নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আত্মপোলব্ধিঃ উদারতা বনাম উন্নাসিকতা....
মানুষের বয়স, আর্থিক অবস্থান, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনে খুব ভালো রেজাল্ট করলেই প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া যায় না। প্রকৃত শিক্ষিত তাকেই বলা যায়, যার মন হীনমন্যতা ধারণ করে না, বরং উদার মানসিকতার। শিক্ষিত মানুষ তিনিই, যিনি স্বচ্ছ বিবেকের তাড়নায়, জীবনের বহুমুখী অভিজ্ঞতা, অনুভূতির দ্বারা পরিচালিত হয়ে প্রচলিত প্রথা ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেন। সেই প্রকৃত মানুষ, যে বিশাল হৃদয়ে উদারতা ধারণ করেন। কেউ হয়তো বলতেই পারে, আমি তো স্যোশাল ওয়ার্ক করি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করি, বিভিন্ন ভাবে সেবা করি। .... ভাববার বিষয় হলো, এই কাজের পিছনে কি কারণ আছে? টাইম পাস, গড ফিয়ারিং নেচার নাকি পাবলিসিটি।
আপনি যদি দৃষ্টান্তমূলক কোন সাহসী পদক্ষেপ নেন, আরও পাঁচজনকে দেখবেন আপনার সঙ্গে এগিয়ে আসছেন। কিন্তু আপনি যদি কাপুরুষতা দেখান; লোকে কি বলবে সেই ভয়ে সত্য গোপন করতে চান, তাহলে একদিন দেখবেন আপনি একা হয়ে গিয়েছেন। সকলকে খুশী করে কোনদিন নিজে ভালো থাকা যায় না। ভালো থাকতে গেলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে, অন্যকে ভালোবাসতে হবে। জীবনকে ভালোবাসতে হবে।
কিছু লোকের স্বভাব কূটকাচালি করা, অন্যকে খোঁচানো, বিরক্ত করা। কিছু লোক সবসময়তেই আপনার পিছনে কাঠি দেবার চেষ্টা করবে। কিছু মানুষ আপনার পার্সোনাল স্পেসে ঢোকার চেষ্টা করবে। তাদেরকে অত importance দেবার দরকার আছে কি? তবুও নানাবিধ কারণে এই শ্রেণীর লোকের সাথেও আর এক শ্রেণীর সম গোত্রীয় সমর্থক জুটে যায়।
জীবনটা অনিশ্চিত। তাই কে কিভাবে জীবন কাটাচ্ছে, কার কি পেশা। কার লেখা কেমন। কে কার সাথে লিভ ইন করছে কিংবা extra marital relationship করছে অথবা কয়টি প্রেম বা বিয়ে করছে, এটা সেই মানুষটার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। সেখানে ইন্টারফেয়ার করা তো দূরে থাক, সেই বিষয়ে কথা বলার অধিকার কারোর নেই। আপনার ভাল না লাগলে, পছন্দ না হলে এড়িয়ে যান- আপনাকে কেউ বাধ্য করছে- কারোর ব্যাক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষ তো স্বঘোষিত নীতিপুলিশ। নিজেকে মহাজ্ঞানী ভেবে আত্মতৃপ্তি পেতে চান- কেউ যখন তাকে গুরুত্ব দেয়না, তখনই উলটাপালটা ভাবে নিজেকে জাহির করার অপচেষ্টা করে। অন্যের সঠিক- বেঠিক বিচার করতে বসে যায়। সমালোচনা করা তারই করা সাজে যিনি সকল সমালোচনার উর্ধে।
তাই আমাদের উচিৎ যথেষ্ট উদারমনস্ক হয়ে প্রত্যেকজনের পাশে দাঁড়ানো। তা যদি না পারি তাহলে নিজের চরকায় তেল দেওয়াই ভালো। কারণ প্রত্যেক মানুষের তার নিজের ইচ্ছামতন করে জীবন কাটানোর অধিকার আছে। একটাই তো জীবন। তাই বলে মুখ ঢেকে, লুকিয়ে বেড়াবো কেন? আমি তো জানি, আমি কি বা কে? যা করছি তাতে যদি কোন অপরাধ না থাকে তবে কাউকে পরোয়া করবো কেন?
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য, এই সহজ সমীকরণটাই আমরা বুঝতে পারছিনা!
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত হতে পারলাম না আপনার সাথে একেবারেই। সমালোচনা হচ্ছে গনতন্ত্রের অন্যতম প্রথম শর্ত। সমালচনা করা তারই সাজে যে সমালোচনার উর্ধে বাক্যটাই একটা স্বৈরাচারী বক্তব্য ।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, সমালোচনা আর কুৎসা তথা পোংটামির মধ্যে পার্থক্য আছে। সুস্থ্য সমালোচনায় কারোর কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সমালোচনার নামে কাউকে অপদস্ত করাকে সমালোচানা বলার সুযোগ নাই।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
নতুন বলেছেন: সমালোচনা হতে হবে গঠনমুলক।
দেশের মানুষ পরচর্চা করে, গঠনমুলক সমালোচনা করেনা।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪
শায়মা বলেছেন: ৩. ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫১০
নতুন বলেছেন: সমালোচনা হতে হবে গঠনমুলক।
দেশের মানুষ পরচর্চা করে, গঠনমুলক সমালোচনা করেনা।
এটাই সঠিক......
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: একশ্রেনীর জ্ঞানপাপী সমালোচনার নামে কাউকে কাউকে অপমান অপদস্ত করে- জীবনকে দুর্বিসহ করে দেয়।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
আমাদের সমাজে এখন অন্যর কাজে নাক গলানো মানুষের সংখ্যাই বেশি।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অযোগ্যরাই নাক গলানোতে এগিয়ে!
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৭
জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর কথা বলেছেন প্রিয় ভাই।
কিন্তু আফসোস, শিখবে কেউ? সবাইতো শেখাতে চায়
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন ভালো কথা গ্রহণযোগ্য না!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪১
শায়মা বলেছেন: একদম তাই। কারোর কোনো ক্ষতি না করে নিজের চরকা নিয়ে না থেকে অন্যের চরকায় তেল দেওয়া বন্ধ করাটাই শিখতে হবে।