নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনয় এবং আত্মশ্লাঘা.....

২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮


বিনয় এবং আত্মশ্লাঘা...


"বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।"--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভদ্রতা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Manners বা Common sense যার বাংলায় তর্জমা করলে হয় মার্জিত ব্যবহার বা কাণ্ড-জ্ঞান।

আজকাল অবশ্য কাণ্ড-জ্ঞানের খুবই অভাব দেখা যায়, সেটি আমার মতন তিন কুড়ির মানুষেরা হাড়ে হাড়েই টের পান। টের পান রাস্তায়, ঘাটে বা হাটে বাজারে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ এই ভদ্রতা নিয়েই একটি গল্প বলি, গল্পটি অনেক আগে একটি বইয়ের পড়েছিলাম।

একদা ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ হেনরী তার পারিষদদের নিয়ে প্যারিস নগরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে একজন ভিক্ষুক তাকে টুপি খুলে অভিবাদন জানালে প্রত্যুত্তরে রাজা চতুর্থ হেনরীও নিজের টুপি খুলে ভিক্ষুকটিকে অভিবাদন জানান।
এমন অভাবনীয় কাণ্ড দেখে রাজার পারিষদবর্গের একজন যৎপরোনাস্তি অবাক হয়ে রাজাকে বিনয়ের সাথে বললেন- মসিঁয়ে, 'রাজা হয়ে একজন রাস্তার ভিখারিকে এমন ভাবে সেলাম করাটা ঠিক হলো না'!

রাজা নির্বিকার চিত্তে এবং স্মিত হাসিতে সেই পারিষদটিকে বললেন, “আমার রাজ্যের সামান্য ভিক্ষুকদিগের অপেক্ষাও ভদ্রতায় কম হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার নাই”।
তাৎক্ষণিক উচিৎ জবাবে পারিষদটি চুপ করে যান।

হিন্দিতে একটি প্রবাদ আছে, "বিদ্যা দদাতি বিনয়ং"- অর্থাৎ, বিদ্যা অনিয়ম শেখায় না শেখায় বিনয়।
বিনয়, সভ্যতা, সৌজন্যতা, ঔদ্ধত্য, অহংকার এগুলো পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত অর্জন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যৌথ পরিবার প্রথা হারিয়ে যাওয়ার এখন ছোট পরিবার প্রথা গড়ে উঠেছে। স্বামী স্ত্রী মিলে একটা সংসার। দুজনেই চাকুরীজীবি। সন্তান জন্ম নিলে দিনের অধিকাংশ সময় সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব বর্তায় বেতনভুক বুয়ার হাতে। শিক্ষিত মা বাবার সেইসব সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষা(আচার-আচরণ) হয় কাজের বুয়ার কাছে। যার প্রতিফলন দেখা যায় সর্বত্র।

হয়তো, অনেকেই বলবেন, যারা কাজের বুয়ার কাছে লালিত পালিত হয়নি, তাদেরও অনেকেরই মুখের ভাষা খারাপ, অনেকেরই বিনয় ভদ্রতা সৌজন্য বোধের অভাব তাদের লেখায়, কথায় প্রকাশ হয়'!

হ্যা, হয়তো তারা কাজের বুয়ার কাছে লালিত পালিত হয়নি তবে তাদের পারিবারিক আবহই অমন...যা তাদের মা বাবার থেকে সন্তানেরা রপ্ত করেছে। সন্তানের প্রথম পাঠ যদি ভালো না হয় তাহলে জিন্দেগীতে সেটা বদলানো খুব সহজ নয়।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই লেখা বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয়। সোস্যাল মিডিয়ায় একশ্রেণীর আঁতেল আছে যারা যেকোনো বিষয়কে 'আত্মশ্লাঘা' মনে করে তেতে উঠেন! বিষয়টা "চোরের মন পুলিশ পুলিশ"।

(চার বছর আগের লেখা- ফেসবুক মেমোরি থেকে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে-- নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন সবাই রাজা, প্রজা নাই।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: রবি ঠাকুরের লেখা

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি জনাব।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

জটিল ভাই বলেছেন:
চার বছর আগের হলেও সর্বসময়ের উপযোগী পোস্ট :)

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.