নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কনডেন্সড মিল্ক এর ইতিকথা......
বিশ্বব্যাপী কনডেন্স মিল্কের বহুবিধ ব্যবহার করা হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে (ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা ও পাকিস্তান) চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খাওয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়। "প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে শরীর সুস্থ ও সবল থাকে"- এই বিজ্ঞাপন আমাদের দেশে বহুল শ্রুত! কিন্তু গরুর খাঁটি দুধের দেখা মেলা আজকের জমানায় যেমন দুষ্কর, তেমনি আরও কয়েক শতক আগেও এর থেকে খুব ব্যতিক্রম ছিল না। ভারতবর্ষে দুধে ভেজাল মেশানোর 'প্রথা' অনেক পুরনো (সম্ভবত সেই ভেজাল দুধের জন্য নিচের ক্লাসের অংক বইয়ে 'এক গোয়ালা তিন লিটার দুধে এক লিটার পানি মেশানো'র ভেজাল প্রক্রিয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিখতে হতো)। দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণেও ত্রুটি ছিল। তার উপর বিভিন্ন অঞ্চলে দুধের সরবরাহও সবসময় পাওয়া যেত না। বিশেষ করে উপমহাদেশের শহরগুলোতে খাঁটি, বিশুদ্ধ গোদুগ্ধ আস্বাদন করা অনেক মধ্যবিত্তের জন্য বিলাসিতা ছিল।
উপরন্তু তাজা দুধের চেয়ে দুগ্ধজাত অন্যান্য খাবারের প্রাধান্যই বেশি ছিল এ অঞ্চলে। দুধের ব্যবসা মূলত বাড়িভিত্তিক ছিল। গোয়ালারা দুধ থেকে ঘি, পনির, দই ইত্যাদি তৈরি করতো। উপমহাদেশীদের জীবনে টাটকা দুধের চেয়ে দুধের ভিন্ন ভিন্ন রূপই বেশি দেখা মিলত।
ইউরোপীয়দের কাছে উপমহাদেশ বসবাসের অযোগ্য হিসেবে যেসব কারণ ধরা দিয়েছিল, তরল দুধের অভাব তার মধ্যে অন্যতম ছিল। 'দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার রয়াল বুক' (১৯১২) অনুযায়ী, খাঁটি তরল দুধ সহজে না মেলার কারণে উপমহাদেশ ইউরোপীয় শিশুদের জন্য 'বাস্তবিকভাবেই বসবাস-অযোগ্য' ছিল।
ব্রিটিশরা এ সমস্যা সমাধানে ১৯ শতকের শেষ দিকে তারা 'সামরিক ডেইরি ফার্ম' স্থাপন করতে শুরু করে। এই খামারগুলোতে গরুর দুধ, ননী, মাখন ইত্যাদি তৈরি করা হতো। তবে সচরাচর এগুলোর ভোক্তা ছিল সৈন্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
ফলত উপমহাদেশের অন্য শহরে বাস করা ইউরোপীয়দের দুধের সমস্যার সমাধান হলো না। তাদের কাছে উপমহাদেশের তরল দুধ তখনো দামি বা ভেজাল বস্তু হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে শেষ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হলো- তরল, ঘন ও সুস্বাদু কনডেন্সড মিল্কের মাধ্যমে।
১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন উদ্ভাবক গেইল বর্ডেন 'সৈনিক, আবিষ্কারক, ও বণিকদের' খাবারের কথা চিন্তা করে কনডেন্সড মিল্ক আবিষ্কার করেন।মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় কন্টিনেন্টাল আর্মি ক্যালোরির সহজ উৎস হিসেবে কনডেন্সড মিল্ককে বেছে নিয়েছিল। তারপর অন্যান্য সেনাবাহিনীও কনডেন্সড মিল্ককে তাদের খাবারের তালিকায়। ক্রমে এটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার শহুরে পরিবার ও এসব অঞ্চলের উপনিবেশগুলোতে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ভারতবর্ষেও বৃটিশ এবং ওলন্দাজ জাহাজে করে কনডেন্সড মিল্কের আগমন ঘটে। স্থানীয় ইউরোপীয়রা এতদিন স্বদেশের গরুর দুধ পান করতে পারতেন না, তারাও কনডেন্সড মিল্কের সুবাদে সে আক্ষেপ ঘোচায়।
বিশ শতকের শুরুতে অনেকগুলো ব্র্যান্ডের মিষ্টি ও মিষ্টিহীন কনডেন্সড মিল্ক পাওয়া যেত ভারতবর্ষের বাজারে। কিন্তু এ অঞ্চলে একটি ব্র্যান্ড শেষ পর্যন্ত কনডেন্সড মিল্কের সমার্থক হয়ে যায়। 'মিল্কমেইড' নামক এ ব্র্যান্ডটির কনডেন্সড মিল্ক উপমহাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। 'মিল্কমেইড' কনডেন্সড মিল্ক মূলত খাওয়া হতো চায়ের সঙ্গে, পাউরুটি বা বিস্কুটে মেখে। কখনো কখনো ক্ষীরের পরিপূরক হিসেব ব্যবহার হতো মিল্কমেইড।
১৮৯০ দশকে ভারতীয় 'আমুল ব্র্যান্ড' তাদের নিজস্ব কনডেন্সড মিল্ক 'মিঠাই' বাজারে আনে। কিন্তু ভারতে মিল্কমেইডের জনপ্রিয় এতই ছিল যে, আমুলের কনডেন্সড মিল্ক দেশটিতে 'আমুলের মিল্কমেইড' হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। অন্যদিকে বাংলাদেশে গত শতকের ষাট-সত্তুরের দশক থেকেই ডেনমার্কের 'বুলক্রস' ব্রান্ডের কনডেন্স মিল বাজারজাত হয়ে আসছে। ভারতবর্ষে মিল্কমেইডের জয়ের গল্প উপনিবেশবাদ, পুঁজিবাদ ও ভাগ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। গেইল বর্ডেন কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করার পর বৃটিশ ও এর কলোনিগুলোতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়। চার্লস ও জর্জ পেজ নামক দুই ভাই ১৮৬৬ সালে সুইজারল্যান্ডে অ্যাংলো-সুইস কনডেন্সড মিল্ক কোম্পানি গঠন করেন।
এই পেজ ভ্রাতৃদ্বয়ই মিল্কমেইড ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন। একদম সূচনালগ্ন থেকেই সাফল্যের মুখ দেখতে থাকে ব্র্যান্ডটি। ১৮৬৮ সালেই প্রায় তিন লাখ ৭৪ হাজার কার্টন মিল্কমেইড বিক্রি হয় ব্রিটেন ও এর কলোনিগুলোতে। এর কয়েকদশকের মধ্যেই ভারতীয় উপমহাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য স্থানে কনডেন্সড মিল্কের সমার্থক হয়ে ওঠে মিল্কমেইড। অ্যাংলো-সুইসের মিল্কমেইডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার চেষ্টা করে আরেক সুইস ব্র্যান্ড নেসলে। যদিও কোম্পানিটি ১৮৭০-এর দশকে নিজেদের কনডেন্সড মিল্ক বাজারজাত করে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে সেটি মিল্কমেইডের ধারেকাছেও ছিল না। কিন্তু ১৯০৫ সালে এ দুই সুইস কোম্পানি একত্রিত হয়ে যায়। অ্যাংলো-সুইসের সঙ্গে একীভূতের পর নেসলে সারাবিশ্বে নিজস্ব অফিস খুলতে শুরু করে। তৎকালীন ভারতে ১৯১২ সালে নেসলের দুগ্ধ জাত পণ্যের প্যাকেজিং কারখানা চালু করে।
ভারতবর্ষে কনডেন্সড মিল্ক ইউরোপীয়দের জন্য আমদানি করা হলেও খুব দ্রুতই নেটিভরা এ খাবারের স্বাদ লুফে নেয়। যদিও প্রথমদিকে দাম, ধর্মীয় বিশ্বাস ও কারখানায় বানানো খাবারের প্রতি সাধারণ অবিশ্বাসের কারণে গোঁড়া হিন্দুরা কনডেন্সড মিল্ক গ্রহণে আপত্তি করেছিল, কিন্তু অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্ম যেকোনো ধরনের বিদেশি খাবারের ব্যাপারে উৎসুক ছিল। নেসলে'র মিল্কমেইডের প্রথমদিকের বিজ্ঞাপনগুলোতে গরুর দুধ পানের পুষ্টিগুণ বিষয়ে আলোকপাত করা হতো। তাদের বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য ছিল নারী ও শিশু। 'কনডেন্সড মিল্ক শিশু ও কিশোরদের জন্য অতি উত্তম খাবার'- এমন বার্তাই থাকত ওই বিজ্ঞাপনগুলোতে। এ কৌশল দ্রুত কার্যকরী ব্যাবসা সফল হয়। সব শ্রেণীর হিন্দু পরিবার এবং পিছিয়ে পড়া মুসলমানরাও তাদের সন্তানদের কনডেন্সড মিল্ক খাওয়ানো বাড়িয়ে দেয়।
দেশভাগের আগে উপমহাদেশে আরও অনেক ব্র্যান্ডের কনডেন্সড মিল্ক পাওয়া যেত। কিন্তু জনপ্রিয়তায় মিল্কমেইডই শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছিল সবসময়। ১৯২৬ সালে মহাত্মা গান্ধী তার এক বন্ধুকে এক চিঠিতে নেসলের কনডেন্সড মিল্ককে সমুদ্রযাত্রায় টাটকা দুধের বিকল্প হিসেবে অভিহিত করেছেন। স্রেফ মিল্কমেইড খেয়েই দিব্যি বেঁচে থাকা যায় বলেও অভিমত প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
দেশভাগের পরবর্তী দশকগুলোতে ভারত ও বাংলাদেশে পাকাপোক্ত জায়গা করে নেয় নেসলের মিল্কমেইড। দুধের মতো এটিকে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করার হ্যাপা ছিল না। কক্ষ তাপমাত্রায় দীর্ঘদিন ধরে ভালো থাকত মিল্কমেইড।
এরপর ভারত সরকার দুধের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য 'অপারেশন ফ্লাড' পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে ভারতে খাঁটি তরল দুধ সরবরাহের হার বেড়ে যায়। ফলে টিকে থাকার জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হয় মিল্কমেইডকে। ১৯৮০'র দশকে বিশ্বব্যাপী নতুনভাবে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয় মিল্কমেইড। এবার মানুষ মিল্কমেইডকে বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার যেমন লাড্ডু, হালুয়া, পায়েস, কুলফি, আইসক্রিম ইত্যাদি তৈরির অন্যতম উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হতে শুরু করে। এমনকি মিল্কমেইড দিয়ে তৈরি করা যায় এমন সব খাবারের একটি রেসিপি বইও প্রকাশ করে নেসলে।
এদিকে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কনডেন্সড মিল্ক ছিল ব্লু ক্রস, পরে আসে ডেনিশ, স্টারশিপ। একসময় গোয়ালিনী নামেও একটি কনডেন্সড মিল্ক বাজারে পাওয়া যেত, তবে এটা আদি মিল্কমেইডের বাংলা নাম কিনা কে জানে!
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কন্ডেন্স মিল্ক.........
২০০৩ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ গুড়ো দুধ ও বিষাক্ত পাম স্টেরিন মেশানোর দায়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) চারটি কনডেন্সড মিল্ক তৈরীর কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করে। ওই কোম্পানিগুলো হচ্ছে, ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক বাংলাদেশ লিমিটেড, আবুল খায়ের কনডেন্সড মিল্ক কোম্পানি লিমিটেড, এসএ কনডেন্সড মিল্ক লিমিটেড ও মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক লিমিটেড। কারণ, লাইসেন্স অনুযায়ী, কনডেন্সড মিল্কে কমপক্ষে ৮ ভাগ মিল্কফ্যাট থাকতে হবে যা গরু বা মহিষের দুধ থেকে তৈরি হতে হবে। কিন্তু সেই চারটি কোম্পানী মেয়াদউত্তীর্ণ গুড়োদুধ গুড়ো করে ক্ষতিকারক বিষাক্ত পাম স্ট্যারিন এবং চিনি মিশ্রিত করে কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করছিলো। পাম স্টেরিন হজম না হওয়ার কারণে এটি মানবদেহে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত কাপড় পরিষ্কারের ডিটারজেন্ট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।
এরপর কোম্পানিগুলো ভেজিটেবল ফ্যাট দিয়ে কনডেন্সড মিল্ক তৈরির অনুমতি চেয়ে একটি নতুন মানদণ্ড তৈরির দাবি তোলে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের এ দাবি বিএসটিআই নাকচ করে দেওয়ায় কোম্পানিগুলো আদালতের একটি রিট পিটিশন করে।
২০০৭ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাম ও সয়াবিন ফ্যাট কনডেন্সড মিল্কে ব্যবহারের বৈধতা দিয়ে নতুন মান নির্ধারণ করতে হাইকোর্ট বিএসটিআইকে আদেশ দেয়। এরপর থেকে কমপক্ষে ছয়টি কোম্পানি তথাকথিত এসব কনডেন্সড মিল্ক তৈরি করছে। নতুন এই লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী এসব কৌটা কনডেন্সড মিল্কের দাবি করতে পারবে না। এতে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে মিষ্টি বা অমিষ্টি ‘কনডেন্সড ফিলড মিল্ক’ যাতে ২২ ভাগ গুড়ো দুধ রয়েছে। কিন্তু এই কোম্পানিগুলো বড় বড় লাল অক্ষরে ‘মিষ্টি কনডেন্সড মিল্ক’ ও ছোট কালো অক্ষরে ‘ফিলড’ বা মিশ্রিত লিখেই বিপণন করছে তাদের পণ্য।
‘এক কেজি গুড়ো দুধের দাম ৮০০ টাকা। সেখানে 'সব অসম্ভবের দেশে সব সম্ভব বাংলাদেশ' এ ৩৯৭-৪০০ গ্রাম ওজনের কন্ডেন্স মিল্ক কিভাবে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়- সে এক রহস্য বটে!
উপমহাদেশে মিল্কমেইড এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, এর টিনের কোটাগুলো চাল মাপার আদর্শ উপকরণ হিসেবে দেশটিতে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলেও এখনো চাল মাপার পাত্র হিসেবে কনডেন্সড মিল্কের কৌটার ব্যবহার হয়।
সূত্রঃ স্ক্রল ডট ইন, ছবিঃ গুগল।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
২| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
নাবিস্কো পাইনআপেল ক্রীম বিস্কুট নিয়ে একটা পোস্ট দিতে পারবেন ? প্যাকেটের ভিতর কাগজ দেয়া থাকতো যাতে বিস্কুট গুলো ভেঙে না যায়।
একেবারে গ্রামাঞ্চল থেকে যারা আমার দাদার সাথে দেখা করতে আসতো তারা এই বিস্কুট হাতে হয়ে আসতো।
হুট্ করে মনে পড়লো তাই বললাম।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: নাবিস্কো পাইনআপেল ক্রীম বিস্কুট এর কথা মনে আছে....ফরমায়েসী লেখায় আমার অস্বস্থি আছে তারপরও নস্টালজিকতা নিয়ে চেষ্টা করবো লেখার জন্য।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: পোস্ট টা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।
আসলে অজানা বিষয় গুলো জানতে আমার ভালো লাগে।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: জানার ইচ্ছা না থাকা মানেই- মৃত মানুষ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
শাম্মী আক্তার বলেছেন: Click This Link ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আগে আপনি শিখুন- অপ্রাসঙ্গিক ভাবে অন্যের পোস্টে বিজ্ঞাপন লিংক যুক্ত করা অনৈতিক।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি সাংঘাতিক অবস্থা!ডিটারজেন্ট পাউডারের গুঁড়ো কন্ডেন্স মিল্কে মেশানো থাকে?
আমি সেই ছোট্ট থেকেই চুরি করে খেয়ে আসছি।এখন বাড়িতে চা,পায়েশ জাতীয় কিছু করতে এখনো দরকার হয়।ইনফ্যক্ট এরফলে আজো চুরি করে খাই।আগে মায়ের চোখকে ফাঁকি দিতাম এখন গিন্নিকে। কিন্তু এরমধ্যে যে এমন বিষাক্ত জিনিস আছে তা জানতাম না।
ধন্যবাদ ভাইজান আপনাকে এমন একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা আপনাকে।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ছেলে বেলা থেকেই দুধ খাইনা। তবে কন্ডেন্স মিল্ক, এবং গুড়ো দুধ অস্টারমিল্ক খেতাম। ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
৬| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লুক্রস থেকে কনডেন্সড মিল্ক এর সাথে পরিচিত। পরবর্তীকালে কনডন্সেড মিল্ক নিয়ে পত্রপত্রিকায় তোলপাড় হয়ে ছিল মনে পড়ে তবে আপনার দেয়া বেশির ভাগ তথ্যই অজানা ছিল। পোস্ট পড়ে ভাল লাগলো।
চালডাল এর তথ্য অনুযায়ী ১কেজি ডানো গুড়ো দুধের দাম ৭২০ টাকা।
৪০০ গ্রাম এর একটি ডেনিশ কনডেন্সড মিল্কের দাম ৯৫টাকা।
কনডেন্সড মিল্ক এ শর্ত অনুযায়ী ২২% গুড়ো দুধ থাকলে ,
৪০০ গ্রামের একটি কৌটায় গুড়ো দুধ থাকতে হবে ৪০০ *২২/১০০= ৮৮ গ্রাম
বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ৮৮ গ্রাম গুড়ো দুধের দাম-
৭২০*৮৮/১০০=৬৩.৩৬ টাকা
আর কনডেন্সড মিল্ক উৎপাদনকারীরা যখন টন হিসাবে খোলা গুড়ো দুধ আমদানী করে তখন দাম আরো অনেক কম পড়ে এটা প্রায় নিশ্চিত। কাজেই চাইলে কনডেন্সড মিল্ক উৎপাদনকারীরা এই দামেও মোটামুটি মানের দুধ আমাদের খা্ওয়াতে পারে।
কিন্তু সমস্যা হল আমারা কেউই সৎ ভাবে কোন কিছু করতে চাই না। কাজেই কনডেন্সড মিল্কের নামে আমরা কি খাচ্ছি তা আল্লাহই বলতে পারেন।
ভারতবর্ষে দুধে ভেজাল মেশানোর 'প্রথা' অনেক পুরনো (সম্ভবত সেই ভেজাল দুধের জন্য নিচের ক্লাসের অংক বইয়ে 'এক গোয়ালা তিন লিটার দুধে এক লিটার পানি মেশানো'র ভেজাল প্রক্রিয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিখতে হতো)।
আমাদের কালে বাংলাদেশে লিটার প্রথা প্রচলিত ছিল না।
শুধুমাত্র আলোচনার জন্য কথা গুলো বলা। ইনফ্যাক্ট চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: চাল-ডাল অনলাইন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ঘাপলা থাকা অসম্ভব নয়। আমি নিডো ব্রান্ডের দুই কেজির টিন কিনেছি- ২২০০/- বিদেশে প্যাকিং। স্থানীয় প্যাকিং ১৬০০/-
আপনার হিসাব মতে- কন্ডেন্স মিল্ক বিশুদ্ধ হওয়ারই কথা। কিন্তু একবার বিএসটিআই, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ভোক্তা অধিকার পরিষদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছিল- বাজারের কোনো ব্রান্ডের কন্ডেন্স মিল্ক এ কোনো প্রকার গোদুগ্ধজাত কিছু পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে দেশের মিডখুব সরগরম হয়েছিল।
তরল দ্রব্য লিটারে মাপা হয়। তবে অংকের হিসাব ভুলে গিয়েছি সত্য, কিন্তু দুধে পানি মেশানোর অংকের কথা মনে আছে।
ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জানার ইচ্ছা না থাকা মানেই- মৃত মানুষ।
আমার এক বন্ধুর বাবা একদিন আমাকে বলেছিলেন, বেশি জানা ভালো না। বেশি জানলে মানুষ জানোয়ার হয়ে যায়।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার বন্ধুর বাবা যা বলেছেন তা সত্য নয়, বরং টং দোকানের আড্ডার চটুল সংলাপ।
৮| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার লিখেছেন। এটানা পড়ে ফেলা গেলো।
- এই বস্তু খাইতে অতি সুস্বাদু হইলেও ইহাতে দুগ্ধের কোনো অস্তিত্ব রহিয়াছে বলিয়া আমার মালুম হয় না।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন- অন্তত আমাদের দেশের কন্ডেন্স মিল্কে গো-মহিষের দুধ বলে কিছু নাই।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৮
বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের উচ্চ আদালতের কোন একটা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল যে মেথি আর কোন একটি দ্রব্য ব্যাতিত বাংলদেশের আর সব পন্যে ভেজাল পাওয়া গেছে। কাজেই কনডেন্সড মিল্কে যে ভেজাল আছে এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নাই । আমি শুধু শর্তের গাণিতিক দিকটা বিশ্লেষণ করেছি।
তরল দ্রব্য লিটারে মাপা হয়। তবে অংকের হিসাব ভুলে গিয়েছি সত্য, কিন্তু দুধে পানি মেশানোর অংকের কথা মনে আছে।
আমিও স্কুলে থাকতে ঐ অংক করেছি, তবে মনে হয় সেটা সের বা মণের দেশীয় কোন এককে। মেট্রিক পদ্ধতিতে তরল এর একক লিটার। আমাদের দেশে এরশাদ কাকু প্রধম মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন করেছিলেন। তার আগে স্থানীয় ভাবে প্রায় সব কিছুই সের, মণে মাপা হতো আর অফিসিয়ালী তখন ব্রিটিশ পরিমাপের একক গ্যালনে তরল মাপা হতো । আপনার হয়তো গ্যালনে তখনকার পেট্রল কেনার কথা মনে থাকতে পারে। যা হোক জনাব এরশাদ আমাদেরকে পরিমাপের সেই হযবরল অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
আবার এসে বিরক্ত করে গেলাম। ভাল থাকবেন।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশে এখনও সের/মন হিসাব চালু রেখেছে সরকার। যখন সরকার কোনো সাহায্য গ্রহণ করে- সেটা টন হিসেব দেখায়। যখন সরকার খয়রাতী সাহায্য দেয় তখন মন হিসেবে দেখায়!
মোটেই বিরক্ত করেননি।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
মনে আছে যখন ক্লাশ নাইন/টেন এ পড়ি তখন বাসায় "ডানো" মিল্ক পাউডারে ঘন চা করা হতো। বাইরে থেকে আসা ডানো দুধের সেই ঘন চায়ের স্বাদ আজও ভুলিনি। গুড়ো দুধের দাম বেড়ে গেলে চায়ের দুধের জায়গা দখল করে নিয়েছিলো "কনডেন্সড মিল্ক"। স্বাদও গিয়েছিলো বদলে। মনে হয় তখন "ব্লু ক্রস" কনডেন্সড মিল্ক পাওয়া যেত বাজারে। সেই থেকেই চায়ে কনডেন্সড মিল্ক চলছে আমার। ডানো গুড়ো দুধ এখন পাওয়া যায় বটে তবে আগের স্বাদ ও গন্ধ আর নেই। দেশে প্যাকেটজাত করাটাতে তো নেই-ই! দেশে উৎপাদিত (বিজ্ঞাপনে যে দেশের নামই বলুক না কেন) সব গুড়ো দুধই সম্ভবত ভেজালে ভরা কিম্বা মেয়াদ উত্তীর্ণ গুড়ো দুধ আবার গুড়ি করে বিভিন্ন নামে প্যাকেটজাত করা কিছু। কারন তাতে না আছে স্বাদ, না আছে দুধের গন্ধ। রাস্তার পাশে গরুর দুধের চা বলে যা খাওয়া হয়, আমার কাছে তাতে কোনও ঘাপলা আছে বলেই মনে হয়।
তাই মন্দ জেনেও চায়ের জন্যে আমার ভরসা কনডেন্সড মিল্কেই। সব খাবারের ভেজাল খেয়ে খেয়েও এখনও যখন দিব্যি বেঁচেবর্তে আছি তখন পঁচা গুড়ো দুধ আর পামঅয়েলের ষ্টেরিন মেশানো কনডেন্সড মিল্ক খেয়ে মরবো না !
আর মজার বিষয় হলো, আমার বাসাতেও চাল মাপতে আজও কনডেন্সড মিল্কের কৌটোই ব্যবহার করা হয়। এমন কি দেশের বাইরে আমার মেয়ের বাসাতেও দেখেছি কনডেন্সড মিল্কের কৌটোতে চাল মাপতে। সে নাকি দেশ থেকে আসার সময় কনডেন্সড মিল্কের গোটা দুই কৌটো নিয়ে এসেছিলো।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাইজান, স্বাদ গন্ধ থাকবে কি করে- দেশে প্যাকিং করা প্রায় সব গুড়া দুধই মেয়াদ উত্তীর্ণ কংক্রিটের মতো, যা এখানে ক্রাসিং করে প্যাকেটজাত করা হয়। আমিও দুধ চায়ের জন্য কন্ডেন্স মিল্ক নির্ভর।
মজার ব্যাপার হলো- আমার বাসায়ও চাল মাপার জন্য কন্ডেন্স মিল্ক কৌটা ব্যবহার করা হয়!
নিরন্তর শুভ কামনা।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
জীবনে গুঁড়া দুধ খুব বেশি খাওয়া হয় নি, কনডেন্স্ড মিল্কও না। চায়ের অভ্যাস আগে তেমন ছিল না। বর্তমানে দিনে অন্তত ২ কাপ চা খাই। মার্ক্স গুঁড়া দুধ দিয়ে সেটা বানানো হয়, তার সাথে থাকে তরল দুধও। আগে বাসার বাইরে যেসব চা খেতাম, তা বেশির ভাগই ড্যানিশ দিয়ে বানানো হতো।
কীভাবে এক কৌটা কনডেন্স্ড মিল্ক ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়, আপনার এ প্রশ্নে আমিও ভড়কে গিয়েছিলাম। বিষাদ সময়ের ব্যাখ্যা থেকে আশ্বস্ত হলাম- ঠিকই আছে।
বাজার থেকে বা গোয়ালার কাছ থেকে খাঁটি তরল দুধ কিনতে পারাটা খুবই বিরল ঘটনা হবে। ১০/১২ বছর আগে আমি বাজার থেকে দুধ কিনেছি কয়েকবার। কখনো খাঁটি মনে হয় নি।
আজকাল বাজারে দুধের বাজার আছে কিনা আমার জানা নাই। উন্নত টেকনোলজির যুগে দুধে পানি মেশানো ডিটেক্ট করার মেশিন ব্যবহার করার প্রচলন করা যেতে পারে। ছোটোবেলায় শুনেছি। মাঝে মাঝে দুধের বাজারে সরকারি লোক আসতেন মেশিন নিয়ে। যার হাঁড়িতে পানি পাওয়া যেত, সাথে সাথে তার হাঁড়ির দুধ তার মাথায় ঢেলে দেয়া হতো। আজকাল এসব রীতি আছে কিনা, জানি না। থাকলে দুধে পানি মেশানোর হার অনেক কমে যেত।
দেশে তো চাষীর সংখ্যা কমছে, বাড়িতে বাড়িতে গরু পালনের সংখ্যাও কমছে, যদিও ফার্ম করার হার বাড়ছে। আমি ভাবছি, আগামীতে দেশে তরল দুধের উৎপাদন কমতে কমতে বিপদসীমায়ই চলে আসে কিনা।।
আমার ভালো লাগে ঘোল। এক অসাধারণ দুগ্ধজাত খাবার।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, বাজার থেকে গরুর দুধ কেনা মানেই ভেজাল। অন লাইনে দুধ বিক্রেতাদের রমরমা বানিজ্য দেখলে মনে হবে- দেশের দুধের নহর বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শতভাগ ভেজাল দুধের ব্যবসা!
আমাদের নাতনীর জন্মের পর খাটি দুধের প্রত্যাশায় একটা গাই গরু কিনে একজনকে পোষতে দেই। গরুর পেছনে যাবতীয় খরচ আমাদের। বিনিময়ে যিনি গরু লালন পালন করবেন প্রতি দিন অর্ধেক দুধ আমাদের দিবে এবং গরুর বাছুর বড়ো হলে বাজার দরে আমিই কিনে নেবো- দামের অর্ধেক রাখাল/গোয়ালা পাবেন। কিন্তু সেই লোকও আমাদের যে অর্ধেক দুধ দেয়- তাতে পানি মিশিয়ে দেয়!
ঘোল মাখন মাঠা আমারও ভালো লাগে- যা নিয়ে ৬ মাস আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৩
চারাগাছ বলেছেন:
কনডেন্স মিল্কে কি আদৌ দুধ থাকে ?
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার বিশ্বাস হয়না। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নষ্ট জমাট বাধা গুরো দুধের কিছু মিশ্রণ থাকতেও পারে।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: এই কনডেন্স মিল্কের সাথে আমার কত স্মৃতি যে জড়িয়ে রয়েছে । ছোট বেলা থেকে এই কনডেন্স মিল্কের কৌটায় আমাদের বাসা সব সময় ভর্তি থাকতো । আমার বাবা বিডিআরের ফুড কন্ট্রাক্টর ছিলেন । তখন বিডিআরদের এই দুধের কৌটা সাপ্লাই দেওয়া হত । স্টোর রুমে তো থাকতোই আমাদের বাসাতেও কাটনের পর কাটন জড় হয়ে থাকতো । আমার সব থেকে পছন্দ কাজ ছিল এই কৌটা ফুটো করে এক মুখ দিয়ে চুমুক দিয়ে যতটা সম্ভব মিল্ক মুখের ভেতরে নিয়ে নেওয়া । আমি এখনও এই কাজ করি ।
সরকার থেকে যখন এটা ব্যান করে দেওয়া হয় তখন এই কনডেন্স মিল্কের বদলে গুড়া দুধ সাপ্লাই দেওয়া শুরু হয় । সেটাও অবশ্য বেশ চমৎকার লাগতো খেতে । তবে কনডেন্স মিল্ক সেরা ছিল সব সময় ।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: নস্টালজিক!
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গ্রামে গেলে ফেরর পথে ৫/৮ লিটার গরুর দুধ নিয়ে আসি। এটাই খাটি দুধ খাওয়ার একমাত্র উপায়।
দারুন লিখেছেন। শেষের কথাগুলোতো একেবারে বাস্তব সত্য। ঘরে ঘরে চাল মাপার প্রধান পাত্র এই কনডেন্স মিল্কে এর কৌটাগুলো।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি প্রায়শই সাভার যাই। ফেরার পথে ৫/১০ লিটার দুধ নিয়ে আসি- কিন্তু সেই দুধের স্বাদ নাই বরং বিস্বাদ বলা যায়।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তোমার বন্ধুর বাবা যা বলেছেন তা সত্য নয়, বরং টং দোকানের আড্ডার চটুল সংলাপ।
আমি আপনার সাথে একমত।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার মতো যারা জীবন ঘেষা নাগরিক জীবন যাপন করে- তারা সবাই আমার এই বক্তব্যে একমত পোষণ করবে।
১৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: পূর্বের মতোই জানার আগ্রহ নিয়ে শুরু থেকে শেষ মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০
শাওন আহমাদ বলেছেন: এতো কম দামে কিভাবে কনডেন্স মিল্ক দেয় এই চিন্তা থেকে আমি এটা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। যদিও ছোটবেলায় রিয়াজের ড্যানিশের বিজ্ঞাপন দেখে হতে নিয়ে চেটে চেটে ড্যানিশ খেতাম।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এই ইতিহাস সকল কিশোর কিশোরীদের।
১৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই কৌটো দুধ আমার এক সময় প্রিয় ছিল । আমার মা একবার দুধের ভেতর তেলাপোকার ঠ্যাং দেখতে পান তারপর থেকে একদম বন্ধ হয়ে যায় এই দুধ খাওয়া । কিছুদিন আগে একবার কিনেছি , সমস্যা হলো আমি দুধেই ডিটারডেন্টের দানার মত কিছু পেয়েছি তাই আবার বাদ দিয়েছি !
আপনার এই পোস্ট পড়ে বেশ অনেকটাই ধারণা আসলো ! সম্ভবত এখন থেকে আর খাবো না , তবে এই কৌটোদুধকে আমার কাছে গরিবের মাখন বলে মনে হয় !!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: চায়নিজ হোটেল নামের বেশীরভাগ হোটেল রেস্তোরাঁয় আলো আধারিতে নোংরা খাবার পরিবেশন করা হয়। বাজারের ৯০ ভাগ গোদুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য ভেজাল। একই অবস্থা মধু, খেজুর গুড়েও।
১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলেও এখনো চাল মাপার পাত্র হিসেবে কনডেন্সড মিল্কের কৌটার ব্যবহার দেখা যায়। আমাদের বাড়িতেও সম্ভবত মিল্কমেইড এর খালি কৌটো আমদানি হয়েছিল চাল মাপার জন্য।
আরো এটি তথ্য নিয়ে পোষ্ট পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।