চায় না। তবু এক অপ্রিয় সত্যকে বিশ্বাস করতে হয়। ভাষা আন্দোলনের গৌরব গাঁথার প্রতীক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবসে ভাষাবীরদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে ফুলের মালা হাতে আসেন দেশের দিন দেশের সাধারণ মানুষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত-সব ধরনের মানুষ। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কী ভুলিতে পারি গাইতে গাইতে প্রভাত ফেরীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় শিশু থেকে বৃদ্ধ। দেখলে গর্বে বুক ভরে যায়। শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন বিদেশী কূটনীতিকরাও। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় গোটা আঙিনা। ভাই হারানোর গভীর বেদনায় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার সীমাহীন গর্বে প্রতিবছর দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিটি বাঙ্গালী। অবশ্য এখন শহীদ মিনার হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক, উপর শ্রেনীর কেউ মারা গেলে "সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন" এর মঞ্চ।
একুশের চেতনাকে ঘিরে বিকশিত হয়েছে দেশের শিল্প সাহিত্য। বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি এবং তার আগে প্রস্তুতির দু'দিন ও পরের দু'দিন এই পাঁচদিন বাদ দিলে বছরের অবশিষ্ট ৩৬০ দিন কেমন থাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার! ঝরাপাতা, চীনাবাদামের খোসা, পোড়া বিড়ি সিগারেট, পলিথিনের ছেঁড়া ব্যাগ, চানাচুর-চিপ্সের খালি প্যাকেট, ছেঁড়া ঠোঙ্গা, কাকের পায়খানা, ব্যবরুত কন্ডম, ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয় মিনার চত্বর। পরিচর্যাহীন বিবর্ণ পোলিও রোগীর মত শহীদ মিনার।
একুশের বই মেলা উপলক্ষে এখন শহীদ মিনারের মূল বেদীতেও লোকে লোকারণ্য। দেখা গেল, শহীদ মিনারের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ করে জুতা পায়ে মিনারের মূল বেদীতে উঠে অসংখ্য নারী-পুরুষের আনন্দ আশ্রম! অত ভীরের মধ্যেও এক লোক তার ছেলেকে সাইকেল চালনা শেখাচ্ছে। বেদীর উপর এখানে ওখানে ঘুমিয়ে আছে বেশ কয়েকজন ছিন্নমুল মানুষ। মূলবেদীর দেয়ালে বসে ঝালমুড়ি খাচ্ছে কেউ কেউ। মুড়ি ছিটিয়ে কাক জড়ো করছে এক সুবেশী মেয়ে আর তার ছেলে বন্ধু। একদিকে জোড়ায় জোড়ায় আপত্তিকর ভঙ্গিতে বসা প্রেমিক যুগল। সকাল-দুপুর ও বিকাল যখনই শহীদ মিনার এলাকা অতিক্রম করেছি- এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে। একজন পাহাড়াদার ছাড়া শহীদ মিনার পরিচ্ছন্ন রাখা ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের কোন লোককে একদিনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শহীদ মিনার সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে হযরত তেলশাহর মাজার। আগে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মাজার থেকে শহীদ মিনারে আসার পথ বিচ্ছিন্ন ছিল। সেই কাঁটাতারের বেড়া কবে যে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তা কেউ বলতে পারে না। ভবঘুরেদের কাছে শুনি- নৈশ প্রহরী ও আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতের শহীদ মিনার চত্বর আরো নোংরা, আরো কদর্য এমনকি ভীতিপ্রদ হয়ে ওঠে।
তেলশাহ মাজারের সাথে পথ উন্মুক্ত থাকায় শহীদ মিনার চত্বরে রাতের আঁধারে গাঁজার আসর বসে, বাবা ও ফেনসিডিল সেবীদের আড্ডা জমে, ভাসমান পতিতারা খদ্দের নিয়ে মূল বেদীতে উঠে আসে, আশপাশের ফুটপাথের বাসিন্দারা এবং নিশাচর মানুষ মলমূত্র ত্যাগ করে। একজন ঝালমুড়ি ওয়ালা জানান, দিনের চাইতে সন্ধ্যার পর বেচা-কেনা ভাল হয়। তবে রাতে এখানে যে সব কু-কাণ্ড ঘটে তা বলতে রুচিতে বাধে। মাঝে মাঝে টহল পুলিশ এসে বখরা নিয়ে চলে যায়।
একুশে ফেব্রুয়ারির একটি দিনকে কেন্দ্র করে পাঁচটি দিন পরিবেশ ভাল থাকলেও বছরের বাকি ৩৬০ দিন শহীদ মিনার চত্বরের পবিত্রতা বলতে কিছু থাকে না।
আমাদের উপস্থিতিতেই একুশে বই মেলা উপলক্ষে কোলকাতা থেকে ঢাকায় আসা একটি ভারতীয় পরিবার শহীদ মিনার দেখতে এসেছিলেন। নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ঘুমন্ত মানুষ, দুরন্ত প্রেমিক প্রেমিকার নিলাজ চিত্র দেখে ভারতীয় পরিবারটি নীরবে দ্রুত শহীদ মিনার চত্বর ত্যাগ করে চলে যান।
অযত্ন-অবহেলার শিকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে যা দেখা গেছে, পীড়াদায়ক অনেক কথা বলা যায় না, লেখা যায় না। এক ফুচকা- চটপটি বিক্রেতা জানালেন- ১৭/১৮ তারিখ থেকে শহীদ মিনার চত্তর পরিস্কার করার কাজ শুরু হবে এবং তখন "আট কলেজের পোলা-মাইয়ারা রাইত-দিন রাস্তায় আর আস্পাশ সব যায়গায় ছবি আকবো- তহন এই যায়গা চিন্তেই পারবেন্না।!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতা।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
নতুন বলেছেন: সরকারী হাসপাতালের অবস্থা গত ২০২১ এর নভেম্বরে দেখেছিলাম বাবা কে নিয়ে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো বলে।
কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভুতের বাড়ীতে পরিনত হয়েছে।
আজ যেখানে বাংলাদেশ সার্বজনিন স্বাস্হসেবা বিনামুল্যে দেবার সক্ষমতা আছে সেখানে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের হাতে পুরো চিকিতসা ব্যবস্থা জিম্মি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু স্বাস্থ্য সেবাই নয়, দেশের সকল সেবা ব্যবস্থার একই অবস্থা! শিক্ষা-স্বাস্থ্য এখন সব চাইতে দামী পণ্য।
একজন পুরনো ব্লগার হিসেবে জানেন, ২০০৬ থেকে আমি ক্যান্সার পেশেন্ট... সঠিক সময়ে টানা দুই বছর চিকিতসা নেওয়ায় সার্ভাইব করেছিলাম। তারপরেও আজীবন চিকিতসার মধ্যেই থাকতে হবে। ছয়মাস পরপর বুস্টার ইনজেকশন নিতে হচ্ছে। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে আমার আবারও কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় নতুন করে ডাক্তারের নির্দেশনা মতো চিকিতসা চলছে। এখন প্রতি তিনমাস অন্তর তিনবার PET scan test করতে হয়। এই টেস্ট করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিম্বা সাভার আনবিক চিকিতসা কেন্দ্র ছাড়া সরকারী কোনো হাসপাতালে সুযোগ নাই। এই দুই যায়গায় খরচ ২০ হাজার টাকা। বেসরকারী ভাবে মেডিনোভা, ইউনাইটেড এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে করা হয়। সরকারী হাসপাতালে সিরিয়াল পেতে ৪/৫ মাস অপেক্ষা করতে হয়। উল্লেখিত বেসরকারী হাসপাতালে একই টেস্ট করতে খরচ ৮৫ হাজার টাকা! অর্থাৎ টাকা দিয়ে চিকিতসা সেবা/শিক্ষা সেবা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে সাধারন নাগরিকদের।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একুশে ফেব্রুয়ারির একটি দিনকে কেন্দ্র করে পাঁচটি দিন পরিবেশ ভাল থাকলেও বছরের বাকি ৩৬০ দিন শহীদ মিনার চত্বরের পবিত্রতা বলতে কিছু থাকে না।
এই দুঃখ কোথায় রাখবো?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই আমাদের রাস্ট্রীয় অব্যবস্থাপণার প্রকৃষ্ট উদাহরণ!
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২১
রানার ব্লগ বলেছেন: সরকারি হাসপাতাল এখন অব্যাবস্থাপনার চুরান্ত উদাহারন । ওখানে মানুষ কে মানুষ হিসাবে ট্রিট করা হয় না ।
শহীদ মিনারের প্রতি শ্রধ্যাবোধ কোন সরকার বা রাস্ট্র তৈরী করে দিতে পারে না উহা নিজে থেকেই নিজের ভেতরে তৈরী করে নিতে হয় । পরিবার এই ক্ষেত্রে অনেক বড় ভুমিকা রাখে । বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছেন যারা বাংলাদেশ ও তার ইতিহাসের প্রতি শ্রধ্যাশীল নন ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: নাগরিক দায়িত্ব তখনই সঠিক ভাবে পালন নিয়মতান্ত্রিক হয় যখন রাস্ট্র ব্যবস্থাও নিয়মতান্তিক ভাবে হয়।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা নোংড়া জাতি- মানসিকভাবেও ভীষন নোংড়া। সরকারিভাবে গোড়ে ওঠা যে কোন একটা সুন্দর স্থাপনা গড়ে উঠলে প্রতিযোগীতা শুরু হয় কে কার আগে পোস্টার লাগিয়ে মল মুত্র কফ থুতু পানের পিক ফেলে নোংড়া করা যায় তার। সারাদিন পথ চলতে গিয়ে গা রি রি করে।
বড় কষ্টবোধ থেকে আপনার এই লেখা অনুভব করতে অসুবিধে হয় না।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: নোংরা শহরের চাইতেও জানজটের যন্ত্রণা দুর্বিশহ! বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় আছে রাজধানী ঢাকা। বসবাসযোগ্যতার দিক দিয়ে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান এখন ১৩৮তম। ঢাকার চেয়ে খারাপ অবস্থা কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর সিরিয়ার দামেস্ক ও নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোস। এমনকি আফগানিস্তানও আমাদের থেকে ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের গ্রীন রোডে ছোট বড়ো হাসপাতাল আছে ১২ টা! সকালে নাতনীকে এক কিলোমিটারের কম দূরত্বের স্কুলে পৌঁছাতে সময় লাগে এক ঘন্টা। অথচ হেটে ১৫ মিনিটে যাওয়া যায়। কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের আসকারায় সড়কের দুইপাশেই ভাসমান হোটেল, রিকশার গ্যারেজের জন্য দশ কদম হাটা সম্ভন নয়।
গ্রীন রোড থেকে ডিওএইচএস আমার অফিসের দুরত্ব ৩ কিলোমিটার প্লাস। গাড়িতে আসতে লাগে কম পক্ষে দেড় ঘন্টা। আয়েশ করে হেটে আসতে লাগে ২০ মিনিট! আমি হেটে আসা যাওয়া করতে চাই- কিন্তু ফুটপাতে মোটর সাইকেলের দৌরাত্ব, ভাসমান দোকান, মল-মূত্রের জন্য হাঁটাদায়। তার উপর আছে ছিনতাইকারী!
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। আমাদের জাতীয় চেতনা ও শ্রদ্ধার কেন্দ্রবিন্দু এ শহীদ মিনারের এ অবস্থা মেনে নেয়া যায় না।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এই দেশের আমজনতার দুঃখের অন্তঃ নাই! শহীদ মিনার এখন ক্ষমতাসীন রাজনীতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট মরাদের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর নামে একটা উতসবের সর্বত্তম স্থান!
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
ফারহানা শারমিন বলেছেন: আমি যদি কখনো সেখানে যাই, বা নিয়মিত সেখানে যাওয়ার সুযোগ থাকতো। নিজের হাতে পরিষ্কার করতাম। আমি নিজেকে দিয়েই শুরু করি। কিছু পরিবর্তন হোক আর না হোক। অন্তত মানসিক সান্ত্বনাটা পাওয়া যায়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি যা শুরু করার বাসনা প্রকাশ করেছেন- সেই কাজ আমরা অনেকেই বহু বছর যাবত করছি। কিন্তু দুই মিনিট পরেই অবস্থা তথৈবচ! একদা আমরা ধানমন্ডি বাসী "ক্লিন ধানমন্ডি, গ্রীন ধানমন্ডি" ব্যানারে নিয়মিত লেক সাইড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতাম। এখন ধানমন্ডি লেক জুড়ে অজস্র দোকান বসানো হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। ধানমন্ডি লেকের পানি কখনো কখনো বুড়িগংগার পানির রুপ ধারণ করে। জেনে অবাক হবেন- ধানমন্ডি লেকের সাথে কম পক্ষে ৮ টা সুয়ারেজ লাইনের সংযোগ আছে এবং লেক থেকে স্ট্রম সুয়ারেজ লাইন চলে গেছে হাজারীবাগ পর্যন্ত।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একুশে ফেব্রুয়ারি বাদে অন্য সময়ে শহীদ মিনারের নিদারুণ অবস্থার কথা সম্ভবত আপনি আগেও একবার পোস্ট দিয়েছিলেন। খুবই খারাপ লাগলো এমন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন অযত্নে পড়ে থাকার জন্য।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, আমি ইতিপূর্বেও শহীদ মিনার, পাব্লিক লাইব্রেরী, রমনা পার্কের অব্যবস্থাপণা নিয়ে একাধিকবার স্যোশাল মিডিয়ায় লিখেছি।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আহা আমার শহীদ মিনার । একসময় ৭৭-৭৮ সালে দল বেধে আলপনা একেছি । গভীর রাতে হলে এসে ঘুমিয়েছি । কত স্মৃতি -------------।
এখন অক্ষমতার জন্য যেতে পারিনা ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইজান, মনে আছে- শহীদ মিনারে আলপনা আঁকার একটা বিপ্লব ঘটেছিলো স্বৈরাশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়। তখন বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন চারুকলার ততকালী ছাত্র-শিক্ষক।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক বিষয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
রবিন.হুড বলেছেন: আমাদের চেতনায় ভাটা পড়েছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম তাই।
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
রবিন.হুড বলেছেন: বিনে স্বদেশি ভাষা মিটে কি আশা
মধ্যযুগে এবং পরাধীন ইংরেজ আমলে মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে কবি ও মনীষীগণ এমন সিদ্ধান্ত লিখিত ভাষ্যে জানিয়েছেন যে, স্বদেশী ভাষা ছাড়া মনে আশা পূর্ণ হয় না। কবি রামনিধি গুপ্ত বলেন, নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশি ভাষা মিটে কি আশা। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে নানা ভাষার পরিমণ্ডলে বসবাস করে সত্যটি আবার নতুন করে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। ১৯৪৮ সালে জিন্নাহর মতবাদের জোড়ালো প্রতিবাদ এবং ১৯৫২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বাংলার দামাল ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও সকলের হৃদয়ে তা স্থান পায়নি। তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারির শুধু আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ দেখে। এখনো উচ্চ আদালতের রায় লেখা হয় ইংরেজিতে, উচ্চ শিক্ষার পঠন ও পরীক্ষণ পদ্ধতি, গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো বাংলায় অনূদিত না হওয়া। বাংলাদেশে অবস্থান করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কোমলমতি শিশুরা বাংলা ভাষা শেখা তো দূরের কথা মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না। আমি ইংরেজি শেখার বিপক্ষে নই কিন্তু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে হচ্ছে 'আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি, তারপর ইংরেজি শিক্ষার পত্তন। ' শিশুদের সঠিক ও শুদ্ধভাবে বাংলা শেখার ক্ষেত্রে পাঠ্যবই, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।তাই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি স্তরে বাংলা ভাষার শিক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ইংরেজি একটা অন্যতম আন্তর্জাতিক ভাষা এটা নিয়ে সন্দেহ নাই তাই বলে চীন ও জাপানের মতো উন্নত দেশ নিজের ভাষা বাদ দিয়ে ইংরেজী ভাষায় দক্ষ হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে নাই। আমরা বাঙ্গালীরা একটু হুজুগে মাতাল। তাই নিজের ভাষাকে পায়েদলে পরের ভাষা শিখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ যেন দেশের ঠাকুর ফেলিয়া বিদেশি কুকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। আমি প্রগতির পক্ষের লোক। আমাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে হলে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে আয়ত্ব করতে হবে এ ব্যপারে আমি শতভাগ একমত। কিন্তু বাংলাদেশের জনগনের কতভাগ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক বা ভাষা জ্ঞান ছাড়া অন্যান্য মাপকাঠিতে যোগ্য? সব জনগনের কথা বাদ দিলাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কতজন শিক্ষার্থী দেশের বাইরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এদের সংখ্যা শতকরা এক ভাগের বেশি হবে না। একভাগ শিক্ষার্থীর জন্য নিরানব্বই ভাগ শিক্ষার্থীদের কেন বাধ্যতামূলক ইংরেজী মাধ্যমে শিক্ষন ও পরীক্ষণ পদ্ধতীতে অংশগ্রহণ করতে হবে ? শিক্ষার পদ্ধতি মাতৃভাষায় না হওয়ার কারনে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তাদের পাঠ বুঝতে অক্ষম এবং কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ। এ ক্ষেত্রে কবির ভাষায় আবার বলা যায়, “নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশি ভাষা মিটে কি আশা”। তাই অচিরেই উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে, সকল ধরনের বইয়ের বাংলা সংস্করণ থাকতে হবে , উচ্চ আদালতের রায় বাংলাভাষায় লেখাসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরে বাংলাভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া স্বার্থক হবে এবং ৫২ সালে আত্মদানকারী ভাষা শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে নয় সারা বছরই বাংলাভাষাকে আমাদের হৃদয়ে স্থান দিয়ে সব জায়গায় ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আর যারা বাংলাদেশে বসে বাংলাভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাধা প্রদান করে বিদেশি ভাষা ও কালচারকে এ দেশের মাটিতে রোপন করতে চায় সে সকল বাংলিশদের জন্য কবি আব্দুল হাকিমের কবিতার মাধ্যমে বলতে হয়,“ যে সব বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি? কবি আরও বলেন, "দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়/ নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়"। পঞ্চ কবির অন্যতম এক কবি অতুল প্রসাদ সেন বলেন, "মোদের গরব মোদের আশা / আ মরি বাংলা ভাষা"। আসুন সবাই, বাংলাভাষা হৃদয়ে ধারন করি,কর্মে মর্মে সোনার বাংলা গড়ি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি যেসময়ের কথা বলছি তা জেনারেল জিয়ার সময় । শহীদ মিনার তখন এত বড় ছিল না ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: আচ্ছা।
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশের ১০০ বছর পূর্তিতে শহীদ মিনার থাকবে?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: থাকা উচিত। তবে আমরা অতীত ঐতিহ্য বিসৃত জাতি!
১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
একটা জঘন্য বাস্তবতার ছবি আঁকলেন।
একটা জাতীর মন-মানসিকতা যখন দরিদ্র হয়, বোধ-বিবেচনা হয় যখন নিম্নগামী ও ক্ষয়িষ্ণু তখন তার কদর্য্য রূপখানার প্রতিবিম্ব সে তার আশেপাশেই দেখতে চায়। সুন্দরতা তার চোখে ধরা দেয়না আর তার মূল্যও সে বোঝেনা।
এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া জরুরী। কঠিন আইনের শাসন না থাকলে বছরের ৩/৪ দিন বাদে সারা বছর জুড়ে জাতীর এই মহান সৌধখানি শৌচাগার আর লীলাক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে অপবিত্রই থাকবে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাইজান, দেশজুড়ে অব্যবস্থাপনায় সকল জাতীয় স্থাপনার একই হাল!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: জাতি হিসাবে আমরা যে পশ্চাদপদ এটা তার প্রমান।